নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
মেদ কমাতে সাহায্য করে যে খাবারগুলো
নানাবিধ কারণে অতিরিক্ত মেদ অনেকের জন্যই কমন একটি সমস্যা। উঠতে বসতে সমস্যা, কাজ কর্মে কষ্ট, চলতে ফিরতে অসুবিধাসহ বহুমুখী সমস্যায় বহু লোকের জীবন ওষ্ঠাগত এই অতিরিক্ত মেদ এর ফলে। সংবাদপত্রের পাতা খুললে বা টিভি অন করলে বা কম্পিউটার খুললে আমরা খাদ্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে হরেক রকম ধাঁধালাগা তথ্য পাই। এগুলো দেখে বা পড়ে প্রভাবিত না হয়ে দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য গ্রহনের ক্ষেত্রে সঠিক বস্তুনিষ্ঠ তথ্য অনুসরণ করা উচিত। কারণ, মানুষ মাত্রই সৌন্দর্যের পূজারী। সুন্দর ছিমছাম শরীর সবারই কাম্য। পুরুষের যেমন মেদহীন পেশিবহুল ধারালো শরীর দরকার, তেমনি রমণীদের রমণীয়-কমনীয় ভাঁজে ভাঁজে বাঁক খাওয়া তীক্ষ্ণ শরীর প্রত্যাশিত। কিন্তু এইসব প্রয়োজন আর প্রত্যাশা পূরণের পেছনে ছুটতে ছুটতে কখন যে শরীরে বাসা বেধে বসে অতিরিক্ত মেদ, তার খবর আর অনেকেই রাখি না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়ে যায়। শরীরে জমে যায় মাত্রাতিরিক্ত মেদ। আর মেদবহুল এই শরীরকে কন্ট্রোলে আনতে তখন হিমশিম খেতে হয় অনেককেই। কী কী খাদ্য খাওয়া যাবে না, এ কথাগুলো শুনতে শুনতে আমরা মোটামুটি অনেকটাই ক্লান্ত। কিন্তু যেসব খাদ্য-খাবার মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে সেগুলোর আলোচনা কি ততটা হয়? আসলে এগুলোর বিষয়ে কথা কমই হয়ে থাকে। আজ চলুন, দেখে নেয়া যাক, কোন কোন খাদ্য মেদ কমাতে সাহায্য করে-
এক. কাঠবাদাম:
কাঠবাদামে আছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার আর ভালো কোলেস্টেরল। প্রতিদিন এক মুঠো কাঠবাদাম খান, পেট ভরা থাকবে। এতে থাকা ভিটামিন আর মিনারেল ত্বক ভালো রাখবে। আসলে কাঠ বাদামের উপকারিতা সীমাহীন। কাঠবাদামের আঁশ ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এবং ফাইটো-ক্যামিক্যালসে ভরপুর। বিভিন্ন রোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি একটি আদর্শ খাদ্য। প্রাচীনকালে কাঠবাদামকে প্রাচুর্য্য এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতীক বলে মনে করা হতো। এই বাদাম শক্তি ও পুষ্টির যথাযথ উৎস। এরা প্রধানত: মনো-আন্স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যেমন অলিইক এসিড এবং পালমিটোলিইক এসিডের এসিডের আদর্শ উৎস,যা শরীরের এলডিএল বা বদ কোলেষ্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি এইচডিএল বা ভালো কোলেষ্টেরলকে বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রকাশিত, মনো-আনস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে স্বাস্থ্যকর লিপিড প্রোফাইল তোইরী করে করোনারী আর্টারী ডিজিজ এবং ষ্ট্রোক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
খাদ্যনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে যারা ওজন কমাতে চান, কাঠবাদাম তাদের জন্য আদর্শ। রাতের কার্বোহাইডেট (শ্বেতসার) জাতীয় খাবার গহন কমিয়ে একমুঠো কাঠবাদাম বা কাঠাবাদাম-আখ্রোট মিশ্রন ওজন কমাতে এবং কোলেষ্টেরল কমাতে দারুন সাহায্য করবে। সকালে এবং রাতে কাঠবাদাম খাদ্য হিসাবে গ্রহন স্থুলত্ব কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের নির্যাসিত তেল ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং জলীয় ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম কিংবা কাঠবাদাম সমৃদ্ধ খাদ্য আপনাকে অনেক রোগ এবং ঔষধ থেকে দূরে রাখতে পারে এবং দৈনিক চাহিদার প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রোটিনের জোগান দিতে পারে। কাঠবাদাম এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষন করতে হবে। কাঠবাদাম বা আলমন্ড কাঁচা, ভাজা বা লবন দিয়েও খেতে পারেন। চীনা বাদামের মতো, আলমন্ডেও অনেকের এলার্জী থাকতে পারে, বাদামে এলার্জী থাকলে না খাওয়াই উত্তম। সম্প্রতি ইতালির একদল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, দৈনিক মাত্র ৭টি কাঠবাদাম খেলে পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণগতমান উভয়ই বাড়বে। তুরিনের এক হাসপাতালে ১০০ জনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে প্রমাণিত হয় দৈনিক মাত্র ৭টি কাঠবাদামে বা যে কোনো বাদাম পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে বাড়বে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে দুটি দলে ভাগ করা হয়। এরপর একদলের দৈনিক খাদ্য তালিকায় ৭টি বাদাম যুক্ত করা হয় এবং অন্যদলকে বেশি করে সামুদ্রিক মাছ এবং শস্যজাতীয় খাদ্য দেয়া হয়।
দ্বিতীয় দলের খাদ্য তালিকা থেকে প্রক্রিয়াকরণ মাংস ও অন্য খাদ্য বাদ দেয়া হয়। তবে প্রথম দলের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকা চালু থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায়, দ্বিতীয় দলের তুলনায় প্রথম দলের প্রজনন ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়েছে।
কাঠ বাদামের ৯ টি গুন:
কাঠবাদাম আমাদের কাছে অতি পরিচিত। স্বাদের তুলনায় পুষ্টিগুণেই বেশি সমৃদ্ধ কাঠবাদাম। এই বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ই, ডি এবং উপকারী ফ্যাট। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে – এনার্জি ৫৭৮ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ২০ গ্রাম, আঁশ ১২ গ্রাম, ফ্যাট ৫১ গ্রাম, প্রোটিন ২২ গ্রাম, থায়ামিন ০.২৪ মিলিগ্রাম, রাইবোফ্লেভিন ০.৮ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ৪ মিলিগ্রাম, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ২৬.২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৪৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৭৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪৭৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৭২৮ মিলিগ্রাম। এছাড়াও কাঠবাদামে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড অয়েল, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে স্বাস্থ্যের যে উপকার পাওয়া যায়, তা হচ্ছে-
১. কাঠবাদামের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন ও পটাশিয়াম হার্ট ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. কাঠবাদামের ভিটামিন ই হার্টের নানারকম রোগ হবার আশঙ্কা দূরে রাখে। কাঠবাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩. কাঠবাদামে রয়েছে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘ফ্ল্যাভোনয়েড’, যা বিভিন্ন ধরনের অসুখ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। কাঠবাদাম কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
৪. কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উন্নত করতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়।
