নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
দুধে পানি মেশানো কি না, ল্যাকটোমিটার ব্যবহার করে তা বুঝবেন যেভাবে:
দুধের উপকারিতা সর্বজনবিদিত:
দুধের পুষ্টি গুন নতুন করে বলার বোধ করি প্রয়োজন নেই। প্রচুর পুষ্টি-উপাদানে সমৃদ্ধ দুধ একটি আদর্শ খাদ্য এবং পানীয়। সকল প্রকারের খাদ্য গুনের সমাহার থাকায় কেবল দুধ পান করেই শিশুদের বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। ক্যালসিয়াম ছাড়া দুধের মধ্যে ফসফরাস, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। দুধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ক্লান্তি দূর করতে একগ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী। গরম দুধ ক্লান্ত পেশি সতেজ করতে সাহায্য করে।
তবুও কি বিশ্বাস রাখার আছে কোনো উপায়?
কিন্তু এতসব গুনের আধার দুধের উপরেও আজ আর বিশ্বাস রাখার উপায় নেই। অসাধু লোকেরা ভ্যাজাল মিশাচ্ছে দুধেও। গরুর দুধে পানি মিশিয়ে, পাউডার পানিতে গুলিয়ে ইত্যাদি নানান উপায়ে নকল দুধ বানিয়ে বাজারে বিক্রি করছে খাঁটি গরুর দুধ বলে। টাকা পয়সা খুইয়ে নকল দুধ কিনে প্রতিনিয়ত: এদের হাতে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
দুধের আরও কিছু উপকারিতা:
দুধ খেলে শরীরে মেলটনিন ও ট্রাইপটোফ্যান হরমোন নিঃসৃত হয়, এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে। দুধে রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ডের পেশির সুস্থতা বজায় রাখে। তাছাড়া এর খনিজ উপাদান হৃদপিণ্ড সতেজ রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও করতে পারে। এতে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের জন্য খুব উপকারী। তাছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের জন্যও জরুরি।
দুধে পানি মেশানো কি না তা বোঝার উপায়:
দুধের যতখানি উপকারিতা তা পাওয়া যাবে যদি দুধ খাঁটি হয়। কিন্তু বর্তমানে অধিক লাভের জন্য দুধের সাথে পানি মিশিয়ে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। পানি মিশ্রিত ভেজাল দুধ খেলে উপকার মিলবে না তেমন। তাই জেনে নেয়া প্রয়োজন গরুর দুধে পানি মেশানো আছে কি না তা বোঝার উপায়-
সাধারণত: এটি বুঝতে পারা কঠিন, দুধে অন্য কোনো পদার্থ মিশ্রিত রয়েছে কি না। তবে এটি পরিমাপ করার জন্য একটি যন্ত্র আছে যাকে বলে ল্যাক্টোমিটার। এই যন্ত্রটির ব্যবহারে আপনি দুধের সঠিকত্ব যাচাই করার সুবিধা পাবেন।
ল্যাক্টোমিটার যেভাবে ব্যবহার করতে হবে:
ল্যাক্টোমিটার পানি এবং দুধের সঠিক ঘনত্ব পরিমাপ করে। ল্যাক্টোমিটার খুবই উপকারী একটি যন্ত্র। এই পরিমাপক যন্ত্রের মধ্যে লাল রেখা দেখা যায় যেখানে পরিমাপের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নম্বর দেয়া থাকে।
যখন এই লাল রেখা ৩০ নম্বরে থাকে তার মানে হচ্ছে দুধে অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ খুব কম। যদি এই দাগ ৩০ এর উপর যায় তাহলে পরিমাপক যন্ত্র অনুযায়ী ১/৪ পানি, আরো উপরে গেলে অর্ধেক পানি অর্ধেক দুধ। লাল রেখাটি এর থেকেও উপরে যদি উঠতে থাকে তাতে বুঝা যাবে অল্প দুধ আর বাকিটুকু মিশ্রিত পানি।
