নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবি: সংগৃহীত।
করোনা: জুমুআর নামাজ আদায়ে যে পরামর্শ মনে রাখা প্রয়োজন
গোটা পৃথিবীজুড়ে করোনা আতঙ্ক। বিশ্ববাসী আজ করোনা নামক ভাইরাসের কবলে রীতিমত দিশেহারা। দেশে দেশে উদ্বেগাকুল কোটি কোটি মানুষ। আজ ২৭ মার্চের সর্বশেষ সংবাদ, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ছুঁই ছুঁই। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে চার লক্ষের কোটা।
করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত ৪৪ জন। এ ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন অসংখ্য মানুষ। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনসমাগম বা গণজমায়েত এড়িয়ে চলার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিয়মিত সর্বোচ্চ গণজমায়েত হয় প্রতি সপ্তাহে জুমুআর নামাজে। মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয় মসজিদগুলোতে। গণজমায়েতই যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান কারণ, এমন সময়ে কেমন হওয়া উচিত জুমুআর নামাজ- এ বিষয়ে মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ফতোয়া হচ্ছে - এরকম ভয়ানক অবস্থা বিবেচনায় জামাআতে নামাজ আদায় করার শর্ত শিথিল করার অবকাশ রয়েছে। এই বিষয়ক আমার গতকাল দেয়া পোস্ট - Click This Link
তবে এ প্রেক্ষিতে বা প্রয়োজন যে, আমাদের দেশের প্রায় সকল মসজিদেই যেহেতু জুমুআর নামাজ এখনও আদায় করা হচ্ছে, সেহেতু এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ মনে রাখা উচিত-
১। মুসল্লিরা উজু ইস্তেনজাসহ সকল সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করবে। জামে মসজিদে শুধু জুমুআর খুতবা শ্রবণ ও দু’রাকাত নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
২। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের সব আলেম জুমুআ সীমিত করার পক্ষে মত দিচ্ছেন। যতটুকু না হলে জুমুআ আদায় হয় না, ততটুকু পালন করে বাকি অন্যান্য সুন্নত ও নফল ইবাদত ঘরে আদায় করা উচিত।
৩। বাংলায় যে বয়ানটি করা হয়, সেটা কোনো জরুরি বিষয় নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর প্রয়োজনীয়তাও নেই।
৪। এ ছাড়াও আরবিতে যে খুৎবা প্রদান করা হয় সেটিও অতি সংক্ষিপ্ত করতে হবে। সংক্ষিপ্ত খুৎবা এমন হতে পারে- সেখানে, হামদ, দুরুদ, কুরআনের আয়াত, দোয়া থাকবে। অর্থাদ, যতটুকু না হলেই নয় এতটুকু পড়তে হবে।’ যোগ করেন ড. মুশতাক।
৫। তবে মানুষের নিত্যপ্রয়োজন মেটাতে যেমন বাজার খোলা রাখতে হয়, তেমনিভাবে মানুষের আধ্যাত্মিক চাহিদা মেটাতে মসজিদও খোলা রাখতে হবে। মসজিদে আজান নামাজ সবকিছু চলবে। মসজিদ রোগ বহন করে না। রোগ বহন করে মানুষ। সুতরাং, আমরা মসজিদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে মানুষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করব।
৬। আপনার দ্বারা আপনার পরিবার-পরিজন অথবা অন্য যে কোনো মানুষ আক্রান্ত হোক এটা যেমনিভাবে আপনি চান না, ঠিক তেমনিভাবে শরীয়তও এটা চায় না। সুতরাং, অল প্রোটেকশন না নিয়ে আপনি মসজিদে যাবেন না।
৭। এ ছাড়াও মসজিদে হেক্সিসল জাতীয় হ্যান্ড ওয়াশ রাখা উচিত, যাতে মুসল্লিরা তা ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই প্রশংসনীয় একটি কাজ।
৮। তবে সর্বোপরি মনে রাখতে হবে, কোনভাবেই জনসমাগম হতে দেয়া যাবে না। মানুষের ভীড় তৈরি করা যাবে না। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রনে থাকায় এরকম কথা বলা যাচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে জুমুআর নামাজ বন্ধের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
আল্লাহ পাক সে অবস্থা থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
এখন সাবধান হওয়ার সময়।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিভিন্ন মুসলিম দেশ মসজিদ আপাতত বন্ধ রেখেছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অতি উৎসাহ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ এসব করেছে। ভয় করোনাকে নয়, আল্লাহ তাআলাকে করা উচিত। সাথে সাথে সাবধানতাও অবলম্বন করা উচিত। মসজিদ বন্ধ করলেই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচা যাবে তার গ্যারান্টি কি?
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আজ সব মসজিদেই সীমিত আকারে জুম্মার নামাজ হয়েছে, আমি যাইনি বাসাতেই যোহরের নামাজ পড়লাম।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: এত এত কিছুর পরও মানুষ কেন সাবধান হচ্ছে না।
তারা বাইরে যায়। আড্ডা দিচ্ছে।