নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
হজ খুবই নিকটে:
আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে হাজি সাহেবানদের পবিত্র হজ যাত্রা। তাই হজে যেতে ইচ্ছুক প্রত্যেককে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে সকল দিকে লক্ষ্য রেখে এবং এখন থেকেই। যেহেতু হাতে আর সময় রয়েছে খুবই কম। আর পবিত্র হজ যেহেতু সাকুল্যে একটি মহান ফরজ হুকুম পালনের সাথে সাথে একটি ঈমানী সফর, একটি নূরানী সফর, একটি জান্নাতি পথচলা তাই এর প্রস্তুতির ধরণও কিছুটা ভিন্ন। কিছুটা ব্যতিক্রমী। হজের সফরে গেলে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। মন বিকশিত হয়। হৃদয় বিগলিত হয়। নিজেকে হারিয়ে মহান প্রভূ পালয়িতার একান্ত সান্নিধ্যে পৌঁছার লক্ষ্যে তার প্রেম-সরোবরে ডুব দেয়ার অবারিত সুযোগ জোটে। তাঁর ভালোবাসার অথৈ পাথারে সাতার কাটার এ এক আশ্চর্য মওসুম। আহ! হজ মানেই তো বিশ্ব জগতের স্রষ্টা, কূল কায়িনাতের মালিকের ঘরের চৌকাঠে মাথা ঠুকে তাঁর অফুরন্ত রহমত পাওয়ার প্রত্যাশায় ব্যথাকাতর হৃদয়ে, মহান প্রতিপালকের বিরহে বিদীর্ণ অন্তরে, অশ্রুসিক্ত নয়নে লক্ষ লক্ষ পাগলপাড়া বান্দার 'লাব্বাইক' ধ্বনিতে মুখরিত বাইতুল্লাহর মোহময় মায়াময় পরিবেশ প্রতিবেশ। মুমিন জীবনে এরচে' বড় সৌভাগ্য আর কী হতে পারে? হ্যাঁ, হজ মুমিন জীবনের মহাসৌভাগ্যের সোপান। আর হজের সফরের এই সৌভাগ্যের ঝাপি থেকে পরিপূর্ণ ফায়দা তুলে আনার জন্য প্রয়োজন কিছু প্রস্তুতির। বিশেষ সেই প্রস্তুতিগুলো নিয়েই আজকের সামান্য আলোচনা। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন।
হজ এমনই একটি ইবাদত যা পালনের জন্য প্রয়োজন শারীরিক সক্ষমতা। শারীরিক প্রস্তুতির সাথে সাথে নিতে হবে আত্মিক ও জ্ঞানের প্রস্তুতি। আপনার হজ যেন সঠিক ও সুন্দর হয়, সহীহ ও বিশুদ্ধ হয় সে দিকে নজর দিতে হবে এখন থেকেই। ইতোপূর্বে এই বিষয়টি নিয়ে আরও একটি লেখা গত ক'দিন পূর্বে পোস্ট করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় কিভাবে আপনি প্রস্তুতি গ্রহন করলে আপনার হজ কবুলযোগ্য হতে পারে তার জন্য কিছু বিষয়ের দিকনির্দেশনার জন্য আজকের এই নিবন্ধ।
নিয়্যাতের বিশুদ্ধতা ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত:
মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক ইবাদতে নিয়্যাতের বিশুদ্ধতা উক্ত ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত। তাই আপনার নিয়্যাতকে বিশুদ্ধ করুন। পরিশুদ্ধ করুন। কারণ, হাদিসের আলোকে একথা প্রমানিত যে, সমস্ত আমলের ফলাফল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল। তাই যে কোনো আমলের জন্য বিশুদ্ধ নিয়্যাত একান্ত প্রয়োজন। আর পবিত্র হজ যুগপত আর্থিক এবং শারীরিক ইবাদত হওয়ায় হজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ নিয়্যাতের বিষয়টি যে আরো অধিকতর গুরুত্ব বহন করে তা বলারই অপেক্ষা রাখে না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, ‘কাজেই আল্লাহর ইবাদত করুন তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।’ (সূরা যুমার : ২)।
হাদিছে কুদছিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, ‘যে আমলের ক্ষেত্রে আমার সাথে অন্যকে অংশীদার সাব্যস্ত করে আমি তাকে এবং তার অংশীদারকে ত্যাগ করি।’
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কারণেই হজের সময় বার বার এই দুআ করতেন- 'আল্লাহুম্মা হাজিহি হাজ্জাতান লা রিয়াআন ওয়ালা সুমআহ' অর্থাত, 'হে আল্লাহ, এই হজকে এমন হজ হিসেবে কবুল করুন যেখানে প্রদর্শন ও খ্যাতির ইচ্ছা নেই।'
আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- 'ইন্নামাল আ'মালু বিন্নিয়্যাত,' অর্থাত, 'প্রত্যোক আমলের ফলাফল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল'।
সুতরাং, এখন থেকেই আপনি আপনার নিয়্যাতকে পরিশুদ্ধ করুন। মানুষকে দেখানো বা শোনানোর কোনো ইচ্ছে মনের কোনে লুকিয়ে থাকলে, প্রদর্শন বা খ্যাতির নিয়্যাত অন্তরের গহীনে লুকায়িত থাকলে তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন এখনই। নিয়্যাতকে পাক্কা করে নিন। নিয়্যাত তো হবে- 'ইন্না ছলাতী ওয়া নুছুকী ওয়া মাহইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন', অর্থাত, 'নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানী, আমার জীবন এবং আমার মরণ সবকিছুই নিবেদিত একমাত্র মহান আল্লাহ তাআ'লার জন্য'। তাই আপনার এত কষ্টের, এত অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে যে হজে আপনি যাচ্ছেন, সে হজ হোক কেবলমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টির জন্য। এখনই বিশুদ্ধ করে নিন আপনার নিয়্যাতকে।
অজ্ঞানতা পরিহার করুন, নিজেকে প্রজ্জ্বলিত করে নিন জ্ঞানের আলোয়:
ইসলাম ধর্মের পবিত্র ঐশী বানী আল কুরআন অবতরণের শুভ সূচনা হয়েছে 'ইক্করা', তথা 'পড়ুন', কথাটি দ্বারা। অজ্ঞানতার কোনো স্থান ইসলামে নেই। জ্ঞান অর্জনের বিকল্প কোনো পথও ইসলাম বাতলে দেয়নি। ইসলাম আমাদের সামনে এই শিক্ষাকে তুলে ধরে যে, প্রত্যেকের আমলের ফলাফল প্রত্যেকে লাভ করবে। এ কথার অর্থ পরিষ্কার, অর্থাত, প্রত্যেককেই আমল করতে হবে। আর একথা সম্ভবত: বুঝিয়ে বলার অবকাশ রাখে না যে, আমল করতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের 'ইলম' বা 'জ্ঞান' থাকা দরকার। আর এজন্যই প্রয়োজনীয় পরিমান দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করাকে প্রত্যেক নারী পুরুষের জন্য ইসলাম ফরজ সাব্যস্ত করেছে। তাই হজের মহান সফরে গমনের পূর্বেই এই বিষয়ে যতদূর সম্ভব একান্ত প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করে নিন। হজের হুকুম আহকাম, হজের প্রকারভেদ এবং সংশ্লিষ্ট মাসআলা-মাসায়েলগুলো রপ্ত করতে সচেষ্ট হোন। এসব বিষয়ে নিয়মিত অধ্যয়ন করুন। কোনো বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণালাভে সক্ষম না হলে আপনার নিকটস্থ আলেম উলামাদের স্মরণাপন্ন হয়ে তাদের নিকট থেকে জেনে নিন যাতে আপনার হজ কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী সহিহ এবং সুন্দর হয়ে যায়। কবুলযোগ্য হজ তো সেটাই যা কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী আদায় করা হয়।
