নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ উপায় কি?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

ছবি: অন্তর্জাল।

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ উপায় কি?
করোনাভাইরাস যা কোভিড১৯ নামে পরিচিত, ইতোমধ্যেই পুরো বিশ্ব পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। গোটা বিশ্বের শত শত কোটি মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে। এককথায় বলতে গেলে শক্তিশালী এই ভাইরাসের প্রতাপ বিশ্ববাসী ভালো ভাবেই টের পাচ্ছে। টের পাচ্ছে মানে, হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছে।

করোনা পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু:
ফ্যাশন করে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার নামে পশ্চিমা বিশ্বের তথাকথিত নারী স্বাধীনতার শ্লোগান তোলা দেশগুলোয় নারীদের শরীর প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের চেহারায় পর্দা এনে দিয়েছে করোনা আতঙ্ক। উলঙ্গপনার তো প্রশ্নই আসে না। পোশাক আশাকে শালীনতার এমন বিচিত্র রূপ কে কবে দেখেছে এর আগে? তথাকথিত মানবাধিকার আর সমান অধিকারের মিথ্যে বুলির আড়ালে যারা নারীদের রাস্তায় নামিয়ে স্রেফ ভোগ্যপন্যে পরিণত করে ফায়দা লুটে এসেছেন এতদিন, তাদের মাথায় হাত! করোনা তাদের জন্য সর্বনাশা এক সময়কে সামনে এনে দাড় করিয়েছে!

করোনা কি? ভাইরাস কি?
এবার মূল কথায় আসি। ভাইরাস কি? ভাইরাস হচ্ছে, আণুবীক্ষণিক পরজীবি। আসলে 'আণুবীক্ষণিক পরজীবি' কথাটায় একটু ভুল আছে। কথাটা হওয়া উচিত 'অতি আণুবীক্ষণিক'। প্রকৃতপক্ষে ভাইরাস একটি বিষ। ভাইরাস কথাটির বাংলা অর্থই বিষ। সংক্রামক রোগের কারণস্বরূপ, ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে ক্ষুদ্রতর, বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদানের একটিই ভাইরাস। বাংলা অভিধানে এর অর্থ 'দুষ্টু'ও করা হয়েছে।

করোনার স্প্রিডিং এবিলিটি অনেক বেশি:
করোনা বা কোভিড ১৯ আসলে সার্স গ্রুপের ভাইরাসের লেটেস্ট সংস্করণ। ইতোপূর্বে হানা দেয়া ইবোলা এই কোভিড ১৯ এর চেয়ে অনেক মারাত্মক ভাইরাস ছিল কিন্তু কোভিড১৯ মারাত্নক আকার ধারন করার পেছনে রয়েছে এর দুর্দান্ত গতি। এই ভাইরাসটির স্প্রিডিং এবিলিটি বা ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা মারাত্মক রকমের বেশি। পানিতে, বাতাসে এমনকি ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রায়ও টিকে থাকতে পারে এই ভাইরাস। সবচেয়ে আশ্চর্য্য সংবাদ হচ্ছে, প্রাপ্ত তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ৩৫০+ বার ভাইরাসটি মিউটেশন করেছে নিজেকে। 'মিউটেশন' বলতে সোজা কথায় রূপ পাল্টানো।

এই ভাইরাসটা আসলে ইমার্জিং ভাইরাসের অন্তর্ভুক্ত, এর মেইন হোস্ট সম্ভবত বন রুই বা বাদুর। তবে এটা ইমার্জিং ভাইরাস। মানে এটি এর রিসেপ্টর চেঞ্জ করেছে। এখন মানুষ আক্রমণ করতে পারে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন:
ভাইরাস যতই শক্তিশালী হোক না কেন, একে ঠেকানোর ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই বের করতে সক্ষম হব। তার আগে অর্থাৎ, ভাইরাসটি নির্মূলের কৌশল উদ্ভাবনের আগে পর্যন্ত এখন প্রয়োজন সতর্কতার সাথে একে প্রতিরোধ করা। জেনে রাখা প্রয়োজন, এই ভাইরাসটি ফ্যাটি। এর গ্লাইকোলিপিড আস্তরন বেশ পাতলা। আর এ কারণেই সামান্য এলকোহলিক সাবান দিয়ে ২০/ ২৫ সেকেন্ড হাত ধুয়ে নিলেই কাজ সমাধান। হাতে কোনোভাবে এই ভাইরাসের জীবাণু এসে থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।

মাস্ক সকলের পড়া উচিত:
হু অর্থাৎ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের মতে, গণহারে সুস্থ অসুস্থ সকলের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। তারা আক্রান্তদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী অথবা অসুস্থ ব্যক্তিবর্গের নিকটে অবস্থানকারীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পড়তে পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমাদের কাছে বিষয়টি একটু অন্যরকম মনে হয়েছে। কে যে আক্রান্ত আর আক্রান্ত নয়, কিভাবে বুঝা সম্ভব? সেই কারণে সুস্থ অসুস্থ সকলের জন্যই মাস্ক পড়া উচিত। মাস্ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে N95 সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ। আমাদের দেশে নরমাল যেসব মাস্ক এখন এভেইলেবল, সেগুলো পড়া আর না পড়ায় তেমন কোনো পার্থক্য আছে কি না চিন্তার বিষয়। অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেন ঠিকই কিন্তু তা আর পরিষ্কার করার কথা ভাবেন না। মনে রাখতে হবে, ভাইরাস কোনো হেলেফেলার বস্তু নয়। আপনার ব্যবহৃত মাস্ক এর বাইরের দিকে যদি ভাইরাস লেগে থাকে, তাহলে সেটা সেখানে ৯ দিন সক্রিয় থাকতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিতগণের গ্লাভস পড়া উচিত:
এর বাইরে হাতে গ্লাভস পড়া উচিত। তবে সবার জন্য পাইকারিভাবে এর দরকার নেই। রোগীদের সেবায় নিয়োজিত এবং যারা নিজেদের ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন, তাদের বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

শুরুতেই বলেছি যে ভাইরাস 'অতি আণুবীক্ষণিক' এক ভয়ঙ্কর বস্তু। অতএব, এই ক্ষুদ্র মাইক্রোস্কোপিক যোদ্ধা আপনার জীবনকে যাতে ধ্বংস করে দিতে না পারে সেজন্য সর্বাবস্থায় সতর্ক থাকুন। সাবধানে থাকুন। একটু অসতর্কতার কারণে যেন বড় কোনো বিপদ হামলে পড়তে না পারে আপনার কিংবা আপনার পরিবারের কারও উপরে।

ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে চলুন, রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন এবং সুস্থ থাকুন:
গুজব বা অহেতুক বিষয়াদিতে কান দিবেন না। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সহযোগিতা করুন। নিজে সুস্থ থাকুন অন্যদের সুস্থ থাকতে দিন। ধর্মীয় বিধি বিধান পালন করুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। উযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআ'লার নিকট বিশ্ববাসী সকল মানুষের কল্যানের জন্য প্রার্থনা করুন। মসজিদে এই অবস্থায় ঠাসাঠাসি করে কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে যাবেন না। বাসায় নামাজ আদায় করুন। মসজিদে জামাআত চলার মত মিনিমাম মুসল্লি থাকলেই হয়ে গেল। তারা জামাআতে নামাজ আদায় করে নিলেই হবে। যাতে মসজিদগুলো বিরান হয়ে না যায়। বিনীতভাবে মহান মালিকের নিকট প্রার্থনা করুন, আয় আল্লাহ, আপনি আমাদের প্রতি রহম করুন। আমাদের অপরাধ ক্ষমা করুন। আমাদের ভীতি মুক্ত করুন। আমরা যেন আবার মসজিদে মসজিদে আপনার ইবাদতের জন্য একত্রিত হতে পারি।

জামাআত এরকম সময়ে জরুরি নয়। আগে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা তারপরে জামাআতে নামাজ। এরকম অবস্থায় বাসায় একাকি নামাজ পড়লে শরিয়াতের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই।

পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে যখন যে ইনস্ট্রাকশন আসে সেগুলো ফলো করুন। দেশের মানুষ যাতে সুস্থ থাকে সেদিকে নজর দিন। নিজের, পরিবারের সর্বোপরি সমাজের সকলের সুস্থতার দিকে অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হবে।

গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কান দিবেন না:
নিজে গুজব ছড়াবেন না। কারও ছড়িয়ে দেয়া গুজবে কান দিবেন না। মিথ্যে কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। নির্ভরযোগ্য মিডিয়ার সংবাদ ছাড়া যার তার প্রচার করা উল্টাপাল্টা বিষয়ে বিশ্বাস করবেন না। এসবের কারণে আতঙ্ক এবং বিভ্রান্তি তৈরি হয় যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আল্লাহ পাক বিশ্বব্যাপী সকল মানুষকে এই মহামারির হাত থেকে দ্রুত মুক্তি দান করুন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে আল্লাহ,
আপনি আসমানী, জমিনি সকল প্রকাল আজাব, গজব, বালা, মুিসবত থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
আমাদের বিশ্বাসকে সঠিক পথে রাখুন এবং দৃঢ় করুন।

ভাইজান নিরাপদে থাকুন। এবং দোয়া করুন আমাদের জন্য।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাইজান,
শুকরিয়া। আপনার দুআ কবুল করে নিন দয়াময় রহমানুর রহিম। করোনার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা করুন বিশ্বের সকল মানুষকে।

আপনার মত সাধক, সজ্জন এবং মানবদরদীর কাছে একইভাবে দুআ প্রত্যাশী আমরাও।

কল্যাণ কামনায়....

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রাফা বলেছেন: অল্প কথায় চমৎকার নর্দেশনামূলক পোষ্ট ভালো হয়েছে।

নিরাপদে থেকে নিরাপদে রাখুন।ধন্যবাদ,ন.নকিব।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আপনার গোছানো মন্তব্য প্রেরণাদায়ক।

কথা ঐ একটাই- 'নিরাপদে থাকুন, নিরাপদে রাখুন।' এই কাজটুকুই আমাদের সকলের একান্ত করণীয়।

শুভকামনা নিরন্তর।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ ভরসা।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



তা ছাড়া আর কোনো ভরসা থাকলে তো!

রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ পাকই। তিনিই বিপদ থেকে বাঁচাবেন।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব কথা অতি সহজ সরল ভাবে চমৎকার উপস্থাপন ,আল্লাহ যেন সব বিপদ হতে দুরে রাখে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য সবসময় আনন্দদায়ক।

প্রার্থনা কবুল করুন আল্লাহ পাক। বিপদের এই ঘনঘটা সরে যাক বিশ্ববাসী মানবসম্প্রদায়ের মাথার উপর থেকে।

কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা জানবেন।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০২

জুন বলেছেন: নতুন নকিব আমি মনে করি আপনি যতটা সহজ ভাবছেন অতটা সহজ নয় করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া। মুহুর্তে মুহুর্তে রূপ পাল্টে ফেলা এই ভাইরাস থেকে এত সহজেই যদি রক্ষা পাওয়া যেত তাহলে এত উন্নত দেশগুলো আজ এই মৃত্যুর উপত্যকায় পরিনত হতো না। এত দিন শুনেছি ভাইরাসে আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে আসলে বা তার হাচি কাশি থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। আজ দুদিন ধরে শুনছি এত ফিট অত ফিট দুরত্ব বজায় (স্যোশাল ডিস্ট্যান্স) রাখা ভালো কিন্ত এই মরনঘাতী ভাইরাস বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এই ভেসে বেড়ানো কতদুর পর্যন্ত যায় আল্লাহই তা ভালো জানেন। কোন মানুষ এখন পর্যন্ত জানে না।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এই ভেসে বেড়ানো কতদুর পর্যন্ত যায় আল্লাহই তা ভালো জানেন।

- সেটাই। রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআ'লা। আমরা শুধুমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি। এর বাইরে আপাতত আমাদের আর কিছু করার নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিরোধক কোনো ব্যবস্থা কার্যকর হয়।

আর আমরাও জানি যে, এই ভাইরাস অত সহজ কোনো বিষয় নয়। তবু সতর্কতা। সম্ভব সবরকমের সতর্কতার জন্যই এই পোস্ট।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সবার জন্য সুস্থতার দুআ করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.