নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
আলকুরআন শিখন, পঠন, অনুধাবন এবং মেনে চলার ফযীলত
আলকুরআন আল্লাহর কিতাব
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'-লা- বিশ্ব মানবতার হেদায়াতের লক্ষ্যে যুগে যুগে নবী রাসূল আলাইহিমুসসালামগনের নিকট যেসব কিতাব অবতীর্ণ করেছেন সেগুলোকে বলে আসমানী কিতাব। মহাগ্রন্থ আল কুরআন মানুষের পরিপূর্ণ জীবন বিধান। গোটা মানবজাতির ইহকালীন শান্তি ও কল্যাণ এবং পারলৌকিক জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের সত্যিকার পথপ্রদর্শক। অালকুরআন চিরঞ্জীব, সর্বময় ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি, সর্বজ্ঞানী মহান আল্লাহ তাআ'লার সুমধুর বাণী। আলকুরআনের সুসামাঞ্জস্যপূর্ণ ভাষা, অভিনব এবং অভাবিত সৌন্দর্য্যের বিমল দ্যুতিতে দেদীপ্যমান বক্তব্য চিরন্তন, চিরশাশ্বত ও চির নতুন। গোটা জগতবাসীর কাছে আলকুরআন এক জীবন্ত মু’জিযা, ইসলামের সত্যতা প্রমানে জীবন্ত-চলমান অলৌকিকতা। আলকুরআনের নেই কোনো সীমানা। নেই কোনো ভূখন্ড। নেই কোনো দেশ-কাল-পাত্র, বর্ণ-গোষ্ঠী-ভাষার প্রভেদ। এই মহাগ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছে সমগ্র মানব জাতির জন্য। বিশ্বমানবতার মুক্তির জন্যই এই গ্রন্থ। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য রাসূলে আরাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমন এ ধরাধামে। তিনি রহমাতুল্লিল আলামীন। গোটা বিশ্বের জন্য রহমত। গোটা বিশ্ব তার নবুয়তের স্নিগ্ধ আলোয় নাইয়ে উঠবে। বুত পোরস্তির কৃষ্ণ আঁধার গহবর থেকে বেরিয়ে আসবে আলোর দিগন্তে তাইতো আলকুরআন। তিনি এলেন। কুরআন দেয়া হল তাঁকে। আর বলে দেয়া হল, 'ইল্লা- কা-ফফাতাল্লিন্নাস' তামাম বিশ্ব জাহানের জন্য আপনাকে নবী রাসূল করে পাঠিয়েছি। তাই আলকুরআনকে অপরিহার্য জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করে এই মহাগ্রন্থ শিক্ষা করা, নিয়মিত এর তিলাওয়াত করা, অর্থ ও মর্ম বুঝা, উপলব্ধি ও অনুধাবন করা প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক। একইসাথে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল কুরআনের নির্দেশাবলী যথাযথভাবে পালন করা এবং এতে বর্ণিত হুকুম আহকাম বাস্তবায়ন করা আমাদের প্রতি অবধারিত কর্তব্য তথা ফরজ দায়িত্ব। যে ব্যক্তি কুরআন জানলোনা, কুরআন বুঝলো না, তার কাছে তো আলো আর অন্ধকার দু’টোই সমান। সুতরাং আলো দেখতে হলে কুরআন বুঝতে হবে। কুরআন না বুঝলে আলোতে আসার সুযোগ কোথায়। মূলত কুরআন জানা, কুরআন বুঝা, কুরআন মানা, কুরআন অনুসরণ করা ও বাস্তবায়ন করাই মুমিন জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। এজন্যে প্রয়োজন ও অবস্থাবেদে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের নিকট ২৩ বছরে কুরআন নাযিল হয়েছে। কুরআন হলো রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের বাস্তব জিন্দেগী। আল কুরআন হলো সর্বশেষ আসমানী কিতাব, যা বিশ্বমানবতার জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন :
وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
‘‘নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষে থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে।’’ (আশ শোয়ারা–২৬ আয়াত : ১৯২)
Verily this is a Revelation from the Lord of the Worlds.
