নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
সজনে: বিষ্ময়কর ওষুধি গুণবিশিষ্ট এক গাছ
সজনে। চিনেন কি গাছটাকে? গ্রাম গঞ্জে রাস্তার পাশে, ঝোপঝাড়ে, বনে বাদারে হেলা-অবহেলায় জন্ম নেয়া চিরল চিরল পাতার এই গাছটি যে এতই গুণধর তা ক'দিন পূর্বেও কি আমরা জানতুম? খুব অল্প সংখ্যক লোকের জানা থাকলেও অনেকেরই অজানা ছিল এর চমকপ্রদসব ওষুধি গুণের কথা। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম মরিংগা ওলেইফেরা (Moringa Oleifera)। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। গবেষকরা সজনে পাতাকে বলে থাকেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড। ইংরেজিতে গাছটিকে মিরাকল ট্রি (Miracle tree) বা অলৌকিক গাছ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আচ্ছা, কি এমন আছে এই গাছটিতে যে, একে 'মিরাকল ট্রি' বলতে হবে? আসলে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই গাছের প্রতি গ্রাম পাতায় গাজরের চারগুন বেশি ভিটামিন এ, দুধের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কলার চেয়ে ৩ গুণ বেশি পটাসিয়াম, কমলালেবুর চেয়ে সাতগুণ বেশি ভিটামিন, দইয়ের চেয়ে ২ গুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে।
প্রায় চার হাজার বছর ধরে রন্ধন এবং নানা চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে এ গাছ। কমবেশি ৩০০ রকমের অসুখের চিকিৎসা হয় এই গাছটি দিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় বহু বছর ধরে বাড়ির আনাচে-কানাচে, বনে-জঙ্গলে, পুকুরের ধারে এই গাছ দেখা যায়। সম্প্রতি সেনেগাল, মালির মতো আফ্রিকান দেশগুলোতে এর চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। চাষও খুব সহজ। গাছের একটা ডাল পুতে দিলেই হলো। এই গাছ বাড়েও খুব দ্রুত। দুই তিন বছরে ফুল দেয়। এর ফুল, পাতা, ফল সব কিছুই সুস্বাদু। যদিও চেনা জিনিসের মূল্য আমাদের নিকট কম, কিন্তু বিশ্বজুড়ে আজ এই গাছ নিয়ে গবেষণা। চারদিকে জয় জয়কার এই গাছের। এই বিস্ময়বৃক্ষটি আমাদের সবার পরিচিত সজিনা বা সজনে গাছ।
সজনে বা সজিনার ডাল বা তরকারি আমরা কম-বেশি সবাই হয়তো খেয়েছি। কিন্তু সজনে পাতাও যে শাক হিসেবে খাওয়া যায়, এটা কি সবাই জানি? উত্তর হচ্ছে- জানি না। মশলা ছাড়া শুধু তেল-রসুন দিয়ে রান্না সজনে পাতা খেতে শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিকরও বটে। সজনে পাতা ও সজনের ডাটাতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা খাদ্যনালী ও অন্ত্রের পরিপাক তন্ত্রকে পরিষ্কার করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত যেসব খাবার আমরা খেয়ে থাকি এবং যার তেল রক্তনালীতে আটকে থাকে- সেগুলো বের করতে সজনে সাহায্য করে। এছাড়া সজনের ভেতরে রয়েছে আইসোথিয়োকাইনেটস নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা গ্যাস্ট্রিক, আলসার এবং গ্যাস্ট্রিকজনিত ক্যানসার ঠেকাতে সহায়তা করে বলে গবেষনায় উঠে এসেছে।
শুধু কি তাই? এই যে পানি বিশুদ্ধ করতে আমরা প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি, এর সমাধানেও সজনের রয়েছে দারুন ভূমিকা। সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সজনের দানা পানি বিশুদ্ধকরণে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপায়। উপস্যুলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা সন্দর্ভে বলা হয়েছে, সজনের দানা পানি দূষণ রোধ করে, পানিতে কোনোরকম দূষণীয় ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো অণুজীব উপদান দ্রবীভূত হতে দেয় না। আমেরিকা, নামিবিয়া, ফ্রান্স ও বতসোয়ানার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সজনের আণবিক্ষণিক প্রোটিন উপাদান পানি বিশুদ্ধকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একইভাবে সজনে শরীরকে বিশুদ্ধ রাখে। ফলশ্রুতিতে সজনেকে আজকের বিশ্বে চিহ্নিত করা হচ্ছে ‘সুপার ফুড’ হিসেবে।
আর অসংখ্য গুণের আধার এই সুপার ফুডের এমন বিশেষ কিছু খাদ্যগুণ রয়েছে, যা একে দিয়েছে রীতিমত তারকাখ্যাতি। আসুন, জেনে নিই সেগুলো-
এক. সজনে: পুষ্টির ভান্ডার:
শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে সজনের পুষ্টি গুণের কথা। প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি এতে আয়রনেরও রয়েছে সক্রিয় উপস্থিতি। শুধু উপস্থিতি বললে বোধ করি কমই বলা হবে। কারণ, এই সবজিটিতে আয়রনের পরিমান পালং শাকের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি।
দুই. সজনে: এন্টি-অক্সিডেন্টের খনি:
