নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
আদর্শ স্ত্রীর একুশ গুণাবলী:
বিশ্বজাহানের স্রষ্টা মহান রাব্বুল আলামীন হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার পর তার নিঃসঙ্গতা দূর করা এবং মানব সৃষ্টির ক্রমধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আদি মাতা হযরত হাওয়া আলাইহাস সালামকে সৃষ্টি করেন। মানব জাতি সৃষ্টির এই সূচনার দিকে তাকালেই বুঝা যায়, পুরুষ ও নারী একে অপরের পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার ইরশাদ-
‘তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ।’ (সুরা আল বাক্বারাহ, আয়াত-১৮৭)
নারী-পুরুষকে সৃষ্টি করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদের ভেতরে পারষ্পারিক সম্প্রীতি ও ভালবাসা দান করেছেন। একের প্রতি অপরের আকর্ষন ও মুহাব্বত তৈরি করার মাধ্যমে পরষ্পরকে পরষ্পরের নিকট গ্রহনীয় ও কাঙ্খিত করে দিয়েছেন। একজনকে অন্যজনের উপরে নির্ভরশীল করে দিয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সীমাহীন মহব্বত সৃষ্টি করে পারষ্পারিক প্রশান্তির নিদর্শনের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আল্লাহ পাকের বাণীর মাধ্যমেও এই সত্য আমরা অনুধাবন করতে পারি। আল্লাহ তাআ'লা বলেন-
‘আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীনীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারষ্পারিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।’ (সুরা আর রূম, আয়াত - ২১)
আর ঐসব স্ত্রীদের কাছেই প্রশান্তি যারা সতী-সাধ্বী এবং আদর্শবান। হাদীস শরীফের ভাষায়, ‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স রাদিআল্লাহু তাআ'লা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সমগ্র পৃথিবী মানুষের ভোগ্য বস্তু, এর এর মধ্যে সর্বোত্তম হলো পূণ্যবতী স্ত্রী।’ (নাসায়ী, হাদিস নং - ৩২৩২)
একজন আদর্শ স্ত্রীর যেসকল গুণাবলী তাকে সুশোভিত করে তোলে, সমাজ-সংসারকে আলোকিত করে রাখে তার কতিপয় আলোকপাত করছি-
এক. প্রকাশ্য বা গোপনে সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ তাআ'লা এবং তদীয় রাসুল রাহমাতুল্লিল আলামীন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ ও অনুকরণ করবেন। তাদের বিরুদ্ধাচরন কখনই করবেন না।
দুই. একজন আদর্শ স্ত্রী নিজেকে স্বামীর অবর্তমানে সর্বাবস্থায় সংরক্ষণ ও সংবরণ করবেন। হাদীস শরীফের ভাষ্যমতে, ‘হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ সম্পর্কে অবহিত করবো না? তা হলো, নেককার স্ত্রী। সে (স্বামী) তার (স্ত্রীর) দিকে তাকালে সে তাকে আনন্দ দেয় এবং তাকে কোনো নির্দেশ দিলে সে তা মেনে নেয় এবং সে যখন তার থেকে অনুপস্থিত থাকে, তখন সে নিজের সতীত্ব ও স্বামীর সম্পদের হেফাজত করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং - ১৬৬৪)
তিন. তিনি স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে বাড়ীর বাইরে বের হবেন না। তার আদেশ-নিষেধ এবং নির্দেশনা মেনে চলবেন। তার প্রতি সর্বদা সম্মান ও ভালবাসা প্রদর্শন করবেন। কেননা, স্বামী তার কাছে সর্বদা সম্মানের পাত্র। হাদীস শরীফে এসেছে, ‘হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি যদি কাউকে অন্য লোকের প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম।’ (তিরমিজি, হাদিস নং - ১১৫৯, ইবনে মাজাহ, হাদিস নং - ১৮৫৩)
চার. একজন স্বামী সর্বাবস্থায় তার স্ত্রীকে মুচকি হাসিতে দেখতে পছন্দ করেন। সেজন্য স্ত্রীর উচিৎ হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় থাকা। গোমরা মুখ না করে মুচকি হেসে স্বামীকে বরণ করে নেয়ার মাধ্যমে আদর্শ স্ত্রীর অনন্য সুন্দর চারিত্রিক সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। মহান আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পাশাপাশি তিনি নিজের স্বামীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীনী হবেন।
