নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
অনেকে বলে থাকেন, টুথব্রাশ ও পেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেই মিসওয়াকের সুন্নত আদায় হয়ে যায়; গাছের ডাল কিংবা শিকড়ের মিসওয়াকের প্রয়োজন নেই। বিষয়টির জটিলতা নিরসনে সামান্য আলোচনার প্রয়োজন। মূলত: টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁত ও মুখের পরিচ্ছন্নতা যে অর্জিত হয় এতে সন্দেহ নেই, কিন্তু মিসওয়াকের সুন্নত পরিপূর্ণ আদায় হয় না।
বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হলে লক্ষ্য করা দরকার, মিসওয়াকের সুন্নতের ক্ষেত্রে দু'টি দিক রয়েছে। প্রথমত: দাঁত ও মুখের পরিচ্ছন্নতা অর্জন। টুথপেস্ট, ব্রাশ ইত্যাদি ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করা হলে দাঁত পরিষ্কার করার উদ্দেশ্য সাধিত হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত: মিসওয়াকের সুন্নতের ক্ষেত্রে অন্য দিকটি হলো মিসওয়াক করার মাধ্যম, যার দ্বারা দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে- আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁত পরিষ্কার করার জন্য ঠিক কোন্ জিনিষটি ব্যবহার করতেন! উত্তর হচ্ছে- অবশ্যই তিনি গাছের ডাল অথবা শিকড়ের মিসওয়াক ব্যবহার করতেন। অতএব গাছের ডাল বা শিকড় ব্যবহার করা না হলে মিসওয়াকের সুন্নতের দ্বিতীয় দিকটির উপরে আমল করা হয় না।
সুতরাং, টুথপেস্ট, ব্রাশ ও মাজন দিয়ে মিসওয়াক করার ক্ষেত্রে মিসওয়াকের সুন্নতের প্রথম দিকটি আদায় হবে। ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, দাঁতের দুর্গন্ধ ও ময়লা দাগ পরিষ্কার করার জন্য যেকোনো জিনিস দিয়ে মিসওয়াক করলেই দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত করার সুন্নত আদায় হয়ে যায়। (শরহে মাজহাব ১/২৮১)
কিন্তু দ্বিতীয় সুন্নতটি আদায় তখনই হবে, যখন মিসওয়াকটি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মিসওয়াকের মতো (গাছের ডাল অথবা শিকড়) হবে। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল ১/৬৫)
তাহলে বোঝা গেল, টুথব্রাশ দিয়ে মিসওয়াক করলে পরিপূর্ণ সুন্নত আদায় হয় না।
অবশ্য যেসব যুক্তিবাদী ভাইয়েরা প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নতি পোষাক লম্বা জামা এবং জুব্বাকে গ্রহন না করার অযুহাত হিসেবে আরবের মরুময় আবহাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে বলতে চান যে, 'এগুলো সেখানকার পরিবেশ ও আবহাওয়ার জন্য উপযোগী বিধায় আরবের লোকজন এই ধরণের পোষাক পরিধানে অভ্যস্ত, পোষাক যে কোনোটি পরিধান করলেই হয়ে যায়;' -তাদের কথা এক্ষেত্রেও ভিন্ন। তারা হয়তো মিসওয়াকের ক্ষেত্রেও যুক্তি দেখিয়ে বলতে পারেন যে, 'তখন (নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমসাময়িক কালে) এখনকার মত এমন আধুনিক প্রযুক্তির টুথ ব্রাশ ইত্যাদির উদ্ভাবন ঘটেনি, তাই সেকালের মানুষেরা গাছের ডাল বা শিকড় ব্যবহার করে দাঁত ও মুখের পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতেন। এখন যেহেতু পৃথিবী এগিয়ে গিয়েছে, তাই ব্রাশ ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত।' তাদের কথা তাদের নিকট। আমাদের মুহাব্বত প্রতিটি সুন্নতের প্রতি।
তবে, বিতর্ক নিরসনের লক্ষ্যে বলে রাখা প্রয়োজন, আধুনিক ভালো মানের ব্রাশ ব্যবহার করায় কোনো দোষ নেই। কিন্তু ব্রাশ ব্যবহারের মাধ্যমে কেউ মিসওয়াকের সুন্নতের পরিপূর্ণ আমল করেছেন, এমনটা দাবি করার সুযোগ নেই। তাই ব্রাশ ব্যবহারের পাশাপাশি ছোট আকারের একটি মিসওয়াক সার্বক্ষনিক কলমের মতই পকেটে রাখা যেতে পারে। এতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে মিসওয়াক করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আদায় করার মাধ্যমে হাদিসে বর্ণিত প্রতি রাকাআত নামাজে পচিশ কিংবা সাতাশ গুন সাওয়াবলাভ করা সহজ হয়ে যায়।
হাদিসের আলোকে মিসওয়াকের গুরুত্ব:
এ প্রসংগে হযরত আবু উমামা (রা) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য, তিনি বলেনঃ
عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «ما جاءني جبريل قط إلا أمرني بالسواك حتى لقد خشيت أن أحفي مقدم فمي»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'এমনটি কখনো হয়নি যে, জিবরাইল (আ) আমার নিকট এসেছেন আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেননি। এতে আমার আশংকা হচ্ছিল যে, (মিসওয়াকের কারণে) আমার মুখের অগ্রভাগ ছিলে না ফেলি।' (আল মুযামুল কাবীর লিত তবারানী, হাদীস নং৭৮৪৭, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২২২৬৯)
অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
لولا أن أشق على أمتي أو على الناس لأمرتهم بالسواك مع كل صلاة»
'আমি যদি উম্মতের উপর (কষ্ট হবার) আশংকা না করতাম তাহলে প্রত্যেক নামাজেই মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।' (বুখারী শরীফ, হাদীস নং৮৮৭, মুসলিম শরীফ, হাদীস নং২৫২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
السواك مطهرة للفم مرضاة للرب
'মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায়।' (নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং ৫)
অন্য এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «فضل الصلاة التي يستاك لها على الصلاة التي لا يستاك لها سبعين ضعفا» تفرد به يحيى بن معاوية بن يحيى الصدفي ويقال إن ابن إسحاق أخذه منه
'মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মেসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তরগুন বেশী ফযীলত রয়েছে।' (শুয়াবুল ঈমান, বাইহাকী, হাদীস নং ২৫১৯)
প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'আমি উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করলে এশার নামাজকে দেরী করে পড়তে এবং প্রত্যেক নামাজের পূর্বে দাঁতন (মিসওয়াক) করতে আদেশ দিতাম।' -(বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৩৭৬)
অন্য হাদিসে একই বিষয়ের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে এভাবে: 'আমি আমার উম্মতের পক্ষে কষ্টকর না জানলে (প্রত্যেক) ওযুর সাথে দাঁতন (মিসওয়াক) করা ফরয করতাম এবং এশার নামাজ অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে পড়তাম।' -(হাকেম, বাইহাকী, সহীহুল জামে' ৫৩১৯)
'মুসলিমদের প্রকৃতিগত কর্মসমূহের মধ্যে একটি হল, মিসওয়াক করে মুখ সাফ করা।' -(মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৩৭৯)
'মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায়।' (বুখারি, নাসাঈ, মিশকাত)
অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, 'জিবরাইল আলাইহিসসালাম (মুসনাদে আহমাদ) আমাকে (এত বেশী) দাঁতন (মিসওয়াক) করতে আদেশ করেছেন, এতে আমার ভয় হয় যে, দাঁতন (মিসওয়াক) করা আমার উপর ফরয করে দেওয়া হবে।' -(সহীহুল জামে: ১৩৭৬)
তিনি আরও বলেন: 'দাঁতন করায় রয়েছে মুখের পবিত্রতা এবং প্রতপালক আল্লাহ তাআ'লার সন্তুষ্টি।' -(আহমাদ, দারেমী, ইবনে হিব্বান)
হযরত আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেন, 'নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিসওয়াক করে আমাকে তা ধুতে দিতেন। কিন্তু ধোয়ার আগে আমি মিসওয়াক করে নিতাম। তারপর তা ধুয়ে তাঁকে দিতাম।' -(সিলসিলাহ সহীহা: ১২১৩)
যথেচ্ছ ব্রাশ ব্যবহার হতে পারে দাঁত, মাড়ি ও দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ:
