নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগধারা ও প্রবাদ-প্রবচন; বোনাস হিসেবে বাংলা ভাষার বহুল ব্যবহৃত কিছু সমার্থক শব্দ

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪



প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগধারা ও প্রবাদ-প্রবচন



অকাল কুষ্মাণ্ড = অপদার্থ, অকেজো

অষ্টরম্ভা = ফাঁকি

অক্কা পাওয়া = মারা যাওয়া

অথৈ জলে পড়া = খুব বিপদে পড়া

অগাধ জলের মাছ = সুচতুর ব্যক্তি

অকূল পাথার = ভীষণ বিপদ

অর্ধচন্দ্র = গলা ধাক্কা

অন্ধকারে ঢিল মারা = আন্দাজে কাজ করা

অন্ধের যষ্ঠি = একমাত্র অবলম্বন

অমৃতে অরুচি = দামি জিনিসের প্রতি বিতৃষ্ণা

অন্ধের নড়ি = একমাত্র অবলম্বন

অগস্ত্য যাত্রা = চির দিনের জন্য প্রস্থান

অগ্নিশর্মা = নিরতিশয় ক্রুদ্ধ

অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী = সামান্য বিদ্যার অহংকার

অগ্নিপরীক্ষা = কঠিন পরীক্ষা

অনধিকার চর্চা = সীমার বাইরে পদক্ষেপ

অগ্নিশর্মা = ক্ষিপ্ত

অরণ্যে রোদন = নিষ্ফল আবেদন

অগাধ জলের মাছ = খুব চালাক

অহি-নকুল সম্বন্ধ = ভীষণ শত্রুতা

অতি চালাকের গলায় দড়ি = বেশি চাতুর্যের পরিণাম

অন্ধকার দেখা = দিশেহারা হয়ে পড়া

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট = লোভে ক্ষতি

অমাবস্যার চাঁদ = দুর্লভ বস্তু

অদৃষ্টের পরিহাস = বিধির বিড়ম্বনা, ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা = অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি দেয়া




আকাশ কুসুম = অসম্ভব কল্পনা

আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া = দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি

আকাশ পাতাল = প্রভেদ, প্রচুর ব্যবধান

আদায় কাঁচকলায় = শত্রুতা

আকাশ থেকে পড়া = অপ্রত্যাশিত

আদা জল খেয়ে লাগা = প্রাণপণ চেষ্টা করা

আকাশের চাঁদ = আকাঙ্ক্ষিত বস্তু

আক্কেল গুড়ুম = হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত

আগুন নিয়ে খেলা = ভয়ঙ্কর বিপদ

আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অপদার্থ

আগুনে ঘি ঢালা = রাগ বাড়ানো

আকাশ ভেঙে পড়া = ভীষণ বিপদে পড়া

আঙুল ফুলে কলাগাছ = অপ্রত্যাশিত ধনলাভ

আমতা আমতা করা = ইতস্তত করা, দ্বিধা করা

আঠার আনা = সমূহ সম্ভাবনা

আটকপালে = হতভাগ্য

আদায় কাঁচকলায় = তিক্ত সম্পর্ক

আঠার মাসের বছর = দীর্ঘসূত্রিতা

আহ্লাদে আটখানা = খুব খুশি

আলালের ঘরের দুলাল = অতি আদরে নষ্ট পুত্র

আক্কেল সেলামি = নির্বুদ্ধিতার দণ্ড

আকাশে তোলা = অতিরিক্ত প্রশংসা করা

আঙুল ফুলে কলাগাছ = হঠাৎ বড়লোক

আষাঢ়ে গল্প = আজগুবি কেচ্ছা




ইঁদুর কপালে = নিতান্ত মন্দভাগ্য

ইলশে গুঁড়ি = গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ইঁচড়ে পাকা = অকালপক্ব

ইতর বিশেষ = পার্থক্য




উত্তম মধ্যম = প্রহার

উড়ে এসে জুড়ে বসা = অনধিকারীর অধিকার

উড়নচন্ডী = অমিতব্যয়ী

উজানে কৈ = সহজলভ্য

উভয় সংকট = দুই দিকেই বিপদ

ঊনপাঁজুড়ে = অপদার্থ

উলু বনে মুক্ত ছড়ানো = অপাত্রে/ অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান

উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে = একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো

উড়ো চিঠি = বেনামি পত্র

ঊনপঞ্চাশ বায়ু = পাগলামি




এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো = একই স্বভাবের

একাদশে বৃহস্পতি = সৌভাগ্যের বিষয়)

এক চোখা = পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট

এক বনে দুই বাঘ = প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী

এক মাঘে শীত যায় না = বিপদ এক বারই আসে না, বার বার আসে

এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো = একই দলভুক্ত

এলোপাতাড়ি = বিশৃঙ্খলা

এলাহি কাণ্ড = বিরাট আয়োজন

এসপার ওসপার = মীমাংসা




ওজন বুঝে চলা = অবস্থা বুঝে চলা

ওষুধে ধরা = প্রার্থিত ফল পাওয়া




কচুকাটা করা = নির্মমভাবে ধ্বংস করা

কেঁচো খুড়তে সাপ = বিপদজনক পরিস্থিতি

কচু পোড়া = অখাদ্য

কই মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে না

কচ্ছপের কামড় = যা সহজে ছাড়ে না

কুঁড়ের বাদশা = খুব অলস

কলম পেষা = কেরানিগিরি

কাক ভূষণ্ডী = দীর্ঘজীবী

কলুর বলদ = এক টানা খাটুনি

কেতা দুরস্ত = পরিপাটি

কথার কথা = গুরুত্বহীন কথা

কাছা আলগা = অসাবধান

কাঁঠালের আমসত্ত্ব = অসম্ভব বস্তু

কাঁচা পয়সা = নগদ উপার্জন

কপাল ফেরা = সৌভাগ্য লাভ

কাকতাল = আকস্মিক/ দৈব যোগাযোগজাত ঘটনা

কূপমণ্ডুক = সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন, ঘরকুনো

কত ধানে কত চাল = হিসেব করে চলা

কাঠের পুতুল = নির্জীব, অসার

কড়ায় গণ্ডায় = পুরোপুরি

কথায় চিঁড়ে ভেজা = ফাঁকা বুলিতে কার্যসাধন

কান খাড়া করা = মনোযোগী হওয়া

কান পাতলা = সহজেই বিশ্বাসপ্রবণ

কানকাটা = নির্লজ্জ

কাছা ঢিলা = অসাবধান

কান ভাঙানো = কুপরামর্শ দান

কুল কাঠের আগুন = তীব্র জ্বালা

কান ভারি করা = কুপরামর্শ দান

কেঁচো খুড়তে সাপ = সামান্য থেকে অসামান্য পরিস্থিতি

কাপুড়ে বাবু = বাহ্যিক সাজ

কেউ কেটা = সামান্য

কেউ কেটা = গণ্যমান্য

কেঁচে গণ্ডুষ = পুনরায় আরম্ভ

কেঁচে গণ্ডুষ = পুনরায় আরম্ভ

কৈ মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে না




খয়ের খাঁ = চাটুকার (সমার্থক বাগধারা : ঢাকের কাঠি)

খণ্ড প্রলয় = ভীষণ ব্যাপার

খাল কেটে কুমির আনা = বিপদ ডেকে আনা




গড্ডলিকা প্রবাহ = অন্ধ অনুকরণ

গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো = কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা

গদাই লস্করি চাল = অতি ধীর গতি, আলসেমি

গুরু মারা বিদ্যা = যার কাছে শিক্ষা তারই উপর প্রয়োগ

গণেশ উল্টানো = উঠে যাওয়া, ফেল মারা

গোকুলের ষাঁড় = স্বেচ্ছাচারী লোক

গলগ্রহ = পরের বোঝা স্বরূপ থাকা

গোঁয়ার গোবিন্দ = নির্বোধ অথচ হঠকারী

গরিবের ঘোড়া রোগ = অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা

গোল্লায় যাওয়া = নষ্ট হওয়া, অধঃপাতে যাওয়া

গরমা গরম = টাটকা

গোবর গণেশ = মূর্খ

গরজ বড় বালাই = প্রয়োজনে গুরুত্ব

গোলক ধাঁধা = দিশেহারা

গরু খোঁজা = তন্ন তন্ন করে খোঁজা

গোঁফ খেজুরে = নিতান্ত অলস

গরু মেরে জুতা দান = বড় ক্ষতি করে সামান্য ক্ষতিপূরণ

গোড়ায় গলদ = শুরুতে ভুল

গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল = প্রাপ্তির আগেই আয়োজন

গৌরচন্দ্রিকা = ভূমিকা

গা ঢাকা দেওয়া = আত্মগোপন

গৌরীসেনের টাকা = বেহিসাবী অর্থ

গায়ে কাঁটা দেওয়া = রোমাঞ্চিত হওয়া

গুড়ে বালি = আশায় নৈরাশ্য

গাছে তুলে মই কাড়া = সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা




ঘোড়ার ডিম = অবাস্তব

ঘাটের মরা = অতি বৃদ্ধ

ঘোড়া রোগ = সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ

ঘটিরাম = আনাড়ি হাকিম

ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া = মধ্যবর্তীকে অতিক্রম করে কাজ করা

ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো = নিজ খরচে পরের বেগার খাটা