পাঁচ. স্ত্রী উত্তম চরিত্রের অধিকারীনী হবেন। স্বামীর সাথে কখনো ঝগড়া-বিবাদ করবেন না। ঘটনাচক্রে কোনো বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেলেও পারষ্পারিক কথা কাটাকাটির সময়ও কখনো স্বামীর আওয়াজের চেয়ে উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা আদর্শ স্ত্রীর বিশেষ গুণ।
ছয়. স্বামী দরিদ্র হলেও তাঁর দারিদ্র্যতার উপর ধৈর্য্য ধারণ করা এবং সম্পদশালী হলে তার সম্পদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা নেককার স্ত্রীর অন্যতম গুণ।
সাত. সর্বদা স্বামীর কল্যাণে সচেষ্ট থাকা নেককার স্ত্রীর বিশেষ গুণ। স্বামীর কল্যাণকে পছন্দ করা এবং স্বামীর কল্যাণকে প্রকাশের প্রচেষ্টা করা।
আট. সত্য কথা বলার মাধ্যমে নিজেকে সুশোভিত করা এবং সর্বপর্যায়ে মিথ্যা বলা বা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হতে বিরত থাকা আদর্শ রমণীর সর্বোত্তম গুণ।
নয়. অন্যকে তিরষ্কার এবং ঠাট্রা-বিদ্রুপ থেকে সর্বদা বিরত থাকা। আদর্শ স্ত্রী হবেন নম্র, ভদ্র। অহংকার, গর্ব ও অহমিকা হতে সবসময় নিজেকে দূরে রাখবেন।
দশ. আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাঅা'লা কর্তৃক নির্ধারিত ফরজসমূহ পূর্ণাঙ্গরূপে আদায় করবেন। আদর্শ স্ত্রীর জেনে রাখা উচিৎ যে, তার স্বামী তার সর্দার বা নেতা, যিনি তাকে পরিচালনা করবেন। আদর্শ স্ত্রীর আরো জেনে রাখা উচিৎ যে, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার ও কর্তব্য প্রচুর এবং মহৎ কিন্তু এটাও জানা উচিৎ তার চেয়ে বেশি অধিকার ও কর্তব্য স্ত্রীর স্বামীর এবং সেগুলো সুমহান।
এগারো. তিনি কখনো নিজের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আহ্বান করলে সাথে সাথে সাড়া দেয়া একজন আদর্শ রমণীর উত্তম গুণাবলীর অন্যতম। এ সম্পর্কে নির্দেশনা হলো যে, ‘হযরত ত্বলক ইবনে আলী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোন লোক তার স্ত্রীকে নিজ প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে ডাকলে সে যেন সাথে সাথে তার নিকট আসে, এমনকি সে চুলার উপর রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও।’ (তিরমিজি, হাদিস নং - ১১৬০, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং - ১২০২)
অন্যথায় এ ব্যাপারে সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে। অন্য হাদীসে এসেছে, ‘হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কসম সেই সত্ত্বার যাঁর হাতে আমার প্রাণ! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যখন বিছানায় আহ্বান করে, কিন্তু সে তা অস্বীকার করে, নিঃসন্দেহে যে পর্যন্ত সে তার স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট না হয়, ততক্ষণ আসমানবাসী তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।’ (মুসলিম, হাদিস নং - ৩৪৩২)
তাই আদর্শ স্ত্রীগণ এ ব্যাপারে যত্নবান থাকবেন।
বারো. একই ভুল বারংবার না করা, ভুল করে ফেললে শুধরে নেয়া এবং সে ভুল যাতে পুনরায় সংঘটিত না হয় সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকা একজন উত্তম স্ত্রীর অন্যতম গুণাবলীর একটি।
তেরো. তিনি হবেন আল্লাহ পাকের যিকিরকারীণী। সর্বদা তার জিহ্বা আল্লাহ তাআ'লার যিকিরে মশগুল রাখবেন।
চৌদ্দ. পূণ্যবতী স্ত্রী হবেন পুতঃপবিত্র, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। পোষাক-পরিচ্ছদ এবং শারিরীকভাবে তার পরিচ্ছন্ন মানসিকতার প্রকাশ ঘটবে। আল্লাহ তাআ'লার বাণী,
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁেচ থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন’ - (সুরা আল বাক্বারাহ, আয়াত - ২২২)
পনেরো. আদর্শ স্ত্রীগণ স্বামীর সকল আদেশের আনুগত্যশীল হবেন। তবে যদি কোন পাপ কাজের অথবা আল্লাহ তাআ'লা ও তাঁর রাসুল পাকের বিরূদ্ধাচরণমূলক কোনো কাজের নির্দেশ দেয় তাহলে তা অগ্রহণযোগ্য। তা মানা যাবে না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘কোন সৃষ্টির অনুগত হতে গিয়ে আল্লাহ তাআ'লার অবাধ্য কোন কাজ করা যাবে না’।
ষোল. সতী-সাধ্বী স্ত্রীর অন্যতম গুণ হচ্ছে সে স্বামীকে কোনো কিছু দান করলে বা স্বামীর কোনো খেদমত করে থাকলে তার জন্য তাকে খোঁটা দেয় না।
সতেরো. পূণ্যবতী স্ত্রী স্বামীর প্রতি সদা সর্বদা লক্ষ্য রেখে চলবেন। এমনকি স্বামীর অনুমতি ছাড়া নফল রোজাও তিনি আদায় করবেন না।
আঠারো. মুহরিম ছাড়া অন্য কাউকে স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার বাড়ীতে বা রূমে প্রবেশ করতে না দেয়া আদর্শ স্ত্রীগণের বিশেষ গুণ।
উনিশ. একজন আদর্শ স্ত্রী হবেন লজ্জাশীল। স্বামীকে কখনও কোনভাবে কষ্ট দিবেন না। স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে তার সম্পদের কোনকিছু কোথাও ব্যয় করবেন না। তবে, আল্লাহর পথে দান করলে উভয়েই সাওয়াবের অধিকারী হবেন। হাদীস শরীফের ভাষ্যমতে, ‘হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোন স্ত্রী যদি তার ঘর হতে বিপর্যয় সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছাড়া খাদ্যদ্রব্য সাদকা করে তবে এ জন্যে সে সাওয়াব লাভ করবে। আর উপার্জন করার কারণে স্বামীও সাওয়াব পাবে এবং খাজাঞ্চীও অনুরূপ সাওয়াব পাবে। তাদের একজনের কারণে অন্যজনের কোনো কমতি হবে না’ (বোখারী, হাদিস নং - ১৪২৫)
বিশ. আদর্শ স্ত্রীর গুণের অন্যতম একটি হলো স্বামীর পাশে অন্য কোন অপরিচিত গায়রে মুহরিম লোকের প্রশংসা করবেন না, তবে ঐ ব্যক্তির ধর্মীয় ভাল বিষয়গুলোর প্রশংসা করতে পারবেন। এর ফলে স্বামীর ভেতরেও ধর্মীয় সেসব কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে।
একুশ. সর্বোপরি, আদর্শ স্ত্রীগণ স্বামীকে সন্তুষ্ট ও খুশি রাখবেন। আর এর মাধ্যমেই জান্নাতলাভের পথ সুগম করবেন। হাদীস শরীফের ভাষায়, ‘হযরত উম্মে সালমাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, স্ত্রীর প্রতি তার স্বামী সন্তুষ্ট ও খুশি থাকা অবস্থায় কোন স্ত্রীলোক মারা গেলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি, রিয়াদুস সালেহীন, হাদিস নং - ২৯২)
কৈফিয়ত: এই লেখায় শুধুমাত্র আদর্শ নারীর কিছু গুণাবলী তুলে ধরা হয়েছে। আদর্শ পুরুষেরও কিন্তু এরকম কিছু গুণাবলী রয়েছে। এই লেখাটি পড়েই দয়া করে কেউ বিরুপ ধারণা নিবেন না। একতরফা নারীদের জন্যই ইসলাম ধর্মের যত আদর্শ- এমনটা মনে করার কোনো সুযোগ নেই। বরং নারী-পুরুষ উভয়েরই জন্য রয়েছে অনুকরণীয় আদর্শ। আমরা অনেকেই স্ত্রীর থেকে সর্বোত্তম আচরণ আশা করি, পক্ষান্তরে আমরা তাদের সাথে আচার-আচরণে তাদেরকে বাদি-চাকরানী জ্ঞান করতেও ভুলে যাই। এটা নিছক তামাশা এবং প্রতারণা। হাদিসে ঐ পুরুষকে উত্তম বলা হয়েছে যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। অর্থাত, হাদিসে স্ত্রীকে দেয়া হয়েছে তার স্বামীর চারিত্রিক ভালো-মন্দ গুণাবলী যাচাই করার অধিকার। এ থেকেই বুঝা যায়, একজন নারীকে, একজন স্ত্রীকে কতটুকু মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে তার স্বামীর তুলনায়।
যাক, আশা করি, 'আদর্শ পুরুষ' নিয়েও অচিরেই এরকম আকেটি লেখা নিয়ে আসতে পারবো।
ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন:
যারা বিরূপ ধারনা নেয়ার তারা নিবেই আর তাই বলে নিজেকে অতটা ছোট করার প্রয়োজন নেই।
মহান আল্লাহ্ তার বান্দাদের সাথেই থাকেন।
মহান আল্লাহ্ বলেন,
এসেছে সত্য,চলে গিয়েছে মিথ্যে,নিশ্চয়ই মিথ্যে চিরকাল মিথ্যে।