নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনাদরে অবহেলায় তিরষ্কারে যেন ঝড়ে না যায় গোলাপের এ কচি চারাগুলোর একটিও

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭



এ বছর এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী ৪ লাখ ৪৭ হাজার ছেলেমেয়ে ফেল করেছে। দু'দিন যাবত এই ফেল করা শিক্ষার্থীদের একাংশের অনাহুত পরিনতির বিষয়টি মাথায় জট পাকিয়ে আছে। বরাবরই দেখা যায়, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের পরপরই (বিশেষত: এসএসসি এবং সমমান) যেন অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর একটি মিছিল শুরু হয় আমাদের দেশে। কঁচি কাচারা সামান্যতেই ভেঙ্গে পড়ে। অল্পতেই তারা নিয়ে নেয় আত্মহত্যার মত ভয়ঙ্কর এবং চরম নিন্দনীয় সিদ্ধান্ত। তাদের দেখার জগত সীমিত। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অপরিপক্ক। তাদের চিন্তার পরিধি ক্ষুদ্র।

তারা জানে না, একটু ধৈর্য্য নিয়ে এগোলে আগামিতে তাদের ভাল ফলাফল করা সম্ভব। তাদের জ্ঞানের গভীরতা অতটা নয় যে, বাবার এক আধটু ধমক কিংবা মায়ের সামান্য একটু বকুনি, অথবা ভাইয়ের এতটুকু চোখ রাঙানি তারই মঙ্গলের জন্য। এগুলোকে কেন্দ্র করেই তো বিপজ্জনক ঘটনাগুলো ঘটতে দেখা যায়। ফেল করা পরিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনে তো এই ধরনের অতি সাধারন কারনগুলোই থেকে থাকে।

তারা জানে না, একাডেমিক পরিক্ষায় ফেল করা ব্যক্তিবর্গের অনেকেই বিগত দিনে বিশ্বকে আলো দিয়েছেন। আলোকিত মানুষ হয়েছেন। একাডেমিক পরিক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পরিবারের নিকটজনদের কাছ থেকে এই দু:সময়ে যথার্থ আন্তরিকতা পায় না। অভিভাবকদের বিচক্ষনতা, সহনশীলতা এবং ধৈর্য্য-স্থৈর্য্যের অভাবে হারিয়ে যায় কঁচিকাচা তাজা প্রান। জীবনকে চেনার পূর্বেই পাড়ি জমিয়ে বসে অচিন দেশে। ফুল হয়ে ফোটার আগেই বৃন্তচ্যূত হয়ে যায় পুষ্প কলিগুলো।

আত্মহত্যা মহাপাপ। সন্দেহাতীতভাবে হারাম। আল্লাহ পাক কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا

''হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।'' সূরা আন নিসা, আয়াত-২৯

চরম ঘৃন্য এই কর্মটিকে ইসলাম কতটা অপছন্দ করে তার প্রমান মেলে, ইসলামী শরীয়াত আত্মহত্যাকারীর জানাজা পর্যন্ত পড়াতে নিরুতসাহিত করেছে ফেমাস কোনো আলেমকে দিয়ে। নিতান্ত দায়সারাভাবে তার প্রতি পার্থিব জীবনের শেষ এই আয়োজনগুলো এই কারনে করতে বলা হয়েছে, যাতে অন্যরা শিক্ষা পেতে পারে যে, এটা কতটা ঘৃন্য কাজ।

আচ্ছা, যারা অকৃতকার্য হয় তাদের এই অনাকাঙ্খিত পরিনতিতে আমাদের করনীয় কী?

আমাদের, অভিভাবকদের উপর সন্তানদের ভাল-মন্দ নির্ভর করে। অভিভাবকের একটু অসচেতনতা মুহূর্তে ঘটিয়ে দিতে পারে অবর্ননীয় বিপদ। আপনার প্রানপ্রিয় যে সন্তানটি পাশ করতে পারেনি, তার অবুজ সবুজ মনটা এমনিতেই ভাঙ্গা। মানসিকভাবে এমনিতেই সে হতদ্যম। এ অবস্থায় তাকে তিরষ্কার না করে সাহস দিন, ভর্ৎসনা না করে উতসাহ দিন, গাল-মন্দ না করে আদর সোহাগ দিন। দেখবেন, আপনার আন্তরিক আচরন বদলে দিতে পারে তার বদ অভ্যাস পর্যন্ত। পরবর্তী বছরে আপনার এই একটু আদর, একটু ভালবাসাকে পুজি করে গড়ে উঠতে পারে নতুন স্বপ্ন। টেস্ট করে দেখুন না একবার।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: জীবন চলার পথে জয় পরাজয় আসবেই। হতাশ না হয়ে যারা সহসের সাথে মোকাবেলা করে তারাই হয় বিজয়ী।

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর বলেছেন। কৃতজ্ঞতা অনেক।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিশু বয়স থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের বুঝাতে হবে, জীবন মানেই যুদ্ধ। পৃথিবীতে আসা হয়েছে যুদ্ধ করার জন্য। এই যুদ্ধ করে বেঁচে থাকাই হলো জীবন।

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



সহমত। দারুন মন্তব্যে অভিনন্দন।

অনেক ভাল থাকুন।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

হাঙ্গামা বলেছেন: যারা তাদেরকে এই জিপিএ এর প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করেছে তাদেরকে এসব মৃত্যুর জন্য আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জিপিএ সিস্টেম চালুর পূর্বেও তো আত্মহত্যার এই প্রবনতা ছিল। তাহলে এর জন্য শুধু জিপিএ প্রবর্তকদের দায়ী করা যায় কিভাবে? যদিও আমাদের কাছে অনুমিত, জিপিএ ব্যবস্থা শিক্ষার মান তলানিতে নেয়ার জন্য ভূমিকা রেখেছে।

মন্তব্যে অভিনন্দন। অনেক ভাল থাকুন।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,





সুন্দর একটি মানবিক বিষয়ে আলোকপাত করেছেন ।
সত্যিই যেন আমাদের অবহেলায়, অজ্ঞানতায় , অবিবেচনায় , অনাদরে , তিরষ্কারে যেন ঝড়ে না যায় গোলাপের এ কচি চারাগুলোর একটিও ।

চমৎকার করে বলেছেন - কঁচি কাচারা সামান্যতেই ভেঙ্গে পড়ে। অল্পতেই তারা নিয়ে নেয় আত্মহত্যার মত ভয়ঙ্কর এবং চরম নিন্দনীয় সিদ্ধান্ত। তাদের দেখার জগত সীমিত। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অপরিপক্ক। তাদের চিন্তার পরিধি ক্ষুদ্র।

আমাদেরকে সচেতন করেছেন এই বলে - আপনার প্রানপ্রিয় যে সন্তানটি পাশ করতে পারেনি, তার অবুজ সবুজ মনটা এমনিতেই ভাঙ্গা। মানসিকভাবে এমনিতেই সে হতদ্যম। এ অবস্থায় তাকে তিরষ্কার না করে সাহস দিন, ভর্ৎসনা না করে উতসাহ দিন, গাল-মন্দ না করে আদর সোহাগ দিন। দেখবেন, আপনার আন্তরিক আচরন বদলে দিতে পারে তার বদ অভ্যাস পর্যন্ত। পরবর্তী বছরে আপনার এই একটু আদর, একটু ভালবাসাকে পুজি করে গড়ে উঠতে পারে নতুন স্বপ্ন।

সচেতনতার লেখা ।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক ভাল লাগলো, অতি সাধারন এই লেখাটির প্রতি আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ হওয়ায়। বিষয়টি আমাকে পীড়া দেয়। আসলে, আমার মনে হয়, আমাদের মত অভিভাবকদের একটু আদর, সোহাগ আর ভালবাসা কাচা বয়সের এইসব অপরিপক্ক ফুলগুলোকে এই স্নিগ্ধ সবুজ শ্যামলিমার কোল থেকে ঝড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। আমি শাসনের বিপক্ষে কখনো নই, কিন্তু সে শাসন হতে হবে, পরিমিত এবং সময়োপযোগী। পরিবারের নিকটজনদের অন্তত: এতটুকু লক্ষ্য রাখা উচিত যে, ফেল করা বাচ্চাটি কতটুকু লোড নিতে পারবে, তাদের মনের অভিব্যক্তিগুলোর প্রতি নিবিষ্ট মনে তাকাতে হবে। আশা করা যায়, তাহলেই রোধ করা যায় অনাকাঙ্খিত এ মৃত্যুগুলো।

যে শাসন একটি বাচ্চাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করে, এমন শাসনকে কোনোভাবেই শাসন বলতে রাজি নই। এটা নির্ঘাত হত্যায় প্ররোচনার নামান্তর। যা কাম্য নয় কোনোক্রমেই।

অনেক সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলুম।
নিরন্তর ভাল থাকুন শ্রদ্ধেয়।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নকিবভাই খুব বাজে একটি নিক বার হয়েছে আপনার নামে। একটু আগে আমার সর্বশেষ পোষ্টে কমেন্ট করেছে। গা ঘিন ঘিন করছে।।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



পদাতিক ভাই,

আমি লক্ষ্য করেছি। দু:খ প্রকাশ করছি এ ধরনের জঘন্য আচরনে। এমন ন্যাক্কারজনক অপকর্মের হোতাদের ধিক্কার জানাচ্ছি সর্বান্তকরনে। এই ধরনের ইতর স্বভাব কোনো মানুষের ভেতরে থাকতে পারে- ভাবনার অতিত। এরা মানবজাতির কলঙ্ক। সম্মানিত ব্লগ কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা রেখে বলছি, তাদের নিকট পূর্বেও নিবেদন করেছি, এখনও করছি, তারা যেন ফ্লাডিংয়ের মত অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা রেখে ব্লগটিকে আবর্জনা মুক্ত এবং পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেষ্ট হন। কোনো দুশ্চরিত্র যেন চরম অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে আইডি খুলতে না পারে, এবং আইডি খোলার সাথে সাথেই যাতে শত শত অশ্লীল ছবি যুক্ত কমেন্টস দিয়ে ব্লগ ভাসিয়ে দিতে সক্ষম না হয়।

আমাদের বিনীত প্রত্যাশা, কর্তৃপক্ষ সদয় বিবেচনাপূর্বক ব্লগের এই ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের লক্ষ্যে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে আন্তকিতার পরিচয় দিবেন।

অনেক ভাল থাকবেন।

৬| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন ভাই। শুভ কামনা রইল।

১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



শুভকামনা আপনাকেও।

৭| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
সহমত। দারুন মন্তব্যে অভিনন্দন।
অনেক ভাল থাকুন।

শিশুদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে এই ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথের একটা প্রবন্ধ আছে। পরেছেন?

১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

না পড়িনি। নাম কী?

৮| ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মডুদের অপেক্ষায় না থেকে নিজেই আবর্জনা অপসারণ করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ নকিব ভাই।

১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



উপায় ছিল না। কাদিয়ানীদের মুখোশ উম্মোচন করে পোস্ট দেয়ার পর থেকেই এসবের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ার রহস্য বুঝে আসছে না। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, কাদিয়ানীরা যে কাফের এই ফতোয়া নতুন নকিবের নয়। বিশ্ব বরেন্য মুসলিম স্কলারদের সম্মিলিত রায় এবং ফতোয়া নতুন নকিব শুধু তুলে ধরেছে। নষ্টদের নষ্টামো তুলে ধরার এই কাজ ইনশা-আল্লাহ অব্যহত থাকবেই। তাতে বাধা যতই আসুক।

আপনিসহ উদ্বিগ্ন সকল ব্লগার ভাই-বোনদের আন্তরিকতায় কৃতজ্ঞতা।

৯| ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আজ আবার সমকামীদের পক্ষে একটা পোষ্ট দেখলাম, আল্লাহ এদের হেদায়েত দিন।

১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি বলার পরে সেখানে একটি মন্তব্য করেছি। সময় পেলে মন্তব্যটি দেখে আসার অনুরোধ থাকলো। অনেক শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.