নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
যাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা
সাধারনত: আমরা যারা বেশি বেশি সময় অনলাইনে থাকি পরিস্থিতি সবসময় অনুকূলে থাকে না। কখনও কখনও এমনও পোস্ট বা মন্তব্য দেখি, যা ইসলাম ধর্ম, কুরআন হাদিস, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনকি স্বয়ং মহান স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার জন্য খুবই অপমানজনক। অন্যান্য ধর্ম এবং সেসব ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই পোস্ট শুধুমাত্র মুসলিম ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। আশা রাখতে চাই, শুধুমাত্র একটি ধর্ম বিষয়ে পোস্ট দেয়ায় তারা কষ্ট পাবেন না।
এসব পোস্ট বা মন্তব্য পড়ে আমাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই বিরক্তির উদ্রেক হয় যে, ‘মানুষ কিভাবে এমন কথা বলতে পারে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্ পাক সম্পর্কে? তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে? অবিশ্বাস করা এক জিনিস, কিন্তু যে ধরনের ঘৃণা এবং ঔদ্বত্যপূর্ণ বিদ্বেষ মানুষের মুখ থেকে বের হয় সেটা দেখে আমাদের মনে হতেই পারে যে, এরা কোন্ ধরনের মানুষ? কেমন মানুষ? কেন এরা এই ধরনের জঘন্য ভাষায় কথা বলেন?”
উত্তম চরিত্রের অনুপম মাধুর্য্য প্রদর্শন সর্বাবস্থায় কাম্য
এসব কথা দেখে আমাদের বিরক্ত লাগে। আমরা শিহরিত হই। আমরা আতঙ্কিত হই। আমাদের বুকে বিঁধে যায় আল্লাহ এবং রাসূলের বিরুদ্ধে নিক্ষেপিত অযাচিত কথার প্রতিটি শেল। কারন, আমাদের বিশ্বাসের ঘরে এসব কথা আঘাত করে। আমাদের কষ্ট হয় কারন আমাদের বিশ্বাস আছে। আমরা বিশ্বাসী। আমরা হৃদয় জুড়ে ধিকিধিকি জ্বলে বিশ্বাসের বহ্নিশিখা। আমরা বিশ্বাস করি। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও বিশ্বাস করতেন। তিনিও বিশ্বাসী ছিলেন। আমাদের বিশ্বাস আর তাঁর বিশ্বাসে তফাত রয়েছে। যোজন যোজন। তিনি ছিলেন বিশ্বাসের প্রতিভূ। কেমন ছিল তাঁর বিশ্বাস? পাহাড়সম? ইস্পাত দৃঢ়? না, বন্ধু না। এতটুকু বলা হলেও যথেষ্ট হবে না। তাঁর বিশ্বাসের ভিত্তি মাপ কিংবা পরিমাপেরও উর্দ্ধে। সমগ্র আরব যখন পৌত্তলিকতায় নিমজ্জিত তিনি তখন বিশ্বাসের আলোর মশাল হাতে এগিয়ে এলেন। স্বগোত্রীয় নিজ সমাজের লোকদের সর্বাত্মক বিরোধিতা, সর্ব প্রকারের নির্যাতন, অপপ্রচার, গালি গালাজ, নিন্দাবাদ আর বিদ্বেষের মুখে এতটুকু তিনি টলেননি। গালির জবাব কখনও গালি দ্বারা দেননি। আঘাতের বদলায় আঘাত করেননি। অপপ্রচার আর মিথ্যাচারের বিনিময়ে মিথ্যাচারের প্রশ্নই ওঠে না তাঁর মহান চরিত্রের ক্ষেত্রে। উত্তম চরিত্রের অনুপম মাধুর্য্য দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন বিদ্বেষীদের বিক্ষিপ্ত অন্তর।
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের বিশ্বাসের সাথে আল্লাহ্র রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বিশ্বাসের তো কোনো তুলনাই হয় না। আমরা যেমন কষ্ট পাই, আল্লাহ্র রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাঁর পাশে থাকা বিদ্বেষীদের কথায় মর্মাহত হতেন। কষ্ট পেতেন তাদের মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের শেল বর্ষনে। কিন্তু আল্লাহ্ পাক স্বয়ং রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেই বলেছেন, 'এই মর্মপীড়া যেন আপনাকে প্রভাবিত না করে।'
তাদের কথা আল্লাহ্ পাকের মর্যাদা হ্রাস করতে পারে না