৫. কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৬. মোনোপেজের পর নারীদের নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা মোনোপেজকালীন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৭. কাঁচা কাঠবাদাম প্রোটিন এবং ফাইবারের উৎস যা ক্ষুধা কমায়। এতে করে ওজন কমতে সাহায্য করে।
৮. চুল পড়া, চুলের রুক্ষতা এবং মাথার ত্বকের সুস্থতায় কাঠবাদামের তেলের জুড়ি নেই। কাঠবাদামের ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়াম চুল পড়া রোধ করে এবং মাথার ত্বক উন্নত করে। চুলে সরাসরি এই তেল লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৯. কাঠবাদামের গুঁড়ো খুব ভালো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। কাঠবাদাম বেটে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও কোমল।
স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নে কাঠ বাদাম:
কাঠ বাদামের উপকারিতা সীমাহীন। এটা কে ঠিক বাদাম বলা যাবে না, এটা এক ধরনের খাদ্য বীজ। ভালো মানের কাঠবাদাম পাওয়া যায় উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়াতে। কাঠ বাদাম ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর। তাছাড়া কাঠ বাদামে আছে ডায়েট ফাইবার যেটা হার্ট কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঠ বাদাম শরীরের কলেস্ট্রল কমায়, ক্যানসার রোধ করে, শক্তি সঞ্চার করে, ত্বক কে উজ্জ্বল রাখে। আজকে জেনে নিই ত্বক, চুল এবং স্বাস্থের জন্য কাঠ বাদামের উপকারিতা -
ত্বকের যত্নে কাঠবাদামঃ
১। কাঠবাদামে আছে ভারী ময়েশ্চারাইজার। ভারী হলেও এটি মুখের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক এ যারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারে না, তাদের জন্য অনেক উপকারী।
২। কাঠবাদামে আছে ভিটামিন ই। তাই এটি ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। ত্বকে এ নিয়মমিত তেল দ্বারা মাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বারে, তাতে করে ত্বক সুস্থ থাকে।
৩। কাঠ বাদামে আছে ভিটামিন ডি। ছোট শিশুদের এই তেল দিয়ে পুরা দেহ মাসাজ করলে, হাড় মজবুত হয়।
৪। কাঠ বাদামে ভিটামিন ই আছে। ভিটামিন ই ত্বকের জন্য অতান্ত কার্যকারী। এটি ত্বক কে সূর্যের হাত থেকে বাঁচায় এবং ত্বক কে ড্যামেজ এর হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের ত্বকে সান বার্ন আছে, তারা এটি থেকে পরিত্রাণ পেতে কাঠ বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৫। কাঠ বাদাম তেল খুব তাড়াতাড়ি শরীর শুষে নেয়। তাই যেকোনো সিজনে কাঠবাদাম তেল শরীরে লোশনের পরিবর্তে দেওয়া যাবে।
৬। কাঠ বাদাম তেল হল প্রাকৃতিক ময়েশচারাইজার। এতে কোন কেমিক্যাল অথবা প্রিজেরভেটিভ নেই। তাই এই তেল কে সিরাম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখ পরিষ্কার করে চোখ সহ ,পুরা মুখ ঘড়ির কাটার উলটো দিকে মাসাজ করুন। ফলাফল সরূপ নমনীয় এবং তুলতুলে ত্বক পাবেন। তাছাড়া এটি মুখের লোমগ্রন্থি বন্ধ করে না। তাই ব্রণ হবারও ভয় থাকে না।
৭। কাঠ বাদাম তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এটি স্কিন এর যেকোনো চর্ম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৮। কাঠ বাদাম তেল চোখের নীচে কালো দাগ দূর করে। তাছাড়া কাঠ বাদাম বেটে, ওই পেস্ট রাতে ঘুমানোর সময় চোখে দিয়ে ঘুমালে, চোখের নীচের কালো দাগ চলে যায়। চোখের বলিরেখা, চোখ ফুলা ভাবও কমে যায়। কাঠ বাদাম চোখের নীচের দাগ দূর করতে যেকোনো ভালো আই ক্রিম এর থেকে ভালো।
৯। কাঠ বাদাম ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদামের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করলে , ত্বকের বলি রেখা কমবে। তাছাড়া মধু, লেবু, কাঠ বাদাম তেল মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময় এবং মুখের বয়সের ছাপ কমে যাবে।
১০। কাঠ বাদাম স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করে। কাঠ বাদাম দানা দানা রেখে গুড়ি করে, তার সাথে মধু, এবং টক দই দিয়ে মুখ আলতো আলতো করে মাসাজ করলে, স্ক্রাব এর কাজ হয়ে যাবে।
১১। ভারী মেকাপ তুলতে কাঠ বাদাম তেল সামান্য একটু নিয়ে পুরা মেকাপ পরিষ্কার করা যাবে।
স্বাস্থ্যের যত্নে কাঠ বাদাম তেলঃ
প্রতিদিন ১০ গ্রাম কাঠ বাদাম খেলে, আমরা অনেক অসুখ থেকেই নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি।
১। কাঠ বাদামে আছে মনসেচুরেটেড ফ্যাট। এটি শরীরে কলেস্ট্রল এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেলে শরীরে HDL কলেস্ট্রল অথবা ভালো কলেস্ট্রল বাড়াতে সাহায্য করে। একটি রিসার্চ এ দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ১ টি করে কাঠবাদাম খেয়েছে তাদের কলেস্ট্রল ৪.৪% কমেছে এবং যারা প্রতিদিন দুটি করে খেয়েছে তাদের কমেছে ৯.৪% ।
২। কাঠ বাদামে এমন ফাইবার আছে যেটি কলন ক্যানসার রোধে সহায়ক। তাছাড়া কাঠ বাদামে ভিটামিন ই, Phytochemicals এবং flavonoi আছে যেটি ব্রেস্ট ক্যানসার রোধে সহায়তা করে।
৩। কাঠ বাদাম শরীরে ব্লাড সুগার এর ব্যালেন্স রাখে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
৪। কাঠ বাদাম তেল শরীরের শক্তি সঞ্চালন করে। এতে আছে রিবফ্লাবিন, ফসফরাস, কপার, যেটা শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৫। কাঠ বাদামে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি। এটি শরীরে হাড় এবং দাঁত মসবুত করে। তাছাড়া যাদের হাড় ক্ষয়, আরথাইটিস রোগ আছে, তাদের জন্য কাঠবাদাম তেলের মালিশ অনেক ভালো।
৬। এছাড়াও কাঠ বাদাম এনিমিয়া, জন্ম গত ত্রুটি, মস্তিষ্ক এর শক্তি বাড়াতে সহায়ক।
দেশি কাঠবাদাম গাছ
চুলের যত্নে কাঠ বাদামঃ
১। কাঠ বাদামে রয়েছে চুল বান্ধব মনো ফ্যাটি অ্যাসিড, তার সাথে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১, বি২ এবং বি৬। এরা চুল কে পুষ্টি দেয়, চুল কে শক্ত করে। ফ্যাটি অ্যাসিড চুল কে সফট, সোজা এবং সিল্কি রাখে।
২। কাঠ বাদামে রয়েছে উচ্চ পরিমাণের ফসফরাস। যেটি ভালো চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়া চুল পড়ে প্রধানত ফসফরাস এর অভাবে। রেগুলার কাঠ বাদাম খেলে ফসফরাসের অভাব মিটবে। শরীর এর ফাংশন থেকে শুরু করে চুলও প্রোটিন পাবে।
৩। যারা চুল এর খুশকি নিয়ে চিন্তিত, তারা ১:১ অনুপাতে কাঠ বাদাম তেল + নিম তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। সারারাত রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলেন। আশা করি খুশকির সমস্যা থাকবে না।
৪। কাঠ বাদাম তেল এর সাথে রস্মারি এবং ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার তালু মাসাজ করলে চুল পড়া কমবে।
৫। কাঠ বাদাম তেল, মেথি গুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল এর আগা শক্ত হবে, চুল পড়া কমবে, চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।
কাঠ বাদাম মোটামুটি সব জায়গায় পাওয়া যায়। ভালো মানের কাঠ বাদাম পাবেন মোস্তফা মার্ট, ইউনি মার্ট, আগরা ইত্যাদি। দেশি কাঠ বাদাম দাম পড়বে ৫০-১৫০ আর বিদেশি গুলো ৫০০-৭৫০। বিদেশি গুলো কেনা ভালো এবং এক প্যাকেটে ১ কেজির মত থাকে।
