নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
১. জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লাহ
দুনিয়া সুন্দর, মানুষ সুন্দর
আসমান সুন্দর, জমিন সুন্দর
সুন্দরে সুন্দরে পাল্লা
জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লাহ
ঝরণা ছুটে চলে এঁকেবেঁকে
পৃথিবীর পটে কত ছবি এঁকে
নদীর কলতানে
সাগরের গর্জনে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে দেয় পাল্লা
জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লাহ
বাগানে ফুটে ফুল রাশি রাশি
রাতেরই তারা ভরা চাঁদের হাসি
গুণগুণ গানে ডেকে
মৌমাছি মধু চাকে
ফুলে ফুলে করে হল্লা
জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লাহ
দখিনা বাতাস গায়ে পরশ বুলে
টানটানে পাল তুলে নৌকা চলে
তোমারি নামে মনে
ভাটিয়ালি সুরের তানে
দাঁড় টেনে যায় মাঝি মাল্লা
জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লাহ
লেখক- অজ্ঞাত।
২. ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাকিদ।।
তোর সোনাদানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙ্গাইতে নিঁদ।।
তুই পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।
আজ ভুলে গিয়ে দোস্ত দুশমন হাত মিলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা নিত- উপবাসী
সেই গরীব মিস্কিন দে যা কিছু মফিদ।।
ঢাল হৃদয়ের তোর তশতরীতে শিরনী তৌহিদের,
তোর দওত করবুল করবেন হযরত, হয় মনে উমিদ।।
তোরে মারল ছুঁড়ে জুড়ে ইঁট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গ’ড়ে প্রেমেরি মসজিদ।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩. আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু
শেষ করা তো যায়না গেয়ে তমার গুনগান
তুমি কাদের গফফার
তুমি জলিল জব্বার
অনন্ত অসীম তুমি রহিম রহমান।।
তুমি মাটির আদমকে প্রথম সৃষ্টি করিয়া
ঘোষনা করিয়া দিলে শ্রেষ্ঠ বলিয়া
তাই নুরের ফেরেশ্তা করে আদমকে সেজদা
সবার চেয়ে দিলে মাটির মানুষকে সন্মান।।
যখন ইউনুছ নবীরে খাইল মাছেতে গিলিয়া
ফেরেশতা পাঠাইলে তুমি এছমে আজম দিয়া
দমে দমেতে হরদম সে যে পেল পরিত্রান।।
শিশু মুছা নবীকে যখন দুশমনেরই ডরে
সিন্ধুকে ভরিয়া দিলে ভাসায়ে সাগরে
প্রানে ছিল যাহার ভয়
সেথায় পেল সে আশ্রয়
সেই দুশমনেরই হাতে তাঁহার বাঁচাইলে প্রান।।
-সিরাজুল ইসলাম-
৪. আল্লাহ তুমি অপরুপ
আল্লাহ তুমি অপরুপ
না জানি কতো সুন্দর x2
তোমায় আমি সপেছি প্রান
সপেছি এই অন্তর
আল্লাহ তুমি অপরুপ
না জানি কতো সুন্দর
তোমায় আমি সপেছি প্রান
সপেছি এই অন্তর
আল্লাহ তুমি অপরুপ
তোমার আলো ছড়িয়ে পড়ে
সুন্দর এই পৃথিবীতে
চাঁদ সুরুজ জেগে উঠে
তোমার ডাকে সাড়া দিতে x2
তুমি আছো বুকের গভীর
গহিন ভিতর
আল্লাহ তুমি অপরুপ
না জানি কতো সুন্দর
তোমায় আমি সপেছি প্রান
সপেছি এই অন্তর
আল্লাহ তুমি অপরুপ
এই দুনিয়ার মালিক তুমি
তুমি মেহেরবান
বৃক্ষলতা সাগর নদী
সবই তোমার দান x2
তোমার পথে চলি যেনো
সারাটি জীবন ভর
(আল্লাহ তুমি অপরুপ
না জানি কতো সুন্দর
তোমায় আমি সপেছি প্রান
সপেছি এই অন্তর x2)
লেখক- অজ্ঞাত।
৫. নিঝুম রাতে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে
নিঝুম রাতে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে
ছোট্ট ছেলে মাকে বলে স্রষ্টা আমার কে?
মা বলল ধৈর্য ধর, যখন তুমি হবে বড়
জানতে পারবে তোমার আমার স্রষ্টা সে যে কে।
সেই ছেলেটির মন যে তবু ভরেনা
মায়ের কোন মানাই মনে ধরেনা।
আম খেয়ে সে ভাবতে থাকে
মিষ্টি ঢেলে দিয়েছে কে?
কার নামে বাসন্তি কোকিল কুহু ডাকে?
দিঘীর পাড়ে বসে ছেলে ভাবছে
শান্ত জলের কাছে প্রশ্ন রাখছে।
এমন সময় মামা এসে
বলল ভাগ্নে ভাবছ কি সে।
প্রশ্ন কর জবাব পাবে আশ্বাস রেখে।
মামার কাছে ভাগ্নে সবই বলল
মামাও তার জবাব তুলে ধরল।
সব সৃষ্টির স্রষ্টা যিনি
আল্লাহ তালা মহান তিনি।
দুজন মিলে প্রভু প্রেমের
প্রীতি আঁকে।।
লেখক- অজ্ঞাত।
৬. বাদশাহ তুমি দ্বীন ও দুনিয়ার
বাদশাহ তুমি দ্বীন ও দুনিয়ার
হে পরোয়ারদিগার।
সিজদা লও হে হাজার বার আমার
হে পরোয়ারদিগার।।
চাঁদ সুরুয আর গ্রহ তারা
জ্বীন ইনসান আর ফেরেশ্তারা
দিন রজনী গাহিছে তারা
মহিমা তোমার।।
তোমার নুরের রৌশনি পরশি
উজ্জ্বল হয় যে রবি অ শশী
রঙ্গিন হয়ে উঠে বিকশি
ফুল সে বাগিচার।।
বিশ্ব ভুবনে যাহা কিছু আছে
তোমারি কাছে করুনা যাঁচে
তোমারি মাঝে মরেও বাঁচে
জীবন সবার।।
-গোলাম মোস্তফা-
৭. ইয়া নবী সালাম আলাইকা
ইয়া নবী সালাম আলাইকা
ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা
ইয়া হাবীব সালাম আলাইকা
সালাওয়া তুল্লা আলাইকা।।
তুমি যে নূরের নবী
নিখিলের ধ্যানের ছবি
তুমি না এলে দুনিয়ায়
আঁধারে ডুবিত সবি।।
চাঁদ সুরুজ আকাশে আসে
সে আলোয় হৃদয় না হাসে
এলে তাই হে নব রবি
মানবের মনের আকাশে।।
তোমারি নূরের আলোকে
জাগরণ এল ভুলোকে
গাহিয়া উঠিল বুলবুল
হাসিল কুসুম পুলকে।।
নবী না হয়ে দুনিয়ার
না হ'ইয়ে ফেরেশ্তা খোদার
হয়েছি উম্মত তোমার
তার তরে শোকর হাজারবার।।
-গোলাম মোস্তফা-
৮. শাহ জালালের পুন্যভূমি
শাহ জালালের পুন্যভূমি
শাহ মাখদুমের বাংলাদেশ
আমাদের অহংকারে
গরবের বাংলাদেশ।।
এখানে শহীদ তিতু বাঁশের কেল্লা গড়ে
ঈমানের অস্ত্র দিয়ে খোদার পথে লড়ে
স্মৃতির পাতায়
আজো জাগায়
সেই কাহিনী হয় না শেষ।।
আজানের সুরে সুরে
এখানে প্রভাত আসে
শপথের লক্ষ তারায়
এখানে সন্ধ্যা নামে।
ঈসা খাঁর বিপ্লবী খুন মোদের ধমনিতে
প্রতিরোধ তাইতো চলে প্রতি ক্ষনে ক্ষনে
জান দেবতো
মান দেব না
মুক্ত স্বাধীন রাখবো দেশ।।
-তোফাজ্জল হোসেন খান-
৯. সুদূর মক্কা মদিনার পথে
সুদূর মক্কা মদিনার পথে আমি রাহি মুসাফির,
বিরাজে রওজা মোবারক যথা মোর প্রিয় নবীজীর।।
বাতাসে যেখানে বাজে অবিরাম
তৌহিদ বাণী খোদার কালাম,
জিয়ারতে যথা আসে ফেরেশতা শত আউলিয়া পীর।।
মা ফাতেমা আর হাসান হোসেন খেলেছে পথে যার
কদমের ধূলি পড়েছে যেথায় হাজার আম্বিয়ার,
সুরমা করিয়া কবে সে ধূলি
মাখিব নয়নে দুই হাতে তুলি,
কবে এ দুনিয়া হ'তে যাবার আগে রে কাবাতে লুটাব শির।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
খোদার বন্ধু