ঘোড়ার ঘাস কাটা = অকাজে সময় নষ্ট করা

ঘর ভাঙানো = সংসার বিনষ্ট করা




চুনকালি দেওয়া = কলঙ্ক

চক্ষুদান করা = চুরি করা

চশমখোর = চক্ষুলজ্জাহীন

চক্ষুলজ্জা = সংকোচ

চর্বিত চর্বণ = পুনরাবৃত্তি

চোখের বালি = চক্ষুশূল

চাঁদের হাট = আনন্দের প্রাচুর্য

চোখের পর্দা = লজ্জা

চিনির বলদ = ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয়

চোখ কপালে তোলা = বিস্মিত হওয়া

চামচিকের লাথি = নগণ্য ব্যক্তির কটূক্তি

চোখ টাটানো = ঈর্ষা করা

চিনির পুতুল = শ্রমকাতর

চোখে ধুলো দেওয়া = প্রতারণা করা

চুঁনোপুটি = নগণ্য

চোখের চামড়া = লজ্জা

চুলোয় যাওয়া = ধ্বংস

চোখের মণি = প্রিয়

চিনে/ ছিনে জোঁক = নাছোড়বান্দা




ছ কড়া ন কড়া = সস্তা দর

ছক্কা পাঞ্জা = বড় বড় কথা বলা

ছা পোষা = অত্যন্ত গরিব

ছিঁচ কাদুনে = অল্পেই কাঁদে এমন

ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা = সামান্য কাজের জন্য অপদার্থ ব্যক্তি

ছিনিমিনি খেলা = নষ্ট করা

ছেলের হাতের মোয়া = সামান্য বস্তু

ছেলের হাতের মোয়া = সহজলভ্য বস্তু

ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা = নগণ্য স্বার্থে দুর্নাম অর্জন




জগাখিচুড়ি পাকানো = গোলমাল বাধানো

জলে কুমির ডাঙায় বাঘ = উভয় সঙ্কট (সমার্থক বাগধারা : উভয় সঙ্কট, শাঁখের করাত)

জিলাপির প্যাঁচ = কুটিলতা




ঝড়ো কাক = বিপর্যস্ত

ঝাঁকের কৈ = এক দলভুক্ত

ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো = একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান

ঝোপ বুঝে কোপ মারা = সুযোগ মত কাজ করা




টনক নড়া = চৈতন্যোদয় হওয়া

টেকে গোঁজা = আত্মসাৎ করা

টাকার কুমির = ধনী ব্যক্তি

টুপভুজঙ্গ = নেশায় বিভোর




ঠাঁট বজায় রাখা = অভাব চাপা রাখা

ঠুঁটো জগন্নাথ = অকর্মণ্য

ঠোঁট কাটা = বেহায়া

ঠেলার নাম বাবাজি = চাপে পড়ে কাবু

ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় = আদর্শহীনতার প্রাচুর্য





ডুমুরের ফুল = দুর্লভ বস্তু

ডান হাতের ব্যাপার = খাওয়া (একই রকম বাগধারা : বাঁ হাতের ব্যাপার- ঘুষ গ্রহণ)

ডাকের সুন্দরী = খুবই সুন্দরী

ডামাডোল = গণ্ডগোল

ডুমুরের ফুল = দুর্লভ (সমার্থক বাগধারা : অমাবস্যার চাঁদ)




ঢাক ঢাক গুড় গুড় = গোপন রাখার চেষ্টা

ঢেঁকির কচকচি = বিরক্তিকর কথা

ঢাকের কাঠি = মোসাহেব, চাটুকার (সমার্থক বাগধারা : খয়ের খাঁ)

ঢি ঢি পড়া = কলঙ্ক প্রচার হওয়া

ঢাকের বাঁয়া = অপ্রয়োজনীয়

ঢিমে তেতালা = মন্থর




তালকানা = বেতাল হওয়া

তুলসী বনের বাঘ = ভণ্ড

তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী

তুলা ধুনা করা = দুর্দশাগ্রস্ত করা

তামার বিষ = অর্থের কু প্রভাব

তুষের আগুন = দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা

তালপাতার সেপাই = ক্ষীণজীবী

তীর্থের কাক = প্রতীক্ষারত (একই রকম বাগধারা : ভূশণ্ডির কাক- দীর্ঘজীবী)

তিলকে তাল করা = বাড়িয়ে বলা




থ বনে যাওয়া = স্তম্ভিত হওয়া

থরহরি কম্প = ভীতির আতিশয্যে কাঁপা




দা-কুমড়া = ভীষণ শত্রুতা (সমার্থক বাগধারা : অহি-নকুল সম্বন্ধ)

দেঁতো হাসি = কৃত্রিম হাসি

দহরম মহরম = ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক

দাদ নেওয়া = প্রতিশোধ নেয়া

দুধে ভাতে থাকা = খেয়ে-পড়ে সুখে থাকা

দুকান কাটা = বেহায়া

দিনকে রাত করা = সত্যকে মিথ্যা করা

দুধের মাছি = সু সময়ের বন্ধু

দু মুখো সাপ = দু জনকে দু রকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টিকারী




