নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার স্থান নেই

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০১



জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস: পরিচিতি ও প্রকরন

জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ শব্দদয় ইংরেজি Militant, Militancy শব্দদ্বয়ের অনুবাদ। ইদানিংকালে এ শব্দগুলো আমাদের নিকট অতি পরিচিত ও অতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ শব্দগুলো কিছুকাল পূর্বেও এত প্রচলিত ছিল না। আর আভিধানিক বা ব্যবহারিকভাবে এগুলো নিন্দনীয় বা খারাপ অর্থেও ব্যবহৃত হতো না। শাব্দিক বা রূপকভাবে যোদ্ধা, সৈনিক বা যুদ্ধে ব্যবহৃত বস্তু বুঝাতে এ শব্দগুলো ব্যবহৃত হতো। এককালে বৃটিশ ইন্ডিয়ার কমান্ডার ইন চীফকে বলা হতো 'জঙ্গিলাট'। এটা ছিল তার স্বনামধন্য উপাধি।

শক্তিমত্ত বা উগ্র বুঝাতেও এ শব্দ ব্যবহার করা হয়। Oxford Advanced Learner's Dictionary -তে বলা হয়েছে: militant. adj. favouring the use of force or strong pressure to achieve one's aim. ...militant: n. militant person, esp. in politics. ''মিলিট্যান্ট (জঙ্গি): যে ব্যক্তি তার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শক্তি বা জোরালো প্রভাব ব্যবহার করা সমর্থন করে।...''

Merriam-Wepster's Collegiate Dictionary -বলা হয়েছে: militant 1: engaged in warfare or combat: fighting. 2: aggressively active (as in a cause). ''মিলিট্যান্ট (জঙ্গি): যুদ্ধ বা সম্মুখসমরে লিপ্ত ব্যক্তি, যুদ্ধরত। উগ্রভাবে সক্রিয়।''

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের হুমকিতে আতঙ্ক বিশ্বময়: শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু এশিয়াতে নয়, শুধু ইউরোপে নয়, জঙ্গিবাদের ঘৃন্য দৃষ্টান্ত আজ চোখে পড়ে খোদ আটলান্টিকের ওপাড়ের সুদূর আমেরিকার বুকেও। চলমান বিশ্বে মিডিয়া ও রাজনৈতিক অঙ্গনজুড়ে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য এবং আতঙ্কের বিষয়। মুসলিম, অমুসলিম নির্বিশেষে সকল ধর্ম-বর্নের মানুষ, রাজনৈতিক মহল, এই সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ও জঙ্গিবাদীদের নিয়ে শুধু মহাব্যস্ত নন, রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত। কেন এই সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ জন্ম নিলো, কারা এর পেছনে নাটের গুরু, এর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা কী হতে পারে- এ চিন্তায় হিমশিম খাচ্ছে সকল মহল।

জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা হারাম : ইসলামের দৃষ্টিতে জঙ্গিবাদ হারাম। ইসলামের নামে হোক কিংবা অন্য নামে। ইসলামের লেবাস ধারণ করে হোক কিংবা ভিন্ন পোশাকে। কখনো কোথাও অন্যায়ভাবে মানুষের জানমালের ক্ষতি করা হলে, আতঙ্ক ছড়ানো হলে, অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটানো হলে, এগুলোই উগ্রবাদ, এর নামই জঙ্গিবাদ। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, হোন তিনি মুসলিম কিংবা অমুসলিম, হোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব কিংবা রাজনৈতিক নেতা নেত্রী, হোন তিনি দেশী কিংবা বিদেশী। ইসলামের নামে-বেনামে অন্যায়ভাবে মানুষ খুন করা, জান-মালের ক্ষতি করা অথবা দেশের সম্পদ নষ্ট করা, এর সবগুলোই হলো জঙ্গিবাদ। কোনো মুসলিম কর্তৃক অন্যায়ভাবে অমুসলিমদের জান-মাল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা হারাম। এ ধরনের কর্মকান্ডের কোনো সুযোগ নেই ইসলামে। এই ঘৃন্য অপরাধে যারা লিপ্ত হবে, জান্নাত তো দূরের কথা, তারা জান্নাতের সুঘ্রান থেকেও বঞ্চিত থাকবেন। ইসলাম আগমন করে ইসলাম পূর্ব জাহিলিয়াতের সময়কালের সকল সাম্প্রদায়িকতার ক্ষুদ্র মনোভাবের কবর রচনা করেছে। ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সহাবস্থানে বিশ্বাস করে সমাজ-রাষ্ট্র-জনপদে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করে পৃথিবীতে বসবাস করা ইসলামের অমোঘ সৌন্দর্য্য। এই সৌন্দর্য্য ভঙ্গ করা মহাপাপ। এধরনের সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান ইসলামে নেই। ইসলামের নামে এসব করা হারাম এবং কবিরাহ গোনাহ।



জঙ্গিবাদ বিষয়ে বাংলাদেশের আলেম-উলামাদের দৃষ্টিভঙ্গি : আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশের সকল মহলের আলেম-উলামা এ উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে হারাম ফতোয়া দিয়ে আসছেন এবং ওয়াজে, বয়ানে, মসজিদে, মাদরাসায়, মাহফিলে ও মিলাদে এর বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন। কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের ইজ্জত-সম্মান ও জান-মালের ওপর আঘাত করা এবং অমুসলিমদের ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ কিংবা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা করা সম্পূর্ণ হারাম, কবিরাহ গোনাহ। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআ'লা কুরআনুল কারীমে এবং আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে বিশদভাবে বলেছেন। রাসূলে মাকবূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিদায় হজ্বের ভাষণেও মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিমদের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রু রক্ষার প্রতি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন। জঙ্গিবাদের মত মানব বিধ্বংসী, সভ্যতা ও মানবতাকে আঘাতকারী নিকৃষ্টতম বিষয়টিকে নির্মূল করা রাষ্ট্র ও জনগন সকলের উপর আবশ্যকীয় দায়িত্ব। দল ও মত নির্বিশেষে সরকারি দল, বিরোধী দল, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ধর্মীয় নেতা, ইমাম, খতিব ও পীর মাশায়েখ, শিক্ষক-ছাত্র, শ্রমিক-মজুর-কুলি, চাষী-ধোপা, কামার-কুমার থেকে শুরু করে সমস্ত পেশার সকল লোকের উপর অবশ্য পালনীয় ফরজ দায়িত্ব। কারণ আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোনো অন্যায়কে প্রতিরোধ করার আদেশ দিয়েছেন। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘তোমাদের ভেতরে কেউ যে কোনো অন্যায় দেখে সে যেন তা প্রতিরোধ করে’ (আল হাদিস)।

তো, পৃথিবীতে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার চেয়ে মানবতা বিধ্বংসী বড় অন্যায় আর কী থাকতে পারে? সুতরাং, আমাদের উচিত এ বিষয়ে সচেতনতার সাথে লক্ষ্য রেখে তা প্রতিহতে যথাযোগ্য এবং সম্ভব সকল প্রচেষ্টা প্রয়োগ করা।

সাম্প্রদায়িকতা : ইসলাম সার্বজনীন এবং মানবতাবাদী পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ হওয়ার কারণে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এতে নেই। ইসলাম আজন্ম সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমদের জানমালকে মুসলমানদের জানমালের মতো মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ ঘোষণা করেছেন। এ ব্যাপারে ভাষা, বর্ন, গোত্র এবং আঞ্চলিকতার সকল পার্থক্যকে তিনি মুছে দিয়েছেন। তাঁর ঘোষনায়, মানবের মর্যাদার মাপকাঠি বংশে কিংবা কৌলিন্যে নয়; একমাত্র চরিত্রে। কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্র না থাকায় এবং অধিকাংশ মুসলমান ইসলামে অজ্ঞ ও চরিত্রহীন হওয়ায়, কিছু কিছু ধর্মান্ধ অজ্ঞ মুসলিম দেশে দেশে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ সংঘটনের দায় অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। একারণে অমুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে সাম্প্রদায়িক অপকর্মে লিপ্ত হয়। এর পেছনেও রয়েছে বহুবিধ কারণ। কিছু কারন এমন হতে পারে :

১। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের সঠিক আদর্শ ও শিক্ষাকে গনমানুষের সামনে তুলে ধরতে না পারা,
২। ইসলামী শাসন ব্যবস্থার প্রয়োগ না থাকা,
৩। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে কারও জানমালের ক্ষতি করলে কী ভয়ঙ্কর মহাপাপ হবে, সে সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকা।
৪। দেশের রাজনৈতিক স্বার্থবাদিতা ও ভোগবাদী পরিবেশ মানুষকে ভোগী ও লোভী বানিয়ে দিচ্ছে।
৫। পাশ্চাত্য পন্ডিতদের অধিকাংশের ঢালাও ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব এবং তাদের সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্রের জাল।
৬। ইসলাম প্রচারের নামে উগ্র ওহাবী মতবাদের প্রচার।
৭। বিশ্বব্যাপী অন্যায়ভাবে মুসলিম নিধন।
৮। অভিশপ্ত দখলদার ইসরাইল, সাম্রাজ্যবাদ এবং তেলের লোভে মত্ত অন্ধ অপশক্তি।
৯। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশগুলোতে ইসলামপন্থীদের দমন পীড়ন।
১০। বেকারত্ব ও হতাশা।

এমনিভাবে জানা অজানা আরও কিছু কারন রয়েছে এর পেছনে। ফলে চরিত্রহীন ও লোভী এই মানুষ নামের একশ্রেনির পশুদের কাজে লাগিয়ে শত্রুরা ইসলামের ক্ষতি করার জন্য অমুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। আর ইসলামবিরোধী মহল এবং অমুসলিমগন বাস্তব কারণ বের করার পরিবর্তে তাদের চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী এসব অপকর্মকে ইসলামি মহলের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক কাজ বলে অষ্টমুখে অপপ্রচার চালায়। ফলে আসল কারণ জানা সম্ভব হয় না প্রায়শই। ফলশ্রুতিতে অপরাধীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বর্তমানে আমাদের দেশের বিদ্যমান অবস্থায় আলেম-উলামা ও ইসলামি দলের লোকেরা, মসজিদে, মাদরাসায়, খানকায়, মাহফিলে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে যে কারও জানমালের ক্ষতি করা যে কত বড় সাংঘাতিক পাপ এসব কথা আলোচনা করলে, নির্বোধ শ্রেনির সেসব লোক যারা জান্নাতের মিথ্যে আশ্বাসে প্রলুব্ধ হয়ে, স্বার্থান্বেষী মহলের দাবার ঘুঁটি হয়ে যে কারও উপরে হামলে পড়তে দ্বিধাবোধ করে না, যে কাউকে হত্যা করতে ইত:স্ততবোধ করে না, এমনকি আত্মঘাতী হতেও যাদের বুক কাঁপে না; তাদের ভেতরে কিছুটা হলেও সচেতনতাবোধ আশা করা যায়।

স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ তদন্ত ও দ্রুত বিচার : বিদেশী নাগরিক খুন হয়েছেন, অমুসলিমদের দোকানে-বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, মন্দির ভাঙচুর হয়েছে, ঠাকুরকে হত্যা করা হয়েছে, দিনে দিনে এই পাপ ফুলে ফেঁপে অনেক বড় হয়েছে। বেড়েই চলেছে। এর নিরপেক্ষ তদন্ত ও দ্রুত বিচার খুবই প্রয়োজন। ঘুষ, দুর্নীতি, পক্ষপাতিত্ব ও প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করার মানসিকতা থাকলে কোনো কিছুরই সুষ্ঠু বিচার আশা করা যায় না। তার নির্মূলও সম্ভব নয়। কর্তাব্যক্তিরা যদি আগেই বলে দেন যে, এ কাজ অমুক পক্ষ করেছে, তাহলে সঠিক তদন্ত কোনো দিন হবে না। কর্তাব্যক্তিকে অপমান আর অসন্তুষ্ট করে সঠিক রিপোর্ট দেবে - সাহস কার? এসব কারণে কোনো অপকর্মই বন্ধ ও নির্মূল করা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন নিত্য নতুন অঘটন সংঘটিত হয়েই যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী রাজনৈতিক ব্যক্তি আর ধর্মীয় নেতাদের অনৈক্য ও ব্যর্থতা। তাদের দেশপ্রেম বর্জিত ব্যক্তিক কিংবা দলীয় ক্ষুদ্র চিন্তাভাবনা আমাদের সভ্য জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাড়ানো পথে বড় অন্তরায়।



দেশে এত পুলিশ আর্মি, এত আনসার বিজিবি, এত প্রকারের গোয়েন্দা এবং বাহিনী লালন করার পরও যদি মানুষ শান্তি না পায়, অমুসলিমরা নির্যাতিত ও খুন হয়, এর জন্য তারা ইসলাম ও মুসলমানকে দায়ী করতেই পারেন। কারণ, এ দেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। এ কারণেই এসব ঘটনার স্বচ্ছ নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত এবং বিচার হওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ, ইসলামের শত্রুরা এসব অপকর্ম ইসলামি লোকেরা করছে বলে প্রচারণা চালিয়ে ইসলামের ক্ষতি করতে চায়। ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ এক শ্রেনির বুদ্ধিজীবীদেরও এসব অপপ্রচারণার কাছে মাথা নত করে, ঘটনার গভীরে না তলিয়ে অপপ্রচারকেই গ্রহন করে এসব অপকর্ম ইসলামপন্থীরা করাচ্ছে মনে করে বাগাড়ম্বর করতে দেখা যায়।

জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,

مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا

'‘যারা খুন অথবা ফ্যাসাদ সৃষ্টির কারণ ছাড়া কোনো মানুষকে (সে যে ধর্মের লোকই হোক) অন্যায়ভাবে খুন করে, তারা যেন পুরো মানবজাতিকেই হত্যা করল। আর যেকোনো মানুষের (সে যে ধর্মের লোকই হোক) জীবন রক্ষা করল, সে সারা মানবজাতিকেই রক্ষা করল।'' আল কুরআন, সূরাহ আল মা-য়িদাহ, আয়াত-৩৪

অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ

''তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের (সে যে ধর্মের লোকই হোক) কল্যাণ করার জন্য।'' আল কুরআন, সূরাহ আ-লে ইমরান, আয়াত-১১০

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘কোনো মুসলমান যদি কোনো অমুসলিমকে অতিরিক্ত কাজ দেয়, তাকে ঠিকভাবে তার পাওনা না দেয় এবং কষ্ট দেয়, আমি রাসূল ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে অমুসলিমের পক্ষে গিয়ে আল্লাহর দরবারে বিচার দেবো’ (আল হাদিস)।

অপর হাদিসে তিনি বলেন, ‘যে মানুষের (সে যে ধর্মের লোকই হোক) উপকার করে, সেই ভালো মানুষ (আল হাদিস)।’

মদিনা সনদে অমুসলিদের ইসলামি রাষ্ট্রে পূর্ণ ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার দেয়া হয়েছে। কুরআন ও হাদিসে মানুষ খুন ও অমুসলিমদের কষ্ট দেয়ার ব্যাপারে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে এ রকম বিধান থাকায়, সব ইমাম, আলেম, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী হওয়ার পরও যারা ইসলাম, আলেম-উলামা, ইসলামি দল ও মুসলমানদের পাইকারিভাবে জঙ্গিবাদী ও সাম্প্রদায়িক বানাতে চায়, তারা আসলেই ইসলাম, মুসলমান ও দেশের শত্রু। তারা নিশ্চয়ই মানবতার শত্রু। তারা মানব নামের কলঙ্ক।

ধর্মের নামে, ধর্মের লেবাস পড়ে, ধর্মকে কলুষিত করার হীনমানসে যেসব দুর্বৃত্ত মানবতার গায়ে কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টা চালায় তাদের প্রতিহত করা সময়ের দাবি। মানবতা রক্ষায় মানব সদৃশ এসব দানব অমানুষদের কূটচাল থেকে সকল দেশের সকল জাতির সমগ্র মানুষকে রক্ষা করুন আল্লাহ পাক।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

সামিয়া বলেছেন: প্রয়োজনীয় কথা গুলো বেশ সুন্দর গুছিয়ে তুলে ধরেছেন।

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রপন্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মানবজাতি। এরা মানজাতির জন্য অভিশাপ। মানুষকে কষ্ট দেয়া কখনো কোনো ধর্মের বানী হতে পারে না - সহজ এই বিষয়টি বুঝলেই উগ্রবাদীদের মানুষ মেরে, মানুষকে কষ্ট ক্লেশ দিয়ে, সমাজ-সংসারে ত্রাস সৃষ্টি করে জান্নাতে যাওয়ার দু:স্বপ্ন কেটে যেত। বিভ্রান্তিরও ঘটে যেত অপনোদন।

সুন্দর সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা অশেষ।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিরোনামে সহমত প্রকাশ করছি।

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



শিরোনামে সহমত প্রকাশ করায় কৃতজ্ঞতা। ভেতরের লেখায় কি দৃষ্টিকটূ কোনো কিছু ঠেকেছে? মূল্যবান মতামত দিলে সংশোধন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ গ্রহন করতে পারতাম।

আগমনে আপ্লুত। অনেক ভাল থাকুন।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ধর্মীয় পোষ্ট পড়লে মন শান্ত হয়।

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



এটাকে কি ধর্মীয় পোস্ট মনে হয় আপনার কাছে? এটা তো সতর্কীকরন পোস্ট। উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ নিপাতের পোস্ট।

পোস্টের এই কথাগুলো হাজার মুখে উচ্চারিত হওয়া প্রয়োজন। সবার জানার জন্য। বুঝার জন্য। শেখার জন্য। ব্যক্তি জীবনে চর্চার জন্য। ধর্মে উগ্রবাদের স্থান নেই। ধর্ম সন্ত্রাস শেখায় না। ধর্ম জঙ্গিবাদের আস্তানা নয়। যারা জঙ্গিবাদে জড়াবে তারা ধর্মের কেউ নন। তারা ধর্মের শত্রু।

ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে ঘৃন্য জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। জঙ্গিবাদের মূলোতপাটনের জন্যই ইসলামের আগমন।

অনেক ভাল থাকুন।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তারপরও কেউ কেউ এগুলো মুসলিমদের ঘারে চাপিয়ে দেয় বা দিচ্ছে।

২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



যার যা কাজ তা তো তারা করেই যাবেন। চোর তো চুরির ধান্ধায় থাকবেই। সতর্ক থাকতে হবে গেরস্থের, মানে আমাদের। সাধারন মানুষদের। সাধারন মানুষের সচেতনতার লক্ষ্যে এই বিষয়গুলোর ব্যাপক প্রচারনা দরকার।

মন্তব্যে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,




ইসলামে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার স্থান নেই এই সত্যটা আমরা কেন যে বুঝিনে !
এগুলো করে ইসলাম ধর্মের মতো একটি শান্তিবাদী ধর্মকে অযথা বা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কেন বিতর্কিত করি আমরা ?

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই মূল কথা প্রিয়। আমাদেরও প্রশ্ন- মিথ্যে আশ্বাসে বিভ্রান্ত কেন হয় মানুষ? কেন তারা ইসলামের সঠিক শিক্ষাকে ধারন করেন না?

পাঠ এবং মন্তব্যে অনুপ্রানিত বোধ করছি। সকলের ভেতরে ধর্মের আসল শিক্ষা এবং উপলব্ধি জাগ্রত হোক।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন কোন ধর্মে জংগীবাদ ও চরমপন্হা আছে?

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



কোনো ধর্মেই জঙ্গীবাদ ও চরমপন্হা নেই। ধর্মের নামে এগুলো মানুষের বানানো। তবে, ওস্তাদজি একটি কথা কিন্তু ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না, ইসলাম ধর্মের জিহাদ আর প্রচলিত জঙ্গীবাদ কিন্তু এক জিনিষ নয়। এগুলো বুঝতে হলে স্টাডি করা প্রয়োজন।

ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ইসলামে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার স্থান নেই--এই কথা শত বার, বার বার প্রচারিত হওয়া প্রয়োজন।
এই বিষয়ে সুন্দর পোস্টার জন্য ধন্যবাদ।

মূলধারার সব আলেম-উলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ এই ব্যাপারে একমত --ইসলামে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার স্থান নেই

বাংলাদেশে যখন বাংলা ভাই-শাইখ আব্দুর রহমান ইসলামের নামে সন্ত্রাস শুরু করে, তখন বায়তুল মোকাররমের সম্মানিত খতিব মওলানা ওবায়দুল হক ঘটনার পরপরই প্রথম জুম্মার নামাযে খুৎবায় পরিষ্কার ভাবে ঘোষণা করেন, "ইসলামে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার স্থান নেই। এই কাজ হারাম।এর ইসলামের শত্রু।"

তিনি বুঝতে পারেন, যদিও মুসলমান নামধারী ব্যক্তিরা এই কাজ করছে, কিন্তু ঘটনার পিছনে আছে ইসলামের শত্রুরা।

আমার মনে আছে, তিনি এই বিষয়ের উপর এত জোর দেন যে, পর পর পাঁচ-ছয়টা খোতবায় একই বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখতে থাকেন।

আমি তখন নিয়মিত বায়তুল মোকাররমে জুম্মার নামাজ পড়তাম। একজন তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, একই বিষয়ের উপর তিনি প্রতি খোতবায় বলছেন কেন?

তিনি বলেছিলেন, এই ঘটনা ইসলাম এবং বাংলাদেশের আলেম-উলামার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। এটার বিরুদ্ধে পরিষ্কার অবস্থান না নিলে, বাংলাদেশে কোন আলেম-উলামা থাকবে না। জঙ্গি অভিযোগে, গ্রেফতার করে ফাঁসি দিয়ে দিবে। মাদ্রাসাগুলি এই অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাবে।

তাই "ইসলামে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার স্থান নেই"--এই কথা শত বার, বার বার প্রচার করুন।

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



অভিনন্দন, মোবারকবাদ, কৃতজ্ঞতা আন্তরিক দীর্ঘ মন্তব্যে মূল্যায়ন রেখে যাওয়ায়।

এটা সত্য কথা- মূলধারার সব আলেম-উলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ এই ব্যাপারে একমত --ইসলামে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার স্থান নেই।

তিনি (বায়তুল মোকাররমের সম্মানিত খতিব মওলানা ওবায়দুল হক) বুঝতে পারেন, যদিও মুসলমান নামধারী ব্যক্তিরা এই কাজ করছে, কিন্তু ঘটনার পিছনে আছে ইসলামের শত্রুরা।

আমার মনে আছে, তিনি এই বিষয়ের উপর এত জোর দেন যে, পর পর পাঁচ-ছয়টা খোতবায় একই বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখতে থাকেন।

আমি তখন নিয়মিত বায়তুল মোকাররমে জুম্মার নামাজ পড়তাম। একজন তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, একই বিষয়ের উপর তিনি প্রতি খোতবায় বলছেন কেন?

তিনি বলেছিলেন, এই ঘটনা ইসলাম এবং বাংলাদেশের আলেম-উলামার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। এটার বিরুদ্ধে পরিষ্কার অবস্থান না নিলে, বাংলাদেশে কোন আলেম-উলামা থাকবে না। জঙ্গি অভিযোগে, গ্রেফতার করে ফাঁসি দিয়ে দিবে। মাদ্রাসাগুলি এই অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাবে।


-মরহুম মাগফূর মুহতারাম খতীব সাহেব আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাদ। আল্লাহ পাক হুজুরকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান বানান। এই দেশ ও সমাজের প্রেক্ষাপটে তিনি সঠিক জিনিষটিই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। আমাদেরও ধারনা, ইসলামের শত্রুরা দ্বীন ইসলামের ক্ষতি সাধনের কৌশল হিসেবে এই ঘৃন্য কাজগুলো বেছে নিয়েছে।

আবারও কৃতজ্ঞতা এবং ভাল থাকার দুআ।

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা পয়েন্টে সহমত নই। ইসলামে সাম্প্রদায়িকতা থাকলে সেটাতে এলার্জি থাকা চলবে না। স্বীকার করতেও লজ্জা নেই। তবে তার মানে এই না যে, অমুসলিমদের অধিকার হরণ করতে হবে। ইসলামিক রাষ্ট্রের সরকার সাম্প্রদায়িক না হলে সেটা কামাল আতাতুর্কের তুর্কীর মত হয়ে যাবে...

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি যেটা বলেছেন ওটাকে 'সাম্প্রদায়িকতা' বলতে রাজি নই। বড় জোর 'স্বাতন্ত্র্য' বলতে পারেন। বর্তমানে 'সাম্প্রদায়িকতা' কথাটি যে অর্থে ব্যবহার হয়, তা নেতিবাচক। এই শব্দটি দিয়ে এখন- নিচু মনা, হীন, কূপমন্ডুক, উগ্রবাদে বিশ্বাসী ধর্মের ছদ্মাবরনে লুকিয়ে থাকা অহিংস মানুষের চেহারা তুলে ধরে। ধার্মিকদের ঘৃনার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করে। পক্ষান্তরে, ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে চলা প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় অধিকারের মধ্যে পড়ে। সঙ্গত: কারনে আমরা সাম্প্রদায়িক হতে চাই না। তবে আমাদের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে চাই পরিপূর্নভাবে এবং পুরোটুকু। হারাতে চাই না মুহূর্তের জন্য।

ইসলামের স্বাতন্ত্র্য, নিজস্ব সৌন্দর্য্য এবং সৌকর্য্য অবশ্যই থাকবে। এবং সেটা রক্ষা না হলে তো ধর্মের অস্তিত্বই বিনষ্ট হবে।

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৯| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫১

নতুন বলেছেন: অাপনার কাছে যেটা উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ সেটা আইএসআইএস এর কাছে জিহাদ...

জঙ্গীদল কিন্তু জিহাদের জন্য কোরানের আয়াত দিয়েই রেফারেন্স দেয়.... তারা কিন্তু নতুন কোন তত্ব নিয়ে আসেনি্।

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:




সেটাই।

জঙ্গীদল কিন্তু জিহাদের জন্য কোরানের আয়াত দিয়েই রেফারেন্স দেয়.... তারা কিন্তু নতুন কোন তত্ব নিয়ে আসেনি্।

-ঐ যে কথায় আছে না, কথা সত্য মতলব খারাপ। এই বিষয়টাও তেমনই। একটি পোস্ট ছিল আমার এই কথা সত্য মতলব খারাপ নিয়ে। দেখে আসতে পারেন-

কথা সত্য মতলব খারাপ; সাথে বোনাস তিন ভাদাইম্যার গল্প

ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: জংগীবাদ মানে কি বোঝানো হয় আসলে???

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্ট পড়লেই উত্তর পেয়ে যেতেন। যাহোক, আপনার সুবিধার জন্য এখানে সংক্ষিপ্ত উত্তর দিয়ে দেয়া হল।

ইসলামের নামে হোক কিংবা অন্য নামে। ইসলামের লেবাস ধারণ করে হোক কিংবা ভিন্ন পোশাকে। কখনো কোথাও অন্যায়ভাবে মানুষের জানমালের ক্ষতি করা হলে, আতঙ্ক ছড়ানো হলে, অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটানো হলে, এগুলোই উগ্রবাদ, এর নামই জঙ্গিবাদ। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, হোন তিনি মুসলিম কিংবা অমুসলিম, হোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব কিংবা রাজনৈতিক নেতা নেত্রী, হোন তিনি দেশী কিংবা বিদেশী। ইসলামের নামে-বেনামে অন্যায়ভাবে মানুষ খুন করা, জান-মালের ক্ষতি করা অথবা দেশের সম্পদ নষ্ট করা, এর সবগুলোই হলো জঙ্গিবাদ।

ভাল থাকুন অনেক।

১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩০

রাকু হাসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন .......।ভাই

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা পাঠ এবং মন্তব্যে আসায়। অনেক ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.