নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
আজ শাওয়ালের ১২ তারিখ। হিজরী ১৪৩৯ সাল। আরবি সন তারিখের গননা খুব কমই করি আমরা। সঙ্গত কারনে কখন আরবি পঞ্জিকার কোন্ মাস আসে, কোন্ মাস যায় খেয়াল রাখা কম লোকেরই হয়ে থাকে। একমাত্র রমজান এবং দুই ঈদের সময়গুলো ব্যতিত। হঠাত করে আপনি যদি কাউকে জিজ্ঞেস করেন, আজ আরবি মাসের কত তারিখ? দেখবেন, শতকরা দু'এক জন ছাড়া সকলেই হয়তো মাথা চুলকাতে শুরু করবেন। ইংরেজি মাসের হিসাব গননা করতে করতে বাংলা সনের অবস্থাও তথৈবচ! ওহ, কথা যেহেতু এসেছে, বাংলা মাসের আজকের তারিখটাও জানিয়ে রাখি। আজ ১২ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫ বাংলা অব্দ। এত কথা বলার পেছনে কারন হচ্ছে, অনেকের কাছেই আরবি মাসের হিসাব না থাকার কারনে তারা জানেন না, শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার সময় শেষ হয়ে গেল কি না। না, শেষ হয়ে যায়নি। ইনশা-আল্লাহ, অনেক ফজিলতের শাওয়ালের ছয় রোজা এ বছর এখনও রাখা যাবে। আসুন, এই বিষয়ে হাদিসের আলোকে একটু জেনে নিই-
''আবু আইয়ুব আনসারি রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে অত:পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা পালন করবে সে যেন যুগভর রোজা রাখল।'' মুসলিম : ১১৬৪
''সাওবান রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দু’মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা।''
অপর রেওয়ায়েতে আছে,
''যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য। যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ।'' (সূরা আল আন‘আম), আহমদ : ৫/২৮০, দারেমি : ১৭৫৫
উল্লেখিত হাদিস থেকে শিক্ষনীয়:
এক. শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত জানা গেল যে, যে ব্যক্তি পুরো রমজান সিয়াম পালনের পর এ রোজা ছয়টি পালন করবে সে যেন সারা জীবন রোজা করল। এ এক বিরাট আমল এবং বিশাল অর্জন।
দুই. বান্দার ওপর আল্লাহর কত দয়া যে, তিনি অল্প আমলের বিনিময়ে অধিক বদলা দিবেন।
তিন. কল্যণকাজে প্রতিযোগিতা স্বরূপ এ ছয় রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা মুস্তাহাব, যাতে রোজাগুলো ছুটে না যায়। কোনো ব্যস্ততাই যেন পুণ্য আহরণের এ সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে না পারে।
চার. এ রোজা পালন করা যাবে মাসের শুরু-শেষ-মাঝামাঝি সব সময়। ধারাবাহিক ও অধারাবাহিক যেভাবেই পালন করা হোক না কেন রোজাদার অবশ্যই এর সওয়াবের অধিকারী হবেন যদি আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়।
পাঁচ. যার উপর রমজানের রোজার কাজা বাকি রয়েছে, তিনি আগে তার কাজা রোজা পূরন করবেন। তারপর শাওয়ালের রোজায় ব্রতী হবেন। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রমজানের রোজা রাখবে, অত:পর শাওয়ালের ছয় রোজা পূর্ন করবে'- অর্থাৎ রমজানের রোজা পুরোপুরি সবগুলো রাখবে। আর যার উপর কাজা রয়ে গেছে তিনি তো রোজা পুরোপুরি পালন করেছেন বলে গণ্য হবেন না, যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করেন। মুগনি : ৪/৪৪০ তাছাড়া ওয়াজিব আদায়ের দায়িত্ব পালন নফল আদায়ের চেয়ে অধিক গুরুত্ব রাখে।
ছয়. ইসলামী শরিয়ত আমাদের সুবিধার জন্য, অধিক সাওয়াব অর্জনের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে ফরজ ইবাদাতগুলোর আগে-পরে নফল প্রবর্তন করেছে। যেমনঃ ফরজ সালাতের আগে-পরের সুন্নতগুলো এবং রমজানের আগে শাবানের রোজা আবার পরে শাওয়ালের ছয় রোজা।
সাত. এই নফলসমূহ ফরজের ত্রুটিগুলোর ক্ষতিপূরণ করে। কারণ রোজাদার অনর্থক বাক্যালাপ, কুদৃষ্টি প্রভৃতি কাজ থেকে সম্পূর্ণ বাঁচতে পারেন না, যা তার রোজার পুণ্যকে কমিয়ে দেয়। আর শাওয়ালের ছয় রোজা পালনের মাধ্যমে সেই ঘাটতি দূরীভূত করে পুরো বছর রোজা পালনের সাওয়াব লাভের সুযোগ এনে দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন।
২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
কারা কোথায় বানাচ্ছে? বিস্তারিত না বললে বুঝবো কি করে? এত বিশাল বাজেটের উতস কোথায়?
২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু : প্রধানমন্ত্রী
http://www.ittefaq.com.bd/national/2018/06/27/161685.html
২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
লিঙ্ক দেখলাম। বিশাল কর্মযজ্ঞ! অভাবীদের পেট চলে না, মসজিদগুলোতে এসির বাতাস! বুঝি না, কোনটা যে ভাল আর কোন্ জিনিষ মন্দ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সাড়ে আট হাজার কোটি টাকায় ৫৬০টি মসজিদ বানানো হচ্ছে । বাংলাদেশে ইসলাম যে খুব বিপন্ন,
এই উদ্যোগ থেকেই বোঝা যায়।