ধরাকে সরা জ্ঞান করা = সকলকে তুচ্ছ ভাবা

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে = সত্য গোপন থাকে না

ধড়া-চূড়া = সাজপোশাক

ধর্মের ষাঁড় = যথেচ্ছাচারী

ধরাকে সরা জ্ঞান করা = অহঙ্কারে সবকিছু তুচ্ছ মনে করা

ধরি মাছ না ছুঁই পানি = কৌশলে কার্যাদ্ধার




ননীর পুতুল = শ্রমবিমুখ

নামকাটা সেপাই = কর্মচ্যূত ব্যক্তি (একই রকম বাগধারা : তালপাতার সেপাই- ক্ষীণজীবী)

নয় ছয় = অপচয়

নথ নাড়া = গর্ব করা

নাটের গুরু = মূল নায়ক

নেই আঁকড়া = একগুঁয়ে

নাড়ি নক্ষত্র = সব তথ্য

নগদ নারায়ণ = কাঁচা টাকা/ নগদ অর্থ

নিমক হারাম = অকৃতজ্ঞ

নেপোয় মারে দই = ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি

নিমরাজি = প্রায় রাজি




পটল তোলা = মারা যাওয়া

পুঁটি মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে যায় (বিপরীতার্থক বাগধারা : কৈ মাছের প্রাণ- যা সহজে মরে না)

পগার পার = আয়ত্তের বাইরে পালিয়ে যাওয়া

পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটা = বড় রকমের চুরি

পটের বিবি = সুসজ্জিত

পুকুর চুরি = পুরোনো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করা

পত্রপাঠ = অবিলম্বে/সঙ্গে সঙ্গে

পোঁ ধরা = অন্যকে দেখে একই কাজ করা

পালের গোদা = দলপতি

পোয়া বারো = অতিরিক্ত সৌভাগ্য

পাকা ধানে মই = অনিষ্ট করা

প্রমাদ গোণা = ভীত হওয়া

পাখিপড়া করা = বার বার শেখানো

পায়াভারি = অহঙ্কার

পাততাড়ি গুটানো = জিনিসপত্র গোটানো

পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা = অপরকে দিয়ে কাজ উদ্ধার

পাথরে পাঁচ কিল = সৌভাগ্য

পরের ধনে পোদ্দারি = অন্যের অর্থের যথেচ্ছ ব্যয়




ফপর দালালি = অতিরিক্ত চালবাজি

ফুলের ঘাঁয়ে মূর্ছা যাওয়া = অল্পে কাতর

ফুলবাবু = বিলাসী

ফোড়ন দেওয়া = টিপ্পনী কাটা

ফেউ লাগা = আঠার মতো লেগে থাকা




বক ধার্মিক = ভণ্ড সাধু

বাজখাঁই গলা = অত্যন্ত কর্কশ ও উঁচু গলা

বইয়ের পোকা = খুব পড়ুয়া

বাড়া ভাতে ছাই = অনিষ্ট করা

বগল বাজানো = আনন্দ প্রকাশ করা

বায়াত্তরে ধরা = বার্ধক্যের কারণে কাণ্ডজ্ঞানহীন

বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো = সহজে খুলে যায় এমন

বিদ্যার জাহাজ = অতিশয় পণ্ডিত

বসন্তের কোকিল = সুদিনের বন্ধু

বিশ বাঁও জলে = সাফল্যের অতীত

বিড়াল তপস্বী = ভণ্ড সাধু

বিনা মেঘে বজ্রপাত = আকস্মিক বিপদ

বর্ণচোরা আম = কপট ব্যক্তি

বাঘের দুধ = দুঃসাধ্য বস্তু

বরাক্ষরে = অলক্ষুণে

বাঘের চোখ = দুঃসাধ্য বস্তু

বাজারে কাটা = বিক্রি হওয়া

বিসমিল্লায় গলদ = শুরুতেই ভুল

বালির বাঁধ = অস্থায়ী বস্তু

বুদ্ধির ঢেঁকি = নিরেট মূর্খ

বাঁ হাতের ব্যাপার = ঘুষ গ্রহণ (*একই রকম বাগধারা : ডান হাতের ব্যাপার- খাওয়া)

ব্যাঙের আধুলি = সামান্য সম্পদ

বাঁধা গৎ = নির্দিষ্ট আচরণ

ব্যাঙের সর্দি = অসম্ভব ঘটনা




ভরাডুবি = সর্বনাশ

ভাঁড়ে ভবানী = নিঃস্ব অবস্থা

ভস্মে ঘি ঢালা = নিষ্ফল কাজ

ভূতের ব্যাগার = অযথা শ্রম

ভাদ্র মাসের তিল = প্রচণ্ড কিল

ভূঁই ফোড় = হঠাৎ গজিয়ে ওঠা

ভানুমতীর খেল = অবিশ্বাস্য ব্যাপার

ভিজে বিড়াল = কপটাচারী

ভাল্লুকের জ্বর = ক্ষণস্থায়ী জ্বর

ভূশন্ডির কাক = দীর্ঘজীবী (একই রকম বাগধারা : তীর্থের কাক- প্রতীক্ষারত)




