নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতই না সুন্দর ছিলেন তিনি!

২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮



প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! মুমিন হৃদয়ের আশা-আকাঙ্খা-শ্রদ্ধা-ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু! তাঁর প্রতিটি বিষয়ে এই উম্মতের আগ্রহ! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম যে মহামানবের জন্য প্রতিটি হৃদয়ে ভালোবাসার বহ্ণিধারা প্রজ্জ্বলিত, পৃথিবীর তাবত মানুষের পথপ্রাপ্তির জন্য তাঁর রেখে যাওয়া অনুপম আদর্শ যেমন সকলের কন্ঠমালা, তেমনি তাঁর সকল কাজের প্রতি, সকল দিকের প্রতি অদম্য আগ্রহ থাকাই তো স্বাভাবিক। আজ কোটি কোটি মানব হৃদয় জানতে চায়- কেমন ছিলেন অনুপম আদর্শের অনন্য প্রতীক রাসূলে আরাবি প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম? কেমন ছিল তাঁর বরকতময় শারীরিক অবয়ব? কেমন ছিল তাঁর আলোকময় দীপ্তিমান চেহারা মোবারক? কেমন ছিল তাঁর বরকতপূর্ণ চাহনি? কেমন ছিল তাঁর গাত্রবর্ণ? কেমন ছিল তাঁর হাটা চলা? তিনি কেমন ছিলেন?

প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কত স্বপ্নই না লুকিয়ে থাকে বিশ্বাসীদের অন্তরে! বিশ্বাসী অন্তরের ঐকান্তিক বাসনা, সকল কিছুর বদলায় হলেও প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একনজর দেখতে পেতাম যদি জীবনে! স্বপ্নে তাঁর দেখা পাওয়ার কি ব্যাকুল প্রত্যাশা! প্রত্যাশা থাকবে না কেন? বিশ্বাসী ব্যক্তি মাত্রই জানেন- 'প্রিয়তম নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (ঈমানের চোখে) একবার যিনি দেখবেন তাকে জাহান্নামের আগুণ স্পর্শ করবে না।' (তিরমিজি শরিফ)

প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পবিত্র শরীর মোবারকের আকার-আকৃতির বর্ণনায় এসেছে অনেক হাদিস। অনেক সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে এসব হাদিস। হজরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দেহ মোবারকের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, 'প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যধিক লম্বাও ছিলেন না এবং একেবারে বেঁটেও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন লোকদের মধ্যে মধ্যম আকৃতির। তাঁর মাথা মোবারকে চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না এবং সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না; বরং মধ্যম ধরনের কোঁকড়ানো ছিল। তিনি অতি স্থূলদেহী ছিলেন না এবং তাঁর চেহারা মোবারক একেবারে গোল ছিল না; বরং লম্বাটে গোল ছিল। গায়ের রং ছিল লাল-সাদা সংমিশ্রিত। চোখ মোবারকের বর্ণ ছিল কালো এবং পলক ছিল লম্বা ও চিকন। হাড়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। পুরো দেহ মোবারক ছিল পশমহীন, অবশ্য পশমের চিকন একটি রেখা বুক মোবারক থেকে নাভি মোবারক পর্যন্ত প্রলম্বিত ছিল। দুই হাত এবং দুই পা মোবারকের তালু মোবারক ছিল গোস্ত দ্বারা পরিপূর্ণ। যখন তিনি হাঁটতেন তখন পা মোবারক পূর্ণভাবে উঠিয়ে মাটিতে রাখতেন, যেন তিনি কোনো উঁচু জায়গা থেকে নিচের দিকে নামছেন। যখন তিনি কোনো দিকে তাকাতেন তখন ঘাড় মোবারক পুরোপুরি ঘুরিয়ে তাকাতেন। তাঁর উভয় কাঁধ মোবারকের মাঝখানে ছিল মোহরে নবুওয়াত বা নবী হওয়ার অলৌকিক নিদর্শন। তিনি হলেন সর্বশেষ নবী। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে অধিক দানশীল, সবচেয়ে বেশি সত্যভাষী। তিনি ছিলেন সবচেয়ে কোমল স্বভাবের এবং বংশের দিক থেকে সম্ভ্রান্ত এবং মর্যাদার অধিকারী। যে ব্যক্তি তাঁকে হঠাৎ দেখতো, সে ভয় পেত (গুরুগম্ভীরতার কারণে)। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পরিচিত হয়ে তাঁর সঙ্গে মিশতো, সে তাঁকে অনেক ভালোবেসে ফেলতো।' প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর গুণাবলী বর্ণনাকারী এ কথা বলতে বাধ্য হন যে, 'আমি তাঁর আগে ও পরে তাঁর মতো কাউকে কখনো দেখতে পাইনি।' (শামায়েলে তিরমিজি।)

হজরত হাসান বিন আলী বলেন, আমার মামা হিন্দ বিন আবু হালা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পবিত্র অবয়ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পুরো দেহ মোবারকের বর্ণনা দেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, 'প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কপাল মোবারক ছিল বেশ উন্নত। ভ্রু ছিলো সরু ও ঘন পাপড়ি বিশিষ্ট। দুই ভ্রু মোবারক আলাদা ছিল। মাঝখানে একটি রগ ছিলো। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাগ হতেন, তখন তা ভেসে উঠতো। নাক মোবারক খাড়া ছিলো। ভালোভাবে না দেখলে মনে হত তিনি প্রকান্ড নাক বিশিষ্ট। নাক থেকে এক ধরণের নূর চমকাতো।' (শামায়েলে তিরমিজি।)

প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পেট মোবারক সম্পর্কে হিন্দ বিন আবু হালা বলেন, 'আল বাতনে ওয়াসসাদরি আরিদুন', অর্থাত, 'পেট ও বুক সমান ছিলো।' (শামায়েলে তিরমিজি)

প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আকৃতি সম্পর্কে হজরত জাবের ইবনে সামুরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, 'একবার আমি চাঁদনি রাতে প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখলাম। অতঃপর একবার রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দিকে তাকালাম আর একবার চাঁদের দিকে তাকালাম। তখন তিনি লাল বর্ণের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে আমার কাছে চাঁদের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর মনে হলো।' (তিরমিজি ও দারেমি)

হজরত কা’ব ইবনে মালেক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, 'রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো ব্যাপারে আনন্দিত হতেন তখন তাঁর চেহারা মোবারক উজ্জ্বল হয়ে উঠতো। মনে হতো যেন তাঁর মুখমন্ডল চাঁদের টুকরা। (বুখারি ও মুসলিম)

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, 'রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সম্মুখের দাঁত দু'টির মাঝে কিছুটা ফাঁকা ছিল। যখন তিনি কথাবার্তা বলতেন, তখন মনে হতো উক্ত দাঁত দু'টির মধ্য দিয়ে যেন নূর বিচ্ছুরিত হচ্ছে।' (দারেমি)

হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, 'রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর চেয়ে বেশি সুন্দর কাউকে আমি কখনো দেখিনি। মনে হতো যেন সূর্য তাঁর মুখমন্ডলে ভাসছে। আর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা চলার মধ্যে দ্রুত গতিসম্পন্ন কাউকে দেখিনি। তাঁর চলার সময় মনে হতো মাটি যেন তাঁর জন্য সংকুচিত হয়ে এসেছে। আমরা তাঁর সঙ্গে সঙ্গে চলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলতাম। অথচ তিনি স্বাভাবিক নিয়মে চলতেন।' (তিরমিজি)

আমরা রাসূলে আরাবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর হায়াতে ত্বইয়্যিবায় পাইনি। তাঁর পবিত্র জীবনে, তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর দর্শনলাভ আমাদের কিসমতে হয়নি। কারণ, আরবের মরু বিয়াবানে। পবিত্র মক্কা নগরীর উষর ধূষর প্রান্তরে। তিনি এসেছিলেন আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে। আমাদের সময়কালের বহু পূর্বে। তাকে পাইনি কিন্তু তিনি আছেন হৃদয়ের গভীরে। জীবনের প্রতিটি দিন কাটে তাঁরই স্মরণে। তাকে ভালোবেসে। শ্রদ্ধায়-হৃদ্যতায়-প্রাণময়তায়-প্রাণপ্রাচুর্য্যতায়। তাকে দেখতে পাগলপাড়া অন্তর। একনজর তাকে না দেখে অস্থির বেকারার আশিক হৃদয়। স্বপ্নে হলেও তাকে দেখে হৃদয়ের তৃপ্তি-পরিতৃপ্তি। তাই মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার দরবারে বিনীত ফরিয়াদ, তিনি যেন আমাদের সবাইকে দিদারে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপ্নে হলেও নসিব করেন। তাঁর মসজিদ, মসজিদে নববির পানে বারবার যাওয়ার তাওফিক দান করেন। মদিনার সাথে গড়ে দেন অমর প্রেমের বিমলিন জজবা। মজবুত করে দেন মদিনাওয়ালার সাথে হৃদয়ের-আত্মার-প্রাণের সম্পর্ককে। যিয়ারাতে বাইতুল্লাহকে অামাদের জন্য সহজ করে দেন। বারবার আমাদের কিসমতে দান করেন হারামাইন শরীফাইন যিয়ারাতের সুবর্ণ সুযোগ। আমিন।



ছবি: অন্তর্জাল।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: দুনিয়াতে সবচেয়ে শান্তিময় স্থান।
আলহামদুল্লিয়াহ, এখানে সিজদা করার সৌভাগ্য হয়েছে।
দুনিয়াতে সবচেয়ে শান্তিময় স্থান।
আলহামদুল্লিয়াহ, এখানে সিজদা করার সৌভাগ্য হয়েছে।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দুনিয়াতে সবচেয়ে শান্তিময় স্থান।

রিয়াজুল জান্নাহ। জ্বি ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

আলহামদুল্লিয়াহ, এখানে সিজদা করার সৌভাগ্য হয়েছে।

জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ। গিয়েছিলাম। প্রশান্তির আধার যেন। আপনিও অনেক ভাগ্যবান। আল্লাহ পাক এই স্থানে বারংবার যাওয়ার তাওফিক দান করুন আমাদের।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা ভাগ্যবান যে আমরা শেষ নবীর উম্মত।

আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীকে পেতে হবে।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



আমরা ভাগ্যবান যে আমরা শেষ নবীর উম্মত।

আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীকে পেতে হবে।


জ্বি, মূল্যবান কথা বলেছেন। অন্যান্য নবীগনও আমাদের প্রিয় নবীজীর উম্মত হওয়ার প্রত্যাশা রাখতেন। আর আল্লাহ তাআ'লাকে পেতে হলে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুসরণ করতে হবে, তা তো কুরআন মাজিদেই বর্ণিত হয়েছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মহানবী (সাঃঃ) এর সৌন্দ্ররয স্মপর্কে জানলাম আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আমাদের অনেক ভাই-বোনই শিক্ষিত অথচ প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুপম জীবনেতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাদের জন্য এই পোস্ট হয়তো উপকারী হবে। আপনি নিশ্চয়ই জেনে থাকার কথা। কারণ, আলহামদুলিল্লাহ, আপনি অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি।

শুভকামনা।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

নজসু বলেছেন:





আস সালামু আলাইকুম।
সুন্দর পোষ্টটির অশেষ ধন্যবাদ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ।

আপনার আগমন এবং আন্তরিক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা সবসময়।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

محمد الحسن বলেছেন: ছুম্মা আমিন

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মনের নেক দুআ আল্লাহ পাক কবুল করুন।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যে পাপের সাগরের ডুবে আছি জানিনা তারমত পবিত্র মানুষকে কখনও স্বপ্নে দেখতে পাবো কিনা।
আল্লাহুম্মাগ ফিরলি ,ওয়ার হা'মনি। আল্লাহ্‌ আমাদের সেই সৌভাগ্য লাভ করার তৌফিক দান করুন।
আমীন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জন্য যিয়ারাতে সাইয়্যিদিল আমবিয়া ওয়াল মুরছালীনকে আল্লাহ পাক সহজ করে দিন।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূলে পাক (সা.) এর উপর স্বয়ং আল্লাহপাক দুরূদ পাঠ করেন। দুরূদ শরীফ একটি মকবুল ইবাদত। রাসূল (সা.) এর উপর সালাত ও সালাম পাঠ করার নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- ‘ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান্নাবিয়্যি। ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা’ অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেস্তারা নবীর উপর দুরূদ পড়েন। হে ঈমানদারগণ তোমরাও তাঁর উপর দুরূদ পড় এবং যথাযথ সম্মানের সাথে তাঁকে সালাম জানাও (সূরা : আহযাব, আয়াত : ৫৬)। . . .

ইয়া নাবি সালাম আলাইকা
ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা
ইয়া হাবিব সালাম আলাইকা
সালাওয়া তুল্লা আলাইকা ।

বালাগাল উলা বেকামালিহি
কাশাফাদ্দোজা বেজামালিহি
হাসুনাত জামিও খেসালিহি
সাল্লু আলাইহিওযা আলিহি....

++++++++

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় কবিকে।

দরূদের ফজিলত বিশাল আলোচনার বিষয়। এককথায় এটুকু বলা চলে, দরূদে জীবন আলোকিত হয়। দুনিয়া অাখিরাতের সফলতা অর্জিত হয়।

আল্লাহ পাক আমাদের অধিকহারে দরূদ পাঠ করার তাওফিক দান করুন।

কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা সবসময়।

৮| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ইয়া নাবি সালাম আলাইকা
ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা
ইয়া হাবিব সালাম আলাইকা
সালাওয়া তুল্লা আলাইকা ।

বালাগাল উলা বেকামালিহি
কাশাফাদ্দোজা বেজামালিহি
হাসুনাত জামিও খেসালিহি
সাল্লু আলাইহিওযা আলিহি....


এটা কোন দূরুদ নয়।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রথম অংশটিকে আমাদরে দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রদানের লক্ষ্যে মুহাব্বতের সাথে পাঠ করে থাকেন। অার শেষেরটুকু বিখ্যাত রাসূল প্রেমিক শাইখ সা'দী রহ. কর্তৃক রচিত জগতখ্যাত না'তে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

তবে দরূদ হিসেবে হাদিসে বর্ণিত দরূদ ও সালামের শব্দাবলী ব্যবহার করা বিধেয় এবং উত্তম।

মোবারকবাদ। কৃত্জ্ঞতা অশেষ।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাহমুদুর রহমান ভায়া

একটু লক্ষ্য করুন - দরুদ এর বিষয়ে
দুরূদ বা দুরূদ শরীফ (ফার্সি: درود‎‎) হল একটি সম্ভাষণ যা মুসলমানরা নির্দিষ্ট বাক্যাংশ পড়ে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মাদ (সা:)-এর শান্তির প্রার্থণা উদ্দেশ্যে পাঠ করা হয়ে থাকে। এটি একটি ফার্সি শব্দ যা মুসলমানদের মুখে বহুল ব্যবহারের কারণে ১৭শ শতাব্দীতে বাংলা ভাষায় অঙ্গীভূত হয়ে যায়।বৃহত্তর অর্থে মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি এবং সহচরদের প্রতি আল্লাহ্‌র দয়া ও শান্তি বর্ষণের জন্য প্রার্থনা করাই দুরূদ। দুরূদকে প্রায়ই সম্মানসূচকভাবে ইসলামী পরিভাষায় "দুরূদ শরীফ"ও বলা হয়ে থাকে।

মুহাম্মদ (সা:)-এর নাম উচ্চারণের সময় সর্বদা "সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" (অর্থ: আল্লাহ'র শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর উপর) বলা হয়, যা একটি দুরূদ। একটি দুরূদের অর্থ এরকম: "হে আল্লাহ, মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি আপনি দয়া পরবশ হোন। তাঁর আলোচনা ও নামকে আপনি এই পৃথিবীর সকল আলোচনা ও নামের মাঝে সর্বোচ্চ স্থানে রাখুন।"

আশা করি দ্ধিধা কেটে গেছে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়ে যাওয়ায় আবারও ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। সরাসরি প্রিয়তে..... :)

যিন রাসুল সাঃ কে মানলেন তিনি যেন আল্লাহ তায়ালাকে মানলেন আর যিনি আল্লাহ তায়ালাকে মানলেন তিনি বেহেশতে প্রবেশ করবেন....

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা, প্রিয় কবি।

আল্লাহ পাক আমাদের প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রেখে যাওয়া আদর্শ মেনে জীবনযাপন করার তাওফিক দান করুন।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.