নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
আহ! আমাদের নিয়ে কতই না সুন্দর কথা বলেছেন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম:
হযরত আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: 'আমার উম্মতের ভেতরে আমাকে তারাই বেশি ভালোবাসবে- যারা আমার (ওফাতের) পরে আসবে! তাদের কেউ এমনও আশা করবে যে, আমাকে দেখলে, আমার জন্যে সে তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদও কুরবান করে দিতো।' (মিশকাত: ৬০২৪ ও মুসলিম শরীফাঈন)।
আহ! তিনি কতই না ভাবতেন আমাদের নিয়ে:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফরমালেন: 'আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে ঐ সৃষ্টি বেশি বিস্ময়কর- যে জাতি আমার পরে আসবে এবং তারা (আমাকে না দেখেও আমার উপর ঈমান এনে) আসমানী কিতাব (আল-কুরআন) পেয়ে তাতে বর্ণিত বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনবে।' (মিশকাত: ৬০২৮ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুওয়াত)।
উম্মতের জন্য তাঁর কি অপরিসীম দরদমাখা দুআ:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা এক দিন আল্লাহর রাসূল ﷺ এর সাথে ছিলেন। রাসূল ﷺ কে বেশ উৎফুল্ল দেখে হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বললেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহ তাআ'লার কাছে দুআ করুন।’
রাসূল ﷺ উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার জন্য দুআ করলেন। 'হে আল্লাহ! আয়েশাকে মাফ করে দিন। তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দিন, তার আগামীর গুনাহ ক্ষমা করে দিন, তার গোপনে করা গুনাহ মাফ করুন, তার প্রকাশ্যে করা গুনাহও মার্জনা করে দিন।'
রাসূল ﷺ এর দুআর এমন সুন্দর বাক্য শ্রবনে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা হাসলেন। রাসূল ﷺ আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার এই দুআ কি তোমাকে আনন্দিত করেছে?’
হযরত উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বললেন, ‘কি করে এমন দুআ কাউকে সন্তুষ্ট না করে পারে!’
প্রিয় নবীজী ﷺ হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহাকে বললেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি আমার উম্মতের জন্য আমার প্রতি নামাজে এই একই দুআ করি।’
যে দুআ রাসূল ﷺ তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য করেছেন, সেই একই দুআ' প্রতি নামাজে তিনি তাঁর উম্মতের জন্য করেছেন, আপনার জন্য, আমার জন্য করেছেন। তিনিই আমাদের রাসূল ﷺ। প্রিয়তম রাসূল ﷺ। আহ! উম্মতের প্রতি কেমন দরদী ছিলেন তিনি!
আমাদের জন্য কাঁদতেন তিনি:
কোনো একদিন। পথ চলছিলেন আল্লাহর রাসূল ﷺ। কি এক চিন্তার রেখা ফুটে উঠলো তাঁর চেহারা মোবারকে। হঠাত কেঁদে উঠলেন তিনি। সাথে থাকা সাহাবা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমগন কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘আমি আমার ভাইদের জন্য কাঁদছি।’
সাহাবাগন বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি আপনার ভাই নই?’
রাসূল ﷺ বললেন, ‘তোমরা তো আমার সাথী। আমার ভাই হল তারা, যারা আমার পরে আসবে, আর আমাকে না দেখেই আমার উপর ঈমান আনবে।'
এমন দরদীকে ভালোবাসা কি আমাদের দায়িত্ব নয়?
প্রিয়তম রাসূল ﷺ আমার জন্য আপনার জন্য কেঁদেছেন। আমাদের মনে করে নিরবে কেঁদেছেন। চোখের অশ্রু ঝড়িয়েছেন। আমাদেরকে ভেবে ব্যাকুল হয়েছেন। আমাদের না দেখেও কল্পনায় আমাদের দেখার চেষ্টা করেছেন আমাদের পৃথিবীতে আগমনের পূর্বেই। আজ আমরা কতোটুকু অনুভব করি প্রিয় নবীজীকে? ক'দিন তাঁর স্মরণে আমাদের চোখ অশ্রু ঝড়িয়েছে? তাঁর জন্য কাঁদতে পেরেছি কি কোনো দিন? ফেলতে পেরেছি চোখের দু'ফোটা তাজা তপ্ত অশ্রু? উম্মতের প্রতি, তামাম জগদ্বাসীর প্রতি এমনই দয়ালু ছিলেন তিনি যে, তাদের কল্যান কামনায়, তাদের গুনাহমাফির জন্য প্রতি নামাজে আকাশের মালিকের নিকট ফরিয়াদ জানাতেন তিনি। তিনি দুআ করতেন। উম্মতের নাজাত কামনায় বেকারার-ব্যাকুল-অস্থির হতেন। কান্নায় বুক ভাসাতেন। ক্ষুধা-তৃষ্ণার অপরিসীম কষ্ট সহ্য করে যেতেন। কখনওবা পাথর বাঁধতেন ক্ষুধাকাতর শুন্য উদরে। অবিশ্বাসীদের হাজারো অত্যাচার-জুলূম সহ্য করতেন নিরবে। অন্যায়ের প্রতিশোধ অন্যায় দিয়ে নিতেন না কখনও। নির্বোধদের দেয়া শত আঘাত অকাতরে সয়ে যেতেন। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়েও তাদের ধ্বংসের দুআ করতেন না। বরং দুআ করতেন তাদের পথপ্রাপ্তির জন্য। তাদের হেদায়েতের জন্য। তাদের দুনিয়া আখিরাতের জীবন আলোকিত করার প্রত্যয়ে। প্রিয়তম সেই রাসূলের প্রতি আমাদের হৃদয়ের ভালোবাসা কতটুকু! আমরা তাকে কতটুকু ভালোবাসতে পেরেছি! তাঁর স্মরণে আমরা দিনে কতবার দরুদ পড়ি? তাঁকে ভালোবেসে, তাঁর আচরিত সুন্নাহগুলোকে ভালোবেসে নিজেদের জীবনে তা কতটুকু ধারণ করতে পেরেছি আমরা?
খেজুর বৃক্ষও যার বিরহে কাঁদে:
হিজরত করে মদিনায় চলে এলেন রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মুসলমানদের ইবাদতের উদ্দেশ্যে মদিনার কেন্দ্রস্থলে আবু আইয়ূব আনসারি রাদিআল্লাহু তাআ'লার বাড়ি সংলগ্ন স্থানে নির্মান করলেন মসজিদে নববী। খেজুর পাতার ছাউনি আর খেজুর গাছের কান্ড দিয়ে তৈরি মসজিদে নববীতে তখনও তৈরি হয়নি কোনো মিম্বার। আল্লাহর রাসূল ﷺ খুতবাহ দিতেন একটি গাছে হেলান দিয়ে। একপর্যায়ে মিম্বার তৈরি হল। রাসূল ﷺ মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। উপস্থিত সাহাবাগন আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলেন, তারা স্পষ্ট শুনতে পেলেন, পরিত্যক্ত সেই খেজুর বৃক্ষের খুটি থেকে শিশুর মত অঝোরে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। প্রিয়তম রাসূলের বিরহে খেজুর বৃক্ষের কান্নার সেই শব্দ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা মসজিদে নববীতে। সহিহ হাদিসের ভাষ্যে প্রমান, স্বয়ং রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই খুটিটিতে হাত বুলিয়ে দেয়ার পরই তার কান্না বন্ধ হয়। আহ! একটি গাছও রাসূল ﷺ এর বিরহে কেঁদেছে। তাঁর বিচ্ছেদে কান্নার ঢেউ খেলেছে গাছের বুকেও।
গোটা মদিনায় কান্নার রোল:
আল্লাহর রাসূল ﷺ এর ইনতিকালের পর অন্যান্য সাহাবীদের মত শোকে পাথর হয়ে যান হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহুও। তিনি প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তিরোধানে এতটাই শোকাহত হয়ে পড়েন যে, তিনি আর আযান দিতে পারলেন না। যে মদিনায় ছুটে এসেছিলেন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহচর হয়ে। দিনরাত পেরিয়ে যেত যার নূরানী চেহারা দেখে। আজ তিনি নেই। যে মদিনায় তিনি নেই, সেখানে থেকে আর কি হবে- এমনই মনোভাব থেকে একদিন চলে গেলেন মদিনা ছেড়ে।
অনেক দিন পরে। রাসূল ﷺ কে স্বপ্নে দেখলেন তিনি। রাসূল ﷺ হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলছেন, 'বিলাল, এতদিনেও কি তোমার সময় হয়নি আমার রওজায় আসার?'
প্রায় ছয় মাস পরে বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ফিরে এলেন প্রিয় মদিনায়। তপ্ত প্রাণে ছুটে গেলেন রাসূলের রওজাপানে। সালাত ও সালাম জানালেন প্রিয়তম রাসূলে পাককে।
মদিনাবাসীগন হযরত বিলাল রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর সেই দরদমাখা আযান শুনতে পান না কত দিন! তারা অনুরোধ করলেন। হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যেন একটিবার আযান দেন। কিন্তু তিনি মনঃস্থির করেছেন, রাসূলের জন্য যে আযান দিতেন তা আর কোনদিন কারো জন্য দিবেন না। শেষে হযরত উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর অনুরোধে হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আযান দেওয়া শুরু করলেন। সেই আযান, সেই মধুময় সময়, সেই স্মৃতি, রাসূলুল্লাহর পুরনোসব স্মৃতি- সব যেন একসাথে ভেসে আসা শুরু করল। কিছুক্ষণের জন্য মদিনার লোকেরা মনে করলেন, রাসূল ﷺ বুঝি আবার ফিরে এসেছেন। মদিনার ঘরগুলো থেকে সবাই বেরিয়ে আসা শুরু করলেন। হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন আযানে 'আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ'র স্থানে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন, পুরো মদিনাজুড়ে কান্নার হুহু শব্দ ছাড়া আর কোনো আওয়াজ ছিল না! আহ! হুব্বে রাসূল কেমন ছিল তাদের! আমাদের ভেতরে সেই রাসূল প্রেম কি আছে? থাকলেও, তা কতটুকু আছে?
তিনটি কাজ আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ:
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ’আলা হাদ্বরামী রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: 'এ উম্মতের শেষ পর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায় আসবে যাদের নেক আমলের সওয়াব তাদের প্রথম যুগের লোকদের (সাহাবায়ে কেরামের) সমতুল্য হবে, তারা মানুষজনকে সৎ কাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজ করতে নিষেধ করবে এবং ফিতনাবাজদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।' (মিশকাত: ৬০২৯ ও ইমাম বায়হাকীঃ দালায়িলুন নবুওয়াত)
রাসূলপ্রেমই মুক্তির পথ:
প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনগাঁথা শুনে আমাদের হৃদয়ে কি তাঁর ভালোবাসা জাগ্রত হয়? আমরা কি সত্যি পেরেছি তাকে ভালোবাসতে? তাঁর ভালোবাসা, তাঁর সুন্নাতের প্রতি ভালোবাসা আমাদের মন ও মননে কি বাসা বাধতে পেরেছে? তাকে ভাবলে, তাঁর অগনিত স্মৃতির পাতা উল্টালে আমাদের চোখ কি অশ্রুসজল হয়? তাঁর মুহাব্বতে আমাদের অন্তর কাঁদে? হৃদয় কাঁদে? আর সবার মুহাব্বতের উপরে তাঁর মুহাব্বতকে আমরা প্রাধান্য দিতে পেরেছি কি? তাঁর স্মরণ আমাদের হৃদয়ে ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দেয় কি? তাঁর প্রতিটি সুন্নাত পালন আমাদের অন্তরে প্রশান্তির সুবাতাস বইয়ে দেয় কি? তাঁর রেখে যাওয়া অনুপম আদর্শকে আমাদের চলার পথের পাথেয় বানিয়ে নিয়েছি কি? প্রিয় বন্ধু, এটাইতো মুক্তির পথ। এটাইতো মহান রব্বুল আলামীনকে চেনা, জানা এবং ভালোবাসারও প্রকৃত পথ। এ-ইতো সাফল্যের মহাসড়ক! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার ক্ষমা এবং জান্নাতের দ্বারে গিয়ে মিশে গেছে যে পথের শেষ গন্তব্য!
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
'বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।'
Say: "If ye do love Allah, Follow me: Allah will love you and forgive you your sins: For Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful."
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা আমাদের প্রত্যেককে প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যিকারের অনুসারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। কথা কাজে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একমাত্র তাঁর আদর্শকে অনুসরণ এবং অনুকরণের কিসমত নসিব করুন।
ছবি: অন্তর্জাল।
০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে আনন্দিতবোধ করছি। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা।
২| ০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭
পবিত্র হোসাইন বলেছেন:
আল্লাহ বলেন: ‘‘আমিতো আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্য প্রদানকারী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং রাসূলকে সাহায্য কর ও সম্মান কর এবং সকালে সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ কর’’ (সূরা আল ফাতহ: ৮-৯)।
আমাদেরকে সব সময় নবী (সা.) কে সম্মান করতে হবে। নবী (সা.) যতটুকু মর্যাদার হক্বদার আমাদেরকে ততটুকুই মর্যাদা দিতে হবে এতে কোন কার্পণ্য করা যাবে না।
০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
খুবই সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন। কৃতজ্ঞতা।
প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যথাযথ মুহাব্বত ব্যতিত একজন বিশ্বাসী ব্যক্তির ঈমান পরিপূর্ণ হতে পারে না। সুতরাং, তাকে ভালোবাসা ঈমানের পূর্ণতার পূর্বশর্ত।
শুভকামনা সবসময়।
৩| ০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নবীজীকে ভাল না বেসে কোন মুসলমানের উপায় আছে।
হৃদয় ছোঁয়া কথামালা পোষ্টে+++++++++++++++++++++++++++.............................................................।
০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক তাই। প্রিয়তম নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি হৃদয়ের মুহাব্বত মুমিন মুসলমানের চক্ষু শীতল করে। তাঁর প্রতি ভালোবাসার গভীরতা যত বৃদ্ধি পাবে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সাথে বান্দার আন্তরিক ভালোবাসাও ততটাই গভীর হবে।
কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা সবসময়।
৪| ০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০২
মুক্তা নীল বলেছেন: আপনার প্রতিটি পোষ্ট অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। আমাদের প্রিয় রাসুলের এত উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্তগুলো অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আপনি তুলে ধরেছেন।
০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন আন্তরিক মন্তব্য রেখে যাওয়ায়। প্রায় পোস্টেই আপনার সরব উপস্থিতি সত্যি আনন্দিত করে। কৃতজ্ঞতাসহ আপনার জন্য সর্বদাই কল্যানের দুআ।
৫| ০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিসমাত মে মেরি চ্যাইন সে জ্বীনা লিখ দে,
ডুবে না কাভি মেরা সাফিনা লিখ দে,
জান্নাত ভি গাঁওয়ারা হে লেকিন মেরে লিয়ে
অ্যায় কাতিবে তাক্বদীর! মাদিনা লিখ দে।তাজেদারে হারাম! হো নিগাহে কারাম
হাম গারীবো কে দিন ভি সাঁওয়ার যায়েঙ্গ
কিংবা
সবছে আওলা ও আলা, হামারা নবী, সবছে বালা ও আলা, হামারা নবী।
আপনে মাওলাকা পেয়ারা, হামারা নবী, দোনো আলমকা দুলহা, হামারা নবী। নবী প্রেমে মগ্নতায় ডুবায়
আবার
হে রাসুল বুঝিনা আমি
হে রাসুল বুঝিনা আমি
রেখেছ বেঁধে মোরে কোন সুতোয় তুমি
রেখেছ বেঁধে মরে কোন সুতোয়
জানি না গোপনে কেমন করে (২বার)
হৃদয়ে গড়েছ প্রেমের বলয়।।
তোমারি নামে আনন্দে দুলি
তোমারি নামে দুনিয়া ভুলি
কি জাদু মাখা এ নামেতে (২বার)
খোঁদারও পরশে যে নাম হরষে (২বার)
নাম মুহাম্মাদ শুধু মধুময়।। ঐ
হৃদয়ে নবী প্রেমের আকুলতা বাড়ায়
সবার মূখু মুখে ফেরা প্রিয় সব নাত
“ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এল রে দুনিয়ায়,
আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়।”
* “মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা, তুমি বাদশার বাদশাহ, কামলিওয়ালা।”
* ” মোহাম্মদ না জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে, তাই কি রে তোর কণ্ঠের গান এমন মধুর লাগে।”
* “মোহাম্মদ মোর নয়ন-মনি মোহাম্মদ মোর জপমালা, ঐ নামে মিটাই পিয়াসা ও নাম কওসরের পিয়ালা।”
কবি নজরুলের অনন্য সৃষ্টি! কবি নজরুল যে মানুষটিকে নয়নমনি ভেবেছেন তাঁকে নিয়ে যে সুন্দর সুন্দর গান লিখবেন এটাই স্বাভাবিক। নজরুলের লেখা আরো কয়েকটি বিখ্যাত নাতে রাসুল এরকম-
* ‘নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল,
* তৌহিদেররই মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম,
* তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হযরত, এ কোন মধুর শারাব দিলে আল-আরাবী সাকি,
* মোহাম্মদ নাম যতই জপি ততই মধুর লাগে,
* ইয়া মোহাম্মদ বেহেশত হতে খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও –
এ যেন এক অনন্ত প্রবহমান ধারা। ইশকের, নবী প্রেমের, নবী শানের এক অনন্ত বহতা নদী!
যে যত খুশী ডুবে যাও ডুবিয়ে দাও নিজেকে ডবাও আশিক জনায় ততই মর্যাদা ততই প্রশান্তি!
নবী প্রেমের শানে পোষ্ট দিয়ে সবার অন্তরে নবী প্রেমের বাণী পৌছানোয় কৃতজ্ঞতা
+++++++++++
০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৯:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
কিসমাত মে মেরি চ্যাইন সে জ্বীনা লিখ দে,
ডুবে না কাভি মেরা সাফিনা লিখ দে,
জান্নাত ভি গাঁওয়ারা হে লেকিন মেরে লিয়ে
অ্যায় কাতিবে তাক্বদীর! মাদিনা লিখ দে।তাজেদারে হারাম! হো নিগাহে কারাম
হাম গারীবো কে দিন ভি সাঁওয়ার যায়েঙ্গ
-মন ছুঁয়ে যাওয়া না'তে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
সবছে আওলা ও আলা, হামারা নবী, সবছে বালা ও আলা, হামারা নবী।
আপনে মাওলাকা পেয়ারা, হামারা নবী, দোনো আলমকা দুলহা, হামারা নবী। নবী প্রেমে মগ্নতায় ডুবায়
-হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া না'তে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হে রাসুল বুঝিনা আমি
হে রাসুল বুঝিনা আমি
রেখেছ বেঁধে মোরে কোন সুতোয় তুমি
রেখেছ বেঁধে মরে কোন সুতোয়
জানি না গোপনে কেমন করে (২বার)
হৃদয়ে গড়েছ প্রেমের বলয়।।
তোমারি নামে আনন্দে দুলি
তোমারি নামে দুনিয়া ভুলি
কি জাদু মাখা এ নামেতে (২বার)
খোঁদারও পরশে যে নাম হরষে (২বার)
নাম মুহাম্মাদ শুধু মধুময়।। ঐ
হৃদয়ে নবী প্রেমের আকুলতা বাড়ায়
-চমকপ্রদ আরেকটি না'ত।
১. “ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলোরে দুনিয়ায়,
আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়।”
২. “মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা, তুমি বাদশার বাদশাহ, কামলিওয়ালা।”
৩. ” মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে, তাই কিরে তোর কণ্ঠেরই গান এমন মধুর লাগে।”
৪. “মোহাম্মদ মোর নয়ন-মনি মোহাম্মদ মোর জপমালা, ঐ নামে মিটাই পিয়াসা ও নাম কাওসরের পিয়ালা।”
কবি নজরুলের অনন্য সৃষ্টি! কবি নজরুল যে মানুষটিকে নয়নমনি ভেবেছেন তাঁকে নিয়ে যে সুন্দর সুন্দর গান লিখবেন এটাই স্বাভাবিক। নজরুলের লেখা আরো কয়েকটি বিখ্যাত নাতে রাসুল এরকম-
৫. ‘নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল,
৬. তৌহিদেররই মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম,
৭. তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হযরত, এ কোন মধুর শারাব দিলে আল-আরাবী সাকি,
৮. মোহাম্মদ নাম যতই জপি ততই মধুর লাগে,
৯. ইয়া মোহাম্মদ বেহেশত হতে খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও –
-আপনার উল্লেখ করা প্রিয় কবি, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সবার মুখে মুখে ফেরা প্রিয় সব না'তগুলোও দারুন।
এ যেন এক অনন্ত প্রবহমান ধারা। ইশকের, নবী প্রেমের, নবী শানের এক অনন্ত বহতা নদী!
যে যত খুশী ডুবে যাও ডুবিয়ে দাও নিজেকে ডুবাও আশিক জনায় ততই মর্যাদা ততই প্রশান্তি!
শেষের দু'টি লাইনই হচ্ছে সারকথা। 'যে যত খুশী ডুবে যাও ডুবিয়ে দাও নিজেকে ডুবাও আশিক জনায় ততই মর্যাদা ততই প্রশান্তি!'
এতটা দীর্ঘ মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার অবারিত কল্যান হোক।
৬| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১১:২৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এতো সুন্দর এত মনোমুগ্ধকর! একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
সত্যিই আমরা যে কত বড় নাফরমান।যে আমাদের জন্য একদিন কেঁদেছিলও যে আমাদের বাঁচাবার জন্য একদিন কাঁদবে সেই নবীর প্রতি আমাদের যেন ন্যূনতম ভালোবাসাও নেই।আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করি আমরা যেন সেই রাসূলের আদর্শ মোতাবেক জীবন যাপন করতে পারি।
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।
০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৯:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাদের মত কিছু বিদগ্ধ রাসূল প্রেমিকের পদচারণায় এই ভার্চুয়াল ব্লগ ঠিকানাটা আলোকিত হয় বলেই হৃদয়ের কথা, প্রাণের কথা, রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র কিছু স্মৃতি, বিশ্ব মানবতার মুক্তির বারতা হিসেবে চিহ্ণিত তাঁর অনুপম কিছু কথামালা মাঝে মাঝে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
আপনার প্রার্থনা আমাদের সবার জন্য আল্লাহ পাক কবুল করুন। কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা এবং কল্যানের দুআ সবসময়।
৭| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ১২:৩০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এমন সুন্দর একটা পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৯:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই। পোস্টে আপনাকে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
৮| ০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:০১
আশাবাদী অধম বলেছেন: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তুমি যাকে ভালবাস, আখিরাতে তুমি তারই সাথী হবে।
ধন্যবাদ এ চমৎকার লেখার জন্য। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ১০:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
'আলমারউ মাআ' মান আহাব্বা।' -মনোমুগ্ধকর হাদিস।
কথায় বলে-
'যার সাথে যার মুহাব্বত,
তার সাথে তার কিয়ামত।'
আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকার দুআ।
৯| ০২ রা মে, ২০১৯ দুপুর ১:২০
রাকু হাসান বলেছেন:
খুব সুন্দর পোস্ট । অবশ্যই আমাদের ভালোবাসা উচিত আন্তরিকতার সাথে । কেমন আপনি ।
০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ১০:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো রেখেছেন আল্লাহ পাক। তাঁর নিকট শুকরিয়া। আপনি কেমন আছেন? ঝড় বাদল চলছে দেশে। আল্লাহ পাক আমাদের জান মাল হেফাজত করুন।
পোস্টে আসায় কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা সবসময়।
১০| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
Hafiz Anwar বলেছেন: চোখ ভিজে গেল।
কোনদিন মুখফোটে বলা হয়নি,
হে আল্লাহর রাসুল,আমি আপনাকে ভালোবাসি।
অথচ আল্লাহর রাসুল তার প্রতি নামাজে আমাদেরকে ভালোবেসে দোয়া করেছেন!!!
প্রিয় রাসুল,আমি আপনাকে ভালোবাসি।
সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
এই অনিন্দ্য সুন্দর মন্তব্যটি পাঠ করেই আপনার একটি প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠলো মনের কোনে। যে ছবিটি সত্যিকারের একজন রাসূল প্রেমিকের। রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহাব্বতের এই সামান্য আলোচনা যে চোখকে অশ্রুসিক্ত করে দেয়, বিশ্বাস করি! প্রকৃত রাসূল প্রেমিক অবশ্যই তিনি, অন্য কেউ নন।
আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করছি। কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
১১| ০৩ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। উনার ত্যাগকে মুসলিমেরা সঠিকভাবে ধারণ করতে পারছে না। কেউ আবার অতি বেশি ধারণ করতে গিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলছে।
খেঁজুর বৃক্ষের কান্নার শব্দ গোটা মদিনা...এগুলোর ব্যাপারে মনে সন্দেহ তৈরি হয়। এটি নিয়ে আরো বিস্তারিত যদি লিখতেন।
আমার মনে হয় অলৌকিক বিষয়ের চেয়ে লৌকিক গুণগানের মধ্যেই ধর্মের ভীত গড়ে তোলা উচিত। যুক্তিবাদি মানুষের পক্ষে অনেক সময় অনেক কিছু মগজে ঢুকতে চায় না।
০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো লিখেছেন। উনার ত্যাগকে মুসলিমেরা সঠিকভাবে ধারণ করতে পারছে না। কেউ আবার অতি বেশি ধারণ করতে গিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলছে।
আপনি যদি কোনো লেখাকে ভালো বলে থাকেন, সেই কথা বিশ্বাস করার জন্য হলেও লেখাটির ভালো না হয়ে উপায় থাকে না। কৃতজ্ঞতা জানবেন। এই সামান্য লেখা আপনার মত বিদগ্ধ ব্যক্তির কাছে ভালো লেগেছে এটা অনেক বড় ব্যাপার।
হ্যাঁ, কিছু লোক তালগোল তো পাকাচ্ছেই। ধর্মের বিবিধ বিষয়ের প্রতি অতি ভক্তি বা অন্ধ ভক্তি দেখাতে গিয়ে শিরক বিদআতের মত কাজে মত্ত হয়ে পড়ছে। এটা রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুহাব্বতের ক্ষেত্রেও ঘটাচ্ছেন কেউ কেউ। তাঁর মর্যাদা বুঝে তাকে সেই অনুসারে সম্মান করতে হবে। বাড়তি কমতি করার সুযোগ নেই।
খেঁজুর বৃক্ষের কান্নার শব্দ গোটা মদিনা...এগুলোর ব্যাপারে মনে সন্দেহ তৈরি হয়। এটি নিয়ে আরো বিস্তারিত যদি লিখতেন।
'খেঁজুর বৃক্ষের কান্নার শব্দ গোটা মদিনা' কথাটা এমন নয়, পোস্টে যে কথা বলতে চেয়েছি, 'খেঁজুর বৃক্ষের কান্নার শব্দ গোটা মসজিদে নববীতে ছড়িয়ে পড়ে!'
আর গোটা মদিনায় ছড়িয়ে পড়েছিল 'কান্নার রোল'। মানুষের কান্নার রোল। দীর্ঘ দিন পরে হযরত বিলাল রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর আযান শুনে ক্ষনিকের জন্য হয়তো তাদের মনে হয়েছে তারা যেন ফিরে গেছেন রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্মৃতিঘেরা সময়ে!
আপনি একটু লক্ষ্য করলেই আশা করছি বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
আচ্ছা, বিস্তারিত বলার চেষ্টা থাকবে। অবশ্য, আমার হজের সফর বিষয়ে লেখা বাইতুল্লাহর মুসাফির সিরিজে খেজুর গাছের খুঁটির রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরহে কান্নার বিষয়টির আলোচনা এসেছিল।
আমার মনে হয় অলৌকিক বিষয়ের চেয়ে লৌকিক গুণগানের মধ্যেই ধর্মের ভীত গড়ে তোলা উচিত। যুক্তিবাদি মানুষের পক্ষে অনেক সময় অনেক কিছু মগজে ঢুকতে চায় না।
জ্বি, আপনার বক্তব্যে অবশ্যই সহমত। তবে, এই শ্রেণির যুক্তিবাদি লোকদের মগজে না ঢুকলেও, কুরআন হাদিসে যেসব অলৌকিক ঘটনাবলীর উল্লেখ রয়েছে, যেগুলো আল্লাহ পাক নবী রাসূলগনকে মু'জিজা হিসেবে দান করেছেন, সেসবের আলোচনা করা থেকে আমাদের বিরত থাকারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ, যুক্তিবাদিদের ভয়ে তো আর আমরা কুরআন হাদিসের কোনো অংশবিশেষকে পরিত্যাগ করতে পারি না! আপনার কি অভিমত?
কৃতজ্ঞতা আপনার বিজ্ঞজনোচিত মন্তব্যে। অনেক অনেক ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।
১২| ০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৫৯
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: জাযা"কআল্লাহ এমন সুন্দর পোস্টের জন্য ! আনোয়ার ভাই যা বলেছেন আমি ও ঠিক একই কথা বলতে চাই :
চোখ ভিজে গেল।
কোনদিন মুখফোটে বলা হয়নি,
হে আল্লাহর রাসুল,আমি আপনাকে ভালোবাসি।
অথচ আল্লাহর রাসুল তার প্রতি নামাজে আমাদেরকে ভালোবেসে দোয়া করেছেন!!!
প্রিয় রাসুল,আমিও আপনাকে ভালোবাসি।
সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
১৩| ০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
জুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু কবি নজরুলের যে গানগুলোর কথা বলেছেন তা আমার আব্বার অনেক প্রিয় ছিল। প্রতিদিন সকালে নামাজ শেষে ক্যাসেট প্লেয়ারে এই গানগুলো শুনে নাই এমন দিনের কথা মনে পরে না। পোস্টে ভালোলাগা রইলো নতুন নকিব।
১৪| ০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অতি মুল্যবান কথা বলেছেন নবী প্রেমেই মুক্তি ,
তাইতো কথায় বলে, পাপ যায় নবী নাম গায়া
এসুযোগে তাঁর উপর একটি নাতে রাসুল শুনে নিই -
বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম
তৌহিদকা ডংকা আলম মে, বাজায়া দিয়া কামলি ওয়ালে মে
খোদ লা-ইলাহা ইল্লাল্লা ফরমা দিয়া কামলী ওয়ালে মে।
তৌহিদকা ডংকা আলম মে,বাজায়া দিয়া কামলি ওয়ালে মে।।
দেখলাকে ঝলক আল্লাহু গনি তারপা দিয়া কামলি ওয়ালে মে
তৌহিদকা ডংকা আলম মে,বাজায়া দিয়া কামলি ওয়ালে মে
রংনা উছকা মিটনে ওয়ালা থা, উম্মৎ কি গুনাহছে কালা থা
সব দফতর আপনি রহমতছে দুলুয়া দিয়া কামলি ওয়ালে মে,
তৌহিদকা ডংকা আলমমে বাজায়া দিয়া কামলি ওয়ালে মে।।
ইন্না আতাইনা কাল কাউছার, ফাছাল্লে-লে রাবিবকা ওয়ানহার
ইন্না শানীয়াকা হুয়াল আবতার , ফরমা দিয়া কামলি ওয়ালে মে
জহুরায়ে আলী হাছান হোসাইন কামলী ওয়ালেনে হুয়ে মিলন
আল্লাহকে জানুয়া বান্দাকো দেখলা দিয়া কামলি ওয়ালেনে
খোদ-লা-ইলাহা ইল্লাল্লা ফরমা দিয়া কামলি ওয়ালে মে ।
তৌহিদকা ডংকা আলমমে বাজায়া দিয়া কামলি ওয়ালে মে।।
মেরী দাতা ইয়া সবর ওয়ালে দ্বারপে খাড়া হো আশ লাগায়ে
কোন হ্যায় মেরি ভিখরী বানায়ে কোন হ্যায় মোঝকো গম্সে ছোড়য়ে
হো আপ রহমত ওয়ালে।।
ঝোলী জুগন কি ভরদেনা
মেরী দাতা ইয়াশরাফ ওয়ালে।।
মোহাম্মদ বা শানে মোয়াল্লাহ্ বারামাত
বা নূরে তাজাল্লী মুজাল্লে বারামাত।।
শামা বাজমে নূর কিয়া আরাহি হ্যায়
সিহারী দিলোকি উড়ি যা রাহি হ্যায়
কুল মাখলুখ খোদাকা নুর রাহি হ্যায়।।
আলম মে ডংকা , বাজায়া দিয়া কামলি ওয়ালে মে।।
----------------
জগতজুরে প্রিয় নবীর আগমন নিয়ে জাতীয় কবি
নজরুলের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলি-
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এল রে দুনিয়ায়
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস, দেখবি যদি আয়।।
ধুলির ধরা বেহেশ্ত আজ
জয় করিল, দিল রে লাজ,
আজকে খুশীর ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
দেখ আমিনা মায়ের কোলে
দোলে শিশু ইসলাম দোলে,
কচি মুখের শাহাদাতের বানী সে শোনায়।।
আজকে যত পাপী তাপি
সব গুনাহের পেল মাফি
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
নিখিল দরুদ পড়ে ল'ইয়ে ও নাম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম
জীন পরী ফেরেশ্তা ছালাম জানায় নবীর পায়।।
ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। যাযা কাল্লাহ খায়রান।