নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
'আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা'বান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।'
রজব মাস শুরু হয়েছে। জানি না, রমজান পাব কি না। হায়াতের কাটা কোন পর্যন্ত গিয়ে থেমে যাবে, কারও জানা নেই। তাই সমাগত মাহে রমজান যাতে আমাদের প্রত্যেকের নসিব হয়, সে পর্যন্ত আমাদের হায়াতকে আল্লাহ পাক যেন প্রলম্বিত করে দেন সে জন্য প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখিয়ে দেয়া উপরের দুআটি বেশি বেশি পড়তে থাকি।
আজ থেকে নিয়ে হিসেব করলে আর মাত্র ৫৬ কি ৫৭ দিন বাকি রমজানের। তার মানে, এখন থেকে দু'মাসেরও কম সময়ের ভেতরে আমাদের মাঝে শুভাগমন ঘটবে পবিত্র মাহে রমজানের। আমরা রমজানপ্রাপ্তির আসায় পথ চেয়ে থাকি। সময় গননা করি। ক্যালেন্ডারে চোখ রাখি। কারণ, রমজান আসে রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের মহান বারতা নিয়ে। এই তো আর ক'টা দিন গেলেই চলে আসবে মহিমাময় মাস শা'বান। শৈশবে গাওয়া হৃদয় সিক্ত করা সেই গজল আজও মনে পড়ে-
'বছর শেষে এলো আবার মোদের মাঝে শা'বানের চাঁন,
আল্লাহ বলেন, আমি দিব বান্দাদের সম্মান।'
আসছে পবিত্র মাহে রমজান : ব্যবসা-বানিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রে চাই সংযম।
পবিত্র মাহে রমজানের আগমনে আনন্দ শুধু মুমিন হৃদয়েই সীমাবদ্ধ নয়। কান পেতে শুনলে, গোটা বিশ্ব চরাচরে এর ছোঁয়া উপলব্ধি করা যায়। প্রকৃতিতেও যেন ছড়িয়ে পড়ে মাহে রমজানের পবিত্রতার আলোকচ্ছটা। গাছপালা পত্র পল্লব মেলে নিরবে যেন রমজানকে বরণ করে নিতেই ব্যাকুল হয়ে থাকে। পাহাড় পর্বত যেন স্থির অচঞ্চল পায়ে দাঁড়িয়ে মাহে রমজানের আগমনেরই বার্তা ঘোষনা করে যায়। ঝর্ণা গিরি সাগরও গভীর নির্লিপ্ততায় মাহে রমজানের আগমনী ই'লান করে যায়।
পবিত্র মাহে রমজানের সম্মানে, সিয়াম পালনকারীদের দিকে লক্ষ্য রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, দ্রব্যমূল্য সাধারণত কিছুটা কমানো হয়। বিশেষত: মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের ব্যবসায়ীরা পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রতিটি জিনিসের দাম অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কমিয়ে দেন। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের চিত্র পুরোপুরিই এর বিপরীত।
কথায় বলে- 'চোরে না মানে ধর্মের শিক্ষা!' অতিতের অভিজ্ঞতা বলে- ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ মজুদদার এবং নিছক মুনাফাখোর। এদের বিবেচনায় লাভ ছাড়া অন্য কিছুর স্থান নেই। দ্রব্য মূল্য কমানো তো দূরের কথা, মাহে রমজানকে এরা টার্গেট করে রাখেন ব্যবসার মাস হিসেবে। পুরো বছরের ব্যবসায়ের সকল ক্ষতি আর লোকসান পুষিয়ে নেয়ার জন্যই যেন এদের কাছে রমজান মাসের আগমন। রোজাদারদের স্বাদ ও সাধ্যের কথা, তাদের প্রতি নূন্যতম হৃদ্যতা প্রদর্শনের কথা এরা ঘূনাক্ষরেও চিন্তা করেন না।
প্রায় বছরই বাজারসংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে আমরা জানতে পারি, অধিক মুনাফার আশায় প্রতি বছরই রমজানের আগে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলতে পাঁয়তারা চালান একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা এ অপতৎপরতা চালান। সরকারের সঙ্গে বৈঠকে ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় নানা আশ্বাস প্রদান করলেও পরবর্তী সময়ে তা রক্ষা করেন না অধিকাংশ ব্যবসায়ী। রমজান, ঈদ বা পূজা এলেই খুচরা, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীরা মেতে ওঠেন সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটার উৎসবে।
এছাড়া রয়েছে পণ্যে ভেজাল দেয়ার বিষয়টি। এটি আরও গুরুতর। টাকা দিয়ে অখাদ্য, ডাইংয়ের রংসহ নানান ধরণের ভেজাল খাদ্যের নামে আমাদের কিনতে হয় এবং গলাধ:করণও করতে হয়। অবশ্য একথা ঠিক, প্রত্যেক ব্যবসায়ী বা আমদানিকারকই রমজানের বাজারে পণ্যদ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নন। পণ্যে ভেজাল দিয়ে থাকেন, এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কম বলেই আমাদের ধারণা।
