নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি এবং আমাদের সত্যিকারের বাস্তবতা

১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮



ঠিক এই বিজ্ঞপ্তিটি আমাকে দিয়েছেন আমার এক বন্ধু।

হোয়াটএ্যাপ ম্যাসেঞ্জারে এক বন্ধু একটি ইমেজ পাঠিয়েছিলেন আমাকে। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। ইমেজটিতে থাকা লেখাগুলো পাঠ করে মনে কিছুটা কষ্ট পেলাম। বন্ধুকে তার ইমেজের জবাবে ছোট্ট একটি মেসেজ দিয়ে উত্তর পাঠিয়েছি। সেই উত্তরটিই সামান্য এডিট করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এই পোস্ট।

ইমেজের কথাগুলোতে একটা সত্য উঠে এসেছে। ইমেজের কথাগুলো যিনিই লিখে থাকুন না কেন, যে উদ্দেশ্যেই লিখুন না কেন, আর এই ইমেজের লেখাগুলোতে যদিও হাসির খোরাক থেকে থাকে, কিন্তু দু:খজনক হলেও অনেক এলাকার মসজিদেরই রমজান পরবর্তী বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে ছোট্ট এই ইমেজটিতে। রমজানোত্তর অধিকাংশ মসজিদের দৃশ্য হতাশাজনক। শহরের মসজিদগুলোর অবস্থা একটু ভিন্ন হলেও বিশেষত: আমাদের পাড়া মহল্লা, গ্রামে গঞ্জের যে মসজিদগুলোতে রমজানে তিল ধারণের ঠাই থাকতো না, যে মসজিদগুলোতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ভরপুর মুসল্লি হতো, সেগুলোতে ঈদের পর থেকেই অনেকটা ভিন্ন চিত্র। এক কাতার দু'কাতার মুসল্লি। রমজান চলে গেল তো নামাজেও কি এক অদৃশ্য অলসতা। নামাজ পড়ার জন্য কেমন যেন এখন আর মন টানে না। মনের ভেতরে খা খা শুন্যতা। মসজিদের সাথে সেই যে গভীর সম্পর্ক সেটা কেন যেন পাতলা হয়ে গেল! এমনটা কেন হয়? প্রিয় ভাই, আসুন, নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি শুধু রমজানের এক মাস আমাদের জন্য ফরজ ছিল? ঈদের পর থেকে কি আমাদের নামাজ মওকুফ হয়ে গেল?

এই যে রমজান শেষ হওয়ার সাথে সাথে মসজিদের সাথে মুসল্লিদের, মানে আমাদের সম্পর্কেও যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল, এমনটা কোনোক্রমেই কাম্য নয়। মসজিদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হোক প্রতি দিনের প্রতি ওয়াক্ত নামাজের, আমৃত্যু এবং আজীবনের। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন। তিনি সকলের মঙ্গল করুন। সকলে ভালো থাকুন। শুভকামনা।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন:
ঢাকা শহরে এত এত মসজিদ অথচ মুসল্লি নেই। শুক্রবার ছাড়া নামাজি মানুষ দেখা যায় না।

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



অপ্রিয় বাস্তবতা।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিক্ত বাস্তবতা!

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

করুণাধারা বলেছেন: ব্যাপার হলো, রমজান মাসে বেশি বেশি এবাদত করে ৭০ গুণ করে নেকি হাসিল করা হয়েছে, এক বছর এই নেকি দিয়ে চলে যাবে। তাই নামাজ পড়ার তাগিদ নেই। এর মাঝে যদি মৃত্যু হয়?

মৃত্যুর কথা কেউ ভাবে নাকি!!!

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



মৃত্যুর কথা আমরা খুব কমই স্মরণ করি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ গুরুত্বসহকারে আদায় করার তাওফিক দিন।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বেতার টিভি ও পত্রপত্রিকায় বহুল প্রচার করা হোক।

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,




বিজ্ঞপ্তিটি হাসির নয় বরং আমাদের করুন বাস্তবতার এক নিটোল ছবি।
হারানো মুসল্লীদের মতো আমরা অনেকেই শুধু ধর্মীয় রিচ্যুয়ালগুলো পালন করি নিজেকে অন্যদের কাছে ধার্মিক হিসেবে তুলে ধরার জন্যেই, কখনই নিজ নিজ ধর্মকে ভালোবেসে নয়!!!!!!

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৪

মা.হাসান বলেছেন: জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছ মুসল্লিদের মধ্যে এই প্রবণতা- এশার নামাজের প্রথম তকবির চলে যায় যাক অসুবিধে নেই, এশার জামাত নষ্ট হয়ে যাক অসুবিধা নেই, কিন্তু খতম তারাবী মিস করা যাবে না। রোজায় দূরপাল্লায় ভ্রমণের সময় অনেককে দেখেছি রোজার ব্যাপারে খুব সতর্ক, ইফতারের সময় গাড়ি না থামালে প্রলয় হয়ে যাবে, কিন্তু নামাজের ব্যাপারে আগ্রহ তুলনামূলক অনেক কম। অথচ সফরের সময় রোজা না রেখে পরে কাযা আদায় করে নেয়ার বিধান আল্লাহ রাখলেও নামাজ কাজা করার কোন সুযোগ দেননি। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা এবং ধর্মীয় শিক্ষার অভাবের কারণে ধর্মকে আমরা অনেক রিচুয়ালের সমন্বয় ধরে নিয়েছি, কিন্তু কোনটির গুরুত্ব কতখানি, কোনটিকে আল্লাহ বাধ্যতামূলক করেছেন কোনটিকে আল্লাহ ঐচ্ছিক করেছেন তা আমরা অনেকেই বুঝি না। তবে যারা বুঝে, তারা যদি অপরদেরকে গোমরাহ বলে ছেড়ে দেয় তবে তাদের দায়িত্ব আদায় সম্পূর্ণ হয় না। আল্লাহ আপনার লেখায় বরকত দান করুন।

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দারুন অর্থবহ মন্তব্যগুলো পড়ার জন্য অনেক সময় ব্লগে আসি। ধন্যবাদ।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

৭| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

নজসু বলেছেন:



রোজার মাসে তারাবীর জামাতে মসজিদে মুসল্লীদের উপচে পড়া ভীড়।
রোজা শেষ নামাজীদের মসজিদে আনাগোনাও শেষ।

লোক দেখানো ইবাদত অথবা এরা হলেন সিজন্যাাল মুসল্লী। :-B

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ জানবেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

৮| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নিষ্ঠুর সত্য

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

৯| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৩

এমজেডএফ বলেছেন: উপরের মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো মন্তব্যকারী সবাই নিয়মিত নামাজী - ঈদের, জুমার এবং দৈনন্দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ উনারা মসজিদে গিয়ে পড়েন। মাশাল্লাহ!
আপনার হারানো বিজ্ঞপ্তির হারিয়ে যাওয়া মুসল্লীদের মধ্যে আমিও একজন। রোজার সময় কষ্ট হলেও নিয়মিত মসজিদে গিয়েছি। তবে এখন সম্ভব হলেও আর নিয়মিত মসজিদে যায় না। কারণগুলো: ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক।
ব্যক্তিগত কারণ: আমি জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও ব্যক্তিগত জীবনে পরেজগার মুসলমান নয়। তাই নিয়মিত নামাজ পড়া হয় না। নামাজ থেকে অন্য কাজকে আমি গুরুত্ব দিই বেশি।
পারিবারিক কারণ: পারিবারের ছোট-বড় সবাই সবাই শুক্রবারে মসজিদে যায়, তাই বাসায় থাকলে ইচ্ছা না থাকলেও জুমার নামাজটা পড়ার জন্য মসজিদে যেতে হয়। অন্যথায় পরিবারের লোকেরা এটা ভালোভাবে নেয় না।
সামাজিক কারণ: ঈদের ছুটিতে গ্রামে যায়, তখন সামজিক কারণে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যেতে হয়। গ্রামের চেয়ারম্যান-মেম্বার-মাতব্বররা এসে হাত মেলাবে, কোলাকুলি করবে, একটা ভি আই পি ভাব আর কী!
ভন্ডামী না করে আমি সত্য কথাটাই বললাম। আসলে নিয়মিত নামাজ পড়ার তাগিদটা আমার মন থেকে আসে না। আপনারা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন - তিনি যেন আমাকে হেদায়েত করেন। ধন্যবাদ।

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকৃত হলাম আপনার দীর্ঘ এবং আন্তরিক মন্তব্যে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

১০| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৩৯

ক্লে ডল বলেছেন: এই হারানো বিজ্ঞপ্তি এক লজ্জাজনক বাস্তবতা!!

১৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আসলেই তাই।

আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

১১| ১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কি ব্যাপার নকিব খান? সব কপিপেস্ট প্রতিউত্তর কেন??


আমিও ফাঁকিবাজের দলে। নামাযে নিয়মিত হতে হবে।

১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



নিজাম ভাই,
একই কথা বারবার বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহ পাক যদি দয়া করে আমাদের জন্য এই বাক্যটি কবুল করে নেন! এ কারণেই কপিপেস্ট!

আপনি ফাঁকিবাজ কে বলেছে? আপনাকে তো আমরা ভালো মানুষ বলে জানি। সত্যিকারার্থে আপনি ভালো মনের মানুষ। অন্তত: আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের পর্যবেক্ষন। ইনশাআল্লাহ, আসুন, জামাআতের সাথে নামাজে নিয়মিত হবার জন্য আমরা আজ থেকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হই। আল্লাহ পাক তাওফিক দান করুন।

অনেক ভালো থাকবেন।

১২| ১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! এটাতো আমার নিজের ঘাড়ে এসে পড়ল। বেশি কিছু আর বলবো না হা হা হা হা..

১৩| ১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

আলোর পথে বিডি বলেছেন: আল্লাহ তাআলা আমাদের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করার তাওফিক দিন।

১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৬

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সহিত পড়ার তৌফিক দাও আমিন। ৩০ মিনিটের ইবাদতেও আমাদের কত অলসতা,অথচ ব্লগে,ফেসবুকে,নেটে আমাদের কত সময় অপচয়। খুবি আফসোসের বিষয়। আল্লাহ সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুক আমিন।

১৫| ১৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:

আমার জন্য দোয়া করবেন আম যেন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্‌ত নামাজ পড়তে পারি । চেষ্টা করছি জামাতের সাথেই পড়তে সবগুলো । নামাজ আমাকে স্বর্গীয় শান্তি এনে দেয় যদি আমি মসজিদে পড়ি ।

১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: শৃঙ্খলিত শয়তান মুক্ত হয়েই বোধকরি ক্র্যাশ প্রোগাম নিয়ে মুসল্লীদের পাকড়াও করতে থাকে।
মা.হাসান এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। +
পোস্টের শেষ অনুচ্ছেদের জন্য পোস্টে প্লাস। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.