এন্টি-অক্সিডেন্টের খনি বলা যায় সজনের পাতাকে। সজনে-তে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এর মধ্যে ভিটামিন সি, বেটা-কেরোটিন, কিউরেকটিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড বিদ্যমান। উল্লেখ্য, এর সবগুলো উপাদানই মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রক্তের চাপ ও শর্করা কমাতে বিশেষ কাজে দেয়। এশিয়ান প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্যানসার প্রিভেনশনের দাবি, সজনের পাতায় বিদ্যমান এন্টি-অক্সিডেন্ট বাধা দেয় ক্যানসার কোষ সৃষ্টিতে।
তিন. ডায়েবেটিস প্রতিরোধে সজনে:
নিয়মিতভাবে এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং আইসোথিয়োকাইনেটস নামের উপাদানগুলো গ্রহণ করা হলে ডায়েবেটিসের মাত্রা হ্রাস পায়। প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজনের পাতা খেয়ে ডায়বেটিস ২১ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করা সম্ভব। গবেষনার ফলাফল বলছে, একাধারে তিন মাস এক চা চামচ করে সজনে পাতার গুড়া খেয়ে ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
চার. সজনে বীজের তেল: আরেক আশ্চর্য উপকারী বস্তু:
সজনে বীজের তৈরি তেলেও রয়েছে তেলেসমাতি। অন্য যেকোনো ভেজিটেবেল অয়েল -এর চেয়ে এর গুণাগুণ অধিক। দীর্ঘদিনের লিভারের রোগীর জন্য এ তেল খুব উপকারী। সজনে গ্রহণে খাদ্যের গুণগত মান অটুট থাকে। পচনশীল খাবারকে দীর্ঘস্থায়ীত্ব দিতেও সজনের তেলের তুলনা নেই। বাতের ব্যথা-বেদনায় যেমন ব্যবহার করা যায়, তেমনি শীতের আর্দ্রতা থেকে ত্বককে রক্ষা করা, রূপচর্চাতেও এই তেল একইরকম কার্যকর।
পাঁচ. হৃদরোগের ওষুধ, কোলেস্টেরল কিলার:
মানবদেহেরে জন্য ক্ষতিকর ঘাতক কোলেস্টেরলকে হত্যা করে সজনে হয়ে উঠতে পারে আপনার হৃদপিন্ডের বন্ধু। আমাদের দূর প্রতিবেশি দেশ থাইল্যান্ডে বহু বছর ধরে হৃদরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সজনেকে। মাত্র তিন মাস ব্যবহারে এটি কোলেস্টেরল লেভেল অর্ধেকে নামিয়ে আনার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ছয়. আর্সেনিক দূষণরোধেও সমান কার্যকর সজনে:
বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত পানিতে আর্সেনিক দূষণ। এটিকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবেই ধরা হয়। এই সমস্যা নিরোধে সজনের বীজ কিংবা পাতা ভূমিকা রাখে। এমনকি আর্সেনিক দূষণে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করতে সজনে বীজ বা এর পাতা ব্যবহার বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে বলে জানা যায়।
সাত. মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে:
সজনে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। পাতা থেকে তৈরি এক টেবিল চামচ পাউডারে ১৪% প্রোটিন, ৪০% ক্যালসিয়াম, ২৩% আয়রণ বিদ্যমান, যা ১ থেকে তিন বছরের শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোকালীন সময়ে ৬ টেবিল চামচ পাউডার একজন মায়ের প্রতিদিনের আয়রণ এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
আট. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক:
নিয়মিতভাবে দৈনিক সজনে সেবন শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে আরো শক্তিশালী করে এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ হওয়ার দরুন এটি ‘এইডস’ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
নয়. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে কার্যকর:
সজনে শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি কাজ করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবে।
দশ. সাহায্য করে ওজন কমাতে:
সজনে শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।
এগারো. যকৃত ও কিডনী সুস্থ্য রাখে এবং রূপ-সৌন্দর্য্য বর্ধক
সজনেতে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি যকৃত ও কিডনী সুস্থ্য রাখতে এবং রূপ-সৌন্দর্য্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করে থাকে।
বারো. অকাল বার্ধক্যরোধ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর:
সজনেতে ৩৬ টির মত এন্টি-ইনফ্ল্যামমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া আরও যেসব শারিরিক সমস্যায় সজনে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়-
০১. শরীর ব্যথা : শরীরের কোনো স্থানে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে সজনের শিকড়ের প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ফোলা সেরে যায়।
০২. কান ব্যথা : সজনের শিকড়ের রস কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।
০৩. মাথা ব্যথা : সজনের আঠা দুধের সাথে খেলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। আঠা কপালে মালিশ করলে মাথা ব্যথা সেরে যায়।
০৪. ফোঁড়া সারায় : সজনের আঠার প্রলেপ দিলে ফোঁড়া সেরে যায়।
০৫. মূত্রপাথরি ও হাঁপানি : সজনে ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্রপাথরি দূর হয়। ফুলের রস হাঁপানি রোগের বিশেষ উপকারী।
০৬. গ্যাস থেকে রক্ষা : সজনে পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে বাচ্চাদের পেট জমা গ্যাস দূর হয়।
০৭. কুকুরের কামড়ে : সজনে পাতা পেষণ করে তাতে রসুন, হলুদ, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ ধ্বংস হয়।
০৮. জ্বর ও সর্দি : সজনে পাতার শাক খেলে যন্ত্রণাধায়ক জ্বর ও সর্দি দূর হয়।
০৯. বহুমূত্র রোগ : সজনে পাতার রসে বহুমূত্র রোগ সারে।
১০. কোষ্ঠকাঠিন্য ও দৃষ্টিশক্তি : সজনের ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
১১. সজনে ফুল দুধের সাথে রান্না করে নিয়মিত খেলে কামশক্তির বৃদ্ধি ঘটে। এর চাটনি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
১২. গেঁটে বাত : সজনের ফল নিয়মিত রান্না করে খেলে গেঁটে বাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
১৩. ক্রিমিনাশক ও টিটেনাস : সজনের কচি ফল ক্রিমিনাশক, লিভার ও প্লীহাদোষ নিবারক, প্যারালাইসিস ও টিটেনাস রোগে হিতকর।
১৪. অবশতা, সায়াটিকা : সজনের বীজের তেল মালিশ করলে বিভিন্ন বাত বেদনা, অবসতা, সায়াটিকা, বোধহীনতা ও চর্মরোগ দূর হয়।
১৫. সজনে পাতার রস হৃদরোগ চিকিৎসায় এবং রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয়।
১৬. এন্টিসেপটিক: পোকার কামড়ে এন্টিসেপ্টিক হিসেবে সজনের রস ব্যবহার করা হয়।
১৭. ক্ষত সারায়: ক্ষতস্থান সারার জন্য সজনে পাতার পেস্ট উপকারী।
১৮. সজনে শরীরের প্রতিরোধক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য, ভারি ধাতু অপসারণ এবং শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সহায়তা করে।
১৯. ইন্টেস্টাইন ও প্রোস্টেট সংক্রমণ : সজনে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
২০. শ্বাসকষ্ঠ, মাথা ধরা, মাইগ্রেন, আর্থাইটিস এবং চুলপড়া রোগের চিকিৎসায়ও সজনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
অতি উপকারী এবং সহজে প্রাপ্য এই সজনের ব্যবহার কিন্তু আমাদের কাছে এখনো বলা চলে বেশ সীমিত পরিসরেই রয়ে গেছে। জানা না থাকার কারণে যা আমাদের খাওয়া প্রায় হয় না বললেই চলে। এবার আসুন, সজনের কিছু ব্যবহার নিয়ে একটু আলোকপাত করা যাক-
এক. সজনের ডাল আর তরকারির পাশাপাশি খুব সহজেই এর কচিপাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। এটি পালং, মূলা শাক বা পাট শাকের মতোই রান্না করে খাওয়া যায়।
দুই. সালাদ বানাতে টমেটো অথবা শসার সঙ্গে সজনে পাতা ব্যবহার করা যায়।
তিন. যেকোনো স্যুপে ব্যবহার করা যায় এটি। কয়েকটি সজনে পাতা বাড়তি স্বাদ আর পুষ্টি এনে দেবে স্যুপে।
চার. পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে ঘরে সংরক্ষন করে নিয়মিত খাওয়া যায়।
পাঁচ. সজনে বীজের তেল প্রায় দুষ্প্রাপ্য। আমাদের দেশে সেভাবে ব্যবহার হতেও দেখা যায় না। এটির সহজলভ্যতায় সকল প্রতিকূলতা দূর করায় পদক্ষেপ জরুরি। সজনের তেল অবশ্য বেশ দামি, অলিভ অয়েলের চেয়েও। আমাদের বরং উচিত সজনের তেল ও গুঁড়াকে বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করার ব্যবস্থাকে তরান্বিত করা।
ছয়. মুরগির মাংস রান্নায় কচি সজনে পাতা বেশ সুস্বাদু হয়।
সাত. এছাড়া কালিজিরা, কাঁচামরিচ, রসুনের সাথে সজনে পাতার ভর্তাও একটি মজাদার খাবার।
আট. ছোট মাছের সাথে সজনে পাতার চচ্চড়ি খুবই উপাদেয়। সজিনা পাতার বড়াও বেশ উপাদেয়। চা বা কফি তৈরিতেও ব্যবহার করা যায় সজনে পাতা।
এবার আসুন, চোখ বুলিয়ে নিই সজনে দিয়ে তৈরি কয়েকটি বিশেষ খাবারের রেসিপিতে-
১. মসুর ডালে সজনে : প্রথমে মসুর ডাল-১ কাপ, সজনে- ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি, তেল, হলুদ গুঁড়া, রসুন কুচি, মেথি, সরষে বাটা, লবণ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা পরিমাণমতো নিতে হবে। মসুর ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর হাঁড়িতে পানি চাপিয়ে তাতে মসুর ডাল, রসুন কুচি, হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে। অন্য পাত্রে তেল দিয়ে সজনে ভেজে তাতে মেথি দিয়ে তুলে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে তেলসহ ডালে ঢেলে দিতে হবে। কাঁচামরিচ কালি ও ধনেপাতা দিয়ে চুলা থেকে নামাতে হবে।
