নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দু:খ কষ্ট থেকে বাঁচার উপায়

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১



পার্থিব জীবন সুখ দু:খের সম্মিলিত উপাদানে মোড়ানো। জীবনে সুখ আসে। আবার দু:খ আসে। সুখ কিংবা দু:খ যা ই আসুক জীবন থেমে থাকে না। দুঃখ, কষ্ট, বিপদ ও সঙ্কট মানুষের পার্থিব জীবনের অবিচ্ছিন্ন প্রসঙ্গ। কেউ দু:খ কষ্টে নিপতিত হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মানুষের শরীরে, মন মানসিকতায়, তার পরিবারে, তার সম্পদে এমনকি তার দেশেও পরিলক্ষিত হতে পারে।

দু:খ কষ্টে পতিত হলে মানুষের স্মরণ করা প্রয়োজন তার মহান রবের অমোঘ ঘোষণা। যে ঘোষণায় তিনি বলেছেন-

‘তিনি যদি তোমাকে বিপদ দিতে চান, তিনি ছাড়া এ বিপদ থেকে বাঁচানোর কেউ নেই। তিনি যদি তোমাকে কল্যাণ দিতে চান, এ কল্যাণ ঠেকানোর কেউ নেই। তিনি সব বিষয়ে ক্ষমতাশালী।’ আল কুরআন

কোরআনে কারিমের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে-

‘বলো, তোমাদেরকে জল ও স্থলের অন্ধকার থেকে কে রক্ষা করেন? তোমরা তাকে ডাকো বিনয়ের সঙ্গে ও গোপনে। তোমরা বলো, তিনি যদি আমাদেরকে এর থেকে রক্ষা করেন তাহলে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবো।’ আল কুরআন

একজন মুসলিম মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আল্লাহতায়ালাই সব সঙ্কট থেকে রক্ষাকারী। সব বিপদ ও কষ্ট দূরকারী। এ বিশ্বাস নিয়ে সে তার কাছে দোয়া করে নিষ্ঠা ও বিনয়ের সঙ্গে। কেননা আল্লাহতায়ালা বলেন-

‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ আল কুরআন

সুতরাং, কষ্ট ও বিপদের সময় এক দিকে যেমন দুআ করতে হবে; অন্য দিকে আশা পোষণ করতে হবে, আল্লাহ পাক সঙ্কট থেকে প্রশস্ততার দিকে নিয়ে যাবেন, দুশ্চিন্তামুক্ত করবেন। দুআয় ওইসব বিষয়কে উসিলা তথা মাধ্যম বানানো উচিত, যেগুলোকে হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাধ্যম বানিয়েছেন।

ইমাম তিরমিজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সঙ্কটকালীন সময়ে বলতেন-

‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’

অর্থাৎ ‘হে চিরঞ্জীব, হে নিজ থেকে প্রতিষ্ঠিত! আমি আপনার করুণা ও দয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাই।’

বিপদ ও সঙ্কট থেকে রক্ষা পাওয়ার আরেকটি দুআ হলো- হযরত ইউনূস আলাইহিস সালাম মাছের পেটে থাকাবস্থায় যে দুআটি পড়েছিলেন। তা হচ্ছে-

‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’

অর্থাৎ ‘আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।’

হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

‘কোনো মুসলিম এটি পড়ে আল্লাহর কাছে দুআ করলে, আল্লাহ পাক তাতে সাড়া দেবেন।’ -মুসতাদরাকে হাকেম

কারন, এটি মূলত: আল্লাহ তাআলারই ঘোষণা। তিনি বলেন-

‘আমি তার (ইউনূসের) ডাকে সাড়া দিয়ে, তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছি, অনুরূপ মুমিনদেরকে আমি মুক্তি দেবো।’

সঙ্কট থেকে মুক্তি, কঠিন অবস্থা দূর করা, কিয়ামত দিবসের বিভীষিকাময় অবস্থান থেকে পরিত্রাণ লাভের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো- আল্লাহ তাআলার প্রতি দৃঢ় ঈমান, তার সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা, তার অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে এমন সকল কর্মকান্ড বর্জন, হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার বিধান অনুযায়ী সব কাজ সম্পাদন, এবং তার বিপরীতে চলা থেকে সর্বদা সতর্ক থেকে পার্থিব ক্ষনস্থায়ী জীবন পরিচালনা করা।

আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নজসু বলেছেন: আমি দোয়া ইউনুস পাঠ করে অনেক সময় ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জীবনে বহু বার বহু স্থানে বহুভাবে পরিক্ষিত এই দুআ।

মন্তব্যে, স্মৃতিচারনে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত। কৃতজ্ঞতা অশেষ।

অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
সত্যিকার অর্থেই এতে রয়েছে কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা।

পোস্টে অনেকের উপকার হবে
প্লাস+++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যিকার অর্থেই এতে রয়েছে কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা।

- একদমই সত্য বলেছেন।

কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার উপস্থিতি প্রেরনাদায়ক। মন্তব্যে +++

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

হাবিব বলেছেন: নকিব ভাই! অসাধারণ পোস্ট। ভালো লাগলো। আপনার প্রোফাইল দেখলেই বুঝা যায় আপনি কেমন মানসিকতার। সত্যিই, ভালো লেগেছে। সময়ের সেরা লেখা মনে হয়েছে আমার কাছে। এমন ফুলের সুভাষ সবার হৃদয় স্পর্শ করবে ইনশা আল্লাহ। এযেন লুকিয়ে থাকা ঝিনুকের মুক্তা। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন। আমিন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দারুন লেখাগুলোতে নিয়মিত যেতে পারি না। অনেক সুন্দর লিখে চলেছেন। বিশেষত: কবিতা। কবিতায় আপনার হাত রয়েছে। অব্যহত রাখুন।

হৃদয়ছোঁয়া মন্তব্যে আপ্লুত! কৃতজ্ঞতা জানবেন।

এই পোস্টটি লেখার পেছনে একটি প্রেক্ষাপট ছিল। ব্লগার রাজীব নূর এর একটি পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে মন্তব্যটি দেখি, অনেক বড় হয়ে গেছে। মূলত: সেটিকেই পোস্ট আকারে দেয়া হল।

অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

আরোগ্য বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট। আমি অবশ্য বিপদে পড়লে বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে আয়াতুল কুরসি পড়ি।এখন থেকে দোয়া ইউনুস পড়ার অভ্যাস করবো, ইনশাআল্লাহ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে পাঠের বিশেষ ফজিলত বর্নিত হয়েছে হাদিসে। আর দু:খ কষ্টে দুআ ইউনুস নামে পরিচিত কুরআনুল কারিমের উল্লেখিত আয়াতসহ বাকিগুলো পড়া যায়।

মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

হাবিব বলেছেন:




নকিব ভাই, আমিও সেটাই ধারনা করেছি। আমার ধারনা একদম ঠিক। আমিও রাজীব ভাইকে একটা মন্তব্যে প্রতিউত্তর করেছি এই ভাবেঃ

দুনিয়াতে জীবিত মানুষগুলো তাদের রূপ বদলায়। প্রতিনিয়ত, সব সময়। নিজেদের স্বার্থের জন্য আপনি , আমি সবাই। অন্যের পরিবর্তনটা আমার আপনার চোখে ধরা পড়ে। এইটাই জীবন। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা। সেই তো অনন্য। চিরন্তন সত্য সবাই জানে। আপনি কারো ভালো করে তার কাছ থেকে ভালো আশা করা ছেড়ে দিন আপনার কষ্ট ৫০% কমে যাবে। কাউকে বিশ্বাস করলেই যে সে আপনার বিশ্বাস রাখবে এমন ধারনা ছেড়ে দিন বাকি ৫০ % হতাশা চলে যাবে। আপনার সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কারো কাছে সত্য খোঁজা ঠিক নয়।
একটা কথা চিন্তা করুন, পৃথিবীতে যত কিছু মানুষ সৃষ্টি করেছে মোবাইল কম্পিউটার টেলিভিশন, যত কিছুই দেখবেন তা কিভাবে চালাতে হবে তারও একটা ইউজার ম্যানুয়াল দেয়া থাকে। সেই ম্যানুয়াল অনুযায়ী তাকে চালাতে হবে। অন্যথায় যন্ত্রটি থেকে ভালো কিছু আশা করা বৃথা।
এখন আরেকটু কষ্ট করুন। আচ্ছা বলুনতো আমি আপনি আমরা সবাই কথা থেকে এসেছি? কে আমাদের সৃষ্টি করেছেন? নিশ্চয় জানেন আল্লাহ আমাদেরকে সপ্তম আসমানে সৃষ্টি করেছেন। তারপর মাতৃগর্ভের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসার পথ করে দিয়েছেন। আমরা সবাই আসমানের প্রোডাক্ট। একমাত্র আসমানী ক্যাটালগ বা ইউজার ম্যানুয়াল দিয়েই এই আসমানী প্রোডাক্ট বা মানুষ ভালো মতে চলতে পারে। চরম হতাশা থেকেও পরম আশার বীজ অন্তরে বুনতে পারে। হতাশ হওয়া কুফুরী। আল্লাহ হতাশ হতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ্ কে আঁকড়ে দরুন। রাসুলের দেখানো পথ অনুযায়ী চলুন। তাহলেই মানুষ নামক এই আমি আপনি বাঁচতে পারবো শয়তানের ওয়াসয়াসা নামক ভাইরাস থেকে। এন্টি ভাইরাস হিসেবে আপনার হৃদয়ে কোরআন থাকে, আপনার মনে যদি রাসুলের ভালোবাসা থাকে তাহলেই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারবেন। অন্যথায় চরম হতাশায় তলিয়ে যাবেন। প্রিয় মানুষগুলোর দেয়া কষ্ট ভুলতে পারবেন না। তখন আপনার কাছে জ্ঞান-বাজনা, নাটক সিনেমা ভালো লাগবে, আপনি হতাশা থেকে বাঁচতে গিয়ে আর শয়তানের জালে আটকে যাবেন। সুতরাং আসুন কোরআনের পথে, রাসুলের দেখানো পথে। সেথায় মুক্তি। অন্য সকল মতবাদ মিথ্যা। তাতে মানুষের কল্যান সম্ভব নয়। পরিশেষে কোরানের কথা দিয়ে শেষ করছি


প্রথম মানব আদম (আ) এবং তাঁর স্ত্রীকে পৃথিবীতে পাঠানোর প্রাক্কালে আল্লাহ্ মানুষের জন্য জীবন বিধান পাঠানোর ওয়াদা ঘোষনা করেছেন।
قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا ۖ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
“অতঃপর আমার নিকট থেকে তোমাদের জন্য হিদায়াত আসবে। যারা তা অনুসরণ করে চলবে তাদের ভয় ও চিন্তার কোন কারণ থাকবে না”- আল বাকারাঃ৩৮

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
“যেই ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন বিধান অবলম্বন করতে চায় তার কাছ থেকে তা কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যেই থাকবে”। – আলে ইমরানঃ ৮৫

ভুল বলে থাকলে শুধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন বিশ্লেষন। অনন্য একটি মন্তব্য। কিছু স্থানে সামান্য এডিট করেছি। এডিটকৃত স্থানগুলো বোল্ড করে দেয়া হয়েছে। ধন্যবাদ রাজীব নূর কে তার মন্তব্যে এত সুন্দর প্রত্যুত্তর করায়।

দুনিয়াতে জীবিত মানুষগুলো তাদের রূপ বদলায়। প্রতিনিয়ত, সব সময়। নিজেদের স্বার্থের জন্য আপনি, আমি সবাই। অন্যের পরিবর্তনটা আমার আপনার চোখে ধরা পড়ে। এটাই জীবন। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা। কৃতজ্ঞতা যে স্বীকার করে- সে ই তো অনন্য। এটাই চিরন্তন সত্য। এই মহাসত্য সবাই জানে।

আপনি কারো উপকার করে তার কাছ থেকে উপকারপ্রাপ্তির আশা ছেড়ে দিন। আপনার কষ্ট ৫০% কমে যাবে। কাউকে বিশ্বাস করলেই যে সে আপনার বিশ্বাস রাখবে, এমন ধারনা ছেড়ে দিন, বাকি ৫০ % হতাশা চলে যাবে। আপনার সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কারো কাছে সত্য খোঁজা ঠিক নয়।

একটা কথা চিন্তা করুন, পৃথিবীতে যত কিছু মানুষ সৃষ্টি করেছে মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন, মনুষ্য উদ্ভাবিত যত কিছুই দেখবেন তা কিভাবে চালাতে হবে তারও একটা ইউজার ম্যানুয়াল দেয়া থাকে। সেই ম্যানুয়াল অনুযায়ী তাকে চালাতে হবে। অন্যথায় যন্ত্রটি থেকে ভালো কিছু আশা করা বৃথা।

এখন আরেকটু কষ্ট করুন। আচ্ছা বলুনতো, আমি আপনি আমরা সবাই কোথা থেকে এসেছি? কে আমাদের সৃষ্টি করেছেন? নিশ্চয় জানেন, আল্লাহ আমাদেরকে সপ্তম আসমানে সৃষ্টি করেছেন। তারপর মাতৃগর্ভের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসার পথ করে দিয়েছেন। আমরা সবাই আসমানের প্রোডাক্ট। একমাত্র আসমানী ক্যাটালগ বা ইউজার ম্যানুয়াল দিয়েই এই আসমানী প্রোডাক্ট বা মানুষ ভালো মতো চলতে পারে। চরম হতাশা থেকেও পরম আশার বীজ অন্তরে বুনতে পারে। হতাশ হওয়া কুফুরী। আল্লাহ হতাশ হতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহকে আঁকড়ে ধরুন। রাসুলের দেখানো পথ অনুযায়ী চলুন। তাহলেই মানুষ নামক এই আমি আপনি বাঁচতে পারবো শয়তানের ওয়াসয়াসা নামক ভাইরাস থেকে। এন্টি ভাইরাস হিসেবে আপনার হৃদয়ে যদি কোরআন থাকে, আপনার মনে যদি রাসুলের ভালোবাসা থাকে তাহলেই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারবেন। অন্যথায় চরম হতাশায় তলিয়ে যাবেন। প্রিয় মানুষগুলোর দেয়া কষ্ট ভুলতে পারবেন না। তখন আপনার কাছে জ্ঞান-বাজনা, নাটক সিনেমা ভালো লাগবে, আপনি হতাশা থেকে বাঁচতে গিয়ে শয়তানের জালে আরও আটকে যাবেন। সুতরাং, আসুন, কোরআনের পথে, রাসুলের দেখানো পথে। সেথায় মুক্তি। অন্য সকল মতবাদ মিথ্যা। তাতে মানুষের কল্যান সম্ভব নয়। পরিশেষে কোরানের কথা দিয়ে শেষ করছি

প্রথম মানব আদম (আ) এবং তাঁর স্ত্রীকে পৃথিবীতে পাঠানোর প্রাক্কালে আল্লাহ্ মানুষের জন্য জীবন বিধান পাঠানোর ওয়াদা ঘোষনা করেছেন।

قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا ۖ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

“অতঃপর আমার নিকট থেকে তোমাদের জন্য হিদায়াত আসবে। যারা তা অনুসরণ করে চলবে তাদের ভয় ও চিন্তার কোন কারণ থাকবে না”- আল বাকারাঃ৩৮

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ

“যেই ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন বিধান অবলম্বন করতে চায় তার কাছ থেকে তা কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যেই থাকবে”। – আলে ইমরানঃ ৮৫

আবারও শুভকামনা।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন।

কৃতজ্ঞতা পোস্টে আসায় এবং মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৫

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। অনেক কিছু জানতে পেরে ভালো লাগলো।

কষ্টের সময় পার করতে আমার প্রিয় আয়াত, ফা ইন্না মায়াল ঊসরী ইউসরা, ইন্না মায়াল ঊসরী ইউসরা- অবশ্যই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে, কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে.....

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ফাইন্না মায়াল ঊসরী ইউসরা, ইন্না মায়াল ঊসরী ইউসরা- আপনার প্রিয় আয়াত জেনে ভালো লাগলো।

পোস্টে আপনার আগমন, সুন্দর মন্তব্য, সর্বোপরি পোস্টে আন্তরিকতা রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৮

কাতিআশা বলেছেন: চমৎকারএবং উপকারী পোস্ট।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



হৃদ্যতাপূর্ন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অনি:শেষ।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: মাশাআল্লাহ্‌ খুব সুন্দর একটি পোষ্ট। শুভ কামনা রইলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা অনি:শেষ।

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল ভাই জানি।
অত্যন্ত মবোমুগ্ধকর একটি পোষ্ট।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়েই এই পোস্টের জন্ম। সে অর্থে এই পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য। অনেক ভালো থাকবেন।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টের জন্য আপনাকে একটা বিশেষ ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও আরেকবার ধন্যবাদ।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান ও গুরুত্বপুর্ণ লেখা ।
সামুতে থাকা হাদিছের হাদিছের পক্ষ বিপক্ষ সম্পর্কিত একটি লেখার উপরে আপনার মুল্যবান মতামত কামনা করছি ।
শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আলী ভাই,
আগমনে মুগ্ধতা। আশা করছি, দিনে দিনে সুস্থ হয়ে উঠছেন আল্লাহ পাকের রহমতে। 'হাদিছের পক্ষ বিপক্ষ' পোস্টটি একবার দেখেছি। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়েছে, কাল্পনিকভাবে হাদিছের পক্ষ বিপক্ষ তৈরি করে, সমাজে এই জাতীয় প্রচারনা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী প্রত্যেকের বিশ্বাসকে আহত করার উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হীন অপচেষ্টার অংশ বিশেষ। ইতিহাসের পাঠক মাত্রই বিদিত যে, ইসলাম ধর্মের সূচনালগ্ন থেকে কপটাচারী অবিশ্বাসীচক্র বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ইসলাম এবং মুসলিম জাতির ভেতরে অনৈক্য আর বিভেদের বীজ বপনের লক্ষ্যে ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়ে এসেছে। 'হাদিছের পক্ষ বিপক্ষ' দাড় করানোর বিষয়টি তাদের এমনই একটি এজেন্ডা।

হাদিছকে বলা হয়েছে কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ। লক্ষ লক্ষ হাদিছের মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ৬৩ বছরের পবিত্র জীবনের খুঁটিনাটি প্রতিটি দিক এবং বিভাগের নির্ভরযোগ্য বর্ননা আজও আমাদের সামনে সদা প্রতিভাত, সমুজ্জ্বল, দ্যুতিময়। কিয়ামত পর্যন্ত অনাগত প্রজন্মের কাছেও আলোকদীপ্ত থেকে যাবে। এটি কেবল নির্ভরযোগ্য হাদিছগুলো সংরক্ষনের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।

মহাগ্রন্থ আল কুরআন মানব জীবন ও জীবন ঘনিষ্ট সকল বিষয়ে ইঙ্গিত প্রদান করেছে, এটা ঠিক। কোনো কোনোটির বিস্তারিত বর্ননা উপস্থাপন করলেও সকল কিছুর বিশদ বর্ননা দেয়নি। সকল কিছুর বিশদ বর্ননা কুরআনের মত একটি মাত্র গ্রন্থে সন্নিবেশ করাও সম্ভব নয়। আর এ কারনেই প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় হাদিছ সংরক্ষনের। কারন, হাদিছের ভান্ডারই হচ্ছে কুরআনের বিশদ ব্যাখ্যা। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রাথমিক যুগে হাদিছ সংরক্ষনে নিষেধ করেছেন এই কারনে যাতে লোকেরা কুরআনের বানী উপেক্ষিত হয়ে না পরে। যাতে কুরআনের বানীর উপরে কেউ হাদিছকে অগ্রাধিকার না দেয়। সে নির্দেশনা মনে রেখেই সাহাবায়ে কিরাম তাদের জীবদ্দশায়, পরবর্তীতে তাবেয়ীগন, তাবে তাবেয়ীগন এবং পর্যায়ক্রমে মুহাদ্দিসীনে কেরামগন মহাগ্রন্থ আল কুরআনের যথাযথ গুরুত্ব বজায় রেখেই হাদিছ সংরক্ষনে মনযোগী হন এবং আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ নি:সৃত বানীসমূহের, তাঁর আচার-আচরন, কর্ম পদ্ধতি, সম্মতি, আদেশ নিষেধ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করার মহান কাজে ব্রত হয়ে উম্মতের সামনে মহান অতুলনীয় এক দ্বীনি খিদমতের আঞ্জাম দেন।

হাদিছের বিশাল এই ভান্ডার মুসলিম জাতির এক অনন্য সম্পদ। শুধুমাত্র মুসলিম জাতিরই নয়, এ সম্পদ বিশ্ব সভ্যতারও। এই সম্পদকে যারা অবজ্ঞা করে, সাহাবীদের নামে মিথ্যাচার করে, এরা সাহাবী বিদ্বেষী, প্রকারান্তরে নবী বিদ্বেষী। কারন, সাহাবীদের ভালবাসেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তিনি তাদের ক্ষমার ঘোষনা দিয়েছেন। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের সমালোচনার ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারি দিয়ে গেছেন। বলেছেন, 'সাবধান! সাবধান! আমার পরে (আমার অবর্তমানে) আমার সাহাবীদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত করো না। যে তাদের ভালোবাসবে সে প্রকারান্তরে আমার প্রতিই ভালোবাসা পোষন করলো। আর যে তাদের প্রতি শত্রুতা পোষন করলো, সে আমার সাথে শত্রুতা পোষন করলো।' আল হাদিস

উল্লেখিত পোস্টে খলিফাতুল মুমিনীন উমার রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু সম্পর্কে যে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তা ডাহা মিথ্যাচার। বিশিষ্ট সাহাবী আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু, উম্মুল মুমিনীন আয়িশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহা সম্পর্কে অমূলক উক্তি করা হয়েছে। এসব মূলত: বিপথগামীদের অপপ্রচারের সূক্ষ্ম কৌশলের অংশ বিশেষ। এই বিপথগামীদের পরিসংখ্যান দীর্ঘ। এর মধ্যে পথভ্রষ্ট শিআ সম্প্রদায়ের কিছু গ্রুপ সক্রিয়, যাদের আকিদা বিশ্বাস জঘন্য। যারা অালী রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু ব্যতিত বাকি প্রায় সকল সাহাবীকেই গালি গালাজ করতে অভ্যস্ত। তাদের কিছু উপদল রয়েছে, যারা কুরআনের ত্রিশ পারায়ও বিশ্বাস করে না। তাদের মতে, কুরআনের আরও কিছু অংশ ছিল। সেগুলো সাহাবীগন ষড়যন্ত্র করে লুকিয়েছেন। তারা বিশ্বাস করেন, একমাত্র আলী রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু সকল বিবেচনায় আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরে সবচেয়ে বেশি যোগ্য হওয়ার পরেও অন্যান্য সাহাবীদের কারনে তিনি ক্ষমতায় আরোহন করতে পারেননি। এই ধরনের অসংখ্য অভিযোগের তীর তাদের সাহাবীদের প্রতি। ইসলাম ধর্মের অনুপম সৌন্দর্য্যের ধন হাদিছের ভান্ডারকে তারা আক্রমন করে আসছে সেই বহু দিন পূর্ব থেকে। এরা বিভ্রান্ত। এদের মিথ্যাচারে ইসলাম ধর্মের স্বকীয়তায় বিন্দু পরিমান কালিমা লেপন করা সম্ভব হবে না। ধর্মপ্রান মুসলিমগন কিয়ামত পর্যন্ত মহাগ্রন্থ আল কুরআনের পরে হাদিছে নববীর বিশাল ইলমি জগত থেকে তাদের জ্ঞানের পিপাসা মিটিয়ে যাবেন, ষড়যন্ত্রের নিত্য নতুন যত জালই বুনে যাওয়া হোক না কেন, কোনো কুচক্রিকারী কারোরই ক্ষমতা নেই তাদের ফিরিয়ে রাখে, ইনশা-আল্লাহ।

আপনার পরিপূর্ন সুস্থতা কামনা করছি।

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ সুন্দর একটি পোস্ট ।

অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় নাকিব ভাইকে ।


২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ।

প্রিয় লেখকের আগমনে মুগ্ধতা।

শুভকামনা এবং অনেক অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমিন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কবিকে স্বাগত।

শুভকামনা এবং নিরন্তর ভালো থাকার প্রার্থনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.