নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
Photo, collected.
করোনায় মসজিদে নামাজ আদায়: আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফতোয়া
মুসলিম বিশ্বে যে কোনো ইস্যুতে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফতোয়া বোর্ডের সিদ্ধান্ত সম্মানের সঙ্গে দেখা হয়। এই বোর্ড এবার ফতোয়া দিয়েছে করোনা মহামারির এই সময়ে মসজিদে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে। ফতোয়া বোর্ডের সিদ্ধান্ত, বর্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদে নামাজের জামাআত ও জুমুআর নামাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যাবে।
আল আজহার থেকে জারি করা ফতোয়ায় বলা হয়, ইসলামী আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো মানুষের জীবন বাঁচানো। এই বৃহৎ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম দেশগুলো মসজিদে সম্মিলিত নামাজ আদায় ও জুমুআর নামাজের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ডা. আরিফ আলভি পাকিস্তানে নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান এবং দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি ড. আহমাদ তাইয়্যেবের কাছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের অনুরোধ জানান। এই অনুরোধ ছাড়াও আরো অনেক দেশ থেকেই আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। অবশেষে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার পরে ফতোয়া বোর্ড এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়, মানবজীবন সুরক্ষার জন্য আপাতত যেকোনো দুআ অনুষ্ঠানও স্থগিত রাখা উচিত। কারণ এর মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সূত্র: জিও নিউজ উর্দু।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ, এবং প্রাসঙ্গিক পোস্ট। গত জুমা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করছি।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মসজিদের ফ্লোর জীবাণু নাশক দিয়ে প্রতি নামাজান্তে পরিষ্কার করে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারতো । মিশরে ধর্ম অতটা গুরুত্ব পায়না। মক্কা মদিনার সিদ্ধান্ত তাদের প্রভাবিত করেছে।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৌদি এবং মিশর এক কথায় চলে।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৭
একনিষ্ঠ অনুগত বলেছেন: ভাই এ বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ও প্রায় একই ফতোয়া দিয়েছেন। তবে তাঁরা একটি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে এমন একটি পন্থা অবলম্বন করা যাতে মসজিদে আবাদ (জামাত) চলে এবং এই মহামারীর প্রকোপ থেকেও জনগণ নিরাপদ থাকে। দারুল উলুম দেওবন্দ এর ফতোয়া অনুযায়ি মসজিদ এর পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত (যেমন ঈমাম, মুয়াজ্জিন, কমিটি এবং মসজিদের একেবারে কাছাকাছি যারা থাকেন) লোকজন স্বল্প পরিসরে জামাত আদায় করবেন, এবং মসজিদে আযান হবে। আর বাকীরা ঘরে নামাজ আদায় করবেন। এই ভিডিওতে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নতুন নকিব ভাই,
সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ গ্রহন করুন। ভালো থাকুন আর আমার জন্যও দোয়া করবেন।
৭| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাষ্ট্র প্রধানদের নির্দেশ মতো চলাও
কর্তব্য। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাসায়
নামাজ আদায়ের পরামর্শ দিয়েছেন
সুতরাং কয়েকটা দিন ঘরেই পড়ুন।
৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৪০
আশরাফুলআলয়াম২ বলেছেন: কিন্তু ছোয়াচে রোগ হিসেবেন মেনে নিয়ে ঘরে নামায আদায় করলে কি ঈমান ঠিক থাকবে?
কেউ এমনিতে নামাযা জামাতে না পড়লে , গুনাহ না হওয়ারই কথা। কিন্তু কোন রোগকে ছোয়াচে জানা বা বিশ্বাস করা সম্মানিত দ্বীন ইসলামে বৈধ?
৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: নতুন নকিব ,
লেখা ভালো লাগলো । আল আজহারের ফতোয়াটা অনেক পরে আসলো মনে হয় । ব্যাপরটা যেহেতু খুব স্পর্শকাতর আর গুরুত্বপূর্ণ তাই আরো আগেই এ নিয়ে বক্তব্য দরকার ছিল । আমাদের এখানে গত দু সপ্তাহ থেকেই জুমার জামাত হচ্ছে না । এখানকার (আমেরিকার) মসজিদের ইমাম এসোসিয়েশন, স্কলাররা সবাই একসাথে আলোচনা করেই ডিসিশনটা জানিয়েছেন করোনার ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিয়েই ।
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১০
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু সবাইকে হেফাজত করুক ।
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: 'ওরে মাওলানা, মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না।' মাতাল রাজ্জাক দেওয়ানের একটি জনপ্রিয় গান।
কিন্তু 'বাঙ্গালীর খাসলত' বলতে একটা কথা আছে।
যতই বলুক, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, সে নমাজ পড়তে মসজিদে ঢুকবেই। দরকারে, আগে-পরে ঘুষ খাবে, গরিবের হক মারবে, জেনা করবে...। 'আল্লাহর ঘর' মসজিদে যাইতেই হবে। শুক্রবারে তো কথাই নাই!
সুন্নত আদায়ে বাংলার মুসলাম যতটা উৎসাহী, কোরানের বাণী মানতে ততটা না। নইলে ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে এত লুটপাট, রাহাজানি, অন্যায়- অবিচার, মিথ্যাচার, দুর্নীতি, খুন-গুম-ধর্ষণ কেমনে হয়!
নমাজ পড়েন। দোয়া করেন। যত খুশি ততবার। এইটা আপনার বিশ্বাস ও রুচি। কিন্তু মহাদুর্যোগে দায়িত্বশীল হোন। নিজেকে, পরিবার ও প্রতিবেশীকে ঝুঁকিমুক্ত রাখুন। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং করোনাকালে জরুরি।
সবাই সচেতন হোন, নিরাপদ থাকুন। আমিন।
১২| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো পোস্ট; ভালো সিদ্ধান্ত।আমাদের এখানেও লোকাল মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে।
কিন্তু আপনি কোথায় গেলেন; অনেক কমেন্ট জমে গেছে যে ইতিমধ্যে।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের এলাকার মসজিদে আজ মাইলে ঘোষনা করেছে। আপনারা বাসায় নামাজ পড়ুন। বিশেষ করে যাদের জ্বর ঠান্ডা কাশি আছে।
১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫১
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: মহামারী ঠেকাতে কয়েকদিন সচেতন থাকলেই হল।
১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আপনি কোথায়?? কত মন্তব্য জমে গেছে। উত্তর দিবেন না??
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মসজিদ আমার মতে করোনা ছড়ানোর সবচেয়ে বিপদজনক যায়গা। করোনার ডিপো বলা যায়।
৬ ফুট তফাতে থাকলেও বিপদমুক্ত হয় না।
কারন একজন সেজদা দিলে মাদুরে নাক লেগে থাকে, ডাইরেক্ট নিঃস্বাসের ভেজা ড্রপ্লেট মাদুরে/ফ্লোরে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে।
সেই স্থানে আরেকজন সেজদা দিলে ইনফেক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯%
করোনা বাদেও ভিন্ন রোগও ছড়ানোর সম্ভাবনা।