মগের মুল্লুক = অরাজক দেশ

মুখে দুধের গন্ধ = অতি কম বয়স

মণিকাঞ্চন যোগ = উপযুক্ত মিলন

মুস্কিল আসান = নিষ্কৃতি

মন না মতি = অস্থির মানব মন

মেনি মুখো = লাজুক

মড়াকান্না = উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ

মাকাল ফল = অন্তঃসারশূণ্য

মাছের মায়ের পুত্রশোক = কপট বেদনাবোধ

মিছরির ছুরি = মুখে মধু অন্তরে বিষ

মশা মারতে কামান দাগা = সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন

মুখে ফুল চন্দন পড়া = শুভ সংবাদের জন্য ধন্যবাদ

মুখ চুন হওয়া = লজ্জায় ম্লান হওয়া

মেছো হাটা = তুচ্ছ বিষয়ে মুখরিত




যক্ষের ধন = কৃপণের ধন

যমের অরুচি = যে সহজে মরে না




রত্নপ্রসবিনী = সুযোগ্য সন্তানের মা

রাবণের গুষ্টি = বড় পরিবার

রাঘব বোয়াল = সর্বগ্রাসী ক্ষমতাবান ব্যক্তি

রায় বাঘিনী = উগ্র স্বভাবের নারী

রাবণের চিতা = চির অশান্তি

রাজ যোটক = উপযুক্ত মিলন

রাশভারি = গম্ভীর প্রকৃতির

রাহুর দশা = দুঃসময়

রাই কুড়িয়ে বেল = ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ

রুই-কাতলা = পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি

রাজা উজির মারা = আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প




লগন চাঁদ = ভাগ্যবান

লাল বাতি জ্বালা = দেউলিয়া হওয়া

ললাটের লিখন = অমোঘ ভাগ্য

লাল হয়ে যাওয়া = ধনশালী হওয়া

লাল পানি = মদ

লেজে গোবরে = বিশৃঙ্খলা

লেফাফা দুরস্ত = বাইরের ঠাট বজার রেখে চলেন যিনি




শকুনি মামা = কুটিল ব্যক্তি

শিরে সংক্রান্তি = বিপদ মাথার ওপর

শাঁখের করাত = দুই দিকেই বিপদ (সমার্থক বাগধারা : উভয় সঙ্কট, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ)

শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়া = আলস্যে সময় নষ্ট করা

শাপে বর = অনিষ্টে ইষ্ট লাভ

শরতের শিশির = সুসময়ের বন্ধু

শিকায় ওঠা = স্থগিত

শত্রুর মুখে ছাই = কুদৃষ্টি এড়ানো

শিঙে ফোঁকা = মরা

শ্রীঘর = কারাগার

শিবরাত্রির সলতে = একমাত্র সন্তান




ষোল কলা = পুরোপুরি

ষাঁড়ের গোবর = অযোগ্য

ষোল আনা = পুরোপুরি




সবুরে মেওয়া ফলে = ধৈর্যসুফল মিলে

সাতেও নয়, পাঁচেও নয় = নির্লিপ্ত

সরফরাজি করা = অযোগ্য ব্যক্তির চালাকি

সাপের পাঁচ পা দেখা = অহঙ্কারী হওয়া

সাত খুন মাফ = অত্যধিক প্রশ্রয়

সোনায় সোহাগা = উপযুক্ত মিলন

সাত সতের = নানা রকমের

সাক্ষী গোপাল = নিষ্ক্রিয় দর্শক

সাপের ছুঁচো গেলা = অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে কাজ করা

সখাত সলিলে = ঘোর বিপদে পড়া (সমার্থক বাগধারা : অকূল পাথারে)

সেয়ানে সেয়ানে = চালাকে চালাকে

সব শেয়ালের এক রা = ঐকমত্য

সবে ধন নীলমণি = একমাত্র অবলম্বন




হাটে হাঁড়ি ভাঙা = গোপন কথা প্রকাশ করা

হাতের পাঁচ = শেষ সম্বল

হাতটান = চুরির অভ্যাস

হীরার ধার = অতি তীক্ষ্ণবুদ্ধি

হ য ব র ল = বিশৃঙ্খলা

হোমরা চোমরা = গণ্যমান্য ব্যক্তি

হাতুড়ে বদ্যি = আনাড়ি চিকিৎসক

হিতে বিপরীত = উল্টো ফল

হরিলুট = অপচয়

হাড় হদ্দ = নাড়ি নক্ষত্র/ সব তথ্য

হস্তীমূর্খ = বুদ্ধিতে স্থূল

হালে পানি পাওয়া = সুবিধা করা

হাড়ে দুর্বা গজানো = অত্যন্ত অলস হওয়া

হাড় হাভাতে = মন্দভাগ্য

হরি ঘোষের গোয়াল = বহু অপদার্থ ব্যক্তির সমাবেশ


বোনাস হিসেবে দেয়া হল বাংলা ভাষার বহুল ব্যবহৃত কিছু সমার্থক শব্দ।

সমার্থক শব্দ কাকে বলে?
যে সকল শব্দ একই অর্থ প্রকাশ, তাদের সমার্থক বা একার্থক শব্দ বলে।

সমার্থক শব্দের তালিকাঃ

সূর্য = দিবাকর, প্রভাকর, ভাস্কর, রবি, তপন, দিনেশ, ভানু, রোদ, সবিতা, আদিত্য, মার্তন্ড, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, অংশু, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা

পৃথিবী = ধরা, ধরাধাম, ধরণী, ধরিত্রী, ভুবন, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, বিশ্ব, পৃথিবী, দুনিয়া, জগত, সংসার, সৃষ্টি, মর্ত, মর্তধাম, মহী, মেদিনী, অবনী, স্থলভাগ, ভূ-মণ্ডল, ইহলোক

আলো = বাতি, প্রদীপ, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা,

সাগর = সমুদ্র, বারিধি, পারাবার, পাথার, বারীন্দ্র, অর্ণব, সিন্ধু, জলনিধি, জলধি, জলধর, সায়র, জলাধিপতি, রত্নাকর , বরুণ, দরিয়া, বারীন্দ্র, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি

অগ্নি = আগুন, জ্বালানি, তেজ, শিখা, অনল, বহ্নি, হুতাশন, পাবক, দহন, সর্বভূক, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

পর্বত = পাহাড়, অচল, অদ্রি, গিরি, ভূধর, শৈল, অটল, চূড়া, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র

সোনা= স্বর্ণ, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ

বন = কানন অরণ্য, জঙ্গল, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহন

পাখি = পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ

আকাশ = গগন, অম্বর, নভঃ, ব্যোম, ঊর্ধ্বলোক, মেঘমণ্ডল, আসমান, নভোমণ্ডল, খগ, অন্তরীক্ষ

অন্ধকার = আঁধার, তমসা, তিমির, তমঃ, তমিস্রা, আন্ধার, তমস্র

ঈশ্বর = সৃষ্টিকর্তা, ভগবান, বিধাতা, বিষ্ণু, আল্লাহ, খোদা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, আদিনাথ

দেবতা = অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অজর, ঠাকুর

জল = পানি, অম্বু, জীবন, নীর সলিল, বারি, উদক, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়

বৃক্ষ = গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ

বায়ু = বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ

চাঁদ = চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, সুধাংশু, হিমাংশু, চন্দ্রমা, শশী, সুধাকর, সোম, ইন্দু, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত

মানুষ = ‍লোক,মানব, মনুষ্য, জন, নৃ, নর

মৃত্যু = ইন্তেকাল, ইহলীলা-সংবরণ, ইহলোক ত্যাগ, চিরবিদায়, জান্নাতবাসী হওয়া, দেহত্যাগ, পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, পরলোকগমন, লোকান্তরগমন, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, স্বর্গলাভ

মহৎ = উন্নত, উদার, মহান, বড়, বিশিষ্ট, বিশাল, বৃহৎ, মস্ত, মহানুভব, বদান্য, মহীয়ান

পণ্ডিত = বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ

চালাক = চতুর, বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, সপ্রতিভ

সাহসী = অভীক, নির্ভীক

অপূর্ব =আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, অদ্ভুত, সুন্দর

উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত

কপাল = ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক

ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

পর্দা = আড়াল, পরদা, পর্দা, যবনিকা, মশারি, অভিনয়শেষ, অবগুণ্ঠন, আবরণ, ছদ্মবেশ, ত্তড়, আচ্ছাদন, প্রাবরণ, মুড়ি, বিছানার চাদর, ঝিল্লী, জীবদেহের ঝিল্লি, উদ্ভিদ্দেহের ঝিল্লি

মাটি = ক্ষিতি, মৃত্তিকা

উত্তম = সেরা, শ্রেষ্ঠ, প্রকৃষ্ট, ভালো, অগ্রণী, অতুল

দৃষ্টান্ত = উদাহরণ, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা

একতা = ঐক্য, ঐক্যবদ্ধ, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, একাত্মতা, একীভাব

পূর্ণ = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, অখন্ড, সমগ্র, সমাগ্রিক

আদি = প্রথম, প্রাচীন, মূল, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,

আইন = নিয়ম, কানুন, বিধি, বিধান, ধারা, অনুবিধি। বিহিতক, অধিনিয়ম, উপবিধি, বিল, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা

আসল = প্রকৃত, খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, যথার্থ

আনন্দ = সুখ, হাসি, খুশি, হাসিখুশি, মজা, হর্ষ, হরষ, পুলক,স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, উল্লাস, তুষ্টি

দু:খ = কষ্ট, মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস

অবস্থা = দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল

অক্ষয় = ক্ষয়হীন, চিরন্তন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী

খ্যাতি = যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি,
প্রতিষ্ঠা।

কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী,

ফুল = পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন

পদ্ম = কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল,
সরসিজ, কুমুদ

মেঘ = জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর

বিদ্যুত = বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা

নদী = তটিনী, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী

নৌকা = নাও, তরণী, জলযান, তরী

তীর = কূট, তট, সৈকত, কূল, পাড়, পুলিন, ধার, কিনারা

ঢেউ= তরঙ্গ, ঊর্মি, লহরী, বীচি, মওজ

রাত = রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা

দিন = দিবস, দিবা, দিনমান

দেহ = গা, গতর, গাত্র, তনু, শরীর, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, অঙ্গ, অবয়ব, , কাঠামো, আকৃতি

ঘর = গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান

ধন = অর্থ, বিত্ত, বিভব, সম্পদদেহ,

দ্বন্দ্ব = বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ

নারী = অবলা, কামিনী, মহিলা, স্ত্রীলোক, রমণী, ললনা, অঙ্গনা, ভাসিনী, কান্তা, সীমন্তনী

স্ত্রী = পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ, অর্ধাঙ্গী, জীবন সাথী, বউ, গৃহিণী, গিন্নী

পিতা = বাবা, আব্বা, জনক,

মাতা = মা, গর্ভধারিণী, প্রসূতি, জননী, জন্মদাত্রী

পুত্র = ছেলে, তনয়, নন্দন, সুত, আত্মজ

কন্যা = মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

কোকিল = পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

গরু = গো, গাভী, ধেনু

রাজা = নৃপতি, নরপতি, ভূপতি, বাদশাহ

স্বর্গ = দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত

বিলাস = আরাম, শৌখিনতা

উঁচু = লম্বা, দীর্ঘ, মহৎ, বড় বড়, উঁচা, উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ

অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, নিরলস, অনলস, পরিশ্রমী, অদম্য, উদ্যমী, অশ্রান্ত

অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম

সাপ = অহি, আশীবিষ, নাগ, ফণী, ভুজঙ্গ, সর্প, উরহ, নাগিনী, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক

হাতি = হস্তী, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর

ঘোড়া = অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

হাত = কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি

চুল = অলক, কুন্তল, কেশ, চিকুর

চোখ = অক্ষি, চক্ষু, নয়ন, নেত্র, লোচন, আঁখি, দর্শনেন্দ্রিয়

কান = কর্ণ, শ্রবণ

লাল = লোহিত, রক্তবর্ণ

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কষ্টসাধ্য এবং শিক্ষণীয় পোস্ট।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো জিনিস। :D

প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম কত কত পড়তে হয়েছে তখন

ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভালো পোস্ট!

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: আমার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় পোষ্ট । প্রিয়তে নিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আবার বহু আঞ্চলিক কথা আছে যা বইয়ে নেই।

যেমন আমাদের গ্রামে একটা কথা আছে- ছোট লোকের পোলায় যদি জমিদারি পায় কানের আগায় কলম গুঁজে বাইজি নাচায়।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
কঠিন পোস্ট ।
তবে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম ।
এই জ্ঞানী পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: উপকারি পোষ্ট ,, প্রিয় তে রাখলাম ।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। অর্ধেকের বেশিটা পড়েছি ।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

মা.হাসান বলেছেন: কিছু বদলাইয়া গিয়াছে, নতুন কিছু ঢুকিয়াছে, কিছুর মানে বদলাইয়া গিয়াছে।

অকাল কুষ্মান্ড= ব্লগার
অগাধ জলের মাছ= মন্ত্রী
অতি চালাকের গলায় দড়ি= অতি চালাকের ক্যাসিনোয় তালা
থ বনে যাওয়া= ব্যান খাওয়া

ইত্যাদি।

সহকর্মি বলিলেন গত রাতে উনি গায়ে হলুদের দাওয়াতে গিয়াছিলেন। সারা অনুষ্ঠানে কেবল হিন্দি গানই বাজানো হইয়াছে। বাংলা বাগধারা ক্রমে হারাইয়া যাইতে পারে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: উপকারী পোস্ট।