আধুনিক যোগাযোগের এই সময়ে এসে আলহামদুলিল্লাহ, টিভি, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দূরের বাইতুল্লাহকে আমরা ঘরে বসেই চব্বিশ ঘন্টা প্রত্যক্ষ করতে পারি। হজের যাবতীয় কার্যক্রম এখন মাল্টিমিডিয়া ট্রেইনিং এর মাধ্যমে আত্মস্ত করাও অনেক সহজ। এর জন্য প্রয়োজন শুধু আমাদের শেখার মানসিকতা। জানার অদম্য আগ্রহ। পবিত্র এই সফরের সকল কার্য্যাবলীকে আগেই আত্মস্ত করে নেয়ার জন্য হৃদয়ের গহীন গভীরে নিখাদ ভালোবাসা।
এমনও দেখা যায়, আমাদের দেশ থেকে এখনও এমন অনেক ব্যক্তি হজে গমন করেন, যিনি একথাও জানেন না যে, তিনি কোন হজ করতে যাচ্ছেন। তিনি জানেন না, হজ মোট কত প্রকার। মক্কাতুল মুকাররমায় গিয়ে সেখানকার কোন স্থানে কি কাজ করতে হবে, কিছুই জানা নেই তার। নিছক দলের সাথে তিনি চলেছেন। দলে হয়তো একজন মুআল্লিম থাকেন। আছেনও তিনি। তার উপরে নির্ভর করেই হজযাত্রা। মুআল্লিম আছেন তো কি হয়েছে? মুআল্লিম আছেন বলে আপনার জেনে নিতে সমস্যা কোথায়? আর মুআল্লিম থাকলেই কি? তার উপরে কতটুকু নির্ভর করা যাবে, সেটাও তো একটি বিবেচ্য বিষয়। অজ্ঞানতার এই বদ চর্চা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তাই প্রিয় ভাই, প্রিয় বোন, আজ থেকেই আপনার প্রস্তুতিকে নবায়ন করার চেষ্টা করুন। গোটা হজের সফরটাকে অন্তরের ভেতরে পূর্বেই আবদ্ধ করে নিন। স্মৃতিপটে হজের একটি সামগ্রিক চিত্র অঙ্কন করে নিন। বাইতুল্লাহর তাওয়াফ, সাফা মারওয়ায় সায়ী, মীনা, মুযদালিফা এবং আরাফাতের মাঠে অবস্থানসহ মদিনাতুল মুনাওয়ারা যিয়ারতের সকল কিছু একত্রিত হবে যে একটিমাত্র চিত্রে।
দুআ জিকিরগুলো উত্তমভাবে শিখে নিন:
হজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু দুআ ও জিকির রয়েছে। এগুলো শিখে নিন। বিশুদ্ধ উচ্চারণে এসব দুআ ও জিকির মুখস্থ করে নিন। হজের সফরে খুব বেশি দুআ নেই। অল্প সংখ্যক যে দুআগুলো প্রয়োজন সেগুলো উত্তম রূপে মশক করে নিন। হজের সফরে গেলে দেখা যায়, তালবিয়াহটুকু পর্যন্ত সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারেন না অনেকে। বাইতুল্লাহর তাওয়াফে, সাফা মারওয়া পাহাড়ে সায়ীতে এবং আরাফার ময়দানে পঠনীয় দুআ প্রায় কাছাকাছি। তাই কখন কোন দুআ কিভাবে পড়তে হবে তা আপনি এখনই ভালোভাবে জেনে নিন। সময় নিয়ে মুখস্থ করে নিন এগুলো। এমন হওয়াটা খুবই দু:খজনক যে, হজ করিয়ে দেয়ার সাথে সাথে আপনার দুআগুলোও আপনাকে পড়িয়ে দিতে হয় আরেকজনকে। এ ধরণের কাজকে দ্বীনের ক্ষেত্রে অসচেতনতা ও অবহেলা ছাড়া আর কি বলা যায়? আর হজের মত মহান একটি ফরজ ইবাদতের ক্ষেত্রে এ ধরনের অবহেলা যদি আপনার থেকেই প্রকাশ পায়! প্রিয় ভাই, আপনিই বলুন, কিভাবে আশা করা যেতে পারে যে, আপনার হজটি কবুলযোগ্য হতে পারে!
হক্কুল্লাহ এবং হক্কুল ইবাদ থেকে মুক্ত হওয়া অনেক জরুরী:
হজের সফরে গমনের পূর্বেই আপনি সকলের পাওনা দাওনা মিটিয়ে দিতে চেষ্টা করুন। কারও পাওনাদি পরিশোধে এই মুহূর্তে নিতান্তই অসমর্থ হলে অসিয়তনামায় তা লিপিবদ্ধ করুন। আত্মীয়-স্বজনসহ কারো কোন 'হক' বা 'অধিকার' আপনার নিকট পাওনা থাকলে তা পূরণ করে দিন। আর আল্লাহ তাআ'লার 'হক' বা 'অধিকার' হলে তাও নিরবে পরিশোধ করুন। মানুষের হলেও তা পরিশোধ করুন, অন্যথায় তাদের নিকট অনুমতি নিয়ে আসুন। হজের সফর যেহেতু দীর্ঘ তাই উলামায়ে কেরাম অসিয়ত লিখে যেতেও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অতএব আপনি পরিবারের সদস্যদের নিকট প্রয়োজনীয় অসিয়ত লিখে রেখে যান। আর এক্ষেত্রে পরিবারের সকলকে ঈমান, আমল, ইখলাস ও তাকওয়ার অসিয়ত করুন। দ্বীনের সাথে একনিষ্ঠভাবে লেগে থাকার নির্দেশ প্রদান করুন।
শারীরিক সুস্থতার প্রতি নজর রাখুন:
আপনি যদি সুস্থ অবস্থায় থেকে থাকেন, আলহামদুলিল্লাহ। এটি খুবই ভালো। সুস্থতা আল্লাহ তাআ'লার মহান এক নেআমত। সুস্থতার মর্ম বুঝা অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষেই কেবল সম্ভব। এই নেআমতের শুকরিয়া আদায় করা প্রয়োজন। এরপরও ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন দেশের ভিন্ন আবহাওয়ায় যেহেতু থাকতে হবে দীর্ঘ দিন, তাই সম্ভব হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। আপনার নিজস্ব ডাক্তারের নিকট থেকে কিছু পরামর্শ নিলে হয়তো আপনার সফরের জন্য তা উপকারী হবে। মরুভূমির দেশে নতুন উষ্ণ আবহাওয়ায় কিভাবে চললে, কি খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে সে বিষয়ে ডাক্তার হয়তো আপনাকে সুন্দর ধারণা দিতে সক্ষম হবেন। এছাড়া অখাদ্য ও ক্ষতিকর কোনো খাবার গ্রহনের অভ্যাস থেকে থাকলে এখন থেকেই তা পরিহার করুন। ধুমপান ইত্যাদির মন্দ অভ্যাস থেকে থাকলে তা দয়া করে আল্লাহর ওয়াস্তে এখনই ছেড়ে দিন। আপনার বিশেষ কোনো রোগের জন্য নিয়মিত ওষুধ সেবনের অভ্যাস থেকে থাকলে সে ঔষধ সাথে নিয়ে নিন। এছাড়ও ছোটখাট প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে এমন কিছু ঔষধ যেমন, প্যারাসিটামল, এ্যামোডিস, এন্টাসিড ইত্যাদিও সাথে নিয়ে নিতে পারেন।
সাহায্য প্রার্থনা করুন কেবল আল্লাহ তাআ'লার নিকটেই:
সর্বাবস্থায় সাহায্য প্রার্থনা করুন কেবল আল্লাহ তাআ'লার নিকটেই। বিপদে আপদে যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সাহায্য প্রার্থনা করুন। হজের সফর শুরু করা থেকে শেষ পর্যন্ত যেন সুস্থ থাকতে পারেন এবং সুন্দরভাবে হজের যাবতীয় কার্যাদি সম্পাদন করতে পারেন সেজন্য আল্লাহ তাআ'লার নিকট বিনীত প্রার্থনা ও একনিষ্ঠতার সাথে দুআ করতে থাকুন। সাহায্যকারী একমাত্র তিনিই। বিপদে উদ্ধারকারী একমাত্র তিনিই। সকল পরিস্থিতিকে অনুকূলে এনে দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র তাঁরই রয়েছে। অসাধ্যকেও সাধন করা সম্ভব তাঁরই পক্ষে। সকল বৈরি অবস্থাকে তিনিই সহজ করে দিতে পারেন। একই সাথে কাঙ্খিত হজ কবুল ও শিরকমুক্ত হওয়ার দুআও সবসময় করতে থাকুন। আর প্রার্থনা করুন, আপনার হজকে যেন আল্লাহ পাক হজ্বে মাবরুর হিসেবে কবুল করে নেন।
গুনাহমুক্ত জীবনের স্বপ্ন দেখুন:
আলহামদুলিল্লাহ, হাদিসের ভাষ্যে আমরা জানতে পারি, হজ মানুষকে পুত-পবিত্র-গোনাহমুক্ত করে দেয়। গোনাহমুক্ত এক নতুন জীবন দান করে। পাপাচার, মন্দ কাজমুক্ত হজ মানুষকে নব্য ভূমিষ্ট শিশু সন্তানের মত নিষ্পাপ-বেগুনাহ-মাছুম বানিয়ে দেয়। তার আমলনামা হয়ে যায় কালিমামুক্ত। আলো ঝলমলে। শুভ্র। সফেদ। তাতে থাকে না কোনো গোনাহের কালো দাগ। কিন্তু প্রিয় হজে গমনেচ্ছু ভাই এবং বোন, পবিত্র হজের সফর শেষে দেশে ফিরে এসে আমাদের এই শুভ্র-সফেদ-নির্মল আমলনামাকে আবারও কি আমরা ভরে তুলবো দৈনন্দিন জীবনে ঘটে চলা পাপাচারের কলুষ-কালিমা দিয়ে? না, কক্ষনো নয়। তাই সে কারণেই সকল মন্দ অভ্যাস ও মন্দ কাজ ছেড়ে দিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় রচনায় এই হজ হোক আপনার জীবনের পরিবর্তনের মাইলফলক। জান্নাতের পথের অন্যতম নিশানা। গোনাহমুক্ত জীবন সাজাবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন আজই। আলোঝলমলে সুন্দর জীবনের জন্য নিরন্তর দুআ করতে থাকুন মহান রব্বে কারিমের দরবারে। আল্লাহুম্মা আমীন।
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
জাযাকিল্লাহু তাআ'লা। আপনার জন্য হজ করাকে আল্লাহ পাক সহজ করে দিন।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
ল বলেছেন: মাশাললাহ -------------
আল্লাহ সকলকে হজজ করার তৌফিক দিন
২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্যে আসার জন্য অসংখ্য শুকরিয়া। অভিবাদন। অভিনন্দন।
আপনার দুআ কবুল করে নিন মহান আল্লাহ।
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ যে আমাকে কবে হজ্ব করার সুযোগ দিবেন।
২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আশা করি ইনশাআল্লাহ অচিরেই এসে যাবে আপনার কাঙ্খিত সেই সুযোগ। শুধু মনটাকে বেধে নিন শক্ত করে কাবার মালিকের সাথে।
অসংখ্য ধন্যবাদ হৃদ্যতার ছোঁয়ামাখা ব্যথিত অন্তরের সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৮
অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: একটা কথা না বলে পারছিনা। আমাদের দেশে দেখা যায় কেউ হজে যাওয়ার আগে আগে তার সাথে অনেকে দেখা করতে আসেন দু'আ নিতে। এটার দরকার কি? দু'আ চাইতে মা-বাবার কাছে গেলেই তো গভীর দু'আ পাওয়া যায়। অমন গভীর দু'আ আর কেউ করে?
আর, এতো লোক কি করে জানে যে সে হজে যাচ্ছে যদি না সেই লোকের হয়ে এটা প্রচার করা হয় যে সে হজে যাচ্ছে?
হজ একটা গুরুত্বপূণ্, বাধ্যতামূলক ইবাদত। তার চিন্তা থাকার কথা যেন তার এই ইবাদত কবুলযোগ্য হয়। তা না করে সে যদি মানুষকে বলতে থাকে, "আমি হজে যাচ্ছি", আর মানুষও যদি তার সাথে দেখা করতে আসতে থাকে, তাহলে নিয়্যাতের উপর অহংকারের প্রলেপ পড়লে সেটার দায় তো তার নিজের!
আমার মনে হয় চুপি চুপি হজ করে আসাই ভাল।
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: ও, হ্যা, কাছের মানুষকে সৎ উপদেশ, আর পাওনাদারের পাওনা শোধ, সেটা অন্য ব্যাপার।
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এ ব্যাপারগুলো প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন