নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবি: অন্তর্জাল।
কারও কারও জন্য হঠকারিতা হলেও ঈমানদারদের জন্য এগুলো পরিক্ষাঃ করোনার এই আবদ্ধ দিনগুলোতে করণীয় কিছু আমলঃ
করোনা ভাইরাস কেন? বিশ্বব্যাপী করোনার কেন এই আক্রমন? দিশেহারা মানুষ মৃত্যুভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে ক্রমশঃ। গাণিতিক হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, ইরানসহ অনেক দেশে মৃত্যু আতঙ্ক মানুষকে উদভ্রান্ত করে তুলেছে। মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই আশি হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না ঘটলে অতি অল্প সময়ে এই সংখ্যা লক্ষের ঘর পেরিয়ে যাবে। মূলতঃ আমাদের বুঝা প্রয়োজন, কেন এই মহামারি? নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক এগুলো দিয়ে মানবজাতিকে পরিক্ষা করেন। তাদের বিশ্বাসকে যাচাই করেন। পবিত্র আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوفْ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الأَمَوَالِ وَالأنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
'এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।' সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত ১৫৫
এই পরিক্ষায় সবরকারী তথা, ধৈর্য্যধারণকারীদের জন্য উপরোক্ত আয়াতে সুসংবাদের ঘোষনা দেয়া হয়েছে। আর পরের আয়াতে সবরকারী তথা, ধৈর্য্যধারণকারীদের পরিচয় বিবৃত হয়েছে যে, তারা বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করে। কোনোরূপ হঠকারিতায় লিপ্ত হয় না। আল্লাহ তাআ'লার ফায়সালার প্রতি সর্বাবস্থায় সবর এখতিয়ার করে এবং প্রকৃত প্রত্যাবর্তনস্থল যে আল্লাহ তাআ'লারই নিকট সে কথা স্মরণ করে-
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
'যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।' সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত ১৫৬
বিপদাপদের এমন ঘনঘটা দেখেও যারা বিচলিত হয় না, দিশেহারা দিগভ্রান্ত হয় না, ধৈর্য্যের সাথে আল্লাহ তাআ'লার নিকট ফিরে যাবার আকুতি অন্তরে লালন করে তাদেরকে আল্লাহ তাআ'লা হেদায়েতপ্রাপ্ত ঘোষনা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তাদেরই জন্য আল্লাহ পাক পরবর্তী আয়াতে প্রদান করেছেন অফুরন্ত দয়া এবং অবারিত নেআমতের সুসংবাদ-
أُولَـئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
'তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত।' সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত ১৫৭
এসব বিপর্যয় আমাদেরই হাতের কামাইঃ
অন্য আয়াতে জলে-স্থলে সংঘটিত এসকল বিপর্যয়ের পেছনে রয়েছে আমাদের কৃতকর্ম। আজকের বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার দিনে এই আয়াতের ব্যাখ্যা বুঝা খুবই সহজ, এই কারণে যে, আমরা মানবজাতি আমাদের নিত্যনতুন প্রয়োজনে-আবিষ্কারে, সভ্যতার ধাপে ধাপে নানাবিধ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে পৃথিবী নামক গ্রহটিকে নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছি। পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে শক্তিমান নানান প্রযুক্তির ধ্বংসাত্মক জীবানু অস্ত্রসহ পৃথিবীর জলবায়ু, আবহাওয়া এবং স্বাভাবিক অবস্থাকে পাল্টে দেয়ার মত নিত্যনতুন আবিষ্কারে মেতে উঠে প্রকারান্তরে আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব নিজেরাই দিনকে দিন মারাত্মক হুমকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছি। আল্লাহ পাক বলেন-
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
'স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।' সূরাহ আর রূম, আয়াত ৪১
ঝড়, ঝঞ্জা, খরা, বন্যা, ক্ষুধা, অনটন, মহামারি ইত্যাদি মুমিন বান্দাদের জন্য আল্লাহ তাআ'লার পক্ষ হতে একেকটি পরিক্ষা। পক্ষান্তরে উদভ্রান্ত অবিশ্বাসী পাপাচারে লিপ্ত সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোকদের জন্য এগুলো তাদের হঠকারিতা বৃদ্ধিরই শুধু কারণ। এসব বিপদাপদ দেখে তারা দাঁত কেলিয়ে হাসে। আরও উল্লাসিত হয়। আরও বিভ্রান্তির অন্ধকারে হাবুডুবু খায়। আরও বেশি অবাধ্যতায় মেতে ওঠে। হার কিসিমের পাপাচারে আরও অধিক পরিমানে লিপ্ত হয়ে তারা পারকালিন মর্মন্তুদ শাস্তিকে তাদের নিজেদের উপর অবধারিত করে নেয়।
এর বিপরীতও রয়েছে। এসব পাইকারি শাস্তিদর্শনে তাদেরই কিছু মানুষ হেদায়েতের আলোকশিখায় আলোকিত হয়ে ওঠে। নিজেদের কৃত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে জীবন ও জগতসমূহের মহান মালিকের নিকট। তারা খাঁটি করে নেয় তাদের বিশ্বাসকে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি মসজিদে আগের তুলনায় মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। এর কারণ হয়তো তারা বিশ্বাস করেন যে, রোগ মহামারি যিনি দেন, তিনিই এগুলো দূর করবেন। তবে তাদের 'জানা' ও 'বিশ্বাসের' ভেতরে কিছু ঘাটতি রয়েছে। তারা হয়তো জানেন না, মহামারির সময়ে ইসলামের কি নির্দেশনা রয়েছে।
এসব অবস্থায় ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয়ঃ
এই মুহূর্তে নামাজের জামাআত, তাবলীগের উদ্দেশ্যে মসজিদে একত্রিত হওয়া, দোয়া মাহফিলসহ সব ধরণের লোকসমাগম এড়িয়ে চলাই ইসলামের নির্দেশ। আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) মহামারি সম্পর্কে তার অনবদ্য গ্রন্ত্র ‘বিযলুল মাউন ফি ফাযলুত ত্বাউন’ এ দু'টি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
প্রথম ঘটনাঃ দামেস্কে একবার মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন তারা হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেছিলেন। আগে প্রতিদিন ৫০ জন করে মারা যেত দোয়া মাহফিলের পর হাজার মানুষ মারা যেতে লাগল।
দ্বিতীয় ঘটনাঃ একইরকমভাবে ৮৩৩ হিজরি সনে মিশরের রাজধানী কায়রোতে ব্যাপক আকারে মহামারি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সেই মহামারির হাত থেকে বাঁচতে কায়রোবাসী সকলে তিন দিন রোযা রেখে মরুভূমিতে গিয়ে দোয়া করেছিলেন। কিন্তু এই সম্মিলিত দোআ এবং জমায়েতের ফল হল হিতে বিপরীত। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দৈনিক হাজারে পৌঁছে গেল।
দোয়া মাহফিল, ইসলামী আলোচনার মসলিস ভালো নি:সন্দেহে। কিন্তু মহামারির সময় ঘরে অবস্থান করা ইসলামের নির্দেশ। আর এ কারণে ভয়াবহ ‘আমওয়াস’ মহামারির সময় আমর বিন আস (রা) বললেন- ‘হে লোকসকল, এ মহামারি হল আগুনের মত। যখন আসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই তোমরা পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়।'
তখন সকলে পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেককে এখন সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরমুখী হতে হবে এবং ঘরকে মসজিদে রূপান্তর করতে হবে।
এর পাশাপাশি ঘরে থেকে যে আমলগুলো করে প্রতিদিনের সময় অতিবাহিত করা যায় বিজ্ঞ পাঠকদের জন্য তার কিছু আলোকপাত করছি-
১। ফজরের নামাজ ওয়াক্ত মতো পড়ার মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা করুন। সারা দিন আল্লাহ তাআ'লার জিম্মায় থাকুন।
২। সকাল সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসী পাঠ করুন।
৩। সূরা ফাতিহা ও চার কুল নিয়মিত পড়ুন।
৪। বালা মুসিবত, রোগবালাই এবং মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মসনূন দোয়া দরূদ নিয়মিত পাঠ করুন।
৫। সাধ্যমত দান সদকা করতে থাকুন।
৬। আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর নিন।
৭। অভাবী অনাহারিদের সম্ভব হলে খাবার দিন।
৮। মহামারীতে মৃত্যু হলেও শহীদী মর্যাদার জন্য দোয়া করুন।
৯। আপাতত মুসাফাহা ও সাক্ষাৎ বর্জন করুন।
১০। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সব সুন্নত, ইচ্ছেমতো যত বেশি সম্ভব নফল নামাজ আদায় এবং জরুরী অধ্যয়নে সময় কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
১১। মৃত্যু এলে হাসিমুখে চলে যাওয়ার জন্য তৈরি থাকুন।
১২। বান্দার হক দিয়ে দিন, কারো হক নষ্ট করে থাকলে তা দ্রুত আদায় করে ফেলার চেষ্টা করুন, সম্ভব না হলে যে কোনো ক্ষতিপূরণ অথবা ক্ষমাপ্রার্থনা কিংবা অন্য কোনো উপায়ে বান্দাকে খুশী করার ব্যবস্থা করুন।
১৩। আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি স্মরণ করুন। সর্বাবস্থায় জিকিরের হালতে থাকুন।
১৪। নিজেকে সব মানুষ হতে আলাদা রাখা এবং মানুষকেও আলাদা ও দূরে থাকতে দিতে সচেষ্ট হোন।
১৫। সবসময় ওজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন।
১৬। ছোটো বড় সব গুনাহ বর্জন করায় সচেষ্ট হোন।
১৭। অসহায়ের খোঁজ খবর রাখা এবং যথাসাধ্য তার সহায়তা করায় ব্রতী হোন।
১৮। ইশার নামাজ পড়ে সারারাত আল্লাহর দায়িত্বে থাকুন।
১৯। সারাক্ষণ আল্লাহর জিকির, তিলাওয়াত ও আখিরাতের ফিকিরে থাকুন।
২০। খাতিমাহ বিল খায়রের জন্য দোয়া করুন।
২১। আগে আগে ঘুমিয়ে শেষরাতে খুব সুন্দর করে ৮/৬/৪ অথবা ২ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়ুন।
২২। খুব আবেগ ও মহব্বত নিয়ে মৃত্যুর মোরাকাবা আর রোনাজারি করুন।
২৩। অধিক পরিমাণে দুরূদ ও সালাম পাঠ করুন।
২৪। দুনিয়ার মহব্বত অন্তর থেকে দূর করার চেষ্টা করুন এবং আল্লাহবিমুখ ও বিভ্রান্ত লোকদের সঙ্গ থেকে আল্লাহ তাআলার আশ্রয় গ্রহন করুন।
২৫। ইসলাম ও দীন রক্ষার্থে যে কোনো কাজে শরীক হওয়ার প্রত্যাশা অন্তরে লালন করা এবং যথাসাধ্য ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ প্রতিরোধ করতে থাকুন।
২৬। ইমাম মাহদীর সৈনিক হিসেবে তার সাথে যোগদানের তামান্না দিলে পোষণ করুন ও খাসভাবে দোয়া করুন।
২৭। দাজ্জালসহ শেষ জামানার সকল ফিতনা তথা জীবনে মরণে প্রতিটি ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে থাকুন।
২৮। নবী রাসূল, ইমাম উলামা মাশায়েখ উস্তাদ মুরব্বি পিতামাতা আত্মীয় পরিজন পাড়াপ্রতিবেশীসহ সকল জীবিত ও মৃত ঈমানদার নারী পুরুষের জন্য ইসালে সওয়াবের নিয়্যাতে বেশি বেশি দোয়া ইস্তেগফার করতে থাকুন।
শেষের ফরিয়াদঃ
আল্লাহ পাক আমাদের খাতিমাহ বিল খায়ের করুন। ঈমানের সাথে মৃত্যু নসিব করুন। শহিদী মৃত্যু দান করে তাঁর প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল হওয়ার তাওফিক দান করুন। জান্নাতে আমাদেরকে প্রিয় নবিজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথী হওয়ার সৌভাগ্য দান করুন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক করছেন। জাজাকাল্লাহ।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। আল্লাহর রহমত ছাড়া বাঁচার কোন সুয়োগ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাযত করুণ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। সাবধানে থাকুন। সকলের জন্য দুআর প্রার্থনা।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা থেকে আল্লাহ আমাদের মুক্তি দিবেন- এই বিশ্বাসটা আমাকে শান্তি দেয়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
সত্যিই এটা বিশ্বাস করেন?
এই কথা তো কোনো বিজ্ঞানীকে বলতে শুনিনি!