আমরা সচরাচর প্রায় সবাই যদিও ব্রাশ ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, জীবাণু বিশেষজ্ঞদের বছরের পর বছর গবেষণায় একথা পূর্ণতার স্তরে উপনীত হয়েছে যে, যে ব্রাশ একবার ব্যবহার করা হয়, পুনরায় তা ব্যবহারে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। কেননা, একবার ব্যবহারের পরই তাতে রোগ-জীবাণুর স্তর জমে যায়। তা পানি দ্বারা ধুয়ে ফেললেও ক্রিয়াশীল থাকে। তাছাড়া ব্রাশ ব্যহার করা হলে দাঁতের ওপরের চমকদার সাদা স্তর নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দাঁতের মাঝে ফাঁক তৈরী হয় এবং ধীরে ধীরে দাঁত মাড়ি থেকে আলাদা হয়ে যায়। দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা আটকে গিয়ে মাড়ি এবং দাঁতের ক্ষতির কারণ হয়। সুতরাং, ব্রাশ ব্যবহার করলেও তা করতে হবে সতর্কতার সাথে।
সকলকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
আল্লাহ পাক আমাদের সঠিকভাবে প্রতিটি সুন্নতের প্রতি আমল করার তাওফিক দান করুন।
০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
উটের পিঠে আরোহন করার জন্য কোনো হাদিস রয়েছে -এমনটা শুনিনি। কিন্তু মিসওয়াক করার গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে অনেকগুলো হাদিসে।
সুতরাং খোঁচা দিলে যুক্তির ভেতরে থেকেই দিতে হয়। কী বলেন!
মাহে রমজানের শুভেচ্ছা আপনাকে।
২| ০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
বিষক্ষয় বলেছেন: আল্লাহর রাসুল এক স্থান থেকে অন্য স্থান যাবার জন্য উট বা ঘোড়া ব্যবহার করতেন। তাই আমাদেরও যাতায়তের জন্য উট বা ঘোড়া ব্যবহার করতে হবে
০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
করতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যে আসার জন্য।
৩| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: কষ্ট হচ্ছে বলতে যে,আপনাকে নিয়ে শংকিত আমি। অন্তত এই বিষয় নিয়ে।
জীবাণু বিশেষজ্ঞরা কি সুন্নতের মাধ্যমে গবেষণা করেছে তো!
------
সকলকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক হেদায়েত দান করুক।
০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে বেশ সংসয়ে ছিলাম।
আল্লাহর ক্ষমা, হেদায়েত ও রহমত যেন এই মাসে অর্জন করতে পারি।
০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার একান্ত প্রার্থনা আল্লাহ তাআলা কবুল করুন।
৫| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২১
ল বলেছেন: মিছওয়াক টুথব্রাশ ইদানীং মার্কেটে বেশ বিক্রিত হচ্ছে।
বরাবরের মতো সুন্দর পোস্টে +++
০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন।
কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
৬| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২১
ল বলেছেন: রমজান মোবারক
০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।
পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
৭| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: টুথব্রাশ দিয়ে মিসওয়াক করলে পরিপূর্ণ সুন্নত আদায় হয় না। একমত নই।
০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
এটি আমার ব্যক্তিগত মতামত নয়। পোস্টে রেফারেন্স দিয়ে দেয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনার মতামত জানিয়ে যাওয়ার জন্য।
৮| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: নকিব ভাই, আজকে তারাবীটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদে আদায় করলাম। এটাও তো তাহলে পরিপূর্ণ সুন্নতভাবে নামাজ আদায় হল না। পরিপূর্ণ সুন্নতি নামাজ পড়তে হলে খেজুর পাতার বিছানা ও ছাউনি দেওয়া মসজিদে আদায় করতে হবে কী?
