নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোবাইল চোর: আপনার একটু ভালবাসা বদলে দিতে পারে ওদের মত অনেকের জীবন!

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১১



আপনার একটু ভালবাসা বদলে দিতে পারে ওদের জীবন! হ্যাঁ আসলেই তাই। গত পরশু ২৭ মার্চ ২০১৮ কাজের চাপে দুপুরের খাবার গ্রহনে কিছুটা লেট হয়ে যায়। আড়াইটার দিকে অফিসের পাশ্ববর্তী হোটেলে খেতে যাই। দু'চার জন খানা খাচ্ছেন। একটি খালি টেবিলে বসে হোটেল মালিকের ছোট ভাই আবুলকে বললাম, 'খানা দাও।'

অাবুল খানা অানার জন্য হোটেলের পেছনের দিকে চলে গেল। ইত্যবসরে ১৫/১৬ বছর বয়সী অচেনা লুঙ্গি পড়া একটি ছেলেকে দেখলাম, হোটেলের ভেতর ঘোরাফেরা করছে। ভাবলাম, এদের কর্মচারী হবে হয়তো। ছেলেটি ঠিক আমি যে টেবিলে বসেছি, সেই টেবিল থেকে কালো রংয়ের একটি মোবাইল হাতে নিয়ে পেছনের দিকে চলে গেল। পেছনের দিকে যেতে দেখে তাকে বললাম, 'তুমি, আবুলকে একটু তাড়াতাড়ি আসতে বল।'

দু'তিন মিনিটের মাথায় আবুল খাবার নিয়ে এলো। আবুল আসতে না আসতেই বাইরের দিক থেকে এক যুবক দৌড়ে এসে বললেন, 'আমার মোবাইল ভুলে রেখে গেলাম। এই একটু আগে।'

আমার টেবিলটি দেখিয়ে তিনি বলেন, 'এই টেবিলে ছিল। আমার নতুন মোবাইল। দুই সপ্তাহ হয় কিনেছি।'

মুহূর্তেই সবকিছু আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। আবুলকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি খাবার আনতে পেছনের দিকে যাওয়ার পরে যে ছেলেটি তোমার পেছন পেছন গেল সে কোথায়? তাকে তো আমি মোবাইল হাতে নিয়ে যেতে দেখেছি। তাকে ডাকো। আবুল বলে, 'কোন্ ছেলে?'

ধমকের স্বরে বলি, 'এই ব্যাটা, চোর আজকে পিটাবো না, মার কিন্তু তোর পিঠেই পড়বে। ডাক ওকে। ও ছেলেটা কে ছিল? এই একটু আগে বেরিয়ে গেল। আর এখনই চিনতে না পারার ভান করছিস?'

ছেলেটির কিছুটা বর্ননা দেয়ার পরে আবুল বুঝতে পারলো এবং তার মোবাইলে ফোন করে তাকে হোটেলে আসতে বললো। কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখি, সে এসে হাজির।

আশপাশের দোকানীসহ অনেক লোক ইতিমধ্যেই হোটেলে এসে জড় হয়েছে। ছেলেটিকে কঠিনভাবে চেপে ধরা হল, মোবাইল বের করে দেয়ার জন্য। তবে, তার এক কথা, সে মোবাইল নেয়নি। যার মোবাইল হারিয়েছে, তিনি আমাকে দেখিয়ে ছেলেটিকে বললেন, ইনি দেখেছেন, তুই তার সামনে থেকে মোবাইল নিয়েছিস। তুই ছাড়া আর কেউ মোবাইল নিতে পারে না।

কারও কোনো কথাতেই কিছু হল না। ছেলেটির সেই একই কথা, সে মোবাইল নেয়নি। একপর্যায়ে আমার সামনে এসে বললো, 'হুজূর, দেখুন, আমি তো আপনার সামনে থেকেই আমার এই মোবাইল নিয়ে গেলাম। আপনি দেখেছেন না তখন?'

আমি বললাম, 'হ্যাঁ, আমি দেখেছি, তোমাকে কালো রংয়ের এরকম একটি মোবাইলই তো নিতে দেখেছি। আচ্ছা, যে মোবাইলটি তুমি নিয়েছো, সেটাই কি এটা ছিল? তাহলে তুমি কি এই ভদ্রলোকের মোবাইল নাওনি?'

সে বললো, 'এটাই টেবিলে রেখেছিলাম। আবার টেবিল থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছি।'

এবার তাকে ভাল করে জেকে ধরলো সবাই। উত্তম মধ্যম পর্ব শুরু হবে আরকি! লুঙ্গিপড়া ছেলের ভাবসাব দেখে আমি শিউর, এই ছেলে মার খেয়ে মরে যাবে, তবু মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করবে না।

আমি সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে বললাম, 'আচ্ছা, যেহেতু ঘটনার শুরু থেকে আমি এখানে ছিলাম। ওকে আমার সাথে একান্তে দু'মিনিট কথা বলতে দিন।'

সবাই সম্মত হলেন। ছেলেটিকে নিয়ে আমি হোটেলের পেছন দিকে চলে গেলাম। যে দিকটায় সে মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল। হোটেলের পেছনে সবুজ ঘাসের মাঠ। মাঠে গিয়ে তাকে বললাম, 'বাবা, আমার দিকে তাকাও।'

সে তাকালো। বললাম, 'বাবা, তোমাকে দেখে মনে হয় না তুমি চোর। এই সামান্য একটি মোবাইল নিয়ে তুমি তোমার হাত অপবিত্র করো, এটা আমি চাই না। তোমাকে ভাল ছেলে বলে মনে হয়। তুমি তার মোবাইল যদি নিয়ে থাকো, দিয়ে দাও। কথা দিচ্ছি, কেউ তোমাকে কিছু বলতে পারবে না। সে দায়িত্ব আমি নিলাম।'

আহ! ছেলেটি শুকনো মুখে বললো, 'আপনি যেহেতু বলেছেন, আমার আর কিছু বলার নেই। চলুন, মোবাইল সামনে আছে।'

তার সাথে কিছু দূর যাওয়ার পরে ইটের একটি স্তুপের ভেতর থেকে মোবাইল সেটটি বের করে আমার হাতে দিয়ে দিল।'

আহ! কতটা শ্রদ্ধাবোধ আমার প্রতি তার! অামি অবাক হলাম। আহ! দু'টো কথায় সে মোবাইলটা দিয়ে দিল! আমার মনে হল, আহ! একটু ভাল কথা, তার অন্তরটা ভিজিয়ে দিল। একটু সুন্দর কথায় সে অর্থের লোভ ত্যাগ করে মোবাইলটি দিয়ে দিল!

মাথায় হাত দিয়ে আরও দু'টো কথা বলার পরে সে জানালো, 'জীবনে আর এই কাজ করবে না সে।'

সকলের সাথে আমাদের আচরন যদি সুন্দর হত, সকলেই নিজেকে অন্যায় থেকে বাঁচিয়ে রাখতো! আমাদের সদাচরন বদলে দিত ওদের মত অনেকের জীবন!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার একটু ভালবাসা বদলে দিতে পারে ওদের মত অনেকের জীবন!

হয়তো সবার জীবন বদলে দেওয়া যাবেনা শুধু ভালবাসায়
তবে চেষ্টা করতে দোষ নাই। চোর হয়ে কেউ জন্মায়না.
পরিবার, সমাজ বাস্তবতা মানুষকে চোর বানায়
চোরকে শোধরাবার দ্বায়িত্ব পরিবারের, সমাজের।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



খুবই সুন্দর কথা বললেন।

হয়তো সবার জীবন বদলে দেওয়া যাবেনা শুধু ভালবাসায়
তবে চেষ্টা করতে দোষ নাই। চোর হয়ে কেউ জন্মায়না.
পরিবার, সমাজ বাস্তবতা মানুষকে চোর বানায়
চোরকে শোধরাবার দ্বায়িত্ব পরিবারের, সমাজের।


অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন ভাই।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

ভালবাসার শক্তি অনেক বেশী সব ক্ষেত্রেই। কিন্তু আমরা তো ভালবাসতেই ভুলে গেছি
এক অন্তহীন কর্পোরেট ইদূর দৌড়ে ছুটতে গিয়ে- প্রতিযোগীতা আর প্রতিযোগীতা
সবাইকে পিছে ফেলে আমাকেই এগুতে হবে!
কে মরল কে বাঁচল আমার দেখার টাইম নাই!
আপনি বাঁচলে বাপের নাম- এমনতর স্বার্থপরতায় ভরা চেতনা ঢুকে গেছে মনে মগজে!!!

এর বদল প্রয়োজন। সামাজিক নীতি নির্ধারকরা কই? কারা? তারা কি সময়ের পালস বুঝতে পারছেন?
এটলিষ্ট ধর্মের ধ্বজাধারীদের হাতে এই বদলানোর ক্ষমতাটা বেশি! কিন্তু তারাওতো বুদ আপনাইজমে!

মুক্তির পথ কই?

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শক্তিশালী কমেন্টে অভিনন্দন।

ভালবাসার শক্তি অনেক বেশী সব ক্ষেত্রেই। কিন্তু আমরা তো ভালবাসতেই ভুলে গেছি
এক অন্তহীন কর্পোরেট ইদূর দৌড়ে ছুটতে গিয়ে- প্রতিযোগীতা আর প্রতিযোগীতা
সবাইকে পিছে ফেলে আমাকেই এগুতে হবে!
কে মরল কে বাঁচল আমার দেখার টাইম নাই!
আপনি বাঁচলে বাপের নাম- এমনতর স্বার্থপরতায় ভরা চেতনা ঢুকে গেছে মনে মগজে!!!

এর বদল প্রয়োজন। সামাজিক নীতি নির্ধারকরা কই? কারা? তারা কি সময়ের পালস বুঝতে পারছেন?
এটলিষ্ট ধর্মের ধ্বজাধারীদের হাতে এই বদলানোর ক্ষমতাটা বেশি! কিন্তু তারাওতো বুদ আপনাইজমে!

মুক্তির পথ কই?


এর ভেতর থেকেই মুক্তির পথ খুজে নিতে হবে আমাদের।
দারুন মন্তব্যে অনুপ্রানিত অনুভব করলাম। অনেক শুভকামনা।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

ক্স বলেছেন: আপনাকে বলেছে এই কাজ সে জীবনে আর করবেনা। খোঁজ নিয়ে দেখেন তো সত্যিই সে ছেড়েছে কিনা! এত লাভজনক কাজ এত কষ্ট করে শিখেছে, আর দুটো মিষ্টি কথা শুনেই ভাল হয়ে যাবে। হুজুর, আপনি ভাল মানুষ তাই মানুষ চিনতে ভুল করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ এখনো এত ভালো হয়নি।

মিষ্টি কথা আমিও বলি কিন্তু তার আগে হাত-পায়ের সাধ ভালো করে মিটিয়ে নেই। উত্তম মধ্যম দেবার পর মিষ্টি কথা বললে সেটা আরও বেশি ফল দেয় - আমার অভিজ্ঞতা সেটাই বলে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মত আমারও মাঝে মাঝে এমনটা মনে হয়। উত্তম-মধ্যম থেরাপিটা অনেক কাজের জিনিষও বটে। তবু সামান্য মোবাইল চুরির অপরাধে প্রায়শ যখন দেখি, অনেককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, উপর্যুপরি আক্রোশের শিকার হয়ে অনেক তরতাজা প্রানকে ঝড়ে যেতে হয়, নিথর নিস্তব্ধ হতে হয়, তখন ভাবি, রাষ্ট্রের শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটকারী, আর যারা কলমের খোঁচায় আমাদের ভাগ্য ছিনিয়ে নিয়ে তাদের পকেটস্থ করতে দ্বিধা করেন না, টেবিলের নিচ দিয়ে বা-হাতের কাজে পারদর্শী সেইসব রথি-মহারথিদের তো কেউ কেশাগ্র স্পর্শ করার সাহস পান না। তার কারন কী? তাদের উত্তম-মধ্যম দেয়ার কথা কি কখনও আপনার ভাবনায় আসে না? যদি না এসে থাকে, তাহলে কেন আসে না?