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
নতুন বলেছেন: করোনার মতন সমস্যার সমাধানের জন্য মুসলমানদের আর কি করনীয় আছে?
মুসলমানদের কি গবেষনা করা উচিত?
মুসলমানদের কি করোনার ভ্যাকসিন তৌরির চেস্টা করা উচিত?
মুসলমানদের কি করোনা রোগীদের সাহাজ্য করতে চেস্টা করা উচিত?
না কি আক্রান্ত হলে শহীদী মৃত্যু বরনের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।
এমনটাই আরেক ব্লগার প্রচার করছেন যে এটাই ইসলামী চিন্তা।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
করোনার মতন সমস্যার সমাধানের জন্য মুসলমানদের ভিন্ন কিছু করনীয় নেই। উপস্থাপিত নিবন্ধে ধর্মীয় কিছু করণীয় উল্লেখ করেছি। এর পাশাপাশি আপনি যেটা বলেছেন, এই মহামারির প্রতিষেধক তৈরি করা, এটা সাধারণ মানুষের কাজ নয়। আপনিও বুঝে থাকবেন, এটা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণাধর্মী বিশা এক কাজ। এই কাজ যাদের করার কথা তারা নিশ্চয়ই তা করছেন। করে চলেছেন। আর মানুষের প্রাণ রক্ষাকারী এসব আবিষ্কারে যারা শ্রম দিবেন, তারা অবর্ণনীয় পূন্যের অধিকারী হবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ইসলাম এ বিষয়ে শুধু উৎসাহিত করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের বিশেষ মর্যাদার কথাও ঘোষনা করেছে।
সুতরাং সমগ্র পৃথিবীর উপরে হামলে পড়া এই ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে এর প্রতিষেধক টিকা থেকে শুরু করে সম্ভাব্য যা যা প্রয়োজন সবই মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, ইহুদি নির্বিশেষে সকল জাতির অন্যতম করণীয়।
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি -
১। মুসলমানদের কি গবেষনা করা উচিত?
উত্তর: অবশ্যই উচিত।
২। মুসলমানদের কি করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেস্টা করা উচিত?
উত্তর: অবশ্যই উচিত।
৩। মুসলমানদের কি করোনা রোগীদের সাহায্য করতে চেস্টা করা উচিত?
উত্তর: অবশ্যই উচিত। বেশি বেশি করা উচিত।
৪। না কি আক্রান্ত হলে শহীদী মৃত্যু বরনের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।
উত্তর: একজন মুসলিম সর্বাবস্থায় শহীদী মৃত্যু কামনা করবে, এটাই হাদিসের নির্দেশনা। করোনার জন্য আলাদা কিছু নেই।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার কিছু নেক আমলের পথ নির্দেশনা দিয়েছেন। আশাকরি, বিশ্বাসীদের কাজে আসবে।
সময়োপযোগী পোস্ট। +
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া। জাজাকাল্লাহ। মন্তব্যে +++
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৯
সুপারডুপার বলেছেন: আপনার মতে, করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব কি গজব?
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
গজব শব্দের মানেটা বুঝা দরকার আগে।
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: করোনা থেকে আল্লাহ আমাদের মুক্তি দিবেন- এই বিশ্বাসটা আমাকে শান্তি দেয়।
এটা পড়ার পর আপনার সাথে আমিও বেশ কনফিউজড।
করোনা যে কত মানুষকেই বদলে দিলো?
এখন স্পেনে আজান দেয়া হয়!!!
মাঝে মাঝে মনে হয় এটা আসা বেশ দরকার ছিল। বান্দা বড় বেশি বাড়াবাড়ি করছিল।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
রাজিব নুর আমার খুবই কাছের মানুষ। মাঝেমধ্যে তার সাথে রসিকতা করি।
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৩
এভো বলেছেন: দেশের নামকরা আলেম ওলামারা বলেছেন --
মুফতি আমির হামজা বলছেন ---- ঠিক মত অজু করে নামাজ পোড়লে করোনা হবে না, যদি হয় কোরান মিথ্যা হয়ে যাবে ,
দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত আলেম মাওলানা রাজ্জাক বিন ইউসুফ বলেছেন সহি হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে - সংক্রোমন রোগ বলে কিছু নেই এবং এই দাবি করেছেন রেফারেন্স সহ মুফতি মাওলানা কাজি ইব্রাহীম -- সুতরাং করোনা ভাইরাস কোন সংক্রোমনক রোগ নহে ।
এবার দেখুন তবলিগে জামাতের প্রধান মাওলানা সাদ কি বলেছেন
• হ্যাঁ, ভাইরাস আছে। কিন্তু আমার সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতাও আছে। তারা যদি আমাকে রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে কে পারবেন?
•এখন এমন জমায়েত আরো বেশি করার সময়, পরস্পরকে এড়িয়ে চলার সময় নয়।
• এটা আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়ার সময়। ডাক্তারের কথা শুনে নামাজ বন্ধ করে পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে থাকার সময় নয়।
• করোনাভাইরাস সতর্কতা 'মুসলিম ভাইদের থেকে মুসলমানদের দূরে রাখার ষড়যন্ত্র'।
• করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে যে সামাজিক শিষ্টাচার মানার কথা বলা হচ্ছে, তা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এক ধরনের ষড়যন্ত্র।
বলেছেন সর্বোচ্চ কেন্দ্রীয় নেতা মওলানা সা'দ, তাবলিগ জামাতের হেডকোয়ার্টার দিল্লির নিজামুদ্দীন মসজিদে ধর্মীয় সমাবেশে।
---- ভাই আপনি কি মনে করেন এই সব বিখ্যাত আলেম ইসলাম জানেন না , বোঝেন না ? তারা অবশ্যই সত্য কথা বলেছেন , তারা যে সব হাদিসের উদাহরন দিয়েছেন তা না মানলে কি আমাদের ঈমাণ থাকবে ? ধন্যবাদ
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। বিষয়টি কিছুটা দীর্ঘ আলোচনা সাপেক্ষ।
ভাইরাস, সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগঃ ইসলামী দৃষ্টিকোণ
সংক্রামক রোগ বলতে কিছু আছে কি না? এ বিষয়ে দুই ধরণের বর্ণনাযুক্ত হাদীস পাওয়া যায়। যথা-
১- সংক্রামক বলতে কোন রোগ নেই!
২- রোগ সংক্রামক হতে পারে।
সংক্রামক রোগ না থাকার প্রমাণ হল,
১
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ،
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সংক্রামক রোগ এবং কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৭৫৩]
২
أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ» فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا بَالُ إِبِلِي، تَكُونُ فِي الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ، فَيَأْتِي البَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ بَيْنَهَا فَيُجْرِبُهَا؟ فَقَالَ: «فَمَنْ أَعْدَى الأَوَّلَ؟»
হযরত আবূ হুরাইরাহ রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমণ নেই, সফরের কোন অশুভ আলামত নেই, পেঁচার মধ্যেও কোন অশুভ আলামত নেই। তখন এক বেদুঈন বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমার উটের এ অবস্থা কেন হয়? সেগুলো যখন চারণ ভূমিতে থাকে তখন সেগুলো যেন মুক্ত হরিণের পাল। এমন অবস্থায় চর্মরোগাগ্রস্ত উট এসে সেগুলোর পালে ঢুকে পড়ে এবং এগুলোকেও চর্ম রোগে আক্রান্ত করে ফেলে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে প্রথমটিকে চর্ম রোগাক্রান্ত কে করেছে? [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৭১৭]
৩
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَخَذَ بِيَدِ رَجُلٍ مَجْذُومٍ فَأَدْخَلَهَا مَعَهُ فِي الْقَصْعَةِ، ثُمَّ قَالَ: «كُلْ، ثِقَةً بِاللَّهِ وَتَوَكُّلًا عَلَى اللَّهِ»
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত এক ব্যক্তির হাত ধরে তা নিজের আহারের পাত্রের মধ্যে রেখে বলেনঃ আল্লাহর উপর আস্থা রেখে এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে খাও। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৫৪২, সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-৩৯২৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৮১৭]
উপরোক্ত হাদীসগুলো প্রমাণ করে, সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছু নেই। আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছে রোগাক্রান্ত করেন। ‘রোগাক্রান্তের সংস্পর্শে আসলে অন্য কারো হবে’ এর কোন বাস্তবতা নেই।
তবে কিছু বর্ণনা দ্বারা জানা যায় যে, রোগ সংক্রামক হতে পারে। যেমন-
১
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ-
وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ»
কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক,যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৭০৭]
২
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ لاَ تُدِيمُوا النَّظَرَ إِلَى الْمَجْذُومِينَ ” .
