নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
সৌদি কর্তৃপক্ষের অন্যায় খাহেশ এবং মহামান্য(!) ট্রাম্পের অনৈতিক আস্ফালনঃ
সৌদি কর্তৃপক্ষের অন্যায় খাহেশঃ
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের হিসেবে তাদের দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা তথা মিয়ানমারের আরাকানের নাগরিকদের সংখ্যা ৫৪০০০ জন। এই বিপুল সংখ্যক আরাকানি রোহিঙ্গার অধিকাংশরেই কোনো দেশের বৈধ পাসপোর্ট নেই। এই রোহিঙ্গারা ৩০-৪০ বছর কিংবা আরও বেশি সময় ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করছে এবং সৌদি আরব নিজেই এর মধ্যে অনেককে নিয়ে গিয়েছিল। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশের ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদি আরবে গিয়েছেন। সৌদি আরবে বসবাস করা এই ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে সৌদি সরকার। এমনকি রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট না দিলে সেখানে অবস্থানরত ২২ লাখ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
মানবিক কারণ দেখিয়ে ৮০/৯০ সালের দিকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় সৌদি আরব। আশ্রিত সেসব রোহিঙ্গা নাগরিক সৌদি আরবে ঘরবাড়ি বানিয়ে সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে যুগের পর যুগ ধরে থাকছেন, ব্যবসা বানিজ্য করছেন, বিয়ে শাদি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাদের অনেকে সৌদি আরবের লোকদের মতই আরবি ভাষাভাষী। তাদের ছেলে মেয়েরা সৌদি আরবের স্থানীয়দের সাথে বিবাহ শাদি করে আত্মীয়তা পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ইদানিং তাদের ৮০/৯০ সালের দিককার সেই মানবিকতায় ভাটা পড়তে দেখা গেছে। এখন এত বছর পরে এই পর্যায়ে এসে তারা যখন দেখলেন যে, বাংলাদেশ লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, তো বাংলাদেশকে দুর্বল ভেবে, গোটা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামষ্টিক বোঝা চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন বাংলাদেশের কাঁধে। আহ, কি মজা! সৌদি সরকারের ঘৃণিত এই অপচেষ্টা সফলতার মুখ দেখলে অত্যাচারী, নির্যাতক মিয়ানমারের চেয়ে তাদেরকে খারাপ বলার সুযোগ থাকে কোথায়? ঘোলা পানিতে মাছ শিকার সম্ভবতঃ একেই বলে!
অন্যদিকে আগে থেকে অবস্থানরত ৩ লাখসহ প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস এখন বাংলাদেশে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে সৌদি আরবের এই অন্যায় আব্দার। এক্ষেত্রে সৌদি সরকারের বুদ্ধিদাতা যে ইসরায়েল তা বলারই অপেক্ষা রাখে না। ইসরায়েলের সাথে সৌদি রাজ পরিবার বিশেষতঃ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের গত কয়েক বছরের গভীর সখ্যতা একথা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। ইসরায়েল হঠাৎ করে কোনো কিছু করে না। কাউকে মারতে চাইলে প্রথমে কৌশলে এগোয়। তারপরে ঘরে ঢুকে, অন্তরে-অন্ধরে-কোন্দরে ঢুকে তাকে শেষ করে, তিলে তিলে চেটেপুটে খেয়ে নিঃশেষ করে। যেমনভাবে ছলেবলে কৌশলে ফিলিস্তিনকে গ্রাস করেছে। অতঃপর যুগ যুগ ধরে, কালে কালে, পর্যায়ক্রমে, দেখেশুনে, বেছে বেছে, গুণে গুণে, ধরে ধরে সেখানকার বৈধ ভূমিপুত্রদের উৎখাত করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া অভিশপ্ত এই ইসরায়েলের পরামর্শেই হয়তো সৌদি কর্তৃপক্ষ ঠান্ডা মাথায় নতুন ফন্দি ফেদে এগুনোর চিন্তা করছেন। তারা তাদের দেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের বোঝা যে কোনো উপায়ে নিজেদের মাথা থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছেন। সকল দিকের সুবিধা অসুবিধা যোগ বিয়োগ করে, ভেবে চিন্তে শেষমেষ অসহায় দুর্বল বাংলাদেশকেই তাদের পছন্দ হয়েছে। এর জন্যই অবশেষে বাংলাদেশের কাছে এই অন্যায় আব্দার! এর জন্যই এই কূট কৌশল! তারা এখনই বাংলাদেশকে বলছেন না যে, ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশকে ফেরত নিতে হবে। তারা বাংলাদেশকে শুধু পাসপোর্ট দিতে আব্দার করছেন।
আহ! কি মজার নাটকীয়তা! কেউ একজন পরম শুভাকাঙ্খী সেজে আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বুদ্ধি দিচ্ছেন, 'তুমি শুধু তোমার পৈত্রিক ভিটার এই অংশটুকু আমার নামে দলিল করে দাও। আমি তোমার ঐ জমিতে এখনই বসবাসের উদ্দেশ্যে আসছি না।'
আহ! কি মহানুভবতা! কি দয়া আপনার প্রতি! কি বিশাল উদারতা! আপনি আপনার পৈত্রিক জমি তার নামে বিনামূল্যে দলিল করে দিলে সমস্যা কি? তিনি তো আর এখনই আসছেন না আপনার জমিতে!
