নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবীরা গোনাহসমূহ: আসুন, জেনে নিই কুরআন সুন্নাহর আলোকে

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩



আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহি লা- তারা-হুল উইয়ূ-ন, ওয়ালা- তুখ-লিতুহুজ্জুনূ-ন, ওয়ালা- ওয়াসিফুহুল ওয়াসিফূ-ন। অচ্ছলা-তু অচ্ছালা-মু আলা মাল্লা- নাব্যিা বা'দাহু। মুমিন মুত্তাক্কী ব্যক্তি হবেন নেককার। সদা ভাল কাজে লিপ্ত থাকবেন এটাই প্রত্যাশিত। মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কর্মকান্ড পরিহার করে জীবনযাপনের চেষ্টা করবেন। আর সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন, হারাম ও কবীরা গোনাহ-সমূহ থেকে শত যোজন দূরে থাকতে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, শত চেষ্টার পরেও কিছু অপরাধ সংঘটন হতেই পারে। তবে কুরআনুল কারীম এবং হাদিস শরীফের ভাষ্যানুসারে আমরা অবগত হতে পারি, আমাদের ছোটখাট পাপ ও লঘূ ভুলভ্রান্তি আল্লাহ পাক আমাদের নেক কর্মের কারণে ক্ষমা করে দিতে পারেন। এজন্য আমাদের উচিত, কঠিন বা বড় পাপকার্য্যগুলো সম্মন্ধে জেনে সেগুলো থেকে সদা সর্বদা দূরে থাকার জন্য সচেষ্ট হওয়া।

কবীরা গোনাহ কী?

কবীরা গোনাহ কী? কোন্ কোন্ অপরাধ কবীরা গোনাহর আওতায় পড়ে, এর সংজ্ঞা, সংখ্যা এবং পরিচয় নিয়ে উলামায়ে কিরাম বিশদ মতামত পেশ করেছেন। মূলত: যে সকল পাপের বিষয়ে কুরআনুল কারীম অথবা হাদীস শরীফে কঠিন গজব, শাস্তি কিংবা অভিশাপের উল্লেখ করা হয়েছে বা যে সকল কর্মকে কুরআন বা হাদীসে কঠিন অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোকে কবীরা গুনাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও অনেক অপরাধকে অপরাধের প্রকৃতি, অবস্থা এবং ভয়াবহতা বিবেচনায় গোনাহে কবীরার আওতায় আনা হয়েছে। এতদ্ব্যতিত যে কোনো সাধারণ পাপের চর্চা সর্বদা করলে তাও বড় পাপে তথা কবীরা গোনাহে পরিণত হয়।

ইমাম যাহাবী “আল-কাবাইর” গ্রন্থে কবীরা গুনাহ বিষয়ক আয়াত ও হাদীসসমূহ সংকলিত করেছেন। যে সকল পাপকে কুরআন বা হাদীসে বড় পাপ বা কঠিন শাস্তি, গজব বা অভিশাপের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি সেগুলির তালিকা প্রদান করেছেন। আমরা অত্র নিবন্ধে সেগুলো সংক্ষিপ্তাকারে উপস্থাপনের প্রয়াস পাব। অত:পর এসবের ভেতর থেকে বিশেষ কতগুলো পাপ যা আমাদের নেক কাজগুলোকে বিনষ্ট করে দেয় সেগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব, ইনশা-আল্লাহ।

এ সকল পাপ বা অপরাধকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি: ব্যক্তিগত বা হক্কুল্লাহ বিষয়কসামাজিক বা হক্কুল ইবাদ বিষয়ক। যদিও উভয় প্রকার পাপই আল্লাহ পাকের অবাধ্যতা ও পরস্পর সম্পৃক্ত এবং কবীরা গোনাহ, তবুও বুঝার সুবিধার্থে এগুলোকে দু’ভাগ করে আলোচনা করছি:

ক. হক্কুল্লাহ বিষয়ক কবীরা গুনাহসমূহ

১. ঈমান বিষয়ক: শিরক, কুফর, নিফাক, বিদ‘আত, আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপত্তা-বোধ করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া, তকদীরে অবিশ্বাস করা, গনক বা জ্যোতিষীর কথা সত্য মনে করা, অশুভ, অমঙ্গল বা অযাত্রায় বিশ্বাস করা, মক্কার হারামে যে কোনো প্রকার অন্যায় করার ইচ্ছা, যাদু শিক্ষা বা ব্যবহার, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য জবাই করা, নিজের জীবন, সম্পদ, ও সকল মানুষের চেয়ে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বেশি ভালবাসায় ত্রুটি থাকা, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামে মিথ্যা হাদীস বলা, নিজের পছন্দ-অপছন্দ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নাত ও শরীয়তের অনুগত না হওয়া, বিদ‘আতে লিপ্ত হওয়া, আত্মহত্যা করা।

২. ফরয ইবাদত পরিত্যাগ বিষয়ক: সালাত পরিত্যাগ, যাকাত প্রদান থেকে বিরত থাকা, ওজর ছাড়া রমযানের সিয়াম পালনে অবহেলা, জুমু‘আর সালাত পরিত্যাগ করা, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হজ্ব আদায় না করা, ধর্ম পালনে অতিশয়তা বা সুন্নাতের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ইবাদত করা, সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে গমন করা।

৩. হারাম খাদ্য ও পানীয়: মদপান, মৃত প্রাণী, প্রবাহিত রক্ত ও শূকরের গোশত ভক্ষণ করা, স্বর্ণ বা রৌপ্যের পাত্রে পান করা।

৪. পবিত্রতা ও অন্যান্য অভ্যাস বিষয়ক: পেশাব থেকে পবিত্র না হওয়া, মিথ্যা বলার অভ্যাস, প্রাণীর ছবি তোলা বা আঁকা, কৃত্রিম চুল লাগান, শরীরে খোদাই করে উল্কি লাগান। পুরুষের জন্য মেয়েলী পোশাক বা চাল চলন, টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরা, সোনা ও রেশমের ব্যবহার, গোফ বেশি বড় করা, দাড়ি না রাখা। মেয়েদের জন্য পুরুষালী পোশাক বা আচরণ, সৌন্দর্য প্রকাশক পোশাক পরিধান করে, মাথা, মাথার চুল বা শরীরের কোনো অংশ অনাবৃত রেখে বা সুগন্ধি মেখে বাইরে যাওয়া।

