নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জান্নাতের আলোচনা; জান্নাতবাসীদের ঈর্ষনীয় উঁচু মর্যাদার কথা

১৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯



হাফেজে কুরআনের মর্যাদা

হযরত আবু সাঈস খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- 'হাফেজে কুরআন যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন তাকে বলা হবে যে, পড়ে যাও এবং উপরে উঠতে থাক। তখন সে পড়তে থাকবে এবং প্রতি আয়াত পড়ে একধাপ উপরে উঠতে থাকবে। অতঃপর পবিত্র কুরআনের শেষ পর্যন্ত পড়ে সর্বোচ্চ স্থানে উঠে যাবে।'

মুজাহিদগণের মর্যাদা

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান-' জান্নাতের শত শত ধাপ রয়েছে। এ সমস্ত ধাপের মাঝখানের ব্যবধান আসমান ও যমীনের ব্যবধান পরিমাণ। তার চেয়েও বেশী। আমি বললাম, হে আল্লার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, এ সমস্ত ধাপ কাদের জন্য? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে তাদের জন্য।'

নোটঃ- উল্লিখিত হাদিসটির আসল উদ্দেশ্য হলো মুজাহিদের মর্যাদা বুঝানোর জন্য। যে ব্যক্তি ইসলামের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য দুনিয়াতে যত পন্থায় মেহনত করেছেন তিনি সেই পরিমাণ এবং সেই ধাপের মালিক হবেন।

জান্নাতুল ফেরদাউস আরশের কতটুকু নিকটে অবস্থিত

হযরত আবু উমামা (রা) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, 'তোমরা আল্লাহ তায়ালার নিকট জান্নাতুল ফেরদৌস চাও। কেননা ইহা জান্নাতের শ্রেষ্ঠতম অংশ। এই জান্নাতে বসবাসকারী আরশের চরচর আওয়াজ শুনতে পাবে।'

জান্নাতের সংখ্যার আলোচনা

আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যে আল্লাহ পাকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়াকে ভয় করবে সে দু'টি জান্নাত পাবে।' (আর রাহমান-৪৬)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'দু'টি দু'টি জান্নাতের নীচে আরও দু'টি জান্নাত আছে।' (আর রাহমান-৬২)

উল্লিখিত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় জান্নাত চারটি। উক্ত আয়াতের সমর্থনে আল্লামা ইবনে কায়্যিম (রঃ) নিম্নের হাদিসখানা পেশ করেছেন।

হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রাঃ) বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান- 'জান্নাতুল ফেরদৌস চারটি। দু'টি জান্নাত এমন যে , এগুলোর থালা বাসন অলংকারাদি যা কিছু আছে সবই স্বর্ণের। আর দু'টির যাবতীয় আসবাবপত্র রৌপ্যের। জান্নাতী ও আল্লাহ পাকের মাঝখানে মাত্র একটি গর্বের চাদর থাকবে।' (মুসনাদে আহমদ)

জান্নাতুল ফেরদৌসের শান শওকত

হযরত আমর ইবনে সালামা (রা) বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান- আল্লাহ তায়ালা জান্নাতুল ফেরদৌস স্বহস্তে খাঁটি সোনার ইট এবং অত্যন্ত সুগন্ধিময় মিশকের ইট দ্বারা নির্মাণ করেছেন। এতে শ্রেষ্ঠ জাতের ফলফলাদির বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। অতঃপর আমার আল্লাহ আরশের উপর সমাসীন হয়ে তার দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেছেন, 'আমার বড়ত্বের কছম, ইহাতে মদ পানকারী এবং ব্যভিচারী কখনো প্রবেশ করবে না।' (সিফাতুল জান্নাত)



আল কুরআনে উল্লেখিত জান্নাতের কিছু নাম ও বৈশিষ্ট্য

(১) জান্নাতঃ এই নামেই ইহা প্রসিদ্ধ। এই ঘরটি এবং সমস্ত নেয়ামত উপভোগের বস্তু সব কিছুই নয়ন শীতলকারী। আরবীতে বাগানকে জান্নাত বলা হয়। আর বাগানের বৃক্ষরাজী সাধারণত ঘন ঘন হয়ে থাকে। বাগানে প্রবেশকারী এর ভিতরে আড়াল হয়ে যায়।

(২) দারুচ্ছালামঃ দারুচ্ছালাম নামে আল্লাহ পাক একটি জান্নাত তৈরি করেছেন। যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান-'মুমিনদের জন্য তাদের প্রভুর নিকট রয়েছে দারুসসালাম।' (আনয়াম১২৭)

এই জান্নাত সমস্ত অপছন্দনীয় কাজ থেকে মুক্ত থাকবে। এই জান্নাতের অধিবাসীরা পরস্পরের মধ্যে হদিয়া পেশ করবে। সালাম এর সম্মুখ দিয়ে যাবার সময় ফেরেশতারা বলবে আস সালামু আলাইকুম।

৩. দারুল খুলদ্ঃ খুলদ্ অর্থ চিরস্থায়ী। এ জান্নাতের নাম এজন্য রাখা হয়েছে যেহেতু জান্নাতীরা চিরদিন এখানে থাকবে। এখান থেকে আর কোন দিনই বের হবেন না।

৪. দারুল মাকমঃ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান- 'জান্নাতীরা বলবে, আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য শোকর যিনি আমদের থেকে চিন্তা দূরীভূত করেছেন। নিঃসন্দেহে আমাদের পরওয়ারদিগার অত্যন্ত মেহেরবান যিনি আমাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে সবসময় বসবাসের জায়গা করে দিলেন। এখানে নেই কোন কষ্ট, নেই কোন নিরর্থক আলোচনা।' (ফাতির ৩৪-৩৫)

৫. জান্নাতুল মাওয়াঃ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান- 'এর পাশেই রয়েছে জান্নাতুল মাওয়া।'

আরবীতে মাওয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে ঠিকানা। অর্থাৎ বসবাসের জায়গা। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, ইহা সেই জান্নাত যেখানে হযরত জিব্রাইল (আঃ) ও হযরত মিকাইল (আঃ) এসে থেমে যান। হযরত মুকাতিল বলেন, এ জান্নাতে শহীদদের আত্মা বসবাস করে। এগুলোর মধ্যে শহীদদের আত্মা ঘোরাফেরা করে।

৬. জান্নাতে আদনঃ ইহা সমস্ত জান্নাতের একত্রিত নাম। সকল জান্নাতই জান্নাতে আদন।

৭. দারুল হায়ওয়ানঃ আল্লাহ পাক এরশাদ ফরমান- অর্থাৎ- দারুল হায়ওয়ান জান্নাতে মানুষ অনন্ত কাল থাকবে। সেখানে কোন মৃত্যু নেই । দুনিয়ার যিন্দেগী ধ্বংসশীল কিন্তু আখেরাতের যিন্দেগী ধ্বংস হবার নয়।

৮. জান্নাতুল ফেরদৌসঃ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফরমান- অর্থাৎঃ যারা ঈমান এনেেেছ এবং সৎ কাজ করেছে তাদের মেহমানদারীর জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস দান করা হবে। (কাহাফ ১০৭)

ফেরদৌস শ্রেষ্ঠ ও উত্তম জান্নাত হিসাবে পরিগণিত। হযরত লাইস (রঃ) বলেন আঙ্গুরের বাগানবিশিষ্ট জান্নাতকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলা হয়। হযরত যাহহাক বলেন, ইহা এমন এক জান্নাত যা বৃক্ষরাজী দ্বারা পরিপূর্ণ অর্থাৎ খুব ঘন বৃক্ষতে আচ্ছাদিত। জান্নাতুল ফেরদৌস মূলত সকল জান্নাতের শ্রেষ্ঠতম জান্নাত এবং উঁচু মানসম্পন্ন।

৯.জান্নাতুন নাঈমঃ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- 'যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতুন নাঈম।' (লোকমান-৮ )

১০. আল- মাকামূল আমীনঃ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান- 'আল্লাহভীরু লোকেরা মাক্বামে আমীনে (নিরাপদ স্থানে) বসবাস করবেন।' (দুখান-৫১)

১১. মাকয়াদে ছিদক্ক আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- 'খোদাভীরু ও পরহেযগার লোকেরা বাগবাগিচা ও নহরে বসবাস করবে। ইহা এক সীমাহীন স্থান।' (ক্বামার-৫৪-৫৫)



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৩

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ নতুন নকিব- জান্নাত ও জান্নাতীদের নিয়ে আলোচনা করার সময় সতর্ক থাকবেন। কারণ চরমপন্থী ইসলামী দলগুলি -পাকিস্তানী তেহরিক-ই-তালিবান,আফগান তালিবান,ইরাকী ইসলামিক স্টেট,বাংলাদেশী জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শায়খ-রা এই জান্নাতের/ জান্নাতীদের মর্যাদার লোভ দেখিয়ে তাদের তথাকথিত মুজাহিদদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় উদ্বুদ্ধ করে থাকে।

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। একদম সঠিক কথা বলেছেন। এদের কথা সত্য মতলব খারাপ। দলিল কুরআন হাদিসের কিন্তু উদ্দেশ্য মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া।

তবে একটা কথা, এই বিপদগামীদের জন্য তো আর জান্নাতের আলোচনা বন্ধ রাখা যাবে না। জান্নাতের আলোচনা তো কুরআনে অসংখ্য স্থানে বিভিন্নভাবে এসেছে।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

ওমেরা বলেছেন: কোরআনে যখন জান্নাতের বর্ননা পড়ি খুব ভাল লাগে মনে প্রশান্তি আসে , সাথে জাহান্নামের আজাবের বর্ণনা পরি ভয়ে গা শিউরে উঠে মনে মনে শপথ করি আল্লাহ যা করতে আদেশ করেছেন তাই করব যে করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকব । কিন্ত একটু পরই সব ভুলে যাই ।

সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শপথের উপর অটল থাকার প্রচেষ্টাই আপনাকে সফলতার স্বর্নাসনে আরোহন করিয়ে দিবে। নিয়মিত তাওবা ইসতিগফার আর আল্লাহ পাকের দিকে রুজু' থাকার চেষ্টা করে যাওয়া আমাদের কাজ। তাঁর অবারিত রহমত ব্যতিত মুক্তির কোনো আশা নেই।

মন্তব্যে প্রীত হলাম। রমজানের দীর্ঘ সিয়াম সাধনা নিশ্চয়ই ভাল কেটেছে। ঈদ সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পেরেছেন। শুভকামনা।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ওমেরা বলেছেন: কোরআনে যখন জান্নাতের বর্ননা পড়ি খুব ভাল লাগে মনে প্রশান্তি আসে , সাথে জাহান্নামের আজাবের বর্ণনা পরি ভয়ে গা শিউরে উঠে মনে মনে শপথ করি আল্লাহ যা করতে আদেশ করেছেন তাই করব যে করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকব । কিন্ত একটু পরই সব ভুলে যাই ।


আমার মনের কথা ওমেরা বলে দিয়েছেন।

১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মনের কথা যদি ওমেরা বলে থাকেন, আলহামদুলিল্লাহ, কোনো সমস্যা নেই। আপনার জন্যও সেই কথাই, যা ওমেরার মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে বলা হয়েছিল।

''শপথের উপর অটল থাকার প্রচেষ্টাই আপনাকে সফলতার স্বর্নাসনে আরোহন করিয়ে দিবে। নিয়মিত তাওবা ইসতিগফার আর আল্লাহ পাকের দিকে রুজু' থাকার চেষ্টা করে যাওয়া আমাদের কাজ। তাঁর অবারিত রহমত ব্যতিত মুক্তির কোনো আশা নেই।''

মন্তব্যে প্রীতি অনুভব করলাম। অনেক শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.