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কুষ্ঠ রোগীদের দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে থেকো না। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৫৪৩]
৩
أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، حَدَّثَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا عَدْوَى» وَيُحَدِّثُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ» قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُهُمَا كِلْتَيْهِمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَمَتَ أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَوْلِهِ «لَا عَدْوَى» وَأَقَامَ عَلَى أَنْ «لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ»
আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সংক্রমণ (-এর অস্তিত্ব) নেই। তিনি আরও হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অসুস্থ উটপালের মালিক (অসুস্থ উটগুলিকে) সুস্থ উটপালের মালিকের (উটের) কাছে আনবে না। আবূ সালামা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) এ দুংটি হাদীস রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতেন। পরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁর (প্রথম হাদীসের) ‘সংক্রমণ …… নেই’ বলা থেকে নীরব থাকেন এবং অসুস্থ উটপালের মালিক সুস্থ উটপালের মালিকের কাছে আনবেনা এর বর্ণনায় দৃঢ় থাকেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২২১, ৫৫৯৭]
এই বিপরীতমুখী বর্ণনার কারণে মুহাদ্দিসীনে কেরামের মাঝে এ বিষয়ে মতভেদে রয়ে গেছে। যথা-
১
একদল উলামাগণের মতে সংক্রমণের ভয়ে পলায়ন করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে। তাই সংক্রমণের ভয়ে পালিয়ে থাকা যাবে না। ঈসা বিন দিনার রহঃ এ মতটিকে গ্রহণ করেছেন। [ফাতহুল বারী-১০/১৯৬, উমদাতুল কারী-২১/২৪৭]
২
অধিকাংশ উলামাগণ উভয় প্রকার হাদীসের মাঝে সমন্বয় সাধন করেছেন। যা নিম্নরূপ-
ক)
যেসব বর্ণনায় সংক্রমণের ভয়ে পালাতে বা দূরে থাকার হুকুম দেয়া হয়েছে, এটা সতর্কতার উপর নির্ভরশীল।
আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংক্রামক রোগীর সাথে খানা খেয়ে বুঝিয়েছেন যে, এতে কোন সমস্যা নেই। সংক্রমণের ভয়ে পালিয়ে থাকা কোন জরুরী বিষয় নয়। বরং কেবলি সতর্কতা।
খ)
ইবনুস সালাহ এবং ইমাম বায়হাকী রহঃ প্রমূখগণ সমন্বয় সাধন করে বলেন, যেসব হাদীসে সংক্রমণ বলতে কিছু নেই বলা হয়েছে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কোন রোগ ব্যাধিতে মৌলিকভাবে সংক্রমণের কোন ক্ষমতা নেই। যেমনটি জাহেলী যুগের মানুষ বিশ্বাস করতো। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই আকীদা প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে, রোগ ব্যাধি নিজস্ব ক্ষমতায় সংক্রমিত হতে পারে না।
আর যেসব হাদীসে সংক্রমণ হতে পারে বুঝা যায়, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কোন রোগের মাঝে আল্লাহ তাআলা সংক্রমণের ক্ষমতা দান করেন, সেই হিসেবে কোন রোগ সংক্রমিত হতে পারে। এটা রোগের ক্ষমতা নয়, বরং আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা বলে এমনটি হয়।
সুতরাং বুঝা গেল যে, সংক্রমণ নেই মানে হল, নিজস্ব ক্ষমতা নেই। আর সংক্রমণ হতে পারে, মানে হল, যদি আল্লাহ তাতে বাহ্যিক এমন ক্ষমতা উক্ত রোগে দেন, তাহলে হতে পারে।
সুতরাং দুই হাদীসে কোন বৈপরীত্ব নেই। [ফাতহুল বারী-১০/১৯৭, উমদাতুল কারী-২১/২৪৭]