৫. অন্তরের বা মনের পাপ: অহংকার, গর্ব করা, নিজেকে বড় ভাবা, নিজের মতামত বা কর্মের প্রতি পরিতৃপ্ত থাকা, রিয়া, হিংসা, কোনো মুসলিমকে হেয় বা ছোট ভাবা, ক্রোধ, প্রশংসা ও সম্মানের লোভ, সম্পদের লোভ, কৃপণতা, নিষ্ঠুরতা, দ্বীনী ইল্ম পার্থিব উদ্দেশ্যে শিক্ষা করা, ইল্ম গোপন করা।

এগুলোর মধ্যে কিছু পাপের সাথে মানুষের অধিকার জড়িত। মিথ্যা হাদীস বলা এমনিতেই ভয়ঙ্করতম পাপ। সাথে সাথে এ মিথ্যা দ্বারা যারা বিপথগামী হয় তাদের সকলের পাপের ভাগ পেতে হয় উক্ত মিথ্যাবাদীকে। যাকাত প্রদানে অবহেলা করলে একদিকে আল্লাহ পাকের অবাধ্যতা ও ইসলামের রুকন নষ্ট করা হয়। সাথে সাথে সমাজের দরিদ্রদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ইলম গোপন করলে সাধারণত সমাজের মানুষেরা অজ্ঞতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং এ আলিম তাদের অপরাধের জন্য দায়ী থাকেন।

যাদু ও মিথ্যা বলার অভ্যাস যদি কারো কোনো ক্ষতি না করে তাহলেও তা কবীরা গোনাহ। পক্ষান্তরে কারো কোনো প্রকার ক্ষতি করলে তা দ্বিতীয় একটি কবীরা গোনাহের দ্বার খুলে দেয়। দু'টি কবীরা গোনাহের পাপ একত্রিত হয় এক ব্যক্তির আমলনামায়। অনুরূপভাবে অহংকার, হিংসা, কাউকে হেয় ভাবা ইত্যাদি ব্যক্তিগত কবীরা গোনাহ হলেও সাধারণত এগুলোর অভিব্যক্তি ব্যক্তির বাইরে প্রকাশিত হয়ে অন্যদের কষ্ট দেয়। তখন তা আরো অনেক হক্কুল ইবাদ সংশ্লিষ্ট কবীরা গোনাহের মধ্যে ব্যক্তিকে নিপতিত করে। কৃপণতা যদিও মানসিক পাপ ও ব্যাধি, কিন্তু সাধারণত এ ব্যধি মানুষকে বান্দার হক নষ্ট বা ক্ষতি করার অনেক পাপের দিকে প্ররোচিত করে।

খ. সৃষ্টির অধিকার সংক্রান্ত কবীরা গোনাহসমূহ

কুরআন-হাদীসের আলোকে মানুষের মূল দায়িত্ব দুটি ও পাপের সূত্রও দুটি। প্রথম দায়িত্ব, মানুষ তার মহান প্রভুর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস, অগাধ ভালবাসা ও আস্থা পোষণ করবে এবং এ আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা বৃদ্ধিপায় এমন সকল কর্ম আল্লাহ পাকের মনোনীত রাসূলের শিক্ষা অনুসারে পালন করবে। আর এ দায়িত্বে অবহেলা সৃষ্টি করে এমন সকল কর্ম বা চিন্তা-চেতনাই প্রথম পর্যায়ের পাপ।

মানুষের দ্বিতীয় দায়িত্ব, এ পৃথিবীকে সুন্দর বসবাসযোগ্য করতে তার আশেপাশের সকল মানুষ ও জীবকে তারই মতো ভালভাবে বাঁচতে সাহায্য করা। আর এ দায়িত্বের অবহেলাজনিত কর্মই দ্বিতীয় পর্যায়ের পাপ। আল্লাহর সৃষ্টিকে কষ্ট প্রদান, ক্ষতি করা, শান্তি বিনষ্ট করা বা অধিকার নষ্ট করাই মূলত সবচেয়ে কঠিন অপরাধ। এ জাতীয় পাপগুলো কুরআন-হাদীসে বেশি আলোচনা করা হয়েছে। একই জাতীয় পাপের শাখা প্রশাখাকে বিশেষভাবে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এর তালিকাও অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।



১. ইসলাম নির্ধারিত শাস্তিযোগ্য অপরাধে অপরাধীর (চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি) শাস্তি মওকুফের জন্য সুপারিশ বা চেষ্টা করা।

২. আইনের মাধ্যমে বিচার ছাড়া কোনো মানুষকে হত্যা করা। এমনকি ডাকাতী, খুন, ধর্মদ্রোহিতা ইত্যাদি ইসলামী বিধানে যে অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলে নির্ধারিত সে অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তিকেও কোনো ব্যক্তি নিজের হাতে শাস্তি দিলে তা হত্যা। একমাত্র উপযুক্ত আদালতের বিচারের মাধ্যমেই অপরাধীর অপরাধ, তার মাত্রা ও শাস্তি নির্ধারিত হবে। যথাযথ বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে অপরাধী মনে করা বা শাস্তি দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টির অধিকার নষ্টকারী কঠিন অপরাধ।

৩. রাষ্ট্রপ্রধান, প্রশাসক বা বিচারক কর্তৃক জনগণের দায়িত্ব, সম্পদ বা আমানত আদায়ে অবহেলা করা বা ফাঁকি দেওয়া।

৪. নাগরিক কর্তৃক রাষ্ট্রপ্রধান, শাসক, প্রশাসক বা প্রধানকে ধোঁকা দেওয়া বা রাষ্ট্রের ক্ষতিকর কিছু করা।

৫. রাষ্ট্র বা সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা সশস্ত্র বিদ্রোহ।

৬. অন্যায় দেখেও সাধ্যমতো প্রতিকার বা প্রতিবাদ না করা।

৭. ‘বাইয়াত’ অর্থাৎ ‘রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের শপথের’ বাইরে থেকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বা ‘অবাধ্য’ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।

৮. রাষ্ট্র প্রশাসনের অন্যায় বা জুলুম সমর্থন বা সহযোগিতা করা।

৯. সমাজের মানুষদেরকে কবীরা গোনাহের কারণে কাফির বলা বা মনে করা।

১০. বিচারকের জন্য ন্যায় বিচারে একনিষ্ঠ না হওয়া বা বিচার্য বিষয়ের বাইরে কোনো কিছু দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিচার করা।

১১. আইন প্রয়োগকারীর জন্য আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা ও আপনজনদের জন্য হালকাভাবে শাস্তি প্রয়োগ করা।

১২. মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা প্রয়োজনের সময় সত্য সাক্ষ্য প্রদান না করা।

