নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৭)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭



আহা! মায়াবি সবুজ গম্বুজ রওজা মোবারক রাখে ঢেকে,
মৃদু কন্ঠে সালামের মৌতাতে মাতোয়ারা দর্শনার্থী থেকে।

রাসূলের রওজায় অশ্রুসিক্ত বিদায়ের প্রস্তুতি

মদিনাতুল মুনাওওয়ারাহতে ছিলাম! দিনগুলো পেরিয়ে যাচ্ছিল যেন পরম মমতায় মায়ের কোলে সীমাহীন সুখের কাঁথা বুকে জড়িয়ে! রওজা পাকের চৌকাঠ ধরে চোখের পানিতে ভাসতাম! বাবে জিবরীলে বসে হৃদয় সিক্ত করতাম! অবুঝ মন যখন হারানোর শঙ্কায়, অপ্রাপ্তির বেদনায় গুমরে কেঁদে উঠতো, ছুটে যেতাম রওজা শরিফের কিনারে! সবুজ গম্বুজের পানে তাকিয়ে থাকতাম অনিমেশ-পলকহীন চোখে! এই সেই সবুজ গম্বুজ যার নিচে শুয়ে আছেন সাইয়্যিদুল মুরছালীন, শাফিয়ে উমাম, সারওয়ারে কায়েনাত, রহমাতুল্লিল আলামীন! আহ! কি মায়াময় সবুজ গম্বুজ! আশিক হৃদয়ে কি অদৃশ্য অনুভব-অনুভূতি-টান সবুজ গম্বুজের প্রতি! সবুজ গম্বুজের অবারিত সৌন্দর্য্য অবলোকন করে করে সময়ের কাটা কোথা থেকে ঘুরে কোথায় এসে যে থিতু হতো তারও কি কোনো ইয়ত্তা থাকতো! মন মুকুরে ভেসে ওঠে শৈশবে গাওয়া প্রিয় সেসব না'ত-

রওজা পাকের চৌকাঠ ধরি,
চুমু খেয়ে থাকতাম পড়ি,
বলতাম যদি না দাও দেখা,
মরিব হেথায় রে, মরিব হেথায়।।

বলতাম আরও বিনয় করে,
সেই ভয়ানক রোজ হাশরে,
উম্মত বলে কদমে ঠা্ঁই,
দিওগো আমায় রে, দিওগো আমায়।।



রওজার বহির্ভাগে চোখ জুড়ানো মুক্ত প্রাঙ্গন,
বুঝা যায়, প্রিয় রাসূলের এখানেও হতো বিচরন।

মন উচাটন হলে ছুটে যেতাম রিয়াজুল জান্নাহর শান্তিময় কান্তিময় প্রাঙ্গনে! চোখ শীতল হত! অন্তর শান্ত-প্রশান্ত-প্রানবন্ত হত! মন এলোমেলো হলে, ছুটে যেতাম বাইরের প্রান্তরে! মদিনার পথপানে! আহ! এই পথেই তো হেটে চলতেন আমার প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তাঁর স্মৃতিময় পথগুলো খুঁজে খুঁজে বেড়াতো অবুঝ-অবোধ-অচেনা মন! তিনি কেমন করে হাটতেন! কেমন ছিল তাঁর মায়াময় ছান্দসিক চলন! তাঁর স্মৃতির পানে মন এত উতলা হয় কেন! তাঁর ভালবাসা এতটা কাঁদায় কেন! তাঁর মুহাব্বত, তাঁর প্রেম, তাঁর ইশক, তাঁর মায়া, তাঁর বন্ধন এত অটুট কেন! সব কিছু ভেঙ্গে চূড়ে চুরমার হয়ে গেলেও তাকে ছাড়তে পারি না কেন! তাঁর একটি সুন্নতের জন্য এত মায়া কেন! তাঁর প্রতিটি সুন্নতের জন্য হৃদয়টা বিগলিত কেন! একটিমাত্র সুন্নত ছুটে গেলে এমন অস্থির-অধীর হয় কেন মন! তাকে দেখার জন্য আকুল-ব্যাকুল হয় কেন প্রান! আহ! কত দিন যে আনমনে গেয়েছি-

নেকাব সরাও বদন হতে একবার দেখাও দিদার তোমার,
পেয়ারা নবী আল আরাবি গম সহে না যে দিলে আর।।



ঘুমিয়ে আছেন, রহমতে আলম দুই সাথীকে নিয়ে পাশে,
অমৃত সুধায় মন ভরে যায়, হুব্বে রাসূল পাওয়ার আশে।

আহ! কত দিন তাকে দেখি না! তাকে দেখেছিলাম! পূর্ন অবয়বে! প্রানভরে! থাক, সে কথা! সব কথা বলা যায় না! বলতে হয় না! বলা হয়তো উচিত নয়! বন্ধু, শুধু এতটুকু বলি, শুধু আপনার ইবরাতের জন্য বলি, শুধু আপনার মন ও মননে সে শুভ প্রত্যাশা জাগিয়ে তোলার মানসে বলি, নূরানী সে চেহারার ঝলক বর্ননার সাধ্য নেই! জানি, কারও নেই! পূর্নিমার চাঁদ থেকে উজ্জ্বল, আরও আলোকিত, আরও খুবসুরত, আরও কান্তিময়, আরও দ্যুতিময়, আরও ঝলকে ঝলমল-ঝকমকে; ফুটন্ত গোলাপের মত বুঝি! নাহ! গোলাপ থেকে, ফুল থেকে, খুশবু থেকে, পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য্য থেকে ভিন্ন তাঁর সৌন্দর্য্য-জামাল! তিনি উপমাহীন সুন্দর! তিনি তুলনাহীন অপরূপ! তাঁর চেয়ে সুন্দর-কান্তিময়-সৌম্যদর্শন কেউ পৃথিবীতে ছিলেন না! কেউ নেই! কেউ আসবেন না! তিনি উজ্জ্বল, প্রোজ্জ্বল, আলোকিত, সিরাজুমমুনির, বাশিরুননাজির, কামারুমমুনির! তুলনাহীন! অতুলনীয়, লা- মেসাল! তাঁর সৌন্দর্য্যের জামাল ছড়িয়ে মাশরিক থেকে মাগরিবে! জুনূব থেকে শিমালে! গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে! নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রালোকে! আকাশে-বাতাসে-অন্তরীক্ষে-গিরি-কন্দরে!



রওজা মোবারকের অবাক করা নিঃসীম সৌন্দর্য্য ছায়ায়,
বাকিটা জনম কেটে যদি যেত, কেন জানি শুধু মনে চায়।

বাবে জিবরাইল

উম্মুল মুমিনীন আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার হুজরা মোবারকে প্রবেশের একটি দরজাকে বলা হয় বাবে জিবরাইল। এই দরজা দিয়ে হুজূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসার অনুমতি পেতেন জিবরাইল আলাইহিস সালাম। বাবে জিবরাইল থেকে মাত্র কয়েক কদম গেলেই বিশ্ব জাহানের সরদার আকায়ে মাওলা, তাজেদারে মদিনা প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা শরিফ! এখানে না গেলে অনুভূতিতে সব কথা আয়ত্ব করা যায় না! অনুধাবনের আয়নায় সকল ব্যথা জড়ো করে মালা গেঁথে নেয়া যায় না! প্রান যে কী চায় কেমনে বোঝাবো! মন যে কী হাতড়ে বেড়ায় কি করে শুধাবো! হৃদয়ে যে কি ব্যথার পাহাড় উঁকিঝুকি দেয় কিভাবে দেখাবো! মন তো বলে ওঠে, আহ! এখানেই যদি মৃত্যু হতো আমার! সাহাবীদের পাশে যদি কবর হয়ে যেতো! কী সৌভাগ্যই না হত! আহ! এই রাসূলের মদিনায় যাদের মৃত্যু হয়, কতই না ভাগ্যবান তারা!



চোখ জুড়ানো মন ভুলানো প্রিয় মসজিদে নববীর ছবি,
আহা! কি নিরুপম রূপের ছোঁয়ায় নির্বাক হল কত কবি!

আস্তে আস্তে বিদায়ের ক্ষন কাছে আসতে থাকে! বিদায় নিতে হবে প্রিয় নবীজীর প্রিয় শহর থেকে! মন বিষন্নতায় আচ্ছন্ন হতে থাকে! হৃদয় বিগলিত হতে থাকে! অন্তর কাঁদতে থাকে! প্রানে ব্যথার বারিবর্ষনে বড় হতে থাকে শোকের বারিধি! রওজা পাকের এই সৌন্দর্য্য ছেড়ে যাব! আর দেখতে পাব না! আহ! একথাগুলো ভাবলেই মন শিউরে ওঠে!

এই সিরিজের আগেকার পোস্টগুলো। ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন পেছনের পর্বগুলোয়-

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৯)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৯) ব্লগে দেড়শোতম পোস্ট
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৬)

'বাইতুল্লাহর মুসাফির' সিরিজের এই পর্বগুলো প্রকাশে যারা পাশে থাকছেন, নিয়মিত পড়ছেন, মন্তব্যে আসছেন এবং গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ দিয়ে ধারাবাহিকটিকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে যাচ্ছেন, সকলকে হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা। সকলের জন্য অাল্লাহ পাকের নিকট অবারিত কল্যান প্রার্থনা করছি।



এই সৌন্দর্য্য আভা দেখে দেখে যদি অনন্তকাল কাটে,
ঘোরের মধ্যে শুধাবো না জানি, কেন সূর্য্য নামে না পাটে!

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

আশাবাদী অধম বলেছেন: সুন্দর একটি সিরিজ। মনে হচ্ছে সমাপ্তির পথে?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



সমাপ্তির কাছাকাছি এসে গেছি মনে হচ্ছে। গিয়েছিলেন কি?

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
আল-বাসীর

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আপনার কল্যান কামনা করছি।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আজকের পোস্টে বর্ণনার চেয়ে মনের আকুতিগুলো বেশী প্রকাশিত হয়েছে...
(তাঁর মুহাব্বত, তাঁর প্রেম, তাঁর ইশক, তাঁর মায়া,তাঁর বন্ধন এত অটুট কেন! সব কিছু ভেঙ্গে চূড়ে চুরমার হয়ে গেলেও তাকে ছাড়তে পারি না কেন! তাঁর একটি সুন্নতের জন্য এত মায়া কেন! ....)


অ. ট.
নকিব ভাই,
"ফাযায়েলে হজ্জ" বইটি পুরো পড়েছেন?
কয়েকটি জায়গায় প্রশ্ন ছিল, লাইনে থাকলে আওয়াজ দিয়েন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি প্রশ্নগুলো করে রাখুন। একটু সময় নিয়ে আমি উত্তরে আসার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ। পোস্টে আসায় কৃতজ্ঞতা।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: “সুনীল সাগরের শ্যামল কিনারে
দেখেছি পথে যেতে তুলনাহীনারে॥”
কবিগুরু রবি

সৃষ্টিকর্তা অদৃশ্য সত্য কিন্তু বিশ্বপ্রকৃতির সৃষ্টির সংসহয়ের মধ্যে করিতে হয় রচনা সত্যজ্ঞান-সুন্দর তুলনাহীনারে।এটাই স্রষ্টার প্রতি মানুষের স্বীকৃতি। কোন কালিমা খোঁজ এই বিশ্বপথিক? এই স্বজ্ঞানের স্বীকৃতি তোমার কালিমাতুত তাওহীদ- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কমেন্ট পড়তে তো মা-শাআল্লাহ আগে আপনাকে স্টাডি করতে হবে। শুকরিয়া। কৃতজ্ঞতা।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

কাউয়ার জাত বলেছেন: না সুযোগ হয়নি। আশায় আছি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



যাক, আপনার অবস্থাটাও জানা গেল। আশা দ্রুত পূরন হোক। কায়মনোবাক্যে আল্লাহ পাকের কাছে ফরিয়াদ।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এত দরদ ও আবেগ দিয়ে সহজ সরলভাবে উপস্হাপনের জন্য।


--পূর্বতন লেখার লিংক থেকে আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম--পিডিএফ ভার্সন এইমাত্র পড়ে শেষ করলাম --নিজেকে শুধরে নেয়ার কিছু উপদেশ পেলাম-সে জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শ্রদ্বেয় আবুল হোসেন ভট্টাচার্যের আরেকটি লেখা--কুরআন ও বিজ্ঞান এর পান্ডুলিপি পাওয়া যায়নি উনার ইন্তিকালের পর-যা সত্যিই বেদনাদায়ক।

আপনি প্রিয় নবীর মদিনায় আছেন--আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি-আল্লাহপাক যেন সে তৌফিক দান করেন -এ দোয়াই আপনার কাছে আরজি। আল্লাহ আপনার সর্বময় কল্যাণ দান করুন-আমিন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি তো বেশ মনযোগী পাঠক। শুকরিয়া।

শ্রদ্বেয় আবুল হোসেন ভট্টাচার্যের 'আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম' পড়ে শেষ করেছেন জেনে অভিভূত হলাম। অনেক ধৈর্য্যের ব্যাপার। অনেক কিছু জানার এবং বুঝার রয়েছে এই অসাধারন বইটিতে। জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা।

আপনার প্রচেষ্টা অব্যহত রাখুন। আপনার জন্য মহান প্রভূ পালয়িতার দরবারে ফরিয়াদ, তিনি যেন আপনার পূন্যাশাগুলো পূরন করেন। হারামাইন শরিফাইনের মেহমান হওয়ার তাওফিক দান করেন।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

আশাবাদী অধম বলেছেন: আমাকে করা প্রশ্নের উত্তর কাউয়ার জাত কেন দিয়ে দিচ্ছে?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার উত্তরটি কিন্তু এখনও আমরা জানতে পারিনি। দয়া করে যদি জানাতেন।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

আশাবাদী অধম বলেছেন: কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন:
-পূর্বতন লেখার লিংক থেকে আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম--পিডিএফ ভার্সন এইমাত্র পড়ে শেষ করলাম --নিজেকে শুধরে নেয়ার কিছু উপদেশ পেলাম-সে জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


বইটি এখন পর্যন্ত আমারও পড়া হয়নি। পড়তে হবে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সুবিধার্থে সেই পোস্টের ওয়েব লিঙ্ক এখানে দেয়া হল। বইটি ডাউনলোড করার লিঙ্কটি সেই পোস্টের প্রথম কমেন্টটিতে যুক্ত করা হয়েছে। সেই পোস্টে যেতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে-

আবুল হোসেন ভট্টাচার্য্য লিখিত 'আমি কেন ইসলাম গ্রহন করলাম' আমার পঠিত পুস্তকগুলোর ভেতর অন্যতম ভালোলাগা একটি

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

আশাবাদী অধম বলেছেন: শুধু এইটুকু বলার জন্য একটা কমেন্ট খরচ করব? আরেকদিন শুনবেন খন।

ব্লগে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছায় আছি। সমস্যা হলো, এমনিতেই আমার অগোছালো জীবন। ব্লগে ঢুকলে আর নাওয়া, খাওয়া, ঘুমের হদীস থাকেনা। দোয়ায় শরীক রাইখেন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



আচ্ছা, আরেক দিন শুনাবেন। সমস্যা তো জীবন যতক্ষন রয়েছে ততক্ষন পিছু ছাড়ছে না। সুতরাং, এর ভেতর দিয়েই সবকিছুর ব্যালান্স ঠিক রেখে যতটা চলা যায়। ব্লগে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করুন। পুরোপুরি না পারলেও, একেবারে অনিয়মিত হবেন না।

আপনাদের কল্যানের জন্য দুআ করি অবশ্যই। আপনাদের দুআয় আমাদেরও মনে রাখবেন, প্রত্যাশা।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

মাহিরাহি বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম, আশাকরি ভবিষ্যতেও লেখা চালিয়ে যাবেন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আপনাদের দুআ যদি সঙ্গী হয়, ইনশা-আল্লাহ ইচ্ছে রয়েছে। কৃতজ্ঞতা।

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ফাযায়েলে হজ্জ
লেখকঃ যাকারিয়া ছাহেব(রহঃ)
অনুবাদঃ যুবায়ের ছাহেব
প্রকাশনাঃ দারুল কিতাব (অক্টোবর, ২০১৪)


পৃষ্ঠাঃ ২২৬
ঘটনা নং. ৫ঃ
(...হুজুর (সাঃ) এর হুজরা শরীফ হতে ওয়া আলাইকাস সালাম শুনতে পাওয়া)

এছাড়া ৮, ১৩,১৪,১৭,২১,২২,২৩,২৪,২৬ নং ঘটনাগুলোও কেন জানি অতিরঞ্জিত মনে হয়!!!