১০. সৈয়দে মক্কী মাদানী আমার নবী মোহাম্মদ।
করুনাসিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব প্রেমাস্পদ।।
আদম নূহ ইবরাহীম দাউদ সলেমান মুসা আর ঈসা,
সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, তা'দের কালাম হ'ল রদ।।
যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের,
পাপ দুনিয়ায় আনল যে রে পুণ্য বেহেশতী সনদ।।
হায় সেকান্দর খুঁজল বৃথাই আব হায়াত এই দুনিয়ায়
বিলিয়ে দিল আমার নবী সে সুধা মানব সবায়।।
হায় জুলেখা মজল বৃথাই ইউসুফের ওই রূপ দেখে,
দেখলে আমার নবীর সুরত যোগীন হত ভসম মেখে।
শুনলে নবীর শিরীন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।।
ছিল নবীর নূর পেশানিতে তাই ডুবল না কিশতী নূহের,
পুড়ল না আগুনে হযরত ইবরাহিম সে নমরুদের,
বাঁচল ইউনুস মাছের পেটে স্মরণ ক'রে নবীর পদ;
দোযখ আমার হারাম হ'ল
পিয়ে কোরানের শিরীন শহদ।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
১১. আমার প্রিয় হযরত
আমার প্রিয় হযরত নবী কামলিওয়ালা।।
যাঁহার রওশনীতে দ্বীন- দুনিয়া উজালা।।
যাঁরে খুঁজে ফেরে কটি গ্রহ তারা,
ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
বাগিচায় গোলাব গুল গাঁথে যাঁর মালা।।
আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
খোদার নামের পরে জপে অবিরাম,
কেয়ামতে যাঁর হাতে কাওসার পিয়ালা।।
পাপে মগ্ন ধরা যাঁর ফজিলতে
ভাসিল সুমধুর তৌহিদ- স্রোতে,
মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাহতায়ালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
বাদশার ও বাদশাহ
১২. মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লেআলা
তুমি বাদশারও বাদশাহ কামলিওয়ালা।।
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
হ'ল পূন্য বেহেশতী নূরে উজালা।।
গুনাহগার উম্মত লাগি' তব
আজো চয়ন নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
কিয়ামতে পিয়াসী উম্মত লাগি,
দাড়ায়ে র'বে লয়ে তহুরার পিয়ালা।।
জ্বলিবে হাশর দিনে দ্বাদশ রবি,
নফসি নফসি কবে সকল নবী
ইয়া উম্মতি ইয়া উম্মতি একেলা তুমি,
কাঁদিবে খোদার পার আর্শ চুমি'-
পাপী উম্মত ত্রান তব জপমালা।।
করে আউলিয়া আম্বিয়া তোমারি ধ্যান,
তব গুণ গাহিল খোদ আল্লাহতায়ালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
রাহে কাবা
১৩. ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহা দেখাও সেই কাবার-
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দীদার।।
দ্বীন- দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজী হলে রাজী হন পরওয়ারদিগার।।
যে কাবার দুয়ারে জামে- তৌহিদ দেন হযরত আলী,
যে কাবায় কুল- মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।।
যে কাবাতে গেলে দেখি কুর্শী লওহ কালাম,
মরণে আর ভয় থাকেনা, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
নিখিল প্রেমাস্পদ
১৪. আসিছেন হাবীবে খোদা, আরশ পাকে তাই উঠেছে শোর,
চাঁদ পিয়াসে ছুটে' আসে আকাশ- পানে যেমন চকোর,
কোকিল যেমন গেয়ে উঠে ফাগুম আসার আভাস পেয়ে,
তেমনি করে হরষিত ফেরেশতা সব উঠলো গেয়ে,-
দেখ আজ আরশে আসেন মোদের নবী কামলীওয়ালা
হের সেই খুশীতে চাঁদ- সুরুজ আজ হল দ্বিগুন আলা।।
ফকির দরবেশ আউলিয়া যাঁরে
ধ্যানে জ্ঞানে ধরতে নারে,
যাঁর মহিমা বুঝতে পারে
এক সে আল্লাহতালা।।
বারেক মুখে নিলে যাঁহার নাম
চিরতরে হয় দোযখ হারাম,
পাপীর তরে দস্তে যাঁহার
কাওসারের পেয়ালা।।
মিম হরফ না থাকলে যে আহাদ
নামে মাখা যার শিরীন শহদ,
নিখিল প্রেমাস্পদ আমার মোহাম্মদ
ত্রিভুবন উজালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
দীন- দরিদ্র কাঙ্গালের তরে
১৫. দীন- দরিদ্র কাঙ্গালের তরে এই দুনিয়ায় আসি'
হে হযরত, বাদশাহ হ'য়ে ছিলে তুমি উপবাসী।।
তুমি চাহ নাই কেহ হইবে আমীর, পথের ফকীর কেহ,
কেহ মাথা গুঁজিবার পাইবে না ঠাঁই, কাহারো সোনার গেহ,
ক্ষুধার অন্ন পাইবে না কেহ, কারো শত দাস দাসী।।
আজ মানুষের ব্যথা অভাবের কথা ভাবিবার কেহ নাই,
ধনী মুসলিম ভোগ ও বিলাসে ডুবিয়া আছে সদাই,
তাই তোমারেই ডাকে যত মুসলিম গরীব শ্রমিক চাষী।
বঞ্চিত মোরা হইয়াছি আজ তব রহমত হ'তে,
সাহেবী গিয়াছে, মোসাহেবী করি' ফিরি দুনিয়ার পথে,
আবার মানুষ হব কবে মোরা মানুষেরে ভালোবাসি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
১৬. অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি
অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি
বিচার দিনের স্বামী।
যত গুনগান হে চির মহান,
তোমারি অন্তর্যামী।।
দ্যুলোকে ভুলোকে সবারে ছাড়িয়া
তোমারি কাছে পড়ি লুটাইয়া
তমারি কাছে যাচি হে শকতি,
তোমারি করুনা কামি।।
সরল সঠিক পুন্য পন্থা
মোদেরে দাওগো বলি'
চালাও সে পথে
যে পথে তোমার
প্রিয়জন গেছে চলি।
যে পথে তোমার চির অভিশাপ
যে পথে ভ্রান্তি চির পরিতাপ
গে মহাচালক, মোদেরে কখনো
করো না সে পথগামী।।
-গোলাম মোস্তফা-
আল্লাহু আল্লাহু
১৭. ফুলে পুছিনু, " বল, বল ওরে ফুল!
কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?"
"যার রূপে উজালা দুনিয়া", কহে গুল,
"দিল সেই মোরে এ রূপ এ খোশবু।"
আল্লাহু আল্লাহু
"ওরে কোকিল কে তোরে দিল এ সুর,
কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?"
কহে কোকিল ও পাপিয়া, "আল্লাহ গফুর,
তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ, কুহু কুহু।'
আল্লাহু আল্লাহু।।
"ওরে ও রবি শশী, ওরে ও গ্রহ - তারা,
কোথা পেলি ও রওশনী জ্যোতিঃধারা?"
কহে, "আমরা তাহারি রূপের ইশারা-
মুসা বেহুঁশ হল হেরি যে খুবরু।"
আল্লাহু আল্লহু।।
যাঁরে আউলিয়া - আম্বিয়া ধ্যানে না পায়,
কুল- মাখলুক যাঁহারি মাহিমা গায়,
যে নাম নিয়ে এসেছি এই দুনিয়ায়,
সেই নাম নিতে নিতে মরি- এই আরজু।
আল্লাহু আল্লহু।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
সকল তারিফ
১৮. সকল তারিফ তোমার খোদা, তুমি যে পাকজাত।
মুহাম্মদের স্রষ্টা তুমি, এ তব সিফাত।।
চাঁদ, সিতারা হয়না শুমার,
তামাম আলম সৃষ্টি তোমার,
সৃষ্টি তুমি করেছ রব
তামাম মখলুকাত।।
বান্দা তোমার এই গুনাহগান আজকে পানাহ চায়,
কবুল কর মোদের দোয়া নবীর উসিলায়।।
তোমার কাছে আজ পানাহ চাই
দ্বীন- দুনিয়ায় কারো ভালাই,
আখেরাতে দিয়ো খোদা
অনন্ত জান্নাত।।
ফররুখ আহমদ-
১৯. তুমি সুন্দর
তুমি সুন্দর,- সুন্দরতম
আদর্শ নিখিলের,
হে রাসুলে খোদা! জুলমাতে পথ
দেখালে জান্নাতের।।
মিথ্যার কাছে মানুষ যখন
সপেঁছিল তার সারা তনু মন,
ভাঙ্গিলে তখন নিজ হাতে তুমি
মূর্তি অসত্যের।।
তোমার আলোকে মিলাল হে নবী,
অন্যায়, অবিচার।
তুমি দিলে চির বঞ্চিত জনে
মানুষের অধিকার।।
এ ধরণী তল চির ভুলে ভরা
পেল অপরূপ শান্তি পশরা
দিলে এনে যবে খোদার কালাম
সওগাত সত্যের।।
-ফররুখ আহমদ-
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। আগমন এবং অভিব্যক্তি শেয়ার করায় কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: লাইকসহ প্রিয়তে গেল।
দুটো আলাদা হামদ, নাতের পরে একটু বেশী স্পেস (২-৩টা ইন্টর) দিন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
লাইকসহ প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা।
পরামর্শমত স্পেস ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১
মিথী_মারজান বলেছেন: 'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে' - চাঁদরাতে এটা না শোনা পর্যন্ত মনেহয় ঈদের আনন্দটাই শুরু হয়না আমার মনে।
প্রত্যেকটাই খুব সুন্দর তবে ২নং আর ৭নং টা আমার খুব বেশি পছন্দের।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা। ঠিকই বলেছেন, 'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে' - চাঁদরাতে এটা না শোনা পর্যন্ত মনেহয় ঈদের আনন্দটাই শুরু হয়না আমার মনে।
আমারও প্রিয় ২ এবং ৭।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
এ.এস বাশার বলেছেন: সুন্দর। ১ নং ও ৫ নং আমার খুব পছন্দের।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ। অশেষ কৃতজ্ঞতা উপস্থিতি জানিয়ে যাওয়ায়।
আপনার পছন্দে সহমত।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
কি নিয়ে কি দিলেন ভাইয়া।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার বক্তব্য বুঝিনি। আরেকটু যদি ক্লিয়ার করতেন। শুভকামনা।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
আল্লাহ পাক আপনার জন্য কল্যানের দরজা খুলে দিন।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের স্কুলে একজন শিক্ষক ছিলেন। যেদিন তার মন খারাপ থাকতো সেদিন আমাদের পড়াতেন না।
একজন ছাত্রকে ডেকে বলতেন গজল শুনাও।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
গজল শুনালে মন পবিত্র হয়। পরিচ্ছন্নতার আবেশে হৃদয় মন সিক্ত হয়। আপনার কি কখনও গজল শোনা হয়?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২
সূচরিতা সেন বলেছেন: অনেকগুলোই শোনা তার মাঝে প্রথমটা দিনে কয়েকবার শোনা হয়।