নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআন হাদিসের আলোকে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৫

ছবি: অন্তর্জাল।

কুরআন হাদিসের আলোকে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব

উপক্রমনিকাঃ
বিশ্বজাহানের প্রতিপালক মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মানব জাতিকে তাদের পার্থিব জীবনে সঠিক পথনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে যুগে যুগে অসংখ্য নাবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। প্রেরিত পুরুষ নাবী-রাসূলদের নিকট আল্লাহ তাআ'লা হেদায়েতের যে বাণী পাঠিয়েছেন তাকে বলা হয় ওহী। যুগে যুগে প্রেরিত নাবী-রাসূলদের মধ্য থেকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাবী এবং রাসূল হলেন বিশ্বনাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁর উপর অবতারিত কিতাব কুরআনূল কারীম গোটা মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যবান নি:সৃত বাণীকে বলা হয় সুন্নাহ বা হাদীস। ওহী বলতে কুরআন ও সুন্নাহ দু'টোকেই বুঝানো হয়ে থাকে। কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানব জাতির জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ, মুক্তি ও সফলতা। তাই কুরআন-সূন্নাহর জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, একমাত্র ওহীভিত্তিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই ইসলামী শরীয়ার হালাল-হারাম, করনীয় ও বর্জনীয় বিষয় জানা সম্ভব হতে পারে। কোন পথে চললে আমাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ ও সফলতা, আর কোন পথে রয়েছে ব্যর্থতা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে শাস্তি ও লাঞ্চনা, তা সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে। অতএব দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও মুক্তি পেতে হলে কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণের বিকল্প কোন পথ নেই। আর কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ কুরতে হলে উহার জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাই কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলাত সম্পর্কে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

কুরআনুল কারীমের আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব :

০১. প্রথম ওহী 'পড়ুন' :

قا ل الله سبحا نه وتعا لى

* اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ-( سورة زمر –أية 01)

পড়ো তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।

ব্যাখ্যা :
ইসলাম ধর্মের আগমনে পৃথিবীবাসী মানুষের জন্য জাগতিক ও পারলৌকিক সকল প্রকার শিক্ষার দ্বার উম্মুক্ত হয়েছে। ইসলামের তথা, আল কুরআনের সর্বপ্রথম নাযিলকৃত বাণীটিই হচ্ছে- اقرأ অর্থাৎ, পড়ুন। এখান থেকে অনুধাবন করা যায়, ইসলাম বিশ্বমানবতার জন্য জ্ঞানের দ্বার কিভাবে উম্মুক্ত করে দিয়েছে।

০২. আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান :

জ্ঞানী ও মূর্খ কখনো সমান হতে পারে না।

قا ل الله تبارك وتعا لى :
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لا يعلمون ( الزمر 9- )

হে নবী আপনি বলে দিন, যে ব্যক্তি (কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়াতের বিধান) জানে আর যে জানে না, তারা কি উভয়ে সমান গতে পারে? তার মানে কখনই সমান হতে পারে না।

০৩. যাদেরকে দ্বীন ইলমের জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে ঐসব লোকদের উপর, যারা তা জানে না।

قال الله سبحا نه وتعا لى :
*يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٌ (المجادلة-11)

তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে দ্বীন ইসলামের জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদেরকে বিশেস সন্মান বা মর্যাদা দান করা হয়েছে।

ব্যাখ্যা :
আলোচ্য আয়াতে কারীমা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হলো যে, ঈমান্দার ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যাদেরকে ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী করা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বিশেষ সন্মানে ভূষিত করেছেন। অর্থাৎ- তাদের মস্তকে মর্যাদার বিশেষ মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।

০৪. অন্য আয়াতে কারীমায় ইরশাদ হয়েছে-

قال الله تبارك وتعا لى :
* شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ( العمران-18)-

ইরশাদ হচ্ছে যে, আল্লাহ তায়লা স্বয়ং এ কথার উপর স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আল্লাহর স্বাক্ষ্যের পাশাপাশি একথার স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন ফেরেশ্তামন্ডলী ও ওলামায়ে কেরাম। আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন।

ব্যাখ্যা :
আলোচ্য আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তায়ালা তার সত্তার একত্ববাদের স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রথমে তিনি নিজে, দ্বিতিয় পর্যায়ে ফেরেশ্তামন্ডলী ও তৃতীয় পর্যায়ে ওলামায়ে কিরামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর দ্বারা একথা প্রতীয়মান হয় যে, মর্যাদার দিক থেকে (নাবী-রাসূল ব্যতিত) ফেরেশ্তাকুলের পরেই ওলামায়ে কেরামের অবস্থান।

০৫. আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান : যারা ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী তথা আলিম, তারাই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেন।

قا ل الله تعالى :
* إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَماء – ( الفا طر -28 )

একমাত্র (ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী) আলিমগণই আমাকে ভয় করে থাকে।

০৬.আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান :

قال الله تعا لى :
• فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ( النحل-43)

তোমরা যারা জানো না, যারা জানে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।

০৭. একমাত্র আলিমগণই ভাল-মন্দ ও হক বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে :

• وَمَا يَعْقِلُهَا إِلَّا الْعَالِمُونَ-(العنكبوت- 43)

একমাত্র আলেমগণই ভাল-মন্দ ও হক-বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে।

হাদীসের আলোকে ইলম শিক্ষার ফজিলাত :

ইলম অর্জনের গুরুত্ব বুঝাতে অনেকগুলো সহিহ হাদিস আমাদের সামনে রয়েছে। কয়েকটি উল্লেখ করছি-

প্রথম হাদীস:

عن أنس بن مالك ( رض) قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : " طلب العلم فريضة على كل مسلم " ( رواه ابن ماجه-ررقم الحديث-224- مطبع مصر )
وفى رواية : على كل مسلمة –

হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'প্রতিটি মুসলিম পুরুষের উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ।'

অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে– প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ । ইবনে মাযাহ, হাদীস নং- ২২৪

عن معا وية (رض) قا ل : قا ل رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم : "من يرد الله خيرا يفقه فى
الدين _ "
( رواه البخا رى، رقم الحديث: 7312-ومسلم، 1037- كل مطبع مصر- )

মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান: 'আল্লাহ তায়ালা যার জন্য বিশেষ কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দ্বীনী জ্ঞান অর্জন ও বুঝার তাওফিক দান করেন।' সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭৩১২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৩৭

তৃতীয় হাদীস :

عن ايى هريرة ( رض) قا ل : قا ل رسو ل الله صلى الله عليه وسلم : " اذا ما ت الا نسا ن انقطع عنه عمله الا من ثلا ثة الا من صدقة جارية او علم ينتفع به او ولد صالح يدعو له " _
( رواه مسلم ، رقم الحديث : 1631، مطبع مصر )

আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'যখন মানুষ মৃত্যু বরণ করে, তখন তার সব আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তিনটি আমল এমন যার সাওয়াব বন্ধ হয় না।'

০১. ছাদক্বায়ে জারিয়া অর্থাৎ- প্রবাহমান ছাদক্বাহ।
০২. ইলম : যার দ্বারা জনগণ উপকৃত হয়।
০৩. নেক সন্তান : যে তার জন্য দুআ করে। সহীহ মুসলিম, ১৬৩১

চতুর্থ হাদীস :

عن قيس بن كثير قال : قدم رجل من المدينة على أبي الدرداء وهو بدمشق فقال ما أقدمك يا أخي ؟ فقال حديث بلغني أنك تحدثه عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال أماجئت لحاجة ؟ قال لا قال أما قدمت لتجارة ؟ قال لا قال ما جئت إلا في طلب هذا الحديث ؟ قال فإني سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول من سلك طريقا يبتغي فيه علما سلك الله له طريقا إلى الجنة وإن الملائكة لتضع أجنحتها رضاء لطالب العلم وإن العالم ليستغفر له من في السموات ومن في الأرض حتى الحيتان في الماء وفضل العالم على العابد كفضل القمر على سائر الكواب إن العلماء ورثة الأنبياء إن الأنبياء لم يورثوا دينارا ولا درهما إنما ورثوا العلم فمن أخذ به أخذ بحظ وافر –
( رواه احمد، رقم الحديث: 21207- والترمذى- 2682- وابن ماجه- 223- كل مطبع مصر )

তাবেয়ী কাছির ইবনু ক্বায়েছ রহমাতুল্লাহি আলাইহ বলেন: আমি দামেশকের মসজিদে বিশিষ্ট সাহাবী আবুদ্দারদাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এর সাথে বসা ছিলাম, এমন সময় তার নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে বল্লেন: হে আবুদ্দারদাহ! আমি সুদূর মদিনাতুর রাসূল থেকে আপনার নিকট শুধু একটি হাদীস শুনার জন্য এসেছি। আপনি নাকি উহা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করে থাকেন। তখন আবুদ্দারদাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বল্লেন: হ্যা, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছি: তিনি বলেন; যে ব্যক্তি ইলম আন্বেষণ করার লক্ষ্যে কোন পথ অবলন্বন করে, আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে তাকে জন্নাতের পথ সমূহের মধ্য থেকে একটি পথে পৌছিয়ে দেন এবং ফেরেস্তাগণ ইলম অন্বেষণকারীদের সন্তুষ্টির জন্য তাদের নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। এতদ্ব্যতীত যারা আলেম, তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীতে যারা আছেন , তারা সকলেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও দোওয়া করতে থাকেন। এমনকি পানির মধ্যে অবস্থিত মাছসমূহ তাদের জন্য দোওয়া করে থাকেন। আলেমের ফজিলাত সাধারণ আবেদের (ইবাদতকারী) উপর এমন, যেমন পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা অন্যান্য তারকারাজির উপর। আর আলিমগণ হচ্ছেন নাবীদের ওয়ারিশ। নাবীগণ কোন দীনার বা দিরহাম ( টাকা-পয়সা ও ধনসম্পদ) রেখে যান না। তারা মিরাছ হিসেবে রেখে যান শুধু ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করলো সে সৌভাগ্যের পূর্ণ অংশ গ্রহণ করলো। আহমদ, হাদীস নং ২১২০৭, তিরমিজি, ২৬৮২, ইবনু মাজাহ, ২২৩

পঞ্চম হাদীস :

عن ابى اما مة البا هلى (رض) قال : قا ل رسول الله صلى الله عليه وسلم : ذكر لرسول الله (ً ص) رجلان، احدهما عابد والا خر عا لم ، فقا ل رسول الله (ًص ) " ان الله وملائكته واهل السما وا ت والارض حتى النملة فى حجرها حتى الحوت ،ليصلون على معلم الناس الخير "_

'রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট দু‘জন ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচিত হলো। তাদের একজন আবেদ (সাধারণ ইবাদতকারী) আর অপরজন আলেম, (কার ফজিলাত বেশি?) । রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আবেদের উপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব তেমন, যেমন আমার শ্রেষ্ঠত্ব তোমাদের মধ্যে একজন সাধারণ ব্যক্তির উপর। অত:পর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেশতাগণ এবং আসমান –যমিনের অধিবাসীরা এমনকি গর্তের পিপীলিকা ও পানির মাছ পর্যন্ত যে ব্যক্তি মানুষকে ভাল কথা বলে তথা ইলম শিক্ষা দিয়ে থাকেন, তার জন্য দুআ করে।' তিরমিজি শরিফ

৬ষ্ঠ হাদীস :

عن انس (رض) قا ل : قا ل رسول الله صلى الله عليه وسلم : " من خرج فى طلب العلم فهو فى سبيل الله "
( رواه الترمذى ، رقم الحديث : 2647- والد ار مى )

হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের লক্ষ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হলো, সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় রয়ে গেল।’ তিরমিজি, ২৬৪৭ এবং সুনানে দারেমি

পরিশেষে বিনীত আহবানঃ
পরিশেষে বিনীত আহবান, আসুন! আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দ্বীনী জ্ঞান নিজে অর্জন করি এবং আমাদের সন্তানদের দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদেরকে দুনিয়া এবং আখেরাতের প্রয়োজনীয় উপকারী প্রত্যেক বিষয়ের যথাযথ জ্ঞান অর্জনের তাওফিক দান করুন। বিশ্ব মানবতার সামগ্রিক কল্যানে আমাদের জ্ঞানকে কাজে লাগানোর কিসমত নসিব করুন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বাগত। শুকরিয়া।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আল্লাহ যদি মানুষকে জ্ঞান দিয়ে থাকেন, উনার বন্ধু, ইসলামের নবী'কে (স: ) সামান্য পড়ালেখার জ্ঞানটুকুও দিতে পারলেন না?

০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১০:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



চাঁদগাজী ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টে আসায়। আপনার মন্তব্যটিও আমার কাছে খুবই বিজ্ঞচিত মনে হয়েছে। আপনি বলেছেন যে, আল্লাহ যদি মানুষকে জ্ঞান দিয়ে থাকেন, উনার বন্ধু, ইসলামের নবী'কে (স: ) সামান্য পড়ালেখার জ্ঞানটুকুও দিতে পারলেন না?

বেশ ভালো চিন্তা। আপনার এই চিন্তা প্রসঙ্গে ধারণা নিতে হলে সামান্য কথা সমিচীন মনে করছি।

সমাজে আমরা যেটা দেখি, অনেকে লিখন ও পঠনকে শিক্ষা লাভ না করার সঙ্গে মিলিয়ে অশিক্ষিত হবার বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেন ও ‘উম্মী’ শব্দটির অর্থ করে থাকেন ‘অশিক্ষিত’, 'মূর্খ' বা 'জ্ঞানহীন'। কিন্তু এই ধারণা আদৌ সঠিক নয়। এ দু’য়ের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। একজন ব্যক্তির ব্যাপারে এই কথা ভাবা সঠিক নয় যে, তার লিখতে না পারা ও পড়তে না জানার অর্থ তিনি জ্ঞানহীন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিষয়টিও একইরকম। তিনি লিখতে এবং পড়তে পারতেন না কিন্তু তাঁর জ্ঞানের সাথে তুলনা করার মত দ্বিতীয় কোনো মানুষ পৃথিবীতে আসেননি এবং আসবেনও না। তাঁর প্রতি নাযিলকৃত কুরআনুল হাকিম এর দিকে একটু দৃষ্টিপাত করলেই এই কথার প্রমান পাওয়া যায়।

আল্লাহ পাক কেন তাঁর রাসূলকে উম্মী তথা নিরক্ষর রেখেছেন সেটা একমাত্র আল্লাহ পাকই ভালো জানেন। তবে আমাদের কাছে এ বিষয়ে যে কারণগুলো যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয় সেগুলো হচ্ছে-

১। আল কুরআনে বর্ণিত কথাগুলোর দিকে তাকালে হৃদয় কেঁপে ওঠে। জ্ঞানবান ব্যক্তিমাত্রেরই বুঝতে বাকি থাকে না যে, এই ধরণের নির্ভুল, নিখুঁত এবং উচ্চমার্গের বাণীসম্বলিত গ্রন্থ কোনো মানুষের পক্ষে বানানো তো দূরের কথা আদৌ চিন্তা করাও বাতুলতা মাত্র।একজন নিরক্ষর ব্যক্তির মুখ দিয়ে উচ্চারিত বিশ্ব জগত ও গোটা সৃষ্টিকূল সৃষ্টির উৎস ও অস্তিত্বে আসার পরম্পরা ও ধারাবাহিকতা, পরকাল, মানুষ, নৈতিকতা, বিধি-বিধান ও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অসাধারণ সুন্দর ও বিশুদ্ধভাবে আল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে - যা কখনোই কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিল না! হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সত্যি সত্যিই আল্লাহ তাআ'লার প্রেরিত রাসূল এটাই তার অন্যতম প্রমান।

২। প্রিয়তম আখেরি পয়গাম্বর হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তাআ'লা শ্রেষ্ঠতম নবী এবং সর্বশেষ রাসূলের মর্যাদায় ভূষিত করতে চেয়েছেন। পৃথিবীর কোনো ব্যক্তিকে যদি তাঁর শিক্ষক হওয়ার সুযোগ দেয়া হত, তাহলে নবুয়তপ্রাপ্তির পরে সেই শিক্ষক ব্যক্তিটির দ্বারা অবান্তর কোনো কথা বলাও অসম্ভব ছিল না। হয়তো তিনি বলতে পারতেন যে, আমি তো তাঁর উস্তাদ বা শিক্ষক, তাকে পড়াশুনা আমি শিখিয়েছি, তাঁর সম্মন্ধে আমার চেয়ে বেশি কেউ বুঝা ও জানার কথা নয়। সুতরাং, সে যে নবুয়তির দাবি করছে তা সত্য অথবা মিথ্যে।

স্বয়ং আল্লাহ পাকই দায়িত্ব নিয়েছেন তাকে শিক্ষা দেয়ারঃ
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা চাননি তিনি কোন মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা নিজেই তাকে শিক্ষা দিয়েছেন, আরোহন করিয়েছেন জ্ঞানের সর্বোচ্চ চূড়ায়!

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন-

الرَّحْمَنُ

অর্থঃ 'করুনাময় আল্লাহ।'

عَلَّمَ الْقُرْآنَ

অর্থঃ '(মুহাম্মাদকে) শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।' সূরা আর রহমান, আয়াত ১-২

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-

وَلَوْلاَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّت طَّآئِفَةٌ مُّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلاُّ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيْءٍ وَأَنزَلَ اللّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا

অর্থঃ 'যদি আপনার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না হত, তবে তাদের একদল আপনাকে পথভ্রষ্ট করার সংকল্প করেই ফেলেছিল। তারা পথভ্রান্ত করতে পারে না কিন্তু নিজেদেরকেই এবং আপনার কোন অনিষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশী গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না। আপনার প্রতি আল্লাহর করুণা অসীম।' সূরা নিসা, আয়াত ১১৩

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র বাণীতে ইরশাদ করেছেন-

‘ইন্নামা বুয়িসতু মুয়াল্লিমান।’

অর্থ- 'আমাকে শিক্ষক করে পাঠানো হয়েছে'। ইবনে মাযা, আলিম ও তালিবে ইলমের ফযিলত মাতান-পাতা-২০ ও ২১

অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন :

‘আমার প্রতিপালক আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন, তাই আমার শিক্ষা সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা। আমার প্রভু আমাকে আমল ও আখলাক, জীবনাচার ও নৈতিকতা শিক্ষা দিয়েছেন, তাই আমার জীবনাচার ও নৈতিকতা সর্বোত্তম।’

এ হাদিস থেকে জানা গেল যে, স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট ইলম, আমল ও শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়ে সমগ্র মানব জাতির জন্য একজন ‘অনুসরণীয় মানুষ’ হিসেবে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন : ‘উন্নত আমল-আখলাক ও নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’

এক রেওয়ায়েত থেকে জানা যায় যে, কেয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কেউ তার পা সরাতে পারবে না। তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো এই ‘ইলম বা জ্ঞান অনুুযায়ী আমল করা হয়েছে কী না'।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে উম্মী ছিলেন তার প্রমাণঃ
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে উম্মী ছিলেন তার প্রমাণ কুরআন হাদিসেই বিদ্যমান। যেমন, মহান আল্লাহ তাআ'লা কুরআনে হাকিমে বলেন-

الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُم بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالأَغْلاَلَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُواْ بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُواْ النُّورَ الَّذِيَ أُنزِلَ مَعَهُ أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

'সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।' সূরা, আল আরাফ, আয়াত: ১৫৭

অত্র আয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উম্মী বলা হয়েছে।

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট সর্বপ্রথম যে ওয়াহী আসে, তা ছিল নিদ্রাবস্থায় বাস্তব স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে প্রভাতের আলোর ন্যায় প্রকাশিত হতো। অতঃপর তাঁর নিকট নির্জনতা পছন্দনীয় হয়ে দাঁড়ায় এবং তিনি ‘হেরা’র গুহায় নির্জনে অবস্থান করতেন। আপন পরিবারের নিকট ফিরে এসে কিছু খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে- এভাবে সেখানে তিনি এক নাগাড়ে বেশ কয়েক দিন ‘ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন।

অতঃপর খাদীজাহ (রাঃ) -এর নিকট ফিরে এসে আবার একইরকম কিছু সময়ের জন্য কিছু খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যেতেন। এভাবে ‘হেরা’ গুহায় অবস্থানকালে তাঁর নিকট ওহী আসলো।

তাঁর নিকট ফেরেশতা এসে বললেন, ‘পাঠ করুন’।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘‘আমি বললাম, ‘আমি পড়তে জানি না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ অতঃপর তিনি (ফেরেশতা) আমাকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলেন যে, আমার খুব কষ্ট হলো।

অতঃপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পাঠ করুন’।

আমি বললামঃ আমি তো পড়তে জানি না।’

তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলেন যে, আমার খুব কষ্ট হলো।

অতঃপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ ‘পাঠ করুন’।

আমি উত্তর দিলাম, ‘আমি তো পড়তে জানি না।’

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অতঃপর তৃতীয়বারে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। তারপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত পিন্ড থেকে, পাঠ করুন, আর আপনার রব অতিশয় দয়ালু’ -সূরা ‘আলাক্ব, আয়াত- ১-৩)

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে উম্মী ছিলেন তার প্রমান হুদাইবিয়ার সন্ধি লেখার সময়েও পাওয়া যায়। যখন হদাইবিয়ার সন্ধি লিখিত হয় তখন মুশরিকরা 'রাসূল' কথাটি সন্ধিপত্র থেকে বাদ দিতে বলে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আলী (রাঃ) কে তা কেটে ফেলতে বলেন। আলী (রাঃ) তা কাটতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- 'জায়গাটি আমাকে দেখিয়ে দাও'!

অতঃপর দেখিয়ে দেয়ার পরে তিনি নিজ হাতে তা কেটে দিলেন।

প্রশ্ন হচ্ছে- যদি তিনি লিখতে পড়তে জানতেন তবে কি বলতেন যে, 'আমাকে জায়গাটি দেখিয়ে দাও'? কখনোই নয়।

প্রিয় চাঁদগাজী ভাই, আমাদের ধারণা, এগুলো হয়তো আপনার জানা কথা। অথবা, এসব বিষয়ে আরও বেশিও আপনি জেনে থাকতে পারেন। আপনার জ্ঞান বহুধা বিস্তৃত। তবুও একটু স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা আর কি।

অনেক ভালো থাকবেন।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good post

০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১০:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ৭:১৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।জ্ঞান অর্জনটা হতে হবে সামগ্রিক শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়।ইসলামে জ্ঞান অর্জনের এত গুরুত্বের প্রধান কারণ মনে হয়েছে যে কুরআনকে বুঝতে সামগ্রিক জ্ঞানের প্রয়োজন; শুধু অর্থ ও তাফসির পড়লে হবে না।আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম বিধায় সবকিছুতে প্রমাণ আর যুক্তি খুঁজে বেড়াতাম।সে সময় আমি মডারেট মুসলিম (নিজের মন মত ধর্ম পালন করা) ছিলাম।জীবনে নানা বিদ্যা অর্জনের পর হঠাৎ একদিন কুরআনের একটা আয়াত শুনে চমকে গেলাম বিজ্ঞানের একটা আধুনিক বিষয়ের সাথে মিল দেখে।তারপর কুরআন পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়লাম ভাষাগত ব্যাপার নিয়ে কারণ তাফসিরে বর্ণিত অর্থ গ্রহণ করলে সেটা অনেকটাই অর্থহীন হয়ে যায়।এরপর কুরআনের আবরি ভাষা (যা হাল আমলের আরবি ভাষা থেকে অনেক ভিন্ন) শেখা শুরু করলাম।এরপর থেকে অনেককিছুই পরিষ্কার হতে শুরু করল।এখনও আমি ছাত্রবস্থায় আছি।যারা নাস্তিক বা কুরআনের বিভিন্ন আয়াত নিয়ে বিদ্রুপ করে তাদেরকে দোষ দেওয়া যায় না।কারণ খন্ডিত চিত্র প্রায়শই ভুল অর্থ উপলব্ধি করায়।সারাজীবন বইয়ের মধ্যে ডুবে থেকেও এবং বিজ্ঞান চর্চা করেও এখন মনে হচ্ছে কুরআনের বৈজ্ঞানিক দিকগুলো বুঝতে যে জ্ঞান দরকার তার ১ আনাও অর্জন করতে পারিনি।হয়ত এ কারণেই শরীয়তে সাধারণ মানুষকে শুধু বিশ্বাস করতে এবং কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে জ্ঞানীদের কাছে যেতে বলা হয়েছে।আমি এখন পর্যন্ত সে পর্যায়ের কোন জ্ঞানীব্যক্তিকে খুঁজে পাইনি।

০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



নানাবিধ কারণে ব্লগ ছেড়ে অনেকসময়ই মনে হয়েছে যে, চলে যাই। যেতামও। কিন্তু কি এক অদৃশ্য টানে আবার থেকে গেছি। যাইনি। আপনার পুনরাগমনে এখন আপনাকে পেয়ে সত্যি ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, চলে না গিয়ে ভালোই হয়েছে। বিদগ্ধ কিছু মানুষের ছোঁয়ায় এখনও আলোকিত, আলোড়িত হচ্ছে এই প্লাটফর্ম।

শুকরিয়া, আপনার জ্ঞান সাধনার অনন্য অভিব্যক্তি শিহরিত করলো। দারুন একটি মন্তব্যে আপনার সম্মন্ধে অনেক কিছু জেনে ভালো লাগছে। আশা, আরও জানার সুযোগ হবে। প্রেরণা হয়ে থাকুন। প্রেরণা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান আলোর অভিযাত্রীদের।

কৃতজ্ঞতাসহ কল্যানের দুআ।

০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সারাজীবন বইয়ের মধ্যে ডুবে থেকেও এবং বিজ্ঞান চর্চা করেও এখন মনে হচ্ছে কুরআনের বৈজ্ঞানিক দিকগুলো বুঝতে যে জ্ঞান দরকার তার ১ আনাও অর্জন করতে পারিনি।

-জ্ঞান এমনই অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয় তার বাহককে। যিনি যত বেশি জ্ঞানী তিনি ততবেশি বিনয়ী হয়ে থাকেন।

০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



হয়ত এ কারণেই শরীয়তে সাধারণ মানুষকে শুধু বিশ্বাস করতে এবং কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে জ্ঞানীদের কাছে যেতে বলা হয়েছে।আমি এখন পর্যন্ত সে পর্যায়ের কোন জ্ঞানীব্যক্তিকে খুঁজে পাইনি।

-আসুন, একসাথে অনুসন্ধানে নামি! হয়তো পেয়ে যাব এক দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.