নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন মহরের পরিমান এবং মহরে ফাতেমীর পরিচয় ও বর্তমান বাজারে তার মূল্যমান

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৬

ছবিঃ অন্তর্জাল।

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন মহরের পরিমান এবং মহরে ফাতেমীর পরিচয় ও বর্তমান বাজারে তার মূল্যমান

বিয়েতে অধিকাংশ অভিভাবকই মহরে ফাতেমি নির্ধারণ করতে চান। এটা হয়তো অনেকেই বরকতের জন্য করতে চান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহরে ফাতেমির পরিমাণ বা বর্তমান বাজার মূল্য নির্ধারণে দেখা দেয় জটিলতা। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বর এবং কনে উভয় পক্ষকে। আসলে বাজার মূল্য তো একই জায়গায় স্থির থাকে না। ওঠানামা করে। আসলে ভুল বললাম বোধ হয়! বাজার কখনো সম্ভবতঃ নামে না। অন্ততঃ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। এখানে শুধু ওঠে। উঠতেই থাকে। উঠতেই থাকে। শুধুই উঠাউঠির খেলা। বাজারের ধাক্কায় আমরা জনগণও কেবল উপরে উঠি। দিনকে দিন উপরে উঠতে থাকি। উঠতেই থাকি। অনেক উপরে। উপরে উঠতে উঠতে আমরা ৩০ টাকার পিয়াজ ৩০০ টাকায় কিনে বসি। ২০০ টাকায় কাঁচা মরিচ কিনে মরিচের ঝাল শুকে দেখতে থাকি কখনো কখনো। আমাদের দেশে উপরে উঠার এই হার জ্যামিতিক আকার ধারণ করে অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই।

লক্ষাধিক টাকা দামের মোটাতাজা একটি গরুর চামড়া যে দেশে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করার পরে সেই চামড়াটিতেই নির্মিত প্রতি জোড়া জুতা ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা দিয়ে যারা কিনে নিতে অভ্যস্ত, আমরা তো সেই দেশেরই ভাগ্যবান মানুষ! তো, আমাদের এখানে কোনো কিছুর বাজার দর নেমে গেছে, আর সাধারণ মানুষ তার সুফল ভোগ করছেন, এমন দৃষ্টান্তের দেখা যে সচরাচর মেলে না- সে কথা আশা করি, কাউকে হলফ করে বুঝানোর প্রয়োজন হবে না। কালে ভদ্রে যদি ব্যতিক্রম কিছু না ঘটে। অর্থাৎ, ইল্লা- মা- শাআল্লাহ!

যাক, বিয়ে নিয়ে এই তল্লাটে গত ক'দিনে রীতিমত যেনতেন একটা ঝড়ের তান্ডব গেছে এমনিতেই। চার বিয়ে জায়েজ কি নাজায়েজ, জায়েজ হলেও তা কখন এবং কোন প্রেক্ষিতে ইত্যাদি নিয়ে বেশ উষ্ণাবস্থা বিরাজ করছিল। বিস্তর কথা হয়েছে এ নিয়ে। তাই ভয়ও আছে, বিয়ে সংক্রান্ত কিছু বলতে গেলে আমাকে আবার কেউ ভুল বুঝে বসেন কি না কে জানে! যাক, বুঝলে বুঝুন। কিন্তু বুঝেই যদি থাকেন, তাহলে শুধু চুপ না থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে একটু এগিয়েও আসুন না, বেচারা আমার কথা চিন্তা করে! যাক, প্রসঙ্গটি যখন সামনে এসেই গেল, সামান্য একটু ইঙ্গিত দিয়ে যাই। একচুয়ালি, চারটি পর্যন্ত বিয়ে জায়েজ। আল্লাহ তাআ'লা শর্তাধীনে চারটি পর্যন্ত বিয়ের সুযোগ রেখেছেন এটা ঠিক। কিন্তু এর বিপরীতে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, একাধিক বিয়েকে ইসলাম উৎসাহিত করেনি। ইসলামের প্রাথমিক যুগে প্রয়োজন বিবেচনায় বহুবিবাহ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ইনসাফ এবং সমতা রক্ষার মত যেসব কঠিন শর্ত একাধিক বিয়ের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে, একাধিক বিয়ে করে কেউ যদি এসব শর্ত লঙ্ঘন করেন তাদের জন্য আল্লাহ তাআ'লার পক্ষ হতে শাস্তিরও ইঙ্গিত পরিষ্কার। কেননা সূরা নিসার ১২৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে -

'তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।' -সূরা নিসা, আয়াত-১২৯

উল্লেখিত আয়াতের মর্ম অনুধাবন করলে সহজেই বুঝা যায় যে, চারটি পর্যন্ত বিয়ে জায়েজ হলেও মুক্তির সহজ পথ হচ্ছে- একটিমাত্র বিয়েতে সন্তুষ্ট থাকার ভেতরে; কারণ, ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে এটা অধিকতর সহজ পথ। আসলে চার বিয়ে করে সকল বিবির প্রতি কোনোভাবেই ন্যয় বিচার ও সমতাপুর্ণ আচরন করা সম্ভব নয় বলেই তাতে রয়েছে অবধারিত শাস্তি। এরপরেও এক বিয়েতে ক্ষান্ত না হয়ে নানাবিধ ঠুনকো অযুহাত দেখিয়ে যারা চার বিয়ের পক্ষপাতি তাদেরকে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিষয়টি বুঝতে হবে। আল্লাহ তাআ'লা তার কালামের একাংশে থাকা এক বিয়ের যে কথা বলেছেন তাতেই রয়েছে অধিক মঙ্গল। অধিক কল্যান। সুতরাং, সাধারণভাবে থিতু থাকা উচিত তাতেই।

চার চারটি বা একাধিক বিয়ে করে স্ত্রীদের ভেতরে ইনসাফ ও সমতা রক্ষার শর্ত ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাআ'লার পক্ষ হতে পরকালিন শাস্তি অপেক্ষা করছে- বিষয়টি শুধুই এমন নয়, বাস্তবিকতার আলোকে এর অনেক কুফল এ দুনিয়াতেই অনেককে পেতে দেখা যায়। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কিছু পরিবারে এমন দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক যেখানে সতীনে সতীনে ঝগড়াঝাটি থেকে শুরু করে নানাবিধ কলহ বিবাদ লেগেই থাকে। অবস্থা ভেদে অনেক ক্ষেত্রে এসব ঝগড়াঝাটি শুধু ঝগড়াঝাটিতেই থেমে থাকে না। মারামারি কিংবা খুনোখুনির ঘটনায় গিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। আর এসবের ফলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নেমে আসে অশান্তির কালো ছায়া। তাই একাধিক বিয়ে জায়েজ বলেই যখন তখন একাধিক বিয়ের চিন্তা মাথায় আনা যাবে না। মনে রাখতে হবে, এই সুযোগটা রাখা হয়েছে বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্র বিবেচনা করে। অন্যান্য শর্ত পূরণের পাশাপাশি এর জন্য বিশেষ আর্থিক স্বচ্ছলতারও একটি ব্যাপার রয়েছে। যা লঙ্ঘন করলে তার জীবন দুর্বিসহ নিশ্চিত। দুনিয়া ও আখিরাত সবই তার ধ্বংসের মুখে পড়তে বাধ্য।

বহুবিবাহ যারা করবেন, তাদের আমলের প্রতিদান দেয়া হবে তাদেরকেইঃ

একের বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে না। একের ভুলের কৈফিয়ত অন্যের কাছ থেকে গ্রহন করা হবে না। অতএব, বুঝে শুনে যারা একাধিক বিয়ে যারা করছেন বা করবেন, তাদের পারিবারিক জীবনে তারা ভুলভ্রান্তি করে থাকলে তার দায়ভার কিন্তু আপনার আমার উপরে চাপিয়ে দেয়া হবে না কখনোই। কারণ, এমনটি আল্লাহ তাআ'লা কখনোই করবেন না। তিনি ন্যায় বিচারক। তাঁর কাছে কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। তিনি সর্বজ্ঞাত এবং সূক্ষ্মদর্শী। সুতরাং, যারা একাধিক বিয়ে করেন, আমাদের ধারণা, তারা এটা বুঝে শুনেই করে থাকেন। আর সর্বোপরি, একাধিক বিয়ে করার ফলে তারা নিন্দনীয় নাজায়েজ বা হারাম কোনো কাজও নিশ্চয়ই করেন না। তাই তাদের প্রতি রুষ্ট হওয়া অনভিপ্রেত। বুঝতে হবে, নিতান্ত দায়ে না ঠেকলে এই শাখের করাতে কেউ পা দিতে যাওয়ার কথা নয়।

মূল বিষয়ে ফিরে যাই চলুন। এমনিতেই এক বিয়ে নিয়েই ত্রাহি অবস্থা! তার উপরে বহুবিবাহ! বাবা, মাফও চাই দুআও চাই। তারচেয়ে চলুন, যারা বিয়ে করেনি তাদের কথা ভেবে মহরে ফাতেমির বর্তমান বাজার মূল্যের পরিমাণটা একটু হিসাব করে দেখি-

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন মহরের পরিমান

বিবাহের সর্বনিম্ন মহর দশ দিরহাম বা দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা অর্থাৎ, ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা। -শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৪/৩৯৮

মহরে ফাতেমীর পরিচয় ও বর্তমান বাজারে তার মূল্যমান

রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর মেয়ে ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা -এর মহর ছিল পাঁচশো দিরহাম। এটাকেই মহরে ফাতেমী বলা হয়। এক দিরহামের ওজন হল ৩.০৬১৮ গ্রাম। সে হিসেবে ৫০০ দিরহাম এর পরিমান হচ্ছে- ১৩১.২৫ তোলা বা ১.৫৩০৯ কিলোগ্রাম রূপা।

মুহাম্মদ ইবন ইবরাহিম রহ. বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর মেয়ে ও স্ত্রীগণের মহর ছিল পাঁচশত দিরহাম অর্থাৎ সাড়ে বার উকিয়া। -তাবাকাতে ইবনে সাদ ৮/২২

ইমাম নববী রহ. মাজমু’ গ্রন্থে বলেন, মহর পাঁচশ দেরহামের বেশি না হওয়া মুস্তাহাব। এটা রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর স্ত্রীগণ ও কন্যাদের মহর ছিল।

বর্তমান যুগে প্রচলিত পরিমাপের এককে প্রকাশে সুবিধা বিবেচনায় মুফতি মুহাম্মদ শফী রহ. ৫০০ দিরহাম এর পরিমাণ ১৩১ তোলা ৩ মাশার সমান বলে উল্লেখ করেছেন। যা প্রচলিত গ্রামের ওজন অনুসারে ১ কিলো ৫৩০ গ্রাম ৯০০ মিলিগ্রামের সমান হয়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ১২ গ্রামের তোলা প্রচলিত নয়; বরং ১০ গ্রামের তোলা হিসাবে সোনারূপা বেচাকেনা হয়। সে হিসাবে বর্তমানে মহরে ফাতেমির পরিমান দাঁড়ায় ১ কিলো ৫৩০ গ্রাম ৯০০ মিলিগ্রাম বা প্রায় ১৫৪ তোলা রূপা।

বাংলাদেশে তোলা ও ভরি দিয়ে একই পরিমাপ বোঝানো হয়। বর্তমানে এক তোলা রূপার বাজার মূল্য আনুমানিক (বাজার ওঠানামায় কিছু কম বেশি হতে পারে) ১ হাজার ৫০ টাকা। সে হিসেবে ১৫৪ তোলা রূপার দাম হয় ১,৬১,৭০০/- (এক লক্ষ একষট্টি হাজার সাত শত) টাকা মাত্র।

সকল অবিবাহিতদের জন্য নিবেদিত এই লেখাটি। তাদের যদি সামান্য কাজে আসে সেই আশায়.......

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: অনেক সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন। ভালো লেগেছে।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অশেষ।

আপনার পছন্দ চমৎকার। নিকটা সত্যিই অপূর্ব।

অনেক অনেক ভালো থাকার দুআ।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০১

আকন বিডি বলেছেন: উপকার হবে। ঐ পথের পথিক যে। B-)
নিকাহ একটি চুক্তি, যেখানে অনেকগুলো শর্তের মধ্যে একটি মোহরানা যা বর কর্তৃক কনেকে প্রদেয়।
মোহরানা হতে পারে "কোরআনের আয়াত শেখানো"। চাইলে বর তার সমস্ত সম্পত্তিও দিতে পারে। আর পরস্পরের প্রতি যেন যুলুম না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা অত্যন্ত জরুরী।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই! উপকার যদি কারও হয় খারাপ কি!

মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে কৃতজ্ঞ। অনেক অনেক ভালো থাকার দুআ।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২১

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: খুব সুন্দর একটা পোস্ট।
ফাতেমি মোহরী নিয়ে অনেকেই জানে না। এই পোস্ট সবার উপকার হবে।
ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, মোহরে ফাতেমী নিয়ে একটু ক্লিয়ার করার জন্যই এই পোস্ট। আসলে এই পোস্টের পেছনের প্রেক্ষাপটটা বলা হয়নি। আমার খুবই কাছের এক ছেলে (তিনি মূলতঃ একজন নও মুসলিমও বটে) বিবাহ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তাকে একটি উত্তর দিয়েছিলাম। তাকে দেয়া সেই উত্তরটি একটু বড়সড় করেই এই পোস্ট।

অনেক অনেক ভালো থাকার দুআ।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব বিরক্তকর একটা পোষ্ট।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

আপনার কল্যান কামনা করছি।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নতুন নকিব ভাই,
এই বিষয়ে আপনার পোস্ট সত্যি সত্যি জরুরী ছিলো। আমি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পোস্ট থেকে পুরোপুরী অবসর নিয়েও দুঃখে এই বিষয়ে পোস্ট দিয়েছি। সত্যি সত্যি লজ্জাকর একটি বিষয় হচ্ছে কয়েকজন ব্লগার হয়তো জীবিতকালে হুরের সন্ধান করতে চাইছেন যদিও তারা এফোর্ট করতে পারবেন কিনা আমার সন্দেহ। রাস্তায় গাড়ি দেখে গাড়ির পেছনে দৌড় দিলেই কেউ গাড়ির মালিক হয়ে যায় না - গাড়ি কোনো সুতা ছেড়া ঘুড্ডি না।

তাদের দ্বারা সমাজ নষ্ট হবে। তারা ভুল ভাল হাদিস ও মাসালা দিয়ে তাদের আসেপাশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন । যার জন্য অবস্যই অবস্যই কাল কেয়ামতের দিন আল্লাহপাক তাদের জন্য রেখেছেন অনন্তকালের ভয়ঙ্কর শাস্তি।

আল্লাহপাক সকলকে সুন্দর পথে চলার তৌফিক দান করুন। ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠাকুর মাহমুদ ভাই,
আপনার পোস্টে সামান্য সময়ের জন্য একবার গিয়েছিলাম। মন্তব্য করতে পারিনি। আপনি তো মা-শাআল্লাহ যথেষ্ঠ। সকল বিষয়ে আল্লাহ পাক আপনাকে জ্ঞান দিয়েছেন।

আমি জানি, আপনি অনেক আন্তরিকতা রাখেন। এটা আপনার বড় মনের পরিচায়ক। সেজন্য বিনয়ের সাথে বলছি, তর্ক বিতর্ক ভালো লাগে না। কোনো বিষয়েই অহেতুক বাড়াবাড়ি পছন্দ হয় না। তাই উল্টাপাল্টা কোনোকিছু দেখলে সম্ভব হলে, সময় সুযোগ থাকলে বুঝানোর চেষ্টা করি অথবা নিতান্ত অপারগতায় নিরব থাকাকেই শ্রেয় মনে করি।

মোট কথা, এখন মানুষের চোখ-কান খোলা। মানুষ পড়তে শিখেছে। জানতে শিখেছে। তারা অন্ধকারে নেই। তাদের উল্টোপাল্টা বুঝিয়েও খুব বেশি একটা লাভ নেই। এগুলো যারা করার চেষ্টা করবেন তারা নিজেরাই বরং ইহকাল এবং পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। অনেক অনেক ভালো থাকার দুআ।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

সত্যপীরবাবা বলেছেন: বিয়ে মোহরানা পর তালাক নিয়ে কি লিখবেন? না লেখাই ভাল হবে কারন তিন তালাক আর নারীদের তালাক দেয়ার অধিকার নিয়ে আরেক ক্যাচাল শুরু হবে। অবশ্য ক্যাচাল আমি ভালো পাই =p~

অ.ট. আপনারে আমি ভালা পাই -- আপনার ঠান্ডা মেজাজের কারনে। একটা অনুরোধ --- জাগতিক কোন তথ্য দেয়ার আগে তথ্যের সত্যতা বিষয়ে অনুসন্ধান করে যতটুকু সম্ভব নিশ্চিত হয়েন।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



বিয়ে নিয়ে মূলতঃ আমি লিখিনি। অনেকের লেখার প্রেক্ষিতে একটু আধটু বাধ্য হয়ে লিখতে হয়েছে বলতে পারেন।

যে কোনো ধরণের বিভেদ এড়িয়ে চলাই ভালো। যে পথ ও মতেরই হোন না কেন, আলহামদুলিল্লাহ আপনি বিজ্ঞ ব্যক্তি। আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ অবশ্যই থাকবে। আর শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে আপনিও আমার কাছের মানুষদের একজন। আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য মাঝে মাঝে পড়ি। আপনার প্রথম পোস্টটিতে কয়েকবার গিয়েছি।

আর অনিঃশেষ আন্তরিকতা নিয়ে করা আপনার অনুরোধ মনে রাখার চেষ্টা থাকবে। অনেক অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা। যেখানেই থাকুন সার্বিক কল্যানে থাকুন।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: ফাতেমি মোহরী লেখার জন্য সাধুবাদ আপনাকে। আপনার পোস্টগুলিতে অনেক অজানা বিষয় থাকে। সবার জন্যই এটা জানা উচিৎ।
ধন্যবাদ আপনাকে

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, মোহরে ফাতেমী সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।

আপনার পোস্টগুলিতে অনেক অজানা বিষয় থাকে। সবার জন্যই এটা জানা উচিৎ।

-নিজের প্রয়োজনেও জানার চেষ্টা থাকা উচিত। সেই চেষ্টাটাই একটু আধটু করে যাচ্ছি। আপনাদের পাশে পেয়ে আনন্দিত। অনেক অনেক শুভকামনা এবং কল্যানের দুআ।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বর্তমানে মোহরানা নিয়ে বিয়েতে তিক্ততার সৃষ্ট হওয়া থেকে বাচতে মোহরে ফাতেমী গুরুত্বপূর্ণ সমাধান।++++++

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। শুকরিয়া।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট জাজাকাল্লাহ খাইরান।

অট: রাজীব ভাইয়ের এই পোস্টের জন্য বিরক্তির কারণ কী বুঝলাম না। রাজীব ভাই আপনার মাথা আসলেই আওলা ঝাওলা। একবার ইসলাম মানেন আরেকবার মানেন না। আপনার মাথায় গাজী ট্যাংক বসানো

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। জাজাকিল্লাহ খইরান।

রাজীব নুর সাহেব ঠিকই আছেন। আর মন্তব্যের ও কথাটা তার মনের কথা নয় হয়তো। একটু আধটু মজা করছেন মনে হচ্ছে।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: উপস্থাপনাটা সুন্দর এবং গঠনমূলক হয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো- চার বিয়ের বিষয় আসলে অধিকাংশই 'ফানিকহু মা ত্ববা লাকুম মিনান নিসায়ি মাছনা ছুলাছা অরুবায়া...' এর মধ্যেই আটকে থাকে। অথচ এই আয়াতটা শুরুই হয়েছে এভাবে- 'অ ইন খিফতুম আল্লা তুকসিতু ফিল ইতামা, ফানিকহু মা ত্ববা লাকুম----- যেখানে নিজের আওতাধীন এতিম মহিলাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে পারা না পারার মত একটা কন্ডিশন দেয়া আছে।

আর আপনি যে আয়াত উ্ল্লেখ করেছেন- (অ লান তাসতাতিয়ু আন তা'দিলু বায়নান নিসায়ি অলাও হারাছতুম) এটার কথাতো কেউ বলতেই চায় না, খালি চার বিয়ের জোশে অস্থির থাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া, পোস্টে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। গঠনমূলক চমৎকার মন্তব্যে প্রীত। কল্যান কামনা এবং দুআ সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.