নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবি: গুগল।
অযু, ওযুর ফযীলত, পদ্ধতি এবং ভুল-ত্রুটি
সকল শুকরিয়া একমাত্র বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য। তাঁর প্রদত্ত বিধানাবলী মেনে চলার ভেতরেই মুমিন জীবনের সাফল্য-কামিয়াবি। চূড়ান্ত সফল তো তারাই যারা মহান মালিকের প্রতিটি হুকুম পালন করেন আনন্দ চিত্তে-অবনত মস্তকে। জীবনের উদ্দেশ্য যাদের নিকট শুধুই আনন্দ আয়োজন উপভোগ নয়। জীবন চলার পথে প্রতিটি পদবিক্ষেপে বিনীত আকাঙ্খা যাদের আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর সন্তুষ্টি অর্জন, প্রতিটি কাজই যাদের নিকট ভূষিত হয় ইবাদতের মর্যাদায়, প্রকৃতপক্ষে সফলকাম তো তারাই হবেন। আখিরাতের অন্তহীন জীবনে মহাসম্মানে ভূষিতও হবেন তারাই। আল্লাহ পাকের নির্দেশাবলী পালন করা আমাদের জন্য অপরিহার্য। তাঁর ইবাদাত বন্দেগী মুমিন জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যম। আর প্রতিটি ইবাদাতেই রয়েছে পবিত্রতার বিশেষ গুরুত্ব। শুধুমাত্র পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ইসলাম ধর্ম তার অনুসারীদের যে নিয়ম কানূন বাতলে দিয়েছে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তাকালে এতটুকুতেই ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য্যপ্রীতি, পরিচ্ছন্নপ্রিয়তা এবং সর্বোপরি শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারে। প্রতিটি ইবাদাতই গুরুত্বপূর্ন। সর্বত্তোম ইবাদত হল নামায। নাযাম পড়ার জন্য প্রয়োজন পবিত্রতা অর্জন করা। পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহ তাআলার কাছে নামায গৃহীত হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ
'আল্লাহ তাআলা তোমাদের কারও নামায গ্রহণ করবেন না, যখন সে অপবিত্র হয়ে যায়,যতক্ষন না সে অযু করে।' (বুখারী ও মুসলিম)
অযুতে রয়েছে বিশাল ফায়দা:
যে ব্যক্তি নিবেদিত অন্তরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সুন্দরভাবে অযু করবে তার জন্য রয়েছে পরকালীন জীবনে মহাপুরস্কার। নিম্নে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ হতে এ বিষয় কিছু আলোকপাত করা হল।
১) অযুতে আল্লাহ তাআলার ভালবাসা লাভঃ অযু হল পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম। আর পবিত্রতা অর্জনকারীকে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ভালবাসেন। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হচ্ছে:
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন।' (সূরা বাকারাঃ ২২২)
২) অযু করনেওয়ালার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়ঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
'যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অযু করবে অত:পর অযুর শেষে নিম্ন বর্ণিত দুআ পাঠ করবে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। দুআটি হলঃ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِى مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِى مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ واجعلني من عبادك المؤمنين الذين لا خوف عليهم ولا هم يحزنون
উচ্চারণঃ 'আশহাদুআল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু- লা-শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজআলনী মিনাত্তাওয়্যাবীনা ওয়াজআলনী মিনাল মুতাত্বহহিরীন ওয়াজআলনী মিন ইবাদিকাল মু'মিনীন আল্লাজিনা লা- খওফুন আলাইহিম অলা- হুম ইয়াহযানূন।' (তিরমিযী)
৩) অযু জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার কারণঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلَّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ
'যে কোন ব্যক্তি সুন্দরভাবে অযু করে, একনিষ্ঠতার সাথে দু'রাকাআত নামায আদায় করে তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।' (মুসলিম)
৪) বেলাল (রাঃ) এর বিশেষ আমলঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলাল (রাঃ) কে বললেনঃ তোমার সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে আমাকে বল, আমি জান্নাতে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। বেলাল (রাঃ) বললেন, আমার সর্বোত্তম আমল হল, আমি রাতে অথবা দিনে যখনই পবিত্রতা অর্জন করি তখনই তার দ্বারা সাধ্যমত নামায আদায় করে থাকি। (বুখারী)
৫) অযু এক নামায হতে অন্য নামাযের মধ্যে সংঘঠিত গুনাহের কাফফারাহ স্বরূপঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ
مَنْ أَتَمَّ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فَالصَّلوَاتُ الْمَكْتُوبَاتُ كَفَّارَاتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ
'যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে অযু সম্পাদন করে, (তার জন্য) তা ফরয নামাযগুলোর মধ্যবর্তী সময়ে সংঘঠিত গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যায়।' (মুসলিম)
৬) গুনাহ দূর হওয়ার কারণঃ উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা উত্তমরূপে অযু সম্পাদন করলেন, অত:পর বললেন, 'যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে দু'রাকাআত নামায পড়বে এবং মনে অন্য কিছুর কল্পনা করবে না তার অতীত জীবনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।' (বুখারী ও মুসলিম)
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'যখন একজন মুসলিম বা মুমিন ব্যক্তি অযু করে, সে যখন তার চেহারা ধৌত করে পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে তার চেহারার গুনাহসমূহ দূর হয়ে যায় যা তার দৃষ্টি দ্বারা হয়েছে। এমনিভাবে সে যখন তার দু'হাত ধৌত করে তার হাতের গুনাহসমূহ যা হাত দিয়ে ধরার মাধ্যমে করেছে তা পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূর হয়ে যায়। আবার যখন দু'পা ধৌত করে পায়ের গুনাহসমূহ যা পা দিয়ে চলার মাধ্যমে হয়েছে তা পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূর হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সে গুনাহ হতে সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে যায়।' (মুসলিম)
৭) পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ
'পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।' (মুসলিম)
৮) অযুর অংগ প্রত্যংগ গুলো কিয়ামতে আলোকিত হবে: আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবাগণ রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার উম্মত যারা আপনার পরে আসবে আপনি কিভাবে তাদের পরিচয় পাবেন? তিনি বললেন, আমার উম্মতগণ কিয়ামতের দিন অযুর স্থানগুলো ঝকমক করা অবস্থায় উপস্থিত হবে। (মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতগণকে কিয়ামতের দিন অযুর কারণে অযুর জায়গাগুলো চমকানো ভাবে আহবান করা হবে। অতএব যে চায় সে যেন তার উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। (বুখারী ও মুসলিম)
৯) অযুর প্রতি যত্নবান হওয়া ইমানের আলামতঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
سَدِّدُوا وَقَارِبُوا، وَاعْلَمُوا أنّ خَيْرَ أَعْمَاِلكُمْ الصَّلاَةُ وَلَا يُحَافِظُ عَلَى اْلوَضُوْء إلاَّ مُؤْمِنٌ
'সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক এবং দ্বীনের উপর অবিচল থাক। আর জেনে রেখ! তোমাদের সর্বোত্তম আমল হচ্ছে, নামায, আর মুমিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ অযুর হেফাযত করে না।' (সহীহ ইবনু হিব্বান)
১০) অযু মর্যাদা বৃদ্ধি ও পাপ মোচনের কারণঃ হাদিসে এসেছে-
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ. قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ
'আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন জিনিষ সম্পর্কে সংবাদ দিব না যাতে তোমাদের পাপগুলো মোচন হবে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে? সাহাবাগণ বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ কষ্টের সময় অযু করা এবং অধিকরূপে মাসজিদে পদচারণ করা। আর এক নামায হয়ে গেলে অন্য নামাযের জন্যে অপেক্ষা করা। এটাই হল রেবাত।' (মুসলিম)
১১) ঘূমানোর পূর্বে অযু করা দুআ কবুল হওয়ার কারণঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'কোন মুসলিম ব্যক্তি যখন অযু করে নিদ্রায় যায়, রাত্রিতে জেগে দুনিয়া এবং আখেরাতের কোন কল্যাণের দুআ করলে দুআ কবুল করা হয়।' (নাসাঈ)
১২) ঘূমানোর পূর্বে অযু করা ইসলামের উপর মৃত্যুর কারণঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'তুমি যখন বিছানায় আসার ইচ্ছে করবে তখন নামাযের ন্যায় অযু করবে এবং নিম্নের দুআটি পাঠ করবে। যদি তুমি ঐ রাত্রিতে মৃত্যু বরণ কর তবে ইসলামের উপর মৃত্যু বরণ করবে। আর যদি সকালে উপনিত হও তবে সাওয়াব পাবে। এ দুআটি সকল কিছুর শেষে পাঠ করবে।' (বুখারী ও মুসলিম)
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِى إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِى إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِى إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِى إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِى أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِى أَرْسَلْتَ.
উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজজাহতু ওয়াজহী ইলাইকা, ওয়া ফাওয়াযতু আমরী ইলাইকা, ওয়াল জাতু যহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা, লা-মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযি আনযালতা ওয়াবি নাবিয়্যিকাল্লাযি আরসালতা।'
অযুর পদ্ধতিঃ
১) অন্তরে (মনে মনে) অযুর নিয়ত করবে। মুখে নয়, কেননা মুখে কোন বাক্য পাঠ করে নিয়ত করা বিদআত। এ সম্পর্কে শরীয়তের কোন দলীল নেই। অত:পর বিসমিল্লাহ বলবে, কেননা বিসমিল্লাহ না বললে অযু হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন:
لاَوَضُوْءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِاسْمَ اللهِ عَلَيْهِ
যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলবে না তার অযু হবে না। (আবু দাউদ ও আহমাদ)
২) তারপর দুই হাতের তালুসহ কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৩) তিন বার কুলি করবে এবং নাকে পানি টেনে নিয়ে নাক ঝাড়বে।
৪) মুখমন্ডলকে এক কান হতে অন্য কান পর্যন্ত এবং মাথার চুল গজানোর স্থান থেকে শুরু করে দাড়ীর নিচের থুতনী পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৫) হস্তদ্বয়কে আঙ্গুল থেকে কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে। প্রথমে ডান হাত পরে বাম হাত।
৬) নতুন করে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে ভিজা হাত দিয়ে একবার মাথা মাসেহ করবে। দুই একত্র করে মাথার অগ্রভাগ থেকে আরম্ভ করে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে আবার অগ্রভাগে নিয়ে এসে শেষ করবে।
৭) উভয় কানে এক বার মাসেহ করবে। উভয়ের হাতের তর্জন আঙ্গুলকে উভয় কানের ভিতরের অংশে প্রবেশ করিয়ে ভিতরের দিক এবং বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা উভয়ে কানের বাহিরের অংশ মাসেহ করবে। ঘাড় মাসে করবে না। কারণ ঘাড় মাসে করার ব্যাপারে যে হাদীস বর্ণিত আছে তা ঠিক নয়। এ জন্য ঘাড় সাসেহ করা বিদআত।
৮) উভয় পা-কে তিনবার আঙ্গূলের মাথা থেকে আরম্ভ করে টাখনু সহ ধৌত করবে। প্রথমে ডান পা পরে বাম পা। তার পর অযুর দুআ পাঠ করবে।
অযুতে কিছু ভুল-ত্রুটি
১) আবরী ও অন্য কোন ভাষাতে নিয়ত উচ্চারণ করে পাঠ করা।
২) প্রত্যেকটি অংগ ধৌত করতে আলাদা আলাদা দুআ পাঠ করা।
৩) প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভাল ভাবে ধৌত না করা।
৪) দুআ পাঠ করার সময় শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে আকাশের দিকে ইশারা করা। বা আকাশের দিকে তাকিয়ে দুআ পাঠ করা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে অযুর সকল প্রকার ভুল-ত্রুটি থেকে দূরে থেকে সঠিক ও সুন্দরভাবে অযু করার তাওফীক দান করুন। অধিকাংশ সময় অযু অবস্থায় থাকার কারনে ফেরেশতাদের মাগফিরাতের দুআর উপযুক্ততালাভের কিসমাত দান করুন। আমীন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন খুশি হলাম আপনার আন্তরিক মন্তব্যে।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮
আমি মুক্তা বলেছেন: পোষ্টটি অনেক অনেক দরকারি একটি বিষয় নিয়ে। অনেক কিছুই জানা হলো, এছাড়া পরবর্তীতে যেন আবার ভুলে না যাই তাই প্রিয়-তে সংযোজন করে রাখলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ জনাব আপনাকে এমন সুন্দর একটি বিষয়ে পোষ্ট দেওয়ায়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সহজ এবং জানা বিষয়ে আমাদের ভুল হয়। এজন্যই মূলত: এই পোস্ট।
পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। পোস্টে লাইক প্রদান করায় এবং পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা অশেষ।
ভালো থাকুন সবসময়।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানলাম।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ। জানার চেষ্টা করছেন জেনে আনন্দিত।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি এই পোষ্টটি পড়ে দেখতে পারেন, এখানে অযু নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে, অনেক প্রশ্ন এসেছে।
https://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30057020
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টে মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।
লিঙ্কযুক্ত পোস্টটি দেখে এলাম।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বাহির লয়ে টানাটানি
ভেতরের খবর নাই
হায় হায় রে হায়
কি হবে উপায়??