কারন তাদের কথাতো আল্লাহ্ পাকের মর্যাদার কোন হ্রাস করতে পারে না। সর্বাবস্থাতেই আল্লাহ্ পাক মর্যাদাশীল। তাই আমাদের এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। উপরন্তু তারা যা বলেছেন, বলছেন কিংবা বলবেন তিনি তা শোনেন এবং শুনছেন। তিনি সবকিছুই সম্যক অবগত। তাদেরকে এর মূল্য দিতে হবে। আর এমনটি হওয়ার নয় যে, আল্লাহ্ পাকের তাদের উপর কর্তৃত্ব নেই। তিনি যেমন আমাদের প্রভু, তারা স্বীকৃতি দিক আর না-ই দিক, তিনি তাদেরও প্রভু। 'আলা ইন্না লিল্লাহি মান ফি আস-সামাওয়াত ওয়া মান ফিল-আরদ' -একথা অনস্বীকার্য যে, আসমান ও জমীনে যা কিছু আছে আল্লাহ্ পাক এর সকল কিছুর মালিক। তিনি সবকিছুর স্বত্বাধিকারী। এবং তারা যা বলে থাকেন তা থেকে তারা নিস্তার পাবেন না। তাই, আপনার কাজকে এর (অপপ্রচার, বিদ্বেষ আর মিথ্যাচার) দ্বারা বাধাগ্রস্ত মনে করা উচিত নয়।
সূরা আল ফুরকান- এ আল্লাহ্ পাক বলেছেনঃ
وَعِبَادُ الرَّحْمَنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا
'রহমান-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম।' আয়াত-৬৩
সূরা ইউনুস- এ আল্লাহ্ পাক বলেছেনঃ
وَلاَ يَحْزُنكَ قَوْلُهُمْ إِنَّ الْعِزَّةَ لِلّهِ جَمِيعًا هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
'আর তাদের কথায় দুঃখ নিবেন না। আসলে সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহর। তিনিই শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।' আয়াত-৬৫
أَلا إِنَّ لِلّهِ مَن فِي السَّمَاوَات وَمَن فِي الأَرْضِ وَمَا يَتَّبِعُ الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ شُرَكَاء إِن يَتَّبِعُونَ إِلاَّ الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلاَّ يَخْرُصُونَ
'জেনে রেখো,আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর। আর যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে (নিজেদের মনগড়া) কিছু শরীকদের ডাকছে তারা নিছক আন্দাজ ও ধারণার অনুগামী এবং তারা শুধু অনুমানই করে।' আয়াত-৬৬
আল্লাহ্ পাক তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন- 'ওয়া লা-ইয়াহযুনকা কাউলুহুম' অর্থাৎ, তারা আপনাকে যা বলে তাতে আপনার দুঃখ পাওয়া উচিত নয়। তাদের কথায় আপনি কষ্ট পাবেন না।
আয়াতে কারিমায় যা বলা হয়েছে
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কিছু শুনবেন যাতে তাঁর দুঃখ পাওয়া স্বাভাবিক। তাই আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিবকে সতর্কতার বানী শুনিয়েছেন- ওসব কথায় নিজেকে কষ্ট পেতে দিবেন না; আপনাকে তাদের কথার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হতে হবে। কারন, আপনি তাদের কথায় নিজেকে আঘাতপ্রাপ্ত হতে দিলে তারা আপনাকে হতাশ করে ফেলবে এবং আপনি আপনার কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন না। আপনাকে তো ইসলামের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে- যে বাণী আশার, আশাবাদী হওয়ার, যে বাণী পুনরায় মানুষকে তার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে নিতে দেয়। আপনিই যদি হতাশ হয়ে পড়েন তাহলে মানবতা কি করে তার প্রেরণা খুঁজে পাবে? কিভাবে তারা পাবে কর্মস্পৃহা? সুতরাং, তারা কি বলে- এতে আপনি প্রভাবিত হবেন না।
আর যদি আপনার মনে হয় যে, তারা যা বলে তা অপমানকর- আপনার জন্য বা ইসলামের জন্য কিংবা আল্লাহ্র জন্য, তবে জেনে রাখুন- ইন্নাল ইজ্জাতা লিল্লাহি জামিয়া- কোন সন্দেহ নেই যে কর্তৃত্ব, সম্মান, মর্যাদা আল্লাহ্ পাকেরই। সকল মর্যাদা, সকল কর্তৃত্ব, সকল সম্মান কেবলমাত্র আল্লাহ পাকেরই জন্য। কখনো এটা চিন্তা করবেন না যে, আল্লাহ্কে অসম্মানিত করা যেতে পারে। তা তো অসম্ভব কারণ, আল্লাহ্ পাকই এর মালিক। যেহেতু আল্লাহ্ পাকই এর মালিক তাই আপনার এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারন নাই।
হুয়াসসামিউল আলিম। এমন নয় যে, তারা যা বলেছে আল্লাহ্ পাক তা শোনেননি। আর তারা যা বলছে, আল্লাহ্ পাক তা জানেন, এমনকি যা আপনি শোনেননি আল্লাহ্ পাক তাও জানেন। আল্লাহ্ পাক তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। আল্লাহ্ পাক তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দিয়েছেন সুস্পষ্ট উপদেশ যে কিভাবে নোংরা কথা শোনা সত্ত্বেও সামনে এগিয়ে যেতে হয়।
সঠিকভাবে ধর্মকে শিখে সেই ধর্মের সত্যিকার অর্থটা মার্জিতভাবে অন্যদের সাথে শেয়ার করাই আমার, আপনার সত্যিকারের মিশন এবং আমাদেরকে এই কাজ করে যেতে হবে।
সত্যের পথে আমাদের থাকতে হবে স্থির, অচঞ্চল এবং অবিচল
যারা ওসব ঔদ্বত্যপূর্ণ, ঘৃণাভরা, লক্ষ্য থেকে বিমুখ করার ছল করে, তারা তো আমাদের ঘৃণা করেই যাবে, আমরা যা-ই করি না কেন।রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হয়েছে যে, ওসব বিদ্বেষপূর্ণ কথার কারনে তাঁর মিশন এর লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত নয়। ঠিক তেমনি, আমরাও যেন ওসব কথাকে আমাদের লক্ষ্যচ্যুতির কারন হতে না দেই। চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছার ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে হবে সুচিন্তিতভাবে। সত্যের পথে আমাদের থাকতে হবে স্থির, অচঞ্চল এবং অবিচল।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে অটুট-অবিচল রাখুন এবং ইসলামের মূল বাণীর উপর আমাদের কায়েম রাখুন এবং আজ আমাদের চারদিকে যে ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ কথার বিষবাষ্প, তা যেন আমাদেরকে আমাদের অনন্য সৌন্দর্যমণ্ডিত ধর্ম থেকে বিচ্যুত করতে না পারে সেই তাওফিক দান করুন।
এছাড়া মুমিন বান্দার আরও কিছু গুনাবলী আলোচিত হয়েছে উপরে উল্লেখিত সূরাহ আল ফুরকানের ৬৩ নং আয়াতের পরবর্তী নিম্নোক্ত অায়াতগুলোতেও-
وَالَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَقِيَامًا
'এবং যারা রাত্রি যাপন করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দন্ডায়মান হয়ে;' আয়াত-৬৪
وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
'এবং যারা বলে, হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছথেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ;' আয়াত-৬৫
إِنَّهَا سَاءتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا
'বসবাস ও অবস্থানস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা।' আয়াত-৬৬
وَالَّذِينَ إِذَا أَنفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ قَوَامًا
এ'বং তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী।' আয়াত-৬৭
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا
'এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।' আয়াত-৬৮
يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا
'কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।' আয়াত-৬৯
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
'কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' আয়াত-৭০
وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا
'যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।' আয়াত-৭১
وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا
'এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।' আয়াত-৭২
وَالَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوا عَلَيْهَا صُمًّا وَعُمْيَانًا
'এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না।' আয়াত-৭৩
وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
'এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।' আয়াত-৭৪
أُوْلَئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَامًا
'তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে।' আয়াত-৭৫
خَالِدِينَ فِيهَا حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا
'তথায় তারা চিরকাল বসবাস করবে। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসেবে তা কত উত্তম।' আয়াত-৭৬
قُلْ مَا يَعْبَأُ بِكُمْ رَبِّي لَوْلَا دُعَاؤُكُمْ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُونُ لِزَامًا
'বলুন, আমার পালনকর্তা পরওয়া করেন না যদি তোমরা তাঁকে না ডাক। তোমরা মিথ্যা বলেছ। অতএব সত্বর নেমে আসবে অনিবার্য শাস্তি।' আয়াত-৭৭
আল্লাহ পাকের অমোঘ ঘোষনাগুলো আমাদের স্মরনে রাখতে হবে
বিপদ মুসিবতে ধৈর্য্যধারন মুমিনের বৈশিষ্ট্য। রহমাতুল্লিল আলামীন সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জীবনের বাঁকে বাঁকে, বিদ্বেষীদের অন্তহীন যন্ত্রনার মোকাবেলায় আল্লাহ পাক যেসব অভয় বানী শুনিয়েছেন সেগুলো দেখলে আশ্চর্য্য হতে হয়। আমাদেরও জীবনে এরকম পরিস্থিতির ছিটেফোটা আসাটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। সূরাহ আল ক্কলাম এর ০১-১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
ن وَالْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُونَ
নূন। শপথ কলমের এবং সেই বিষয়ের যা তারা লিপিবদ্ধ করে,
مَا أَنتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُونٍ
আপনার পালনকর্তার অনুগ্রহে আপনি উম্মাদ নন।
وَإِنَّ لَكَ لَأَجْرًا غَيْرَ مَمْنُونٍ
আপনার জন্যে অবশ্যই রয়েছে অশেষ পুরস্কার।
وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ
আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।
فَسَتُبْصِرُ وَيُبْصِرُونَ
সত্ত্বরই আপনি দেখে নিবেন এবং তারাও দেখে নিবে।
بِأَييِّكُمُ الْمَفْتُونُ
কে তোমাদের মধ্যে বিকারগ্রস্ত।
إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
আপনার পালনকর্তা সম্যক জানেন কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি জানেন যারা সৎপথ প্রাপ্ত।
فَلَا تُطِعِ الْمُكَذِّبِينَ
অতএব, আপনি মিথ্যারোপকারীদের আনুগত্য করবেন না।
وَدُّوا لَوْ تُدْهِنُ فَيُدْهِنُونَ
তারা চায় যদি আপনি নমনীয় হন, তবে তারাও নমনীয় হবে।
وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِينٍ
যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।
هَمَّازٍ مَّشَّاء بِنَمِيمٍ
যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে ফিরে।
مَنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ
যে ভাল কাজে বাধা দেয়, সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ,
عُتُلٍّ بَعْدَ ذَلِكَ زَنِيمٍ
কঠোর স্বভাব, তদুপরি কুখ্যাত;
أَن كَانَ ذَا مَالٍ وَبَنِينَ
এ কারণে যে, সে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততির অধিকারী।
إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
তার কাছে আমার আয়াত পাঠ করা হলে সে বলে; সেকালের উপকথা।
سَنَسِمُهُ عَلَى الْخُرْطُومِ
আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দিব।
আবার একই সূরাহর ৪৪ এবং ৪৫ নং আয়াত দেখুন-
فَذَرْنِي وَمَن يُكَذِّبُ بِهَذَا الْحَدِيثِ سَنَسْتَدْرِجُهُم مِّنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُونَ
অতএব, যারা এই কালামকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি এমন ধীরে ধীরে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাব যে, তারা জানতে পারবে না।
وَأُمْلِي لَهُمْ إِنَّ كَيْدِي مَتِينٌ
আমি তাদেরকে সময় দেই। নিশ্চয় আমার কৌশল মজবুত।
সূরাহ আততূর এর ৪৫, ৪৬, ৪৭ এবং ৪৮ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন-
فَذَرْهُمْ حَتَّى يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي فِيهِ يُصْعَقُونَ
তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে।
يَوْمَ لَا يُغْنِي عَنْهُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ
সেদিন তাদের চক্রান্ত তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
وَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا عَذَابًا دُونَ ذَلِكَ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
গোনাহগারদের জন্যে এছাড়া আরও শাস্তি রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِينَ تَقُومُ
আপনি আপনার পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায় সবর করুন। আপনি আমার দৃষ্টির সামনে আছেন এবং আপনি আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন যখন আপনি গাত্রোত্থান করেন।
পরিশেষে
আমাদের উচিত, সর্বাবস্থায় ধৈর্য্যধারন করে পথচলা। বিদ্বেষী কারও কথায় মর্মাহত হয়ে একইধরনের উদ্ধত আচরন কখনই আমাদের জন্য শোভনীয় নয়। যতটুকু পারি, উত্তম বাক্য দিয়ে কারও কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো নতুবা শান্তি শৃঙ্খলা এবং ইসলামের আসল সৌন্দর্য্য শিষ্টাচার বজায় রাখার প্রচেষ্টায় নিরবতা পালন করে যাব। মনে রাখতে হবে, যাকে আমি গালির জবাবে গালি দিচ্ছি, তিনিও তো আল্লাহরই প্রিয় এক সৃষ্টি। মহান মালিক প্রভূ পরওয়ার দিগারের সাথে যদি সত্যিই আমার নিবিড় সম্পর্ক গড়ার ইচ্ছে থাকে, তাহলে তাঁর কোনো সৃষ্টিকে ব্যথা দেয়ার অধিকার আমার থাকা উচিত নয়। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সেই শক্তি অর্জন করে তাঁর প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখিয়ে দেয়া পথে চলার যোগ্যতা দান করুন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সুন্দর মন্তব্য রেখে গেলেন। আল্লাহ পাক আপনাকে উত্তম সম্মানে ভূষিত করুন। লেখা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। কৃতজ্ঞতা অশেষ।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকুমুল্লাহ।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: মাশা-আ্ল্লাহ, মারহাবা। খুব সুন্দর লেখা হয়েছে। চালিয়ে যও হে কলম সৈনিক। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালো লাগা।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। মা-শাআল্লাহ। জাজাকুমুল্লাহ। অবারিত ভালোবাসায় মুগ্ধতা সীমাহীন। এমন করে প্রেরনা দিয়ে যাওয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা। পাশে পেয়ে নন্দিত-আনন্দিত।
অনেক অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আরবী লেখা যখন দিয়েছেন তবে তার পাশে বাংলা উচচারন সহ দিলে আরো ভাল হত।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, দেয়া যেত। ভালোও হত। তবে, অনেক সময়সাপেক্ষ। অার এক্সাক্টলি আরবি হরফের মাখরাজ এবং তাজবিদসহ বাংলায় উচ্চারন কঠিন ব্যাপার। কষ্ট করে লিখলেও দেখা যায়, অনেকেই হরফের মাখরাজ (উচ্চারন স্থল) জানা না থাকার কারনে বাংলা উচ্চারনে কুরআনের আয়াত পড়তে গিয়ে অনিচ্ছাবশত: ভুল করে বসেন। এই ভুলের মাশুল ইচ্ছে করে কে বেহুদা ঘাড়ে নিতে যায়? তাই নিতান্ত বাধ্য না হলে লিখতে মন সায় দেয় না।
অনেক ভালো থাকুন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
তাও আপনি বিশেষ দরকার মনে করলে সময় করে আরবিতে লেখা আয়াতগুলো বাংলায় লিখে দেব, ইনশাআল্লাহ।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
আরোগ্য বলেছেন: খুবই ভাল লিখছেন। আসলে ইসলাম বিদ্বেষীরা চায় পৃথিবী থেকে ইসলামকে উপড়ে ফেলতে যাতে তারা পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারে। কিন্তু পৃথিবী যতদিন থাকবে চন্দ্র সূর্য আল্লাহর হুকুমেই চলবে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সুন্দর বলেছেন। মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা।
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
এস এম ইসমাঈল বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ! আমি আসলে সব সময় আমার পাঠকের সুবিধার কথা চিন্তা করেই লেখাগুলোকে সাজাই। অনেকে আছেন বাংলায় উচ্চারণ সাথে থাকলে পড়তে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর তাছাড়া ওযু ও পাক পাকিজার একটা ব্যাপার থাকছেই। এসব বিষয় মাথায় রেখে আমি আমার আমল বিষয়ক বইগুলিতে মূল আরবী লেখা বাদ দিয়ে শুধু আরবী ইবারাতের উচ্চারণ, আয়াত সংখ্যা ও সুরার নাম আর তার সাথে বাংলা অনুবাদ দিয়ে থাকি। যাতে কেউ ইচ্ছা করলেই সে বইখানা বেঅযু অবস্থায় ও পড়তে পারে। আমার মতামতকে গুরুত্ব দেবার জন্য শুকরিয়া।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহ। আপনি পাঠকের প্রতি অনেক আন্তরিক। আপনার অবারিত কল্যান হোক।
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক ভাল লাগলো!
+++
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
মুগ্ধতা। কৃতজ্ঞতা অশেষ।
অনেক ভাল থাকুন।
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: না হতে পারলাম খাটি মুমিন, না হতে পারলাম দুষ্টলোক।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ আপনি খাঁটি মুমিন হবেন। আপনার পক্ষে দুষ্ট লোক হওয়া সম্ভব নয়।
৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। +++
শুভকামনা রইলো।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
শুভকামনা আপনার জন্যও। লেখা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। কৃতজ্ঞতা।
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
প্যালাগোলাছ বলেছেন: ভালো পোস্ট
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।
১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
আরোগ্য বলেছেন: নকিব ভাই আমার " মধ্যযুগের ধর্ম ইসলাম " পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করলে খুব খুশী হব।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ আপনার পোস্টে যাব।
অনেক ভাল থাকবেন।
১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: নতুন নকিব,
খুব ভালো হয়েছে লেখাটা | হ্যা সত্যি যে "তাদের কথাতো আল্লাহ্ পাকের মর্যাদার কোন হ্রাস করতে পারে না। সর্বাবস্থাতেই আল্লাহ্ পাক মর্যাদাশীল। তাই আমাদের এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয় "I এই ব্লগে ইসলাম নিয়ে এতো অকথ্য কথাবার্তাও শুধু এ'জন্যই কিছু বলি না বলে শুনে যাই I এভাবেই ভাবি যে কিছু মানুষ জুটি নোংরামি করুক সেটা আল্লাহর সুমহান মোর্হজাদায় কোনো দাগ লাগাতে পারবে না কখনো I তারাই হেয় হবে I
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সুন্দর বলেছেন। আপনার প্রতিটি মন্তব্য সত্যের অকাট্য খন্ড খন্ড দলিল যেন। আল্লাহ পাক আপনার নেক হায়াত দারাজ করুন। অনেক ভাল থাকুন। আমাদের জন্য দুআ করবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২০
ওমেরা বলেছেন: একজন মুমিনের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারন করতে হবে ও মানুষের সাথে কথা বলতে হবে হিকমাহ ও বুদ্ধিমত্তার সাথে । অনেক ভাললাগা লেখায়। জাজাকাল্লাহ খায়ের।