কিংবা ধরুন, এখন মাইকে আজান দিয়ে নামাজের জন্য মানুষ ডাকা হচ্ছে; সেটাও তো সুন্নতের খেলাপ। সে যুগে তো মাইক ছিল না।
কিংবা ধরুন, যান্ত্রিক উপায়ে ট্যাপের পানি দিয়ে ওজু করছি। সেটাও তো পরিপূর্ণ সুন্নতি কায়দায় হচ্ছে না।
এগুলোর ক্ষেত্রে আপনার মত কী?
০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন: সবকিছুকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। আধুনিকতা আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে বেশি এখনকার লোকেরা বুঝে থাকেন -বিষয়টা সম্ভবত: এমন নয়। তিনি এসেছিলেন সেই যুগে ঠিকই, কিন্তু কেয়ামত পর্যন্ত এ ধরাধামে বিজ্ঞানের নতুন নতুন যতসব আবিষ্কার ঘটবে, এসবের কোনোকিছুই আল্লাহ পাক প্রদত্ত রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঐশী জ্ঞানরাশিকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে না। সুতরাং, তাঁর আচরিত প্রতিটি সুন্নাত বিজ্ঞানসম্মত। সুন্নাতগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আদর্শ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়ে যায়।
১. প্রিয় ভাই, মাইকে আজান দিলে সেখানে তো মানুষের কন্ঠ হয়েই শব্দটা বেরিয়ে আসে। তাহলে সমস্যা কোথায়? একথা তো কেউ বলেনি যে, আজানের রেকর্ড মাইকে বাজিয়ে দিলেই হয়ে যাবে। সুতরাং, আজান মাইকে দেয়া হোক আর শুধু মুখেই দেয়া হোক, উভয় অবস্থায়ই এর আসল রূপ যা নবীজী প্রবর্তন করেছেন, অর্থাত, কন্ঠের ব্যবহার অব্যাহত থাকে। অতএব মাইকে আজান কোনো দোষনীয় বিষয় নয়। বরং অধিক দূরত্ব থেকে মুসল্লীগন আজানের ধ্বনি শুনতে পাওয়ার কারণে মাইক উপকারী যন্ত্র হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে।
২. পানি ব্যবহারের জন্য ট্যাপ সুন্দর আধুনিক ব্যবস্থা। কিন্তু যে কথা না বললেই নয়, অধিকাংশ ট্যাপের পানি দিয়ে উযু করাতে পরিপূর্ণ সুন্নাত আদায় তো হচ্ছেই না, (কেন হচ্ছে না, জানতে চাইলে ব্যাখ্যা সংযুক্ত করা যাবে ইনশাআল্লাহ) বরং এক্ষেত্রে পানির অপচয়টা সবচেয়ে বেশি পীড়াদায়ক। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার উযু করার জন্য যে পরিমান পানি ব্যবহার করতেন, এক্ষেত্রে বর্তমানে ট্যাপের সৌজন্যে আমরা তার কয়েক গুন নয়, বরং বহুগুন বেশি খরচ করছি। এটাকে কি আপনি অপচয় বলবেন না?
৩. খেজুর পাতার ছাউনি আর খেজুর গাছের খুঁটি নির্মিত মসজিদ বানিয়ে যদি আপনি নামাজ আদায় করতে পারেন, বিশ্বাস করি, সেটা আল্লাহর রাসূলের মুহাব্বতেরই পরিচায়ক হবে। মসজিদে এসি লাগানোতে বাধা নেই। বরং মুসল্লীদের জন্য এটি আরামদায়ক একটি ব্যবস্থা। তবে, প্রিয় ভাই, আমাদের মনে রাখা দরকার, এই আরাম আয়েশ আর অতি বিলাসীতার ভেতর দিয়ে ইসলাম আসেনি। হাদিসে সতর্কবানী সম্ভবত: এই যুগের জন্যই- 'মসজিদগুলোর চাকচিক্য বৃদ্ধি পাবে, মুসল্লীদের ঈমান হবে দুর্বল।'
প্রসঙ্গক্রমে একটি ঘটনা মনে পরে গেল, আমাদের দেশের একজন বিখ্যাত আলেম, স্বনামধন্য বক্তা একবার বলেছিলেন, কোনো একটি মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে গেছেন তিনি। আয়োজকদের কেউ কেউ তাকে জানালেন, তারা বেশ ক'বছর ধরে হাফেজি মাদরাসা শুরু করেছেন ঠিকই, কিন্তু কোনো ছাত্রই হাফেজ হয়ে বেরুচ্ছে না। তারা বুঝতে পারছেন না কেন এমন হচ্ছে। হুজুরের নিকট এর কারণ জানতে চাইলেন তারা।
হুজুর উক্ত মাদরাসার ছাত্রদের থাকা খাওয়ার সার্বিক অবস্থাদির খোঁজ খবর নিয়ে যা জানতে পারলেন তাতে রীতিমত তার চক্ষু চড়কগাছ! এলাকাটি ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের হওয়ায় মাদরাসার ছাত্রদের তিন বেলার পরিবর্তে খাবার দেয়া হয় পাঁচ বেলা। পোলাউ বিরিয়ানি ছাড়া দিন অতিবাহিত হয় না তাদের। নিয়মিত তেল ঘি খেয়ে ছাত্রগনও একপ্রকার বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
হুজুর সবকিছু অবগত হয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির লোকদের বললেন, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপরে যখন পবিত্র গ্রন্থ অাল কুরআন নাযিল হয়, তখন তাঁর খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিল? তিনি কি বিলাসীতায় মগ্ন থাকতেন? তাঁর কি আরাম আয়েশের এমন জৌলুসপূর্ণ জীবন পছন্দ ছিল? এই কুরআন অন্তরে ধারণ করতে হলে তো কুরআন নাযিলের সেই স্মৃতিগুলোকে মনে রাখতে হবে!
প্রিয় ভাই, হৃদয়ে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রেম ভালোবাসার বহ্ণিশিখা জ্বালাতে না পারলে সুন্নাতের বিরুদ্ধাচরণে হাজারও যুক্তি মেলে! রাসূল প্রেমেই মুক্তি, রাসূলের ভালোবাসাতেই মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি নিহিত!
ভালো থাকবেন। মন্তব্যে আপনার মত বরেন্যকে পেয়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা সবসময়।
৯| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে বেশ সংসয়ে ছিলাম।
আল্লাহর ক্ষমা, হেদায়েত ও রহমত যেন এই মাসে অর্জন করতে পারি। --- হা হা হা; নুর ভাইজান, আপনি যখন এই মন্তব্য লিখছেন তখন কিন্তু এই মাসের ইবাদত তারাবীর নামাজ চলছে।
কী বিচিত্র মানুষ চারপাশে, সেলুকাস?
০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
রাজীব নূর সাহেব আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে দিনে দিনে তার নিজের ভেতরে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। দ্বীনের পরিপূর্ণ অনুসারী হওয়ার চেষ্টা করছেন হয়তো তিনি।
তার চেষ্টা সফল হোক।
১০| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: 'তখন
(নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর সমসাময়িক কালে) এখনকার মত এমন
আধুনিক প্রযুক্তির টুথ ব্রাশ ইত্যাদির
উদ্ভাবন ঘটেনি, তাই সেকালের মানুষেরা
গাছের ডাল বা শিকড় ব্যবহার করে দাঁত ও
মুখের পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতেন। এখন
যেহেতু পৃথিবী এগিয়ে গিয়েছে, তাই ব্রাশ
ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত।'
যে যুক্তিটা আমি দিতাম... সেই যুক্তিটা আমার হয়ে আপনিই দিলেন.... এবং এই যুক্তিটাই আমারর কাছে যথার্থ মনে হয়েছে। তবে যুক্তি সঠিক হলেয ব্রাশ করলে মেসওয়াকের আমল হয়ে যায় এটা আমার কাছে কেমন কেমন মনে হয়। মনে হয় এটা ঠিক না। কিন্তু যুক্তি বলে এটাই ঠিক।
উপরে আখেনটাখেন সাহেব মন্তব্য করেছে। তার প্রতিউত্তর কি দেন সেইটাও খেয়াল রাখছি
০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
উপরে আখেনটাখেন সাহেবের মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেয়া হয়েছে। আশা করছি, দেখে নিবেন।
১১| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৪২
নতুন বলেছেন: কমেন্টটা একটু খোচা দেবার জন্যই করেছিলাম সেটা ঠিক আছে।
রাসুল সা: এর সময়ে ভালো করে দাত মাজার কোন পদ্বতী হয়তো ছিলো না তাই মিসওয়াকের প্রতি তিনি জোর দিয়েছেন.... তিনি সব সময়ই পরিস্কার পরিচ্ছ্ন্নতার প্রতি জোর দিয়েছেন...
মিসওয়াক, ঢিলা কুলুক, গোসল করা, চুল দাড়ী পরিচ্ছন্ন রাখা, শরিরের অন্য সব লোম পরিস্কার রাখার ব্যপারে তার নিদেশনা আছে....
কারনটা যদি বুঝতে পারেন তবে কিভাবে করলেন সেটা বিষয়না....
মিসওয়াকের উদ্দেশ্য দাতের পরিস্কারপরিচ্ছন্নতা.... সেটা যদি ব্রাস ও পেস্টে ভালো হয় তবে সেটাই গ্রহন করা ভালো...
রাসুল সা: উট, ঘোড়া ব্যবহার করেছেন.... এবং সেটা ব্যবহার করতে বেশি হাদিস নাই... কারন সেইটা সেই সময়ে সবাই করতো এবং সেটাই সবচেয়ে ভালো ব্যবস্তা ছিলো....
এখন যদি বলেন ব্রাস করার পরে মিসওয়াকে একটা ঘসা দিয়ে সুন্নত আদায়ের চেস্টা করতে হবে....
তবে সেটা গোড়ামী...
১২| ০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: রমজান মাসে দারুন পোস্টে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
১৩| ০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২২
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: আখেনাটেন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে বেশ সংসয়ে ছিলাম।
আল্লাহর ক্ষমা, হেদায়েত ও রহমত যেন এই মাসে অর্জন করতে পারি। --- হা হা হা; নুর ভাইজান, আপনি যখন এই মন্তব্য লিখছেন তখন কিন্তু এই মাসের ইবাদত তারাবীর নামাজ চলছে।
কী বিচিত্র মানুষ চারপাশে, সেলুকাস?
১৪| ০৭ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মিসওয়াকের সুন্নতের ক্ষেত্রে দু'টি দিক সুন্দর করে বলেছেন। সুতরাং টুথব্রাশ দিয়ে মিসওয়াক করলে পরিপূর্ণ সুন্নত আদায় হয় কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।
আমি ব্রাশ ও মেসওয়াক দুটোই ব্যবহার করি। রাত- সকালে ব্রাশ, আর অযুর সময় মেসওয়াক। মাঝেমধ্যে অবস্য দুটোতেই গ্যাপ পড়ে...
১৫| ০৭ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০
হারাধণ০২ বলেছেন: কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। যদি আপনার নিয়ত থাকে দাঁত পরিষ্কার করা তবে ব্রাশ করলে অবশ্যই দাঁত পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি নিয়ত থাকে সুন্নত আদায় করা, তবে মিসওয়াক ব্যবহার করা উচিত। । মিসওয়াক কত মোটা হবে বা কত বড় হবে তা হাদিসে পরিষ্কারভাবে বলা আছে। একটি হচ্ছে ইবাদত এবং অপরটি হচ্ছে ইবাদত হাসিলের জন্য উপায় । দুটিকে গুলিয়ে ফেলা উচিত না। যেমন হজ ফরজ হয়েছে হজে যেতে হবে। এটি ইবাদত। বিমানে যাব না সৌদি এয়ারলাইন্সএ যাব এটি হলো উপায়, এর উপর হজের সওয়াব নির্ভর করে না। । তবে যেমনটা ব্লগার নতুন নকিব বলেছেন, যদি কেউ নবীর প্রতি ভালোবাসা থেকে উটে যাতায়াত করে তবে অবশ্যই সে বেশি সওয়াব পাবে।
১৬| ০৭ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১০
নতুন অতিথি বলেছেন: আমরা জিবনকে সহজ করি
১৭| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গিংভাইটিস gingivitis( দাতের মারী ফোলা, রক্ত পুজ পড়া) প্রতিরোধে টুথব্রাশ বা টুথপেষ্টের চেয়ে মিসওয়াক অনেক ভাল।
আমাদের মস্তিষ্ক এবং দাঁতকে স্বাস্থ্যকর রাখতে দাঁত ব্রাশ করা একটি পদ্ধতি। তবে কোন পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ সবচেয়ে উপকারী তা ভাবার বিষয়? বহু পুর্ব হতেই বিশ্বব্যাপী মানুষ গাছের ডালের তৈরী জৈব টুথব্রাশ দিয়ে তাদের দাঁত পরিষ্কার করে আসছে । প্লাস্টিকের টুথব্রাশের আবির্ভাবের পর অনেক মানুষ দাঁত পরিষ্কার করার জন্য সিন্থেটিক ব্রাশ ব্যবহার করছে। সিন্থেটিক টুথব্রাশ প্লাস্টিক হ্যান্ডেল এবং নাইলন ব্রিস্টল দ্বারা গঠিত । টুথব্রাশ সিন্থেটিক উপকরণ দিয়ে তৈরী, টুথপেষ্টও বিবিধ ধরণের কেমিকেলের সংমিশ্রনে তৈরী , যার কোন না কোন সাইড ইফেক্ট বা এলার্জিক প্রভাব এড়ানো অনেক সময় কঠীন হয়ে পরে।
ইসলামিক জগতে, মেসওয়াক ব্যবহার একটি সুপরিচিত অনুশীলন যা নবীজিও করেছেন ও অন্যকে এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন । বর্তমানে বিশ্বব্যপি অনেক মানুষ এখনও ডেন্টাল স্বাস্থ্যবিধি জন্য মেসওয়াককে প্রথম প্রতিরোধক হিসাবে ব্যবহার করে। ইসলামিক দেশগুলির বেশির ভাগ লোকই তাদের দাঁত পরিষ্কার করতে মিসওয়াক ব্যবহার করে। মিসওয়াক একটি জৈব টুথব্রাশ। মেসওয়াকের উপর বিজ্ঞান সন্মত গবেষণায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে gingivitis প্রতিরোধে মেসওয়াক টুথব্রাশ বা টুথপেষ্ট ব্যবহার হতে অনেক ভাল।
মিসওয়াককে পশ্চিমা বিশ্বের চিউইং লাঠি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং এটি দন্তরোগের জন্য এক ধরণের পরিপূরক ঔষধ হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি জৈব ফিতাগুলির একটি কমপ্যাক্ট গ্রুপ অফ অরগানিক ফাইবার্স দ্বারা গঠিত যা সিনথেটিক টুথপেষ্ট ব্রাশের মতোই অভিন্ন কাজ সম্পাদন করে এবং এর বিশেষ পার্থক্য হলো এটি সিন্থেটিক উপকরণের পরিবর্তে জৈব থেকে তৈরি ।
ইথিওপীয় স্কুলের শিশুদের উপর একটি ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে , সিনথেটিক টুথব্রাশের তুলনায় নিয়মিত মিসওয়াককে দাঁতের গঠন ও নিরোগ রখতে বেশী সহায়তা করে । সাধারণ প্লাস্টিক টুথব্রাশ এর তুলনায়, মিসওয়াক যে কোনো সময়, যে কোন সময় ব্যবহার করা যেতে পারে।