পুনশ্চঃ
প্রশ্নগুলো অনেক আগের। এখন তো তেমন পড়াশোনাই করা হয় না। আপনাকে কমেন্ট করতে গিয়ে, বইটা বের করলাম। ধুলো জমে গিয়েছে। ঘটনাগুলো আগে মার্ক করা ছিল, ওগুলোই তুলে দিলাম। আজকে পড়ার ইচ্ছে হচ্ছে না। আপনাকে যে টাইপ করে দেব, সেটাও ভালোলাগছে না।

(আপনার প্রতিউত্তরের নোটিফিকেশন পাচ্ছি না। উত্তরটা আমার পেজে দিলে খুশি হব।)
ক্ষমাপ্রার্থী
নিজু

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রশ্নগুলো সামনে নিয়ে আসায়। কিছুটা সময় নিয়ে উত্তরে আসার ইচ্ছে। কারন, বিষয়গুলোতে চোখ বুলানোর মত সময় এবং সুযোগ ঠিক এই মুহূর্তে নেই।

১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আমার মন কান্দে প্রাণ কান্দে, হইয়া জারেজার
শুকরিয়া চরণে তোমার লক্ষ কোটিবার
গোনাহগারের স্মরন করার দিয়েছ তাকদির
তার খুশিতেই ঝরে জল অঝোর নয়নে আমার।।

আহাদে ছিলেন একা
মীম সুরতে আহমদ আঁকা,
মোহাম্মদের হাকীকতে দেখো
ইশকে সিজদায় নত মাথা।। স্মরনে তোমার।।

নাও চিনে মন থাকতে সময়
হাকীকতের সত্য আঁকা
শেষ বিচারে চিনবে কেমনে
ছবি না র'লে মনে আঁকা।। হৃদেয় আমার।।

ল্বাকাদ জা আ কুম
মানে বোঝ মানো হুকুম
রাসুলুম মিন আনফুসিকুম
দাও সে রাসুল চরণে চুম।। মুর্শিদ রাহবার।।

ভায়া, বরাবরের মতোই হৃদয় ছোঁয়া, আকুল আবেগে ব্যাকুল করা মদিনা মোনাওয়ারার খূশবু ভরা
প্রাণের রাসুল, আঁকায়ে নামদার, তাজেদারে মদীনা কুল কায়েনাতের রাহবার আহাম্মদ মোস্তফা,
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলার শা'নে ভরপুর পোষ্ট দিয়ে হৃদয়ে দিলেন ঢেউ তুলে :)
নাদানের অনুভব থেকে বের করে আনলেন আরেকটি হাকীকি নাতে রাসূল সা:

কৃতজ্ঞতা অশেষ অসীম। এর প্রতিদানের আপনাকে সোর্পদ করলাম সেই প্রিয়তম স্বত্তার কাছেই
যিনি সকল জাহানে সুপারিশকারী। যার সাফায়াতের ভিখারী আমরা সবাই!
তিনিই আপনার প্রতি এ শুভ ও কল্যানের প্রতিদানে দো-জাহানে ভরপুর করে দিন :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা :)

+++++++++++++




১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



অসাধারন আরেকটি মন্তব্য, আরেকটি কাব্যকথা, আরেকটি না'তে রাসূল, আরেকটি প্রেমগাঁথা হৃদয়ে দাগ কেটে গেল। সত্যি বিমুগ্ধ সৌন্দর্য্য আভায় পরিস্নাত শব্দাবলী আপ্লুত করে!

মন্তব্য কখনো কখনো পোস্টের কথাকেও ছাড়িয়ে যায়, আপনার হৃদয়ছোঁয়া কিছু মন্তব্য পড়লে সেকথা দুলে ওঠে মনে।

কাছে থাকুন কিংবা দূরে ভাল থাকুন অনেক,
সাক্ষাতের প্রতিক্ষা আবার সময় হলে ক্ষনেক।

১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ওকে!