অন্তরে যে সত্য বসত
তাই কালি মাখা
বাহ্য সফেদ পোষাকে
যায় কিরে তা ঢাকা?
হয়না নামাজ হয়না কালাম
না পেলে পবিত্রতা মোকাম
ভিতর বাহির দুটোই সম
পবিত্র হতে হবে বলে যে কোরান!
অজু অর্থ স্বচ্ছতা
তারই নাম পবিত্রতা
বিশ্বাসে কথা কাজে
সবই এক সূত্রে গাথা!
সবার আগে অন্তরের কালি কর দূর
হাত পা ধূয়ে হয়নারে পাক
যদিরে রয় হৃদয় নাপাক
মন জবান আর ঈমান একে সত্য ভরপুর।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
অবশেষে পাইছি তারে,
তারে আর তো ছাড়ছি না,
হায়রে, তারে ছাড়া পারছি না,
হায়রে, তবু তার ধার ধারছি না রে পাগল মনা,
অবশেষে পাইছি তারে----
অবশেষে বিদ্রোহীরই আগমনে,
নতুন কাব্যের সংযোজনে,
ফুর্তি জাগে হৃদয় কোনে,
জাগে ফুলের হাসি তনুমনে রে পাগল মনা,
এমন ভালো বাসলে তারে----
অন্তরের কালি করতে বিনাশ,
এই হৃদয়ে অনন্ত পিয়াস,
ভেতর বাহিরেরই নির্যাস,
মনের যত খেয়াল ও আশ রে পাগল মনা,
ছেড়ে তুমি দাওনা তারে-----
সুন্নাতেরই দামান হাতে,
রাসূলেরই দলের সাথে,
মালিকেরই সেই জান্নাতে,
সঙ্গী হতে পারি যাতে ওরে পাগল মনা,
এ আশায় বেঁধে লওনা তারে-----
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
রাকু হাসান বলেছেন:
দারুণ । প্রিয়তে রাখলাম ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
অতি সামান্য এই পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায় সবিশেষ কৃতজ্ঞতা।
অনেক ভালো থাকবেন।
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭
নাহিদ০৯ বলেছেন: অজু'র বিষয়সমূহ আগে দেখেই শিখতাম। কাউকে কখনো জিগ্গেস করা হয়নি। লজ্জায়।
একবার ৩ দিনের তাবলীগ এর একটা গ্রুপ এর সাথে গিয়ে প্রথম অজু নিয়ে একটা প্র্যাক্টিক্যাল ধারনা পেয়েছিলাম।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
নাহিদ ভাই,
সরল সহজ স্বীকারোক্তিতে বুঝা যায় কতটা পরিচ্ছন্ন আপনার মন। অভিনন্দন। আসলে লজ্জার কিছু নেই। অজানা বিষয়গুলো শেখার চেষ্টা অব্যহত রাখা প্রয়োজন।
না পারাটা দোষের নয়। না জেনে জানার ভান করায় সমস্যা। অনেক কিছুই রয়েছে, যা আমার এখনও অজানা। আসলে জ্ঞানের রাজ্যের বুঝি সীমা-পরিসীমা বলতে কিছু নেই। বিশেষ কিছু বিষয় রয়েছে, যা আমাদের জানতেই হয়। সেরকমই একটি বিষয় অযু। অযু যার ঠিক নেই। তার নামাজ ঠিক নেই। যার নামাজ ঠিক নেই (সূরাহ কিরাআতসহ মাসআলা মাসায়েলসহ নিয়মিত প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অভ্যাস) তার জীবনটাই এলোমেলো। তার জীবনে কোনো স্থিরতা নেই। কোনো প্রশান্তি নেই। কোনো আনন্দ নেই। কোনো বৈচিত্র নেই। যা আছে, যা দেখা যায়, শুধুই বাহ্যিক। ভেতরে তাকিয়ে দেখলে বুঝা যাবে, তার অন্তরে হাহাকার। এক পৃথিবী শুন্যতায় ভরা তার ছোট্ট বুক। তার নিজের কাছেই যেন সে পলাতক। মালিকের নিকট থেকে ছুটে পালাচ্ছে। পালিয়ে বেড়াচ্ছে ক্রমাগত। দৌঁড়াচ্ছে। হাপাচ্ছে। দুনিয়া ধরার মিথ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। মত্ত। পাগলপ্রায়। অস্থির। উম্মত্ত। কিন্তু প্রশান্তির ছোঁয়া বঞ্চিত। সুখের ছায়া থেকেও মাহরুম। প্রকৃত সুখ তো আল্লাহ তাআ'লার হুকুম পালনের ভেতরে।
মাঝে মাঝে ৩ দিন করে তাবলিগ জামাআতে গিয়ে মসজিদের পবিত্র অঙ্গনে থেকে মাসয়ালা মাসায়েল শেখার সুযোগটা নেয়া যেতে পারে। এটা ভালো ছিল। এখন তাবলিগওয়ালাদের ভেতরেও বিভক্তি। কোথায় যাবেন! তবু তাদের পদ্ধতি ভালো। আশা করি, তাদের দুই পক্ষের বিভেদ মিটে যাবে। দ্বীনের প্রচারে আবার সকলে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন।
কথায় কথায় বেশি বলে ফেলেছি হয়তো।
অনেক ভালো থাকবেন।
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।
জানার মতো সুন্দর পোষ্ট।
ওযু নামাযের চাবি,
নামায বেহেস্তের চাবি।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ওয়াআলাইকুমুসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারা-কাতুহ।
হাদিসের কথাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন-
ওযু নামাযের চাবি,
নামায বেহেস্তের চাবি।
অভিনন্দন। শুভকামনা।
৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
নাহিদ০৯ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আপনি পোস্ট করেন খুবই দায়ীত্ব নিয়ে আর মন্তব্য ও করেন অনেক মন দিয়ে পড়ে। এজন্য আপনার পাঠক প্রিয়তা অনন্য।
৩ দিনের তাবলীগে যাওয়ার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিলো রোমাঞ্চকর। অনেক ভূল ভেঙেছিলো সেবার আর ফিরে এসেছিলাম যেন একদম শিশু হয়ে। এর পরেও ৩ বার গেছি। তবে প্রথমবার যাওয়ার মতো এত রোমাঞ্চকর ছিলো না। তুফান, নদী সব তলিয়ে যাচ্ছে, এক পাশে সমুদ্র সমান নদী, আরেক পাশে ইন্ডিয়া বর্ডার। সব মিলিয়ে একদিন লিখার ইচ্ছা আছে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ লিখে ফেলুন সেসব অভিজ্ঞতা পর্যায়ক্রমে।
তাবলিগের অভিজ্ঞতাগুলো আমারও লেখা হয়ে ওঠেনি। আল্লাহ পাকের সরাসরি সাহায্যপ্রাপ্তি এ যুগেও যে সম্ভব, বনে বাদারের পাশে, পল্লীর পথে পথে ঘুরে, প্রান্তরের পর প্রান্তরে ছুটে না বেড়ালে তা অনুধাবন করা আমার পক্ষেও সম্ভব হত কি না সন্দেহ। আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ সময় আল্লাহ পাক তাঁর ঘরে ঘরে ছুটে বেড়ানোর তাওফিক দিয়েছেন এ নগন্যকে।
সময় করে চিল্লার সফরে বেরিয়ে পড়বেন একবার। অবশ্যই বিশ্বাস করি, লক্ষ্য করতে সক্ষম হবেন, আল্লাহ পাকের রহমত কিভাবে এগিয়ে আসে। রহমতের বারিধারা কিভাবে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।
কৃতজ্ঞতা, পুনরায় মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।
আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন।
১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০২
খোদেজা বলেছেন: বায়ু ত্যাগ করলে ওযু ভেঙে যায় কেন? তারপর পায়ুপথ না ধুয়ে ওযু করলেই পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায় কেন?
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
ঝিগাতলা বলেছেন: সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন