নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে শ্রম এবং শ্রমিকের মর্যাদা এবং মহান মে দিবসে বরেণ্য ব্যক্তিদের কিছু উক্তি

০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

ছবিঃ সংগৃহীত।

ইসলামে শ্রম এবং শ্রমিকের মর্যাদা এবং মহান মে দিবসে বরেণ্য ব্যক্তিদের কিছু উক্তি

শ্রম কাকে বলে?
সাধারণ অর্থে, শ্রম বলতে মানুষের কায়িক পরিশ্রমকে বুঝায়। কিন্তু শ্রম শব্দটির বিশেষ ও ব্যাপক অর্থ রয়েছে। উৎপাদন কাজে নিয়োজিত সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক কাজ ও সেবাকর্ম এবং যার বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, তাকে শ্রম বলে। একজন কৃষক, শিল্প-শ্রমিক বা রিকশা চালকের শারীরিক পরিশ্রম যেমন শ্রম, তেমনি একজন শিক্ষকের শিক্ষাদান বা ডাক্তারের পরামর্শ দান তার বুদ্ধিজাত শ্রম। বস্তুতঃ মানুষ যে পরিশ্রমের বিনিময়ে কিছু উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তাকে শ্রম বলা যায়।

অন্য কথায়, মানুষ জীবন ধারণের জন্য যেসব কাজ করে থাকে, তাকে শ্রম বলে। ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষই কোনো না কোনো কাজ করে। আর কাজ করতে প্রয়োজন হয় শ্রমের। শ্রম ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু শ্রম দিয়ে থাকি। আমরা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় যে কাজগুলো করে থাকি, তার পেছনেও আমাদের শ্রম বিনিয়োগ হয়।

শ্রমিক আল্লাহ তাআ'লার বন্ধুঃ
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

'আল কাসিবু হাবিবুল্লাহ।'

অর্থাৎ, 'নিজ শ্রমের বিনিময়ে উপার্জনকারী ব্যক্তি আল্লাহ তাআ'লার বন্ধু।'

নবি রাসূলগণও শ্রম দিয়েছেনঃ
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও শ্রম দিয়েছেন। নিজের জুতা তিনি নিজেই মেরামত করতেন। নিজের কাপড় নিজে সেলাই করতেন। এমনকি পাহাড়ের পাদদেশে তিনি বকরী পর্যন্ত চড়িয়েছেন। নবুয়ত পূর্ব জীবনে উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআ'লার ব্যবসা পরিচালনার কাজে নিযুক্ত হয়েছেন।

পৃথিবীর প্রথম মানব আদি পিতা, সর্বপ্রথম নবি হযরত আদম আলাইহিস সালাম কৃষি কাজ করতেন। হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম বর্ম তৈরী করতেন। হযরত মুসা আলাইহিস সালামও শ্রম দিয়েছেন। হযরত উতবাহ ইবনুন নুদ্দার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি সূরা তা-সীন-মীম পাঠ করলেন। শেষে মূসা আলাইহিস সালাম -এর ঘটনা পর্যন্ত পৌঁছে তিনি বলেন, 'মূসা আলাইহিস সালাম আট অথবা দশ বছর যাবত নিজেকে শ্রমিকরূপে নিয়োজিত রেখেছিলেন নিজের লজ্জাস্থান হেফাজতের (বিবাহ) ও পেটের আহারের বিনিময়ে।' সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৪৪৪

সাহাবায়ে কেরাম শ্রমের বিনিময়ে জীবন ধারণ করতেনঃ
হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু মজদুরীর তালাশে ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন আর রাত্র পর্যন্ত কোন ইহুদীর ক্ষেতে কাজ করে কিছু খাবার নিয়ে ঘরে ফিরে আসতেন। কিন্তু কখনো ভিক্ষার হাত বাড়াননি। নবী দুলহান হযরত ফাতেমা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা পানি বইতে বইতে বুকে-পিঠে দাগ পড়ে যেত। যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে হাতে ফোসকা পড়ে যেত, তবুও শ্রমবিমুখ হননি।

হযরত উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু অনেক সময়ই অত্যন্ত জোর দিয়ে বলতেন, 'তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যেন মেহনত করে অর্থ উপার্জনের কাজ বন্ধ না করে দেয় এবং এই বলে বেকার বসে না থাকে, হে খোদা! তুমি আমার খাবার দাও। কারণ, তোমরা ভালো করেই জান আকাশ থেকে সোনা-চাদি ঝরে পড়ে না!' (ইসলামে শ্রমিকের অধিকার, পৃ.৫৫)

ভিক্ষা নয় খেটে খাওয়ার ভেতরেই মর্যাদাঃ
নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শ্রমের মূল্যায়ন ও ভিক্ষাবৃত্তির প্রতি অনিহা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, 'তোমরা কেউ দড়ি নিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যাবে, লাকড়ি জমা করে পিঠে বোঝা বয়ে এনে তা বিক্রি করবে এবং এমনিভাবে আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেবেন, দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার জন্য ঘুরে করুণা ও লাঞ্ছনা পাওয়ার চেয়ে এটা অনেক ভালো।' (বুখারী)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বর্ণনা করেন, নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'তোমাদের কেউ কেউ মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতে চাইতে আল্লাহ্‌র সাথে এমন অবস্থায় মিলিত হবে যে তার মুখমন্ডলে গোশতের কোন টুকরা অবশিষ্ট থাকবে না।' সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২২৮৬।

অন্য হাদীসে ভিক্ষাকে জাহান্নামের আগুনের সাথে তুলনা করা হয়েছে! নাউজুবিল্লাহ।

হযরত হুবশী বিন জুনাদাহ রা. থেকে বর্ণিত আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি অভাব না থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করে জীবনধারণ করলো, সে যেন জাহান্নামের অঙ্গার ভক্ষন করলো।' সহীহ তারগীব হাদীস নং ৮০২

শ্রমের যথার্থ মর্যাদা দিয়েছে ইসলামঃ
ইসলাম শ্রম এবং শ্রমিকের যথার্থ মর্যাদা দিয়েছে। শ্রমিকের সাথে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা, শ্রমিকই হলো সকল উন্নয়ন ও উৎপাদনের চাবিকাঠি। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নত। শ্রম আল্লাহ্ প্রদত্ত মানব জাতির জন্যে এক অমূল্য শক্তি ও সম্পদ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,

لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي كَبَدٍ

'নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।' সূরা: বালাদ, আয়াত: ৪

فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

'অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' সূরা: জুমুআ, আয়াত-১০

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা শ্রমকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিন্যস্ত করেছে। যারা দামি গাড়িতে করে গিয়ে বড় দালানে শ্রম দেয়, মাস শেষে মোটা অংকের মাইনে পায় তাদের শ্রমকেই কেবল মূল্যায়ন করা হয়। আর যারা সারা দিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে খেতে খামারে অথবা রিক্সা চালিয়ে শ্রম দেয় আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আজও তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাকা চোখেই দেখে। মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয় না। বরং উল্টো তাদের সাথে অসাধাচারণ করা হয়। অথচ হাদিসে শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, 'শ্রমিকের দেহের ঘাম শুকাবার পূর্বে তোমরা তার মজুরী দাও।' সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৪৪৩

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, 'যখন তুমি কোন শ্রমিকের দ্বারা পরিশ্রম করাতে ইচ্ছা কর, তখন তার পারিশ্রমিক ঠিক করে নিও।' সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৮৫৭

শ্রমিকের অধিকার হরণকারীগনকে কিয়ামতের দিন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবেঃ
অন্য হাদিসে যারা শ্রমিক দিয়ে কাজ আদায় করে নেয় অথচ, মজুরী দেয় না তাদের সম্পর্কে আল্লাহর নবী বলেন, হযরত আবূ হুরায়রা রা. বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, 'কিয়ামতের দিন আমি তিন শ্রেণীর লোকের বিরুদ্ধে বাদী হবো। আর আমি যার বিরুদ্ধে বাদী হবো, তার বিরুদ্ধে জয়ী হবো। কিয়ামতের দিন আমি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো তারা হলো; যে ব্যক্তি আমার নামে অঙ্গীকার করে, পরে সে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে। যে ব্যক্তি অর্থ উপার্জনের জন্য স্বাধীন মানুষ বিক্রয় করে এবং যে ব্যক্তি শ্রমিক নিয়োগ করে তার থেকে পূর্ণরূপে কাজ আদায় করে নেয়, কিন্তু তার পূর্ণ মজুরী দেয় না।' সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৪৪২

ইসলাম শ্রমিকদের সাথে সদাচারের নির্দেশ দেয়ঃ
আমাদের দেশের অবস্থার দিকে তাকালে শ্রমিকদের করুণ পরিণতি চোখে পরে। শ্রমিকদের ঘাম ঝড়ানো টাকা আত্মসাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা হয়। দেশে বিদেশে ফ্লাট বাড়ি কেনা হয়। কিন্তু শ্রমিকের প্রাপ্য মজুরী দিতে তালবাহানা প্রাত্যহিক ঘটনা। ক’দিন পরপরই বেতন ভাতার দাবিতে রাস্তা অবরোধ, কারখানা বন্ধ, এমনকি সংঘর্ষ পর্যন্ত দেখা যায়। আবার অন্যদিকে শ্রমিকদের উপরে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। অথচ, ইসলাম শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা, তাদের গায়ে হাত তুলতে নিষেধ করেছে। তাদের সাথে সদাচারের নির্দেশ দিয়েছে।

হযরত হানযালাহ আল-কাতিব রা. বলেন, 'আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে যুদ্ধ করলাম। আমরা এক নিহত নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, যার নিকট লোকজন ভীড় জমিয়েছিল। লোকেরা তাঁর জন্যে পথ করে দিলো। তিনি বলেন, যারা যুদ্ধ করে, সে তো তাদের সাথে যুদ্ধ করতো না! অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, তুমি খালিদ ইবনুল ওয়ালিদকে গিয়ে বলো, রাসূলুল্লাহ সা. তোমাদের এই বলে নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা কখনো শিশু ও শ্রমিককে হত্যা করো না।' সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৮৪২

কিন্তু আমাদের সমাজে শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ, মজুরী কম দেওয়া, কাজ বেশি করানো ইত্যাকার বিষয়গুলো কেমন যেন একটা অভ্যাস এবং ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ব শ্রমিক দিবসের সূচনা যেভাবেঃ
১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরের ‘হে’ মার্কেটে অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজসহ বিভিন্ন দাবিতে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করে। বিক্ষোভ সমাবেশে নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন অনেক শ্রমিক। শ্রমজীবী মানুষের আপসহীন মনোভাব ও আত্মত্যাগের ফলে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী, ৮ ঘণ্টা কাজের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

প্রতি বছর ১ মে দিনটি পৃথিবীর দেশে দেশে বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। মে মাসের ১ তারিখ আসলে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের নামে বিভিন্ন মিছিল মিটিং, র‌্যালী-সামাবেশে যারা শ্রম অধিকারের শ্লোগান দিয়ে গলা ফাটায়। দিনশেষে তাদের কাছেই শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হয়। ১০/ ২০ টাকা রিক্সা ভাড়ার জন্য বাবার বয়সী লোকটির গায়ে হাত তুলতেও তাদের অনেকেই দ্বিধাবোধ করেন না। এরাই কি না আবার আমাদের সমাজের মডেল!

মহান মে দিবসে বরেণ্য ব্যক্তিদের কিছু উক্তি (Quotes from different famous people on the great May Day):
বিভিন্ন ব্যক্তি প্রদত্ত শ্রমিক দিবসের কিছু উক্তি-

১। যে সকল শ্রমিক মানবতার উন্নতি করেন তাদের নিজস্ব প্রতিপত্তি এবং গুরুত্ব রয়েছে, তাই অবশ্যই শ্রমসাধ্য উৎকর্ষতার সাথে গ্রহণ করা উচিত।- মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

২। শ্রম দিবস গড়পড়তা মানুষের জন্য একটি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের আমাদের সংকল্পের প্রতীক যা তার রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে বাস্তবতা দেবে।- ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট

৩। শ্রম ছাড়া কিছুই সফল হয় না।- সোফোক্লেস

৪। “সৎ হওয়ার সাহস করুন এবং কোনও শ্রমের ভয় পাবেন না।”- রবার্ট বার্নস

৫। অলৌকিক কাজটি এই নয় যে আমরা এই কাজটি করি, তবে এটি করতে পেরে আমরা আনন্দিত।- মাদার টেরিজা

৬। আমরা যখন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি, আমাদের অবশ্যই অন্যান্য বিষয়গুলির সাথে অবশ্যই দেখতে হবে যে শ্রম মুক্ত।- উডরো উইলসন

৭। “শ্রম মূলধনের চেয়ে উচ্চতর এবং উচ্চতর বিবেচনার দাবি রাখে।”- আব্রাহাম লিঙ্কন

৮। “আমি অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি যে আপনি যদি এটিতে আরও কঠোর পরিশ্রম করেন এবং এতে আরও শক্তি এবং সময় এবং আরও ধারাবাহিকতা প্রয়োগ করেন তবে আপনি আরও ভাল ফলাফল পাবেন। এটি কর্ম থেকে আসে।”- লুই সি.কে

৯। “একজন মানুষ অলস হয় না কারণ সে চিন্তায় মগ্ন থাকে। সেখানে একটি দৃশ্যমান শ্রম রয়েছে এবং সেখানে একটি অদৃশ্য শ্রম রয়েছে।”- ভিক্টর হুগো

১০। “ব্যবসায়, শ্রম ও নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলিতে এমন দক্ষতা এবং সংস্থান রয়েছে যা আরও শক্তিশালী বিশ্ব সম্প্রদায় গঠনে সহায়তা করার জন্য অত্যাবশ্যক।”- কফি আনান

১১। “পুরষ্কারের আগে অবশ্যই শ্রম থাকতে হবে। ফসল কাটার আগে আপনি রোপণ করেন। আপনি আনন্দ কাটানোর আগে আপনি অশ্রুতে বপন করেন।”- রাল্ফ

১২। “সমস্ত সম্পদ শ্রমের ফসল।”- জন লক

১৩। “যে পরিশ্রম করে শ্রম করে সে কখনও হতাশ হয় না; কারণ সমস্ত কিছুই পরিশ্রম ও পরিশ্রমের দ্বারা সম্পন্ন হয়।”- মিনান্ডার

১৪। “শ্রম ব্যতীত বিশ্রাম থাকে না, লড়াই না করে বিজয় লাভ করা যায় না।”- থমাস এ কেম্পিস

১৫। “যেখানে পুরো মানুষ জড়িত সেখানে কোনও কাজ নেই। শ্রমের বিভাজন দিয়ে কাজ শুরু হয়।”- মার্শাল ম্যাকলুহান

১৬। “বিশ্বের প্রতিটি জিনিস শ্রম দ্বারা ক্রয় করা হয়।”- ডেভিড হিউম

১৭। “মানুষ এতটাই তৈরি যে সে কেবল অন্যরকম কাজ করে এক ধরণের শ্রম থেকে শিথিলতা পেতে পারে।”- আনাতোল ফ্রঁস

১৮। “প্রতিদিন একশত বার, আমি নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে আমার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক জীবন অন্যান্য জীবিত ও মৃত ব্যক্তির শ্রমের উপর নির্ভর করে এবং আমি যেভাবে পেয়েছি এবং ঠিক তেমনই পরিমাপ করার জন্য আমাকে নিজেকে পরিশ্রম করতে ও গ্রহণ করতে হবে।”- আলবার্ট আইনস্টাইন

১৯। “আপনার পছন্দসই একটি কাজ বেছে নিন এবং আপনার জীবনে কখনও কোনও দিন কাজ করতে হবে না”।- কনফুসিয়াস

২০। “উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যতীত কেউ কিছুই শুরু করে না। কাজ ছাড়া কোনও কিছুই শেষ হয় না। পুরষ্কার আপনাকে পাঠানো হবে না। আপনি এটি জিততে হবে।”- রালফ ওয়াল্ডো এমারসন

২১। “কেবলমাত্র শ্রম ও বেদনাদায়ক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই , গুরুতর শক্তি ও দৃঢ় সাহসের মধ্য দিয়ে আমরা উন্নত জিনিসের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।”- থিওডোর রুজভেল্ট

২২। “আমরা শ্রম দিবস উদযাপন করার সাথে সাথে আমরা শ্রমিক ও অধিকারের জন্য অক্লান্তভাবে লড়াই করা পুরুষ ও মহিলাদের সম্মান জানাই, যা আমাদের শক্তিশালী ও সফল শ্রমশক্তির পক্ষে অত্যন্ত সমালোচিত।”- এলিজাবেথ এস্টি

২৩। “আপনি যখন একটি লক্ষ্যে প্রচুর পরিশ্রম করেন এবং আপনি এটি অর্জন করেন, তখন এটি সত্যিই খুব ভাল অনুভূতি।”- ডেরেক জেটার

২৪। “আপনি যা কিছু করতে চান, যদি আপনি এতে দুর্দান্ত হতে চান তবে আপনাকে এটি ভালবাসতে হবে এবং এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে সক্ষম হতে হবে”।- মায়া অ্যাঞ্জেলো

২৫। “আপনি যা করেন সে বিষয়ে যত্নশীল হন এবং এতে কঠোর পরিশ্রম করেন, এমন কিছু নেই যা আপনি চাইলে করতে পারেন না”।- জিম হেনসন

২৬। “আপনি যে প্রতিদিন ফসল কাটেন তার দ্বারা বিচার করবেন না তবে আপনি যে বীজ রোপণ করেছেন তা দিয়ে বিচার করবেন”।- রবার্ট লুই স্টিভেনসন

২৭। “অর্জনের একমাত্র উপায় হল অসম্ভবকে সম্ভব বিশ্বাস করা”।- চার্লস কিংসলে

২৮। “আপনি যে পৃথিবীটি চান তা জয়ী হতে পারে। এটি বিদ্যমান .. এটি বাস্তব .. এটি সম্ভব .. এটি আপনার।”- আইন র্যান্ড

২৯। “কঠোর ভাগ্য কাটিয়ে ওঠা একমাত্র জিনিস হ’ল কঠোর পরিশ্রম”।- হ্যারি গোল্ডেন

পরিশেষে আহবানঃ
আসুন! শুধু আনুষ্ঠানিকতাসর্বস্ব শ্রমিক অধিকার নয়, মুখে মুখে শ্লোগানে মাইকে উচ্চকন্ঠ আওয়াজে শ্রমিকদের মন ভোলানো আলিবুলিও নয় বরং সত্যিকারার্থে শ্রম এবং শ্রমিকের বন্ধু হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই। তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করি। নিজেকে আজ থেকে শ্রমিকদের কাতারের একজন ভাবতে শুরু করি। শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে সোচ্চার হই। আমাদের জাগরণের মাধ্যমেই শ্রমিকগণ ফিরে পেতে পারেন তাদের ন্যায্য অধিকার।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামে শ্রমের মর্যদা বুঝায় ৪৬ টি মুসলিম দেশ দরিদ্র ও অশিক্ষিত।

০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনারা না বুঝেই বা কতটা করতে পেরেছেন?

৪৬ টি মুসলিম দেশ একমাত্র আপনার মত বিদ্বেষী কিছু লোকের কল্পনায় অশিক্ষিত ও দরিদ্র! মুসলিম বিশ্বের বাস্তবিক চিত্র ঢালাওভাবে এমন নয়। আপনার বিচার বুদ্ধি সীমিত এবং নিতান্ত একচোখা। ইসলাম ধর্মের যে কোনো বিষয়ে আপনি যেভাবে নেগেটিভ এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেন, তা নিঃসন্দেহে পরিহার করা উচিত।

আচ্ছা, সামান্য ভাইরাসের কারণে আপনার সুশিক্ষিত এবং ধনাঢ্য আমেরিকা আজ মৃত্যু উপত্যকা কেন?

পৃথিবীতে দোষ বলতে সবই কি শুধু ইসলামের? বাকি সব দুধে ধোয়া তুলসিপাতা?

২| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:




শুধু ইসলাম নয়, প্রতিটি ধর্মই এখন মানবতার বিপক্ষে চলে গেছে; তবে, ইসলামী এলাকা অশিক্ষা, ঘুষখোর, মিথ্যাবাদী, অসৎ লোকে ভরে গেছে; খৃষ্টান এলাকায় পালাচ্ছে মুসলমানেরা।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



কিন্তু আপনাকে তো দেখা যায় শুধু ইসলামের বিপক্ষেই কথা বলতে! অন্য কোনো ধর্মের বিষয়ে আপনি কথা বলেছেন ব্লগে এমনটা দেখিনি। বলে থাকলে প্রমান দেখালে বুঝবো যে আপনি এমনই। আপনাকে তাহলে এই বিষয়ে পক্ষপাতমুক্ত মনে করা সহজ হবে।

৩| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আচ্ছা, সামান্য ভাইরাসের কারণে আপনার সুশিক্ষিত এবং ধনাঢ্য আমেরিকা আজ মৃত্যু উপত্যকা কেন? "

-আমেরিকানরা সকাল বিকাল বিশ্ব ঘুরে বেড়ায়; নিউইয়র্ক থেকে ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন বিদেশে যায়, ১০ হাজার ফিরে আসে আসে; আপনি বছরে কতবার বিদেশে যান?

আমেরিকা আবারো সবার থেকে ভালো করবে। ৬ ট্রিলয়ন ডলার খরচ করছে ইহাকে ঠিক করার জন্য, ইহা কত টাকার সমান তা বের করতে অনেক মানুষের ঘাম বেরিয়ে যাবে।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



৬ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৯ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আমেরিকা কি অশ্ব ডিম্ব ঠিক করবে? সোজা সাপ্টা কথা হল, যারা মারা গেলেন তাদের একজনকেও কি ফিরিয়ে আনতে পারবে ট্রাম্প প্রশাসন?

এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে তার কয়েকবার পদত্যাগ করা উচিত নয় কি?

৪| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা তো ইসলামের চোখে শ্রমিকদের দেখে না। বারে বারে ঠকায়।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেকেই ঠকায়। এগুলো ঠিক নয়।

৫| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:০১

রিফাত হোসেন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা তো ইসলামের চোখে শ্রমিকদের দেখে না। বারে বারে ঠকায়। ++++

আমি একটু যোগ করতে চাই। সব মুসলিমরা নয়। অধিকাংশ মুসলিমরা। কিছু কিছু খৃস্টান জাতির ঈমান(কাজ কর্মের দিকে) অনেক ভাল।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ঠিকই বলেছেন। আমাদের নীতিহীনতাই আমাদের পথভ্রষ্ট করেছে।

৬| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

কালো যাদুকর বলেছেন: ইসলামে শ্রমিকের অধিকার আজ শুধু "কাগজে কলমে" সিমাবদ্ধ। আমাকে যদি কেউ মিডল ইস্টে বেশী বেতনে কাজ দেয়, আমি ঐ কাজটা নেব না। কারন ইসলামের এই আইনগুলো কেউ ওখানে মানে না। সবচেয়ে বড় উদাহরন হল, আমাদের মা-বোনেরা যারা মিডল ইস্টে যান, তাদের উপর কি হয় আমরা সবাই জানি।

ভুল বুঝবেন না আমাকে, আপনি যা যা লিখেছেন এগুলো ঠিকই আছে, সবই হাদিস কোরানের কথা। তবে এগুলোের প্রয়োগ নেই মুসলমানদের ভিতর। সেটাই আমার মুল কথা।

শ্রমিকের অধিকার খুব সম্ভবত নন-মুসলিম দেশেই বেশী। আপনিও নিশ্চই একমত হবেন।

কস্ট করে বিস্তারিতভাবে লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মনের কথাগুলো সবিস্তারে লিখে গেলেন। কৃতজ্ঞতা।

আসলে, প্রথমে আমাদের ভেতরে পরিবর্তন আনতে হবে। কুরআন হাদিসের কথাগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমলে পরিনত করতে হবে। আজ এই একটা কাজেরই শুধু অভাব। আল্লাহ পাক তাওফিক দিন।

অনেক ভালো থাকুন।

৭| ০২ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সকল ধর্মের মূল সমস্যা হলো,তারা মনেকরে মানুষ প্রথমে কৃষিকাজ করতো।কৃষি কাজের বয়স আট দশ হাজারের বেশীনা!কিন্তু মানুষের ইতিহাস আরো অনেক বেশী।লিখেরাখার ইতিহাসতো মাত্র চার পাঁচ হাজারের।অতয়েব,আদম কি করতো এটা আপনি জানবেন কি করে?এটা বাইবেলের একটা গল্প।সকল আব্রাহামিক ধর্মগুলো এটা গ্রহন করে।আব্রাহামিক ধর্মের বাইরে যে ধর্মগুলো আছে, সেখানে আদম হাওয়া নেই।যেমন হিন্দু বা বুদ্ধ ধর্ম।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মতামতের জন্য অভিনন্দন।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

৮| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৯:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পরোক্ষভাবে আপনি কিন্ত চাঁদগাজী সাহেবের কথাকেই সমর্থন করেছেন।কোরান হাদিসের কিছু উদ্ধৃতি দিয়েছেন,তার পর১৪শ বছরের মধ্যে এমন একজন মুসলিম স্কলার পেলেন না যার উদ্ধৃতি দেখা যায়।তার অর্থ মুসলিমরা অশিক্ষিত।আমি,আপনি এবং আমরা সবাই।আপনাকে প্রশংসা করি মে দিবস সম্পর্কে কিছু লিখেছেন,আজ পর্যন্ত আমি কোন মৌলভীর নিকট মে দিবস নিয়ে কোন কিছু বলতে শুনিনাই।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১১:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



আবারও মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা। শ্রমিকের অধিকার বিষয়ে বহু মুসলিম পন্ডিতের উক্তি রয়েছে। ক্ষমাপ্রার্থী, আমি সেগুলো কালেক্ট করতে পারিনি বলে দিতে পারিনি বলে। তবে, মুসলিম পন্ডিতদের উক্তি নতুন করে খোঁজ করার প্রয়োজনও নেই। যেখানে কুরআন এবং হাদিসে এই বিষয়ে এত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে সেখানে মুসলিম স্কলারদের নিজস্ব উক্তি বা অভিমত থাকর কিছু থাকতে পারে না বলেই মনে করি।

আপনার জন্য শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১১:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



১০ নং মন্তব্যের দ্বিতীয় উত্তরটি দেখার অনুরোধ থাকলো।

৯| ০৩ রা মে, ২০২০ সকাল ৯:১৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে ভালো উপস্থাপনা।ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু যাদের উপর এসকল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের কর্মকান্ড ইসলামের মুখে চুনকালি মাখিয়ে দিচ্ছে।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১১:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত। সত্য বলেছেন। সমাধান একটাই, আমাদের চরিত্রবান হতে হবে।

শুভকামনা জানবেন।

১০| ০৩ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১ম হাদিস:
জাবিরের বর্ননামতে: একজন দাস এসে মোহাম্মদের কাছে মৈত্রীর আহবান করলো কিন্তু মোহাম্মদ জানতো না যে সে দাস ছিলো। পরবর্তীতে যখন তার মালিক এসে দাস ফিরে পেতে চাইলো তখন মোহাম্মদ তাকে বললো: ওঁকে আমার কাছে বেঁচে দাও। এবং তাকে তিনি তিনি দুটি কালো দাসের বিনিময়ে কিনে নিলেন। এরপর থেকে তিনি কেউ মৈত্রী ভিক্ষা করলে আর গ্রহন করতেন না যতক্ষন না নিশ্চিত হতেন যে সে দাস অথবা মু্ক্ত।

সহী মুসলিম

২য় সহী হাদিস:
আব্দুল্লাহর পুলা জাবির বর্নিত: একবার এক সাহাবী সিদ্ধান্ত নিলো মরনের পর নিজের এক দাসকে মুক্ত করবেন এবং পরবর্তীতে তিনি গভীর অর্থসংকটে পড়লেন। তাই ন্যায়ের নবী মোহাম্মদ ঐ দাসরে নিলেন এবং নিলামে উঠালেন: আমার কাছ থিকা এই দাসকে কে কিনবে? আবদুল্লাহর পুলা নুয়াইম ঐ দাসকে উচ্চমূল্যে খরিদ করলো এবং মানবতার পরাকাষ্ঠা নবী মোহাম্মদ ঐ দাসকে দিয়া দিলেন।
সহী বুখারী

আমাদের পরানপিয় মোহাম্মদের সুন্নতী দাসব্যাবসা আজও আরবে প্রচলিত।আসুন সবাই আমরা নবীর পদাঙ্ক অনুসরন করি। সুবহানাল্লাহ

শ্রমদিবসের এই দিনে সুন্নত পালনের তাগাদা কেন জানি অনুভব করছি। =p~ =p~ =p~

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলেন। কত দিন ধরে ব্লগে দেখছি না। তা, কেমন আছেন ভাই?

সবসময় আল্লাহ পাক আপনার কল্যান করুন, এই কামনা করি।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



নিচে কয়েকটি হাদিস উপস্থাপন করছি। দয়া করে যদি দেখে নেন-

এখন থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ায় আগমন করেন। তখন খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থ ছিল উপেক্ষিত ও অবহেলিত। আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শ্রমিকের মেহনতের কষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। সে জন্য তিনি শ্রমিকদের সামাজিকভাবে মর্যাদা দিয়ে এবং নিজে শ্রম দান করে মালিকের কৃত্রিম অহংবোধ ও আভিজাত্য গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ফলে শ্রমিক ও শ্রমের মহিমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাঁর অমোঘ বাণী ও প্রণীত নীতি আজও সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে অনন্যসাধারণ আদর্শ হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের আলোকে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে শ্রমনীতি ঘোষণা করেছিলেন, তা শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে দেখিয়েছিল প্রকৃত মুক্তির পথ। শ্রমিক ও মালিকের সম্পর্ক এবং দুই পক্ষের কর্তব্য ও অধিকার ন্যায়নীতি ও সমতার মাপকাঠিতে নির্ধারণ করেছে ইসলাম। শ্রমিক-মালিক নিছক প্রভু ও ভৃত্যের মতো নয়; বরং এটিকে ভাই ভাই সম্পর্ক বলে অভিহিত করেছেন মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

১। ‘যারা তোমাদের কাজ করছে তারা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন।’ (বুখারি শরিফ)

আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শ্রমিকের অধিকার বিষয়ে অন্য এক হাদিসে উল্লেখ করেছেন-

২। ‘তোমরা যা খাবে, তা থেকে তাদের (শ্রমিককে) খাওয়াবে এবং যা পরিধান করবে, তা তাকে পরিধান করতে দেবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে ইসলামের নীতি হলো, ‘শ্রমিক নিয়োগ করলে তার মজুরি কত হবে, তা অবশ্যই তাকে জানিয়ে দিতে হবে।’ (হিদায়া)

একই কথা মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য এক হাদিসে উল্লেখ করেছেন এভাবে-

৩। ‘তোমরা অধীনস্থদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদের কোনো রকমের কষ্ট দেবে না। তোমরা কি জানো না, তাদেরও তোমাদের মতো একটি হৃদয় আছে। ব্যথা দানে তারা দুঃখিত হয় এবং কষ্ট বোধ করে। আরাম ও শান্তি প্রদান করলে সন্তুষ্ট হয়। তোমাদের কী হয়েছে যে তোমরা তাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখাও না।’ (বুখারি)

শ্রমিকরাও মানুষ। তাদের শক্তি-সামর্থ্য ও মানবিক অধিকারের প্রতি লক্ষ রাখার বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন-

৪। ‘মজুরদের সাধ্যের অতীত কোনো কাজ করতে তাদের বাধ্য করবে না। অগত্যা যদি তা করাতে হয়, তবে নিজে সাহায্য করো।’ (বুখারি)

শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত না করার পরিণাম সম্পর্কে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন-

৫। ‘কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি কঠিন অভিযোগ উপস্থাপন করব—যে ব্যক্তি কাউকেও কিছু দান করার ওয়াদা করে ভঙ্গ করে, কোনো মুক্ত-স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রয় করে, যে তার মূল্য আদায় করে এবং যে ব্যক্তি অন্যকে নিজের কাজে নিযুক্ত করে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নিল, কিন্তু তার মজুরি দিল না, ওরাই সেই তিনজন।’ (মিশকাত)

শ্রমিকদের প্রতি মালিক যাতে সহনশীল থাকে এবং তার ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন-

৬। ‘মজুর-চাকরদের অপরাধ ৭০ বার পর্যন্ত ক্ষমা করে দাও।’ (তিরমিজি)

শ্রমিকের মজুরি যথাসময়ে পরিশোধ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

৭। ‘মজুরকে তার গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই মজুরি পরিশোধ করে দাও।’ (ইবনে মাজাহ)

শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এসব গুরুত্বপূর্ণ বাণী শ্রমিকের মর্যাদা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে।

ভালো থাকুন।

০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্ঞানী আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যার শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.