আমার অত তাড়া নেই। :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নতুন নতুন অনেক লেখার ভীরে ভায়া এই লেখাটির কথা মনে হয় ভুলেই গেছেন ;)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



আসলে ভুলে যাইনি। ব্যস্ততাই প্রত্যুত্তরে দেরিতে আসার কারন।

পুনরায় এসে 'খোঁচা' দিয়ে যাওয়ায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: সুবহানাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আরে ভাই আপনিতো একেবারে ইশকে রাসুলের সাগর বইয়ে দিয়েছেন। মদিনাওয়ালা আকার কথা মনে পড়লে নিজেকে আর সামলাতে পারি না। যাক অবশেষে একজন সহযাত্রী পেলাম। সালামাত রাহে ইয়ে আশিকী। খোশ হাল রাহে আপ!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ! শুকরিয়া! প্রানের ভেতরের ব্যথাগুলো কাকে বলা যায়! কাউকে বলা যায় না! হৃদয়ের গহীনে লুকিয়ে থাকা কিছু স্মৃতি, কিছু কথা, কিছু শব্দ, কিছু ছন্দ প্রকাশের ভাষা খুঁজে মরে! তার কতটুকুই আর আমরা প্রকাশ করতে পারি! সামান্য অংশই ইথারে প্রতিধ্বনি তুলতে পারে! বাকিটা তো থেকে যায় মনের গহীনেই!

আপনিও বুঝি আমারই মত!

যাত্রাপথের সহযাত্রী হয়েই থাকুন! রাখুন!

শুভকামনা নিরন্তর।

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২২

এস এম ইসমাঈল বলেছেন:
নকীব ভায়া, আপনার বয়স কত হয়েছে জানিনা, তবে লেখার হাত খুউব ভালো। আবেগ, তথ্য ও পরিপক্কতার সুন্দর যুগলবন্দি আমার বেশ ভালো লেগেছে। এ লেখাগুলো মিলিয়ে বই ছাপান না কেন?অনেক অনেক ধন্যযোগ ভালো থাকবেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বয়সের কথা বলেছেন। বয়স তো আলহামদুলিল্লাহ কম হল না। জেনারেল এরশাদের সময়ে বড় ভাইয়ের মেম্বারি ইলেকশনে গ্রামের রাস্তায় মিছিল করেছি! সমবয়সী ভাতিজারাও সেইসব মিছিলে অংশগ্রহন করতো!

বড় ভাই মেম্বার প্রার্থী মো: কাঞ্চন আলী তালুকদার। আমরা সবাই বলতাম- 'আমার ভাই, তোমার ভাই, কাঞ্চন ভাই, কাঞ্চন ভাই!!'

ভাতিজারাও সকলের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতো- 'আমার বাবা, তোমার ভাই, কাঞ্চন ভাই, কাঞ্চন ভাই!!'

আবারও ফিরে এলেন প্রশংসার ডালি নিয়ে! যতটা না, আপনার উদার দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো তারচে' বেশি করে তুলে ধরেছে এই অধমকে! আন্তরিকভাবে দুআ আপনার সামগ্রিক কল্যানের জন্য।

আর বই ছাপানোর ইচ্ছে যতটা আগে ছিল, ক্রমশ: তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারন, অনেকের নিকট থেকেই তাদের বিপুল আগ্রহের কথা জেনে ইচ্ছেগুলো ডানা মেলতে চাইছে। কিন্তু, এই সময়ে ছাপার কাজে হাত দেয়ার মত অবস্থা নেই। আল্লাহ পাকের রহমতের দিকে তাকিয়ে আছি, তিনি যদি বান্দার হৃদয়ের আঁকুতিতে দয়াপরবশ হয়ে সারা দেন! ইনশা-আল্লাহ উদ্যোগী হবো!

আপনাদের মত বিচক্ষন এবং সত্যিকারের আল্লাহওয়ালা রাসূল প্রেমিকদের অব্যহত আন্তরিক দুআ বই প্রকাশের পথে বড় সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

অনেক ভাল থাকুন, বিনীত প্রার্থনা মালিক মহিয়ানের দরবারে।

১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: Click This Link গো টু দিস লিঙ্ক অ্যান্ড রিপ্লাই।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



লিঙ্ক এ গিয়ে দেখে এলাম। এতো দেখছি জটিল আলোচনা। মিলাদ নিয়ে যারা কথা বলেন, তাদের অধিকাংশই মিলাদ অর্থ কী তাও জানেন না। এদের সাথে তর্ক করা নিরর্থক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.