নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আতর, সেন্ট কিংবা বডি স্প্রে ব্যবহার করা, ইলেক্ট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা নিধনসহ কয়েকটি বিষয়ে জ্ঞাতব্য...

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

আল-হারামাইন, বিশ্বের নাম করা সুগন্ধি উৎপাদনকারী আরবীয় কোম্পানি যার প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশী মরহুম কাজী আবদুল হক

আতর, সেন্ট কিংবা বডি স্প্রে ব্যবহার করার বিধানঃ

উত্তর :অনেকের ভেতরে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত যে, রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেবলমাত্র আতর ব্যবহার করেছেন বিধায় আতর ব্যবহার করা সুন্নত। আসলে এই বিষয়টিতে সামান্য বিভ্রান্তির অপনোদন হওয়া উচিত। মূলতঃ রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি ব্যবহার করতেন সেটা আমাদের জানা দরকার প্রথমে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” حُبِّبَ إِلَيَّ النِّسَاءُ، وَالطِّيبُ

হযরত আনাস বিন মালিক রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ নারী ও খুশবুকে আমার জন্য প্রিয় করা হয়েছে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২২৯২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৬৮৭৯, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩৯৪০, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৫৭৭২, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-২৬৭৬, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪৮২

হাদিসের আলোকে আমরা জানতে পারলাম, তিনি খুশবু পছন্দ করতেন এবং তা ব্যবহারও করতেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে 'আতর' ব্যবহারের কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। সুগন্ধ বা খুশবু হওয়া চাই। তা যে প্রকারেরই হোক। শর্ত শুধু হালাল বস্তু দ্বারা বানানো হতে হবে। তাই আতর হোক বা বডি স্প্রে হোক, বোতলজাত পারফিউম হোক বা ফুলের ঘ্রাণ হোক সবই খুশবুতে শামিল। তাই আমভাবে খুশবু ব্যবহার করা সুন্নত। হালাল বস্তু দ্বারা বানানো হলেই হল।

বর্তমানে বডি স্প্রে বা পারফিউমে এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় মর্মে শুনা যায়। এক্ষেত্রে মাসআলা হল,

والمحرم منها أربعة ) أنواع الأول ( الخمر وهي النيء من ماء العنب إذا غلى واشتد وقذف بالزبد وحرم قليلها وكثيرها ) بالإجماع ( و ) الثاني ( الطلاء وهو العصير يطبخ حتى يذهب أقل من ثلثيه وقيل ما طبخ من ماء العنب حتى ذهب ثلثاه وبقي ثلثه ) وصار مسكرا ( وهو الصواب ونجاسته كالخمر ) به يفتي ( و ) الثالث ( السكروهو النيء ماء الرطب )

( و ) الرابع ( نقيع الزبيب وهو النيء من ماء الزبيب ) بشرط أن يقذف بالزبد بعد الغليان ( والكل ) أي الثلاثة المذكورة ( حرام إذا غلي واشتد ) وإلا لم يحرم اتفاقا وإن قذف حرم اتفاقا وظاهر كلامه فبقية المتون أنه اختار ها هنا قولهما(تنوير الأبصار مع الدر المختار- كتاب الأشربة -2/259

যে সমস্ত এলকোহল খেজুর বা আঙ্গুর দ্বারা বানানো হয়নি, তেমন বস্তু নেশা না আসা পর্যন্তের জন্য ব্যবহার জায়েজ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এবং ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর মতানুসারে। {ফাতহুল কাদীর-৮/১৬০, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৪১২, আল বাহরুর রায়েক-৮/২১৭-২১৮, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৯}

বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যে, বর্তমানে এলকোহল খেজুর বা আঙ্গুর থেকে বানানো হয় না। তাই এটি ব্যবহার করা জায়েজ হবে। তবে যদি জানা যায় যে, এসব আঙ্গুর বা খেজুর থেকে বানানো হয়, তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়।

আর হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদির যদি এমনভাবে রিফাইন করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলেও উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। {নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২}

أما (الخمر) إذا خلله بعلاج بالملح أو بغيره يحل عندنا (الفتاوى الهندية،كتاب الأشربة وفيه بابان الباب الأول في تفسير الأشربة والأعيان التي تتخذ منها الأشربة وأسماؤها وماهياتها وأحكامه-5/410

অনুবাদ-মদকে যখন লবন বা অন্য কিছু দ্বারা সির্কা বানিয়ে ফেলা হয়, তখন তা হালাল হয়ে যায়। {ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪১০, মাজমাউল আনহুর-৪/২৫১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৮}

এ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে বুঝে নিন বিদেশী পণ্য ও বডি স্প্রে, পারফিউম, শেম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করার বিধান। যদি ওসব বস্তুুতে খেজুর বা আঙ্গুরের তৈরী এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা ব্যবহার জায়েজ নয়। নতুবা তা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে জায়েজ নয়। সম্ভাবনা না হলে জায়েজ।

আর যদি অন্য কোন হারাম বস্তু মিশ্রিত হয়, আর মিশ্রিত করার আগে তাকে এমনভাবে প্রসেসিং করে যে, হারাম বস্তুটির মৌলিকত্ব বাকি থাকে না, তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে, আর যদি মৌলিকত্ব বাকি থাকে তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।

যদি হারাম বস্তু মিশ্রিত করা হল কি না? জানা নেই। তাহলেও উক্ত পারফিউম, বডি স্প্রে ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই।

গোল্ডেন ডেলিশাস, মিলিয়ন ডলার মূল্যের বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান পারফিউম। তবে মিলিয়ন ডলার দাম শুনে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, রহস্যটা খুলেই বলি- মিলিয়ন ডলার দাম মূলতঃ এই বোতলে থাকা সুগন্ধির কারণে নয় বরং মহামূল্যবান জার বা বোতলটির জন্য। এ সুগন্ধি বোতলের নকশা করেছেন বিখ্যাত জহুরী মারটিন কাৎজ। বোতলটিতে ব্যহৃত হয়েছে ১৪ ক্যারেট হলুদ আর সাদা সোনা। এবং এতটুকুতেই শেষ নয়, এই বোতলের টোপরে রয়েছে ২,৯০৯ টি দামী পাথর। ব্যবহৃত সকল ছবির উৎস অন্তর্জাল।

এক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে, সেন্ট কিংবা বডি স্প্রে যদি অন্য কোন হারাম বস্তু মিশ্রিত হয়, আর মিশ্রিত করার আগে তাকে এমনভাবে প্রসেসিং করে যে, হারাম বস্তুটির মৌলিকত্ব বাকি থাকে না, তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে, আর যদি মৌলিকত্ব বাকি থাকে তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। -নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে সেন্ট কিংবা বডি স্প্রে যদি এলকোহল মুক্ত হয় তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ। স্পিরিট থাকায় অনেকে সেন্টের ব্যবহার নাজায়েজ বলেন। তবে, এটি এক কথায় নাজায়েজ নয়। কারণ, স্পিরিটের পরিমাণ নাপাকির পর্যায়ের থাকে না। যেহেতু স্পিরিট ছাড়া এসব হয় না। তাই জিন্স বা ধাতুগত অবস্থা পরিবর্তনে হুকুম পরিবর্তনের বিধান এখানে প্রয়োগ করা হয়। স্পিরিটের প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে তা সুবাসে রূপান্তরিত হওয়া এবং সেন্ট বা বডি স্প্রে নাম ধারণ করায়, স্পিরিটওয়ালা সেন্টও ব্যবহার করা যায়। সাবধানতার জন্য এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো। অবশ্য উত্তম বিকল্প হিসেবে এক্ষেত্রে আতর ব্যবহার করা সকল দিক দিয়ে নিরাপদ। এতে এলকোহল বা স্পিরিট থাকার সম্ভাবনা থাকে না।

অ্যালকোহল সম্মন্ধে আরও কিছু জ্ঞাতব্যঃ

অ্যালকোহলমুক্ত যেসব সুগন্ধি বা পারফিউম পাওয়া যায়, তা ব্যবাহার না করাই উত্তম ও শ্রেয়। অ্যালকোহেলযুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করা জায়েজ আছে কি না, তা জানার জন্য আগে মদ বা অ্যালকোহলের বিধান জানা জরুরি।

ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে, প্রথমতঃ এবং প্রধানতঃ মদ বা অ্যালকোহল হলো, যা আঙ্গুরের কাচা রস থেকে তৈরি হয়। এটি যখন ভালোভাবে সিদ্ধ করা হয়, তখন তা মদ হয়। মোটকথা যে মদ বা অ্যালকোহলের উপাদান আঙ্গুর সেটাই কেবল মদ। এটি নাপাক। এর ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার অল্প বা বেশি, নেশা হোক বা না হোক সবই হারাম। এ ব্যাপারে সবাই একমত।

দ্বিতীয়তঃ আরেক ধরণের অ্যালকোহল হলো, এমন মদ, যার উপাদান- খেজুর বা কিসমিস। এটিও হারাম, নাপাক। অল্প হোক বেশি হোক পান করা হারাম। তবে এর নিষিদ্ধতা প্রথমটার মতো অকাট্য নয়। তাই এ ধরনের মদ্যপায়ীর ওপর ইসলামী হদ (শাস্তি) কার্যকর হয় না। এই কারণে তা বৈধ উদ্দেশ্যে বিক্রয় জায়েজ। যেমন মেডিসিনের ব্যবহারের জন্য এ ধরনের অ্যালকোহলের ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

তৃতীয়তঃ আরেক প্রকারের অ্যালকোহল হলো, যার উপাদান উপরোক্ত বস্তু ছাড়া অন্য কিছু। যেমন গম, যব বা অন্য কোনো শষ্য, মধু ইত্যাদি।

এসব অ্যালকোহলের বিধান হলো, নেশা উদ্রেক করে না-এ পরিমাণ ব্যবহার করা বৈধ। নেশা উদ্রেক করা পরিমাণ ব্যবহার করা বৈধ নয়। এটি ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.)-এর অভিমত।

এ বিষয়ে মুফতি তাকি উসমানি দামাত বারাকাতুহুম লিখেছেন, ‌'বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে অ্যালকোহল ব্যবহারের প্রয়োজন হচ্ছে। রাসায়নিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বহু শিল্প কারখানা অ্যালকোহলের ব্যবহার করা ছাড়া চলা সম্ভব নয়। এককথায় বর্তমান সময়ে বহু মানুষ এর সঙ্গে জড়িত। এবং এর প্রচণ্ড প্রয়োজনয়ীতা রয়েছে। এখন আমাদের দেখার বিষয়, যদি এসব অ্যালকোহল আঙ্গুরের কাচা রস থেকে তৈরি না হয়, তবে তা বৈধ কাজে ব্যবহার করা ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে বৈধ।

এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকায় (খ.১,পৃ.৫৪৪, প্রকাশকাল ১৯৫০খৃ.) বর্তমান বিশ্বে অ্যালকোহল কিসের থেকে তৈরি, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। সে তালিকায় আছে, মধু, শষ্য, যব, আনারসের রস, গন্ধক ও সালফেট এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান। তবে তাতে কোথাও আঙ্গুর বা খেজুরের কথা নেই।

সারকথা, ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতানুযায়ী বাজারে প্রচলিত অ্যালকোহল যদি খেজুর ও আঙ্গুর থেকে প্রস্তুত না হয়, তবে তা বৈধ কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার বৈধ। নেশার উদ্রেক হয় না, এ পরিমাণ ব্যবহার করা যাবে।

আর এটিই স্বাভাবিক সত্য যে বর্তমানে বেশির ভাগ অ্যালকোহল আঙ্গুর ও খেজুর থেকে তৈরি হয় না। সুতরাং, এসব বৈধ উদ্দেশ্যে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। তদ্রুপ ওষুধ তৈরিতে বা চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যাবে। অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা যাবে।' (দেখুন তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৩৪৮,৩/৩৩৭; ফিকহুল বুয়ূ ১/২৯৮)

উল্লেখ্য যে, যদি কোনো অ্যালকোহলের ব্যাপারে প্রমাণিত হয় যে তা আঙ্গুর ও খেজুর থেকে তৈরি, তাহলে তা ব্যবহার করা যাবে না।
সূত্র : আহলে হক মিডিয়া

========================================================================

ইলেক্ট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা নিধনঃ

মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট, এর সাথে মশা লাগলেই টাশ করে শব্দ হয়ে মশা মরে যায়

উত্তর : ইলেক্ট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা মারা যাবে কি যাবে না, এর পক্ষে বিপক্ষে দুই রকম বক্তব্য পাওয়া যায়। একদল আলেম এটিকে জায়েজ মনে করেন। পক্ষান্তরে অধিক তাকওয়াপন্থী আলেমগণের অভিমত, এভাবে মশা না মারা উত্তম। কারণ হিসেবে তারা বলেন, এখানে মশাকে পুড়িয়ে মারা হয়ে থাকে। ইসলামী মূলনীতিতে পারতপক্ষে কোনো ক্ষতিকর প্রাণীকেও পুড়িয়ে মারা সমর্থনযোগ্য নয়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَحْرَقَ نَاسًا ارْتَدُّوا عَنِ الإِسْلاَمِ فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ لَمْ أَكُنْ لأَحْرِقَهُمْ بِالنَّارِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « لاَ تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ »

হযরত ইকরিমা রাঃ থেকে বর্ণিত। হযরত আলী রাঃ একদল মুরতাদকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলেন। এ সংবাদ ইবনে আব্বাস রাঃ এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেনঃ আমি হলে তাদের আগুন দিয়ে পুড়াতাম না। কারণ, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ “তোমরা আল্লাহর শাস্তি দিয়ে কাউকে শাস্তি দিও না। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৩৫৩, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৬৬৩৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৪৫৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৯০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৩৫২৩, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬০৬, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৮৫৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৫৫২}

অবশ্য যারা ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা মারা জায়েজ মনে করেন তারা ইলেকট্রিক শক খাওয়ার কারণে মশা মারাকে পুড়িয়ে মারা বলতে নারাজ।

তবে সর্বোপরি গ্রহনযোগ্য অভিমত হচ্ছে, একান্ত বাধ্য না হলে ইলেকট্রিক ব্যাট ব্যবহার না করে অন্য কোন উপায়ে মশা দূর করার চেষ্টা করা। এটাই উত্তম। অন্য প্রাণির অধিকার লঙ্ঘন থেকে আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাজত করুন।

========================================================================

চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের করণীয়ঃ

সূর্যগ্রহণের চিত্র

উত্তর : আমাদের সমাজে এমন কথাবার্তা প্রচলিত রয়েছে যে, চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাগণ কিছুই করতে পারবেন না। এমনকি এ সময় তারা ঘুমাতেও পারবেন না। যদি কোনো কাজ করে বা ঘুমায় তাহলে খারাপ কোনো কিছু ঘটবে। যেমন- সন্তান প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাবে। কোনো কিছু কাটাকুটি করলে হাত বা ঠোঁট কাটা সন্তান জন্ম নিবে। এ বিষয়গুলোর আসলে কোনো ভিত্তি নেই। এগুলো দীর্ঘ দিন যাবত আচরিত ও পরিপালিত নিছক কুসংস্কার মাত্র। ইসলাম ধর্মমতে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সময় আল্লাহ তাআ'লার নিকট বিনীত অন্তরে প্রার্থনা করতে হয়। এর জন্য রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বিশেষ নামাজ আদায়েরও পদ্ধতি শিখিয়েছেন, যা সলাতুল কুছুফ এবং সলাতুল খুছুফ নামে পরিচিত। সলাতুল কুছুফ এবং সলাতুল খুছুফের এই সুন্নত নামাজ শুধু পুরুষের জন্য নয়, বরং নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মুসলমানের জন্য। বলা বাহুল্য, গর্ভবতী নারীগণের জন্যও একই বিধান। আমাদের দেশে রেওয়াজ নেই তবে মক্কা মদীনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এ সুন্নত নামায পড়া হয়। গর্ভবতী মহিলারা এ সময় স্বাভাবিক সব কাজকর্ম করতে পারবেন। ঘুমুতে পারবেন, কাটাকাটি করতে পারবেন, এতে কিছুই হবে না। সমাজের প্রচলিত যে কথাগুলো অতি সতর্কতার সাথে অনেককে পালন করতে দেখা যায়, তার সম্পূর্ণটাই কুসংস্কার এবং অজ্ঞতার ফসল।

চন্দ্রগহনের চিত্র

চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের কারণে ভালো মন্দ হতে পারে এই বিশ্বাস রাখা শিরক এবং নিঃসন্দেহে গোনাহর কাজ। চন্দ্র ও সূর্য কারও কল্যান অকল্যান করার ক্ষমতা রাখে, এমন বিশ্বাস রাখার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই।

========================================================================

বিবাহিত নারীর পিতা এবং স্বামীর সিদ্ধান্ত দুই রকম হয়ে গেলে তিনি কার সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিবেন?

উত্তর : ঈমানদার নারী পুরুষ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থাৎ শরীয়তের সিদ্ধান্তকে। পিতা, মাতা, স্বামী, সন্তান, পীর, উস্তাদ, শাসক সবার কথাই ততক্ষণ মানা যাবে যতক্ষণ তা শরীয়তের খেলাপ না হবে। আল্লাহ তাআলা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিপরীতে নারীর জন্য পিতা বা স্বামী কারো কথাই মানা বৈধ হবে না।

যদি কোনো বৈধ আদেশ বা পরামর্শ পিতা একরকম আর স্বামী আরেক রকম দেন। এমন পরিস্থিতিতে আইনগত দিক দিয়ে স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে স্ত্রী তার আনুগত্য করবেন। আর নৈতিক ও কল্যাণকামিতার দিক দিয়ে পিতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী দু'জন মিলেই পিতার সিদ্ধান্ত মেনে চলা সর্বোত্তম। যদি কোনভাবেই তা সম্ভব না হয়, তাহলে স্ত্রী পিতার তুলনায় স্বামীকে অধিক গুরুত্ব দেবেন। এটাই তার জন্য আইনসম্মত করনীয়। ইসলামী শরীয়তের নির্দেশনা এমনই।

========================================================================

আল্লাহ তাআলার প্রতি মুহাব্বতের দাবিতে আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে বলে বসেন, আমার বেহেশত দরকার নেই। আল্লাহ তাআ'লাকে পেলেই আমার আর কিছুর দরকার নেই। আর এ কথাও সত্য যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত করা মুমিনের দায়িত্ব। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বললে অনেকেই উপকৃত হবে।

উত্তর : বস্তুতঃ বেহেশত পাওয়ার আশা আর জাহান্নাম থেকে মুক্তি, এ দু’টি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিরই নিদর্শন। সুতরাং জান্নাতপ্রাপ্তির এই আশা এবং জাহান্নামকে ভয় করে চলা ঈমানেরও অঙ্গ। এসবে কোনো দোষ নেই। বলা যায়, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি পাওয়া আর বেহেশতে যাওয়া উভয়টি সমার্থবোধক। অপরদিকে, আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি ও জাহান্নামে যাওয়া একই অর্থ প্রকাশক। সুতরাং বেহেশত চাই না, জাহান্নামকে ভয় পাই না, এ ধরনের কথা বলা উচিত নয়। এগুলো আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে। এসব বাদ দিয়ে আমি শুধু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চাই এমন কোনো কথা শরিয়তে পাওয়া যায় না। এসব যেভাবে কুরআন-হাদিসে আছে সেভাবেই চিন্তা করা দরকার। নিজ থেকে চিন্তা করে বেশি বোঝার আলাদা কোনো প্রয়োজন নেই। কুরআনে আল্লাহ তাআ'লা আমাদের দুআ শিখিয়েছেন-

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদিগকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন। -সূরা আল বাক্কারা, আয়াত-২০১

উপরোক্ত আয়াতের শেষাংশে 'আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন' জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে প্রার্থনার বাক্য শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ধরণের বাক্য আল কুরআনে আরও অনেক স্থানে এসেছে। যেমনঃ

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দিন আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন। -সূরা আলি ইমরান, আয়াত-১৬

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَـذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এসব আপনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি। সকল পবিত্রতা আপনারই, আমাদিগকে আপনি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচান। -সূরা আলি ইমরান, আয়াত-১৯১

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের কাছ থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ! -সূরা আল ফুরক্কান, আয়াত- ৬৫

বস্তুতঃ জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রত্যাশা কিংবা প্রার্থনা করা যদি দোষনীয় হতো তাহলে আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই তা আমাদের শেখাতেন না।

অন্যদিকে জান্নাতের আশা করা, জান্নাতপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থনার বিষয়টিও কুরআনের আলোকে সুপ্রমানিত। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের দুআ শিখিয়েছেন-

وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ

এবং আমাকে জান্নাতুন নায়ী'মের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন। -সূরা আশ শু’আরা, আয়াত- ৮৫

رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন। -সূরা আত তাহরীম, আয়াত- ১১

শেষের প্রার্থনাঃ

আল্লাহ তাআ'লা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয়ের উপযুক্ত পরিমান সঠিক জ্ঞান এবং কুরআন হাদিসের আলোকে সেসবের ফায়সালা জেনে সেই অনুসারে আমলের তাওফিক দান করুন।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বিস্তারিত লেখায় অনেক জানা হলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রথম মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ আপনাকেও। প্রার্থনা, ভালো থাকুন সবসময়।

প্রিয় ব্লগার পদ্ম পুকুর এবং কল্পলোকের রাজপুত্র পোস্টটি লাইক করেছেন। তারাসহ আরও যাদের কাছে এই পোস্ট ভালো লাগবে সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম। নতুন কিছু জানতে সব সময় ভালো লাগে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার এই আগ্রহ দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ সহজ সরল ভাবে উপস্থাপন করেছে বিষয় গুলি, ভালো হয়েছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞতা।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: আল্লাহ আপনার প্রচেষ্টার উত্তম প্রতিদান দিন।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহু তাআলা খইরান। পোস্টে আসায় কৃতজ্ঞতা।

আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যান প্রার্থনা করছি আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর নিকট।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানা হলো । ইচ্ছা করলে আমরা ধর্মটা অতি সহজে মেনে চলতে পারি।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। মোবারকবাদ আপনাকে।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুকরের চামড়া দিয়ে তৈরি জামা বা অন্য কিছু কি ব্যবহার করা যাবে? শুকরের মাংস হারাম কিন্তু শুকরের দেহের কোনও অঙ্গ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে সেটা কি হারাম হবে। আমি নিয়মটা জানি না। ইলেকট্রিক ব্যাটের ক্ষেত্রে দুই রকম মতই আছে। তবে আমার মনে হয় যে ইলেকট্রিক ব্যাটে আসলে বিদ্যুৎকে ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ আর আগুন এক জিনিস না।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

হাসান রাজু বলেছেন: আমরা খুব সর্টকার্ট উপদেশ দেই। আমাদের জানার আগ্রহ কম। আমাদের ঘাঁটার প্র্যাকটিস নাই। তাই এতো সামান্য ব্যাপার গুলো জানিনা নয়ত ভ্রান্তি ছড়াই। আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন আমাদের সেভাবেই একজনকে রেফারেন্স সহ বিভিন্ন উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে বলা উচিৎ। "বডি স্প্রে ব্যাবহার করলে নামাজ হবে না। " এমন সস্তা আর ডিমে তালে উপদেশ দিলে আর "হুজুরে কইছে" টাইপের রেফারেন্স দিলে শুধু ভ্রান্তিই বাড়বে।

ধন্যবাদ এত কষ্টকর একটা পোস্টের জন্য।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বিষয়। তবে আতরের ব্যবহার বা বডি স্প্রের ব্যবহার রেডারেন্স সহ দেওয়া দরকার। যাতে মানুষ বুঝতে পারে কোনটা গ্রহণ করে। আর কিভাবে বুঝবে হালাল উপাদান আছে কিনা।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

আমিন রবিন বলেছেন: একটা বিষয় বুঝতে পারছিনা।
বডি স্প্রে বা সেন্টে যদি স্পিরিট থাকেও, সেটাতো আমরা খেয়ে ফেলছিনা; কিংবা আমাদের ত্বকও তো সেগুলোকে শুষে নিচ্ছেনা। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পার্ফিউম আর ইলেকট্রিক ব্যাট নিয়ে আমার কিছু সন্দেহ ছিল। কিছুটা দুর হলো, তবে সম্পূর্ণ না। অনেক বিষয় নিয়েই আমাদের চার ইমাম ভিন্নমত দিয়েছেন। তবে, আমাদের জন্য সব মতকেই সন্মান জানাতে বলা হয়েছে। যেমন, চিংড়ি খাওয়ার ব্যাপারটা।

এ্যলকোহল পান করাকে হারাম করা হয়েছে। ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আরেকটু পরিস্কার আর কনক্রীট কিছু বলা যায় না? এমনকি মদও যদি রান্নায় ব্যবহৃত হয়, আর সেটার মৌলিকত্ব নষ্ট হয় (যেমন, তাপে) তাহলে খাওয়ার কথা কোথাও কোথাও বলা হয়েছে।

তেমনিভাবে, মশাকে হাত দিয়ে পিষেই যদি মারা যায়, তাহলে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মারলে তার উপর অবিচারের কি আসলেই কোন রকমফের হলো? বিষয়টা পরিস্কার না।

তবে, এ'ধরনের পোষ্ট জরুরী। অন্ততঃ আলোচনার রাস্তা খুলে যায়। :)

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৮

নতুন বলেছেন: এই রকমের ভুল ব্যাক্ষাতেই ধর্মের কর্ম সারা হয়ে গেছে।

ধর্মে যেহেতু পরিস্কার করে বলা নাই তাই এই রকমের জিনিসের সৃস্টি হয়।

এই পৃথিবি, মানুষের জীবন অনেক বড় বিষয় একটা বইয়ে সব গাইড লাইন দেওয়া সম্ভব কি?

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ কিছু বিষয় পরিষ্কার হল।

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৬

শায়মা বলেছেন: ইলেক্টরিক ব্যাট ম্যাট জানিনা কদিন আগে মশাশূন্য ঢাকা দেখে আমি ভাবছিলাম আমাদের মেয়রকে এওয়ার্ড দেওয়া উচিৎ।
গত বছর ও আরও কয়েক বছর মশা আর ডেঙ্গুতে মানুষ নিঃশ্বেষ হয়ে যাচ্ছিলো। এ বছর করোনার সাথে সেই ডেঙ্গু মরার উপর খাড়ার ঘা হতে পারতো। কিন্তু মশাদের বংশ করে দিলো ধ্বংস......


মশার ঔষধ মনে হয় আর নকল দেওয়া হয়নি তাই এই মশাশূন্য নগরী।

এখন এই ঔষধ খাইয়ে মশা নিধন এটার সম্পর্কে কি বলবে ভাইয়া?


শুধু হাত দিয়ে বসে বসে মশা মারলে মশারাই সবাইকে ডেঙ্গু দিয়ে মেরে ফেলত তাইনা ?

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

মেটালক্সাইড বলেছেন: আল-হারামাইন প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী বাংগালী। যেনতেন বাংগালী নয়।
ভেজাল, বাটপারি, প্রোডাক্টের মান ডিভ্যালুছ কোন নম্বরি করে না।
মরুর দেশে এদের বিশাল বিশাল কারখানাগুলোর চারপাশে বড় বড় গাছের প্লান্ট করেছে।
বাহির থেকে মনে হয় জংগলের ভেতর কারখানা। আর এই গাছগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্যময়
সুগন্ধি ছড়ায় প্রায় সারাদিন।
বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পারফিউম মাঝে মাঝে ফেল মেরে যায় হারামাইনের সুগন্ধি আতরগুলোত কাছে।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার এই আগ্রহ দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।

আপনিও ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৩

রাশিয়া বলেছেন: রাজীব নুরের জান্নাতে যেতে ঘেন্না লাগে হুরপরীদের জন্য। উনাকে জান্নাতে দিয়ে তো ফেরেশতারা বিপদে পড়ে যাবে। এমন কোন জান্নাতের ব্যবস্থা কি উনার জন্য করা যায়, সেখানে হুরপরী নেই?

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব মূল্যবান পোস্ট। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল তথ্য জানলাম।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল তথ্য জানলাম।

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: ব্যাটে হাই ভোল্টেজে বিদ্যুতায়িত হয়ে মশা মারা যায়। যেহেতু কোনো কিছুর মধ্যে দিয়ে কারেন্ট পাস করলে সেটা গরম হয়, মশার শরিরও গরম হয়। মশার ভর খুম কম বলে অল্প গরমেই আগুন ধরে যায়। মৃত্যু এখানে তাৎক্ষনিক, আগে ইলেক্ট্রোকিউট হয়ে মরার পরে আগুন ধরে না আগুন ধরার পর মারা পড়ে বলা মুশকিল। সেই হিসেবে মশার কয়েল, ডিডিটি বা অ্যারোসোল স্প্রেতে বরং মৃত্যু তাৎক্ষনিক না, ফলে যন্ত্রনা বেশি হবার কথা।
বিকল্প যেগুলো আছে এর অধিকাংশই মানুষের জন্য এবং পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর। জেনেটিকালি মডিফাই করে মশাকে ইনফার্টাইল করা হয়তো সম্ভব, তবে ব্যক্তি পর্যায়ে এটা করা যায় না।
মশার সাথে সহাবস্থানও সম্ভব না। প্রতি বছর ম্যালেরিয়ার কারনে কয়েক লাখ লোক মারা যায়। ডেঙ্গুতে কয়েক হাজার। চিকুনগুনিয়াতে মারা যাবার ঘটনা না ঘটলেও পেশেন্ট বিরাট শারীরিক যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে যায় যা কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে।
ডিডিটি মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়া সত্ত্বেও শুধু ম্যালেরিয়া জনিত মৃত্যু রোধ করা যাচ্ছে না বলে WHO এটা ব্যান করতে পারছে না।

আমার জানা মতে ওলামারা বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ব্যাটের ব্যবহার বৈধ বলেছেন।

রাশাতে গম দিয়ে ভদকা নামের মদ তৈরি করা হয়। এটাতে যেহেতু আঙুর বা খেজুর ব্যবহার করা হয় না, এটা অল্প মাত্রায় খাওয়া (যেন নেশা না হয়) কি বৈধ হবে?
(শুধু রাশা না, পৃথিবীর অনেক দেশেই আঙুর-খেজুর ছাড়া মদ জাতীয় দ্রব্য তৈরী করা হয়। বাংলাদেশে তাড়ি, আখের রসের মদ, ধান থেকে ধেনো , এছাড়া অনেক দেশে আলু দিয়েও নেশা জাতীয় পানিয় তৈরি হয়। যে কোনো খাবারে স্টার্চ বা চিনি থাকলেও তা ফারমেন্ট করে ইথানল বানানো যায়।)

সারকথা, ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতানুযায়ী বাজারে প্রচলিত অ্যালকোহল যদি খেজুর ও আঙ্গুর থেকে প্রস্তুত না হয়, তবে তা বৈধ কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার বৈধ। নেশার উদ্রেক হয় না, এ পরিমাণ ব্যবহার করা যাবে।

আমার হিসেবে এই ধরনের ফতোয়া অত্যন্ত বিপদ জনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.