এমতাবস্থায় গোটা ব্যবসায়ী সমাজকে দায়ী করে তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হওয়া যেমন সমীচীন নয়। তেমনি বিশেষ কোনো ব্যবসায়ীকে উদ্দেশ্য করেও কিছু বলার সুযোগ নেই। তাই যারা ভালো ব্যবসায়ী। যাদের ব্যবসা নীতি উত্তম। তাদের জন্য শুভকামনা। কল্যানের দুআ। আর যাদের ভেতরে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রমজান মাসে রোজাদারদের পকেট কাটার উৎসবের খেয়াল রয়েছে, তাদের প্রতি সত্যের দিকে ফিরে আসার আহবান।
পরিশেষে প্রত্যাশা- ব্যবসায়ীরা তো শুদ্ধাচারী হবেনই, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রনের পথ থেকে ফিরে আসবেন সংশ্লিষ্ট সকলেই, পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ড নজরদারির দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গও যেন অনুপ্রাণিত হয়ে ওঠেন নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে। পরিশীলিত করতে। পরিবর্তন করতে। পরিমার্জন করতে।
আল্লাহ পাক আমাদের রমজানের খায়ের ও বরকত হাসিল করার তাওফিক দিন। সকল প্রকারের অন্যায় অশ্লীলতা থেকে মুক্ত থাকার শক্তি দান করুন।
গভীর আন্তরিকতায় আবারও পাঠ করি-
'আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা'বান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।'
অর্থ- 'হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শা'বান মাসে বরকত দান করুন এবং রমজান পর্যন্ত আমাদের হায়াত বাড়িয়ে দিন
আপডেটঃ বেশ ক'দিন পরে দেয়া এই পোস্টে মন্তব্য অপশন খোলা রেখেছিলাম। কিন্তু পোস্টের ভিউ গানিতিক হারে বৃদ্ধি পেতে দেখে কমেন্ট মডারেশন করে দেয়া হল। বলা তো যায় না, কখন আবার আসমানী গজব নাযিল হয়। আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন। সকলকে সুমতি দান করুন।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
টেস্ট।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: উপকারী পোস্ট।।। জাজাকাল্লাহ খায়ির....
ছবি যোগ করতে পারেননি জেনে খারাপ লাগলো খুব... আসলেই খুব দুঃখজনক...
মোবাইলে অপেরা মিনি দিয়ে ছবি আপলোড দেয়া যায়...
অপেরা মিনি ডাওনলোড করে দেখুন... ছবি আপলোড দিতে পারবেন আশা করি...
যদি সম্ভব না হয়... যে ছবিটা যোগ করতে চাইছেন সেই ছবিটা আমাকে ফেসবুকে পাঠান।।। আমি সব ওকে করে.. মানে লিংকটা দিয়ে দিব... লিংকটা দিলেই ছবি আপলোড হয়ে যাবে।
আমার ফেসবুক আইডি: http://www.facebook.com/arh100
শুভ ব্লগিং...
১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা। আপনার পরামর্শ অনুসারে ছবি আপলোড হয়েছে। হৃদ্যতাপূর্ণ মন্তব্যে অভিবাদন। প্রতিমন্তব্যে আসতে দেরি হওয়ায় আন্তরিকভাবে দু:খিত।
শুভকামনা সবসময়।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: পবিত্র রামাদান সবার জন্য বরকত ও রহমত নিয়ে আসুক ! সুন্দর পোস্ট ! জাজা'কাল্লাহ খায়েরান..
১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহু তাঅা'লা আহসানাল জাজা।
অনেক দিন পরে আপনার সাক্ষাত পেয়ে ভালো লাগলো। যতটুকু মনে পড়ে, আপনি প্রবাসে ছিলেন। বিদেশ বিভূইয়ে আশা করছি, আল্লাহ পাক আপনাকে কুশলে রেখেছেন। আমাদের আন্তরিক দুআ, কুশলেই থাকুন সদাসর্বদা।
কৃতজ্ঞতাসহ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
এই পোস্টে একটি ছবি যুক্ত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ছবি আপলোড করা যাচ্ছে না। অশ্লীল ছবি আপলোড বন্ধ করার জন্য যদি ব্লগ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়ার ফলে এমনটা হয়ে থাকে আমাদের একটুও কষ্ট নেই। বরং তাদের এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই। স্বস্তি এবং কৃতজ্ঞতা আদায় করছি।
সামহোয়্যার ইন ব্লগ ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ। ষড়যন্ত্রের সকল জাল ছিন্ন করেই বাংলা ভাষার সর্ববৃহত এই প্লাটফর্মে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে।