নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ইমালসিফায়ার\' খাদ্যে ব্যবহৃত এই উপাদানটি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কারন, এটি ব্যবহারের ফলে হালাল খাদ্যও হারামে পরিনত হয়ে যেতে পারে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪



কৌটায় রক্ষিত ইমালসিফায়ার

ইমালসিফায়ার কী? ইমালসিফায়ার বহুল ব্যবহৃত একটি খাদ্য উপাদান, যা প্রায় সবধরনের শুষ্ক খাদ্যে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে বিস্কুট, কেক ইত্যাদি খাদ্য দ্রব্যে এটির উপস্থিতি বেশি থাকে। এছাড়া অন্যান্য খাদ্য তৈরিতেও এই উপাদানের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ইমালসিফায়ার সম্মন্ধে উইকিপিডিয়াতে বলা হয়েছে-

'An emulsion is a mixture of two or more liquids that are normally immiscible (unmixable or unblendable). Emulsions are part of a more general class of two-phase systems of matter called colloids. Although the terms colloid and emulsion are sometimes used interchangeably, emulsion should be used when both phases, dispersed and continuous, are liquids. In an emulsion, one liquid (the dispersed phase) is dispersed in the other (the continuous phase). Examples of emulsions include vinaigrettes, homogenized milk, mayonnaise, and some cutting fluids for metal working. Graphene and its modified forms are also a good example of recent unconventional surfactants helping in stabilizing emulsion systems.[3]

The word "emulsion" comes from the Latin mulgeo, mulgere "to milk",[specify] as milk is an emulsion of fat and water, along with other components.

Two liquids can form different types of emulsions. As an example, oil and water can form, first, an oil-in-water emulsion, wherein the oil is the dispersed phase, and water is the dispersion medium. (Lipoproteins, used by all complex living organisms, are one example of this.) Second, they can form a water-in-oil emulsion, wherein water is the dispersed phase and oil is the external phase. Multiple emulsions are also possible, including a "water-in-oil-in-water" emulsion and an "oil-in-water-in-oil" emulsion.[4]

Emulsions, being liquids, do not exhibit a static internal structure. The droplets dispersed in the liquid matrix (called the “dispersion medium”) are usually assumed to be statistically distributed.

The term "emulsion" is also used to refer to the photo-sensitive side of photographic film. Such a photographic emulsion consists of silver halide colloidal particles dispersed in a gelatin matrix. Nuclear emulsions are similar to photographic emulsions, except that they are used in particle physics to detect high-energy elementary particles.'

ইমালসিফায়ার কি দিয়ে তৈরি? এবং এটি কেন খাদ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে? ‘ইমালসিফায়ার’ সাধারনত: শুকরের হাড়, ডিম এবং সবজি থেকে উৎপন্ন হয়। এই দ্রবনটি খাদ্য প্রস্তুতের সময় খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত আইটেমগুলো ভালোভাবে মিশ্রনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

খাদ্য দ্রব্যে ইমালসিফায়ারের উপস্থিতি বুঝার উপায় কি? খাদ্যপণ্যের গায়ে কিছু নির্দেশনা থাকে যা থেকে বুঝা যায় যে, তাতে কোন ধরণের ‘ইমালসিফায়ার’ আছে। যেমন হালাল বুঝানোর জন্য প্যাকেটের উপরে বা খাদ্য দ্রব্যের গায়ে ই৪০১, ই৪০২, ই৪০২ সহ অনেকগুলো কোড রয়েছে, যা লেখা থাকে। পাশাপাশি হারাম উপাদান রয়েছে এটা বুঝানোর জন্য ই৪৭০, ই৪৭১, ই৪৭২ ইত্যাদিসহ আরও অনেক কোড রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও হালাল, হারাম ইত্যাদি শনাক্তকরনের জন্য এধরনের আরও অনেক কোড এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

কোডগুলো সম্মন্ধে বিস্তারিত ধারনা নেয়ার ইচ্ছে থাকলে নিচের লিঙ্কগুলোতে দেখে নিতে অনুরোধ থাকলো-

FOOD INGREDIENTS NUMBERS (e-numbers) - WorldOfIslam - Halal & Haram Food

E number

যে কথাগুলো বলা দরকার ইদানিং অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, কোন্ খাবারে কোন্ ধরনের ইমালসিফায়ার ব্যবহার করা হয় তা জানার উপায় কি? অনেকেই সঠিকভাবে বিষয়টি না জানার ফলে দ্বিধা দ্বন্ধের ভেতরে থাকেন। কেউ কেউ সন্দেহবশত: কিছু কিছু খাবার গ্রহন থেকে বিরত থাকছেন বলেও জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, প্রায় সবরকম শুষ্ক খাদ্যগ্রহন (বিস্কুট, কেক) তারা বর্জন করেছেন। বিশেষত: বিদেশী প্রোডাক্টগুলো, কারন- সেগুলোতে বেশি সন্দেহ।

সমাধান কোন পথে? এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যদি পণ্যের গায়ে কোনো কোড, চিহ্ণ বা আলামত দেয়া আছে কি না। যদি কোড, চিহ্ণ বা আলামত থাকে অথবা এমন কিছু লেখা থাকে যা থেকে বুঝা যায় যে, তাতে শুকরের হাড় থেকে তৈরী ‘ইমালসিফায়ার’ বিদ্যমান তাহলে সেই খাদ্য দ্রব্য খাওয়া জায়েজ হবে না।

পক্ষান্তরে যদি পণ্যের গায়ে এমন কোনো কোড, চিহ্ণ বা আলামত প্রত্যক্ষ করা যায়, বা এমন কিছু লেখা থাকে যা থেকে বুঝা যায় যে, ডিম বা সবজি থেকে তৈরী ‘ইমালসিফায়ার’ তাতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাহলে সে খাদ্য দ্রব্য খাওয়ায় কোনো বাধা নেই। তা খাওয়া জায়েজ হবে।



ইমালসিফায়ারের ব্যবহার বুঝানোর জন্য পন্যের গায়ে ব্যবহৃত কোডview this link

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

বিজন রয় বলেছেন: শুভসকাল।

বাংলাদেশে এমন খাবার তৈরী হয় কি না জানিনা।
তবে যাদের জন্য ওটা হারাম তাদের অবশ্যই সচেতন হওয়া জরুরী।

সচেতনমূলক পোস্ট।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভাশীষ আপনার জন্য, দাদা।

সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন। কৃতজ্ঞতাসহ।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

নজসু বলেছেন: সচেতনমূলক পোস্ট

অনেক ধন্যবাদ ভাই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। স্রেফ সচেতনতার জন্যই এই পোস্ট।

অনেক ভালো থাকবেন, কামনা।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

হাবিব বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই, অনেক সুন্দর সচেতনতা মূলক পোস্ট। তবে একটা বিষয় লক্ষনীয় শুধু ই-৪৭১ থাকলেই সেটা হারাম হবে না, কারন ই-৪৭১ বলতে মনো এবং ডাই- গ্লিসারাইড বুঝায়, যা শুকরের চর্বি থেকেও আসতে পারে আবার প্ল্যান্ট চর্বি থাকেও আসতে পারে। আপনি ই-১৭৩ এর কথা বললেন, এটা তো ইমালসিফায়ার নয়। ই-১৭৩ বলতে আলমিনিয়াম কে বুঝায় , যা খাদ্যবস্তু রং করার জন্য ব্যবহৃত হয়। আশা করি আপনি বিষয়টি নিয়ে আর একটু গবেষণা করবেন।

নিচের ছবি গুলো লক্ষ করুন।

(১)


(২)


(৩)


(৪)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন, তথ্যবিভ্রাটটি ধরিয়ে দেয়ায়। ঠিক করে দিয়েছি। আরও বিস্তারিত স্টাডির পরে পোস্ট দেয়া উচিত ছিল। যাক, ভুল হোক, শুদ্ধ হোক, বিষয়টি সামনে না এলে এই আলোচনাটুকুও তো হতে পারতো না।

দেখি, সময় সুযোগমত আরও এডিট করার চেষ্টা করবো, পোস্টটি যাতে নির্ভুল হয়। আপনার সুযোগ থাকলে, বিষয়টিতে আরও বিশ্লেষনধর্মী মতামত দিলে, পোস্টে যুক্ত করে দেয়ার ইচ্ছে থাকলো এবং সেজন্য আগাম কৃতজ্ঞতা।

মূল্যবান মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকুন প্রিয় ভাই।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনামুলক মুল্যবান একটি বিষয়ে লেখার জন্য । উন্নত বিশ্ব সহ প্রায় সকল মুসলিম দেশে ইমালসিফায়ারের বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । এটা শুধুমাত্র হালাল কিংবা হারামের বিষয় নয় এর সাথে যুক্ত আছে আরো বহুবিদ বিষযাবলী । মুসলিমরা যেমন হারাম দিকটি নিয়ে সতর্ক তেমনি ভাবে মুসলিম সহ হিন্দু, খৃষ্টান ও ইহুদি নন ভেজিটারিয়ান গ্রুপও খাদ্যদ্রব্যে এর ব্যবহার নিয়ে বেশ সচেতন হচ্ছেন ।
নেদার ল্যান্ড এর Wageningen University, এর উদ্যোগে প্রকাশিত Food Info Website What are emulsifiers and why are they used? বিস্তারিত ভাবে কিছু বিবরন দেয়া আছে যে কেও দেখে নিতে পারেন ।
এছাড়া Which E-numbers are halal and haram ? Which E-numbers are allowed by Islam ? and
Which products contain ethanol and are haram ? প্রভৃতি বিষয়ে সুন্দর করে বিবরণ দেয়া আছে । এই লিংক ফলো করে বিস্তারিত জানা যাবে । আগ্রহী যে কেও এনিম্যাল অরিজিন বিশেষ করে শুকরের হাড় থেকে তৈরী ইন গ্রেডিয়েন্ট সম্পন্ন ইমালসিফায়ারের তালিকাটিও দেখতে পারেন লিংক ফলো করে ।

মুল্যবান পোষ্ট টি প্রিয়তে গেল

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ। আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা। আপনি এসেছেন বলে, নিতান্ত সাধারন এই পোস্টটি সম্মানিত হল। মূল্যবান তথ্যাদির রেফারেন্স সমৃদ্ধ আপনার মন্তব্যটিতে +++

আশা করছি, আপনার এই ক্ষুদ্র মন্তব্যটিও জ্ঞান পিপাসুদের জন্য জ্ঞানের একটি আকর।

আপনার শারিরীক সুস্থতার জন্য নিরন্তর দুআ। আল্লাহ পাক আপনাকে পরিপূর্ন সুস্থতা দান করুন।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভালোলাগা।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আরোগ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, নকীব ভাই। এ বিষয়ে আমার কোন ধারণা ছিলো না। তবে আমার মনে হয় দেশি খাবারে না বরং বিদেশী খাবারেই এসবের ব্যবহার করা হয়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, পোস্টটি পাঠ করায়। আপনার ধারনার সাথে আমিও একমত। তবে, আমাদের কাছে বিদেশে তৈরি খাবার দাবার এখন তো নিতান্ত সহজলভ্য।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:২৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমার কোন ধারণা ছিলো না। অনেক ধন্যবাদ

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও মোবারকবাদ। অনেক ভাল লাগলো আপনাকে পোস্টে পেয়ে।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: নতুন নকিব, ভালো আর দরকারি লেখা ।
বাসার বিস্কিটের প্যাকেটের প্রিন্টিং লেভেলে ইনগ্রিডিয়েন্ট দেখলাম 'ইমালসিফায়ার' আছে কিনা ।পেলাম না । ভালো লাগছে ।এই ইনগ্রিডিয়েন্টার ব্যাপারে জানতাম না । জানলাম ।অনেক ধন্যবাদ ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



আসলে জানার বিকল্প নেই। জগতে কত কি যে আমাদের জ্ঞানের বাইরে, অজানা! চিন্তা করলেও আশ্চর্য্য হতে হয়।

বিস্কুটের প্যাকেটের প্রিন্টিং লেবেলে 'ইমালসিফায়ার' খুঁজেছেন জেনে ভালো লাগলো। সচেতনতা প্রয়োজন। আপনার আগমনে অনেক আনন্দিত। কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা জানবেন।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

সমুদ্র দয়িতা বলেছেন: নতুন এবং প্রয়োজনীয় কিছু জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

পাঠ এবং মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

সুমন কর বলেছেন: আগে জানা ছিল না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুভকামনাসহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.