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

প্রামানিক বলেছেন: উপকারী পোষ্ট সবার কাজে লাগবে

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

এস সুলতানা বলেছেন: শিক্ষামূলক অনেক উপকারী পোস্ট সবার জন্য প্রযোজ্য

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাগধারার বিশাল সমাহার । প্রয়োজনে কাজে দিবে । প্রিয়তে রাখলাম । এখন প্রত্যেকেই যদি মন্তব্যের ঘরে দু এক একটি করে নতুন ভাগধারা সংযোজন ও সেগুলির ভাবসম্প্রসারণ করে যান তাহলে বাংলা ভাষার এই জনপ্রিয় ব্লগটি সমৃদ্ধ হবে ।
উদাহরণস্বরূপ এ পোষ্টের সাথে ভাবসম্প্রসারণ সহ কয়েকটি ভাগধারা যুক্ত করে গেলাম ।

১) সোনার পাথর বাটি : নিরর্থক বিষয়
কোন এক কালে একজন বিত্তশালী জমিদার তাঁর গায়ের এক স্যাকরাকে ডেকে পাঠালেন। স্যাকরার হাতে একটি সোনার পিন্ড দিয়ে বললেন, ‘তুমি আমার জন্য এই সোনা দিয়ে দুধ পানের উপযুক্ত একটি সুন্দর বাটি বানিয়ে দাও। তাতে যেন কোনরকমে খাদ মেশানো না হয়। সবদিক থেকে নিখুঁত সুন্দর বাটি চাই। তখন স্যাকরাটি ‘যে আজ্ঞে’ বলে সোনার পিন্ডটি নিয়ে চলে গেল। তারপর সে মনে মনে ভাবল, “কি করে সোনাটিকে আত্মসাৎ করা যায়। আবার, জমিদারকে ঠকালে শাস্তি পেতে হবে।” বহু চিন্তাভাবনার পর সে ঠিক করল সোনার জলে চিবিয়ে সোনালী রং লাগিয়ে কারুকার্য্য খচিত একটি পাথরবাটি নিয়ে জমিদার বাবুকে দেব। যে রূপ ভাবা সেরূপ কাজ , সেইরকম সোনালী রংগের কারুকার্যময় একটি বাটি তৈরী করে সেটি নিয়ে সে জমিদারকে দেখাল। জমিদার বললেন, তুমি এটা কি এনেছ ?” স্যাকরা বলল,- ‘সোনার বাটি বহু কষ্টে তৈরী করেছি।’ জমিদার বললেন, ‘আমি তো এটাকে একটি পাথরবাটি দেখছি! তুমি কি আমার সঙ্গে চালাকি করছ!’ তখন স্যাকরা বলে উঠল,‘বাবু এটা সোনার পাথর বাটি।’
এর মধ্যে হিতোপদেশহলো:
সোনার পাথরবাটি কথাটি অর্থহীন। হয় সোনার বাটি, নয়তো পাথরের বাটি বলতে হয়। অনেকেই বলে থাকেন , খাটি সরিষার তেল , খাটি দুধ, অআবার অনেকে বলেন ‘হিন্দু বৈষ্ণব’, ‘যবন বৈষ্ণব’, ‘ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব’, ‘শুদ্র বৈষ্ণব’, ইত্যাদি। কিন্তু যখনই বৈষ্ণব বলা হচ্ছে তখনই বুঝতে হবে তিনি কোন জাতিভেদের অন্তর্গত নন। হিন্দু বৈষ্ণব, যবন বৈষ্ণব, কাঁঠালের আমসত্ত্ব, সোনার পাথর বাটি এসব কথা নিরর্থক ও ক্ষেত্রবিশেষে অপরাধমূলকও বটে।

২) হাঁড়িতে ভাত ঠনঠন করছে
হাঁড়িতে ভাত ঠনঠন করছে - The cooking pot is empty of rice. সেই অতীত কাল হতে এখনো অনেকে বলছে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, অথচ জনগন যে তিমিরে ছিল এখনো সেই তিমিরেই আছে , এ যেন হাঁড়িতে ভাত ঠন ঠন করার মত ।

৩) চিনির বলদ
চিনির বলদ – পরের বোজা বাহিয়া যাহার জীবন যায় । যেমন তিনি খান চিনি, আর তা যোগান চিন্তামনি ।
চিনির বলদ (ভারবাহী কিন্তু লাভের অংশীদার নয়) সংসারে দিনরাত খেটে মরছি কিন্তু চিনির বলদের মতাে লাভের. লাভ কিছুই পাই না। আমার আমার যত কর, চিনির বলদ হয়ে মর।

শুভেচ্ছা রইল

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

Rakib313 বলেছেন: Great

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

রাকু হাসান বলেছেন:


প্রিয়তে নিলাম , চোখ বুলাবো । ধন্যবাদ।

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

শায়মা বলেছেন: বাহ! যারা আজকাল আর বাগধারা মনে রাখেনা তাদের জন্য উপকারী!!!!!

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: বিসিএস আর সরকারী জবের পরীক্ষা দেওয়ার বয়স হারাইয়া গেছে। পোস্টটা অনেক আগে দরকার ছিলো।

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ সফট ভার্শন হাতের কাছে পেয়ে খুব ভাল হলো।
ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.