আল–কুরআনের পরিচয়
আল কুরআন আল্লাহ তাআ'লার কিতাব, মহান আল্লাহ জাল্লা জালা-লুহুর বাণী। অতি পঠিত, অধিক অধিক পঠিত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা জিব্রাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানব জাতির হেদায়াতের লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এই মহাগ্রন্থ নাযিল করেছেন। মহাগ্রন্থ আল কুরআন বিশ্বজাহানের প্রতিপালক মহান রবের এমন মহিমাময় ঐশী কিতাব যার মাধ্যমে আইয়ামে জাহিলিয়াতের ঘোর তমসাচ্ছন্ন আরব্য জাতি বিশ্বের সবচে' সৌভাগ্যবান জাতিতে পরিণত হতে সক্ষম হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মহাগ্রন্থ আল কুরআনের শিক্ষা এবং আদর্শ দিয়েই গড়ে তুলেছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। গোটা মানব জাতির পথপ্রদর্শক আল কুরআন শিক্ষা আজ অবহেলিত, উপেক্ষিত। ধীরে ধীরে আল কুরআন শিক্ষা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। এরচে' দু:খজনক বিষয় আর কি হতে পারে যে, একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন শিক্ষার গুরুত্বও আমরা আজ যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পারছি না। আল কুরআন আজ পড়তে পারছি না। কেন পারছি না, তাও জানি না। এই মহাগ্রন্থ পড়তে শেখা যে কতখানি জরুরী তা অনুভব, অনুধাবনের মানসিকতাও আজ আমাদের অনেকের নেই। সেজন্য আমাদেরকে প্রথমেই আজ আল কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। নিজের জন্য, পরিবার পরিজন সন্তানের জন্য পাড়া প্রতিবেশি আত্মীয় স্বজন- সকলের জন্য বিষয়টিকে ভাবতে হবে। সকলের ভেতরে এর গুরুত্ব অনুধাবনের মানসিকতা জাগিয়ে তুলতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন। আলোচ্য নিবন্ধে আল কুরআনের পরিচয়, আল কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, আল কুরআন তিলাওয়াতের ফযিলত এবং আল কুরআন শিক্ষা না করার পরিণতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ। তাওফিকদাতা কেবলমাত্র আল্লাহ তাআ'লা।
আল কুরআনের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য:
ক. আল কুরআন নুর বা আলো
পার্থিব লোভ লালসা, শয়তানের ধোঁকা এবং নফছের প্ররোচনায় মানুষ পাপে লিপ্ত হয়। পাপাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত মানব জাতিকে সত্যিকারের হেদায়েতের আলোর দিকে নিয়ে আসার জন্য মহাগ্রন্থ আল কুরআন আলো বা নুর হিসেবে স্বীকৃত। মহান আল্লাহ তাআ'লা বলেন :
يَا أَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ جَاءكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِّمَّا كُنتُمْ تُخْفُونَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَعْفُو عَن كَثِيرٍ قَدْ جَاءكُم مِّنَ اللّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ
হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ। (মায়িদাহ–৫, আয়াত : ১৫)
O people of the Book! There hath come to you our Messenger, revealing to you much that ye used to hide in the Book, and passing over much (that is now unnecessary). There hath come to you from Allah a (new) light and a perspicuous Book,-
يَهْدِي بِهِ اللّهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلاَمِ وَيُخْرِجُهُم مِّنِ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِهِ وَيَهْدِيهِمْ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন। (মায়িদাহ–৫, আয়াত : ১৬)
Wherewith Allah guideth all who seek His good pleasure to ways of peace and safety, and leadeth them out of darkness, by His will, unto the light,- guideth them to a path that is straight.
খ. আল কুরআন গোটা মানব জাতির জন্য পথপ্রদর্শক
কুরআনুল কারীম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরন্তন মু‘জিযা, বিশ্ব মানবতার মুক্তিসনদ। এতে রয়েছে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট হিদায়াত ও দিক–নির্দেশনা, রয়েছে আলোকবর্তিকা, উপদেশ, রহমত ও অন্তরের যাবতীয় ব্যাধির উপশম। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ইরশাদ করেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। (ইউনুস–১০, আয়াত : ৫৭)
O mankind! there hath come to you a direction from your Lord and a healing for the (diseases) in your hearts,- and for those who believe, a guidance and a Mercy.
قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ। (ইউনুস–১০, আয়াত : ৫৮)
Say: "In the bounty of Allah. And in His Mercy,- in that let them rejoice": that is better than the (wealth) they hoard.
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন কীভাবে পরিচালিত হবে, তার প্রতিটি বিষয় কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআ'লা বলেন :
وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِم مِّنْ أَنفُسِهِمْ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَى هَـؤُلاء وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ
সেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী স্বরূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ। (নাহল–১৬ আয়াত : ৮৯)
One day We shall raise from all Peoples a witness against them, from amongst themselves: and We shall bring thee as a witness against these (thy people): and We have sent down to thee the Book explaining all things, a Guide, a Mercy, and Glad Tidings to Muslims.
গ. আল কুরআন নাযিল হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে
মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছে রমজান মাসের লাইলাতুল ক্বদরে। কুরআনে হাকিমে এ বিষয়ে বলা হয়েছে :
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (বাকারা–২ আয়াত : ১৮৫)।
Ramadhan is the (month) in which was sent down the Qur'an, as a guide to mankind, also clear (Signs) for guidance and judgment (Between right and wrong). So every one of you who is present (at his home) during that month should spend it in fasting, but if any one is ill, or on a journey, the prescribed period (Should be made up) by days later. Allah intends every facility for you; He does not want to put to difficulties. (He wants you) to complete the prescribed period, and to glorify Him in that He has guided you; and perchance ye shall be grateful.
