নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন কোন ব্যক্তিকে শহীদ বলা যাবে? আসুন, জেনে নিই শহীদের মর্যাদা ও ফযীলত

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮



শহীদের পরিচয়
ইসলামে শহীদের মর্যাদা অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। ইহা একটি ইসলামী পরিভাষা। যা কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিভাষা নয়। সুতরাং শহীদের মর্যাদা লাভের জন্য প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে মুসলিম হতে হবে।

যদি দ্বীনের উপর অবিচল থাকার কারণে আল্লাহ পাকের কোনো বান্দা-বান্দীকে হত্যা করা হয়, অথবা দ্বীনের পথে জিহাদ ও মেহনত করতে গিয়ে কারো মৃত্যু হয়, তবে শরীয়তের পরিভাষায় তাকে শহীদ বলে। আল্লাহ পাকের দরবারে শহীদের অনেক অনেক মর্যাদা। কুরআনুল হাকিমে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,

وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ

'যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে, তাদেরকে অন্য মৃতদের মতো মনে করো না। বরং তারা বিশেষ হায়াত প্রাপ্ত এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে বিভিন্ন রিযিক ও নেয়ামত প্রাপ্ত হচ্ছে।' সূরাহ আলে ইমরান, ৩/১৬৯

শহীদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে মুসলমান আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে লড়াই করবে, কেবলমাত্র সেই-ই আল্লাহর পথে লড়াই করল’ তাকে শহীদ বলা হয়। তাকে শহীদ এজন্য বলা হয় যে, সে জান্নাতে উপস্থিত হয়ে যায়। শহীদের মর্যাদায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন -

وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِنْ لَا تَشْعُرُونَ [٢:١٥٤

অর্থাৎ 'আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।' (সূরাহ আল বাক্বারা : ১৫৩)

শহীদের মর্যাদা যে কত উর্দ্ধে ভাবতেও বুকে শিহরন ওঠে! আল্লাহু আকবার! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিম্নোক্ত হাদিসগুলোতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়-

এক হাদীসে এসেছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

مَا أَحَدٌ يَدْخُلُ الجَنَّةَ يُحِبُّ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا، وَلَهُ مَا عَلَى الأَرْضِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا الشَّهِيدُ، يَتَمَنَّى أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا، فَيُقْتَلَ عَشْرَ مَرَّاتٍ لِمَا يَرَى مِنَ الكَرَامَةِ

'কোনো জান্নাতী এটা চাবে না যে, তাকে আবার দুনিয়াতে পাঠানো হোক, যদিও তাকে সারা পৃথিবীর মালিক বানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু একজন শহীদ তাঁর জান্নাতী মর্যাদা প্রত্যক্ষ করে কামনা করতে থাকবে, তাকে অন্তত দশবার দুনিয়াতে পাঠানো হোক, যেন প্রতিবার সে শহীদ হয়ে আসতে পারে।' বুখারী, হাদীস নং ২৮১৭

স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শহীদী মৃত্যুর তামান্না করে ইরশাদ করেন,

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ… لَوَدِدْتُ أَنِّي أُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ

'ঐ সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! আমার বড় ইচ্ছে হয়, আমি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হবো! আমাকে জীবিত করা হবে, আবার আমি নিহত হবো! পুনরায় আমাকে জিন্দা করা হবে এবং আমি আবার আল্লাহর রাস্তায় জীবন বিলিয়ে দিবো!' সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭২২৬

সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহিল আযীম! সুবহানাল্লাহি বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আযীম! অবিহামদিহী আসতাগফিরুহূ! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজের জন্য শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করেছেন! অথচ আমরা আজ কোথায়! আমাদের মৃত্যু থেকে পালিয়ে বাঁচার কি উদগ্র বাসনা! কি অন্যায় অভিলাষ! কি ফাঁকি দেয়ার মানসিকতা স্থান করে নিয়েছে আমাদের ঈমানের ঘরে! মরতে হবে এটা নির্ঘাত সত্য!