২. সজনে লাউ নিরামিষ : সজনে ২৫০ গ্রাম, লাউ- আধা কেজি, শুকনা শিমের বীচি-২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, টমেটো-১টি, কাঁচামরিচ-২টি, ধনেপাতা পরিমাণমতো নিতে হবে। সজিনার আঁশ ফেলে ১.৫-২ ইঞ্চি করে টুকরা করে নিতে হবে। একই সাথে টমেটো ও লাউ টুকরো করতে হবে। শুকনো শিমের বীচি তাওয়ায় ভেজে পাটায় ভেঙে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তেলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, সজনে ও লাউ দিয়ে রান্না করতে হবে। শিমের বীচি দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে এরপর টমেটো দিতে হবে। লাউ ও সজনে সেদ্ধ হলে, মরিচ ফালি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে ২-৩ মিনিট পর চুলা হতে নামাতে হবে।
৩. সজনে পাতার পাকোড়া : সজনে পাতা-১০০ গ্রাম, মসুর ডাল-২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ ও আলু-২০০ গ্রাম করে, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, লবণ ও তেল পরিমাণমতো। মসুর ডাল পরিষ্কার করে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সজনে ডাঁটা ভালো করে ধুয়ে কুচি, কুচি করে কাটাতে হবে। আলু, পেয়াজ, ধনেপতা, কাঁচামরিচ, সব কুচি করে কেটে নিতে হবে। মসুরের ডাল হালকা করে বেটে নিতে হবে। ডালের সাথে কুচানো সজনে পাতা, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা ভালো করে মেশাতে হবে। চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করতে হবে। হাত দিয়ে গোল করে বড়ার মতো করে বানিয়ে তা গরম তেলে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। সস বা চাটনিসহ গরম গরম পাকোড়া পরিবেশন করতে হবে।
৪. আলু সজনের তরকারি : সজনে-৫০০ গ্রাম, আলু, পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ও কাঁচামরিচ পরিমাণমতো নিতে হবে। সজনে ডাঁটার আঁশ ফেলে ২ ইঞ্চি লম্ব করে কেটে নিতে হবে। আলুর খোসা ছিলে লম্বাকরে টুকরা করে কেটে নিতে হবে। তেলে রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে সরষে বাটা, আলু, সজনে দিয়ে চুলায় চড়াতে হবে। পরে পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সবজি সেদ্ধ হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
৫. সজনে দিয়ে ইলিশ মাছ : ইলিশ মাছ-৪ টুকরা, সজনে ৪-৫টি, বড় পেঁয়াজ কুচি-১টি কাঁচামরিচ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরা বাটা, তেল ও লবণ পরিমাণ মতো নিতে হবে। ইলিশ মাছের টুকরাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। সজনেগুলো ১.৫-২ ইঞ্চি করে কেটে নিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ও সব মসলা, লবণ কড়াইতে দিয়ে সজনে দিতে হবে। সজনে দিয়ে অল্প কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হলে তাতে মাছ দিতে হবে। তারপর অল্প নাড়াচড়া করে পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঝোল মাখা মাখা হলে নামানোর আগে কাঁচামরিচ দিয়ে নামাতে হবে।
৬. চিংড়ি নারিকেলে সজনে মালাইকারি : সজনে ২৫০ গ্রাম, চিংড়ি-১৫/২০টি (মাঝারি আকৃতির), নারিকেল বাটা-আধা কাপ, চিনি-১ চা চামচ, কাঁচামরিচ-২/৩টি, পরিমাণমতো পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, তেজপাতা, তেল, হলুদ গুঁড়া নিতে হবে। প্রথমে চিংড়ির মাথা ও ভেতরের কালো রগ ফেলে ধুয়ে সজিনার আঁশ ফেলে টুকরো করে রাখতে হবে। নারিকেল বেটে নিতে হবে। তেল গরম হলে তেজপাতা, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, আস্ত চিংড়ি দিয়ে নেড়ে চেড়ে সজনে ভেজে নিতে হবে। পানি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এরপর বাটা নারিকেল, সামান্য চিনি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ২০ মিনিট রান্নার পর নামানোর পূর্বে কাঁচামরিচ দিয়ে নামাতে হবে।
৭. আম সজনের ঝোল : সজনে বাটা-২৫০ গ্রাম, কাঁচা আম-৬-৭ টুকরা, পেঁয়াজ বাটা, পাঁচ ফোড়ন, রসুন বাটা, কাঁচামরিচ, সরিষার তেল, হলুদ গুঁড়া ও লবণ পরিমাণমতো। প্রথম সজনে ডাঁটার আঁশ ফেলে টুকরা করতে হবে। কাঁচা আমের ওপরের সবুজ ত্বক ফেলে লম্বা করে কাটতে হবে। কাঁচামরিচ বেটে নিতে হবে। তেল গরম হলে পেঁয়াজ বাটা, পাঁচ ফোড়ন বাটা, হলুদ ও রসুন বাটা দিয়ে কষাতে হবে। এরপর সজনে ডাঁটা ও লবণ দিয়ে ২ কাপ পানি দিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে দিতে হবে। সজনে সেদ্ধ হলে আমের টুকরা ও মরিচ বাটা দিয়ে জ্বাল দিতে হয়। তেল ওপরে ভেসে উঠলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
৮. দই সজনে : সজনে-৫০০ গ্রাম টকদই-২০০ গ্রাম, রসুন আদা, কাঁচামরিচ বাটা, হলুদ গুঁড়া ও তেজপাতা পরিমাণমতো নিতে হবে। সজনে ডাঁটার আঁশ ফেলে ১.৫ ইঞ্চি করে টুকরা করে নিতে হবে। তেলে তেজপাতা ভেজে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষিয়ে সজিনা ঢেলে দিতে হবে। ভালোভাবে নেড়ে টক দই দিয়ে অল্প পানি সহযোগে ২০ মিনিট পর নামাতে হবে।
৯. সজনে পাতার সবুজ ভাত : চাল-৪০০ গাম, মুগডাল-২০০ গ্রাম, সজনে পাতা-২০০ গ্রাম, সেদ্ধ ডিম-৩টি, টমেটো, শসা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, তেজপাতা, গরম মসলা, লবণ, সয়াবিন তেল, লেবু পরিমাণমতো নিতে হবে। প্রথমে চাল ও ডাল ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সজনে পাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে কেটে কুচি কুচি করতে হবে। পেঁয়াজ ও ধনেপাতা কুঁচি করতে হবে। সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়িয়ে টমেটো ও শসার সাথে সøাইস করতে হবে। আদা, রসুন ও কাঁচামরিচ বেটে নিতে হবে। চুলায় কড়াই চাপিয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। এরপর চাল ও ডাল ২ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। তারপর আদা, রসুন, কাঁচামরিচ বাটা ও তেজপাতা দিয়ে ভালোভাবে মিশাতে হবে। তারপর সজিনা পাতা যোগ করতে হবে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে ২০ মিনিট জ্বাল দিলে সব সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে যাবে। কুচানো ধনেপাতা ও গরম মসলা দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। ডিম, টমেটো, শসা ও লেবু দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
১০. সজনে পাতার সবুজ রুটি : গমের আটা-৫০ গ্রাম, বেসন-২০ গ্রাম, সজিনা পাতা-২৫ গ্রাম, পেঁয়াজ-২৫ গ্রাম এর সাথে আদা জিরা, কাঁচামরিচ, তেল, লবণ পরিমাণমতো নিতে হবে। প্রথমে সজিনা পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে বেটে নিতে হবে। আদা, পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিতে হবে। জিরা ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে। এবার আটার সাথে বেসন ভালো করে মেশাতে হবে। একে একে মিশ্রণের সাথে সজিনা পাতা, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা ও অন্যান্য মসলা মিশাতে হবে। এরপর পানি দিয়ে রুটি তৈরির খামির বানাতে হবে। কিছুক্ষণ খামির রেখে দিয়ে রুটির গোলা তৈরি করে রুটি বেলে নিতে হবে। চুলায় তাওয়া গরম করে সাধারণ রুটির মতো সবুজ রুটি ভেজে নিতে হবে।
১১. পেলকা : সজনে পাতার তৈরি দিনাজপুরের গ্রামীণ সমাজের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও উপাদেয় খাবারের নাম হচ্ছে পেলকা। পরিমাণমতো সজনে পাতা, খাবার সোডা এক চিমটি, রসুন ১টি কাঁচামরিচ ও লবণ স্বাদমতো নিতে হবে। ডেকচিতে ২-৩ লিটার পানি চাপিয়ে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। সজনে পাতা পরিষ্কারভাবে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। চুলায় পানি ফুটলে পাতাগুলো ফুটন্ত পানিতে ঢেলে দিতে হবে। এরপর আদা, রসুন কাঁচামরিচ ও সামান্য পরিমাণ খাবার সোডা দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। পাতিলের তলায় যেন না লাগে সেজন্য চামচ দিয়ে নাড়তে হবে। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
কখন পাওয়া যায় সজনে?
সাধারণত: মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত সজনে পাওয়া যায়। এ সময় অন্যান্য মৌসুমি সবজির মধ্যে সজনের যথেষ্ট কদর থাকে। সজনে আগাম বাজারে নিতে পারলে আর্থিকভাবে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। সজনে এবছরও সিজনের প্রথম দিকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কেনা-বেচা হতে দেখা গেছে।
সজনে আবার কারও সমস্যার কারণ হয় কি না কে জানে!
যদিও ইউনানী ও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বহু বছর ধরেই এর ব্যবহার প্রচলিত। তবু তা সীমিত পরিসরেই বলা চলে। আবার আমাদের মধ্যে আমরা অনেকেই রয়েছি, যারা নিজেদের অতি আধুনিক ভাবি। সবকিছুতে নাক ছিটকানো ভাব আমাদের মজ্জায় চলে এসেছে। মাথার উপরে সানগ্লাস; ভেতরে মোটর সাইকেলের চাকা, ইন্টারনেট, মঙ্গল গ্রহের ছবি গিজগিজ করছে। কিসের গাছ-গাছড়া ছাইপাশ? কিসের কি? ভাবখানা এমন, এন্ড্রয়েড যুগের মানুষ- মুই কি হনুরে! ইউনানী, আয়ুর্বেদ কিংবা হোমিওপ্যাথির নাম শুনলেই নাক কুচকে কপালে তুলি। অথচ, বিশ্বব্যাপী এসব চিকিতসা পদ্ধতি সমাদৃত হয়ে আসছে শত শত, হাজার হাজার বছর ধরে! হায়রে আধুনিকতা! এর নামও কি আধুনিকতা! যদিও গাছ-গাছড়া দিয়েই তৈরি অধিকাংশ হোমিও মেডিসিন! অধিকাংশ ইউনানী আয়ুর্বেদ জাতীয় ওষুধ!