কাঠ বাদাম নিজে ভাঙ্গিয়ে তেল করে নিলে অনেক ভালো হয়। কোন কেমিক্যাল থাকে না। তাছাড়া অনলাইন পেজ izdihar ১০০% খাটি কাঠ বাদাম তেল বিক্তি করে। দাম ১০০ গ্রাম ৪০০ টাকা। এছারা রয়েছে ওয়েলস এর কাঠ বাদাম তেল, দাম ১৪০-১৬০। চুলের জন্য ডাবার কাঠ বাদাম তেল অনেক ভালো। দাম ১৫০-২৫০।
দেশি কাঠবাদাম গাছ
দুই. আখরোট:
আখরোট ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরে মেদ জমতেও দেয় না। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধ করে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত দেহে শক্তি জোগায়। আখরোট মূলত: এক প্রকার বাদাম জাতীয় ফল। এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর, যাতে প্রচুর আমিষ এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি আসিড আছে। এই ফলটি গোলাকার এবং ভেতরে একটি বীজ থাকে। পাকা ফলের বাইরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের শক্ত খোলসযুক্ত বীজটি পাওয়া যায়; এই খোলসের ভেতরে থাকে দুইভাগে বিভক্ত বাদাম যাতে বাদামি রঙের আবরন থাকে যা এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই এন্টিঅক্সিডেন্ট তৈলাক্ত বীজকে বাতাসের অক্সিজেন থেকে রক্ষা করে ফলে তা খাওয়ার উপযোগী থাকে। আখরোট গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Juglans regia যা জুগল্যান্ডাসি গোত্রের পত্রপতনশীল বৃক্ষ। এই গাছ সাধারণতঃ ১০–৪০ মিটার (প্রায় ৩০–১৩০ ফুট) লম্বা হয়। এদের পালকের ন্যায় বহুধাবিভক্ত পাতা থাকে। পাতা সাধারণতঃ ২০০-৯০০ মিলিমিটার (৭–৩৫ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট।
আখরোটের উপকারিতা:
সুস্বাস্থ্যের জন্য বাদামের উপকারিতা সকলেরই জানা। কিন্তু আখরোটের বিস্ময়কর গুণগুলো অনেকের অজানা। চীনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা ও অন্যান্য বাদামের চেয়ে আখরোটের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। ওজন কমানো থেকে শুরু করে নানা অসুখের সমাধান আছে এতে। উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাট থাকার কারণে আখরোট দেহের উপকারী কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং অপকারী কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেলে। এটি স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
আখরোট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর:
আখরোটে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বার্ধক্য, ক্যান্সার এবং স্নায়বিক রোগও প্রতিরোধ করে আখরোট। আখরোটের ওমেগা-৩ দেহের ত্বককে উজ্জ্বল করে। আদ্রতা ধরে রাখে এবং পুষ্টি যোগায়। ত্বকের জন্য ক্ষতিকর কোষকে ধ্বংস করে আখরোট।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য আখরোট দারুন একটি ফল:
এই বাদামে আছে ভিটামিন বি এর উপাদান ফোলেট, রিবোফ্লাবিন এবং থায়ামিন। যা গর্ভবতী নারীদের জন্য আদর্শ খাবার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ওষুধ হিসেবেও আখরোট খাওয়া যেতে পারে। আখরোট চুলের জন্য একটি ভালো খাবার। এতে আছে চুলকে শক্তিশালী করার উপাদান বায়োটিন। বায়োটিনের অভাবে চুল পড়ে এবং চুলের আগা ফেটে যায়। আখরোট চুল পড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে আখরোট:
আখরোট একটি নিম্ন কোলেস্টেরলযুক্ত সুস্বাদু খাবার, যা ওজন কমায়। তবে উচ্চ মাত্রার ক্যালরি থাকার কারণে ওজন কমানোর জন্য পরিমিত পরিমাণে আখরোট খাওয়া উচিত।
তিন. আপেল: ছোট-বড় সবার পরিচিত ফল আপেল। নিয়মিত তাজা এবং বিষমুক্ত আপেল খাওয়া দারুণ উপকারী। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। ফাইবার পেটে সহজে মেদ জমতে দেয় না। এতে মিনারেল আর ভিটামিনও আছে। ক্যালরিও অনেক কম। ডায়েটে থাকাকালে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আপেল।
ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ উপকারী আপেল:
ওজন কমাতে আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। আবার মরণব্যাধি ক্যান্সারের কথাও আমরা জানি। ক্যান্সার মানেই তো মৃত্যুর কাছে পৌঁছে যাওয়া। এমনই মরণঘাতী রোগ যে, রোগাক্রান্ত শরীরের অংশ কেটে ফেলেও রেহাই নেই। অথচ ক্যান্সার প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী আপেল। নিয়মিত আপেল খেলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও আপেল উপকারী।
সবল হার্টের জন্য:
হার্টের জন্য আপেলকে কার্যকরী ওষুধ বলা যায়। তা ছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতে আপেল যথেষ্ট উপকারী। যারা প্রতিদিন দুটি আপেল খায় তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা অন্যদের চেয়ে কম থাকে।
ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ:
ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেল যথেষ্ট কার্যকরী। যারা বেশি বেশি আপেল খায় তাদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক কমে যায়।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধক:
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। এক গবেষণা দেখা যায়, যেসব মহিলা প্রতিদিন একটি আপেল খায় অন্যদের থেকে তাদের এ রোগটি হওয়ার আশঙ্কা ১৭ শতাংশ কমে যায়। আপেলের সংখ্যা যত বাড়বে স্তন ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কাও তত কমবে। প্রতিদিন তিনটি আপেল খেলে এই আশঙ্কা ৩৯ শতাংশ কমে যায়। সংখ্যাটা যদি ছয় হয় তাহলে সেই শঙ্কাটা নেমে আসে ৪৪ শতাংশে।
ওজন কমানো:
ওজন কমাতে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেয়। কিন্তু আপেল তাদের জন্য একটু হলেও স্বস্তির বিষয় হয়ে আসতে পারে। কেননা আপেল ওজন কমানোর লড়াইয়ে দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে যেসব মহিলা ওজন কমাতে চায় তারা দৈনিক তিনটি আপেল খেলে ডায়েট করার চেয়ে ভালো ফল পাবে।
অ্যাজমা প্রতিরোধে:
এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিশু প্রতিদিন আপেলের রস খায় অন্যদের থেকে তাদের এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। একই গবেষণা দেখা যায়, যেসব মা সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় আপেল খায়, সেই মায়ের সন্তানেরও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
আপেলের পুষ্টিমানঃ
খোসাসহ আপেলের খাদ্যযোগ্য প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছেঃ
খাদ্য শক্তি ৫২ কিলো ক্যালরি
শর্করা ১৩.৮১ গ্রাম
চিনি ১০.৩৯ গ্রাম
খাদ্য আঁশ ২.৪ গ্রাম
চর্বি ০.১৭ গ্রাম
আমিষ ০.২৬ গ্রাম
জলীয় অংশ ৮৫.৫৬ গ্রাম
ভিটামিন ‘এ’ ৩ আই ইউ
বিটা ক্যারোটিন ২৭ আই ইউ
লুটেইন ২৯ আই ইউ
থায়ামিন ০.০১৭ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন ০.০২৬ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন ০.০৯১ মিলিগ্রাম
প্যানটোথেনিক ০.০৬১ মিলিগ্রাম
ফোলেট ৩ আই ইউ
ভিটামিন ‘সি’ ৪.৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ‘ই’ ০.১৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ‘কে’ ২.২ আই ইউ
ক্যালসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম
আয়রন ০.১২ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৫ মিলিগ্রাম
ম্যাংগানিজ ০.০৩৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ১১ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ১০৭ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম
জিংক ০.০৪ মিলিগ্রাম
ফ্লোরাইড ৩.৩ আই ইউ
আপেলের আরও কিছু গুনাগুনঃ
১। আপেলে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো। তাই bowel পরিষ্কার রেখে, কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না।
২। আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার আছে, যা সহজে তরলে মিশে যায়। এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে cholesterol জমতে দেয় না, এবং শরীর থেকে cholesterol খরচ করে কমাতে সাহায্য করে।
৩। ব্লাড প্রেসার ও রক্তের glucose/ sugar নিয়ন্ত্রণ করে । coronary artery disease ও diabetes এর রোগীরা তাই এটি খেলে উপকার পান ।
৪। আপেল হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরীতে সাহায্য করে । তাই এটি হজম শক্তি বৃধ্ধ্বি করে ও ঠিক রাখে ।
৫। আপেলের খোসায় polyphenols নামক antioxidant আছে, যা কোষকে ধ্বংশ হয়ে দেয় না।
৬। আপেলে phenols আছে, যা LDL Cholesterol কমায় ও ভালো cholesterol HDL বাড়ায়।
৭। আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
৮। আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে ।
৯। আপেলে Quercetin আছে, যা একটি flavonoid, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে। এই পুষ্টি উপাদানটি free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করে। তাছাড়া এটি DNA ধ্বংশ হতেও রক্ষা করে। Free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করার জন্য, বার্ধক্য জনিত রোগ, যেমন: Alzheimer's হতেও এটি রক্ষা করে ।
১০। আপেলে প্রচুর Phytonutrients, যেমনঃ ভিটামিন A, E ও beta carotene আছে । এগুলো ও free radical ধ্বংশ হতে, ব্রেইনের অসুখ হতে বাধা দেয়, ফুসফুস ভালো রাখে ও শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখে । ফলে শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায় , যেমন: হার্টের অসুখ , Diabetes ও Asthma , Parkinsonism , Alzheimer's.
১১। আপেলে থাকা পেকটিন ও ভিটামিন-সি রক্তের সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে হৃদপিন্ড সুস্থ থাকে, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
১২। দাঁত ও হাড় গঠনে এবং দন্তক্ষয় রোধে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত দরকারী যা আপেল খেলে পাওয়া যায় ।
১৩। আপেলে রয়েছে প্রচুর জৈব এসিড যা ত্বক সুস্থ রাখে, ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে ।
১৪। আপেলের খোসাতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যার ক্যান্সার রোধী গুন রয়েছে। তাই খোসাসহ আপেল খাওয়া উচিত।
১৫। কোষ্ঠ কাঠিন্য রোধে আপেল অত্যন্ত কার্যকরী।
১৬। অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না । ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন ।
১৭। আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই ।
১৮। আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে । তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে । তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে।
১৯। আপেল লিভার ও gall bladder পরিষ্কার রাখে, এর পাথর (gallstones) দূর করে বা ধ্বংশ করে ।
২০। আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে। করেন।
২১। আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে।
২২। আপেল ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে।
২৩। আপেল মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায় ।
২৪। আপেল Gastric এর সমস্যা কমায় ।
২৫। আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো । কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়, আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করতে পারে।
২৬। আপেল শরীরের ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে ।
২৭। দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর LDL Cholesterol কমে ।
২৮। আপেল, জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ ।
২৯। অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধেঃ মারাত্মক স্মৃতি বিভ্রম জাতীয় রোগ অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে আপেল।
৩০। ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে আপেলের জুড়ি নেই। ১০ হাজার জনের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা বেশি বেশি আপেল খান, তাদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়।
৩১। ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে আপেল। যুক্তরাষ্ট্রের করনেল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীরা দিনে ৬টি আপেল খান, তাদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পায়। আর, যারা প্রতিদিন ৩টি আপেল খান, তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
৩২। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ আপেলের মধ্যে পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান থাকে। এ উপাদানটি কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। আপেলের খোসার রসও বেশ উপকারী। তবে, ফরমালিন বা অন্য কেমিক্যালমুক্ত আপেল হলে, তা নিরাপদ।
৩৩। লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ আপেলের খোসার রস নিয়মিত পান করে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করা সম্ভব। অবশ্য, সব ক্ষেত্রেই আপেল কেমিক্যালমুক্ত হওয়াটা অন্যতম শর্ত।
৩৪। হাঁপানি উপশমেঃ সমপ্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁপানিতে আক্রান্ত যে শিশুরা প্রতিদিন আপেলের জুস পান করে, তাদের এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা যদি প্রতিদিন আপেলের জুস পান করেন, সেক্ষেত্রে ভূমিষ্ঠ শিশুটিও ভবিষ্যতে হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা কম ঝুঁকিতে থাকে।
৩৫। আপেল অ্যান্টি-অক্সিজান্ট, ফ্লাভোনডিস এবং পলিফোনোলিসক্স সমৃদ্ধ। এসব উপাদানে শরীরের মৌলে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৩৬। আপেল থিয়ামিন এবং পাইরিডক্সিন হিসেবে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স এর ভালো উৎস। একসঙ্গে এ ভিটামিন শীরের ভেতর বিপাক এনজাইম হিসেবে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন কৃত্তিম ফাংশনে সাহায্য করে।
৩৭। আপেল সামান্য পরিমাণ খনিজ, যেমন- পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম শরীরের কোষ এবং তরল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা হার্ট রেট এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একইভাবে সোডিয়ামের খারাপ প্রভাব থেকেও রক্ষা করে।
চার. টক কমলা, মাল্টা:
শীত প্রায় এসেই গেল। আর শীতকাল মানেই টক মিষ্টি কমলা লেবু, মাল্টা ইত্যাদির সময়। স্বাদে অতুলনীয় হওয়া ছাড়াও, এই ফলগুলো আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এবং ফোলেট বলে একটি উপাদান এর পুষ্টি যোগায়। এছাড়াও শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে এসব টক জাতীয় ফল।
কমলালেবু এবং মাল্টা শরীরে বাজে ক্যালোরি জমতে দেয় না। এছাড়াও এগুলোতে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি শরীরে গ্লুকোজের চাহিদাও মেটায়। কমলালেবু এবং মাল্টা মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও এতে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য এবং ফাইবারও বেশি। এই ফলগুলো পাকস্থলীকে বেশ অনেকটা সময় পর্যন্ত ভর্তি রাখে।
তাই অসময়ে খিদের চাহিদা মেটায়। কমলা লেবু এবং মাল্টাতে যে ভিটামিন সি থাকে তা শরীরচর্চার সময় অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে কমলা লেবু এবং মাল্টার রসের বদলে গোটা ফলটাই খাওয়া উচিৎ। কারণ কমলা লেবু এবং মাল্টার রসে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে ও ফাইবার একেবারেই থাকে না। অতএব, আসছে শীতে মেদ ঝরাতে দিনে একটা করে কমলা লেবু এবং মাল্টা খাওয়া বুদ্ধিমানের পরিচায়ক।
পাঁচ. পেয়ারা:
আপেলের মতো পেয়ারারও আছে ফাইবার। তাই পেয়ারা খেতে পারেন, অযথা পেটের মেদ বেড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
কমলালেবুর তুলনায় পেয়ারায় ৫ গুন বেশি ভিটামিন সি:
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি'। অন্যান্য সাইট্রাস ফল যেমন- কমলালেবুর তুলনায় পেয়ারায় ৫ গুন বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। পেয়ারায় রয়েছে ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি'।
ভিটামিন এ ও ভিটামিন-বি রয়েছে পেয়ারায়:
পেয়ারায় ভিটামিন এ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স রয়েছে। রয়েছে যতেষ্ট পরিমানে বিটা-ক্যারেটিন। সেই সঙ্ঘে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ফলিক এসিড এবং নিকোটিন এসিড।
রোগ উপশমে পেয়ারাঃ
হাই ব্লাড পেশার নিয়ন্ত্রনে রখতে সাহায্য করে। অনেক দিন ধরে মেন্সট্রুয়েসন এর সমস্যায় পেয়ারা উপকারী। রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। হার্টের সমস্যায় ভূগলে পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় উপস্তিত ভিটামিন-সি সক্রিয় এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহাজ্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বারায় পেয়ারা।
প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা:
এজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা উপকারী। ডায়াবেটিসতো বটেই, ক্যান্সার এমন কি প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
পেয়ারার পাতার জুস গ্যাস্ট্রোনটেস্টিনাল সমস্যায় উপকারী:
পেয়ারার পাতার জুস গ্যাস্ট্রোনটেস্টিনাল সমস্যায় উপকারী। কারন, পেয়ারা পাতায় রয়েছে শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার জুস সর্দি-কাশি উপসমে সাহায্য করে। আয়রন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা কনস্টিপেশন সারাতে উপকারী। এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে সাহায্য করে।
পেয়ারার পুষ্টিগুনঃ
ভিটামিন, মিনারেল (১০০ গ্রাম) ৭, ভিটামিন-এ ২৫০ আই ইউ, থিয়ামিন ০.০৭ গ্রাম, নিয়াসন ১.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি' ৩০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেড ১৭.১ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।
ছয়. তরমুজ: তরমুজের সবটুকুই আসলে পানি। তাই ক্ষুধা লাগলে এক বাটি তরমুজ খেয়ে নিন। পেটও ভরবে, আবার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরিও জমবে না।
তরমুজের আশ্চর্যজনক কিছু উপকারিতা:
আপনারা কি তরমুজ খেতে পছন্দ করেন? হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি, এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন 'হ্যা'। গ্রীষ্মকালে গরমের কারণে খুব প্রয়োজন না-হলে বাইরে যেতে চাই না আমরা। এ সময় সবচেয়ে আরামদায়ক ব্যাপার হচ্ছে এসিরুমে বসে টেলিভিশন দেখতে দেখতে তরমুজ খাওয়া। হ্যাঁ, তরমুজের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। প্রশ্ন হচ্ছে: তরমুজের উপকারিতা কী? আজকের 'জীবন যেমন' অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
সাম্প্রতিক গবেষনায় প্রাপ্ত ফলাফলে তরমুজের ৯ টি উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তরমুজে রয়েছে সমৃদ্ধ ভিটামিন এ ও সি এবং Citrullineসহ স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন উপাদান। এগুলো আমাদের শরীরে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। চলুন, আমরা উপকারিতাগুলো জেনে নিই এক এক করে-
উপকারিতা ১: তরমুজ ত্বকের উপকার করে
যদি আপনার ত্বকে freckle বা মেচেতা থাকে, তবে তা থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন তরমুজ খান। এই বিশেষজ্ঞদের কথা এমন, তরমুজের সমৃদ্ধ ভিটামিন 'এ' দেহের ত্বকের জন্য উপকারী। নিয়মিত তরমুজ খেলে আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া লাবণ্য ফিরে আসবে—এমন সম্ভাবনা প্রবল।
উপকারিতা ২: তরমুজ হার্টকে সুস্থ রাখে
জরিপের ফল অনুসারে, তরমুজের একটি বিশেষ উপাদান হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া, তরমুজের ভিটামিন-সি, ক্যারোটিন (carotene) ও পটাসিয়াম শরীরের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনার হার্ট বড় ধরনের বিপদ থেকে সবসময় সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা স্রেফ তরমুজ খেয়ে সুস্থ হবার আশায় দিন কাটাবেন। না, মোটেই তা নয়। বুকে ব্যথা হলে বা হার্টের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিত্কসের শরণাপন্ন হোন।
উপকারিতা ৩: তরমুজ কিডনি বা বৃক্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
আপনাদের কেউ কি কখনও কিডনির পাথর রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? কিডনিতে পাথর হলে এবং তা নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। অনেকে এ ব্যথা সহ্য করতে পারেন না। যারা, এ থেকে সাবধান থাকতে চান, তাদের উচিত নিয়মিত তরমুজ খাওয়া। না, নিয়মিত তরমুজ খেলে আপনার কিডনি পাথরমুক্ত থাকবে, এমন নয়। তবে, এতে আপনার কিডনির ওপর চাপ কমবে। আর কিডনি যখন তার কাজ ঠিকমতো করবে, তখন সেখানে পাথর হবার আশঙ্কাও কমবে। নিয়মিত তরমুজ খেলে আপনার প্রস্রাবের ধারা স্বাভাবিক থাকবে। এতে কিডনি পাথর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
উপকারিতা ৪: তরমুজ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তরমুজ থাকলে আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে। কারণ, তরমুজে প্রচুর ভিটামিট 'এ' থাকে। আর ভিটামিন 'এ' থাকা না-থাকার ওপর নির্ভর করে দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকা বা না-থাকা। ভিটামিন 'এ'-কে চোখের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ বলা হয়।
উপকারিতা ৫: তরমুজ হাড় সুস্থ রাখে
মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হাড়ে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এ সময় শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। এ বাড়তি চাহিদা পূরণ না-হলে হাত বা পায়ে ব্যথা হবে; হাঁটাহাঁটিতে সমস্যা হবে। অথচ বয়স বাড়লে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখার জন্য জরুরি। যদি আপনি নিয়মিত তরমুজ খান, তবে এর ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম আপনার হাড় মজবুত রাখবে। এর সুফল পাবেন বয়সকালে।
উপকারিতা ৬: তরমুজ রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখে
আপনার রক্তচাপ ঠিক আছে কি? অনেকেই খাদ্যগ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেন। চিকিত্সকরা বলছেন, খাদ্যতালিকায় নিয়মিত তরমুজ রাখুন। কারণ, তরমুজে প্রচুর পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
উপকারিতা ৭: পেশীর ব্যথা থেকে বাঁচতে তরমুজ খান
অনেকেই দেখা যায় শরীরচর্চার পর পেশীর ব্যথায় ভোগেন। এ থেকে বাঁচতে আপনাকে তরমুজ সাহায্য করতে পারে। শরীরচর্চার অন্তত এক ঘন্টা আগে এক কাপ তরমুজের জুস পান করুন। দেখবেন, শরীররচর্চার পর পেশীতে ব্যথার অনুভূতি তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে। তবে মনে রাখবেন, তরমুজের জুসে সুগারের পরিমাণ একটু বেশি। তাই জুস না-খেয়ে সরাসরি তরমুজ খাওয়া ভালো।
উপকারিতা ৮: তরমুজ অ্যাজমা প্রতিরোধে সহায়ক
সাধারণ মানুষ নিয়মিত তরমুজ খেয়ে অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধ করতে পারেন। তরমুজে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। যারা ইতোমধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও তরমুজ খেয়ে উপকার পেতে পারেন। আরেকটি বিষয়, তরমুজ ফুসফুস সুস্থ রাখতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
উপকারিতা ৯: তরমুজ প্রোস্টেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
যে-কোনো ক্যান্সার প্রতিরোধে তরমুজ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে—এমনটা ঠিক নয়। তবে, তরমুজে ক্যান্সার-প্রতিরোধক উপাদান আছে। বিশেষ করে, এটি প্রোস্টেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আসুন, এবার আমরা তরমুজ খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি নিয়ে একটু আলোকপাত করি-
১. গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে অনেকেই ঠাণ্ডা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু মনে রাখবেন, ঠাণ্ডা তরমুজ খেতে ভালো হলেও, আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা তরমুজ আপনার পাকস্থলির ক্ষতি করতে পারে।
২. জ্বর, দাঁতের এলার্জি, মুখের ঘা, কিডনি ও পেটের সমস্যায় ভুগছেন—এমন মানুষ; গর্ভবতী নারী; এবং ডায়াবিটিসের রোগীদের তরমুজ খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আর নারীদের উচিত মাসিকের সময় তরমুজ এড়িয়ে চলা।
৩. একটা তরমুজ কেটে একবারে খেয়ে ফেলা উচিত। অনেকে ফ্রিজে রেখে কয়েক দিন ধরে একটা তরমুজ খান। এটা ঠিক না। এতে তরমুজের ফ্রেসনেস কমে যায়। সূত্র: সিএসআই-চায়না বেতার।
এছাড়া আরও যেসব ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে তার ভেতরে রয়েছে-
সাত. আমলকী:
আমলকীতে ভিটামিন ‘সি’ আছে। রোগব্যাধি ছাড়াও অতিরিক্ত ওজন কমাতে প্রতিদিন দুটি আমলকীই যথেষ্ট।
আট. অ্যাপল সিডার ভিনেগার:
এই ভিনেগার আসলে নিজে ওজন কমায় না; কিন্তু খাওয়ার আগে এক চামচ ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে গুলিয়ে খেয়ে নিলে খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিতে খুব সাহায্য করবে। তাই যাঁরা অনেক চেষ্টা করেও নিজের খাওয়া কন্ট্রোল করতে পারেন না, তাঁরা চাইলেও বেশি খেতে পারবেন না।
নয়. ডিম:
দরকারি সব রকম পুষ্টি দেয় আর অনেকক্ষণ পেট ভরা ভাব ধরে লাখার জন্য ডিমের কোনো জুড়ি নেই। তাছাড়া রোজ সকালের নাশতার সঙ্গে ডিম খেলে দেহের ক্যালরিও যোগ হবে, ওজনও বাড়বে না।
দশ. গ্রিন টি:
গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩ কাপ গ্রিন টি শরীর থেকে সর্বোচ্চ ৭০ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে পারবে। সঙ্গে সঙ্গে ডায়েট আর ব্যায়াম করলে ওজন আগের চেয়ে দ্রুত কমবে।
এগারো. টক দই:
পেটের মেদ কমাতে টক দইয়ের ভূমিকা অনেক। তাছাড়া হজমেও দই অনেক সাহয্য করে। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন অন্তত এক বাটি দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
বার. ওটমিল:
পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে পারে ওটমিল। তাই অল্প একটু খেলে অনেকক্ষণ আর কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সহায়তা করে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এতে দ্রুত পেটের মেদ কমতে শুরু করে। তাই পরিমিত আহার ও চলাচল বজায় রাখা যেমন দরকার, তেমনি দরকার অধিক চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা। নাভির চার পাশে ও তলপেটে চর্বি জমলে সহজে যেতে চায় না। কিন্তু বিশেষ প্রক্রিয়ায় এই চর্বি সহজেই বের করে সুন্দর সুঠাম মেদহীন হওয়া যায় সহজেই।
তথ্য সূত্র:
১. Click This Link
২. Click This Link
৩. অন্যান্য।
ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
কেউ যদি নাও আসে, প্রতিটি পোস্টে আপনার সরব উপস্থিতি অনুপ্রাণিত করে সবসময়। আপনি নিবেদিত প্রাণ। ব্লগ এবং ব্লগারদের জন্য।
অল্প খাওয়া এবং প্রচুর হাটা শরীরের জন্য, শারীরিক সুস্থতার জন্য অতি উপকারী।
সুখে থাকুন। সুখী হোন। শুভকামনা।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারকারি পোস্ট । স্বাস্থ্য আগের অবস্থানে নেবার প্রচেষ্টায় আছি্ । পোস্ট খানা কাজে লাগবে । আমার পেটে জমে থাকা মেদ কমানো আবশ্যক হয়ে গেছে ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
যাক, প্রিয় ভাইয়ের সামান্য কাজে আসতে পারে এই পোস্ট এটা ভেবেই ভালো লাগছে। সুস্থতার জন্য অতিরিক্ত মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
কৃতজ্ঞতা মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায়। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: সোজা প্রিয়তে । +++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনিও কিন্তু প্রিয় মানুষ।
অনেক অনেক শুভকামনা। ভাল থাকুন সবসময়।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার! পরিশ্রমী পোস্ট। +++++
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় নাকিব ভাই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় চৌধুরি ভাই,
এই পোস্টে আপনার উপস্থিতি এবং আন্তরিক মন্তব্য অনুপ্রাণিত করলো।
নানান ব্যস্ততায় থাকায় ব্লগে সময় তেমন দেয়া হয় না। আপনাদের মত কথার কারিগরদের মূল্যবান অনেক লেখা পাঠ করারও সুযোগ তাই হয়ে ওঠে না। তবে শুভকামনা রাখি সবসময়। যেখানেই থাকুন, কুশলে থাকুন সবসময়।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!