এখনই আসছেন না, কিন্তু যখনই দরকার হবে তখনই তিনি যে আসবেন, সেটা আর বলছেন না ভদ্রলোক।
সৌদি কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক আব্দারের পেছনে লুকিয়ে থাকা মহানুভবতাও এই লোকটির মহানুভবতার সাথে একেবারে মিলে যায়! বাংলাদেশের প্রতি সৌদি সরকারের এই মহানুভবতা পরিমাপেরই যোগ্য নয়। এটা এতটাই গভীর যে এর তুলনাও হয় না। কিন্তু সত্যিকারের সত্যটা হচ্ছে, সত্যিকারের স্বার্থবাদী ভবঘুরের মুখ যদি কেউ দেখতে চায় তাহলে তার উচিত অপরিনামদর্শী এই উল্লসিত যুবরাজের দিকে তাকানো।
অশীতিপর বৃদ্ধ কর্মক্ষমতাহীন বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমানের আড়ালে থেকে কলকাঠি নেড়ে চলা সকল অপকর্মের হোতা এই যুবরাজের হাতেই হয়তো সৌদি আরবের বর্তমান রাজপরিবারের পতন তরান্বিত হবে।
মহামান্য(!) ট্রাম্পের অনৈতিক আস্ফালন : শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না তিনিঃ
নভেম্বরের নির্বাচনে হারলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ভাষ্য, নির্বাচনে হারলে দেখতে হবে কী হয়েছে!
ডাকযোগে ভোটের ব্যাপারে ট্রাম্প তাঁর সন্দেহ আবারও প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করার সময় ট্রাম্পের কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, তিনি কি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, মহামারির সময় ডাকযোগে বর্ধিত ভোট না হলে তিনি বিশ্বাস করেন, ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো দরকার হতো না।
ডাকযোগের ব্যালট সরিয়ে নিলে সবই শান্তিপূর্ণ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো প্রয়োজন হবে না।
ইনি হচ্ছেন বিশ্ব মোড়ল। তার ভাষা এবং ভাষ্য দেখুন। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে তিনি কত সুন্দর করে বলতে পারলেন যে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর তার কম্ম নয়! আহা, বিশ্ব শান্তির মোড়লকে যে এমন হতেই হবে!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সৌদি ফেরত কর্মীরা করোনাশেষে আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাবেন- এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে, আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে সৌদির মত অনেক দেশই আমাদের পাত্তা দেয় না। অবস্থা দৃষ্টে আমারও তাই মনে হয়। আর সৌদি এয়ারলাইন্স ইচ্ছায় বা চাপে যে কারনেই রাজি হোক না কেন, হ্যাঁ, তাদের সাধুবাদ দেয়া যেতে পারে। দিচ্ছি সাধুবাদ। কিন্তু কথা হচ্ছে, আমাদের মত মিসকিনদের দেশের সাধুবাদ আসলেই কি তারা গ্রহণ করেন? এইসব সাধুবাদ মাধুবাদ গ্রহণ করার সময় কি তাদের আদৌ আছে? তারা তো অহঙ্কারে নিজেদের অতীত বর্তমান সব গুলিয়ে ফেলছেন। ধর্মীয় ঐতিহ্য ছুঁড়ে ফেলতে চাইছেন। মানবিকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইছেন। ক্ষমতার মোহ তাদেরকে অন্ধভাবে গ্রাস করছে।
এই মহামারী পুরো বিশ্বকে উথালপাথাল করে দিয়েছে। সব আগের মত হয়ে যাক এই কামনা।
-আমাদের একই কামনা। প্রথম মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: তবে আমার সৌদিকে একটা বর্বর রাষ্ট্র বলে মনে হয়।
সৌদিতে দাওয়াত পেয়েও আমি যাই নি। আমার একটাকাও খরচ হতো না। তবু যাই নি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
দুঃখিত! একটি রাষ্ট্রকে বর্বর আখ্যায়িত করে বলা আপনার এই কথাটার সাথে একমত নই। সাম্প্রতিক সময়ের ওদের অনেক নীতি আদর্শ আমাদের কাছে অমানবিক বলে প্রতীয়মান হয়, এটা ঠিক। কিন্তু এর দায়দায়িত্ব পুরো রাষ্ট্রকে দেয়া যায় না। বড়জোর বর্তমান রাজপরিবারের অপরিনামদর্শী নেতৃত্বকে দেয়া যায়। সৌদির জনগণের কত পার্সেন্ট বর্তমান রাজপরিবারের অন্যায় নীতির সাথে একমত? আমার মনে হয়, এ সংখ্যা ২০% এর উপরে হবে না। কারণ, বিশেষ সুবিধাভোগী কিছু লোকই কেবল রাজপরিবারের ন্যায়-অন্যায় সকলকিছুকে মেনে নিয়ে বগল বাজানোর দলে থাকেন। এটা সর্বত্র সব যুগেই দেখা যা।
এই কারণে যারা এককথায় সৌদি রাষ্ট্রকে বর্বর বলে আনন্দ পেতে চান তাদেরকে সুবিবেচক বলে মনে হয় না। কারণ, যে সৌদির রেমিটেন্স এর উপরে ভর করে এই নিন্দুক ব্যক্তিবর্গ দু'মুঠো খেয়েপড়ে বাঁচেন, বাদবিচার না করে, কোনো চিন্তাভাবনা না করে এককথায় সেই গোটা সৌদি রাষ্ট্রটিকে বর্বর বলার ভেতরেও এক ধরণের অকৃতজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এগুলোকে প্রান্তিকতা না বলে উপায় নেই। সৌদির অনেক নীতি আদর্শ পছন্দ না করলেও তাদের ব্যাপারে দায়িত্বহীন মন্তব্যও পছন্দ করি না। প্রান্তিকতা আর দায়দায়িত্বহীনতা দুঃখজনক।
ভালো থাকবেন।
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইটা বিশ্ব রাজনীতির ছোট একটা অংশ। রোহিঙ্গা মক্কাতে লাখের উপরে আছে আমাদের পাসপোর্টেও আছে এবং রোহিঙ্গা মেয়ে সৌদি বিয়েও করেছে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
আমিও দেখেছি। কথা বলেছি ওদের সাথে। যুগ যুগ ধরে তারা মক্কাতে থাকে। বাড়ি ঘর করেছে। দাদা, বাবা থেকে নাতি পর্যন্ত তিন পুরুষ থাকার পরেও তারা পূর্নাঙ্গ নাগরিকত্ব পায়নি। একজনকে পেয়েছিলাম কাবা শরিফের কাছেই একটি দোকানে পরিচয় হয়। তার পরিবার বহু পূর্বে মক্কাতে যান। বাপ দাদার আমল থেকে সেখানে বসবাস করে আসছেন। মক্কাতুল মুকাররমায় পাঁচ/ ছয় তলা বাড়িও রয়েছে তাদের। কিন্তু তিনি যা জানালেন তাতে আশ্চর্য্য না হয়ে পারা যায় না। তিনিও না কি জানেন না, তার এবং তার পরিবারের নাগরিকত্বের কি হবে।
ভালো থাকবেন।
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @খান সাব মুফতে সুযোগ পেয়ে সৌদি যান নি ভালো কথা, তবে ট্রাম্পের দাওয়াত মিস কইরেন না ;
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
তিনি এই ভুল কখনো করবেন না বলেই মনে হয়।
ভালো থাকবেন।
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @খান সাব মুফতে সুযোগ পেয়ে সৌদি যান নি ভালো কথা, তবে ট্রাম্পের দাওয়াত মিস কইরেন না ;
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
আমি সাজিদ বলেছেন: গনতিন্ত্র শিখতে হয় তো বাংলাদেশ থেকে শেখা উচিত ট্রাম্পুর
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার বলেছেন। সেটাই! তবে বাংলাদেশ তো বটেই, ইচ্ছে করলে ভারতের কাছ থেকেও এই বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে ট্রাম্পসহ বাদবাকি বিশ্ব নিজেদেরকে অনেকখানি ঋণি ভেবে স্বগোতোক্তি করতে পারে!
৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নতুন বলেছেন: সৌদি আরবের বিরোধিতা করা আমাদের জন্য ঠিক না। এরা মহানুভবতা দেখাতে চাইছে আমাদের তাদের সাহাজ্য করা উচিত। শত হলেও সৌদি আরব বলে কথা???