ঘ. আল কুরআন মুমিনদের জন্য রহমত
আল কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য রহমাত হিসাবে নাযিল করা হয়েছে। যারা এ কুরআন পড়বে, আল কুরআনের বিধান অনুযায়ী আমল করবে তারা আল্লাহ পাকের রহমাতপ্রাপ্ত হবে। আল্লাহ তাআ'লা বলেন :
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا
আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। (বনি ঈসরাইল–১৭ আয়াত : ৮২)
We send down (stage by stage) in the Qur'an that which is a healing and a mercy to those who believe: to the unjust it causes nothing but loss after loss.
ঙ. আল কুরআন জ্ঞান–বিজ্ঞানের উৎস
কুরআন মাজীদ সকল জ্ঞান–বিজ্ঞানের উৎস এবং কুরআন যে নির্দেশনা দিয়েছে তা নির্ভুল ও বাস্তবভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে,
يس
ইয়া-সীন (ইয়াসিন–৩৬ আয়াত : ১)
Ya Sin.
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ। ‘ইয়া–সীন। (ইয়াসিন–৩৬ আয়াত : ২)
By the Qur'an, full of Wisdom,-
চ. আল কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য চ্যালেঞ্জ
মহাগ্রন্থ আল কুরআনের মত কোন কিতাব মানুষ বা সৃষ্টি জগতের কারো পক্ষে বানানো সম্ভব নয়। প্রায় চৌদ্দশত বছর আগের ছুড়ে দেয়া এ চ্যালেঞ্জ আজ পর্যন্ত কেউ মুকাবেলা করতে সক্ষম হয়নি। আর কিয়ামাত পর্যন্ত তা সম্ভবও হবে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআ'লা বলেন :
قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَن يَأْتُواْ بِمِثْلِ هَـذَا الْقُرْآنِ لاَ يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا
বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না। (বনি ঈসরাইল–১৭ আয়াত : ৮৮)
Say: "If the whole of mankind and Jinns were to gather together to produce the like of this Qur'an, they could not produce the like thereof, even if they backed up each other with help and support.
ছ. কুরআন শেখা কতই না সহজ!
যারা আল কুরআন শিক্ষা করতে চান অথবা অপরকে শেখাতে চান, তাদের জন্য আল্লাহ তাআ'লা ইহাকে অতি সহজ করে দিয়েছেন। শিশু যুবা বৃদ্ধ নির্বিশেষে যেকোন বয়সের আগ্রহী মানুষ তা শিখে নিতে পারবেন অতি সহজেই। আল কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে :
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? (কামার–৫৪ আয়াত : ১৭)
And We have indeed made the Qur'an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?
জ. আল কুরআনের রয়েছে অর্থপূর্ণ এবং বৈশিষ্ট্যমন্ডিত অনেক নাম
আল কুরআনের বেশ কিছু নাম রয়েছে। যেমন, হুদা–পথনির্দেশক, যিকর–উপদেশ বাণী, ফুরকান–সত্য–মিথ্যার পার্থক্যকারী, নুর–আলো ইত্যাদি। যেমন কুরআনে এসেছে:
تَبَارَكَ الَّذِي نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلَى عَبْدِهِ لِيَكُونَ لِلْعَالَمِينَ نَذِيرًا
তিনি বরকতময় যিনি তাঁর বান্দার উপর ফুরকান (সত্য–মিথ্যার পার্থক্যকারী) নাযিল করেছেন যেন সে জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে। (ফুরকান–২৫ আয়াত : ১)
Blessed is He who sent down the criterion to His servant, that it may be an admonition to all creatures;-
মহাগ্রন্থ আল কুরআন যে সন্দেহমুক্ত ঐশী গ্রন্থ সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআ'লার বাণী
ক. আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ قُلْ فَأْتُواْ بِسُورَةٍ مِّثْلِهِ وَادْعُواْ مَنِ اسْتَطَعْتُم مِّن دُونِ اللّهِ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
উহারা কি দাবী করে যে কুরআন (আপনার) বানানো? আপনি বলুন, তোমরা যদি তোমাদের দাবীতে সত্যবাদী হও তাহলে একটি সূরা অন্তত : তৈরী করে নিয়ে এস। আর এ ব্যাপারে আল্লাহ ব্যতীত যাদের সাহায্য প্রয়োজন বোধ কর, সাধ্যমত তাদেরকেও ডেকে নাও। (ইউনুস–১০ আয়াত : ৩৮)
Or do they say, "He forged it"? say: "Bring then a Sura like unto it, and call (to your aid) anyone you can besides Allah, if it be ye speak the truth!"
খ. একই সূরাহর অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَمَا كَانَ هَـذَا الْقُرْآنُ أَن يُفْتَرَى مِن دُونِ اللّهِ وَلَـكِن تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ الْكِتَابِ لاَ رَيْبَ فِيهِ مِن رَّبِّ الْعَالَمِينَ
আর এই কুরআন এমন এক জিনিস নহে যা আল্লাহর অহী ও শিক্ষা ব্যতীত রচনা করে নেয়া সম্ভব হতে পারে। বরং উহাতে পূর্বে যা এসেছে তার সত্যতার স্বীকার ও আল কিতাবের বিস্তারিত রূপ। উহা যে বিশ্ব নিয়ন্তার তরফ থেকে আসা কিতাব, তাতে কোনরূপ সন্দেহ নেই। (ইউনুস–১০ আয়াত : ৩৭)
This Qur'an is not such as can be produced by other than Allah. on the contrary it is a confirmation of (revelations) that went before it, and a fuller explanation of the Book - wherein there is no doubt - from the Lord of the worlds.