ধরুন আপনি একটি দুধের পাত্রে ল্যাক্টোমিটার যন্ত্রটি প্রবেশ করালেন যদি লাল রেখাটি ৩০ এর ঘরে থাকে তাহলে দুধে পানির পরিমাণ খুব সীমিত অথবা নেই। এ থেকেই বোঝা যায় দুধটি খুব শুদ্ধ এবং শরীরের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত।
পরিশেষে:
মনে রাখতে হবে, নিয়মিত দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারদ্রব্য গ্রহণ করলেই দুধের উপকারিতা পাওয়া সম্ভব নয়। দুধের সঠিক উপকারিতা পেতে প্রয়োজন খাঁটি গরুর দুধ। তাই সবার আগে খাঁটি দুধ খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। সচেতনতা তৈরি করতে হবে সকলের ভেতরে। দুধের ভ্যাজালরোধে, খাঁটি দুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এই ছোট্ট যন্ত্রটি আজই সংগ্রহ করে রাখুন না।
ছবি: অন্তর্জাল।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
এ গরিবের ব্লগ বাড়িতে স্বাগত আপনাকে। সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন। মায়ের হাতের সেই স্মৃতিগুলো আজও কাঁদায়। মাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান বানিয়ে নিন প্রিয়তম রব।
আপনার দুআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। আপনি ব্লগ জয় করবেন।
শুভকামনা আপনার জন্যও সবসময়।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার সমস্ত মন্দ লোক ভালো ভালো খাবার খায়।
সৎ মানুষ খায় ভেজাল খাবার।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
কথাটা খারাপ বলেন নি। অবস্থাটা এখন এমনই পর্যায়ে চলে এসেছে। ভেজালের সমারোহে নিরীহ নিপাট সত আর সাধু ভদ্রলোকদের বেঁচে থাকা সাকুল্যেই কঠিন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ল্যাকটোমিটার প্রাপ্তির স্থান:
ল্যাকটোমিটার পাওয়া যাবে হাটখোলা রোড, ঢাকা। মতিঝিল ইত্তেফাক ভবন মোড় থেকে হাতের বাম দিক দিয়ে অভিসার সিনেমা হলের সড়কটিকে হাটখোলা রোড বলে এখানে সায়েন্স ল্যাব ইকুইপম্যান্ট পাওয়া যায়। যদিও প্যাকেটজাত দুধে পানি আছে না বিষ আছে তা পরিক্ষা করে কোনো লাভ নেই, তবে গ্রাম মফস্বল অঞ্চলে ল্যাকটোমিটার খুবই কার্যকরী মূলক একটি ইকুইপম্যান্ট।
গ্রাম্য পরিক্ষা:
দুধের পাত্রে হাতের এক আঙ্গুল ডুবিয়ে এক ফোটা শুধু মাত্র এক ফোটা দুধ নিয়ে এক টুকরো কলাপাতায় দিয়ে কলাপাতাটি ৪৫ ডিগ্রি এঙ্গেলে কাত করে যদি দেখা যায় দুধের ফোটাটি পানির মতো গড়িয়ে পড়ছে তাহলে বুঝতে হবে দুধে পানি আছে। আর দুধের ফোটা যদি পাতার সাথে টলমল হয়ে আটকে থাকে তাহলে দুধে পানি নেই।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই,
ল্যাকটোমিটার প্রাপ্তিস্থানের ঠিকানাটা সবিস্তারে বলে দেয়ায় অশেষ ধন্যবাদ। এতে অনেকেরই উপকার হবে। যাদের প্রয়োজন তারা এই ঠিকানায় গিয়ে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
আপনার গ্রাম্য পরিক্ষার আইডিয়াটাও সুন্দর। টেস্ট করে দেখা যেতে পারে। এছাড়া দুধের সঠিকত্ব পরিক্ষা করার জন্য আরও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-
এক. কার্বোহাইড্রেট মিশানো রয়েছে কি না: দুধ গরম করতে গেলেই যদি হলদেটে হয়ে আসে তাহলে বুঝতে হবে, সেই দুধ খাঁটি নয়। ধরে নিতে হবে, সেই দুধে কার্বোহাইড্রেট মিশানো রয়েছে।
দুই. দুধে ফর্মালিন রয়েছে কি না তা বুঝতে: দুধে ফর্মালিন রয়েছে কি না তা বুঝতে, দুধের মধ্যে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি দুধের রঙ নীল হয়, তবে বুঝে নিতে হবে ফর্মালিন মেশানো হয়েছে তাতে।
তিন. মাটিতে সাদা দাগ দেখে দুধের সঠিকত্ব যাচাই: একটু দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। আর ভেজাল হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।
চার. দুধে কার্বোহাইড্রেট এর উপস্থিতি পরিক্ষা: এই পরিক্ষাটাও বাড়িতেই করা যায়। এবং সহজ একটি পরিক্ষা এটি। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ লবণ মেশান। যদি লবণের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তাহলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট মিশ্রিত রয়েছে।
পাঁচ. ডিটারজেন্ট এর উপস্থিতি পরিক্ষা: যতটুকু দুধ ঠিক ততটুকু পানি মেশান একটি বোতলে। এবার বোতলের মুখ বন্ধ করে জোরে ঝাঁকান কিছুক্ষন। যদি দেখেন, অস্বাভাবিক ফেনা হচ্ছে, তাহলেই বুঝে নিতে হবে, দুধে মেশানো আছে ডিটারজেন্ট।
ছয়. দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না: দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না তা ঘরোয়া উপায়ে নির্ণয় করা একটু কঠিন বৈকি। তবে একান্তই বুঝতে চাইলে এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছুক্ষণ রেখে এতে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমাস নীল হয়, তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে সেই দুধে।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে। আপনার দেয়া ঠিকানাটা পোস্ট এডিট করে মূল পোস্টে যুক্ত করে দিব কি?
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বি:দ্র: ০৩ নং মন্তব্যটি মুছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, মুছে দিয়েছি। তবে দেরি হওয়ায় দু:খিত!
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা অবশ্য এখানে খাটিটাই পাই, তবে দেশের সবার জন্য খুবই জরুরী এবং উপকারী পোষ্ট।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি লোকও কিন্তু শতভাগ খাঁটি। ভাবী কি এর বিপরীত কিছু মনে করেন কখনো?
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর উপকারি পোষ্ট
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২২
শায়মা বলেছেন: ভাবছিলাম কোথায় পাওয়া যায়।
ঠাকুরভাইয়ার কমেন্টে জেনে গেলাম।
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:০৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক ভালোলাগা। দরকারী পোস্ট....
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবী কি এর বিপরীত কিছু মনে করেন কখনো? মাঝে-মধ্যে মতের মিল না হলে মনে তো করেই!
১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অবস্যই মুল পোষ্টে যোগ তরে দিন। বাংলাদেশে সায়েন্স ল্যাব ইকুইপম্যান্ট এর সবচেয়ে বড় মার্কেট হাটখোলা রোড। এটিও উল্লেখ করে দিবেন এবং আপনার প্রতিমন্তব্য নানাভাবে দুধ পরিক্ষা করার পদ্ধতিগুলোও পোষ্টে যোগ করে দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
তরুন ছিল রংগিন বলেছেন: দুধ একটি পুষ্টিকর পানীয়। ছোট বেলায় আম্মুর এক হাতে লাঠি আরেক হাতে দুধের গ্লাস ম না খেলে উপাই থাকতো না ।
হে আল্লাহ্ যারা এই পুষ্টিকর দুধে ভেজাল ও পানি মিশিয়ে থাকে তাদের হেদায়েত দান করো?
উপকারী পোষ্ট। শুভ কামনা রইলো নাকিব ভাই।