নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের প্রথম লোহার খনি আবিষ্কার; নতুন সম্ভাবনায় নতুন অধ্যায়ে বাংলাদেশ

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪০



লোহার সন্ধানে কূপ খননের দৃশ্য।

প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করছি, মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার যিনি এমন সুজলা সুফলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর, নদী-নালা পরিবেষ্টিত, সাগর-পাহাড় ঘেরা, ফুলে-ফলে সুশোভিত, শস্য-শ্যামলিমায় কান্তিময়, উর্বরা পলিখচিত নয়নাভিরাম ভূখন্ড প্রিয় বাংলাদেশকে আমাদের আবাসস্থল হিসেবে দান করেছেন। আমরা এই দেশ নিয়ে গর্ব করি। কবির ভাষায় গানের কথায় অবচেতনে মন গেয়ে উঠে- আল্লাহ এই দেশ তোমারই দান.......

ইতোপূর্বে প্রাকৃতিক গ্যাসই ছিল বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একমাত্র খনিজ সম্পদ। নতুন আশারা আলো বিস্তার করেছে আবার। বাংলাদেশের মাটির নিচে আবিষ্কার হয়েছে লোহার বিশাল খনি। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) এই খনি আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি)। দীর্ঘ ২ মাস ধরে কূপ খনন করে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর মঙ্গলবার (১৮ জুন ২০১৯) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জিএসবি’র কর্মকর্তারা। ধন্যবাদ জিএসবিকে এই সুসংবাদটি দেশবাসীকে দিতে পারার জন্য।

ইসবপুরে এই লোহার খনি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম লোহার খনি এটিই। এর ব্যাপ্তি রয়েছে ৬-১০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত। এখানে কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি রয়েছে। ১১৫০ ফুট গভীরতায় চুনাপাথরের সন্ধানও পাওয়া গেছে।

তারা জানান, সেখানে ভূগর্ভের ১ হাজার ৭৫০ ফুট নিচে ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার একটি স্তর পাওয়া গেছে। যা দেশের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কার।



ইসবপুরে আবিষ্কৃত বাংলাদেশের প্রথম লোহার খনি। যার ব্যাপ্তি রয়েছে ৬-১০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত। এখানে কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি রয়েছে। ১১৫০ ফুট গভীরতায় চুনাপাথরের সন্ধানও মেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে খননকাজে নিয়োজিত জিএসবি’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম জানান, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার করা হয়েছে, সেসব খনির লোহার মান ৫০ শতাংশের নিচে। আর বাংলাদেশের লোহার ৬৫ শতাংশের উপরে। যার ব্যাপ্তি রয়েছে ৬-১০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত। এখানে কপার, নিকেল ও ক্রুমিয়ামেরও উপস্থিতি রয়েছে। ১ হাজার ১৫০ ফুট গভীরতায় চুনাপাথরের সন্ধানও মিলে।

তিনি আরও জানান, ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ২০১৩ সালে এ গ্রামের ৩ কিলোমিটার পূর্বে মুর্শিদপুর এলাকায় কূপ খনন করে খনিজ পদার্থের সন্ধান পেয়েছিল। সেই গবেষণার সূত্র ধরে দীর্ঘ ৬ বছর পর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল থেকে ইসবপুর গ্রামে কূপ খনন শুরু করা হয়।

এরপর ১৩৮০-১৫০০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত খননকালে সেখানে আশার আলো দেখতে পাওয়া যায়। এ খবর পেয়ে ২৬ মে জিএসবি’র মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে পরিদর্শনে আসেন। এসময় মহাপরিচালক সাংবাদিকদের সুখবর না দিলেও লোহার খনি আবিষ্কার হতে চলেছে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার ফলে ১৭৫০ ফুট গভীরতা খনন করে লোহার খনির আবিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার আকরিকের এ স্তরটি পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলে ৬০ কোটি বছর আগে সমুদ্র ছিল। সেই কারণে এখানে জমাট বাধা আদি শিলার ভেতরে লোহার আকরিকের এ সন্ধান পাওয়া যায়।



লোহার উপস্থিতি পরিক্ষা করা হচ্ছে।

উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার পূর্বে ইসবপুর গ্রাম। এ গ্রামের কৃষক ইছাহাক আলীর কাছ থেকে ৫০ শতক জমি ৪ মাসের জন্য ৪৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে খনিজ পদার্থের অনুসন্ধানে কূপ খনন শুরু করে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর।

জিএসবি’র উপ-পরিচালক (ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ার) মাসুদ রানা জানান, গত ১৯ এপ্রিল থেকে ইসবপুর গ্রামে কূপ খনন শুরু করা হয়। ৩০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ একটি দল ৩ শিফটে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আমরা জানতে পারলাম এখানে লোহার খনি পাওয়া গেছে। এখান থেকে লোহা উত্তোলন করা হলে এখানকার মানুষদের জীবনমান পাল্টে যাবে। কর্মসংস্থান হবে এখানকার মানুষের। দেশের জন্যও লাভজনক হবে। এমনই আশায় বুক বাঁধছেন এখানকার সর্বস্তরের মানুষ। তাই গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারের কাছে খনি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদেরও জোর দাবি, কোনো ধরণের অনিয়মের বেড়াজালে যেন আটকে না যায় এই বিপুল সম্ভাবনা। এই খনি থেকে সঠিক পদ্ধতিতে খনিজ সম্পদ আহরণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে।



ধারণা্ করা হচ্ছে, এ অঞ্চলে ৬০ কোটি বছর আগে সমুদ্র ছিল। সেই কারণে এখানে জমাট বাঁধা আদি শিলার ভেতরে লোহার আকরিকের এ সন্ধান পাওয়া যায়।

ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলানিউজ২৪.কম, কালের কন্ঠ ও দৈনিক নয়াদিগন্ত অবলম্বনে।

ছবি: বাংলানিউজ২৪.কম এর সৌজন্যে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এতো বেশী গভীর থেকে লোহা আহরণ নাকি লাভ জনক হবে না। এটা কি সঠিক?

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



যেহেতু এ ধরণের খনির সন্ধানলাভ আমাদের এটাই প্রথম। তাই এ কাজের সম্ভাব্য লাভ-ক্ষতির পরিমান আন্দাজ করার জন্য- এই জাতীয় খনিজ সম্পদ আহরণে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশী একাধিক টিমের সাথে মতবিনিময় করে খনিজ উত্তোলনের কাজে মাটির ঠিক কতটুকু গভীরে খনন করা হলে কি পরিমান খরচ হবে তা জেনে নেয়াসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে বিস্তারিত বুঝে শুনে সিদ্ধান্তে আসা সঠিক হবে বলে মনে করি।

প্রথম মন্তব্যে অভিনন্দন।
জিএসবির জন্য শুভকামনা। অব্যাহত থাকুক তাদের অগ্রযাত্রা।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমিও জিএসবির একজন কর্মকর্তা। আমাদের অফিসের এটা দারুন অর্জন। বাংলাদেশের আবষ্কিৃত কয়লাখনির সবগুলো জিএসবির আবিষ্কার। প্রাপ্ত লৌহ ভান্ডার লৌহ খনি হিসেবে তখনই বিবেচ্য হবে যখন এটি অর্থনৈতিক ভাবে লাভ জনক হবে। সেজন্য আরও কয়েকটি ড্রিলিং করে এর মজুদের পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।জিএসবির ভূবৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদি্ধর জন্য বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ আবশ্যক।তাহলে দেশের জন্যতারা আরও ভালো কাজ করবে।দেশের অর্থনীতিতে ভালো একটা ভূমিকা রাখতে পারবে। জনাব মাছুম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিষয় নিয়ে লেখা পড়া করেছেন। ইউরোপে ডিগ্রী নিয়েছেন। আরও দেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ।তিনি বহিরংগনে কঠিন পরিশ্রম শেষ করে ইউরোপে যান আবার দেশে ফিরেই বহিরঙ্গনে । তার সঙ্গে একসময় রৌদ্র উজ্জ্বল দিনে হাকালুক হাওড়ে প্রায় ২০/২৫ কিলোমিটার কাদা পানি পথে পায়ে হেটে কাজের অবিজ্ঞতা আছে। জনাব মাছুম উপপরিচালক(ভূতত্ত্ব) অনেক হালকা শরীর নিয়ে কাদা পানির উপর দিয়ে ডাহুক পাখির মতো হেটে যেতেন। আমাদের পরিশ্রম আমরাই বলতে পারবো। আমাদের কাজের সময় মধ্যদুপুরে হাকালুকি হাওড়ে এলাকার একজন মানুষকে ও কাজে দেখিনি। তারা তখন রেস্টে। এমন কি মহিষপালক রাখালও। আর আমাদের গাড়ি আমাদের থেকে ১০ কিলোমিটা র দূরত্বে আমাদের দর্শক। যাইহোক এখন আমরা অপেক্ষায় আছি যেন লৌমজুদের পুরুত্ব ও বিস্তৃতি যেন বেশি হয়।তারজন্য আরো কয়েকটি ড্রিলিং করতে হবে। মজুদ ভালো হলে হবে উত্তলন। যা আমাদের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবে। এটি বাংলাদেশের প্রথম লোহার খনি। :)

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



কয়েকটি কারণে আরও বেশি ভালো লাগছে। বিশেষ করে জিএসবির গর্বিত টিমে আমাদের সামুর অন্যতম রত্ন আমাদের প্রিয় কবি ভাইও রয়েছেন এটা আনন্দের। আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের ফসলই এই খনির সন্ধান। আপনার মাঠ পর্যায়ের দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে অনুসন্ধান কাজে ছুটে বেড়ানোর এ ঘটনা অন্যদেরও প্রেরণা হয়ে উঠুক।

আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপযুক্ত ট্রেনিং এর জন্য বিদেশ ভ্রমনের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে বিদেশের কোম্পানীগুলো থেকে প্রয়োজনীয় সকল কিছু মাঠ পর্যায়ে হাতে কলমে শিখে আসতে পারে। এর জন্য বিদেশী কোম্পানীর সাথে চুক্তি করা যেতে পারে।

আপনাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জিএসবি পথিকৃতের আসনে সমাসীন হোক।

দীর্ঘ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকুন।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি এখন এই ব্রাঞ্চে নেই। তবে চাকুরীর শুরুতে ২/৩ বছর ছিলাম ।

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্রাঞ্চে নেই তোতে কি? আপনি এই সেক্টরে আছেন, এটাতেই ভালো লাগছে।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: খুবি খুশীর সংবাদ। তবে চোর-বাটপারদের হাত থেকে রক্ষা পেলেই হয়তো এই খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহার করা যাবে।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিকই বলেছেন। আমাদের তো আবার বালিশ কান্ডের অভ্যাস রয়েছে। নীতিহীন জাতির পক্ষে কখনোই উন্নতিলাভ করা সম্ভব নয়।

মন্তব্যে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি কুশলে রয়েছেন। অনেক ভালো থাকুন।

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: বিশাল বড় খবর নিশ্চয়ই--- দেখা যাক বাংলাদেশ কী করে এই লৌহ সম্পদ নিয়ে।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। বাংলাদেশ কী করে সেজন্য আমাদের ধৈর্য্য নিয়ে কিছু কাল অপেক্ষা করতে হবে। আমরা তাদের সাফল্য কামনা করি। কারণ, এই প্রজেক্ট সফলতার মুখ দেখলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে অতি নগন্য পর্যায়ের হলেও এর একটা প্রভাব পড়বে।

প্রিয় কবিকে মন্তব্যে কাছে পেয়ে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য। নিরন্তর ভালো থাকুন।

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

বিলুনী বলেছেন: এ বিষয়ে আপনি এত চমতকারভাবে বিষদ তথ্য দিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন দেখে খুশী হলাম ।
আমাদের সামুর একজন প্রিয় কবি যে বাংলাদেশ ভুতাত্বিক জরীপ অধিদপ্তরের কর্মতর্তা তা জানা ছিলনা ,
তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত । লেখালেখির সাথে দেশ সেবার মহান ব্রতেও তিনি নিয়োজিত , তার প্রতিও
শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে মাঝখানে অনেক দিন ব্লগে পাইনি। মনে মনে স্মরণ করেছি। আপনাকে এবং বিখ্যাত ব্লগার মানবীকে কেন যেন বেশ মনে পড়ে যেতো। কিন্তু দু'জনের কাউকেই পাইনি। যাক, শুকরিয়া অন্তত: একজনকে পেয়েছি। আপনি ফিরে এসেছেন। আশা করি, নিশ্চয়ই ভালো ছিলেন এই ব্লগে না আসা সময়টাতে।

আপনার মন্তব্যটি অনেক আন্তরিক। কৃতজ্ঞতা থাকলো। আমার এই লেখাটির আগেই সম্ভবত: এ বিষয়ে আপনি পোস্ট দিয়েছেন। সেই পোস্টে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা নিরন্তর।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো খবর

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



লাইকসহ মন্তব্যে আসায় উষ্ণ অভিনন্দন, কবি বোনকে।

অনেক ভালো থাকুন, দুআ সবসময়।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

জুন বলেছেন: @ সেলিম আনোয়ার ভুতত্ববিদ হিসেবে আপনার সহকর্মী আমাদের এক প্রিয় ব্লগার সায়েম মুন ও তো আছেন তাই না? তার খবর কি জানেন?

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আশা করছি, আপনার এই মন্তব্যটি সেলিম আনোয়ার ভাইয়ের চোখে পড়বে এবং তিনি উত্তরে এসে ব্লগার সায়েম মুনের সংবাদ আমাদের অবহিত করে যাবেন।

অনেক শুভকামনা। অনেক ভালো থাকুন।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: মাটির নিচের নিজিস উত্তোলন করা ঠিক না। তাতে পৃথিবী দুর্বল হয়ে যায়।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার এই কথাটার পেছনে অবশ্য যুক্তি রয়েছে।

ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,





নিঃসন্দেহে সুসংবাদ।
এই সুসংবাদ যেন বাস্তবতার মুখ দেখে, লুটপাটের আরেকটি সেক্টর না হয়ে ওঠে ।

আপনার এই লেখাটি পড়তে পড়তে সহব্লগার সেলিম আনোয়ার এর কথা মনে হচ্ছিলো। ইচ্ছে ছিলো এখানে মন্তব্যে তাকে অনুরোধ করবো উনি যেন বিস্তারিত কিছু লেখেন। কিন্তু মন্তব্যর ঘরে দেখি তিনি আছেন।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এই সুসংবাদ যেন বাস্তবতার মুখ দেখে, লুটপাটের আরেকটি সেক্টর না হয়ে ওঠে ।

আপনার সাথে সহমত। আমাদেরও এই একই চাওয়া। আপনি-আমি-আমরা এই খনির প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী কখনোই হব না- এটা জানি, তবু দেশ এগিয়ে গেলে সেটাই হবে আমাদের পরম পাওয়া। দেশ যদি বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়, আমাদের বুক ভরে যাবে গর্বে আর গৌরবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ নিয়ে যদি ছিনিমিনি খেলা হয় তখন নিজেকে নিজের কাছে ছোট মনে হয়। লজ্জিতবোধ করি। মাথা নুয়ে যায় অপমানে। এমনটা যেন কোনোভাবেই না হয়।

জ্বি, সেলিম আনোয়ার ভাই আগেই এই পোস্টে এসে তার মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করায় আনন্দিত হয়েছি।

কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা নিরন্তর।

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:০৬

আহা রুবন বলেছেন: সুসংবাদ! কাগজে পড়েছি। আপনি সুন্দর করে বিস্তারিত তুলে ধরছেন। লৌহ শিল্পে প্রচুর কয়লার প্রয়োজন হয়, কাছাকাছি কয়লার খনি থাকলে দ্রুত লৌহ শিল্পের বিকাশ ঘটে। আমাদের সৌভাগ্য যে দিনাজপুরেই রয়েছে পাথুরে কয়লার খনি।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আমাদের সৌভাগ্য যে দিনাজপুরেই রয়েছে পাথুরে কয়লার খনি।

এ পর্যন্ত যা দেখেছি, তাতে সত্যি মনে হচ্ছে, আমাদের সৌভাগ্য। কিন্তু পরবর্তীতে অবস্থা কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়। তবে আমাদের প্রত্যাশা, সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে লুটপাট এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক উদ্যোগ এই প্রকল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।

কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা নিরন্তর।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার করা হয়েছে, সেসব খনির লোহার মান ৫০ শতাংশের নিচে, আর বাংলাদেশের লোহা ৬৫ শতাংশের উপরে!!!

কি রকম পরীক্ষা হয়েছে বোঝা সারা। শেষ পর্যন্ত না আবার তেল, গ্যাসের মত হয়। (একসময় বলা হয়েছিল গ্যাসের উপর ভাসছে দেশ, আর আমদানি করতে(তেল, এলএনজি) টাকা শেষ)

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



আমরা আশা রাখতে চাই, বালিশ কান্ডের পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না। তেল গ্যাস এর মত প্রচারণা সর্বস্ব নয়, বাস্তবে এই প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখবে। আর সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে লুটপাট এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক উদ্যোগ এই প্রকল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতেও সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

কেমন আছেন, প্রিয় ভাই? কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা নিবেন।

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন:
@ আহমেদ জিএস কেন কবিতা লিখি কারণ কবিতা লিখতে বাধা নেই আর তাই বাধাহীন আমি কেমন কবি হয়ে ওঠেছি.....ভূতত্ত্ব লেখায় নানা নিয়ম কানুনের হয়রানি কারণে ও বিষয়ে লেখা হয়নি। এখন অবশ্য অফিস কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। নিজেকে আর খনিজ পদার্থের মতো লুক্কায়িত রাখকে চায় না। প্রকাশ করতে চায়্

@ জুনানপি আমার আশীর্বাদপুষ্ট মুহাম্মদ মাসুম এবং তিনি অর্থেনৈতিক ভূতত্ত্ব শাখায় কাজ করা সবচেয়ে অভিজ্ঞ ভূবিজ্ঞানী। তিনি এখন বেশ ভালো আছেন কবিতা টবিতা লিখেন না। তিনি অন্য ফরমটে লিখবেন বলে বলছিলেন একবার। বেশ আছেন। আর তার বিষয়ে কিছু জানাতে না বলে একখান ইনবক্স মেসেজ পাঠিয়েছিলেন....আমার কাছে.. অনেক আগে...তারপরও জানালাম তো বেশ ভালো আছেন তিনি....

বাচ্চাদের আমি একটু দূরে রাখি....যখন তারা বুঝে ফেলে তখন আরো দূরে.....আমারে কে পায়.....
মাইক টাইসনের ম্যানেজার এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হা হা.....
আই এম এ ট্রু লিজেন্ড.......হা হা ফান করলাম একটু। আমি এখনো সমাজের দেশের পরিবর্তন চাই.....আমি জানি কবিরা অপরাজিত ।যারা পরাজিত তারা বোধ হয় কবি নন ;)

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

রায়হান চৌঃ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই,
সত্যি আমি অবাক হই এত ছোট ড্রিলিং রিগ ব্যবহার করে কি করে সম্ভব ভূতত্ব জরিপ করা ? আমি গত ৭ বছর ধরে Sclumberger এর সাথে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি তাদের ল্যন্ড / অপসর রিগ গুলো।সত্যি Sclumberger এর ড্রিলিং ট্যকনোলোজী অনেক এডভান্স লেভেলের, সেই হিসেবে আমার গরিব দেশের কিছুই নেই। জনিনা কত টুকু দক্ষ জনশক্তি আমাদের ? তবে শুধু এ টুকু আশ করব বাংলাদেশ যেন কখনোই ভারতীয় দের এ ধরনের কাজ গুলো না দিয়ে থাকে।

ভালো থাকবেন

১৫| ২০ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

রায়হান চৌঃ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই,
সত্যি আমি অবাক হই এত ছোট ড্রিলিং রিগ ব্যবহার করে কি করে সম্ভব ভূতত্ব জরিপ করা ? আমি গত ৭ বছর ধরে Schlumberger এর সাথে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি তাদের ল্যন্ড / অপসর রিগ গুলো।সত্যি Schlumberger এর ড্রিলিং ট্যকনোলোজী অনেক এডভান্স লেভেলের, সেই হিসেবে আমার গরিব দেশের কিছুই নেই। জনিনা কত টুকু দক্ষ জনশক্তি আমাদের ? তবে শুধু এ টুকু আশ করব বাংলাদেশ যেন কখনোই ভারতীয় দের এ ধরনের কাজ গুলো না দিয়ে থাকে।

ভালো থাকবেন

১৬| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:০০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আলহা'মদুলিল্লাহ।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।
মনে প্রানে এটাই চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.