গ. অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَن يَأْتُواْ بِمِثْلِ هَـذَا الْقُرْآنِ لاَ يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا
আপনি ঘোষণা করে দিন, জগতের সমগ্র মানব ও জ্বিন জাতি মিলেও যদি এ ধরনের একখানা কুরআন তৈরীর করার চেষ্টা করে, তাহলেও তারা তা পারবে না, যদিও তারা এ ব্যাপারে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে। (বনী ইসরাইল–১৭ আয়াত : ৮৮)
Say: "If the whole of mankind and Jinns were to gather together to produce the like of this Qur'an, they could not produce the like thereof, even if they backed up each other with help and support.
ঘ. অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেন:
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
নিশ্চয়ই কুরআন আমি নাযিল করেছি। আর অবশ্যই উহার হেফাজতের দায়িত্ব আমারই। (হিজর–১৫ আয়াত : ৯)
We have, without doubt, sent down the Message; and We will assuredly guard it (from corruption).
ঙ. অন্যত্র তিনি বলেন:
لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ
হে রাসূল দ্রুত কুরআন আয়ত্ত করার নিমিত্তে আপনি আপনার জিহবা সঞ্চালন করবেন না। (কিয়ামাহ–৭৫ আয়াত : ১৬)
Move not thy tongue concerning the (Qur'an) to make haste therewith.
إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ
কুরআন সংরক্ষণ করা এবং উহা পাঠ করিয়ে দেয়া আমার দায়িত্ব। (কিয়ামাহ–৭৫ আয়াত : ১৭)
It is for Us to collect it and to promulgate it:
فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ
সুতরাং আমি যখন (জিব্রাঈলের জবানে) উহা পাঠ করি, তখন আপনি উহা অনুসরণ করুন। (কিয়ামাহ–৭৫ আয়াত : ১৮)
But when We have promulgated it, follow thou its recital (as promulgated):
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ
অত :পর উহা ব্যাখ্যাদান ও আমার জিম্মাদারী। (কিয়ামাহ–৭৫ আয়াত : ১৯)
Nay more, it is for Us to explain it (and make it clear):
চ. অন্য আয়াতে তিনি বলেন:
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ قُلْ فَأْتُواْ بِعَشْرِ سُوَرٍ مِّثْلِهِ مُفْتَرَيَاتٍ وَادْعُواْ مَنِ اسْتَطَعْتُم مِّن دُونِ اللّهِ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
উহারা নাকি বলে যে, কুরআন রাসূলের তৈরী করা? আপনি বলুন, তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তাহলে এ ধরনে রচিত দশটি সূরা নিয়ে এস। আর এ ব্যাপারে আল্লাহ ব্যতীত যাদের সাহায্য প্রয়োজন বোধ কর সাধ্যমত তাদেরকেও ডেকে নাও। (হুদ–১১ আয়াত : ১৩)
Or they may say, "He forged it," Say, "Bring ye then ten suras forged, like unto it, and call (to your aid) whomsoever ye can, other than Allah.- If ye speak the truth!
ছ. অন্য আয়াতে তিনি বলেন:
وَإِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّمَّا نَزَّلْنَا عَلَى عَبْدِنَا فَأْتُواْ بِسُورَةٍ مِّن مِّثْلِهِ وَادْعُواْ شُهَدَاءكُم مِّن دُونِ اللّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
আর যে কিতাব আমি আমার বান্দার (মুহাম্মদের) উপরে নাজিল করেছি, তা আমার পক্ষ হতে কিনা, এ ব্যাপারে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে। তাহলে অনুরূপ একটি সূরা তৈরী করে নিয়ে এস। আর এ কাজে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের অন্যান্য সাহায্যকারীদেরকে ডেকে নাও যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (আল বাকারা–২ আয়াত : ২৩)
And if ye are in doubt as to what We have revealed from time to time to Our servant, then produce a Sura like thereunto; and call your witnesses or helpers (If there are any) besides Allah, if your (doubts) are true.
আল কুরআনের ঐশী বাণী হওয়ার বিষয়ে হাদীসের ভাষ্য
১.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমন কোন রাসূল ছিলেন না যাকে মুজিজা দেয়া হয়নি, যা দেখে লোকেরা ঈমান এনেছে। কিন্তু আমাকে যা দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে অহী (কুরআন) যা আল্লাহ আমার কাছে নাযিল করেছেন। সুতরাং আমি আশা করি, কিয়ামতেরদিন তাদের অনুসারীদের তুলনায় আমার উম্মতের সংখ্যা সর্বাধিক হবে। (সহীহ আল বুখারী)
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আল কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব
আল কুরআনের শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে আল্লাহ পাকের বাণী
ক. আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
لَوْ أَنزَلْنَا هَذَا الْقُرْآنَ عَلَى جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ
আমরা যদি এ কুরআন কোন পাহাড়ে র উপর অবতীর্ণ করে দিতাম তাহলে তুমি দেখতে যে, তা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে যাচ্ছে ও দীর্ণ–বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এ দৃষ্টান্ত এজন্য মানব জাতীর সামনে পেশ করলাম যেন তারা চিন্তা–ভাবনা করতে পারে। (হাশর–৫৯ আয়াত : ২১)
Had We sent down this Qur'an on a mountain, verily, thou wouldst have seen it humble itself and cleave asunder for fear of Allah. Such are the similitudes which We propound to men, that they may reflect.
কুরআনের শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে হাদীসের ভাষ্য
ক. রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
হযরত নাওয়াছ ইবনে ছামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ যখন কোন বিষয় ওহী করতে ইচ্ছা করেন, তখন তিনি অহীর দ্বারা কথা বলেন। তখনই আল্লাহর ভয়ে আকাশ কেঁপে উঠে। যখন আকাশ বাসীরা (ফিরেশতা) শুনে, তখন তারা বেহুশ হয়ে যায়, অথবা তিনি বলেন সেজদায় পতিত হয়। সর্ব প্রথম জিব্রাইল মাথা তুলেন। তখন আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী তার সাথে ওহীর কথা বলেন। অত :পর জিব্রাইল মালাইকার পার্শ্ব দিয়ে যেতে থাকেন। যখন তিনি কোন আকাশ অতিক্রম করেন, আকাশ বাসীরা তাকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ওহে জিব্রাইল! আল্লাহ কি বললেন? তিনি বলেন, তিনি অতীব সত্য বলেছেন, তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল এবং মহান। অত :পর সকলেই জিব্রাইলের মত বলতে থাকেন। আর জিব্রাইল আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী অহী পৌঁছিয়ে দেন। (তিবরানী)
আসমান, জমিন, পাহাড়–পর্বত, ফিরিশতা কুরআনের ভয়ে অস্থির অথচ মানুষ যাদের প্রতি কুরআন নাযিল হয়েছে, যারা কুরআনের কারনে সম্মানিত অথচ তাদের কাছে কুরআন অবহেলিত, যার পরিণতি দুনিয়া ও আখেরাত ধ্বংশ।
কুরআন তিলাওয়াতের কিছু ফযীলত
১) আল কুরআন তিলাওয়াতকারী প্রতিটি অক্ষরের বদলে ১০টি সাওয়াব লাভ করেন
হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।’’ [সুনান আত-তিরমিযি:২৯১০]
২) আল কুরআন শিক্ষাকারী ও শিক্ষাদানকারী সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি
উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
অর্থ: ‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয় ’’ [বুখারী: ৫০২৭]।
৩) কুরআন তিলাওয়াতকারীকে না চাইতেই আল্লাহ পাক দান করেন
এ প্রসঙ্গে হাদীসে বলা হয়েছে। হযরত আবু সাঈদ (রা.) বলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি কুরআন অধ্যয়নে নিয়োজিত থাকায় আমার নিকট কিছু চাওয়ার সময় পায় না তাকে আমি ঐ ব্যক্তির চেয়ে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত দান করব যে আমার কাছে চায়। আল্লাহর সমগ্র সৃষ্টির ওপর আল্লাহর যেমন শ্রেষ্ঠত্ব তেমনি দুনিয়ার অন্যসব বাণীর ওপর আল্লাহর কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব। (তিরমিযি)
৪) কুরআনহীন হৃদয় শূন্য ঘরের সমতুল্য: যে হৃদয়ে কুরআন আছে সে হৃদয় সেরা হৃদয়
মানব জাতিকে জাহিলিয়াতের অন্ধকার হতে উদ্ধার করে হেদায়েতের রাজপথ দেখিয়েছেন আল-কুরআন। এ দিক দিয়ে কুরআন হচ্ছে উত্তম হেদায়েতকারী গ্রন্থ। কাজেই এ কুরআন যার অন্তরে নেই সে হৃদয় শূন্য ঘরের সমতুল্য তাতে কোন সন্দেহ নেই। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে হৃদয় আল-কুরআনের কোন জ্ঞান নেই সে হৃদয় শূন্য ঘরের সমতুল্য। (তিরমিযী)
৫) কুরআন পাঠকারী সম্মানিত ফেরেশতাদের সাথে অবস্থান করবেন
কুরআন তিলাওয়াতকারীগণ ফিরেশতাদের সঙ্গী হবেন। সম্মানের দিক দিয়ে তাদের সমতুল্য হবেন। এ প্রসঙ্গে রাসূলের বাণী: হযরত আয়েশা (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কুরআনের অভিজ্ঞ ব্যক্তি ফিরেশতাগণের সাথে থাকবেন। (বুখারী,মুসলিম)
৬) ঠেকে ঠেকে পাঠকারী দ্বিগুন সাওয়াবের অধিকারী হবেন
হযরত আয়েশা (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি সম্মানিত পূণ্যবান লেখক ফিরেশতাগণের সঙ্গী (সম্মানের দিক দিয়ে তারা সম্মানিত ফিরেশতাগণের সমতুল্য) আর যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করতে গিয়ে মুখে আটকে যায়, বার বার ঠেকে যায় এবং উচ্চারণ করা বড়ই কঠিন বোধ করে তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব। শুধু তিলাওয়াত করার জন্য একগুণ আর কষ্ট করার জন্য আর একগুণ। (বুখারী,মুসলিম)