মিসওয়াক ব্যবহারের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা:
'কৃষি ও খাদ্য রসায়ন জার্নালে ' প্রকাশিত Miswak উপর Wrigley কোম্পানী পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে মিসওয়াক এক্সট্র্যাক্টের সাথে ক্ষতিকারক মিন্টগুলি সাধারণ মিন্টসের তুলনায় দন্ত রোগের সথে সংষ্লিষ্ট ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সিনথেটিক টুথব্রাস (টুথ পেষ্ট সহ) এর চেয়ে মিসওয়াক ২0 গুণ বেশি দক্ষ। এই সত্যের একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষ্য হল
after half an hour, the mints laced with Miswak extract destroyed about 60% of the bacteria while the ordinary mints managed only 3.6% In August publication of Journal of Periodontology (2008) appeared research, carried out by Swedish experts on Miswak. The study evidently found suspended Miswak pieces in a Petridis were able to eliminate bacteria which cause gum diseases without being in physical contact with the bacteria.
Research which compares tooth brushing and using Miswak can be found on PubMed (U.S National Library for Medicine Service).
গবেষণায় দেখা যায় যে সঠিকভাবে মিসওয়াক ব্যবহার করা হলে তা প্লেক এবং গিংভাইটিস কমানোর ক্ষেত্রে টুথপেস্ট ব্রাসের তুলনায় অনেক ভাল ।
১৯৮৬ ও ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন প্রকাশিত ডেন্টাল স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ঐক্যমত্যের প্রতিবেদনগুলিতে দাতের ক্ষতিকারক দিকগুলি প্রতিরোধে বিষয়ে মিসওয়াক ব্যবহারের পরামর্শ দেয় ।
টুথব্রাশ বা মিসওয়াক দ্বারা দন্তমাঝন মুলত মৌখিক স্বাস্থ্য এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়গুলি সাধন করে :
দাঁতের কণায় ক্ষতিকারক হলদে কণা বা দাগগুলি দুর করতে সাহায্য করে
প্লেক বৃদ্ধি ব্লক করতে সহায়তা করে।
ট্রিগার এবং gingival টিস্যু ম্যাসেজ করে।
জিহ্বা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে ।
এখন আমরা সমস্ত কাজের জন্য জৈব মিসওয়াকের
স্বাস্থ্য সুবিধাসমূহ দখে নিতে পারি:
এটা দাতের Gingivitis নির্মূলে বেশী সহায়তা করে
প্লেক দমনে দক্ষতার সাথে কাজ করে।
Caries এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
মুখ থেকে দুর্গন্ধি শ্বাস তথা গন্ধ নির্মূল করে এবং মুখের মধ্যে সুবাস উৎপন্ন করে।
Salivation বৃদ্ধির মাধ্যমে জেরোস্টোমিয়া প্রতিরোধ করে
উপরে বর্ণিত তথ্যের ভিত্তিতে কোন পদ্ধতিতে দন্ত মাঝন কর্ম সাধন করব সে সিন্ধান্তটি এখন আমাদেরই নিতে হবে ।
ধন্যবাদ মুল্যবান একটি বিষয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য । মিসওয়াক সকলের জন্য মঙ্গলজনক, নীম গাছের ডাল দিয়ে করতে পারলে আরো ভাল । আর মিসওয়াকের ব্যবহারে ফলে মুসলমানদের জন্য একটি সুন্নতও আদায় হয়ে যায় । আমি নীজেও এর অনুসারী ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
নতুন বলেছেন: উটে চড়ার সুন্নত কিভাবে আদায় করা যায়?
গাড়ীতে চলাচলে তো উটে চড়ার সুন্নত আদায় হবে না।