জমহুর উলামাগণ এ সমন্বিত ব্যাখ্যাটি পছন্দ করেছেন।
গ)
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ শরহে নুখবাতুল ফিকারে উক্ত হাদীসদ্বয়ের সমন্বয় সাধন করে লিখেন যে,
‘সংক্রমণ বলতে কিছু নেই’ একথাটি মৌলিকভাবে সঠিক। বাস্তব কথা এটাই যে, কোন রোগ বা ব্যাধি একজন থেকে অন্যজনের মাঝে সংক্রমিত হয় না।
কিন্তু এরপরও যাদের ঈমান দুর্বল, তাদেরকে কুষ্ঠ ইত্যাদি রোগী থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে, যেন তার মাঝে যদি সংক্রমণের কারণে নয়, বরং এমনিতেই রোগটি হয়ে থাকে, তাহলে তার আকীদা বিগড়ে যাবে। তার মনে হবে যে, উক্ত রোগটি সংক্রমণের কারণেই হয়েছে। এভাবে তার আকীদা নষ্ট হয়ে যাবে।
এ কারণে, তার আকীদার হিফাযতের জন্য এমন রোগী থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য দুর্বল ঈমানদারদেরকে বলা হয়েছে। [শরহু নুখবাতিল ফিকার, ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ কৃত]
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা আমাদের কাছে প্রতিভাত হল যে, সংক্রমণ হতে পারে। যদি আল্লাহ তাআলা উক্ত রোগে এ ক্ষমতা দান করেন। তবে উক্ত রোগের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই সংক্রমনের। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কিন্তু এ কারণে আতংক ছড়িয়ে স্বাভাবিক জীবনকে স্তব্ধ করে দেয়া উচিত নয়।
সকলের মৃত্যুই অবধারিত। মৃত্যু থেকে কেউ পালিয়ে থাকতে পারবে না। অসুস্থতা ছাড়াও মৃত্যু হতে পারে। সুতরাং সংক্রমিত রোগের ভয়ে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে থাকা কোন ঈমানদারদের জন্য শোভা পায় না। তাই আতংক নয়, সচেতনতা জরুরী।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে হিফাযত করুন। আমীন।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত আলেম বুঝি তিনি!
আল্লাহ পাকের কাছে সকল প্রকারের ভ্যাজাল থেকে পানাহ চাই।
আর নামকরা বলে যাদের উল্লেখ করলেন তাদের চেয়ে অনেক বেশি জানেন এমন অনেক আলেম দেশে রয়েছেন।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫১
এভো বলেছেন: ভাই আপনার হাদিসের রেফারেন্সের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । নবী জী (সা: ) কখনো পরস্পর বিরুধী কথা বলতে পারেন না , দেশ বরেন্য আলেমরা যে হাদিসটিকে সমর্থন করেছেন , সেটাকেই আমাদের সঠিক হিসাবে ধরে নিতে হবে । মুফতি ইব্রাহীম, রাজ্জাক , আমীর হামজা এরা কখনো কোন অপব্যাখা করেন না ।
মুফতি রাজ্জাককে দেশের সেরা আলেম বলে বেশির ভাগ আলেমরা মনে করেন । নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিনের কাছে একবার একজন প্রশ্ন করেছিল বাংলাদেশের কোন মুফতিকে সব চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং কোরান হাদিসের,আগে ছিল নাস্তিক জনাব মোফাস্সিল ইসলাম ও একই কথা বলে একটা ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করেছে ।
সব শেষে বলতে চাই দেশের সেরা আলেমরা যা বলে, সেটাকেই সঠিক মানা উচিত সবার । ধন্যবাদ
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত আলেম। যাক, ধন্যবাদ। আপনার বাদবাকি আলোচনার উপরে নতুন ভাই এই পোস্টে তার পরবর্তী দু'টি মন্তব্যে কিছু কথা বলেছেন। দেখে নিতে পারেন।
এই মহামারির সময়ে বিতর্ক নয়। আসুন, সকলের জন্য কল্যানের দুআ করি। আল্লাহ পাক সবাইকে সুস্থ রাখুন। মহামারি দূর করে পৃথিবীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০০
নতুন বলেছেন: সংক্রামক রোগের সম্পকে জ্ঞান আলেমদের থেকে নেবার দরকর নাই।