১৩. রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ বা ভোগ করা, তা যত সামান্যই হোক।

১৪. মুনাফিককে নেতা বলা।

১৫. জিহাদের মাঠ থেকে পালিয়ে আসা।

১৬. মুসলিমগণকে কষ্ট প্রদান ও গালি দেওয়া।

১৭. যবরদস্তি, মিথ্যা মামলা বা অবৈধভাবে কোনো মানুষ থেকে কিছু গ্রহণ করা।

১৮. হাটবাজার, রাস্তাঘাটে টোল আদায় করা বা চাঁদাবাজী করা।

১৯. মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিম নাগরিককে কষ্ট প্রদান বা তার অধিকার নষ্ট। যে কোনো মানুষকে কষ্ট দেওয়াই কঠিন পাপ। তবে হাদীস শরীফে বিশেষ করে অমুসলিম ও সমাজের দুর্বল শ্রেণীগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ নির্দেশনা তো আছেই।

২০. কোনো মহিলা বা এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা। যে কোনো মানুষের সামান্য সম্পদ অবৈধভাবে গ্রহণ অন্যতম কবীর গোনাহ। তবে মহিলা ও এতিম যেহেতু দুর্বল এজন্য হাদীসে তাদের দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে তাদের সম্পদ অবৈধ ভোগকারীর কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

২১. আল্লাহর প্রিয় ধার্মিক বান্দাগণকে কষ্ট প্রদান বা তাদের সাথে শত্রুতা করা।

২২. প্রতিবেশীর কষ্ট প্রদান।

২৩. কোনো মাজলিসে এসে খালি জায়গা দেখে না বসে ঠেলাঠেলি করে অন্যদের কষ্ট দিয়ে মাজলিসের মাঝে এসে বসে পড়া বা
এমনভাবে মাঝে বসা যাতে অন্য মানুষদের অসুবিধা হয়।

২৪. কারো স্ত্রী বা চাকর বাকরকে ফুসলিয়ে সরিয়ে দেওয়া।

২৫. কর্কশ ব্যবহার ও অশ্লীল- অশ্রাব্য কথা বলা।

২৬. অভিশাপ বা গালি দানে অভ্যস্ত হওয়া।

২৭. কোনো মুসলিমের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে কিছু অর্থলাভ করা।

২৮. তিন দিনের অধিক কোনো মুসলিমের সাথে কথাবার্তা বন্ধ রাখা।

২৯. মুসলিমগণের একে অপরকে ভাল না বাসা বা ভালবাসার অভাব থাকা।

৩০. মুসলিমদের গোপন দোষ খোঁজা, জানা ও বলে দেওয়া।

৩১. নিজের জন্য যা পছন্দ করে অন্যের জন্য তা পছন্দ না করা।

৩২. কোনো ব্যক্তিকে তার বংশের বিষয়ে অপবাদ দেওয়া।

৩৩. পিতামাতার অবাধ্য হওয়া বা তাঁদের কষ্ট প্রদান করা।

৩৪. সুদ গ্রহণ করা, প্রদান করা, সুদ লেখা বা সুদের সাক্ষী হওয়া।

৩৫. ঘুষ গ্রহণ করা, প্রদান করা ও ঘুষ আদান প্রদানের মধ্যস্থতা করা।

৩৬. মিথ্যা শপথ করা।

৩৭. হীলা বিবাহ করা বা করানো।

৩৮. আমানতের খেয়ানত করা।

৩৯. কোনো মানুষের উপকার করে পরে খোটা দেওয়া।

৪০. মানুষের গোপন কথা শোনা বা জানার চেষ্টা করা।

৪১. স্ত্রীর জন্য স্বামীর অবাধ্য হওয়া।

৪২. স্বামীর জন্য স্ত্রীর টাকা বা সম্পদ তার ইচ্ছার বাইরে ভোগ বা দখল করা।

৪৩. চোগলখুরী করা বা একজন মানুষের কাছে অন্য মানুষের নিন্দামন্দ ও শত্রুতামূলক কথা বলে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক নষ্ট করা।

৪৪. গীবত বা পরচর্চা করা। অর্থাৎ কারো অনুপস্থিতিতে তার মধ্যে বিরাজমান বাস্তব ও সত্য দোষগুলো উল্লেখ করা।

৪৫. অসত্য দোষারোপ করা। অর্থাৎ কারো মধ্যে যে দোষ বিরাজমান নেই অনুমানে বা লোকমুখে শুনে তার সম্পর্কে সে দোষের কথা উল্লেখ করা।

৪৬. জমির সীমানা পরিবর্তন করা।

৪৭. মহান সাহাবীগণকে গালি দেওয়া।

৪৮. আনসারগণকে গালি দেওয়া।

৪৯. পাপ বা বিভ্রান্তির দিকে বা খারাপ রীতির দিকে আহ্বান করা।

৫০. কারো প্রতি অস্ত্র জাতীয় কিছু উঠান বা হুমকি প্রদান।

৫১. নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলা।

৫২. জেদাজেদি ঝগড়া, বিতর্ক কলহ বা কোন্দল।

৫৩. ওজন, মাপ বা দ্রব্যে কম দেওয়া বা ভেজাল দেওয়া।

৫৪. কোনো উপকারীর উপকার অস্বীকার করা বা অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

৫৫. নিজের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি অন্যকে প্রদান থেকে বিরত থাকা।

৫৬. কোনো প্রাণীর মুখে আগুনে পুড়িয়ে বা কেঁটে দাগ বা মার্কা দেওয়া।

৫৭. জুয়া খেলা।

৫৮. অবৈধ ঝগড়া বা গোলযোগে সহযোগিতা করা।

৫৯. কথাবার্তায় সংযত না হওয়া।

৬০. ওয়াদা ভঙ্গ করা।

৬১. উত্তরাধিকারীকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা।

৬২. স্বামী বা স্ত্রী কর্তৃক তাদের একান্ত গোপনীয় কথা অন্য কাউকে বলা।

৬৩. কারো বাড়ি বা ঘরের মধ্যে অনুমতি ছাড়া দৃষ্টি করা।

৬৪. কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে সাহায্য বা ক্ষমা চাইলে আর তার প্রতি বিরক্ত থাকা অথবা তাকে ক্ষমা বা সাহায্য না করা।

