নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালাতুত তাসবিহ: জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত যে নামাজ: আসুন জেনে নিই এই নামাজের গুরুত্ব এবং আদায়ের নিয়মাবলী।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০



সালাতুত তাসবিহ কাকে বলে?
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক, সালাতুত তাসবিহ কাকে বলে? অন্যান্য নফল নামাজের মতই সালাতুত তাসবিহও নফল নামাজ- এই নামাজে বার বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবিহটি পড়া হয়। নামাজের ভেতর বার বার তাসবিহ পড়তে হয় বলে এই নামাজকে সালাতুত তাসবিহ বা তাসবিহ-এর নামাজ বলা হয়।

এ নামাজের ফজিলত ও আদায়ের নিয়ম
এ নামাজের বিশেষ ফজিলত হাদিসে বর্নিত রয়েছে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পিতৃব্য হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহুকে এই নামাজ আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেন। দীর্ঘ হাদিসটি এখানে তুলে ধরা সমীচিন মনে করছি-

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্নিত, একদিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আমার পিতা) হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে বললেন, ‘হে চাচাজান! আমি কি আপনাকে একটি উপহার দেব না? আমি কি আপনাকে এমন দশটি কথা বাতলে দিব না, যা পালন করলে আল্লাহ তাআ'লা আপনার ছোট-বড়, নতুন-পুরাতন, ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত সকল গোনাহ মাফ করে দেবেন?

সেই দশটি কথা এই যে, আপনি চার রাকাআত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাআতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে দাঁড়ানো অবস্থায় পনেরো বার পড়বেন-
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ (সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার)

অতঃপর রুকুর তাসবিহ-এর পর রুকু অবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার। তারপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় (এ সাতবিহ) ১০ বার। অতঃপর সেজদার তাসবিহ-এর পর মাথা নত করবেন এবং সেজদাবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার। তারপর দুই সেজদার মাঝে বসে (এ তাসবিহ) ১০ বার। অতঃপর পুনরায় দ্বিতীয় সেজদায় ১০ বার এবং পুনরায় সেজদা থেকে মাথা ওঠিয়ে ১০ বার। মোট প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাআতে মোট ৩০০ বার এ তাসবিহ পাঠ করবেন।

হে চাচা! এভাবে যদি প্রতিদিন একবার এ নামাজ পড়তে সক্ষম হন; তাহলে খুব ভালো। সম্ভব না হলে প্রত্যেক জুমআর দিনে একবার পড়বেন। তা-ও সম্ভব না হলে প্রতি মাসে একবার, তা-ও সম্ভব না হলে বছরে একবার, তা-ও সম্ভব না হলে জীবনে একবার হলেও পড়ুন।' (সুনানে আবু দাউদ, সালাতুত তাসবিহ; জুযউল কিরাআ লিল বুখারি)

আল্লাহ পাক তাঁর অভিমুখী প্রত্যেককে গুরুত্ব অনুধাবন করে এই নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন।

ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জন্যও নিরন্তর কল্যান কামনা করছি।

এই নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতা আছে আপনার?

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

পথচারী শিশুদের বন্ধুূ বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



পথচারী শিশুদের বন্ধু! আহ, নামটাই তো বেশ সুন্দর!

অধমের ব্লগে আপনার এটাই সম্ভবত: প্রথম পদচারনা। ঠিক মনে পড়ছে না। স্বাগত। উষ্ণ অভিনন্দন।

পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সালাতুত তাসবিহ: জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত।
সালাতুত তাছবীহ অত্যম্ত ফযীলতপূর্ণ নামায। এই নামাযে তিন শতবার তাছবীহ পাঠ করা হয়, তাই এই নামাজকে সালাতুত তাছবীহ বলা হয়। এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলে সপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, যদি তাও না হয় বছরে একবার পড়া উচিত। যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়ে নিবেন । বিখ্যাত ওলামায়ে কেরামদের মতে,বিপদ-আপদ এবং চিন্তার অবসানের জন্য সালাতুত তাছবীহের চেয়ে কার্যকরী আমল আর নেই।
যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন যাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আল্লাহর হুকুম এবং নবীজীর সুন্নত মোতাবেক ছিল। তারা সত্যিই আল্লাহর দরবারে নিজেদের অপরাধী, গুনাহগার, জালেম মনে করতেন।তারা গ্রহণ করতেন গুনাহ মাফের কার্যকরী এই পন্থা। তাই তো হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ প্রতি শুক্রবার এই নামাজ আদায় করতেন। হজরত আবু জাওযা রহঃ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রতিদিন জোহরের আজানের পর জামাত শুরু হওয়ার আগে সালাতুত তাসবিহ পড়তেন।হাদীসে আছে, এই নামায পড়লে আল্লাহ পাক, আপনার আগের-পাছের, পুরাতন-নতুন,ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছোট- বড়, গোপনে করা বা প্রকাশ্যে করা- যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্য ভালো লাগলো। বিস্তারিত বলেছেন আপনি। ড. এম এ আলী ভাইয়ের মত করে আপনিও মন্তব্যে মাঝে মাঝে বিষয় রিলেটেড দীর্ঘ আলোচনা করে থাকেন। এটা বেশ উপভোগ্য। উপকারীও বটে। আপনার সুস্বাস্থ্য এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। আপনার উপস্থিতি সত্যি প্রেরনা এবং আনন্দের। আপনি আমাদের প্রিয় ছড়াকার।

অনেক ভালো থাকুন।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

ঢাকার লোক বলেছেন:
অনেক প্রখ্যাত উলেমা সালাতুত তাসবীহ নামাজ সম্বন্ধে হাদীসটিকে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন এবং এর বর্ণিত ফজিলত প্রশ্নসাপেক্ষ . দেখুন, Click This Link
https://www.youtube.com/watch?v=sO5gyDDT5fk

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এসব অতি জটিল বিশ্লেষন ফলো করলে হাদিস বলতে আমল করার মত তেমন কিছু অবশিষ্ট থাকবে বলে মনে হয় না। ঐ যে কথায় বলে না, ঠগ বাছতে গা উজার। এগুলো করার পেছনে মানুষদের উপকারের চিন্তা মাথায় ছিল? না কি অপকার, মানে, আমলহীনতার দিকে মানুষকে কনভার্ট করা?

যাই হোক, আপনাকে ধন্যবাদ, লিঙ্কটি এখানে দিয়ে যাওয়ায়। এমনসব ঠুনকো অযুহাত কোনো কোনো পক্ষের থেকে বিভিন্ন আমলের ক্ষেত্রে হরহামেশাই পেয়ে থাকি। উম্মতের কল্যান বিবেচনায় এগুলো এভয়েড করাই শ্রেয় মনে করি।

ভালো থাকবেন।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০

হাবিব বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খায়রান

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা। হাইয়্যাকুমুল্লাহু তাআ'লা।

নিশ্চয়ই ভালো আছেন, ইনশাআল্লাহ।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

আরোগ্য বলেছেন: ঢাকার লোকের সাথে সহমত। যদি এই নামাজ এতটা গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে কোরানে থাকতো আর তা না হলেও একাধিক হাদিস থাকতো।তবে যয়ীফ হাদিসও মানা যায়।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে কোনো সুন্নত আমল কুরআনের আয়াত দ্বারা সাব্যস্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। অসংখ্য সুন্নত রয়েছে যার বর্ননা কুরআনুল কারিমে নেই। রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র জীবনাচরন, তাঁর সম্মতি, আদেশ উপদেশ, আমল সবই সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। সালাতুত তাসবিহও এমনই একটি সুন্নত আমল। এই নামাজকে এর বেশি কিছু মনে করার কারন নেই।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

কাতিআশা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক গত কালই আপনাকে কেন মনে পড়েছে জানি না। আজ সকালেই আপনার দর্শন পেলুম এই পোস্টে। মুগ্ধতা। শুকরিয়া। আল্লাহ পাক আপনাকে ভালো রাখুন।

পোস্টে এসে মন্তব্যে অভিব্যক্তি জানিয়ে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা নিরন্তর।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

নীল-দর্পণ বলেছেন: বেশ আগে, বয়স কম ছিল, তখন পড়েছিলাম মনে হয়, পড়ার সময় তাড়াহুড়া করেছিলাম কখন এই তাসবীহ শেষ হবে! ভেবেছিলাম জীবনে একবার পড়া দরকার , তাই পড়ে নেই। এখন মনে হচ্ছে আবার পড়া দরকার, বেশ উপভোগ্য হবে পড়তে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ স্মৃতি শেয়ার করায়। আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এই পোস্টে বলিনি। বলিনি, প্রয়োজন হয়নি বলেই। আপনি যেহেতু অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, তাই বলছি, এই নামাজ পড়ে কঠিন এক বিপদে আল্লাহ পাকের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ, অল্প সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত ফলাফল লাভ করেছি।

আশা করি, এই নামাজ যখনই সময় পান, সারা জীবনই ইনশাআল্লাহ কন্টিনিউ পড়ার চেষ্টা করবেন।

অনেক ভালো লাগলো পোস্টে আপনাকে পেয়ে। পুরনো গুনী ব্লগারদের এই ব্লগ আঙিনার রত্ন মনে করি।

শুভকামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.