কাঠ বাদাম খেতে দারুন লাগে আমার। চান্স পেলেই খাই
উপকালী পোষ্টে +++++++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
'চান্স পেলেই খাই' -কথাটার ভেতরে কেমন যেন একটু রহস্য রহস্য টের পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টা কি খুলে বলবেন, প্রিয় ভাই! এই 'চান্স' কথাটা কি ভাবী সাহেবার আলমারিতে লুকিয়ে রাখা কাঠ বাদামের বয়ামের দিকেই ইঙ্গিত করছে?
চলমান হাজারো অসংগতি, নানান অনিয়ম আর বিপুল বিশৃঙ্খলা দর্শনে মন বিষিয়ে ওঠে প্রায়শ। মনকে তখন প্রবোধ দিতে পারি না। মাঝে মাঝে তাই আপনার মত বিদ্রোহী হয়ে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু বিদ্রোহী হওয়া কি এত সহজ! বিদ্রোহী কি সবাই হতে পারে!
দ্রোহের অগ্নিতে ভেজা আপনার প্রতিবাদী নতুন কবিতার জন্মক্ষন প্রত্যক্ষ করার প্রতীক্ষায়!!!
দাওয়াত পাই না বলে আসা হয় না। তাই দাওয়াতেরও অপেক্ষায়। শুভকামনা নিরন্তর।
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,
অতি প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট। লিখেছেনও বিশদ করে। শুধু মেদ কমানোই নয় নীরোগ স্বাস্থ্যের জন্যেও সবগুলো উপকারী।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জি এস ভাই। আপনার দারুন অর্থবহ এবং সুন্দর মন্তব্যগুলো পড়ার জন্য অনেকসময় পোস্টে পোস্টে ঘুরে বেড়াই। এই পোস্টে আপনার আগমন ভালো লাগলো। সপরিবারে সুখী হোন। দীর্ঘ-দীঘল হোক আপনার বর্নাঢ্য আলোকিত জীবন। সম্ভবত: প্রবাসে আছেন, আপনার এক মন্তব্যে জেনেছিলাম ক'দিন পূর্বে। যেখানেই থাকুন কুশলে থাকুন সবসময়।
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নতুন নকিব ভাই, আমি ব্লগে সবাইকে বলি “ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ব্যাস্ত থাকুন”। আর আপনি সুস্থ থাকার পন্থা দিয়েছেন তাও অনেক কষ্টের বিনিময়ে যে লেখা লিখেছেন তা অনুভব করছি।
ছাত্রজীবনে লেখালেখির কষ্টে ভাবতাম কবে ছাত্রজীবন শেষ হবে কবে চাকুরী জীবনে যাবো, চাকুরী জীবনে আরো কঠিন লেখার সম্মুখীন হতে হলো - সরকারী ঘরের কাগজ, এখন ব্যাবসা জীবনে খরচের খাতার হিসাব রাখা আরো কঠিন কাজ। - আসলে লেখালেখিই কষ্টের কাজ! আর এই কাজটি যিনি করেন তার জন্য সে অবস্যই অকৃত্তিম ভালোবসার দাবীদার। আপনি আমার পক্ষ থেকে ব্লগের সবার অকৃত্তিম ভালোবাসা গ্রহণ করুন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ছাত্রজীবনে লেখালেখির কষ্টে ভাবতাম কবে ছাত্রজীবন শেষ হবে কবে চাকুরী জীবনে যাবো, চাকুরী জীবনে আরো কঠিন লেখার সম্মুখীন হতে হলো - সরকারী ঘরের কাগজ, এখন ব্যাবসা জীবনে খরচের খাতার হিসাব রাখা আরো কঠিন কাজ। - আসলে লেখালেখিই কষ্টের কাজ! আর এই কাজটি যিনি করেন তার জন্য সে অবস্যই অকৃত্তিম ভালোবসার দাবীদার। আপনি আমার পক্ষ থেকে ব্লগের সবার অকৃত্তিম ভালোবাসা গ্রহণ করুন।
-আসলে জীবন মানেই পরিক্ষা। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই একেকটা পরিক্ষা আমাদের জন্য। ছাত্রজীবন, কর্মজীবন কোথাও কি আসলে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ আছে? অনেকে বলে থাকেন যে, ব্যবসায় স্বাধীনতা আছে। ব্যবসা করে দেখেছি, একজন ব্যস্ত ব্যবসায়ীর নিজের ঘরের খবর নেয়াও কঠিন হয়ে যায় অনেক সময়। এই হচ্ছে ব্যবসার স্বাধীনতা। এরচে' চাকরিটা সহজ মনে হয় আমার কাছে। অধিকাংশ চাকরিই রুটিনমাফিক হয়ে থাকে। দৈনন্দিন জীবনে চাকরি ক্ষেত্রের বাইরের সময়টুকু অন্তত: নিজের মত করে ব্যবহার করার অবকাশ থাকে, কিন্তু একজন ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে? তার চাকরি দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা। ঘুমালেও তার ব্যবসার চিন্তা মাথায় মনে হয় থেকেই যায়।
প্রিয় ভাই, আপনাকে দারুন মন্তব্যে পেয়ে আপ্লুত।
শুভকামনা সমসময়।
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকে সত্য কথা বলি, প্রায় ৯ মাস ধরে আমি বেকার। ক্ষমতাবান মামা চাচা নেই। এই জন্য চাকরীও পাচ্ছি না। এখন আশাও ছেড়ে দিয়েছি।
বই পড়ু, মুভি দেখি আর ব্লগিং করেই সময় যাচ্ছে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্লিজ, কিছু যদি মনে না নেন, আপনার এই মন্তব্যটি ব্যথিত করেছে। আপনি কষ্টে রয়েছেন দেখে আমাদেরও কষ্ট লাগছে। নয় মাস ধরে বেকার থাকার পরেও আপনি কিন্তু চলতে পারছেন। সংসারের খরচাদিও চালাতে পারছেন। মনে হচ্ছে, আপনার হয়তো বিকল্প কোনো ওয়ে রয়েছে, যেখানটা দিয়ে আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হচ্ছে। আর এর ফলে চাকরির জন্য আপনি সেরকম শক্তভাবে ট্রাইও করছেন না। মনে রাখবেন, আমি বিশ্বাস করি, এই চলতি মাসের ভেতরেই আপনার চাকরি হয়ে যাবে। এটা সম্ভব এবং অবশ্যই সম্ভব। তবে তার জন্য শর্ত হচ্ছে, যদি আপনি একান্তচিত্তে সেটা চান। এখানে আপনি চান কি না সেটাই অনলি ফ্যাক্টর।