তাদের খুঁটির জোর আছে বলেই কি তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়? থেকেই যাবে আজীবন? মার শুধু গরিব অসহায় এই লুঙ্গিপরার দলই খেয়ে যাবে? গনধোলাই নামের স্টীম রোলার শুধু এদের জন্যই নির্ধারিত? মোবাইল চুরির অপরাধের বিচার কি গনধোলাই? নির্যাতন করে দিবালোকে মানুষ খুন? আইন আদালত তাহলে কেন এবং কাদের স্বার্থে?

সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নকিব ভাই,ভাল লাগল আপনার ঘটনাটি জেনে।
এমন মূহুর্তে আসলে বেশির ভাগ মানুষই রাগ দেখায়।রাগে কোন সমাধান নেই।আর রাগ তো ইসলামে হারাম।
ভালবাসা দিয়ে হয়তো সব কিছু জয় করা যায়।কিন্তু আজকাল ভালবাসার বড় অভাব।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালবাসা দিয়ে হয়তো সব কিছু জয় করা যায়।কিন্তু আজকাল ভালবাসার বড় অভাব।

সোহেল ভাই, আমার ধারনা, গনধোলাই নামের বুলড্রোজারের আঘাতে পিষ্ট হয়ে এই ছেলেটিরও হয়তো ভবলিলা সাঙ্গ হতে পারতো। বিশ্বাস করি, আমার পক্ষ থেকে এরকম সামান্য একটু ভালবাসা পাওয়ার অধিকার তার নিশ্চয়ই রয়েছে। প্রত্যেক মানুষেরই রয়েছে। তো, তাকে তার অধিকারের সামান্য মাত্র দিতে চেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়? সে চেষ্টাটাই করেছি। আর সে চেষ্টাটুকুতেই যদি বেঁচে যায় তরতাজা একটি প্রান।

অনেক সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় মোবারকবাদ।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ছোট চোরদের বড় সাজা, গণধোলাই। ফলাফল মৃত্যু কিন্তু বড়গুলা দেদারছে তাদের কাজ করে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। ছোট খাট অপরাধে ছিচকেদের প্রতি নির্মমতার শেষ নেই। রাঘব বোয়ালরা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির পরিবর্তন চাই।

অনেক ভাল থাকুন।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে দারিদ্রতার সাথে অনেক সমস্যা জড়িত। তবে মানুষের সসহানুভূতি থাকলে অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



দেশে দারিদ্রতার সাথে অনেক সমস্যা জড়িত। তবে মানুষের সসহানুভূতি থাকলে অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।

সঠিক কথা বলেছেন, সত্যের ছায়া। অনেক ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৪১

কালীদাস বলেছেন: ভালবাসার খ্যাতা পুড়ি! যেই ছেলের এখন স্কুলে থাকার কথা, সে পথে ঘুরবে কেন? চুরি করবে কেন? উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর এই বয়সের ছেলের স্কুলে থাকা মাস্ট ছিল, হয়নি কেন? স্কুলে যদি ১ বছরের জন্যও যেয়ে থাকে, ভদ্রতা এবং নৈতিকতার বিদ্যা সবার আগে পাওয়ার কথা, সেটা পায়নি কেন? এরকম হাজার হাজার কেনর উত্তর না খুঁজে "জিপি পাইপ" মারানোর ফল হিসাবে এরা বেয়াদপের জেনারেশন পয়দা করছে যারা একই সাথে কপটতাও শিখছে। আমি বাজি রাখতে পারি এই ছেলে পরেরদিনই নতুন কারও মোবাইল চুরির ধান্দা করবে। কারণ সে নৈতিকতার শিক্ষা পায়নি। ধর্মীয় ভাবে না, মানুষ হিসাবেও না।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক সুন্দর মন্তব্য দেখে ভাল লাগলো। আপনার সাথে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। আসলে আমাদের জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হলে, জাতীয় পর্যায়ে যারা অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন, তাদের আরও বিচক্ষন বিজ্ঞ অভিজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চিন্তা করলে গোটা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ভাবতে হবে। শিক্ষিত নৈতিকতাসম্পন্ন একটি জাতি গঠন করতে হবে। অপরিহার্য্য এ বিষয়টিতে আমরা কতটুকু সফল? জিপিএ দিয়ে মেধা ধ্বংস হয়েছে কি না জানি না, তবে, শিক্ষার মান তলানীতে নামছে যে, তা বাস্তবেই দেখি।

ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অশিক্ষা ইত্যাদি একটি জাতির জন্য অভিশাপ। এ অভিশাপ আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি আজও। এগুলো নিত্যসঙ্গী আমাদের।

নির্মমতা কাম্য নয় কোনো অবস্থাতেই। পিটিয়ে মানুষ মারা, আর গনধোলাই নামের মগের মুল্লুকের দৃশ্য দেখতে চাই না অন্তত:। বিচারহীন মৃত্যুর মিছিলকেও ঘৃনা করি মনে-প্রানে। বিপথগামী কিশোর, তরুন এবং যুবকদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের প্রতি জেলায় সংশোধনালয় চালু করা হোক। তাদের অন্যায়ের হাতগুলোকে কাজের হাতে পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হোক।

সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাক। সমৃদ্ধ হোক এ জাতি। সম্মানের উচ্চাসনে সমাসীন হোক প্রিয় বাংলাদেশ। আপনি ভাল থাকুন।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: গণধোলাই কখনো সমর্থন করি না, কোন পরিস্থিতিতেই না। জানিনা, বিপথগামী ছেলেটা ভালবাসার ছোঁয়া পেয়ে পথে ফিরে আসবে কিনা, না আসলে সে অন্য কোথাও হয়তো ধরা খাবে এবং শাস্তি পাবে। তবে আপনার বিচক্ষণতায় ছেলেটা গণ নিষ্ঠূরতা থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পেল, এটা জেনে আমিও স্বস্তি পেলাম।
ভালবাসা দিয়ে পাহাড় হেলানো যায়, অসাধ্য সাধন করা যায়।
পোস্টে ভাল লাগা + +

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



গণধোলাই কখনো সমর্থন করি না, কোন পরিস্থিতিতেই না। জানিনা, বিপথগামী ছেলেটা ভালবাসার ছোঁয়া পেয়ে পথে ফিরে আসবে কিনা, না আসলে সে অন্য কোথাও হয়তো ধরা খাবে এবং শাস্তি পাবে। তবে আপনার বিচক্ষণতায় ছেলেটা গণ নিষ্ঠূরতা থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পেল, এটা জেনে আমিও স্বস্তি পেলাম।
ভালবাসা দিয়ে পাহাড় হেলানো যায়, অসাধ্য সাধন করা যায়।
পোস্টে ভাল লাগা + +


-অসাধারন মন্তব্য। প্রানটা জুড়িয়ে দিল। আমারও আপনার মত একই মানসিকতা। কোনোভাবেই মানতে পারি না গনধোলাই নামের ভ্রষ্ট উল্লাস। এগুলো সভ্য কোনো প্রানীর কাজ হতে পারে বলেও বিশ্বাস করি না।

আমারও ঠিক জানা নেই, ছেলেটি আসলেই ভাল হয়ে যাবে কি না। তবে, অতটুকু শান্তনা অন্তত: দিতে পেরেছি নিজের মনকে, যেটা আপনি বললেন, ছেলেটিকে এ যাত্রায় কোনো নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়নি।

পৃথিবীর সকল প্রানীকে আল্লাহ পাক সুখে রাখুন।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলেই মোবাইল চোর ধরা পড়ার পর এই অতি উৎসাহীদের অতিরিক্ত মার দেয়া ভালো লাগে না। একটু বুঝা উচিত, যদি ধরা না পড়তো, তাহলে কিন্তু মোবাইলটা আর পাওয়া যেত না। মার দেয়া হয় যাতে কখনো সাহস না পায়, কিন্তু এই মারের কারণে না আবার তার মৃত্যু হয় কিংবা আরো বেশী খারাপের দিকে সে পতিত হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে সবাইকে...

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই অত্যন্ত সুন্দর করে বলে যাওয়ায়।

আসলে আমার অভিমত হচ্ছে, চোর ধরা পড়লে, তাকে যাচ্ছেতাইভাবে যেন প্রহার করা না হয়। চোরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হোক। দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হোক। কিন্তু গনধোলাই কিংবা সাধারন মানুষের হাতে আইন তুলে নেয়ার মত ধৃষ্টতা কেন আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হচ্ছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.