৬৫. যা কিছু শোনা হয় বিচার বিশ্লেষণ ও সত্যাসত্য নির্ধারণ না করে তা বলা।

৬৬. বঞ্চিত ও দরিদ্রদেরকে খাদ্য প্রদানে ও সাহায্য দানে উৎসাহ না দেওয়া।

৬৭. ব্যভিচার, সমকামিতা বা যৌন অনাচার ও অশ্লীলতা।

৬৮. নিরপরাধ মানুষকে, বিশেষত মহিলাকে ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষাীর সুস্পষ্ট সাক্ষ্য ছাড়া ব্যভিচার বা অনৈতিকতার অপবাদ দেওয়া।

৬৯. সমাজে অশ্লীলতা প্রসার করতে পারে এমন কোনো গল্পগুজব বা কথাবার্তা বলা বা প্রচার করা। এর মধ্যে সকল পর্নোগ্রাফি, ছবি, অশ্লীল উপন্যাস ও গল্প অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর প্রচার, বিক্রয়, আদান প্রদান সবই কবীরা গোনাহ।

উপরে বর্নিত সকল পাপই অত্যন্ত ক্ষতিকর। কুরআন ও হাদীসে এগুলোর ভয়ঙ্কর শাস্তি ও খারাপ পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোনো কোনো পাপ নেক আমলের ফলে আল্লাহ ক্ষমা করতে পারেন। আবার কোনো কোনো পাপ সকল নেক আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। এ সকল ইবাদত বিনষ্টকারী পাপের অন্যতম শিরক, কুফর, অহঙ্কার, হিংসা, অপরের অধিকার নষ্ট করা, গীবত করা ইত্যাদি। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে বর্নিত পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন। মহা মহিয়ান প্রভূর অন্তহীন রহমতের ছায়াতলে আশ্রয়দানে ধন্য করুন। আমীন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সময় করে মনযোগ সহকারে পড়ব।প্রিয়তে রাখলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্ট প্রিয়তে রাখায় আপনিও প্রিয় হয়ে থেকে গেলেন হৃদয়ের কার্নিশে! কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

মিথী_মারজান বলেছেন: খানিকটা বড় পোস্ট, তবে পড়তে একটুও খারাপ লাগেনি।
জানা এবং অজানা অনেক কিছু আবার নতুন করে জানলাম।
স্বর্ণ বা রৌপ্য পাত্রে পান করা হারাম এই তথ্যটা জানা ছিলো না।
আচ্ছা, স্বর্ণ বা রূপার চামচ ব্যবহার করে লিকুইড জাতীয় যে কোন কিছু খেলে সেটাও কি তাহলে হারাম?

সুন্দর এবং শিক্ষনীয় পোস্ট।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অসাধারন মন্তব্যে আপ্লুত! কৃতজ্ঞতা।

স্বর্ণ বা রূপার চামচও যেহেতু থালা বাটি কিংবা পাত্রের অন্তর্ভূক্ত, সেহেতু স্বর্ণ বা রৌপ্য পাত্রে পান করার হুকুম চামচ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রজোয্য।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

ভীতু সিংহ বলেছেন: অসাধারণ। যত গুলো পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন, এর অর্ধেকও যদি আমরা মানতে পারতাম তাহলে আজ দেশের চেহারাই বদলে যেত। আল্লাহ আপনাকে এরকম আরও পোস্ট দেয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যও মা-শাআল্লাহ অসাধারন! জাজাকুমুল্লাহু তাআ'-লা।

যত গুলো পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন, এর অর্ধেকও যদি আমরা মানতে পারতাম তাহলে আজ দেশের চেহারাই বদলে যেত।

একদম সত্যি বলেছেন।

আপনার নেক দুআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। অনেক ভাল থাকার দুআ।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে তো বিনা দ্বিধায় বলা যায়, কবীরা গুনাহ দিয়ে দেশ ভরে গেছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



তাইতো! আর তাতেই তো আমাদের ভাগ্যাকাশে এত মেঘ! অপরাধের ভেতরে নিমজ্জিত হয়ে আমরা বড় বড় গলা করি। নিজেদের মুসলমানিত্ব জাহির করে বেড়াই। দুআ'র হাত তুলি। অত:পর মোনাজাত শেষ না হতেই ফলাফল আশা করে চেয়ে থাকি। ফল পেতে একটু দেরি দেখলে আল্লাহ পাককে দোষারোপ করতে দ্বিধা করি না। এই আত্মপ্রবঞ্চনা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আর যা-ই হই না কেন, সত্যিকারার্থে ভাল মুসলিম অন্তত: হওয়া যাবে না, মুখে মুখে তা যতই দাবি করে থাকি না কেন। ছোট বড় সকল অপরাধ এড়িয়ে চলতে হবে। ইসলামের হুকুম আহকাম মেনে চলতে হবে বাস্তব জীবনে। এবং পরিপূর্নভাবে। তবেই মুক্তি। তবেই শান্তি। দুনিয়া এবং আখিরাতে।

পোস্টটির মূল্যায়নে আসায় কৃতজ্ঞতা। অনেক ভাল থাকার দুআ।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার লেখাগুলো প্রিয়তে রাখার মত;
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মত সামুর আইকনদের এত উঁচু প্রশংসা রাখার জায়গা এই অধমের কোথায়? আপনার লেখাগুলো, শব্দচয়নের বৈচিত্রতা ভাল লাগে। বরাবর আমি দ্রোহ প্রিয়। আপনার লেখায় তার ছোঁয়া থাকে।

কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ পাক আপনাকেও উত্তম বিনিময় দান করুন। আমাদের মুখে নয়, বাস্তবিক জীবনে ভাল মুসলিম হওয়ার তাওফিক দিন।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন:
আমাদের মুখে নয়, বাস্তবিক জীবনে ভাল মুসলিম হওয়ার তাওফিক দিন। আমীন।
আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ। আবারও আপনাকে পেয়ে শুকরিয়া। আল্লাহ পাক আমাদের জন্য কল্যানের দ্বার খুলে দিন। আপনার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে আবারও বলছি- আমীন।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সুন্দর ও সময়োপযোগী পোস্ট। আমরা গুনাহের পথ ছেড়ে দিয়ে অন্তত ফরয গুলো আঁকড়ে ধরতে পারলে এই দেশে এত সমস্যা থাকবে না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বাগত। সুন্দর মূল্যায়নে কৃতজ্ঞতা।

আমরা গুনাহের পথ ছেড়ে দিয়ে অন্তত ফরয গুলো আঁকড়ে ধরতে পারলে এই দেশে এত সমস্যা থাকবে না।

শতভাগ সহমত। আমরা জানিই না, কবীরা গোনাহ কোনটি আর ছগীরা গোনাহ কাকে বলে। আমরা অন্ধকারে সাঁতরে বেড়াচ্ছি। গোনাহের সমুদ্রে যেন হাবুডুবু অবস্থা। না জানার কারনে অবস্থা বেশি জটিল। এজন্যই, অবগতির জন্যই এই পোস্ট। যদি জানার পরে কিছু লোকও তা মেনে চলার চেষ্টায় ব্রতী হন!