মরন থেকে যতই পালাও মরন তোমায় লইবে ঘিরি,
যদিও তুমি লুকাও গিয়ে আকাশ পানে লাগিয়ে সিড়ি।

যে মরন আসবেই, যে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী তাকে এত ভয় কেন? তাকে আলিঙ্গনে কেন এত দ্বিধা? কেন এত সঙ্কোচ? বরং সাহসের সাথে, ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান হয়ে প্রতি দিনের প্রার্থনায় বরাবরই আমাদের কামনা থাকতে হবে, 'হে আল্লাহ, হে মহান দয়ালু দাতা, আপনি আমাকে শহীদের মৃত্যু দান করুন।'



আরেক হাদীসে হসেছে,

لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ: يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ، وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الجَنَّةِ، وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَيَأْمَنُ مِنَ الفَزَعِ الأَكْبَرِ، وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الوَقَارِ، اليَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الحُورِ العِينِ، وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ

শহীদ আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে বড়বড় ছয়টি পুরস্কার পাবে। পুরষ্কারগুলো হচ্ছে-

এক. তাকে তৎক্ষণাৎ ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং তাকে তার জান্নাতী নিবাস দেখনো হবে।

দুই. কবরের আযাব মাফ করে দেয়া হবে ।

তিন. হাশরের ময়দানে যখন ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই সন্ত্রস্ত ও পেরেশান থাকবে, তখন আল্লাহ পাক তাকে সেই পেরেশানি ও বিভীষিকা থেকে মুক্ত রাখবেন।

চার. সেদিন তার মাথায় এমন একটি সম্মাননা মুকুট পরানো হবে, যার একেকটি হীরা ও মুক্তা দুনিয়া ও তার সব কিছু থেকে দামী হবে।

পাঁচ. স্ত্রী হিসাবে তাকে বাহাত্তর জন হুর দান করা হবে।

ছয়. তার নিকটজনদের মধ্যে হতে সত্তরজনের ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ১৬৬৩

অন্য এক হাদীসে এসেছে,

يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ

প্রদেয় ঋণ ব্যতীত শহীদ ব্যক্তির সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেবেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৮৬

বিশ্বনবীর ভাষায় শহীদ যারা
হযরত জাবের বিন আতিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করা ছাড়াও সাত প্রকার শহীদ রয়েছে। তারা হলো-

أن جابر بن عتيك أخبره :أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال الشهداء سبعة سوى القتل في سبيل الله المطعون شهيد والغرق شهيد وصاحب ذات الجنب شهيد والمبطون شهيد والحرق شهيد والذي يموت تحت الهدم شهيد والمرأة تموت بجمع شهيد

১- মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী,
২- পানিতে নিমজ্জিত ব্যক্তি,
৩- শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত শহীদ,
৪- পেটের রোগে মৃত্যুবরণকারী,
৫-আগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী,
৬- যে ব্যক্তি ধ্বংসাবশেষের নিচে পড়ে মারা যায়,
৭- প্রসবকালীন সময়ে মৃত্যুবরণকারী নারী। (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস নং-৫৫৪, ৮০২, আল মু’জামুল কাবীর, হাদিস নং-১৭৮০, সহীহ কুনুজু সুন্নাতিন নাবাবিয়্যাহ, হাদিস নং-২৩)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদিসে আরো বলেন-
১. যে ব্যক্তি তার দ্বীনের (ইসলাম) জন্য নিহত হয়;
২. যে ব্যক্তি তার জীবন রক্ষার্থে নিহত হয়;
৩. যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হয়;
৪. যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ। (মুসলিম, মিশকাত)

হাদিসের নির্ভরযোগ্য কিতাব মুসনাদে আহমাদে আরো এসেছে- ‘যে ব্যক্তি অত্যাচারের স্বীকার হয়ে (মজলুম তথা নির্যাতিত অবস্থায়) নিহত হয়, তিনিও শহীদ।’