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই, আপনার সৌদি ভক্তি দেখে চমকিত! তা, সৌদির প্রতি আপনার বিশেষ প্রেম ভালোবাসা বা আবেগ থাকতেই পারে। সেটা নিতান্ত ব্যক্তিগত। কিন্তু সৌদি আরবের রাজপরিবারের ক্ষমতাসীনগণ একের পর এক অন্যায় করে যাবেন আর আপনার কথামত আমরা নিরব-নিশ্চুপ থাকবো, ইহা হতে পারে না।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা আমাদের বলতেই হবে। সে সৌদি হোক আর ভারত হোক। কাউকে ছেড়ে কথা বলার দিন এখন আর নেই।
ধর্মীয় কারণে আপনারা হয়তো সৌদি আরবকে সম্মানের চোখে দেখেন। সেটা ভালো। আমরাও দেখি। কিন্তু এই কারণে আপনি সৌদি রাষ্ট্রের সকল অবৈধ কর্মকান্ড মেনে নিবেন? আমাদেরকেও মেনে নিতে বলেন?
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭
জুন বলেছেন: একদিন সারা বিশ্ব রোহিঙ্গা বলতে বাংলাদেশীই বলে মনে করবে । আর এর পেছনে আছে বিভিন্ন এনজিওদের লোলুপ নজর যারা এদের দেখিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে, নিজ দেশে ফিরে যেতে বড় বাধা এই সব এনজিওরাই ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
একদিন সারা বিশ্ব রোহিঙ্গা বলতে বাংলাদেশীই বলে মনে করবে । আর এর পেছনে আছে বিভিন্ন এনজিওদের লোলুপ নজর যারা এদের দেখিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে, নিজ দেশে ফিরে যেতে বড় বাধা এই সব এনজিওরাই ।
-একদিন সারা বিশ্ব রোহিঙ্গা বলতে বাংলাদেশীই বলে মনে করবে- অবস্থা দেখে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু এই দুঃসময় যেন আমাদের কোনোদিন না দেখতে হয় সেজন্য কোমর বেঁধে শক্তভাবে দাঁড়ানোর সময় আমাদের এখনই।
আর বিভিন্ন এনজিওদের তো ব্যবসার একটা প্লট তৈরি হয়েছে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের বিশাল সোর্স অব ইনকাম। জনসেবা আর মানবসেবার ছদ্মাবরণে তাদের অনেকে বিশাল ধান্ধায় লিপ্ত। কোনোভাবে এই বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে গেলে এদের মাথায় হাত পড়বে বলে এরা এই কাজ হোক, এটা কখনোই চাইবে না। এই এনজিওদের প্রতি কড়া নজর রাখা বাংলাদেশ সরকারের একান্ত দায়িত্ব মনে করি। ইতোপূর্বে কোনো কোনো এনজিওর কিছু অপকীর্তি প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সেবা(!)দানকারী প্রতিটি এনজিওকে দ্রুততম সময়ে সঠিক নজরদারির আওতায় আনা একান্ত প্রয়োজন। আশা করি, আমাদের সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনুধাবন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে এগিয়ে আসবেন।
যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ।
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আলীনুর বলেছেন: সবাই শুধু সৌদিকে দোষারুপ করছেন, একবারও কি ভাবছেন না কারা এই রহিঙ্গা ইসু নিয়ে সৌদি রাজপরিবার বা আমেরিকার সদরদপ্তর পর্যন্ত যাচ্ছে? একটি রাষ্ট্রীয় দপ্তরের চেয়ে একটি গোষ্ঠী এতো শক্তিশালী কিভাবে হয়? আমার তো মনে হয় আমরা সবাই আসল বিষয়টাকে এড়িয়েই যাচ্ছি। আজ যদি আমাদের রাষ্ট্রীয় দপ্তরে দক্ষ লোক থাকতো তাহলে অবশ্যই এমন একটা অবস্থার সৃষ্টিই হতেোনা। নিশ্চয় আমাদের কোথাও এমন দুর্বলতা আছে বা অদক্ষতা আছে যেখানে একটি গোষ্ঠি এতটুকু করাতে পারে একজন সৌদি রাজপরিবার বা অন্য কোন শক্তিদিয়ে। আসলে আমরা চারপাশেই অদক্ষার স্বাক্ষর রাখছি, এ আর নতুন কি। যে যায় লংকায় সে হয় রাবন। তবে আমিও একমত “একদিন সারা বিশ্ব রোহিঙ্গা বলতে বাংলাদেশীই বলে মনে করবে”।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর অভিমত ব্যক্ত করায়। আপনার সাথে সহমত।
১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০
মা.হাসান বলেছেন: আশ্রয় আর পাসপোর্ট এক না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন সে সময় মানবিক বিবেচনায় এটা হয়তো জরুরী ছিলো। কিন্তু আরেকটি দেশ থেকে কিছু রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দেবার যে দাবি করা হয়েছে তা শিষ্টাচার বহির্ভুত।
সোউদ দের যদি রোহিঙ্গাদের প্রতি এত ভালোবাসা থাকে তবে তারা রোহিঙ্গাদের সৌদি পাসপোর্ট দিতে পারে।
রোহিঙ্গারাই একমাত্র স্টেটলেস জাতি না। ফিলিস্তিনের অনেকের, থাইল্যান্ডে আসা কিছু শরনার্থি, আফ্রিকার অনেক দেশে থাকা শরনার্থিরা- এরকম অনেকের কাছেই পাসপোর্ট নাই। প্রয়োজনে এরা UNHCR এর ট্রাভেল পাস নিয়ে ভ্রমন করতে পারে।
রোহিঙ্গাদের অনেকে হয়তো তথ্য গোপন করে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, স্বীকৃতি দিয়ে যদি একজন রোহিঙ্গাকেও পাসপোর্ট দেয়া হয়, ১১ লাখ রোহিঙ্গা পাসপোর্ট চাইবে।
এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। আপনি যেমন বলেছেন আমি সেরকম অনুমান করছি। কুটনৈতিক ভাবে ইজরায়েল অনেক অগ্রগামি। সৌদি আরব, বাহরাইন, আমিরাত সহ আরব দেশ গুলোর সাথে এরা নতুন পিরিতি শুরু করেছে। এই দেশ গুলোতে ইজরায়েলি পাসপোর্ট নিয়ে কেউ ঢুকতে পারতো না। এখন সব সম্ভব হচ্ছে।
ইজরায়েল গত পঞ্চাশ বছর ধরে চেষ্টা করছে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের। পারে নি। এখন তাদের এজেন্ট সালমানকে দিয়ে বাংলাদেশকে চাপ দেয়াচ্ছে। বাংলাদেশ ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিলেই সব দাবি তুলে নেয়া হবে।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী তীক্ষ্ণ কূটনৈতিক বুদ্ধি সম্পন্ন, উনি এই দু-মুখো ছুরির কথা ভালোভাবেই বুঝছেন। তবে এক্ষেত্রে তার উপর অনেক বড় চাপ। উনি কি ভাবে সামলান এটাই দেখার বিষয়।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আশ্রয় আর পাসপোর্ট এক না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন সে সময় মানবিক বিবেচনায় এটা হয়তো জরুরী ছিলো। কিন্তু আরেকটি দেশ থেকে কিছু রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দেবার যে দাবি করা হয়েছে তা শিষ্টাচার বহির্ভুত।
সোউদ দের যদি রোহিঙ্গাদের প্রতি এত ভালোবাসা থাকে তবে তারা রোহিঙ্গাদের সৌদি পাসপোর্ট দিতে পারে।
-প্রশ্নটা এখানেই। বাংলাদেশ কেন রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিবে? এই আবদার বা চাপ প্রয়োগ- যা-ই বলি না কেন, সৌদি আরব বাংলাদেশকে কেন করবে?
একদম সঠিক বলেছেন, সৌদিদের যদি রোহিঙ্গাদের প্রতি এত ভালোবাসা থাকে তবে তারা রোহিঙ্গাদের সৌদি পাসপোর্ট দিতে পারে। সেটা দিচ্ছে না কেন?
রোহিঙ্গারাই একমাত্র স্টেটলেস জাতি না। ফিলিস্তিনের অনেকের, থাইল্যান্ডে আসা কিছু শরনার্থি, আফ্রিকার অনেক দেশে থাকা শরনার্থিরা- এরকম অনেকের কাছেই পাসপোর্ট নাই। প্রয়োজনে এরা UNHCR এর ট্রাভেল পাস নিয়ে ভ্রমন করতে পারে।
-ফিলিস্তিনের অনেকের, থাইল্যান্ডে আসা কিছু শরনার্থি, আফ্রিকার অনেক দেশে থাকা শরনার্থিদের ব্যাপারে সৌদি আরব মুখ খুলেছে আজ পর্যন্ত? এদের বিষয়ে তারা নিরব কেন? আসল কথা হচ্ছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কিছু সংখ্যক লোক তো তাদের ঘাঁড়ের উপরে। এদের সরানোর ধান্ধায়ই যতসব ফন্দি ফিকির।
রোহিঙ্গাদের অনেকে হয়তো তথ্য গোপন করে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, স্বীকৃতি দিয়ে যদি একজন রোহিঙ্গাকেও পাসপোর্ট দেয়া হয়, ১১ লাখ রোহিঙ্গা পাসপোর্ট চাইবে।
-একদম সঠিক কথা। একজন রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দেয়ার অর্থ শুধু বাংলাদেশে বসবাসরত ১১ লাখ রোহিঙ্গা নয়; বরং আরাকানে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বাদবাকি সকল রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নেয়া। এই কাজ বাংলাদেশের ঘূনাক্ষরে কস্মিনকালেও করা উচিত হবে না।
এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। আপনি যেমন বলেছেন আমি সেরকম অনুমান করছি। কুটনৈতিক ভাবে ইজরায়েল অনেক অগ্রগামি। সৌদি আরব, বাহরাইন, আমিরাত সহ আরব দেশ গুলোর সাথে এরা নতুন পিরিতি শুরু করেছে। এই দেশ গুলোতে ইজরায়েলি পাসপোর্ট নিয়ে কেউ ঢুকতে পারতো না। এখন সব সম্ভব হচ্ছে।
-সবাই জানে, ইসরায়েলের কাছ থেকে এমবি বুদ্ধি কেনে। একথা প্রমানিত সত্য যে, পৃথিবীর সেরা কুবুদ্ধিদাতা ইসরায়েল।
ইজরায়েল গত পঞ্চাশ বছর ধরে চেষ্টা করছে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের। পারে নি। এখন তাদের এজেন্ট সালমানকে দিয়ে বাংলাদেশকে চাপ দেয়াচ্ছে। বাংলাদেশ ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিলেই সব দাবি তুলে নেয়া হবে।
-ঠিক। হতে পারে ইসরায়েলের পক্ষে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের এটা আরেক নতুন ফন্দি।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী তীক্ষ্ণ কূটনৈতিক বুদ্ধি সম্পন্ন, উনি এই দু-মুখো ছুরির কথা ভালোভাবেই বুঝছেন। তবে এক্ষেত্রে তার উপর অনেক বড় চাপ। উনি কি ভাবে সামলান এটাই দেখার বিষয়।
-শত সমস্যা সত্বেও আমরা আশা করতে চাই, তিনি পারবেন। বাংলাদেশের ভাগ্য এর সাথে জড়িত। তাই তাকে শক্ত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি পারবেন। তাকে পারতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মরুভুমির রাখালরা যখন অট্টালিকা বানাবে বুঝতে হবে কেয়ামত নিকটবর্তী। ওদের অহঙ্কারের শেষ নাই। আর ট্রাম্প বলেন আর অন্য কোনও আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আসলে আমাদের জন্য সবই সমান। আমাদের ব্যাপারে ওদের সব প্রেসিডেন্টেরই দৃষ্টিভঙ্গি একই। সউদিরা আমাদের বলে মিসকিন আর আমেরিকানরা কি বলে জানি না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
মরুভুমির রাখালরা যখন অট্টালিকা বানাবে বুঝতে হবে কেয়ামত নিকটবর্তী। ওদের অহঙ্কারের শেষ নাই।
-সঠিক কথা।
আর ট্রাম্প বলেন আর অন্য কোনও আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আসলে আমাদের জন্য সবই সমান। আমাদের ব্যাপারে ওদের সব প্রেসিডেন্টেরই দৃষ্টিভঙ্গি একই।
-ওদের নিয়ে আমাদের মাথাব্যথাও তেমন নেই। ট্রাম্প এর কথাবার্তা ভালো লাগে। মাঝে মাঝে বিনোদিত হওয়া যায়- এতেই একটু আধটু আলোচনা না করে পারা যায় না।
সউদিরা আমাদের বলে মিসকিন আর আমেরিকানরা কি বলে জানি না।
-ঠিক। সৌদিদের কিছু লোক আমাদেরকেসহ পাক ভারতবাসীকে মিসকিন, ফকির ইত্যাদিই ভাবে। এসব হীনতর অভিধায়ই ভূষিত করে শান্তি পায়। এটা সাংঘাতিক আচরণ। তাদের এই মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। আমেরিকানরা কি বলে আমারও জানা নেই।
শুকরিয়া।
১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৫৮
এমএলজি বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও। সাথে থাকবেন, প্রত্যাশা।
সুন্দর থাকুন, ভালো থাকুন সবসময়।
১৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি পাসপোর্টে লিখে রেখেছন - অল কান্ট্রি একসেপ্ট ইজরাইল!
তারা ভালয় ভালয়তো খেলছে মন্দ ভাবেতো তাদের জন্মই!
তাই দোস্তরে দিয়া একটু চাপাচাপি কইরা রার্ভ টেস্ট করতেছে
নেক্স্ট এটাক কোনভাবে করবে এর রেসপন্স দেখৈ পরে ভাববে!
সউদ বংশ ধ্বংস হোক। সকল স্বৈরাচারী নিপাত যাক।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
তাই দোস্তরে দিয়া একটু চাপাচাপি কইরা রার্ভ টেস্ট করতেছে
-এমনটাই ধরেই নেয়া যায়। বিশ্ব রাজনীতির মূল চালিকাশক্তিই এখন আধুনিক সমরাস্ত্রের অন্যতম ঘাঁটি বিদঘুঁটে রক্তখেকো এই ইসরায়েল। এদের চালে সৌদি বাদশাহপুত্রের চলন বলন। এদের দোআ, আশির্বাদ আর প্রেসক্রিপশনে সৌদি রাজতন্ত্রের বর্তমান জুলূম নির্যাতন। এরাই এই জুলূম নির্যাতক পরিবারটিকে ছিন্নভিন্ন করে এদের হাত থেকে হারামাইন শরিফাইনসহ আরববাসীকে মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট হবে, আশা করি।
মন্তব্যে আসায় অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
১৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের আমার দেয়া উত্তরটা কিন্তু বেশি সুবিধার ছিল না। পড়ে এসে এই মন্তব্য করলেন তো? না কি শুধু মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়েছে, দূর থেকে এতটুকু দেখেই চলে এলেন?
যাক, আবারও ঘুরে গেলেন দেখে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
জুন বলেছেন: আমার সহ সারা দুনিয়ার অনেকেরই ফ্যামিলি চেইন ইমিগ্রেশনে আম্রিকা যাবার ভিসা নাকি বর্তমান আমেরিকান প্রেসিডেন্টই ডিলে করাচ্ছে। এই ডিলে না হলে হয়তো আমি আজ আমেরিকান ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করতাম নতুন নকি। তারপরও আমি ট্রাম্পকে পছন্দ করি তার বুদ্ধিমত্তা আর স্মার্টনেসের জন্য। তার উইটিনেসের জন্য। আমি না যাইতে পারি সমস্যা নাই তারপরও স্লিপি বাইডেন ( ট্রাম্পের ভাষায়) আর ভারতীয় অরিজিন কমলাকে হারিয়ে ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসুক। আমরা একটু বিনোদিত হই। দুনিয়া বড়ই নিরামিষ। আর ট্রাম্পের আমলে অন্যদেশের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিদেশ বিভুই এ লাখ লাখ আমেরিকান সৈন্য বেহুদা মরে নাই। আর লাশবাহী ব্যাগের ভারে ভরে উঠে নাই জীবিত সৈন্যদের কাধ। ট্রাম্পই আসবে শিউর আমি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
আমার সহ সারা দুনিয়ার অনেকেরই ফ্যামিলি চেইন ইমিগ্রেশনে আম্রিকা যাবার ভিসা নাকি বর্তমান আমেরিকান প্রেসিডেন্টই ডিলে করাচ্ছে। এই ডিলে না হলে হয়তো আমি আজ আমেরিকান ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করতাম নতুন নকি।
-এটা হচ্ছে ব্যক্তি ট্রাম্প এর চরম রেসিজমের ফল। তিনি যে সত্যিই একজন রেসিস্ট তার প্রমান হচ্ছে- এশিয়, আফ্রিকান এমনকি ইউরোপিয়ান অনেক দেশের লোকদের তার দেশে যাওয়ার পথ আটকে দেয়া। তিনিই শেষ নন। তারপরেও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। নতুন প্রেসিডেন্ট আসবেন। তার এসব ঘৃণ্য কালাকানূন অবশ্যই তখন থাকবে না। আপনার মত আরও হাজারো মানুষ, যাদের বৈধভাবে আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ থাকার পরেও বছরের পর বছর ধরে আটকে আছেন, একান্ত প্রয়োজন সত্বেও যেতে না পেরে তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে, তারা ঠিকই আমেরিকা যেতে সক্ষম হবেন।
তারপরও আমি ট্রাম্পকে পছন্দ করি তার বুদ্ধিমত্তা আর স্মার্টনেসের জন্য। তার উইটিনেসের জন্য। আমি না যাইতে পারি সমস্যা নাই তারপরও স্লিপি বাইডেন ( ট্রাম্পের ভাষায়) আর ভারতীয় অরিজিন কমলাকে হারিয়ে ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসুক। আমরা একটু বিনোদিত হই।
-মহামান্য ট্রাম্প মহোদয়ের বুদ্ধিমত্তা কি- সে সম্মন্ধে তেমন কিছু জানি না তবে, বিনোদিত হবার কথা বললে তখন লা-জওয়াব। বিনোদনের প্রশ্নে তিনি সেরা। বিনোদনের প্রশ্নে আর কিছু বলার থাকে না। কারণ, ট্রাম্প এর মত এত বিনোদন অন্য কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ইতোপূর্বে দিতে পারেননি। ভবিষ্যতে কেউ এসে পারবেন কি না, তাও নিশ্চিত নই। সে দিক বিবেচনায় তার আরও কয়েক টার্ম প্রেসিডেন্ট থাকার দাবি আমরা করতেই পারি। প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট এর মেয়াদ সংক্রান্ত আমেরিকান সংবিধানের বিদ্যমান আইন সংশোধন করে হলেও এটা করা যেতে পারে।
আর ট্রাম্পের আমলে অন্যদেশের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিদেশ বিভুই এ লাখ লাখ আমেরিকান সৈন্য বেহুদা মরে নাই। আর লাশবাহী ব্যাগের ভারে ভরে উঠে নাই জীবিত সৈন্যদের কাধ। ট্রাম্পই আসবে শিউর আমি।
-সহমত। ট্রাম্প রক্তখেকো নয়। আসল রক্তখেকো তো ছিলেন বুশ ব্যাটা। ওবামাও তো তেমন একটা মারামারি কাটাকাটি করেননি। এই দিক থেকে ট্রাম্পকে আপনি সাপোর্ট করতেই পারেন।
১৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
করুণাধারা বলেছেন: আবার আসার ইচ্ছা রাখি। আপনার পোস্ট আর জুনের মন্তব্যে লাইক।
১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই, আপনার সৌদি ভক্তি দেখে চমকিত! তা, সৌদির প্রতি আপনার বিশেষ প্রেম ভালোবাসা বা আবেগ থাকতেই পারে। সেটা নিতান্ত ব্যক্তিগত। কিন্তু সৌদি আরবের রাজপরিবারের ক্ষমতাসীনগণ একের পর এক অন্যায় করে যাবেন আর আপনার কথামত আমরা নিরব-নিশ্চুপ থাকবো, ইহা হতে পারে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা আমাদের বলতেই হবে। সে সৌদি হোক আর ভারত হোক। কাউকে ছেড়ে কথা বলার দিন এখন আর নেই। ধর্মীয় কারণে আপনারা হয়তো সৌদি আরবকে সম্মানের চোখে দেখেন। সেটা ভালো। আমরাও দেখি। কিন্তু এই কারণে আপনি সৌদি রাষ্ট্রের সকল অবৈধ কর্মকান্ড মেনে নিবেন? আমাদেরকেও মেনে নিতে বলেন? :`< :`< :`<
আমি সৌদি ভক্তি কিভাবে বুঝতে পারলেন ভাইজান?
সৌদির মতন সমাজ কিভাবে ইসলামের মতন এতো মহান একটা দর্শনের আলোতে থাকার পরেও বিপথে যাচ্ছে সেই বিষয়ে কিছু চিন্তা করেছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: শাহ আজিজাইয়ের পোষ্ট পড়ে যা জানলাম-
সৌদির ফেরত আসা কর্মীরা আবার যাচ্ছেন। দেশের মানুষ দেশে কাজ পাচ্ছেন না। পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারছেন না। এটা খুবই দুঃখজনক।
জীবন তো একটাই। বাংলাদেশী প্রবাসীদের অবস্থা হচ্ছে 'জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ' নিজ দেশে মূল্যহীন প্রবাসে অবমূল্যায়ন। নিজ দেশে- নিজ দেশের জনগণের যতোদিন ভালো ব্যবস্থা না হবে, ততোদিন প্রবাসেও নিগৃহীত হবেন।
সব ক্ষেত্রেই আমরা নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছি। ফলে সৌদির মত অনেক দেশই আমাদের পাত্তা দেয় না। তবে সৌদি এয়ারলাইন্স ইচ্ছায় বা চাপে যে কারনেই রাজি হউক না কেন তাদের সাধুবাদ দেয়া যেতে পারে।
এই মহামারী পুরো বিশ্বকে উথালপাথাল করে দিয়েছে। সব আগের মত হয়ে যাক এই কামনা।