নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হজে গমনেচ্ছু হাজি সাহেবানদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি এবং যেসব জিনিষ তাদের সাথে নেয়া জরুরি

১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭



হাজি সাহেবানদের যেসব প্রস্তুতি থাকা জরুরি:
হজ প্রত্যেক মুসলমানের জীবনের সর্বোচ্চ আশা-আকাংখার কেন্দ্রবিন্দু। মুসলমান মাত্রই জীবনে একবার হলেও হজ করার আশা পোষণ করে থাকেন। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, অনেক হাজি সাহেবান হজের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম না মানার কারণে নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন এমনকি অনেকে হজে যেতেও ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ কেউ দালাল চক্রের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বহু কষ্ট ক্লেশের পরে হজে যেতে সক্ষম হলেও মক্কা এবং মদিনা শরিফে নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা প্রত্যেক হাজি সাহেবেরই জানা আবশ্যক। দেশে এবং মক্কা-মদিনায় কি কি কাজ করা প্রয়োজন, হজে গমনেচ্ছু সব হাজি সাহেবানদের জ্ঞাতার্থে বিষয়গুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো:

হজে রওনা হওয়ার পূর্বে করণীয়:
১. সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে যারা হজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই বাংলাদেশ হজ অফিস/ এজেন্সির যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।

২. বেসরকারিভাবে যারা যাবেন, মক্কা এবং মদিনা শরিফে থাকার কি ব্যবস্থা হয়েছে, বাইতুল্লাহ শরিফ এবং মসজিদে নববি থেকে বাসস্থানের দূরত্ব কতটুকু ইত্যাদি বিষয়ে অবশ্যই ভালোভাবে বিস্তারিত আলোচনা করে আগেভাগে সব খোঁজ খবর নিয়ে রাখা আবশ্যক। অন্যথায় পরবর্তী সময়ে দুই হারাম এলাকা হতে বাসস্থল বেশি দূরে ভাড়া করা হলে এজেন্সির লোকদের সাথে মনোমালিন্য হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

৩. এজেন্সির নিকট থেকে একথা জেনে নিতে হবে যে, হাজি সাহেবানদের সঙ্গে এজেন্সির পক্ষ থেকে কোনো মোয়াল্লেম যাবেন কি না, যারা হজের বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা দিবেন। কোথায় কোথায় হজের কার্যক্রমগুলো কিভাবে সম্পন্ন করতে হবে সে বিষয়ে তারা হাজি সাহেবানদের ধারণা দিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারেও জেনে নেয়া প্রয়োজন যে, মোয়াল্লেম যিনি যাবেন তিনি আলেম কি না। অনেক মোয়াল্লেম আলেম না হওয়ার কারণে হাজি সাহেবানদের সঠিকভাবে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করাতে পারেন না। কোনো আলেম মোয়াল্লেম কাফেলাসালার হিসেবে সাথে থাকলে প্রয়োজনের সময় তার নিকট হতে মাসআলা মাসায়েল জেনে নেয়া যায়।

৪. হজে যাওয়ার আগেই খুব ভালোভাবে হজের নিয়ম কানুন শিখে নেয়া প্রয়োজন। কেননা হজে যাওয়ার নিয়ত করা থেকেই আপনি আল্লাহ তাআ'লার মেহমান। তাই আপনার আশেপাশে কোথায় হজ প্রশিক্ষণ চলে তা জেনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল ভালোভাবে জেনে নেয়া সহজ হবে।

৫. হজের নিয়ম কানূনের ব্যাপারে বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর অনেক বই-পুস্তক পাওয়া যায়, সেগুলো সংগ্রহ করে ভালোভাবে পড়ে নেয়া যেতে পারে। হজ এজেন্সি এবং সরকারিভাবেও বই সরবরাহ করা হয়, সেগুলো সংগ্রহ করা উচিত।

৬. যেহেতু আল্লাহ তাআ'লার রাস্তায় বের হবেন তাই সেইভাবে মন-মানসিকতা তৈরি করতে শুরু করুন। অনেক হাজি সাহেবান বৃদ্ধ এবং বয়স্ক অবস্থায় হজে গমন করে থাকেন, তাই এখনকার পড়াশুনা এবং তা'লিম তাদের মনে নাও থাকতে পারে। সঙ্গত কারণে হজের বই বা গাইড নিজের সাথে সংরক্ষণে রাখা উত্তম। এগুলো কাফেলার অন্য সাথীদেরও প্রয়োজনে আসতে পারে।

৭. হজে রওনা হওয়ার পূর্বে আপনার পরিচয়পত্র, মোয়াল্লেম কার্ড, হোটেলের কার্ড, কব্জি বেল্ট ইত্যাদি সংগ্রহ করুন।

৮. বিমানে ওঠার আগে থেকেই আপনার হ্যান্ড ব্যাগে পাতলা ধরণের একটি জায়নামাজ এবং স্প্রে করা যায় এমন পানির বোতল সবসময় সঙ্গে রাখুন, যাতে অজু করার জায়গা না থাকলে স্প্রে করে হাতের তালুতে পানি নিয়ে অযুর ফরজগুলো আদায় করা যায়।

৯. লাগেজ বা ব্যাগের গাঁয়ে বাংলাদেশের পতাকার ছাপ, বাংলা, ইংরেজি ও আরবিতে নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, পিআইডি নম্বর, মোয়াল্লেম নম্বর ইত্যাদি স্পষ্ট অক্ষরে লিখে নিতে হবে।

১০. প্রয়োজনীয় ফোন বা মোবাইল নম্বরগুলো সংগ্রহ করে রাখা উচিত, যাতে সমস্যা বা বিপদ-আপদে সহযোগিতা নেয়া যায়। তা দেশে হোক আর মক্কা-মদিনায় হোক। ছোট একটি ফোন বুকে লিখে নেয়া যেতে পারে, যা হাত বেল্ট বা কোমর বেল্টে বহন করা যায়।

১১. এখন থেকেই হাটা-হাটি ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সুদৃঢ় করার চেষ্টা করতে থাকুন। মনে রাখতে হবে, হজের সফর মানেই কষ্টের সফর। প্রচুর হাটাহাটি করতে হবে এই গোটা সফরে। কোনো প্রকার অলসতাকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই হজের সফরে। তাই হজের সফরের জন্য শারীরিক ফিটনেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং সময় বেশি বাকি নেই আর কিছু দিন পরই হজ ফ্লাইট শুরু হবে। হাজি সাহেবানগণ যাতে সুন্দরভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন সেই ভাবে সকলের দৃষ্টি রাখতে হবে। আল্লাহ পাক সকল মুসলমানের হজ যেন কবুল করেন, মনেপ্রাণে এ কামনা করি।

হজে গমনকারীরা সঙ্গে যা যা নিবেন:
হজ ইসলামের পাঁচটি বেনার অন্যতম একটি। ফরজ ইবাদত। শারীরিক পরিশ্রম ও সম্পদের কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তাআ'লার নৈকট্যলাভের মাধ্যম। এতে যেহেতু প্রচুর পরিশ্রমের বিষয় রয়েছে, সেহেতু এখানে অতিরিক্ত কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। এ কথাটি স্মরণ রাখতে হবে- আল্লাহ তাআ'লাকে একান্তভাবে পাওয়ার জন্য, তার গভীর নৈকট্য লাভের জন্য, তারই হুকুম পালনার্থেই সম্পাদন করতে হবে হজের যাবতীয় কার্যক্রম। হজ সম্পাদনের প্রতিটি পদক্ষেপে রাখতে হবে ধৈর্য্যের সাক্ষর। হজ মানেই পরিক্ষা। ধৈর্য্যের পরিক্ষা। ক্ষুধা, কষ্ট, দু:খ-বেদনায় অসীম ধৈর্য্যের পরিক্ষা। প্রতিটি স্থানে ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হবে। এমন কোনো আচার-আচরণ বা কর্ম করা যাবে না, যার দ্বারা হজের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।

সাধারণত: হজের সফর ১৫ দিন থেকে শুরু করে প্রায় ২ মাসের হয়ে থাকে। তাই এ দীর্ঘ সফরে মালামাল ও ব্যাগ-ব্যাগেজ যত কম হবে ততই ভাল। বেশি মালামাল সাথে নিলে তা বহনে কষ্টও বেশি হবে। তাই নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের মধ্যে আরও যা যা একান্ত প্রয়োজন-

১. ব্যবহারের কাপড়- লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, পা-জামা।
২. নিত্য ব্যবহারের তেল, সাবান, টুথ পেষ্ট, মিসওয়াক।
৩. একটি হাওয়াই বালিশ (যা মুজদালিফাসহ সব জায়গায়ই ব্যবহার করা যাবে)।
৪. খাবারের জন্য একটি থালা এবং ছোট মগ।
৫. ডাক্তারের পরামর্শমত প্রয়োজনীয় ওষুধ সাথে নিতে যেতে হবে। এছাড়া সাধারণ সাধারণ রোগের কিছু কমোন ওষুধ রয়েছে যেগুলো সচরাচর প্রয়োজন হতে পারে। যেমন- ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, আমাশয়, মাথা ব্যথা, গ্যাস্টিক ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট ক্যাপসুল সাথে রাখা ভালো। কিছু খাওয়ার স্যালাইন নেয়া যেতে পারে।
৬. দু’টি ব্যাগ- ক. একটি সব মালামাল রাখার জন্য বড় ব্যাগ, অন্যটি মিনা, মুজদালিফা, আরাফাসহ বিভিন্নস্থান পরিদর্শনে ইহরামের কাপড়, পাসপোর্ট-টিকিট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখার জন্য।
৭. দুই সেট ইহরামের কাপড়।
৮. ইহরামের কাপড় পরে কোমর বাধার জন্য একটি কাপড়ের বা চামড়ার বেল্ট।
৯. স্পঞ্জের স্যান্ডেল ইহরাম অবস্থায়, ভালো জুতা রাখার ব্যাগসহ (মোট ২ সেট)।
১০. পরিমাণ মতো রিয়াল বা ডলার।
১১. হজের যাওয়ার পূর্বেই ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে স্বাস্থ্য পরিক্ষা করিয়ে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণ করা।
১২. ছোট একটি ছাতা সঙ্গে নেয়া খুবই উত্তম। কারণ, দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, হজের মওসুমে মক্কার তাপমাত্রা চল্লিশের কাছাকাছি থাকে। সূর্য মাথার উপরে আসতে আসতে এটা অারও বেড়ে যায়। তখন ছাতা অনেক উপকারে আসে।
১৩. লাগেজ বাঁধার জন্য রশি, টেপ, মার্কার পেন, সুঁই-সুতা ইত্যাদি সঙ্গে রাখা উত্তম।
১৪. মাথা মুন্ডন ও অন্যান্য প্রয়োজন পূরণের জন্য ব্লেড, রেজর ইত্যাদি।
১৫. কাপড় ধোয়ার জন্য পরিমানমত সাবান বা পাউডার।
১৬. কিছু শুকনো খাবার। যেমন- চিড়া, বিস্কুট, নাড়ু, পিঠা ইত্যাদি।
১৭. সম্ভব হলে একটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিন সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ভালো। এটি হজের কার্যক্রম শেষে দেশে ফিরে আসার সময় লাগেজ ও অন্যান্য ব্যাগ ব্যাগেজ ওজন করতে সহায়ক হবে। কারণ, একজন হাজি সাহেব সর্বোচ্চ ৬৫ কেজি ওজনের মালামাল দেশে আনার সুযোগ পেয়ে থাকেন। অনেকে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে বেশি মালামাল বহন করার ফলে ফিরতি পথে সউদি এয়ারপোর্টে এসে ইমিগ্রেশনে বিপদের মুখে নিপতিত হন।

সুতরাং আল্লাহ তাআ'লার সান্নিধ্যলাভের প্রত্যাশায় হারামাইন শরিফাইন যিয়ারতে যাওয়ার আগেই সফরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়সহ যথাসম্ভব পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। যারা এখনও হজের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করেননি কিংবা স্বাস্থ্য পরিক্ষা করাননি, সফরের পূর্বেই তা গ্রহণ করে নিন। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সবাইকে হজের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং এর মাধ্যমে কল্যাণলাভে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। হজে গমনেচ্ছু সবাইকে সুষ্ঠু এবং সুচারুভাবে মাকবুল হজ করার প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় সকল বিষয় সুন্দরভাবে সমাধান করার তাওফিক দান করুন। এ বছর বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যারা হজে যাওয়ার নিয়্যাত করেছেন, সকলের হজকে হজে মাবরূর হিসেবে কবুল করুন। কোনো একজন হাজি সাহেবের হজ সফরের ক্ষেত্রেও এই লেখাটি যদি সামান্য উপকারে আসে তাহলে অতি সামান্য এই শ্রমকে স্বার্থক মনে করবো। আল্লাহ পাক আমাদের সকল কাজকে সাওয়াবপ্রাপ্তির উসিলা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: প্রথম পেইজে দুইটা পোস্ট হয়ে গেলো যে

১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টের এই দৈন্যদশার দিনে প্রথম পাতায় দু'টি পোস্ট থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা না। তাছাড়া খুবই জরুরি বিষয় বিবেচনায় একাধিক হজ গমনেচ্ছু প্রিয়ভাজন জানতে চেয়ে লিখতে অনুরোধ করায় দ্বিতীয় পোস্টটি দিতে হল।

প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতাসহ অনেক অনেক শুভকামনা।

২| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৬

মোগল সম্রাট বলেছেন: হজ্জ্ব এবং নামাজ দুইটাই তো ফরজ এবাদত, কিন্তু হজ্ব করলেই হাজি লেখে নামের আগে পরে অথচ নামজ যারা আজীবন পড়ে যাচ্ছে তাদের নামের আগে পরে নামাজী যোাগ করে না কেন?

১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। মূলত: হজ এবং নামাজ দু'টিই ফরজ ইবাদত হলেও নামাজ এবং হজ দু'টি একইরকম ইবাদত নয়। দু'টি ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতির সমন্বয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ইবাদত। একটি সাথে আরেকটির তুলনা করা যায় না। যেমন-

নামাজ- হাদিসে বর্ণিত বয়স ৮/ ১০ বছর হওয়ার পর থেকে শুরু করে সারা জীবন, আমৃত্যু একজন মুসলিম নারী পুরুষের জন্য নামাজ ফরজ। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাকে নামাজ আদায় করে যেতে হবে।
হজ- পক্ষান্তরে হজ জীবনে একবার করা ফরজ। এরপরে কেউ ইচ্ছে করলে করতে পারেন। সেটা হবে নফল হজ। তিনি নফল ইবাদতের সাওয়াব পাবেন।
নামাজ- নামাজ আদায়ের জন্য গোটা পৃথিবীর সমস্ত জমিনকে আমাদের জন্য মসজিদ স্বরূপ করে দেয়া হয়েছে। যেখানে খুশি নামাজ আদায় করা যাবে।
হজ- পক্ষান্তরে হজ করার জন্য মক্কাতুল মুকাররমায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ শরিফে যেতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
নামাজ- নামাজ শারীরিক ইবাদত।
হজ- পক্ষান্তরে হজ শারীরিক এবং আর্থিক ইবাদত।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই দু'টি ইবাদতের মধ্যে এরকম আরও অনেক পার্থক্য রয়েছে। হজ সম্পাদনকারীকে হাজি বা আলহাজ বলা হয় মূলত: তাকে সম্মানসূচক উপাধীতে সম্বোধন করার উদ্দেশ্যে। এটা সউদিতেও দেখেছি। হারাম এলাকাসহ সেখানে আরবের লোকেরা এই সম্বোধনটি হাজি সাহেবানদের করে থাকেন অত্যন্ত সম্মান এবং ইজ্জত দেখানোর জন্য। তারা যখন 'ইয়া হাজি' বলে একজন হাজিকে ডাক দেন, তাদের চেহারা দেখলেই বুঝা যায়, তাদের এই শব্দটির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।

হজ করলে অনেকে নামের সাথে হাজি যুক্ত করেন। এটার কোনো শরয়ী ভিত্তি আমি পাইনি। আমার কাছে বরং, এটাকে লোক দেখানো কিংবা বলতে পারেন, লৌকিকতাপূর্ণ বিষয় বলেই বরাবর মনে হয়ে আসছে। যাই হোক, আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।

আশা করি, নিয়মিত প্রজাবৃন্দের খোঁজ খবর নিবেন। অনেক ভালো থাকবেন।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি পোষ্ট।

১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ।

অনেক ভালো থাকুন। সবসময়।

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

নতুন বলেছেন: যারা হজে যাবেন তারা রোদে বেশিক্ষন থাকলে এবং ঘাম হলে তাদের খাবার সেলাইন পান করা উচিত....

ডায়াবেটিক এর সমস্যা না হলে দুপুরে একবার সরবত এর সাথে একটু লবন দিয়ে ওরাল সেলাইন পান করলে গরমে ভালো থাকবেন....

এটা হজের সময় ট্রেনিং এ সেখানো উচিত.....

১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর পয়েন্ট মনে করিয়ে দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই আমার। স্যালাইন খুব কাজের ওখানে। যদিও আমরা নিয়ে যাইনি।

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪১

এমজেডএফ বলেছেন: "কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: প্রথম পেইজে দুইটা পোস্ট হয়ে গেলো যে!"
হাজি সাহেবানদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি জেনে রাখলাম। আল্লাহ যদি কোনোদিন তৌফিক দান করেন তবে কাজে লাগবে।

১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



হাজি সাহেবানদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি জেনে রাখলাম। আল্লাহ যদি কোনোদিন তৌফিক দান করেন তবে কাজে লাগবে।

দুআ থাকলো যেন আল্লাহ পাক অচিরেই তাওফিক দান করেন।

শুভকামনা সবসময়।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:৩২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: দরকারী কথা লিখেছেন।

১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আসলেই, আশা করি এই সামান্য পয়েন্টগুলো ফলো করলে হজের সফর নির্বিঘ্ন করা অনেকটা সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।

শুকরিয়া পাঠ এবং মন্তব্যে।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: নামাজ আদায়ের জন্য গোটা পৃথিবীর সমস্ত জমিনকে আমাদের জন্য মসজিদ স্বরূপ করে দেয়া হয়েছে। যেখানে খুশি নামাজ আদায় করা যাবে।"
অথচ মসজিদে না গিয়ে নামাজ পড়লে নামায হবেনা বা ঠিক হবেনা জোর দিয়ে বলে থাকেন আমাদের মোল্লারা এবিষয়ে আপনার মতামত কি?

১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আজ্ঞে মহামান্য সম্রাট,
ক্ষমা করিবেন, এই উত্তরটি সাধু ভাষায় প্রদান করিলাম বলিয়া দু:খিত। সমগ্র জমিনকে সিজদাহর জন্য উম্মুক্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছে। তবে অাপনাদের মোল্লাগন যাহা বুঝাইয়া থাকেন তাহার ভিত্তি রহিয়াছে। উহা সঠিক। তাহারা মূলত: জামাআতের সাথে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব তুলিয়া ধরিতে চাহেন। এই ব্যাপারে বিভিন্ন সহিহ হাদিসে এত বেশি তাকিদ দেওয়া হইয়াছে যে, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টির গুরুত্ব বুঝাইতে গিয়া কখনও কখনও ধমকি পর্যন্ত দিয়াছেন, যাহা অন্য কোনো আমল কিংবা ইবাদতের ক্ষেত্রে করেননি। এক হাদিসে তিনি বলিয়াছেন যে, তাহার ইচ্ছা হয়, তিনি কোনো একজনকে আজান দিতে বলেন, অত:পর দেখিতে থাকেন যে, আজান শুনিয়া এলাকাবাসী নামাজের উদ্দেশ্যে সমবেত হইয়াছে কি না, যদি না হয় তাহলে তাহাদের ঐ লোকালয়ে আগুন ধরাইয়া দেওয়ার জন্য কিছু যুবকদের তিনি নির্দেশ দিয়া দিতে মনস্থ করেন। এই হাদিসের শেষাংশে তিনি বলিয়াছেন, কিন্তু নারী-শিশু ও বৃদ্ধ প্রমুখের কারণে ইহা হইতে আমি বিরত থাকি।

আপনি আবারও এই সামান্য প্রজার ক্ষুদ্র পোস্টে আসিয়াছেন দেখিয়া কৃতার্থ হইলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা আবারও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.