নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে নিন, প্রতি দিন সকালে খালি পেটে পানি পানে যেসব উপকারিতা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬



পানি যে আমাদের দেহে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো অনেকেরই জানা। কিন্তু নানা ধরনের কাজের চাপে পানি পানের কথা মনেই থাকে না অনেক সময়। যারা অধিকাংশ সময় কাজের মধ্যে থাকেন তাদের জন্য একটি সহজ পন্থা রয়েছে। তা হল, প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করা, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর এজন্যই দিনের শুরুর এই এক গ্লাস পানিকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা 'স্বাস্থ্যকর', 'বিশুদ্ধ', 'সুন্দর' ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করে থাকেন।

তাহলে আসুন জেনে নেই সকালে খালি পেঠে পানি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে-

১. রাতে ঘুমানোর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে হজম প্রক্রিয়ার তেমন কোনো কাজ থাকে না। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য অন্তত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া উচিত।

২. প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৬ আউন্স হালকা গরম পানি খেলে শরীরের মেটাবলিসম ২৪% বেড়ে যায় এবং শরীরের ওজন কমে।

৩. সকালে প্রতিদিন খালি পেটে পানি খেলে রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।

৪. প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে এক গ্লাস পানি খেলে নতুন মাংসপেশী ও কোষ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

৫. প্রতিদিন সকালে মাত্র এক গ্লাস পানি খেলে বমি ভাব, গলার সমস্যা, মাসিকের সমস্যা, ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, আর্থাইটিস, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি অসুখ কমাতে সহায়তা করে

৬. প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস করে পানি খেলে মলাশয় পরিষ্কার হয়ে যায় এবং শরীর নতুন করে খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে সহজেই।

৭. সকালে পানির বদলে জুস বা অন্য পানীয় না খাওয়াই শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো।

৮. সকালে আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন শরীর ডিহাইড্রেটেড অবস্থায় থাকে। এক গ্লাস পানি শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে সহায়তা করে।

সংগৃহীত।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট, ভালো এবং প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভাই, ভালো লাগলো।
শতকরা ৯৯%মানুষের গ্যাস সমস্যা থাকে পেটে, সকালে অন্তত এক গ্লাস পানি পেটের গ্যাসের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। আমার ধারণা প্রতিদিন সকালে পেট ভরে পানি খেতে পারলে তার আর গ্যাসের বড়ি খেতে হবেনা।

শুভকামনা জানবেন

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্ট অন্যদের চেয়ে আমার নিজের প্রয়োজনে বেশি কাজে দিবে হয়তো। আপনার মূল্যবান মতামত পোস্টটির গুরুত্বকে নি:সন্দেহে বৃদ্ধি করেছে।

অনেক শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,




পৃথিবীর যেমন চারভাগের তিন ভাগই জল তেমনি মানুষের শরীরের চারভাগের তিন ভাগও জল ।
এই জলই মানুষের শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে ।
তাই শরীরে জলের ইনপুট- আউটপুটের ব্যালান্স থাকলে পরেই শরীর পৃথিবীর মতোই সচল থাকবে ।

জলের উপকারীতা নিয়ে আপনার দেয়া পরামর্শগুলো অনেকের কাজে লাগবে ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



পৃথিবীর যেমন চারভাগের তিন ভাগই জল তেমনি মানুষের শরীরের চারভাগের তিন ভাগও জল ।
এই জলই মানুষের শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে ।
তাই শরীরে জলের ইনপুট- আউটপুটের ব্যালান্স থাকলে পরেই শরীর পৃথিবীর মতোই সচল থাকবে ।

জলের উপকারীতা নিয়ে আপনার দেয়া পরামর্শগুলো অনেকের কাজে লাগবে ।


--- অনেক সুন্দর তথ্যবহুল মন্তব্যে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা।

বিহান বেলা খাইল্যা উদরে জলপানের উপকারিতা লইয়া দেওয়া পরামর্শগুলো কারও যদি বিন্দুমাত্র কাজে লাইগ্যা থাহে, তাইলেই নিজেরে ধইন্য মনে করতাম।

একটু গ্রাম্য ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করলুম। কথার যাদুকর আশা করি, মনে কিছু নিবেন না।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও চেষ্টা করি ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেতে। যদিও সবসময় মনে থাকে না। :)
আরেকটা পয়েন্ট যোগ করতে পারেন: সকালে আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন শরীর ডিহাইড্রেটেড অবস্থায় থাকে। এক গ্লাস পানি শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে সহায়তা করে।

গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা অশেষ। আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। পয়েন্টটি যোগ করে দেয়া হল।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: যত বেশি সম্ভব পানি পান করা সবচাইতে বেশি প্রচলিত স্বাস্থ্য উপদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
তবে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত বিষয়গুলো সত্য হলেও, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। ভারতের আথ আয়ুর্ধেমাহ অ্যান্ড স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পরামর্শদাতা ডা. পারমেশ্বর অরোরা'র পরামর্শ হলো

পানি পান সমম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণাঃ

১। হজমের সমস্যা সারাতে পানির কোনো ভূমিকা নেই, তাই পানি পান আপনার কোনো উপকারে আসবে না। বরং অতিরিক্ত পানি পান হজমের সমস্যা আরও জটিল করে তুলতে পারে।

২। শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করেঃ পানি পান করার সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার কোনো উপকারী সম্পর্ক নেই বরং বেশি পানি পান সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৩। বেশি পানি পান করলে মূত্র তৈরির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে ঝামেলা হতে পারে এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আয়ন মূত্রের সঙ্গে বের হয়ে যেতে পারে। এতে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার পরিণতি হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ।

৪। বেশি পানি পান করার কুফলঃ অতিরিক্ত পানি শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। বাড়তি রক্ত রক্তনালীতে চাপ ফেলে, ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বেশি পানি পান করলে শরীর ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পানি পানের আদর্শ পরিমাণ এবং পদ্ধতি

১। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস বা আড়াইশ মিলিলিটার পানি পান করতে হবে।

২। খাওয়ার ঠিক পরপরই পানি খাওয়া যাবে না। বরং পুরো খাওয়ার মাঝে এক কাপ পরিমাণ বা দেড়শ মিলিলিটার পানি পান করতে হবে, চুমুকে চুমুকে।

৩। দুপুরের খাওয়ার পর থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর এক’দুই চুমুক পানি পান করতে হবে।

৪। পানি মুখে নিয়ে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড রেখে তারপর গলধঃকরণ করা উচিত।

৫। সবসময় ফুটানোর পানি পান করতে হবে। ফুটানোর ১২ ঘণ্টা পর ওই পানি পান না করাই ভালো।

৬। পানি পানের স্বাস্থ্যকর পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এটি নির্ভর করে আবহাওয়া এবং একজন ব্যক্তির শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণের উপর। পাশাপাশি সারাদিন অন্যান্য তরল কতটা পান করা হচ্ছে সেটাও হিসেবে রাখতে হবে।

৭। দৈনন্দিন খুঁটিনাটি সমস্যাগুলো সারাতে পানি পান করা সমস্যাগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে পারে।

৮। মনে রাখতে হবে, পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করতে, কুসুম গরম পানি পান করতে হবে, এবং ধীরে পান করতে হবে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



নূরু ভাই, আপনি তো বেশ গুরুত্বপূর্ন তথ্যসহ উপস্থিত হয়েছেন। দারুন। কৃতজ্ঞতা। আশা করি, এগুলো থেকে অনেকেই উপকৃত হবেন।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আমার তো ঘুম থেকে উঠে পানি খেলে বমি বমি পায়! :(

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ওরে বাপরে বাপ! অপ্সরা মাটিতে নেমে এসেছে! তাও এই অতি সাধারন পোস্টে! শুকরিয়া! আগমন শুভ হোক।

সত্যি বলছেন? সত্যি বললে আবার এমন দুষ্টুমীর ইমো কেন?

তবে, প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, কারও কারও এমনটা হতেই পারে! আমারও মাঝে মাঝে খালি পেটে পানি পান করলে পেটের ভেতরে মোচর দিয়ে ওঠে।

কৃতজ্ঞতা অশেষ।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন প্রিয় কবি। সেই সাথে গুণীজনের আলোচনায় অনেক কিছু জানা যাচ্ছে।
আল-খাবীর

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, গুনীজনদের আগমনে আমাদের অনেক কিছু জানার সুযোগ হল। ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার উপস্থিতি আশা করেছিলাম। কৃতজ্ঞতা।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা মর্ত্যে পানি পাওয়া যায়, স্বর্গে শুধুই অমৃতসুধা তাই মর্ত্যে নেমে পানির পোস্টে আসিলাম!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



যাহা বলিয়াছিলেন! মাঝে মাঝে এমন করিয়া মনুষ্য জাতির মর্ত্যে আবির্ভূত হইলে কি এমন ক্ষতি হয়!

অমৃতসুধার ঘ্রান পাচ্ছি মনে হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.