নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদগুলো, পর্ব-০৩

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ জামে আল জাজেইর এর দৃষ্টিনন্দন মিনার

আবু ধাবির শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদগুলো, পর্ব-০৩

সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত আবু ধাবির শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ



সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন মসজিদ রয়েছে। প্রায় সবক’টির স্থাপত্যশৈলী নয়নাভিরাম। মনোমুগ্ধকর এসব মসজিদ দেখতে বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা ভীড় করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে চোখ ধাঁধানো আবু ধাবির। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।

আমিরাতের সর্ববৃহৎ মসজিদ:
শ্বেত মার্বেলে নির্মিত শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ আমিরাতের সর্ববৃহৎ ও পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। আমিরাতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামানুসারে এর নামকরণ হয়েছে। মসজিদের পাশেই তার সমাধি।



৩০ একর জায়গার উপরে নির্মিত এই মসজিদ:
মসজিদটি নকশা করেছেন সিরিয়ার স্থপতি ইউসুফ আবদেলকি। ১৯৯৬ সালে ৩০ একর জায়গায় এর নির্মাণকাজ শুরুর পর শেষ হয় ২০০৭-এ। এজন্য খরচ হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। পারস্য, মোগল ও আলেকজান্দ্রিয়া মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে গড়া হয়েছে এটি। কেন্দ্রীয় চত্বরের নকশা মরক্কোর বাদশা দ্বিতীয় হাসান মসজিদ ও পাকিস্তানের বাদশাহী মসজিদের শৈলীতে অনুপ্রাণিত।

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪২০ মিটার, প্রস্থ ২৯০ মিটার। এতে ছোটবড় সাত আকারের ৮২টি গম্বুজ ও ১০৭ মিটার উঁচু চারটি মিনার রয়েছে। মিনারগুলোর নিচের ভাগ মিসরীয় মামলুক ধারার চৌকো আকৃতির, মধ্যভাগ উত্তর আফ্রিকার ফাতিমি আমলের ষড়ভুজ আকৃতির এবং ওপরের ভাগ তুরস্কের উসমানীয় আমলের গোলাকৃতির। মসজিদের নকশার একটি ডামি প্রবেশমুখে কাচের বাক্সে রাখা আছে। এটি দেখলে একনজরে পুরো মসজিদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।



উন্নত কারুকাজে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ:
আলোকিত মসজিদটিতে রয়েছে ইরান থেকে আনা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কার্পেট (৬০ হাজার ৫৭০ বর্গফুট) ও সর্ববৃহৎ রঙিন ঝাড়বাতি (১০ মিটার ব্যাস ও ১৫ মিটার উঁচু)। পুরো মেঝেতে ১৭ হাজার বর্গমিটারের চোখধাঁধানো মার্বেল মোজাইকের কারুকাজ। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চওড়া মার্বেল মোজাইক বলে স্বীকৃত। মসজিদের খুঁটি, দেয়াল, মেঝে, সিলিংসহ অভ্যন্তরীণ কারুকাজে ব্যবহার হয়েছে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা সোনা, মার্বেলসহ মূল্যবান পাথর।

একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন ৪০ হাজার মানুষ:
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। নারীদের জন্য রয়েছে নামাজের আলাদা ব্যবস্থা। এখানকার প্রার্থনাকক্ষ তিনটি। প্রধান প্রার্থনাকক্ষ ছাড়া বাকি দুটি কক্ষ ছোট আকারের। এর মধ্যে একটি কক্ষ নারীদের জন্য। এগুলোতে ২৪ ঘণ্টা কোরআন তেলাওয়াত হয়।

মসজিদের শৌচাগার ও ওজুখানা অত্যাধুনিক। ওজুখানায় রয়েছে গরম ও ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা। বাইরে চারদিকে ফোয়ারা, ফুল ও খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের সারিতে মনোরম পরিবেশ। সবুজের সমারোহে ঘেরা গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গার পাশাপাশি বেজমেন্টেও গাড়ি রাখা যায়।

সবার জন্য উম্মুক্ত মসজিদ:
সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষের জন্য খোলা এই মসজিদ। এটাই এর বিশেষত্ব। তাই আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার পর্যটকের ভিড়ে মুখর থাকে অপরূপ কারুকাজ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক প্রতিদিন এটি দেখতে যান। এর সৌন্দর্যে বিস্মিত হন অনেকে। আবুধাবির পর্যটন শিল্পের বিকাশে এর ভূমিকা অপরিসীম।

আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ জামে আল জাজেইর (Arabic: جامع الجزائر‎):

আফ্রিকার দ্য গ্রেট মস্ক অব আলজিয়ার্স বা জামা আল জাজেইর নামের এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। চার লাখ স্কয়ার মিটার এলাকার ওপর নির্মিত মসজিদটিতে একটি ২৬৫ মিটার (৮৭০ ফুট) মিনার রয়েছে। ওই মিনারের ভেতর একটি পর্যবেক্ষণ ডেকও রয়েছে।



Djamaa el Djazaïr (Arabic: جامع الجزائر‎), also known as the Great Mosque of Algiers (French: Grande mosquée d'Alger), is a mosque in Algiers, Algeria. It houses the world's tallest minaret and is the third-largest mosque in the world after the Great Mosque of Mecca and Al-Masjid an-Nabawi of Medina in Saudi Arabia. সূত্র: উইকিপিডিয়া।

পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ:
আলজিয়ার্স উপকূলের কাছে অবস্থিত যৌগিক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদে একসাথে ১,২০,০০০ (এক লাখ বিশ হাজার) জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এছাড়া মসজিদে যে ভূগর্ভস্থ পার্কিং রয়েছে সেখানে ৭০০০ (সাত হাজার) গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। মসজিদ কমপ্লেক্সে কুরআনিক স্কুল, লাইব্রেরি, রেস্টুরেন্ট, অ্যাম্ফিথিয়েটার এবং আলজেরিয়ার ইতিহাসের জন্য নিবেদিত একটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।

আয়তনের হিসেবে এই মসজিদটি এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। বিশ্বে আয়তনের দিক দিয়ে বৃহত্তম মসজিদ হচ্ছে মক্কার পবিত্র মসজিদ ‘বায়তুল্লাহ এবং মদিনার ‘মসজিদে নববী’। এই দুটি মসজিদই মুসলিমদের পবিত্রতম স্থান এবং প্রতিবছর লাখ লাখ মুসল্লি হজের সময় এই মসজিদে ইবাদত করেন।



৮৬৯ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মিনার:
এদিকে দ্য গ্রেট মস্ক অব আলজিয়ার্স মসজিদের মিনারটি আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু। আগে আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু মিনার ছিল মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কার হাসান দ্বিতীয় মসজিদের।

ওই মসজিদের মিনারের উচ্চতা ২৬৫ মিটার বা ৮৬৯ ফুট। অন্যদিকে গত বছরের শেষের দিকে মসজিদটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমে যাওয়ায় মসজিদটির বাজেট সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে এর নির্মাণ বিলম্বিত হয়।

The mosque also has a 265 m (869 ft) tall minaret, which makes it the tallest building in Africa. সূত্র: উইকিপিডিয়া।



প্রসঙ্গত, আলজিয়ার্সের মসজিদটি নির্মাণ করেছে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)। চীনের বহুজাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা ও বিশ্বব্যাপী ভারী শিল্প ও অবকাঠামো নির্মাণে কাজ করে। ২০১২ ইং সালের ১৬ আগস্ট এটির নির্মান কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালে এর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয় এবং এটি বর্তমানে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর জন্য উম্মুক্ত।



ছবি : অন্তর্জাল।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আমাকে এই মসজিদ গুলোতে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার সৌজন্যে চমৎকার ছবিগুলো দেখা হল।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাংলাদেশেও অনেক সুন্দর মসজিদ আছে।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বিশ্বের মসজিদের ইতিহাসে গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যাচ্ছে
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় নির্মাণাধীন ২০১ গম্বুজ মসজিদ।
নির্মাতাদের দাবি, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম্বুজবিশিষ্ট এবং
দ্বিতীয় উচ্চতম মসজিদের মিনারের মসজিদ হতে যাচ্ছে। মিনারগুলো
৪৫১ ফুট উচ্চতার। ১৫ বিঘা জমির ওপর ৫৭ তলা উচ্চতার বিশ্বের
সবচেয়ে উঁচু ইটের তৈরি মিনারের মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে
মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চমৎকার একটা পোস্ট। ++
বাংলাদেশের মসজিদ দিয়ে একটা পোস্ট আশা করবো।
ঢাকার আর্মি কেন্দ্রীয় মসজিদ টা চমৎকার লাগে।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ইদানিং বাংলাদেশে গতানুগতিক টার্কিশ রীতি, গথিক ডিজাইন থেকে থেকে বের হয়ে সমসাময়িক স্থাপত্যরীতিতে মসজিদ নির্মাণের দিকে ঝুঁকছেন স্থপতিরা। এ ক্ষেত্রে স্থপতি কাশেফ মাহবুব, মেরিনা তাবাসসুম উল্লেখযোগ্য। উত্তরার পেছন দিকে স্থপতি মেরিনা তাবাবসসুম এর ডিজাইন করা একটা মসজিদ আগাখান অ্যাওয়ার্ড (স্থাপত্য জগতের প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড) লাভও করেছে।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭

সুপারডুপার বলেছেন:



মুসলিম দেশগুলোতে এতো গুলো সুন্দর সুন্দর মসজিদ নির্মাণের কিছু টাকাও যদি ভাসমান মানুষদের বাসস্থানের জন্য দান করতো, প্রচন্ড ঠান্ডার রাতে ভাসমান মানুষ আর কুকুর একসাথে রাস্তায় ঘুমাতে হত না। এইসব মুসলিমরা বিশ্বাস করে বস্তু মসজিদের সেবা করে, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান হীন মানুষের সেবা করার থেকে বেশি নেকী কামাতে পারবে। এরা বস্তু মসজিদের জন্য দান করে, আর ক্ষুধার্ত ভাসমান মানুষের জন্য শুধু দুঃখ প্রকাশ করে

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

শের শায়রী বলেছেন: পোষ্টে ভালো লাগা ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ছবি দেখানোর জন্য

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা???!!!

আল্লাহ তায়ালা মসজিদ নির্মাণ করতে গিয়ে অপচয় আর বিলাসিতার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.