৭) জান্নাত পাওয়ার সর্বোত্তম মাধ্যম:
যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত ও মুখস্থ করেছে এবং যথাযথভাবে তার আমল করেছে তার জন্য রয়েছে বেহেশতের সুসংবাদ। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: কিয়ামতের দিন কুরআন তেলাওয়াতকারীকে বলা হবে, কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকো আর বেহেশতে প্রবেশ করতে থাকো। অপর হাদীসে বলা হয়েছে:হযরত আবদুল্লাহ ইবনুল আস (রা.) বলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কুরআনের সাথীকে বলা হবে, তুমি পড়তে থাক, আর উপরে আরোহন করতে থাক। তুমি দুনিয়াই যে ভাবে তিলাওয়াত করতে। তুমি সব শেষে যে আয়াত পড়বে সে খানেই তোমার বাসস্থান। (তিরমিযী)
৮) কুরআন পাঠকারীর পিতা-মাতাও সৌভাগ্যবান
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে, শিক্ষা করবে ও তদানুযায়ীআমল করবে; তার
পিতা মাতাকে দু’টি পোশাক পরিধান করান হবে, যা দুনিয়ার সকল বস্তুর চেয়ে অধিক মূল্যবান। তারা বলবে, কোন্ আমলের কারণে আমাদেরকে এত মূল্যবান পোশাক পরানো হয়েছে? বলা হবে, তোমাদের সন্তানের কুরআন গ্রহণ করার কারণে। (হাকেম)
৯) আল কুরআন তার তিলাওয়াতকারীর জন্য কিয়ামতে সুপারিশ করবে
আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
«اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ»
অর্থ:‘তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর, কারণ, কুরআন কেয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে’ [মুসলিম: ১৯১০]।
১০) কুরআন পাঠকারীদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়
১১) কুরআন পাঠকারীদেরকে ফেরেশতারা ঘিরে রাখে
১২) কুরআন পাঠকারীদের আলোচনা স্বয়ং আল্লাহ ফেরেশতাদের সাথে করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোনো সম্পদ্রায় যদি আল্লাহর কোনো ঘরে একত্রিত হয়ে কুরআন পাঠ করে এবং তা পরস্পরে শিক্ষা লাভ করে, তবে তাদের ওপর প্রশান্তি নাজিল হয়, আল্লাহর রহমত তাদেরকে আচ্ছাদিত করে এবং ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে রাখে। আল্লাহ তাঁর নিকটস্ত ফেরেশতাদের সামনে তাদের কথা আলোচনা করেন। (মুসলিম)
১৩) কুরআন তিলাওয়াতের দ্বারা অন্তর পরিস্কার হয়
মিশকাত শরীফের হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, লোহায় পানি লাগলে যেমন মরিচা পরে তেমনি মানুষের অন্তরেও মরিচা পরে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রসুল (দঃ) এর প্রতিষেধক কি? উত্তরে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানালেন, মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করা এবং কুরআন তিলাওয়াত করা।
১৪) কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা
বিভিন্ন ব্যবসায় লাভ এবং ক্ষতি দুটিরই সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখানে লাভ ছাড়া কোন প্রকার ক্ষতির অংশ নেই। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা সুরা ফাতিরে ২৯-৩০ নং আয়াতে বলেন :
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَّن تَبُورَ
যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না। (ফাতির–৩৫ আয়াত : ২৯)
Those who rehearse the Book of Allah, establish regular Prayer, and spend (in Charity) out of what We have provided for them, secretly and openly, hope for a commerce that will never fail:
لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ
পরিণামে তাদেরকে আল্লাহ তাদের সওয়াব পুরোপুরি দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (ফাতির–৩৫ আয়াত : ৩০)
For He will pay them their meed, nay, He will give them (even) more out of His Bounty: for He is Oft-Forgiving, Most Ready to appreciate (service).
১৫) কুরআনের ১টি আয়াত পাঠ করা একটি উট লাভ করার চেয়ে উত্তম
বর্তমান বাজার দর হিসাবে একটা উটের দাম কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা সে হিসেবে একটি আয়াত পাঠ করা মানে ২ লক্ষ টাকার চাইতে উত্তম। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ কেন সকালে মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কোরআন হতে দু'টি আয়াত পড়ে না বা শিক্ষা দেয় না? তাহলে সেটি তার জন্য দুটি উট লাভ করার চেয়ে উত্তম হবে। তিনটি আয়াত তিনটি উট অপেক্ষা উত্তম। চারটি আয়ত চার উট অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপ আয়াতের সংখ্যা অনুপাতে উটের সংখ্যা অপেক্ষা উত্তম।-[সহীহ মুসলিম : ১৩৩৬]।
১৬) কুরআন তেলাওয়াত দ্বারা ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি পায়
আল্লাহ তাআ'লা সুরা আনফালের ২ নং আয়াতে ইরশাদ করেন-
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে’। [সূরা আনফাল:২]
For, Believers are those who, when Allah is mentioned, feel a tremor in their hearts, and when they hear His signs rehearsed, find their faith strengthened, and put (all) their trust in their Lord;
১৭) কুরআনের ধারক-বাহক ঈর্ষণীয় ব্যক্তি:
কোন ব্যক্তি কুরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে তার হক আদায় করে তিলাওয়াত করলে তার সাথে ঈর্ষা বা তার মত হওয়ার আকাঙ্খা করা যাবে। প্রিয় নবীজি ইরশাদ করেন:
‘একমাত্র দুই ব্যক্তির উপর ঈর্ষা করা যায়। এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তা‘আলা কোরআনের ইলম দান করেছেন, সে দিবা-রাত্রি ঐ কোরআন তিলাওয়াতে ব্যস্ত থাকে। দ্বিতীয় সে ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তা‘আলা ধন-সম্পদ দান করেছেন। সে তা দিনরাত (বৈধ কাজে) খরচ করে’ [সহীহ বুখারী :৭৫২৯]।
১৮) কুরআন তিলাওয়াত একটি উত্তম ইবাদত
আল্লাহ পাকের নৈকট্যলাভ এবং ইহকালিন কল্যাণ ও পরকালিন মুক্তির জন্য মানুষ ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদত করে থাকেন। এর মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত হচ্ছে সর্বোত্তম ইবাদত। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইবাদতসমূহের মধ্যে উত্তম ইবাদত হচ্ছে কুরআন তিলাওয়াত করা। (মুসলিম )
কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে সাহাবাগণ ও ওলামায়ে কেরামগণের মতামত হল- ফরজ ইবাদতের পর কুরআন তিলাওয়াত যাবতীয় যিকিরের মধ্যে উত্তম।
১৯) পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর নৈকট্যলাভের মাধ্যম
২০) আল্লাহ পাকের সাথে কথোপকথন;
আল-কুরআনের পবিত্র আয়াতসমূহ আল্লাহ তাআ'লার বাণী। কুরআন যেহেতু আল্লাহ পাকের বাণী সেহেতু ইহার প্রত্যেকটি শব্দ ও বাক্যে অলৌকিকত্ব ও আধ্যাত্মিকতা বিদ্যমান। বান্দা যখন একাগ্রচিত্তে এ কুরআন তিলাওয়াত করে তখন সে প্রকারান্তরে আল্লাহ তাআ'লার সাথেই কথা বলে ।
২১) কুরআনের তিলাওয়াত ইহকালে জ্যোতি পরকালে সঞ্চয়:
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যে ইহকালে জ্যোতি এবং পরকালের সঞ্চয় নিহিত রয়েছে। হাদীস থেকে জানা যায়, হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন: আল্লাহকে ভয় করা তোমাদের কতর্ব্য। কেননা এটা ইসলামের মূল মন্ত্র। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমাকে আর একটা উপদেশ দিন। তিনি বললেন: তোমাদের কুরআন পড়া উচিত; কেননা কুরআন তোমাদের জন্য ইহকালে জ্যোতি পরকালে সঞ্চয়। (ইবনে হিব্বান)
২২) সুপারিশ করার অধিকার লাভ:
যে ব্যক্তি কুরআনের শিক্ষা লাভ করবে, নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করবে এবং কুরআন অনুযায়ী নিজের জীবন গঠন করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার পরিবারের সদস্যদের জন্য সুপারিশ করার অধিকার লাভ করবে।
হযরত আলী (রা.) বলেন; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং মুখস্থ করেছে; অতপর এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জেনে আমল করেছে, তাকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তি সম্পর্কে তার সুপারিশ গ্রহণ করবেন যাদের দোযখবাসী হওয়া অবধারিত ছিল। (ইবনে মাজাহ )
২৩) কুরআন শিক্ষার দ্বারা হেদায়েত লাভ করা সম্ভব
এ ব্যাপারে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত ইরশাদ করেন ‘নিশ্চয় এ কুরআন এমন পথ-প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল ও সঠিক’।
[সূরা বনি-ইসরাঈল:০৯]
২৪) কুরআন তিলাওয়াত দ্বারা অন্তরে প্রশান্তি নেমে আসে:
মানব জীবনে টাকা পয়সা বা অন্যান্য কারণে জাগতিক তৃপ্তি আসলেও প্রকৃত তৃপ্তি ও শান্তি কুরআন শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। এজন্য কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿ أَلَا بِذِكۡرِ ٱللَّهِ تَطۡمَئِنُّ ٱلۡقُلُوبُ ٢٨ ﴾ [الرعد: ٢٨]