তবে ইসলামের জন্য রক্তদানকারী শহীদের সঙ্গে এ সব শহীদের পার্থক্য হলো, দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাযা সবই হবে। কিন্তু এ সব মুমিনগণ পরকালে শহীদের নেকী ও মর্যাদা লাভ করবেন।

উল্লেখিত ঘটনাবলীতে মৃত্যুবরণকারীগন হাদিসের পরিভাষায় যেহেতু শহীদের মর্যাদাপ্রাপ্ত, সুতরাং, তাদের মৃত্যুতে তাদের জন্য হাহুতাশ বা আফসোস না করে আল্লাহ তাআলার দরবারে শহীদী মর্যাদা লাভের জন্য দোয়া করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।

শহীদদের আরও যেসব শ্রেণীতে ভাগ করা যায়
১. যারা দুনিয়া ও আখিরাতে শহীদ। তাঁরা হলেন- অবিশ্বাসীদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত মুমিন ব্যক্তি;
২. আখিরাতে শহীদ। তারা হলো উপরে বর্ণিত দ্বীনের (ইসলামের)জন্য ব্যতিত অন্যান্য শহীদগণ;
৩. দুনিয়াতে শহীদ, আখিরাতে নয়। তারা হলো- যুদ্ধের ময়দানে গণীমতের মাল আত্মসাৎকারী অথবা জিহাদ থেকে পলাতক অবস্থায় নিহত ব্যক্তি।’ (ফিক্বহুস সুন্নাহ)

হায়! দুনিয়াতে যদি আল্লাহর রাস্তায় আমাদের সঙ্গেও জুলুম করা হতো!
শহীদের মতো আল্লাহ পাকের রাস্তায় কেউ যদি কষ্টের সম্মুখীন হয়, কারো শ্লীলতা হানি হয়, ধন-সম্পদ লুণ্ঠিত হয়, তবে আল্লাহ তাআলার দরবারে এমন ব্যক্তিও অনেক বড় বড় সম্মান প্রাপ্ত হয়, যা দেখে ওলী-বুযুর্গরাও ঈর্ষা করে। দুনিয়াতে এ নিয়ম আছে যে, সরকারের অনুগত সৈনিকেরা যদি বীরত্ব প্রদর্শন করে এবং রাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষায় হতাহত হয়, তবে তাদেরকে রাষ্ট্রের পক্ষ হতে বড় বড় পুরস্কার ও খেতাব দেওয়া হয়। তেমনি যারা আল্লাহর দ্বীনের কাজ করার অপরাধে প্রহৃত হয়, লাঞ্ছিত হয়, এবং নানা ধরনের ক্ষতি ও বঞ্চনার শিকার হয়, আল্লাহ পাক কেয়ামতের দিন তাদেরকে জনসমক্ষে এমন এমন সম্মান আর মর্যাদা দান করবেন যে, অন্যরা তা দেখে আক্ষেপ করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি আল্লাহর রাস্তায় আমাদের সঙ্গেও জুলুম করা হতো, লাঞ্ছনা আর গঞ্জনার আচরণ করা হতো, তাহলে এই পুরস্কার ও সম্মান লাভ করে আমরাও আজ ধন্য হতাম!

আয় আল্লাহ! এমন সুযোগ যদি আমাদের জীবনে আসে, তবে আমাদেরকে আপনি দৃঢ়পদ রাখুন, আপনার নুছরত আমাদের সাথী করুন, আপনার মুহাব্বতের বহ্নিশিখা আমাদের হৃদয়ে প্রজ্জ্বলিত করে দিন।

ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক, প্রত্যেক মানুষকে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ তাআ'লা উম্মাতে মুসলিমাকে শহিদী মৃত্যু দান করুন। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজের জন্য যেভাবে শাহাদাতের মৃত্যুর তামান্না পোষন করতেন, আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেককে তাদের হৃদয়-মনেও তেমনি শাহাদাতের তামান্নাকে জিন্দা করে দিন। শহীদের মর্যাদা লাভের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা পোষণ করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে শহীদী মৃত্যু নসিব করুন। আমিন।

পুনশ্চ: এই নিবন্ধটি লেখার পেছনে ছোট্ট একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে, গত দু'এক দিন পূর্বে জনৈক ভদ্রলোক আমার নিকট একটি বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, আমাদের দেশের সাবেক একাধিক রাষ্টপতিসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি যারা মৃত্যুবরন করেছেন এবং যাদের নামের সাথে শহীদ কথাটি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এরকম অনেক ব্যক্তির নামের সাথে শহীদ শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়? ইসলামী দৃষ্টিকোন বিবেচনায় কাউকে শহীদ হিসেবে গন্য করার শর্ত কি কি?

ভদ্রলোকের প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়েই মূলত: এই নিবন্ধের সূত্রপাত। তাকে ধন্যবাদ দিতে হয়। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভদ্রলোকের প্রশ্নের উত্তর নিবন্ধের ভেতরে আশা করি এসে গেছে। কষ্ট করে খুঁজে নেয়ার দায়িত্ব জ্ঞানী পাঠকবৃন্দের উপরে।

আমাদের ধারনা, এমনসব প্রশ্নের উদ্রেক অনেকের মনে স্বাভাবিকভাবেই হয়ে থাকে। বরং হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এসব ক্ষেত্রে উত্তর জানার সুযোগ হয়তো অনেকেরই হয়ে থাকে না। অনেকের সেই কৌতুহল মেটানোর জন্যই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আল্লাহ পাক আমাদের সকল নেক আমল কবুল করুন। শুভকামনা সকলের জন্য। সকলে ভালো থাকুন।

ছবি: গুগল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

যোখার সারনায়েভ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। প্রথম কমেন্ট প্রথম লাইকে কৃতজ্ঞতা।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



অশেষ ধন্যবাদ আপনাকেও। জানার জন্য। মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।

গতকালকের প্রোগ্রামে আপনাকে দেখলাম না যে! আপনি কি যেতে পারেননি?

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

হাবিব বলেছেন:




নকীব ভাই খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন ,..........
খুব ভালো লাগলো.........

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আগমনে আনন্দিত হলাম। কেমন আছেন? পরিবার পরিজন সকলে ভালো তো ইনশাআল্লাহ?

কল্যানের দুআ থাকলো।

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

নজসু বলেছেন:



আস সালামু আলাইকুম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ওয়াআলাইকুমুসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ।

কৃতজ্ঞতাসহ মুগ্ধতা আপনার আগমনে।

কল্যানের দুআ থাকলো।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: অনেকদিন পরে কিছু সত্য কথার স্পর্শে আসলাম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আপনার মূল্যবান মতামত সবসময়ই প্রেরনার।

কল্যানের দুআ।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া।

কেমন আছেন ভাই?

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

বাংলার মেলা বলেছেন: যা বলছেন জেনে বুঝে বলছেন তো? শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাম শুনেছেন তো? তিনি কি মুসলিম ছিলেন?

http://www.chttimes24.com/archives/35885

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিকভাবে বিষয়টি যাতে সকলে বুঝতে পারেন, সেজন্যই এই পোস্ট।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

হাবিব বলেছেন:




আলহামদুলিল্লাহ....... আমি এবং আমার পরিবারের সবাই ভালো আছেন।
হালকা ঠান্ডা-জ্বর আছে তবুও আলহামদুলিল্লাহ।

আপনি কেমন আছেন নকীব ভাই? পরিবারের সবাই ভালো আছেন তো?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক অনেক ভালো রেখেছেন মহান প্রতিপালক বারি তাআ'লা। সকলকে নিয়ে ভালো আছি। তাঁর দরবারে বিনীত শুকরিয়া। লাখো কোটি সুজূদ। তাঁর দরবারে প্রার্থনা, সকল প্রানীকে তিনি সুখে রাখুন।

পুনরায় মন্তব্যে এসে উত্তর দিয়ে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা আবারও। অনেক ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.