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

আলোর পথে বিডি বলেছেন: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
( ১ ) কসম যুগের (সময়ের),
( ২ ) নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;
( ৩ ) কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।

" হে মুমিনগণ ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর। আর তোমাদের আমলসমুহ বিনষ্ট করো না।"[সুরা-মুহাম্মদ, আয়াত-৩৩]
"আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য ।[সুরা-নুর, আয়াত-৫২]
যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারো, তবে আমি তোমাদের লঘুতর পাপগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।- (সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ৩১)

তথ্য নির্ভর লিখা । অনেক শিক্ষণীয় । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।
" হে মুমিনগণ ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর। আর তোমাদের আমলসমুহ বিনষ্ট করো না।"[সুরা-মুহাম্মদ, আয়াত-৩৩]
"আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য ।[সুরা-নুর, আয়াত-৫২]
যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারো, তবে আমি তোমাদের লঘুতর পাপগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।- (সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ৩১)

তথ্য নির্ভর লিখা । অনেক শিক্ষণীয় । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন প্রিয় মন্তব্য নিয়ে হাজির হওয়ায় মোবারকবাদ।

সময় যদি অফুরন্ত থাকতো, কত বিষয়ের অসঙ্গতিতে যে মন কাঁদে! কত কিছু নিয়ে যে লিখতে ইচ্ছে হয়! যাক, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা যতটুকু তাওফিক দিয়েছেন, দিচ্ছেন, শুকরিয়া। সিজদাবনত শুকরিয়া তাঁর আলীশান দরবারে।

জীবন জীবিকার প্রয়োজনে মানুষকে ছুটতে হয়। সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে চলে এসেছে যে রীতি। এ অধমও তার ব্যতিক্রম নয়। তার ফাঁকে যতটুকু সুযোগ হাতে থাকে সেটুকু কাজে লাগানোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যখন আপনাদের প্রশংসাধন্য হয়, স্বভাবত:ই তখন আপ্লুত না হয়ে উপায় থাকে না। হৃদয়ের মনিকোঠা থেকে দুআ'র আবেদনগুলো মহিয়ানের দরবারে বিনীত আরজি জানাতে আকুল হয়ে ওঠে- 'হে মহান মনিব, আপনি সত্যের পথের পথিকদের ক্ষমা করুন। বন্ধুদের কবুল করুন। তাদের প্রতি আপনার রহমত অবারিত করুন।'

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

@"অন্তরের বা মনের পাপ: অহংকার, গর্ব করা, নিজেকে বড় ভাবা"
-- এই ভূতটা আমার মধ্যেও আছে।:(

@২৮/
আমার এক বন্ধু বেশ ক'বছর কথা বলে না। (ওর নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলাম, সেই জন্য)। স্যরি লিখে বেশ কয়েক বার মেসেজ দিয়েছি। ফলাফল শূন্য।
#ব্লগেও দু-চার জনের সাথে মনোমালিন্য!! :( আমার করণীয় কি??

@৫৯ ও ৬৩ / বিস্তারিত জানতে চাই।।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। আপনার আগমন আনন্দের কারন।

যদি বলতেন, নাক কিভাবে ফাটিয়েছিলেন! ঘুষি দিয়েছিলেন কি? না হেসে পারলাম না কিন্তু! আপনার প্রশ্নের জবাব ইনশা-আল্লাহ পরে দেব। এখন দয়া করে একটু অবকাশ দিন! হেসে নিই খানিকটা!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



অন্তরের বা মনের পাপ:

সবার ভেতরেই কম বেশি এটা থাকতে পারে। মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরন করার মাধ্যমে নিজের আমিত্বকে বিসর্জন দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিজের অপরাধগুলো মনে করে বিনীতভাবে আল্লাহ পাকের কাছে লজ্জিত হয়ে অবনত মস্তকে ক্ষমা চাইতে হবে। শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচতে সদা সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।

যে বন্ধু বেশ ক'বছর কথা বলে না, তার ব্যাপারে করনীয়

কয়েকবার মেসেজ পাঠিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। এটা থেকে তার সাথে আবারও মিলে যাওয়ার জন্য আপনার প্রচেষ্টা ছিল, তাও বুঝা যায়। আপনি চেষ্টাটা আরেকটু জোর দিয়ে করে দেখুন। হয়তো সরাসরি তার সাথে দেখা করে। সম্ভব না হলে বিশ্বস্ত কাউকে পাঠিয়ে দিন তার কাছে, যিনি তাকে কথা না বলে থাকার ক্ষতিটা, এটা যে বড় ধরনের একটি পাপ কাজ তা পজিটিভলি বুঝাতে সক্ষম। তিনি আপনার পক্ষ থেকে যেন এই বিষয়টি তাকে অবহিত করতে সক্ষম হন, আপনি অনাকাঙ্খিত উক্ত ইনসিডেন্টের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত এবং তার সাথে পুনরায় আন্তরিকতায় আবদ্ধ হতে আগ্রহী। অন্তত: কোনোভাবেই কিছু না হলে, তার মনের কোনে কোনো ক্ষত যাতে থেকে যেতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন।

এরপরেও যদি এগুলোর কোনোটিতে আপনি সফল না হন, তাহলে আল্লাহ পাকের নিকট তার জন্য কল্যানের দুআ করতে থাকুন। এটাই আপনার প্রচেষ্টার শেষ ধাপ। কারন, জোর জবরদস্তির স্থান ইসলামে নেই। সকল মানুষ কেন ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে না, এই নিয়ে চিন্তিত ছিলেন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। স্বয়ং আল্লাহ পাক রাসূলে মাকবূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্বীগ্নতা লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন-

'লাছতা আলাইহিম বিমুছইতিরীন।'

'হে রাসূল, আপনাকে দারোগা বানিয়ে পাঠানো হয়নি।' আল কুরঅান।

আর স্বভাবত:ই মানুষ তার সাধ্যের বাইরে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না।

'লাইছা লিল ইনছানি ইল্লা- মা- ছাআ'-।'

'মানুষ চেষ্টার বাইরে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না।' আল কুরঅান।

সুতরাং, আপনার সাধ্যের সীমাটুকুর সর্বোচ্চ ব্যবহার দেখতে চান আল্লাহ পাক। ভাল থাকুন।

ব্লগেও দু-চার জনের সাথে মনোমালিন্য!! :( আমার করণীয় কি??

এটা বড় ধরনের সমস্যা বটে! অধম নিজেও এই দলের অন্যতম সদস্য! বলতে চাই একটা, বুঝে ফেলে অন্যটা। ব্যাস, লেগে যায় এলোমেলো! তাছাড়া, ইসলাম, ইসলামী বিষয়াদি ইত্যাদি বিষয়ে কারও কারও এলার্জি জনিত সমস্যা তো টুকটাক রয়েছেই। এগুলো নিয়ে কথা বললে এসব আপদ বিপদ শুরু হয়। আমার মতে, এসব ঘটনায় আমাদের উচিত, এদের প্রত্যেকের কাছে পারসোনালি নাম মেনশন করে ক্ষমা চেয়ে নেয়া। তা ছাড়া আর কীইবা করার থাকে? ঝগড়া বিবাদ সবসময় এড়িয়ে চলার প্রচেষ্টা রাখতে হবে। আল্লাহ পাকের সাহায্য সর্বাবস্থায় কামনা করতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন।

ভাল থাকবেন।

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: https://youtu.be/XxBhA7DON00?t=724

ঠিক বলেছেন। অনেকেই ইসলামের বেসিক জিনিসগুলা জানে না। লিংকে দেখেন, এক লোকে জানেই না ফরয গোসল কখন করতে হয়!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই তো। ঐ যে বললাম না, অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে আছি আমরা। আপনি বিশ্বাস করুন, এম এ, এলএলবি, এক মুসলিম। অথচ তার সগীরা কবীরা গোনাহ সম্মন্ধে কোনো ধারনা নেই। আপনি এটাকে কী বলবেন? যার ধারনা নেই, তিনি সেই অপরাধ তো করতেই পারেন। তাহলে গলদটা কোথায়? কোন্ শিক্ষাব্যবস্থার উপর আমাদের ছেড়ে দেয়া হল যে, এম এ পাশ করেও আমরা জান্নাত জাহান্নামের রাস্তা পর্যন্ত চিনে নিতে পারছি না! অপরাধের ধরন ধারন বুঝি না! ইসলামের মৌলিক বিধানাবলী জানতে পারি না! আফসোস এই জাতির জন্য!

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

ক্স বলেছেন: আমাদের জানা সমস্ত গুনাহই তো দেখি কবীরা গুনাহ। তাহলে সগীরা গুনাহ কি? দু একটা এক্সাম্পল দিন তো!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্যভিচার কবীরা গোনাহ। কিন্তু দেখা বা স্পর্শ করা সগীরা গোনাহ, যা ক্ষমাযোগ্য, যদি কেউ বড় পাপে লিপ্ত না হন। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি দেখা এবং স্পর্শ করার কাজটি অব্যহতভাবে করে যেতে থাকে, তাহলে সেটা হবে কবীরা গোনাহ। আশা করি, আপনি বুঝে নিতে সক্ষম হবেন।

অফ টপিক: 'খতমে বুখারীর' পোস্টে আপনার মন্তব্যগুলোর বেশ কিছু পয়েন্ট যুক্তিযুক্ত এবং ক্ষুরধার মনে হয়েছে।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওকে, ভেবে চিন্তে পরেই উত্তর দিন। আমি রাতে আসবো।

হ্যাঁ, ঘুষিই মেরেছিলাম। ও ভীষন আবেগী। যদিও দোষটা ওর ছিল, কিন্তু শাস্তিটাও বাড়াবাড়ি রকমের হয়েছে। ওর চিকিৎসার খরচও আমি দিয়ে ছিলাম। কিন্তু ঐ যে, ঘিলু কম থাকলে যা হয়!!!!

তাকে আমার কখনো দরকার পড়বে না। আপনার লেখাটা পড়ে তার কথা মনে পড়ল, তাই বললাম।। দ্যাটস ইট।।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বুঝতে পেরেছি, নিতান্ত অনিচ্ছাকৃতভাবেই ঘটে গেছে ঘটনাটি। দেখতে থাকুন, চেষ্টার ফল কী দাঁড়ায়। আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা রাখুন।

১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৪০

কাতিআশা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, ভালো লাগলো!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার উপস্থিতি ভাল লাগে। অনেক সুন্দর থাকুন, হে সুন্দর মনের মানুষ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আচ্ছা, প্লিজ! আপনি কি প্রথম পাতায় এক্সেস পেয়েছেন?

১৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আমি আপনার লেখা গুলি খুবি পছন্দ করি। এই লেখাট টা সহ আমার প্রিয় লিস্টে বেশীর ভাগ এধরনের লেখাই আপনার। আমি আবার মোবাইলে বই বা লেখা পড়ি সবসময়। বিশেষ করে ইসলামিক লেখা গুলি। কিন্তু এখন আর আপনার এধরনের লেখা গুলি আর কপি করতে পারি না। এই গুনাহর লিস্ট টা কোথা থেকে পেতে পারি মোবাইলে কপি করে অফলাইনে পড়ার জন্য। কনফিউশন হলেই দেখে নেয়া যাবে। যাই হোক, চমৎকার এইসব লেখা যেন আপনি কখনো বন্ধ করবেন না। আমরা অনকেই এই সব লেখা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি। আল্লাহ আপনার উপর সবসময় রহমতের বৃষ্টি বষর্ন করুন। আমীন।

নকিব ভাই, আপনকে একটা চমৎকার বই পড়ার জন্য বলব। THE KARBALA by islamicoccasions.com. Probably composed by Mr. Akramullah Syed. ইন্টারনেটে খুজে না পেলে বলবেন। আমি আপলোড করে লিংক পাঠিয়ে দেব।


৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। আপনার প্রিয় লিস্টে এই অধমের স্থান রয়েছে জেনে আনন্দিত হলাম।

আপনার বইটি পেয়েছি। সময় করে পড়ব ইনশা-আল্লাহ।

এই পোস্টের কপি আপনাকে দেয়ার ব্যাপারে দু'টি অপশন রয়েছে। ১. আপনি ইমেইল আইডি দিলে সেখানে পাঠাতে পারি। ২. এখানে কোনো একটি মন্তব্যে পেস্ট করে দিতে পারি। আপনি যেটা ভাল মনে করেন দয়া করে জানাবেন।

অনেক ভাল থাকার দুআ।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: লিংক পেয়েছি। Click This Link

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা।

১৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। জাযাকাল্লহু খাইরাঁ।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



মা- শাআল্লাহ। আপনার আগমন শুভ হোক। মোবারকবাদ।

অনেক ভাল থাকবেন।

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নকিব ভাই,একটা হাদিস আছে না,আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন,আমার উম্মতের একদল এমন হবে যারা পাপ কাজ করবে কিন্তু সেই পাপ কাজকে তারা পাপ মনে করবে না।
যেমন আমরা এখন টিভি দেখি গান শুনি প্রতিনিয়ত কিন্তু এটা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করিনা।অনেকেই দেখি এটাকে পাপও মনে করে না।
আমাদের গোটা সমাজে বড় গোনায় লিপ্ত মানুষ ভরে গেছে।নিজের কথা ভাবলেই পরিত্রানের কোন পথ দেখি না।
প্রতিনিয়ত কত কবীরা গোনাহ করে যাচ্ছি!মিথ্যা বলছি,হুট-হাট কথা বলে অন্যকে কষ্ট দিচ্ছি,সহজেই অন্যকে নিয়ে মশকরা করছি,গান শুনছি,সিনেমা দেখছি,মা-বাবার কথা শুনছি না,বড়দের শ্রদ্ধা করছি না আর ও কতকিছু!!!
তবে একটা বড় গোনার কথা বলেছেন,সেটি হল আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হওয়া।
মাঝে মাঝে সেটাও হয়,মনে হয় এত সব পাপ করছি দিনের পর দিন আল্লাহ ক্ষমা করবেন তো?পরে আবার ভাবি আল্লাহতো অতি দয়ালু।যদি তাকে বিশ্বাস করার জন্য শেষ পর্যন্ত ক্ষমার দ্বার আমাদের জন্য নিশ্চয় উন্মুক্ত রাখবেন।

এভাবে সুন্দর সুন্দর সব লেখা লিখে মানুষের মাঝে সঠিক জ্ঞান পৌছে দিন সে কামনায় করছি।সামনে সগীরা গোনাহ নিয়েও লিখবেন আশা করি।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার উপলব্ধি সত্যি অসাধারন! আপনি অনেক ভাল মনের একজন মানুষ। হাদিসের উপর আপনার আন্তরিকতাও মুগ্ধ করে। দ্বীনের উপর অটল থাকার আপনার প্রচেষ্টা দেখিনি, কিন্তু এই কয়েকটি কথা থেকে সেটার গভীরতা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। কতটা আন্তরিকতা নিয়ে পোস্টে কথা বলেছেন, ভেবে আপ্লুত হই!

ইনশা-আল্লাহ, প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার ইচ্ছে রয়েছে। আপনাদের মত জ্ঞানী গুনীদের হৃদ্যতা হয়তো সামুতে আটকে রাখবে।

অনেক ভাল থাকার দুআ।

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! আমরা তাহলে প্রতিনিয়ত কতই না কবিরা গোনা করে থাকি।আর এসব পড়ার পর কী করে যে চলাচল করি নকিবভাই, ভেবে অস্থির হয়ে পড়েছি।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



আমাদের চেষ্টা করাটাই কাজ। যে কোনো অবস্থায় থাকি না কেন, কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা রাখতে হবে। আপনার অস্থিরতা আপনার ঈমানের প্রমান বহন করে। আল্লাহ পাকের কাছে সাহায্য চান, তিনি যেন তাঁর পথে আমাদের চলা-বলাকে সুগম করে দেন।

অনেক ভাল থাকবেন।

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ব, প্রিয়তে গেল ভাই।

সুন্দর পোষ্টের জন্য আল্লাহ্ আপনাকে খাঁইরে বরকত দান করুক।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



মা-শাআল্লাহ। জাজাকুমুল্লাহ।

আপনার আগমনে আনন্দিত। অনেক ভাল থাকুন।

২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: তাইতো! আর তাতেই তো আমাদের ভাগ্যাকাশে এত মেঘ! অপরাধের ভেতরে নিমজ্জিত হয়ে আমরা বড় বড় গলা করি। নিজেদের মুসলমানিত্ব জাহির করে বেড়াই। দুআ'র হাত তুলি। অত:পর মোনাজাত শেষ না হতেই ফলাফল আশা করে চেয়ে থাকি। ফল পেতে একটু দেরি দেখলে আল্লাহ পাককে দোষারোপ করতে দ্বিধা করি না। এই আত্মপ্রবঞ্চনা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আর যা-ই হই না কেন, সত্যিকারার্থে ভাল মুসলিম অন্তত: হওয়া যাবে না, মুখে মুখে তা যতই দাবি করে থাকি না কেন। ছোট বড় সকল অপরাধ এড়িয়ে চলতে হবে। ইসলামের হুকুম আহকাম মেনে চলতে হবে বাস্তব জীবনে। এবং পরিপূর্নভাবে। তবেই মুক্তি। তবেই শান্তি। দুনিয়া এবং আখিরাতে।

পোস্টটির মূল্যায়নে আসায় কৃতজ্ঞতা। অনেক ভাল থাকার দুআ।


বাস্তব দুনিয়াটা বড় কঠিন। কর্পোরেট লাইনে যারা থাকে তারা কিভাবে ধর্ম কর্ম পালন করবে? যদি বাপ দাদার বিরাট জমদারি থাকতো। তাহলে সারাক্ষন ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকতাম। কাজ করে খেতে হয়। আর কাজ করতে গেলে পুরোপুরি ধর্ম পালন করা যায় না।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



বাস্তব দুনিয়াটা বড় কঠিন। কর্পোরেট লাইনে যারা থাকে তারা কিভাবে ধর্ম কর্ম পালন করবে? যদি বাপ দাদার বিরাট জমদারি থাকতো। তাহলে সারাক্ষন ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকতাম। কাজ করে খেতে হয়। আর কাজ করতে গেলে পুরোপুরি ধর্ম পালন করা যায় না।

--- ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। কর্পোরেট জগতে ছিলাম। মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীর ঢাকার অফিসে চাকরি করেছি। ইউনিফর্ম বিষয়ক কিছু নিয়ম কানূন ছিল। আমি সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছি। আলহামদুলিল্লাহ। তারা বিনা বাক্য ব্যয়ে তা মেনে নিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। অফিসের নামাজী ব্যক্তিদের নিয়ে অফিসের ভেতরে জামাআতে যুহর আসর নামাজ আদায় করেছি। আমি সেই নামাজে লিড দিয়েছি। বেনামাজী, চুরি চামারিতে অভ্যস্ত অসত লোকও আমাদের সেই অফিসে ছিল। তাদের সাথে আমরা মিশিনি, যদিও দেখেছি, তারা আমাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। এখন আপনি কোন্ দলে যাবেন, কাদের সাথে চলবেন, সেটা আপনার ইচ্ছের উপর বর্তায়।

আপনার মত প্রেস (সাংবাদিকতা) লাইনে দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। মুহূর্তের জন্য আদর্শের কাছে পরাভব স্বীকার করিনি। আদর্শ বলতে আমার দ্বীন ধর্ম পালনের স্বাধীনতায় কারও অন্যায় হস্তক্ষেপ কখনও সহ্য করিনি। প্রতিটি ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত যথাযথভাবে পালনের চেষ্টায় কোনো প্রতিবন্ধকতাই আমার জন্য ক্ষতিকর। এগুলো সহ্য করা মানে, নিজের ক্ষতিকে মেনে নেয়া।

আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় পৃথিবীতে এসেছি। আমার ইচ্ছায় নিশ্চয়ই নয়। আসার ব্যাপারে যেহেতু আমার কোনো ইচ্ছা অনিচ্ছা কাজ করেনি। সুতরাং, যিনি পাঠালেন, দয়া করে জীবন দিয়ে ধন্য করলেন, তাঁর হুকুমের উপরে চলাই কি আমার কর্তব্য নয়? জীবনের প্রতিটি স্তরে তাঁর আদেশ নিষেধের বাস্তবায়ন ঘটানোই কি আমাদের কাজ নয়? খোড়া যুক্তি, খোড়া অযুহাত দেয়া কি আদৌ ঠিক?

অনেক ভাল থাকুন।

২১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ভালো একটা পোস্ট। আমার একটা প্রশ্ন, কোরানে এমন কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে যে এটা করলে অনন্ত কাল দোজখের আগুনে জ্বলবে। অনন্ত কাল বলতে তো সেটাই বোঝায় যা কোনোদিন শেষ হবে না। এই অপরাধ থেকে পরিত্রাণের উপায় আছে কি? আবার এমনও কিছু হাদিস আছে যাতে বলা হয়েছে, এটা করলে সে বেহেশতে যাবে না। সেগুলোর ব্যাপারে কী করণীয়? এ মুহূর্তে সঠিক আয়াত/হাদিস বলতে পারলাম না।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



খুবই মূল্যবান প্রশ্ন রেখে গেলেন দেখে আনন্দিত হলাম। আপনার কথার সপক্ষে একটি আয়াত উল্লেখ করছি বুঝার সুবিধার জন্য। আপনি অনন্ত কাল শাস্তি ভোগের যে কথাটি বলেছেন, এই আয়াতে কারিমা তার একটি উদাহরন ধরে নেয়া যায়। আসুন এ বিষয়ে একটু কথা বলি-

وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ فَأُوْلَئِكَ الَّذِينَ خَسِرُوا أَنفُسَهُمْ فِي جَهَنَّمَ خَالِدُونَ

''এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, তারা দোযখেই চিরকাল বসবাস করবে।''

বক্ষমান আয়াতে কারিমায় আল্লাহ পাক যাদের পাল্লা হালকা হবে, তাদের সম্পর্কে বলেছেন যে, 'তারা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে অবস্থান করবে।'

এর দ্বারা জানা যায় যে, কাফিরদের আমলও পরিমাপ করা হবে। কেননা, কোনো মুমিন যে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে না, সে ব্যাপারে সকল মুফাসসির, মুহাদ্দিস এবং ইসলামী পন্ডিতগনই একমত।

অপরাধ থেকে বেঁচে থাকা সত্যি কঠিন। শয়তান আমাদের পেছনে লেগে থাকে। আমাদের মত লোকদের এ থেক বাঁচার জন্য কয়েকটি ধাপে এগুতে পারলে আমার মতে ভাল হয়। ধাপগুলো-

প্রথমত লক্ষ্য নির্ধারন: নিজের লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে আমাকে। আমি কি আল্লাহ পাক এবং তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম মেনে জান্নাতের পথের যাত্রী হব, না কি শয়তানের অনুসরন অনুকরনে ব্যস্ত রেখে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে রাখব নিজেকে।

দ্বিতীয়ত জানা এবং মানা: ইসলাম ধর্মকে বাস্তব জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা সঠিকভাবে আমাদের জানতে হবে এবং জানা বিষয়ের উপর আমল করতে অদম্য আগ্রহ থাকতে হবে।

তৃতীয়ত ভাল লোকদের সঙ্গী হওয়া: আল্লাহ পাকের পথের পথিক যারা, সত্যিকারের ভাল মানুষ। যাদের উদ্দেশ্য উদর পূর্তি নয়, তাদের সাথে ওঠা-বসা, কুরআন হাদিসের মজলিসে, মাদরাসা-মসজিদের দ্বীনি পরিবেশে অধিক পরিমানে সময় কাটানোর চেষ্টা করা। মসজিদে তাবলিগের আমলে বসা যেতে পারে।

চতুর্থত আল্লাহ পাকের সাহায্য কামনা: সদিচ্ছা, কঠোর সিদ্ধান্ত, সর্বোপরি, আল্লাহ পাকের কাছে নিরন্তর বিনীত তাওফিক প্রার্থনা করে যেতে হবে আমাদের, যাতে আমরা পাপমুক্ত জীবনযাপন করতে পারি, তাঁর সন্তুষ্টি লাভে সামর্থ্য হই।

অনেক ভাল থাকবেন প্রিয় খলিল ভাই।

২২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট |উপকারী পোস্ট |মনোযোগ দিয়ে পড়লাম |

যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারো, তবে আমি তোমাদের লঘুতর পাপগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।- (সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ৩১)

আল্লাহ আমাদের বড় পাপ থেকে রক্ষা করুন |বিশেষ করে শিরক ও এর সম পর্যায়ের পাপ থেকে |আমিন |
আল্লাহ লেখককে এর বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান দিন | আমিন |

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বড় পোস্ট। এরপরেও ধৈর্য্য ধারন করে মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা।

আপনার কথাগুলোরই পুনরাবৃত্তি করছি-

আল্লাহ আমাদের বড় পাপ থেকে রক্ষা করুন |বিশেষ করে শিরক ও এর সম পর্যায়ের পাপ থেকে |আমিন |
আল্লাহ লেখককে এর বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান দিন | আমিন |


অনেক ভাল থাকবেন।

২৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নকিব ভাই সময় করে সবার প্রতিউত্তর দিন।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ। দিতে পেরেছি।

শুকরিয়া আপনার হৃদ্যতায়। পুনরাগমনে। অনেক ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.