যাক, যার যেটা ভালো লাগবে তিনি সেটা গ্রহন করবেন, এটাই স্বাভাবিক। সকলেরই গ্রহন-বর্জনের স্বাধীনতা স্বীকৃত। তবে যে যা-ই ভাবুন, বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এই সুপার ফুড-বিস্ময়বৃক্ষ সজনের বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে এই সবজিটির বানিজ্যিকভাবে চাষাবাদের কথা নতুন করে ভাববার সময় বোধ হয় আমাদের এখনই। আর এটি করা সম্ভব হলে খুলে যেতে পারে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত।
অনুরোধ: আসুন, এই গাছটির একটি করে ডাল আজই আমাদের ঘরের কোনে অব্যবহৃত যে জায়গাটি পড়ে আছে, সেখানে লাগিয়ে দিই। ফুলে ফলে ভরে উঠুক সকলের সজনে গাছ। 'সজনে' পরিনত হোক আমাদের 'স্বজনে'।
ছবি: অন্তর্জাল।
wikipedia, dailysangram.com, dailyinqilab.com এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিষয়ক ওয়েব ais.gov.bd অবলম্বনে।
কৈফিয়ত: লিখতে লিখতে পোস্টের শেষে এসে যা দেখলাম- পোস্ট যথারীতি অতি বড় হওয়ার সেই পূর্ব দোষে দুষ্ট। ধৈর্য্যচ্যূতি ঘটানোর জন্য দু:খিত। পর্বাকারে দিতে ইচ্ছে হল না বলে এক পোস্টেই...।
শুভকামনা। বাংলা নতুন বছর সকলের জীবনে বয়ে আনুক অবারিত কল্যান। ভালো থাকুন সকলে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, তাই হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১১
হাবিব বলেছেন: স্যরি ভাই, আমার ভুল ছিল। অনেক জরুরী তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি সঠিকটাই দেখেছিলেন।
সাথে সাথেই এডিট করে দিয়েছি বলে এমন মনে হয়েছে।
নজরে আসামাত্র বিষয়টি অবহিত করায় আবারও সাধুবাদ। কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এত্ত গুলা সজনের রেসিপি
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি। আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: পূর্বে এই সজনে গাছটি চিনতাম না যা আজ চিনলাম এর খাদ্য গুনাগুন সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আশা করছি, টেস্ট করে দেখবেন সুন্দর উপকারী এই সবজিটি।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
রায়হান চৌঃ বলেছেন: যদি কোন ডাক্তার কে প্রশ্ন করা হয় কি নেই সজনে পাতায় ?
তবে আমার ধারণা, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে ঐ ডাক্তার কে আবারও নিন্মে ৬ মাস পড়াশোনা করে ভেবে চিন্তে উত্তর দিতে হবে.....
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
অবস্থা দৃষ্টে তেমনটা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকেও।
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২০
হাবিব বলেছেন: সাজনার প্রসঙ্গ আসলেই আমার একটি কবিতার লাইন মনে পড়ে......... "সজনে ডাটায় ভরে গেছে গাছটা" ...... আবু জাফর ওবায়দুল্লার "মাগো ওরা বলে" কবিতার লাইন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুণ বলেছেন। ধন্যবাদ।
৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সজনে এত গুণের অধিকারী!!!! আমি অবশ্য না জেনে প্রচুর সূর্য নিয়ে বসে খেয়েছি। যখন বাজারে প্রথম সরু সুতো আকারে উঠেছিল তখন থেকে শুরু করে আজ অব্দি মোটা মোটা ঢাকের লাঠি পর্যন্ত সজিনা কিনে যাচ্ছি। তবে এখন আর সজিনাতে টেস্ট নেই ,মোটা হয়ে গেছে। সুন্দর একটি বিষয় জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । বৈশাখী প্রভাতে আপনাকে সজিনার শুভেচ্ছা জানালাম। হাহাহাহাহা....
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এত বেশি না জানলেও আপনি যে সজনের একজন বিরাট ভক্ত। এখানে 'ভক্ত' মানে 'ভোক্তা'। আর হ্যাঁ, মৌসুমের শেষের দিকে ক্রমে ক্রমে সজনের স্বাদটা একটু ফিকে হয়ে আসে। এটা অবশ্য অন্য অনেক সবজির ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে।
আন্তরিক মন্তব্য ভালো লাগলো।
শুভকামনা সবসময়।
১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: দারুণ!
কিছু কিছু নোট করে রেখে দিলাম পরে নিজে চেষ্টা করার ইচ্ছায়।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ।
১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
জুন বলেছেন: সিজনের সময় আমি প্রায় প্রতিদিনই সজনে খাই নকিব। তবে একটাই রেসিপি সেটা হলো সজনের সাথে ছোট একটা আলু লম্বা ফালি করে তার সাথে দেশি টক টমেটো, কাচা মরিচ, পেয়াজ, হলুদ, মরিচ আর তেল দিয়ে চচ্চড়ি। এটা আমি একাই খাই, বাসার বাকি সদস্যদের সজনে ডাটা চাবাতে নাকি কষ্ট হয়
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। আপনার রেসিপি খুব সুন্দর। আপনার ভা্বীকে দেখিয়েছি। তিনি পছন্দ করেছেন।
১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২
প্রামানিক বলেছেন: অতি ভিটামিন প্রকাশ পাওয়ায় এবার সাজনার দাম আর কমতেছে না। এখনও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ধন্যবাদ বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। অবস্থা তাই মনে হচ্ছে।
১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শুভ নববর্ষ ১৪২৬. Excellent post
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
শুভকামনা আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য। নতুন বছর রচনা করুক- আমাদের সাফল্য, সৌভাগ্য এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ।
১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়েছি।
সুন্দর বিষয়টি আমাদের জানিয়ে দেয়ার জন্য মন থেকে ধন্যবাদ জানবেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন। আমারও প্রিয় একটি সবজি। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। রেসিপিগুলো কাজে দিতে পারে।
কিছু জায়গায় দ্বিমত আছে:
কুকুরের কামড়ে : সজনে পাতা পেষণ করে তাতে রসুন, হলুদ, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ ধ্বংস হয়। -- আসলে কুকুরের কোনো আলাদা বিষ থাকে না। কুকুর র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এবং সেই আক্রান্ত কুকুর কামড় দিলে র্যাবিস ভাইরাসের সংক্রমন ঘটতে পারে। যেটাকে আমারা জলাতঙ্ক বলি। আর এ ভাইরাস সজনে বাটা দিয়ে মেরে সমাধান সম্ভব নয়। কোনো গবেষণায় এখনও তা প্রমাণিতও হয় নি আমার জানা মতে। এই ভাইরাসের একমাত্র নিদান ভ্যাকসিন।
আরেক জায়গায় টিটেনাসের উপশমের কথা লিখেছেন। এটারও কোনো সায়েন্টিফিক ভিত্তি নেই বলেই মনে করি।
যাহোক, সজনের উপর এটি একটি মহাকাব্যিক পোস্ট। এমন পোস্ট আরো চাই।
শুভ নববর্ষ ১৪২৬।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
মূল্যবান মন্তব্য পোস্টের পূর্ণতায় সহায়তা কনবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট । সরাসরি প্রিয়তে
সজনে সত্যিই একটি গুণী উদ্ভিদ ও ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ তরকারী ।
এটা সেই ছোট কাল হতেই আমার নৈমিত্তিক খাদ্য তালিকায় থাকে
এর শাক খুাবই স্বুসাদু । মসুরীর ডালের সাথে রান্না করা সজনে খুবই উপাদেয় ।
আপনি ঠিকই বলেছেন , দক্ষিন এশিয়ায় বিশেষ করে দক্ষিন ভারতে এটা
নৈমিত্তিক খাবারের অংশ । বেশ কয়েক বছর আগে সরকারী এক সফরে
ভারতের তামিল নাড়ুতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল । তখন দেখেছি
সেখানে সকলের পাতে হরেক সব পদের সাথে বাটিতে করে
কলা পাতের থালে দৃস্টি নন্দনভাবে বাটিতে করে স্যুপ সমেত
পরিবেশিত হয় ছোট ছোট করে কাটা এই সজনে ব্যঞ্জটি ।
উল্লেখ্য, তামিল নাড়ুতে বলতে গেলে প্রায় সকলেই নিরামিশ ভোজী
সজনে নাকি তাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় নিত্তই থাকে আর
এটা খেয়ে তারা সকলেই থাকে প্রায় রোগ বালিই হীন স্লিম বডি ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আলী ভাই,
আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো লাগলো আপনার মূল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্য। তামিলনারুর সজনে অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় সেখানকার অধিকাংশ নিরামিষভোজী মানুষের সজনেপ্রীতি জানার সুযোগ হলো। এতদাঞ্চলের লোকজনের সাথে কর্মজীবনে অনেকটা সময় অতিবাহিত করার ফলে তাদের জীবনাচার সম্পর্কে কমবেশি জানার সুযোগ হয়েছে।
শুভকামনা সবসময়।
১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবই ভালো ছিলো, যারা সজনে খাবেন তারা শক্তিশালী সব্জি খাবেন; খেয়ে কেহ মরবেন না।
০৭ নং: কুকুরে কামড় দিলে, এবং ঐ কুকুরের শরীরে র্যাবিস থাকলে, আপনার পদ্ধতিতে সজনে চিকিৎসা দিলে, উহা ধরাধাম ত্যাগ করিবেন; ব্লগার আখেনাটেন তা বলেছেন। আপনি না জেনেও অনেক বিষয়ে লেখেন; যেসব বিষয় আপনার পরিস্কার নয়, উহা নিয়ে লেখা সঠিক নয়।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
চাঁদগাজী ভাই,
আমি কোথাও বলিনি যে, আমার লেখা নির্ভুল হতেই হবে। আর এই পোস্টের সাথে তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
দুঃখিত! আপনি যেভাবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিয়ে একতরফা এবং একচোখাভাবে কথাগুলো বলে গেলেন, তাতে মনে হচ্ছে, এই বিশাল ব্লগে এরকম ভুল শুধু আমি একাই করে থাকি। যাক, আমি তো আপনাকে জানি। আপনার বলার ধরণটা যে এমনই, আমি বুঝলেও সবাই তো আর বুঝবেন না।
আচ্ছা, আপনার নিজের কোথাও কোনো সমস্যা আছে- এমনটা কি চোখে পড়ে?
আপনি কি সব নির্ভুল লিখেন?
আপনার জন্য শুভকামনা।
১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "আচ্ছা, আপনার নিজের কোথাও কোনো সমস্যা আছে- এমনটা কি চোখে পড়ে?