আবারও বলছি, কিছু করবেন না দয়া করে, আপনাকে এই ব্যাপারে সামান্য কিছু পরামর্শ দিব। কষ্ট করে যদি ফলো করতে পারেন, আশা করি হয়তো কাজে লাগবে আপনার। পয়েন্ট আকারে বলছি-
১. কোথায় কোথায় জব এর জন্য ট্রাই করবেন, তার একটা লিস্ট তৈরি করুন। এবং সম্ভব হলে আপনি আজ থেকেই শুরু করুন এই কাজটা।
২. এক থেকে গুনে গুনে দশটা কোম্পানি/ চাকরিদাতার নাম লিখুন।
৩. একে একে প্রতিটা কোম্পানি/ চাকরি ক্ষেত্রেই ইন্টারভিউ দিতে থাকুন।
৪. মনে রাখবেন, আপনি যদি 'ডু অর ডাই' স্টাইলে ট্রাই করেন, আমি শিউর, ইনশাআল্লাহ চাকরি আপনার হবেই। দশটা জায়গায় চেষ্টা করলে এক দুই জায়গায় আপনাকে সিলেক্ট করবেই।
৫. স্যালারি কম বেশি যা-ই হোক আপনার উচিত হবে, আগে চান্সটা গ্রহন করা। একটা চাকরি, তা যতই ছোট হোক, হাতে থাকা অবস্থায় আরেক জায়গায় এরচে' ভালো চাকরি পাওয়া মোটামুটি সহজ। কিন্তু বেকার থাকাটা খুবই বিপজ্জনক। সহজে কেউ নিতে চায় না। চাকরি দিতে চায় না। বেকারদের অনেকেই অচ্ছুত ভাবে কি না কে জানে।
৬. পূর্বের প্রফেশনেই ট্রাই করুন। কারণ, প্রিভিয়াস এক্সপেরিয়ান্সটা চাকরির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চাকরির এই মন্দার বাজারে উইদাউট এক্সপেরিয়ান্স চাকরি পাওয়া আরও কঠিন।
৭. আকর্ষনীয়ভাবে একটা সিভি তৈরি করুন। কাভার লেটারটাও হতে হবে একই মানের। দু'চার পৃষ্ঠার সিভিতে নিজেকে পুরোপুরি তুলে ধরুন।
৮. সর্বোপরি আল্লাহ তাঅা'লার নিকট বিনীতভাবে প্রার্থনা করুন, তিনি অসহায়ের সহায়। তিনি নিশ্চয়ই কারও ফরিয়াদ ফিরিয়ে দেন না।
ব্যক্তিগত বিষয়ে আমি আসলে এখানে আলোচনা করতাম না। যেহেতু আপনি মন্তব্যে আপনার সমস্যার বিষয়টি অবহিত করেছেন সে কারণে কেবল আপনার উপকারে আসতে পারে, এ চিন্তা থেকেই একটু শেয়ার করলাম। আশা করছি কষ্ট নিবেন না। চেষ্টা করে যান। আমরা দুআ করছি, যাতে অচিরেই আপনার একটা সুন্দর এবং কাঙ্খিত কর্মসংস্থান হয়ে যায়।
অনেক ভালো থাকুন। বাবু এবং ভাবীকে সালাম।
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
জ্বী, ফিরেছি এবং যথারীতি ব্লগে ঢুঁ মারাও শুরু করেছি।
আশা করি আপনারাও সবাই যেখানেই ছিলেন , কুশলেই ছিলেন।
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট।
মানব শরীরের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
সময় সুযোগ ও সাধ্যমত একমাত্র আখরোট ব্যতিত বাকি সব গুলিই
পরিমিত পরিমানে সরাসরি কিংবা খাদ্য উপকরণ হিসাবে খেয়ে থাকি।
আখরোট না খাওয়ার তৃবিধ কারণ আছে । প্রথমতঃ আখরোটে ফ্যাটের পরিমান খুব বেশী , ১০০ গ্রাম আখরোটের মধ্যে প্রায় ৬৫ -৭০ গ্রাম্ই ফ্যাট , বাদাম জাতীয় এই ফলটি is important food-allergen sources that have the potential to be associated with life-threatening, Immunoglobulin E (IgE) IgE-mediated allergic reactions in some individuals( সুত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Juglans_regia), তাই এর প্রতি আমার কিছুটা এলার্জি আছে ( অবশ্য এর প্রতি অন্য কারো এলার্জি নাও থাকতে পারে, এবং এর অন্যান্য ঔষধি গুণও প্রচুর ) দ্বিতিয়তঃ বাজারে এর দাম অন্যগুলির তুলনায় বেশি , এর দামে অন্য ফল অনেক বেশি পরিমানে কেনা যায়, তৃতীয়তঃ এর লাতিন নাম Juglans যগ্লান্স এসেছে Jovis glans যবিস গ্লান্স্ থেকে যার অর্থ "জিউসের বাদাম"। বস্তত এই নাম দিয়ে আখরোটকে দেবভোগ্য বলে রূপায়িত করা হয়েছে। জানেনইতো গ্রিক পুরাণে জিউস হলেন "দেবগণ ও মানবজাতির পিতা" এবং গ্রিক পুরাণ মতে তিনি ছিলেন আকাশ ও বজ্রের দেবতা। বস্তত এই নাম দিয়ে আখরোটকে দেবভোগ্য বলে রূপায়িত করা হয়েছে। তাই দেবতার এই ভোগ খেয়ে কোন বগ্রপাতে পরি তার কোন ঠিক নাই!! , সর্বোপরি জিউসকে মানবজাতির পিতা বলতে আমি নারাজ। গ্লিক পুরাণের উপর অবশ্য আমার কোন আস্থা নেই, তাপরেও অন্য দুটো কারণে আখরোটকে এড়িয়ে চলি। তবে আখরোটের ফ্যাট নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন নন তাঁরা নির্ভয়ে এই সুস্বাদু অতি পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ ফলটি খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে মঝার হলো বাংলাদেশী তরমুজ ও পেয়ারা গুণে মানে জগত সেরা, দামেও সবার চেয়ে কম, ফলেও সবচেয়ে বেশী ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রেদওয়ান ফেরদৌস বলেছেন: কিভাবে প্পারেন এতো লিখতে?
অনেক তথ্যবহুল পোস্ট। আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: দরকারী পোষ্ট।
অবশ্য আমার কোনো মেদ নাই।
আমার সারাদিন প্রচুর হাঁটি। অল্প খাই।