নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০ রাকাআত তারাবিহ সাহাবায়ে কেরামের আমল

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

ছবি: অন্তর্জাল।

২০ রাকাআত তারাবিহ সাহাবায়ে কেরামের আমল

এই বিষয়ক আগের পোস্ট- তারাবীহ নামায বিশ রাকাতঃ একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা

সংক্ষেপে বলতে গেলে রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবিহ নামাজ মসজিদে আদায় করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেননি এই আশঙ্কায় যে, না জানি উম্মতের উপর এই নামাজ ফরজ হয়ে যায়। তাই তিনি তারাবিহ নামাজ ঘরে আদায় করতেন। কিন্তু তিনি মসজিদে জামাআতের সাথে তারাবিহ আদায় একেবারে যে করেননি এমনটা নয়। করেছেন, তবে তা অধিক দিন নয়। যেমনটা নিম্মোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়-

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার রমজান মাসে রাত্রিবেলায় মসজিদে নববীতে নামাজ তারাবিহ আদায় করলেন। উপস্থিত লোকজনও তাঁর সঙ্গে নামাজ আদায় করলেন। একইভাবে তাঁরা দ্বিতীয় দিনেও নামাজ আদায় করলেন এবং লোকসংখ্যা অনেক বেশি হলো। অতঃপর তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনেও মানুষ একত্রিত হলো কিন্তু রাসুলুল্লাহ (স.) হুজরা থেকে বেরিয়ে তাদের কাছে এলেন না। অতঃপর সকাল হলে তিনি এলেন এবং বললেন, তোমাদের অপেক্ষা করার বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি। কিন্তু শুধু এ ভয়ে আমি তোমাদের কাছে আসা থেকে বিরত থেকেছি যে, আমার আশঙ্কা হচ্ছিলো, না জানি তোমাদের ওপর উহা (তারাবি) ফরজ করে দেওয়া হয়। (বুখারী)

রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের পরে হযরত আবূ বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই পদ্ধতিকেই গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর খেলাফতকালে তিনি ভাবলেন যে, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবিহ নামাজ উম্মতের উপর ফরজ হওয়ার আশঙ্কায় ঘরে পড়েছেন। এখন যেহেতু রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে জীবিত নেই সুতরাং কোনো বিধান উম্মতের উপর নতুন করে আর ফরজ হওয়ারও কোন সুযোগ কিংবা সম্ভাবনা নেই। এই চিন্তা থেকেই মূলতঃ হযরত উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু তারাবিহ নামাজ ২০ রাকাআত নির্দিষ্ট করে দেন এবং সাহাবিদের বিচ্ছিন্নভাবে তারাবিহ নামাজ আদায়ের পরিবর্তে জামাআতে আদায়ের সুন্দর ও সুশৃঙ্খল অদ্যাবধি প্রচলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, 'তোমাদের জন্য জরুরি আমার সুন্নত মান্য করা এবং খোলাফায়ে রাশিদিনদের সুন্নত মান্য করা।' ফতহুল বারী শরহে বুখারি

আর, তারাবিহ নামাজ জামাআতে আদায় করা এবং এই নামাজ বিশ রাকাআত নির্দিষ্ট করার এই বিষয়টি এক জামাআত সাহাবায়ে কেরামের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে যার নেতৃত্বে সুসাব্যস্ত হয়েছে তিনি তো আর কেউ নন, স্বয়ং সেই উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু যেই উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর মতের পক্ষে পবিত্র কুরআনুল কারিমে একাধিকবার আয়াত নাযিল হয়েছে। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিসই হযরত উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর মর্যাদা পরিমাপের জন্য যথেষ্ট। রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'আমার পরে আর কোন নবী বা রাসূল নেই। থাকলে ওমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু নবী হত।' সূত্র - সহীহ আল বোখারী, আধুনিক ৩ঃ৩৪১৪/ তিরমিযি, ইফাবা-৩৬৮৬।

সুতরাং, তারাবিহ নামাজ বিশ রাকাআতের পক্ষে এরচেয়ে শক্ত, পোক্ত, মজবুত এবং নির্ভরযোগ্য, নির্ভেজাল, সহিহ আরও কোনো দলিলের প্রয়োজন আছে কি?

অবশ্য সাহাবায়ে কেরামের যামানার পরবর্তীতে এসে সাহাবিদের চেয়ে, হযরত উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর চেয়ে, হযরত আবূ বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর চেয়ে, হযরত উসমান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর চেয়ে, হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর চেয়ে বেশি জ্ঞানী, বেশি পরহেযগার, বেশি আল্লাহওয়ালা, বেশি মুত্তাকি যারা তাদের কথা ভিন্ন। তাদের প্রতি আমাদের হৃদয় নিংড়ানো সালাম এবং দুআ কামনা ছাড়া আর কিছুর প্রত্যাশা নেই।

খলিফাতুল মুমিনীন হযরত উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু প্রচলিত জামাআতে বিশ রাকাআত তারাবিহ পড়তে যাদের এত আপত্তি, তাদের কাছে বিনীতভাবে একটি প্রশ্ন রেখে আলোচনা শেষ করছি- হাদিসের আলোকে জানা যায় যে, রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে মাত্র অল্প সংখ্যক দিন তারাবিহ নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করেছেন এবং বাকি সময়গুলোতে একা একা আদায় করেছেন। মসজিদে না পড়ে ঘরে পড়েছেন। তাই প্রকৃত সত্য হচ্ছে, তারাবিহর জামাআত আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই চালু করেন। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইনতেকালের পরে এই নামাজ জামাআতের সাথে আদায়ের লক্ষ্যে গ্রহনযোগ্য ও সুন্দর একটি পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয় যেটা রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় ছিল না। সুতরাং, যেহেতু রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় বর্তমানে প্রচলিত তারাবিহ নামাজের জামাআতবদ্ধ হুবহু এই পদ্ধতি ছিল না, তো সকলের নিকট একথা পরিষ্কার যে, জামাআতের সাথে তারাবিহ আদায়ের এ আমলটি সাহাবায়ে কেরামগণ দ্বারা প্রবর্তিত ও প্রতিষ্ঠিত। তারাবিহ নামাজকে যারা টুকরো টুকরো করে ছোট করতে চান তাদের নিকট বিনীত প্রশ্ন- তারা যদি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমল ব্যতিত সাহাবায়ে কেরামের কোনো আমল গ্রহনযোগ্য মনেই না করেন, তাহলে তারাবিহর জামাআতে তারা দাঁড়ান কিভাবে এবং কোন্ যুক্তির বলে?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আল্লাহর ইবাদতে কোনো বাধা নেই।
আজ যারা ৮ রাকাত নামাজ পড়তে বলছেন কিছুদিন পর তারাই ২ রাকাত নামাজ পড়তে বলবেন, তারপর তারাবিহ নামাজ পড়া থেকে সবাইকে সরে পরতে বলবেন। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে তাঁর ইবাদত করার ও ভালো কাজ করার তৌফিক দান করুন। ওয়া আখের ওয়া দাওয়ানা আন আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৭

অধীতি বলেছেন: অল্পকথায় ভালভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যযোগ।আল্লাহ আপনার জ্ঞানের পরিসরকে আরো বিস্তৃত করুক,আমিন।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good post

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৬

রাফা বলেছেন: ভালো লিখেছেন,তারাবি নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই।

ধন্যবাদ,ন.নকিব।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তারা কোন দলিলের উপর ভিত্তি করে ৮ রাকাত পড়ে?

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তারাবি ২০, ৮ বা ৩ রাকাতের বিতর্ক পরে
আমার স্বল্প জ্ঞানে আমি যা বুঝি, তারাবি অপরিহার্য নামাজ নয় বা রোজা সংশ্লিষ্ট কোন নামাজ নয়। ৫ ওয়াক্ত ফরজ বাদে বাকি সুন্নত নফল নামাজগুলো অতিরিক্ত নামাজ।
তারাবি নামাজের সাথে রোজার কোন সম্পর্ক নেই। রোজা রাখবেন বলে তারাবি পড়া জরুরী বা উত্তম কি না এটি কোন প্রশ্নই নয়।
রমজান মাসে হাতে সময় থাকলে যে কোন ইবাদাতই করতে পারেন, তারাবি নামাজও পড়তে পারেন। ৩ - ৮ - ২০ যত ইচ্ছা।
অর্থাৎ মুল নামাজ পরে হাতে সময় থাকলে সুন্নত নফল ইত্যাদি অতিরিক্ত নামাজগুলো পড়লে সোয়াব, না পরলে গোনাহ নেই।
কিন্তু শুক্রবার বাদে ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে মসজিদের এক কাতারও পুরে না, কিন্তু তারবি নামাজে মসজিদ উপচে বারান্দায় .. রাস্তায়!

নির্দিষ্ট নামাজের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ত করা একটি অপরিহার্য। অর্থাৎ নিয়ত সঠিক না হলে নামাজই হবে না।
আপনারা যদি একটি ঐচ্ছিক অতিরিক্ত নামাজকে যদি আপনি রোজার কারনে অপরিহার্য মনে করে নামাজ আদায় করেন তাহলে আপনার নিয়তই ভুল হয়ে যাবে।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২০

যাযাবর চখা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত পড়তে চান তাদের জন্য;-
মাহে রামাদানে তারাবীহর নামাজের রাকাত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত
ধন্যবাদ ভাই। আমিও এটাই বলেছি। হযরত উমর (রাদিআল্লাহু আনহু) এর নিয়ম মানতে এদের অসুবিধা কোথায়? এর ভন্ড এবং সাধারণ মানুষজনকে পথভ্রষ্ট করতে চায়।
আপনি খেয়াল করবেন এই আহলে হাদিসের গ্রুপ সব সময় সাধারণ মানুষ'কে কম ইবাদত বন্দেগী করতে বলে। কেন বলে? মানুষজন বেশি ইবাদত, আল্লাহর নাম নিলে এদের সমস্যা কি? এটাই আসল ঘটনা।
২০ রাকাত পড়ার জন্য সরাসরি নির্দেশ দেয়া আছে। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এর কম পড়া যাবে না। আমি তো বাসায় জামাত করে ২০ রাকাত পড়ি। মসজিদ বন্ধ তাতে কি হয়েছে?
আল্লাহ আপনাকে এই ভালো কাজের উত্তম পুরষ্কার দিন, আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.