হাদিস গুলি রাসুল সা: ইন্তেকালের ২০০ বছর পরে সংগ্রহ করা হয়েছে সেটা সবাই ভুলে যায়।
বোখারী শরীফের হাদিসকে ১০০% সহী ভাবার যৌক্তিক কারন নাই। সবাই আবেগে বিশ্বাস করে মাত্র।
Amru b. Maymun said: During the pre-lslamic period of ignorance I saw a monkey (a female) surrounded by a number of monkeys. They were all stoning it, because it had committed illegal sexual intercourse. I too, stoned it along with them.(Hadith narrated by Al-bukhari in Volume 5, Book 58, Number 188)
কিছু পুরুষ বানর এক স্ত্রী বানরকে পাথর মারছিলো কারন সেই স্ত্রী বানরটি অবৈধ কাজ করেছিলো। এবং বণ`না কারীও পাথর মেরেছিরো।
এটা সহী বোখারীর হাদিস.... এটার সাথে রাসুল সা: এর কোন সম্পক` নাই। এটা আমরু মায়মুনের নিজেস্ব বক্তব্য। বোখারী হাদিস হিসেবে স্হান পেয়েছে। উনি ইয়ামেনের এবং কখনোই রাসুল সা: এর সাথে দেখা হয় নাই।
এমন অনেক হাদিস আছে যেইগুলি হাদীসের দূব`লতা প্রকাশ করে।
কিন্তু ধমান্ধতা এবং অন্ধবিশ্বাসের কারনে বোখারী শরীফ সহ কিছু হাদীসের সংকলনকে ১০০% সহী ভেবে সবাই মেনে নেয়।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই,
২০০ বছর পরে হাদিস সংকলনের এই থিউরি সম্পূর্ণ অপপ্রচার এবং বানোয়াট। কোনো একটি যুগে বা সময়ে হাদিস সংকলন, হাদিসের চর্চা বা গবেষনা কয়েক বছরের জন্য, এমনকি কয়েক মাসের জন্যও পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল না। ২০০ বছরের গ্যাপ তো চিন্তারও বাইরে।
১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
নতুন বলেছেন: মুফতি ইব্রাহীম, রাজ্জাক , আমীর হামজা এরা কখনো কোন অপব্যাখা করেন না ।
মুফতি ইব্রাহীম কি করোনা ভাইরাসের ইন্টারভিয়ের সপ্নের প্রচারক?
এই রকমের স্টুপিড লোক যে এন্টারকটিক মহাদেশের নিচে হিটলার লুকিয়ে আছে বিশ্বাস করে তার কাছে যদি জাতি জ্ঞান নেয় তবে সেই জাতীর কপালে অনেক কস্ট আছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
'এন্টার্কটিকা মহাদেশের নিচে হিটলার লুকিয়ে আছে' -এরকম কথাও তিনি বলেছিলেন না কি? মজার ব্যাপার।
তবে করোনার স্বপ্ন প্রচারের কথা নিয়ে কিছু একটা ঘটছে, সেটা শুনেছি।
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২১
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই,
২০০ বছর পরে হাদিস সংকলনের এই থিউরি সম্পূর্ণ অপপ্রচার এবং বানোয়াট। কোনো একটি যুগে বা সময়ে হাদিস সংকলন, হাদিসের চর্চা বা গবেষনা কয়েক বছরের জন্য, এমনকি কয়েক মাসের জন্যও পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল না। ২০০ বছরের গ্যাপ তো চিন্তারও বাইরে।
ভাই কয়েকটা জিঙ্গাসা
ইমাম বোখারী কি নিজে ভ্রমন করে করে মানুষের কাছে গিয়ে হাদিস গুলি সংগ্রহ করেছিলেন?
ইমাম বোখারী কত সালে জন্ম গ্রহন করেছিলেন?
রাসুল সা: এর ইন্তেকালের কত বছর পরে তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন? কত বছর বয়সে তিনি হাদিসের কাজ শুরু করেছিলেন।
তাহলে রাসুল সা: এর ইন্তেকালের কত বছর পরে ইমাম বোখারী হাদিসে সংগ্রহের কাজ শেষ করেছিলেন।
২০০ বছরের সময়ের গ্যাপটা কি দেখা যায়?
এন্টারকটিক মহাদেশে
https://www.youtube.com/watch?v=KR9XwLrbmZk
ভিডিওটা দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন উনি সম্ভবত কিছুটা মানুষিক ভাবে অসুস্থ। এটা এক রকমের মানুষিক ডিসঅডার। না হলে এই ভাবে ভুল তথ্যগুলি ইসলামের নামে উনি বলতে পারতেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যেতটুকু সম্ভব নিজস্ব লোকদের খবর নিচ্ছি