অর্থ : ‘যারা ঈমান আনে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়’ [সূরা আর-রা‘দ:২৮]।
আসুন, আমরা এ কুরআনের সাথে লাগিয়ে রাখি নিজেকে। কুরআনের হক আদায় করি তার নিয়মিত তিলাওয়াত এবং বাস্তব জীবনে কুরআনে বর্ণিত আদর্শকে ধারণ করে। কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত করি নিজেকে। কুরআনের পাঠক হই। কুরআন পড়া শেখা না হয়ে থাকলে আজই শুরু করি কুরআন পাঠ। কুরআনের প্রচারক হই। কুরআনের শিক্ষক হই। কুরআনের প্রেমিক হই। কুরআনের খেদমতে যারা নিয়োজিত থাকেন, তাদের মুহাব্বত করি। আমার বাড়ির পাশের মক্তবে যে গরীব ছাত্র ছাত্রীরা কুরআন পড়ছে, কুরআনের হিফজ করছে, তাদের দু'একজনের কুরআন শিক্ষার খরচ বহন করার মাধ্যমে কুরআনের সাথে সম্পর্ককে আরও মজবুত করি। সামর্থ্য থাকলে নিজেও কুরআনের তা'লীম তাআ'ল্লুমের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন।
ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহ।
কৃতজ্ঞতা সুন্দর মন্তব্যে। কুরআনের তিলাওয়াত শুনলে যে মন প্রশান্ত হয়, কুরআনেও বলা হয়েছে সেকথা। পোস্টের শেষাংশের আলোচনায় উল্লেখিত আয়াতে 'জিকর' শব্দের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের স্মরণ বুঝানো হয়েছে। আর আল কুরআনুল কারীমের তিলাওয়াতের মাধ্যমে যেহেতু আল্লাহ পাকের স্মরণ হয়, তাই আল কুরআন তিলাওয়াত করা এবং শ্রবন করা নি:সন্দেহে উত্তম জিকর। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
﴿ أَلَا بِذِكۡرِ ٱللَّهِ تَطۡمَئِنُّ ٱلۡقُلُوبُ ٢٨ ﴾ [الرعد: ٢٨]
অর্থ : ‘যারা ঈমান আনে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকর দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রাখ, আল্লাহর জিকর দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়। [সূরা আর-রা‘দ:২৮]
শুভকামনা সবসময়।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
হাইয়াকুমুল্লাহ। বা-রাকুমুল্লাহু ফি হায়াতিক।
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।
আপনার তথ্যবহুল সুন্দর পোষ্টগুলো আমি কিন্তু সময় পেলেই পাঠ করি।
নিজের প্রয়োজনেই পড়ি।
ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
আপনাদের মত গুনীজনদের জন্য এই ধরণের পোস্ট নি:সন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আমার নিজের কাছেও এমনসব পোস্ট সবসময় প্রিয় বিষয়।
আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: জাযা'কআল্লাহ খাইরান !
আমি চেস্টা করছি আল কোরআন বুঝে পড়ার আর সে অনুযায়ী আমল করার ! দোয়া করবেন যেন সফল হতে পারি !আল্লাহ কারীম !
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া। আল কুরআনের আলোকিত পথের নিরলস যাত্রী আপনি!
আপনার জন্য দুআ এবং শুভকামনা অন্তহীন। আপনার প্রচেষ্টা আল্লাহ পাক কবুল করুন।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
পুনরায় মন্তব্যে এসে অভিব্যক্তি জানিয়ে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।
আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিটিআরসি বলেছে আমাদের সামু নাকি পর্ণ সাইট। এখন আপনার এই লেখাও কি পর্ণ ভাই?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
সামু পর্ণ সাইট নয়।
বিটিআরসি আশা করছি, অপপ্রচারে কান না দিয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পুনর্বিবেচনা করবে। প্রয়োজনে তারা তদন্ত সাপেক্ষে এই অভিযোগের সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে পারে। এদেশের কল্যানকামী কারও চিন্তায় কখনো সামু বন্ধ করার ভাবনা আসতে পারে না। আশা করছি, বিটিআরসিও সত্য বিষয়গুলো অবগত হলে তাদের পক্ষে ইতবিাচক এবং সঠিক সিদ্ধান্তে আসা সহজ হবে।
অন্যথায় ঢালাও অভিযোগে, যাচাই বাছাই না করে বিশ্বের সর্ববৃহত বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সামহোয়্যার ইন ব্লগ বন্ধ করা হলে তা ব্যক্তি আক্রোশ চরিতার্থ করা কিংবা বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠীর ক্ষুদ্র কোনো স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলী দেয়ার মত বিষয় হবে।
অবিলম্বে সামুর পথচলাকে নিষ্কন্টক করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩২
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: ২-৩ দিন ব্লগে ঢুকতে পারি নি; আইপি ব্লক ছিল। আজকে রাত হঠাৎ করেই ঢুকতে পেরে ভাল লাগতেছে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগে ঢুকতে না পারাটা অনেক কষ্টের। টর ব্রাউজার দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।
আমার মন অশান্ত হলে আমি ইউটিউবে কোরআন তেলোয়াত শুনি। তাতে আমার মন শান্ত হয়।