নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
শীতের পরশ
প্রকৃতিতে ঠান্ড হাওয়ায় শীতের পরশ। আশ্বিনী বৃষ্টির পর শীতের আভাস নিয়ে এল হেমন্ত। এল নবান্নের ঋতু। আজ কার্তিকের ১৪ তারিখ। কার্তিক-অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘকে শীতকাল ধরা হলেও এই কার্তিকের হেমন্তেই শীত অনুভূত হওয়া শুরু করে। শীত শীত ভাব, শীতলতার আমেজ, সকাল সাঁঝে হালকা কুয়াশার বিচরন শীতের আগমন বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রগাঢ় আচ্ছন্নতায়।
আজও কার্তিকের নবান্ন খুঁজি
ছয় ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু হেমন্ত। কার্তিক এবং অগ্রহায়ন এ দু'মাস হেমন্তকাল। শরৎকালের পর এই ঋতুর আগমন। হেমন্ত বিদায় নেয়ার পরে আগমন ঘটে শীতের, তাই হেমন্তকে অভিহিত করা হয় শীতের পূর্বাভাস হিসেবে। সার্বজনীন গ্রাম বাংলার আবহমান কালের লৌকিক উৎসব ‘নবান্ন’ তো এসে থাকে হেমন্তের এই ‘মরা’ কার্তিকেরই পরে। 'এসে থাকে' বলছি যদিও। আসলে বলা উচিত ছিল 'আসতো'। কারন, এখন কি আর সেই নবান্নের আনন্দ আয়োজন পল্লী বাংলার ঘরে ঘরে দেখা যায়? নতুন ধানের নতুন চালের ভাতের মৌ মৌ গন্ধে এখন কি আর হৃদয় মন বিমোহিত হয়? উতসবের আমেজে মুখর হয়ে ওঠে উঠোন কোনের 'ওশ্বার' কিনার?
একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। কারণ, ধান উৎপাদনের ঋতু হলো এই হেমন্ত। বর্ষার শেষ দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে ওঠে। আর হেমন্তের প্রথম মাস কার্তিকে ধান পরিপক্ক হয়। হেমন্তে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করেই নবান্ন উৎসবের সূচনা হয়।
ঐতিহ্য অনুসন্ধানে
নবান্নে নানা ধরনের দেশীয় নৃত্য, গান, বাজনাসহ আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। লাঠিখেলা, বাউল গান, নাগরদোলা, বাঁশি, শখের চুড়ি, খৈ, মোয়ার পসরা নিয়ে বসে গ্রাম্য মেলা। যদিও আজকাল এসব ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। আজও গ্রামে গঞ্জে মেলা কোথাও কোথাও বসতে দেখা গেলেও তা নিছক 'লাকি কূপন' বিক্রির মাধ্যমে মানুষের পকেট কেটে নেয়ার জন্য স্রেফ জুয়া খেলা আর ধান্দাবাজি এবং পাশাপাশি অশ্লীলতার প্রসার ঘটানোর অপচেষ্টা ব্যতিত অন্য কিছু বলে প্রতীয়মান হয় না।
পাতা ঝরার দিন
হেমন্ত ঋতুর দৃশ্যচিত্র এ রকম- সারা দিন ধরে হিম মাখানো হালকা হাওয়ায় ঝরঝর করে ঝরে পড়ছে কোটি কোটি গাছের পাতা। হেমন্ত প্রকৃতির বিচিত্র রঙে রঙিন হয়ে ওঠার যেন বিদায় উৎসব। সোনাঝরা রোদ্দুরেও শোকার্ত মানবীর মতো বাতাসের আন্দোলন ঘিরে অবিরাম শব্দ উঠছে বুকফাটা হাহাকারে। সে শোক ছড়িয়ে পড়ছে হাওয়ায়-হাওয়ায়। সে শোক ছড়িয়ে যাচ্ছে ঝরা পাতায়। কেন এ শোক? কিসের এ শোকাবহ আবহের ঘনঘটা? হেমন্তের বিদায়ের বেদনা? হেমন্তকে হারানোর ব্যথা ছায়া?
মধ্য কার্তিকে এসেও রাজধানীসহ বাংলাদেশের অনেক এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে গত দু'দিন। দিনভর গরমের পর ভোরের হালকা ঠান্ডা হাওয়া টের পাচ্ছেন নগরবাসীও, তাই সকালের রোদ অনেকের কাছেই হয়ে উঠেছে ভিন্ন স্বাদের, অন্যরকম আনন্দের।
একটু শীতের জন্য মুখিয়ে থাকি
একটু শীতের পরশ পেতে মুখিয়ে থাকি। শীত আসি আসি করেও আসে না। এসেছে, তবে পুরোপুরি নয়। হালকা শীতের আমেজ। ফুরফুরে হিম বাতাস শরীর মনে দোলা দিয়ে যায়। অনাবিল আনন্দের ছোঁয়ায় যেন আলতো শীতের পরশ প্রকৃতিতে।
শীত; কারও কষ্টের কারন হয়ে যেন না আসে
প্রতি বছর শীতের কষ্টে প্রয়োজনীয় বস্ত্রের অভাবে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কান্নার শব্দ শোনা যায় আমাদের এই জনপদে। দু'মুঠো খাবার সংগ্রহ করা যেখানে অনেকের পক্ষে দায়, সেখানে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে গরম মোটা কাপড় তারা কোথায় পাবে? একটিমাত্র সোয়েটার দিয়ে বছরের পর বছর শীতের কবল থেকে বাঁচার চেষ্টা দেখেছি আমি। গরম কাপড়ের অভাব পূরনে গ্রামের মানুষদের 'মাটির তাওয়ায়' আগুন জ্বালিয়ে ঘর উত্তপ্ত করে রাখার প্রচেষ্টা করতে দেখেছি।
প্রচন্ড শীত! আসুন, একটু 'ওম' দিই, সাহায্যের হাতটা একটু বাড়িয়ে দিই
আমার ঘরের তাকের উপরে সাজানো এতগুলো কম্বল! দেখে চক্ষু চড়কগাছ! এত্ত এত্ত দামি! হায় হায়! লাহোরী, পাকিস্তানি, তার্কি দামি দামি ব্লাঙ্কেট! পশমি! নয়ন জুড়ানো! রয়েছে জোড়ায় জোড়ায় লেপ তোষক! সব তুলে রাখা হয়েছে! কয়টা আর গায়ে দেয়া যায়! অথচ পাশের জড়াজীর্ন ঘরের প্রতিবেশির শীত থেকে আত্মরক্ষার জন্য একটিও কম্বল নেই! তার আদরের বাচ্চাটিকে তিনি তো পশমের এমন সুন্দর দামি গরম কাপড় কিনে দিতে পারেননি। আমি কি একটিবারও তাকিয়েছি তার দিকে? একটিবার ভেবে দেখার চেষ্টা করি তাদের কষ্টের কথা? আমার কি উচিত ছিল না, তাদের সাথে সুখ দু:খগুলো মুঠি মুঠি ভাগ করে নেয়া? তাই আসুন, বেশি নয়, অনেক অনেক শীতার্ত মানুষকে সাহায্য করার প্রয়োজন নেই। আমরা শীতের আগমনের প্রারম্ভে সংকল্প করি, আমি আমার প্রতিবেশি একটি পরিবারের প্রতি দয়ার হাত বাড়িয়ে দিই। এবছরের শীতের প্রাক্কালে আমার পাশের পরিবারটিকে একটি কম্বল দিয়ে, একটি মোটা কাপড় দিয়ে, একটি সোয়েটার দিয়ে সাহায্য করি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের দায়িত্ব নিলে, এমনটা করা গেলে সারা দেশের প্রতিটি মানুষ শীতের প্রকোপ থেকে বেঁচে যেতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল, ইউটিউব
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আগমনে কৃতজ্ঞতা।
আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত। শুভকামনা।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১১
টিয়া রহমান বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া, আসলেই তো আমি নিজে ও তো কখনও খেয়াল করি নি যে আমার আশেপাশের লোকজন কেমন করে শীত নিবারণ করছে!
তবে এবার আমি অবশ্যই খেয়াল করবো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
এবার আমি অবশ্যই খেয়াল করবো
আপনার এই অত্যন্ত সুন্দর কথাটিই হোক আমাদের সবার হৃদয়ের অভিপ্রায়।
শুভকামনা পোস্টটি পাঠ, লাইক প্রদান এবং আন্তরিক মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
হাবিব বলেছেন: সবার সহযোগিতা পেলে দরিদ্র মানুষ পেতে পারে শান্তি। এই জন্যই আল্লাহ যাকাতে ব্যবস্থা করেছেন। আর তাইতো রাসুল (স) বলেন, যার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে আর নিজে পেট ভরে খায় সে মুমিন নয়। সুন্দর লিখেছেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
যাকাত ব্যবস্থা তো দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যেই। যাকাতের আবশ্যকীয়তা আর প্রয়য়োজনীয়তার কথা আমাদের প্রায় সবারই কমবেশি জানা। কিন্তু যাকাতের বিধান সঠিকভাবে আমরা মেনে চলি ক'জন? বিত্তশালীদের অধিকাংশই তো যাকাত প্রদানের নামে মহড়ার আয়োজনে ব্যস্ত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ পবিত্রকরন তাদের উদ্দেশ্য নয়, আল্লাহ পাকের নির্দেশ ফলো করাও লক্ষ্য নয়, সুবিধা বঞ্চিত কিছু মানুষ জড়ো করে শো-ডাউন করাই অধিকাংশের প্রধান আকাঙ্খা।
যার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে আর নিজে পেট ভরে খায় সে মুমিন নয়।
প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই অনিন্দ্য সুন্দর হাদিসও আমরা মুগ্ধ হয়ে পড়ি। মানবতার বুলিও আমরা আওড়ে চলেছি। কিন্তু ক্ষুধার্থ মানবতার কান্না আজও থামেনি। প্রয়োজন আক্ষরিক অর্থে এই হাদিসের বাস্তবায়ন। সেই বোধ আমাদের মন ও মননে জাগ্রত হোক।
সুন্দর কমেন্ট রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকুন।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ভালো লাগা রইলো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আগমনে মুগ্ধতা এবং কৃতজ্ঞতা।
প্রেরনাদায়ী মন্তব্যে +++
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ! ঋতু পরিবর্তনের আনন্দের মাঝে আমাদের কে সুবিধা বঞ্চিতদের কস্টের কথা ও মনে রাখতে হবে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
ঋতু পরিবর্তনের আনন্দের মাঝে আমাদের কে সুবিধা বঞ্চিতদের কস্টের কথা ও মনে রাখতে হবে।
জ্বি, সুখ দু:খ মিলিয়ে সর্বাবস্থায় অভাবীদের প্রতি নজর রেখে যাওয়ার চেষ্টা থাকাই হওয়া উচিত আমাদের ব্রত।
আগমনে কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা অশেষ।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
রাকু হাসান বলেছেন:
খুব সুন্দর বলেছেন নকিব ভাইয়া । আমাদের একটু হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বস্ত্রহীনরা একটু হলেও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে ।+
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাদের একটু হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বস্ত্রহীনরা একটু হলেও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।
ঠিক বলেছেন। এই কথাটিই আমাদের সকলের ভাবনায় থাকা দরকার।
অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা নিরন্তর।
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০১
আরোহী আশা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
আমার ব্লগে আমন্ত্রন রইলো।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ব্লগে দাওয়াত দেয়ায় ধন্যবাদ। যাব ইনশাআল্লাহ। আপনি কি ব্লগে সেইফ এখন?
লেখা ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকুন।
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: খু সুন্দর।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা অশেষ।
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আরোগ্য বলেছেন: নকীব ভাই খুব ভাল লিখেছেন। প্রকৃতির পরশ দিয়ে বাস্তবতা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আমরা চেষ্টা করি মানুষকে সাহায্য করার জন্য, বিশেষ করে যারা নিকটস্থ। এ ব্যাপারে আমার মা ও নানু বেশ তৎপর।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
আমরা চেষ্টা করি মানুষকে সাহায্য করার জন্য, বিশেষ করে যারা নিকটস্থ। এ ব্যাপারে আমার মা ও নানু বেশ তৎপর।
আনন্দিত হলাম এটা জেনে যে, আপনার মা এবং নানু অভাবীদের নিয়ে ভাবেন, তাদের অভাব মোচনে সাধ্যমত চেষ্টা করেন। আপনি নি:সন্দেহে ভাগ্যবান।
কৃতজ্ঞতা অশেষ।
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: খুবই উপকারী পোস্ট, ধন্যবাদ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে হেমন্ত, এমকি কোন ঋতুই ঠিকভাবে অতিবাহিত হচ্ছে না। মানুষ তাহলে কিভাবে মনে রাখবে পিছনের সেই সোনালী দিনগুলো??? জলবায়ু পরিবর্তনের সাথেই মানুষের মনের ও পরিবর্তন হয়েছে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
যৌক্তিক কথা বলেছেন। পরিবর্তিত জলবায়ু সবকিছুর উপরেই গভীর প্রভাব ফেলে চলেছে। ঋতু বৈচিত্র পর্যন্ত হারিয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।
ধন্যবাদ পোস্টে আসায় এবং সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
ফোয়ারা বলেছেন:
সাহায্যের হাত সবাই বাড়িয়েদে...... কিন্তু বাঙালি জাতির তাতেও মন ভরে না।
আপনি একটি বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন। তা হলো... লাকি কুপন। এটা এখন দেশের প্রতিই মেলাই ছোঁয়াছের মত ছড়িয়ে গেছে। আর হ্যাঁ... এখন আর নবান্ন মেলা কিংনা পুরানো নাম নিয়ে মেলা চোখে দেখা যায় না। দেশের সরকার নতুন মেলা দিছে। বিজয় মেলা..... মূলত এই বিজয়মেলায় লাকি কুপনের সুত্রপাত।
ধন্যবাদ
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্য রেখে গেলেন। কৃতজ্ঞতা অশেষ।
আপনার সাথে দ্বিমত করার অবকাশ নেই। গ্রাম গঞ্জ ভরে যায় এইসব লাকি কূপনের ছড়াছড়িতে। লাকি কূপনের নামে স্রেফ জুয়ার আসর এগুলো।
এগুলো প্রতিহত করা প্রয়োজন। টোটালি বন্ধ করা প্রয়োজন। শীত এলেই এই উতপাত বেড়ে যায়। গরিবের পকেট কেটে আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে যায় রাঘব বোয়ালরা। সারা দিন মাইকিং করে করে টিকিট বিক্রি। রাতে ড্র এর নামে ছলচাতুরি।
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,
আপনার এমন নাড়া দেয়া লেখাটি পড়ে মনে হলো এই গানটি বাহুল্য হবেনা ---
"পৃথিবী বদলে গেছে
যা দেখি নতুন লাগে .." ( কিশোর কুমার )
আসলেই বদলে গেছে সব । অথচ আপনার মতোই আমিও আজও কার্তিকের নবান্ন খুঁজি । খুঁজি শীতের খেজুর রসের গন্ধ । হাতরে বেড়াই গ্রামবাংলার পথে ঘাটের মুখগুলিতে নবান্নের হাসি, শীতের রসের আমেজ । পাইনে। হারিয়ে গেছে সব । সব কিছু কেমন করে যেন মায়া-মমতাহীন ভাবে বদলে গেছে !
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক হৃদ্যতাপূর্ন মন্তব্যে আপ্লুত! আহ্ কি অকৃত্রিম আবেগ! হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর জন্য কি রুদ্ধশ্বাস মোহময়তা!
কৃতজ্ঞতা জানবেন। আমার মতোই আপনিও কার্তিকের নবান্ন খোঁজেন জেনে অনুভবে আপনার হৃদয়ের আকুতি শুনে কৃতার্থ হলাম। শীতের সেই আমেজ, নবান্নের সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না কোনো দিন।
আর ঠিকই বলেছেন, সব কিছু কেমন যেন বদলে গেছে। মায়া মমতারাও কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
১৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আগের মত এখন আর কোন উৎসবে আমেজ পাওয়া যায়না।
+++++
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। সেই দিনগুলোকেই খুঁজে ফেরে পিয়াসী অন্তর।
কৃতজ্ঞতা অশেষ।
১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নবান্নের সন্ধানে ঋতুময় পোষ্টে ভাললাগা
আসলে গ্রীস্ম বর্ষা আর শীত ছাড়া বাকীগুলো কখন আসে কখন যায় ক্যালেন্ডারের পাতা ছাড়া বোঝা যা কমই!
বিশেষত নগরাঞ্চলে।
গ্রামে এখনো কিছুটা আবেশ প্রকৃতিতে তাকালে পাওয়া যায় বটে।
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায় - - -
যায় দিন আর ফেরেনা ভায়া। তাই নতুনেরেই স্বাগত
+++
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
নবান্নের সন্ধানে ঋতুময় পোষ্টে ভাললাগা
আসলে গ্রীস্ম বর্ষা আর শীত ছাড়া বাকীগুলো কখন আসে কখন যায় ক্যালেন্ডারের পাতা ছাড়া বোঝা যা কমই!
বিশেষত নগরাঞ্চলে।
গ্রামে এখনো কিছুটা আবেশ প্রকৃতিতে তাকালে পাওয়া যায় বটে।
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায় - - -
যায় দিন আর ফেরেনা ভায়া। তাই নতুনেরেই স্বাগত
আগমনে মুগ্ধতা। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
হৃদ্যতার ছোঁয়া রেখে গেলেন দারুন মন্তব্যে।
বাস্তব একটি কথা বলেছেন, যায় দিন আর ফেরেনা বলে, নতুনেরেই স্বাগত জানাতে হবে। সেটাই করে যাচ্ছি আমরা। ইচ্ছেয় কিংবা অনিচ্ছায়।
১৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫
মুক্তা নীল বলেছেন: সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আপনি অনেক ভালো একটি পোস্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর ভাবনাকে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অনি:শেষ।
যদি কিছু মনে না করেন, আপনার থেকে একটি পোস্ট আশা করতে পারি কি? মন্তব্যে আপনি ভালো। আশা করি, পোস্টেও নিশ্চয়ই ভালো করবেন।
শুভকামনা আপনার জন্য।
১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫০
নজসু বলেছেন: শীতে কষ্ট পাওয়া লোকেরা ব্যতিত শীতকালটাই মজার।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে স্যালুট জানাই।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার আগমনে আনন্দিত।
আন্তরিক অভিবাদন জানবেন। অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।
১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৪১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: নুতুন নকিব,
সুন্দর পোস্ট ।হ্যা নবান্নের উৎসবে অনেকেই আমরা ভুলে যাই শীত শুধু ঝড়া পাতায় আসেনা, সত্যি জীবনেও আসে । তখন কারো কারো জন্য হাত বাড়িয়ে না দিলে তাদের শীত আর উৎসব থাকেনা উৎপাত হয়ে লিখা হয় জীবনের পাতায় পাতায় । আমাদের সবারই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই শীতের দিনে অন্যদের একটু উষ্ণতার জন্য চেষ্টা করে দরকার।ভালো লাগলো লেখা অনেক ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট ।হ্যা নবান্নের উৎসবে অনেকেই আমরা ভুলে যাই শীত শুধু ঝড়া পাতায় আসেনা, সত্যি জীবনেও আসে । তখন কারো কারো জন্য হাত বাড়িয়ে না দিলে তাদের শীত আর উৎসব থাকেনা উৎপাত হয়ে লিখা হয় জীবনের পাতায় পাতায় । আমাদের সবারই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই শীতের দিনে অন্যদের একটু উষ্ণতার জন্য চেষ্টা করে দরকার।ভালো লাগলো লেখা অনেক ।
আপনার সুচিন্তিত আন্তরিক মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। আপনার প্রতিটি মন্তব্য আমার নিকট মূল্যবান। কারন, দেখেছি আপনার শব্দের বুননে মিশে থাকে হৃদ্যতার ছোঁয়া।
অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।
১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২৬
চাঙ্কু বলেছেন: আহ! খেজুরের রস!!
দেশ নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে কিন্তু প্রতি বছর শীতে মানুষ মারা যাচ্ছে!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আহ! খেজুরের রস!!
চিনি জ্বাল দিয়ে তাতে রং মিশিয়ে খেজুরের গুড়ের ফ্লেভার মিশিয়ে খাঁটি খেজুরের পাটালিসহ নানান ধরনের গুড় পাওয়া যায় বাজারে। কিনে টেস্ট করে দেখতে পারেন। এমনভাবে ফ্লেভার মেশানো হয়, ভাবতেই পারবেন না, এতে আদৌ খেজুরের গুড়ের গ-ও যে নেই। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। গুড় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জেনেছি।
দেশ নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে কিন্তু প্রতি বছর শীতে মানুষ মারা যাচ্ছে!
সেটাই প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
নীলপরি বলেছেন: মরমী লেখা । ভালো লিখেছেন ।