আপনি কি সব নির্ভুল লিখেন? "
-আমি যা জানি ও বুঝি, শুধু তাই নিয়ে লিখি; আমি কোন বৈজ্ঞানিক থেকে শুরু করে, কোন নবীর রেফারেন্সও দিই না আমার পোষ্টে; ফলে, ভুলের সম্ভাবনা কমে আসে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
কোনো কারণে কোনো লেখায় বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স প্রয়োজন হতেই পারে। আর তাতে ভুলও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সতর্কতার তাগিদে বলতে পারেন, সেগুলো যেন আরও যাচাই-বাছাই করে উপস্থাপন করি, যাতে তথ্য-উপাত্তগুলো অথেন্টিক হয়। ইনফরমেশনগুলো যাতে সঠিকভাবে উঠে আসে। ভুল-চুক থেকে যাতে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। এটা তো ভালো কথা। এই ভালো কথাগুলোই আপনার পূর্বে আখেনাটেন ভাই বলে গেছেন। অবশ্য তার বলার ধরনের সাথে আপনার বলার ভিন্নতা ছিলো। প্রশ্নটা এই ভিন্নতা নিয়েই।
এছাড়া আপনার চোখের যা অবস্থা, তাতে এটাও মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয় যে, এই ঢাউস সাইজের পোস্ট পাঠান্তে আপনি আপনার প্রথম মন্তব্যটি করেছেন। সুতরাং, পোস্ট না পড়ে, শুধু অন্যের মন্তব্য দেখেই সম্ভবত আপনার এত উপদেশ বিতরণ।
আর নবীদের রেফারেন্স আপনি দিলেও ক্ষতি নেই। শুধু সঠিকভাবে সত্য কথাগুলো উঠে আসছে কি না সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
যাই হোক, আমারও সতর্কতার সাথে, আরও দায়িত্ব নিয়ে তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করেই পোস্টের চিন্তা করা উচিত।
একচুয়ালি আপনার উদ্দেশ্য যে ভালো ছিলো, এটা বুঝতে কষ্ট হয়নি। ভালো থাকুন।
১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: এই গাছের প্রতি
গ্রাম পাতায় গাজরের চারগুন বেশি
ভিটামিন এ, দুধের চেয়ে ৪ গুণ বেশি
ক্যালসিয়াম, কলার চেয়ে ৩ গুণ বেশি
পটাসিয়াম, কমলালেবুর চেয়ে সাতগুণ বেশি
ভিটামিন, দইয়ের চেয়ে ২ গুণ বেশি
প্রোটিন রয়েছে।
এত কিচ্ছু। অবাক হয়ে গেলাম...
সম্পূর্ণ লেখা এখনো পড়ি নাই। যা বুঝলাম আগে এক খান সাজনা গাছ আইন্যা লাগাইতে হইব বাড়িত। তারপর আবার পড়ুম
আপনাকে ধন্যবাদ...
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আপনি তাই করুন। লাগিয়ে দিন একটা সজনে গাছ। বেড়ে উঠুক সে ছোট্ট চারাটি পরম মমতায়। সজনেগাছের ডালে ডালে, পাতায় পাতায় ভরে উঠুক আপনার আঙিনা।
শুভকামনা সবসময়।
২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৭
সুমন কর বলেছেন: ডাল আর সরিষা দিয়ে তৈরি চচ্চড়ি খাই। কিন্তু পাতা কখনো খাওয়া হয়নি। এ দেখছি, বিশাল গুণের সমাহার। তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এখন থেকে আশা করছি, দারুন উপকারী এই গাছটির পাতার স্বাদও গ্রহন করে দেখবেন মাঝে মাঝেই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: সব ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা একটাই। যখনই সজনে খাই, চিবোতে চিবোতে চোয়ালে ব্যাথা হয়ে যায়। যার কারণে সুখ বিষাদে পরিণত হয়। কোনো পরামর্শ কি আছে এ ব্যাপারে?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
দুঃখ বিনা সুখলাভ হয় কি মহিতে?
তবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও রয়েছে।
আপাততঃ আখ চিবানোর মেশিনের কথা মাথায় রাখা যায়। বেশি পরিমাণে সজনেডাঁটা নিন। এবার সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে মেশিনে ঢুকিয়ে রসটুকু সংগ্রহ করুন। এবার ভাবুন, এই রসটাকে প্রসেস করে কিভাবে খাবারের উপযোগী করা যায়। আমি যদিও এটা করে দেখিনি, তবু মনে হচ্ছে, এটা দিয়ে ডাল রান্না করা হলে ভালোই হবে।
শুভকামনা সবসময়।
২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন পোস্ট। সজনে আমার প্রিয় তরকারি। সিজনে প্রতিদিন রাঁধিতে বলিয়াছি। দাম অন্যান্য সবজির তুলনায় বেশি। পাতা কালোজিরার মতন , খাইতে মজা।
ভাবছি সজনের চাষ শুরু করিব।
অনেক রোগের শেফা হিসেবে সজনের ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস হওয়া উচিত। তাহলে আরও ভালো হইবে, গুরুতর রোগেও ইহার কার্যকারিতা প্রমাণিত হইবে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
বেশ সুন্দর পরিকল্পনা। চাষ শুরু করে দিন। ইনশাআল্লাহ এক দিন গিয়ে দেখে আসবো আপনার সজনেগাছের বাগান।
২৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।
সজনে ডাঁটার এতো গুন জানতাম না, তবুও খেতাম।
ভালো লাগে খেতে।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি,
ওয়া আলাইকুমুসসালামু ওয়ারহমাতুল্লাহ।
আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা।
২৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ++++
সাজনার ফুল ভর্তা করে খাওয়া যায়। ছালও ভর্তা করে খায় কেউ কেউ।
ধন্যবাদ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ছালও উপকারী এই গাছটির। দারুণ তথ্য দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা সবসময়।
২৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: সজনে খাইতে গেলে কিমুন জানি লাগে৷ বেশি আঁশওলা। তবে সজনের ডাল খাই। এখন অবস্থা দেইখা মনে হইতাসে সকালে সজনের পরোটা, দুপুরে সজনে দিয়া ভাত আর রাতে সজনে দিয়া ফ্রাইড রাইস খাইতে হইবো।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন অবস্থা দেইখা মনে হইতাসে সকালে সজনের পরোটা, দুপুরে সজনে দিয়া ভাত আর রাতে সজনে দিয়া ফ্রাইড রাইস খাইতে হইবো।
-সম্ভব হলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
অনেক অনেক শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৯
হাবিব বলেছেন: নকিব ভাই লেখা ডাবল হয়ে গেছে