নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান সর্বোত্তম এবং শ্রেষ্ঠতম আমল

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

ছবিঃ অন্তর্জাল।

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান সর্বোত্তম এবং শ্রেষ্ঠতম আমল

যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি মানুষ তথা আমাদেরকে আশরাফুল মাখলূকাত বা সৃষ্টির সেরা করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তিনি মানবজাতিকে একে অপরের কল্যাণ সাধনের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষের কল্যাণ সংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম হচ্ছে দুঃস্থ, দরিদ্র, পীড়িত, অসহায় এবং ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দান করা। ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্যদানের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ ব্যাপারে অত্যাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দুঃস্থ, দরিদ্র, পীড়িত, অসহায় এবং ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্যদানকারীগণ রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যকারী বলে গণ্য হবেন। কেননা, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সারা জীবনের বরকতপূর্ণ অভ্যাস এবং আলোকিত স্বভাব ছিল - তিনি নিজে ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করতেন। গরীব, অসহায় এবং ক্ষুধার্ত ব্যক্তিদের তিনি অকাতরে দান করতেন, খাওয়াতেন। ক্ষুধার্তকে খাওয়ানোর সময়, কাউকে দান করার সময় নিজের জন্য কিংবা ঘরের অন্য সদস্যদের জন্য খাবার থাকবে কি না - এ চিন্তা কখনো তিনি করতেন না। তিনি এই কাজটি নিজে করার পাশাপাশি এ বিষয়ে বিশ্ব মানবতাকে উৎসাহিত করতে বিশেষভাবে নির্দেশনাও প্রদান করেছেন। পবিত্র কুরআনেও এ ব্যাপারে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। যেমন- পবিত্র কুরআনুল হাকিমে আল্লাহ তাআ'লার ইরশাদ বর্ণিত হয়েছে-

إِن تُبْدُوا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ ۖ وَإِن تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۚ وَيُكَفِّرُ عَنكُم مِّن سَيِّئَاتِكُمْ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান করো তবে তাও উত্তম, আর যদি তোমরা তা গোপনে কর এবং তা অভাবগ্রস্তদেরকে দান কর, তবে তা তোমাদের জন্য আরো উত্তম, অধিকন্তু তিনি তোমাদের কিছু গুনাহ মোচন করে দেবেন, বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা করছ, আল্লাহ তার খবর রাখেন। -সূরা বাকারাহ : আয়াত ২৭১

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম আমলঃ

এক হাদিসে বলা হয়েছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ ‏ "‏ تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ‏"‏‏.

হজরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামের কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেন, তুমি ক্ষুধার্তকে খাদ্য খাওয়াবে ও চেনা অচেনা সকলকে সালাম দিবে। -সহিহ বুখারী, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং ১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রণিত

অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, মানুষের কল্যাণসংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম হচ্ছে দরিদ্র ও ক্ষুধার্তকে খাবার দান করা। -বুখারি, হাদিস : ১২

ইবাদত দুই ভাগে বিভক্ত। এক. মহান আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত ইবাদত। যেমন- নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ ইত্যাদি। দুই. বান্দার সঙ্গে সম্পৃক্ত ইবাদত। যেমন- মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করা, বিপদে এগিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার দেওয়া। ক্ষুধার্তকে আহার করিয়ে পরিতৃপ্ত করা মহান আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় আমল।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেন, ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ? মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো।’ -বুখারি, হাদিস : ১২; মুসলিম হাদিস : ৩৯

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের কারণঃ

মহান আল্লাহ বলেন,

ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻧُﻄْﻌِﻤُﻜُﻢْ ﻟِﻮَﺟْﻪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻻَ ﻧُﺮِﻳْﺪُ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﺟَﺰَﺍﺀً ﻭَﻻَ ﺷُﻜُﻮْﺭًﺍ –

‘তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি, তোমাদের নিকট এর কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও কামনা করি না’। -সূরা আদ দাহর ৭৬/৯

রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,

ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤُﻮﻥَ ﻳَﺮْﺣَﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ ﺍﺭْﺣَﻤُﻮﺍ ﻣَﻦْ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻳَﺮْﺣَﻤْﻜُﻢْ ﻣَﻦْ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ –

‘দয়াশীলদের উপরে দয়াময় আল্লাহ দয়া করে থাকেন। তোমরা যমীনবাসীদের উপরে দয়া কর, আসমানবাসী (আল্লাহ) তোমাদের উপরে দয়া করবেন’। -তিরমিজি, হাদিস : ১৯২৪; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৪১

অপর হাদীছে এসেছে,

ﻻَ ﻳَﺮْﺣَﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣَﻦْ ﻻَ ﻳَﺮْﺣَﻢُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ

‘যে ব্যক্তি অনুগ্রহ করে না, তার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হয় না। -বুখারি, হাদিস : ৭৩৭৬; মুসলিম, হাদিস : ২৩১৯

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻰ ﺣَﺎﺟَﺔِ ﺃَﺧِﻴﻪِ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓِﻰْ ﺣَﺎﺟَﺘِﻪِ، ﻭَﻣَﻦْ ﻓَﺮَّﺝَ ﻋَﻦْ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻓَﺮَّﺝَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻣِﻦْ ﻛُﺮُﺑَﺎﺕِ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ، ﻭَﻣَﻦْ ﺳَﺘَﺮَ ﻣُﺴْﻠِﻤًﺎ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ

‘আর যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকবে, আল্লাহ তার সাহায্যে থাকবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিনের বিপদ সমূহের একটি বড় বিপদ দূর করে দিবেন’। -বুখারি, হাদিস : ২৪৪২; মুসলিম, হাদিস : ২৫৮০

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদানে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় হয়ঃ

আমরা সর্বদা মহান আল্লাহর অফুরন্ত নে‘মতের মাঝে ডুবে আছি। শুধু আমাদের শরীরের দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই কত সুঠাম ও সুশ্রী করে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। কথা বলার জন্য দিয়েছেন বাকশক্তি, তার নে‘মতরাজি অবলোকন করার জন্য দিয়েছেন অমূল্য দৃষ্টি শক্তি। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে আমরা তার দেওয়া এই সমস্ত নে‘মতের শুকরিয়া আদায় করতে পারি এবং তার দেখানো পথে চলতে পারি। মহান আল্লাহ বলেন,

ﺃَﻟَﻢْ ﻧَﺠْﻌَﻞْ ﻟَﻪُ ﻋَﻴْﻨَﻴْﻦِ، ﻭَﻟِﺴَﺎﻧًﺎ ﻭَﺷَﻔَﺘَﻴْﻦِ، ﻭَﻫَﺪَﻳْﻨَﺎﻩُ ﺍﻟﻨَّﺠْﺪَﻳْﻦِ، ﻓَﻼَ ﺍﻗْﺘَﺤَﻢَ ﺍﻟْﻌَﻘَﺒَﺔَ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺩْﺭَﺍﻙَ ﻣَﺎ ﺍﻟْﻌَﻘَﺒَﺔُ، ﻓَﻚُّ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ، ﺃَﻭْ ﺇِﻃْﻌَﺎﻡٌ ﻓِﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﺫِﻱ ﻣَﺴْﻐَﺒَﺔٍ، ﻳَﺘِﻴﻤًﺎ ﺫَﺍ ﻣَﻘْﺮَﺑَﺔٍ، ﺃَﻭْ ﻣِﺴْﻜِﻴﻨًﺎ ﺫَﺍ ﻣَﺘْﺮَﺑَﺔٍ ،

‘আমরা কি দেইনি তাকে দু’টি চোখ? এবং জিহবা ও দু’টি ঠোঁট? আর আমরা তাকে দেখিয়েছি দু’টি পথ। কিন্তু সে তো গিরিসংকটে প্রবেশ করেনি। তুমি কি জানো গিরিসংকট কি? তা হ’ল দাসমুক্তি। অথবা ক্ষুধার দিনে অন্নদান করা ইয়াতীম নিকটাত্মীয়কে। অথবা ভূলুণ্ঠিত অভাবগ্রস্তকে’। -সূরা আল বালাদ ৯০/৮-১৬

উপরোক্ত আয়াতগুলিতে মহান আল্লাহ প্রথমে তাঁর দেওয়া কিছু অমূল্য নে‘মতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। চক্ষু-কর্ণ, জিহবা ইত্যাদি যা ছাড়া মানুষের স্বাভাবিক অবয়ব কল্পনা করা যায় না। অতঃপর তিনি দু’টি পথের কথা বলেছেন, একটি ভাল, অপরটি মন্দ। মানুষকে তিনি চক্ষু-কর্ণ দেওয়ার মাধ্যমে কোনটি ভাল কোনটি মন্দ পথ তারও সম্যক জ্ঞান দিয়েছেন। অতঃপর বলেছেন, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে না হয় অকৃতজ্ঞ। অর্থাৎ তাঁর দেখানো পথে না চললে অকৃতজ্ঞ হবে আর তাঁর পথে চললে কৃতজ্ঞ হবে। তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার পথটিও তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তাহ’ল সৎকাজ, দাস মুক্তি ও ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান। এ কাজের মধ্য দিয়েই আমরা তাঁর পথের অনুসারী হয়ে কৃতজ্ঞ বান্দায় পরিণত হ’তে পারি। এতে করে দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদের সম্মান ও সম্পদ আরো বৃদ্ধি পাবে। মহান আল্লাহ বলেন, ﻟَﺌِﻦْ ﺷَﻜَﺮْﺗُﻢْ ﻟَﺄَﺯِﻳﺪَﻧَّﻜُﻢْ ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তাহ’লে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে বেশী বেশী করে দিব।’ -সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ০৭

রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যঃ

গরিব, অসহায় ও ক্ষুধার্তকে খাবারদানকারী রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে অনুগত্যকারী বলে গণ্য হবেন। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্ষুধার্তকে খাবার দান করতে কঠোর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,

ﺭُﺩُّﻭﺍ ﺍﻟﺴَّﺎﺋِﻞَ ﻭَﻟَﻮْ ﺑِﻈِﻠْﻒٍ ﻣُﺤْﺘَﺮِﻕٍ

‘তোমরা ভিক্ষুক অর্থাৎ, ক্ষুধার্তকে কিছু না কিছু দাও, আগুনে পোড়া একটা খুর হলেও।’ -আহমাদ, হাদিস : ১৬৬৯৯; নাসাঈ, হাদিস : ২৫৬৫

তিনি আরও বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন নয়, যে নিজে পেট পুরে আহার করে। কিন্তু তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।’ -বায়হাকি, হাদিস : ৩৩৮৯

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধার্তকে খাবার দান করো। তাহলে শান্তির সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ -তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৪

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান বিশেষ সাহায্য লাভের কারণঃ

ক্ষুধার্তকে খাবার দান করে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য লাভ করা যায়। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গরিবের চলার পথ সহজ করে দেয়, দুনিয়া-আখিরাতে মহান আল্লাহ তার চলার পথ সহজ করে দেবেন।’ -আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৯৪; তিরমিজি, হাদিস : ১৭০২

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদানকারী অবিরাম নামাজ-রোজা পালনকারীর মতোঃ

আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিসকিনদের জন্য চেষ্টা-সাধনাকারীদের সম্বন্ধে এ কথাও বলেছেন যে, ওই ব্যক্তি একাধারে নামাজ ও রোজা পালনকারীর মতো।’ -বুখারি, হাদিস : ৬০০৭; মুসলিম, হাদিস : ২৯৮২

জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামত লাভঃ

মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসার খাতিরে ক্ষুধার্ত এতিম, মিসকিন ও কয়েদিদের খাবার দান করে। যার কারণে মহান আল্লাহ তাদের কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা করবেন। শুধু তাই নয়; বরং তাদের দান করবেন আনন্দ ও সজীবতা। তাদের ধৈর্যশীলতার জন্য দেবেন জান্নাতের রেশমি পোশাক। জান্নাতে তারা উচ্চ আসনে হেলান দিয়ে বসবে।’ -সুরা দাহার, আয়াত : ৮-২২

ইসলামে অপরকে খাদ্যদানের প্রসঙ্গ আলোচনা করলে মেহমানদারির বিষয়টি এসে যায়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর এবং আখিরাতের দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।’ -বুখারি, হাদিস নং- ৬০১৮

মেহমানকে দু'ভাবে সম্মানিত করতে হবেঃ

মেহমানকে দু'ভাবে সম্মানিত করতে হবে। সুন্দর রুচিশীল খাবার মেহমানের সামনে উপস্থাপন করার মাধ্যমে এবং মেহমানের সঙ্গে সুন্দর আচার-আচরণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে। এই দুটির যেকোনো একটি অভাব হলে মেহমানদারির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মেজবানের উচিত, মেহমানের হক্ব আদায় করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা। মেজবানের ওপর মেহমানের হক্ব সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর এবং শেষ দিনের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে তার প্রাপ্যের বিষয়ে। জিজ্ঞেস করা হলো, মেহমানের প্রাপ্য কী, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, ‘(মেহমানের প্রাপ্য হচ্ছে) একদিন একরাত ভালোভাবে মেহমানদারি করা আর তিন দিন হলে (সাধারণ) মেহমানদারি করা, আর তার চেয়েও অধিক হলে মেহমানের প্রতি দয়া করা।’ -বুখারি, হাদিস নং- ৬০১৯

অন্যকে অন্নদানে কেমন অগ্রগামী ছিলেন সোনালি যুগের সোনার মানুষেরাঃ

সোনালি যুগের সোনার মানুষ সাহাবায়ে কেরাম কীভাবে মেহমানদের সমাদর করতেন এবং কীভাবে মেহমানের হক আদায় করতেন, সে ব্যাপারে একটি চমৎকার ঘটনা হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হইতে বর্ণিত আছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক লোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আসল। অতঃপর রাসুল (সা.) তাঁর স্ত্রীদের কাছে (খাদ্যের জন্য) একজন লোক পাঠালেন। তাঁরা জানালেন, আমাদের কাছে পানি ছাড়া কিছুই নেই। তখন রাসুল (সা.) বললেন, কে আছো যে এই ব্যক্তিকে মেহমান হিসেবে নিয়ে নিজের সাথে খাওয়াতে পার? তখন এক আনসারী সাহাবি [আবু ত্বলহা (রা.)] বললেন, ‘আমি আছি ইয়া রাসুলুল্লাহ’! এ বলে তিনি মেহমানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে গেলেন এবং স্ত্রীকে বললেন, নবীজির মেহমানকে যথাযথ সম্মান কর। স্ত্রী বললেন, বাচ্চাদের খাবার ছাড়া আমাদের ঘরে অন্য কিছুই নেই। আনসারী সাহাবি বললেন, তুমি আহার প্রস্তুত কর এবং বাতি জ্বালাও এবং বা’চারা খাবার চাইলে তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দাও। সে বাতি জ্বালালো, বাচ্চাদের ঘুম পাড়ালো এবং সামান্য খাবার যা তৈরী ছিল তা মেহমানের সামনে উপস্থিত করল। বাতি ঠিক করার বাহানা করে স্ত্রী উঠে গিয়ে বাতিটি নিভিয়ে দিলেন। তারপর তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই অন্ধকারের মধ্যে আহার করার মতো শব্দ করতে লাগলেন এবং মেহমানকে বোঝাতে লাগলেন যে, তারাও সঙ্গে খাচ্ছেন। (মেহমানকে সন্তুষ্ট রাখতে) তাঁরা উভয়েই সারা রাত অভুক্ত অবস্থায় কাটালেন। ভোরে যখন তিনি রাসুল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলেন, তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ্ তোমাদের গতরাতের কাণ্ড দেখে খুশি হয়েছেন এবং এই আয়াত নাজিল করেছেন।’ ‘তারা অভাবগ্রস্ত সত্ত্বেও নিজেদের ওপর অন্যদের অগ্রগণ্য করে থাকে। আর যাদের অন্তরের কৃপণতা হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলপ্রাপ্ত।’ -বুখারি, হাদিস নং- ৩৭৯৮

মেহমানের জন্য কয়েকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো;

মেহমান যেন খাদ্যের অযাচিত ভুল-ত্রুটি ধরার পিছনে না পড়ে মেজবানের প্রশংসায় সর্বদায় পঞ্চমুখ থাকে। মেজবানের সাধ্যের অতিরিক্ত কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করে। সর্বশেষ মেহমানের উচিত মেজবানকে শুনিয়ে শুনিয়ে যেন মন খুলে এই বলে দোয়া বলে,

‘হে আল্লাহ! যে আমার খাবারের ব্যবস্থা করল আপনি তার খাদ্যের ব্যবস্থা করুন। আর যে আমাকে পান করালো আপনিও তাকে পান করান।’ -মুসলিম, হাদিস নং- ৫২৫৭

ক্ষুধার্তকে খাদ্যদানের সামাজিক গুরুত্বঃ

(১) মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা পূরণঃ খাদ্য মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা। এই অন্নের তাড়নায়ই বহু দরিদ্র ব্যক্তি নানাবিধ সামাজিক অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যেমন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি। এসবের মূলে রয়েছে অভাব। তাই ক্ষুধার্ত দরিদ্রদেরকে খাদ্য দানের মাধ্যমে সমাজে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে, যার ফলে কমে যাবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। বিরাজ করবে স্থিতিশীলতা।

(২) পারস্পারিক সম্পর্ক সুদৃঢ়ঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে সমাজে বসবাসরত উচ্চ শ্রেণী দরিদ্র শ্রেণীর সাহচর্যে আসে, তাদের পাশে দাঁড়ায়। ফলে উভয় শ্রেণীর মধ্যে ব্যবধান কমে যায় এতে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। একের প্রতি অন্যের শ্রদ্ধা-ভালবাসা, আন্তরিকতা ইত্যাদি বৃদ্ধিপায়।

(৩) বৈষম্যহ্রাসঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে একজনের কষ্টে আরেক জনের এগিয়ে আসা হয়। ফলে সমাজে শান্তি স্থিতিশীলতা বিরাজ করে এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ও সম্প্রীতির সমাজ গড়ে উঠে। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে ধনীরা দরিদ্রদের কাছে আসে ফলে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য অনেকাংশে কমে যায় এবং ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরাও খাবার পেয়ে পরিতৃপ্তি লাভ করে।

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানোর শাস্তিঃ

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানো ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন নয় এবং দুনিয়া-আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন হবে।

(১) ক্বিয়ামতকে অস্বীকারকারীঃ ঐ ব্যক্তি ক্বিয়ামতকে অস্বীকারকারী যে ব্যক্তি ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করে না এবং খাদ্য দান করতে উৎসাহিত করে না। কেননা মহান আল্লাহ বলেন,

ﺃَﺭَﺃَﻳْﺖَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻜَﺬِّﺏُ ﺑِﺎﻟﺪِّﻳﻦِ، ﻓَﺬَﻟِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺪُﻉُّ ﺍﻟْﻴَﺘِﻴﻢَ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺤُﺾُّ ﻋَﻠَﻰ ﻃَﻌَﺎﻡِ ﺍﻟْﻤِﺴْﻜِﻴْﻦِ –

‘আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচার দিবসে মিথ্যারোপ করে? সে হ’ল ঐ ব্যক্তি, যে ইয়াতীমকে গলা ধাক্কা দেয় এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহিত করে না’। -সূরা আল মাঊন ১০৭/১-৩

মুমিন কখনো ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান না করে থাকতে পারে না। আর যে এটা করে সে প্রকৃত মুমিন নয়। তাইতো রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্পষ্টভাবে বলেছেন, ঐ ব্যক্তি অবশ্যই মুমিন নয় যে নিজে পেট ভর্তি করে খায় আর তার গরীব প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে’।

(২) দুনিয়াতেই ভয়াবহ আযাবের সম্মুখীন : ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করে না এমন ব্যক্তি দুনিয়াতেই আল্লাহর পক্ষে থেকে শাস্তি বা গযবের সম্মুখীন হবে। মহান আল্লাহ বলেন,

وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ كَلَّا ۖ بَل لَّا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ

‘আর তার রূযী সংকুচিত করেন, তখন সে বলে যে, আমার প্রভু আমাকে হেয় করেছেন। কখনোই এরূপ নয়। বরং তোমরা ইয়াতীমকে সম্মান কর না। এবং অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না’। -সূরা আল ফাজর ৮৯/১৬-১৮

অতএব ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান না করলে এবং তাদেরকে খাওয়ানোর জন্য মানুষকে উৎসাহিত না করলে মহান আল্লাহ যে দুনিয়াতে আমাদের নে‘মত কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দিবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। অতীতেও তিনি এমন ব্যক্তিদের দুনিয়াতেই শাস্তি দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন,

إِنَّا بَلَوْنَاهُمْ كَمَا بَلَوْنَا أَصْحَابَ الْجَنَّةِ إِذْ أَقْسَمُوا لَيَصْرِمُنَّهَا مُصْبِحِينَ وَلَا يَسْتَثْنُونَ فَطَافَ عَلَيْهَا طَائِفٌ مِّن رَّبِّكَ وَهُمْ نَائِمُونَ فَأَصْبَحَتْ كَالصَّرِيمِ فَتَنَادَوْا مُصْبِحِينَ أَنِ اغْدُوا عَلَىٰ حَرْثِكُمْ إِن كُنتُمْ صَارِمِينَ فَانطَلَقُوا وَهُمْ يَتَخَافَتُونَ أَن لَّا يَدْخُلَنَّهَا الْيَوْمَ عَلَيْكُم مِّسْكِينٌ وَغَدَوْا عَلَىٰ حَرْدٍ قَادِرِينَ فَلَمَّا رَأَوْهَا قَالُوا إِنَّا لَضَالُّونَ بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ قَالَ أَوْسَطُهُمْ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ لَوْلَا تُسَبِّحُونَ قَالُوا سُبْحَانَ رَبِّنَا إِنَّا كُنَّا ظَالِمِينَ فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَلَاوَمُونَ قَالُوا يَا وَيْلَنَا إِنَّا كُنَّا طَاغِينَ

‘কয়েকজনের একটি বাগান ছিল। যখন বাগানের ফলগুলি পাড়ার উপযুক্ত হয়েছিল। তারা রাতের বেলা বলল, আমরা অবশ্যই সকালে ফলগুলি সংগ্রহ করব, তারা ইনশাআল্লাহ বলল না এবং তারা সিদ্ধান্ত নিল বাগানে কোন ক্ষুধার্তকে ঢুকতে দিবে না এবং খাদ্য দান করবে না। সারা রাত তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল রইল। সেই রাতেই আল্লাহর গযবে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেল। পরদিন যখন তারা বাগানে পৌঁছল, তারা বলল, আমরা পথ ভুল করিনি তো? কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা বুঝতে পারল। তারা মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করল এবং বাগানের মালিকেরা বাগানটি ধ্বংসের জন্য একে অপরকে দোষারপ করতে লাগল। কেননা তারা ক্ষুধার্তকে খাবার না দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় ছিল। -সূরা আল ক্বালাম ৬৮/১৭-৩১

(৩) পরকালে আযাবের ফেরেশতার সম্মুখীনঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করে না এমন ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করবে। জাহান্নামের পাহারাদার আযাবের ফেরেশতার কঠিন প্রশ্নের ও সম্মুখীন হবে ঐ ব্যক্তি। মহান আল্লাহ বলেন,

مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ

‘তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে কোন অপরাধে তোমরা সাকারে (জাহান্নাম) এসেছ। জাহান্নামীরা বলবে, আমরা তো মুছল্লী ছিলাম না। আর আমরা ক্ষুধার্তকে খাওয়াতাম না’। সূরা আল মুদ্দাছছির ৭৪/৪২-৪৪

(৪) জাহান্নামে সরাসরি প্রবেশঃ: মহান আল্লাহর উপর ঈমানহীন, অভাবী, নিঃস্ব-ক্ষুধার্তদেরকে খাদ্য দান করতে উৎসাহ দেয় না এমন ব্যক্তি অপমানিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে। মহান আল্লাহ বলেন,

خُذُوهُ فَغُلُّوهُ ثُمَّ الْجَحِيمَ صَلُّوهُ ثُمَّ فِي سِلْسِلَةٍ ذَرْعُهَا سَبْعُونَ ذِرَاعًا فَاسْلُكُوهُ إِنَّهُ كَانَ لَا يُؤْمِنُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ

‘ঐ ব্যক্তিকে ধর এবং গলায় রশি লাগিয়ে দাও অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে, সে তো ঈমান আনেনি মহান আল্লাহর উপরে আর সে অভাবী-ক্ষুধার্তদেরকে খাবার খাওয়ানোর ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করেনি’। -সূরা আল হাক্কাহ ৩০-৩৪

মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার তাওফীক দান করুন এবং এর দ্বারা দুনিয়া-আখেরাতে তার শাস্তি হ’তে বাঁচার এবং জান্নাত লাভ করার তাওফীক দিন-আমীন!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এত ভালো পোষ্ট অথচ কেউ পড়ে না!!!

০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পড়েছেন অনেকেই। কিন্তু মন্তব্য করার সুযোগ হয়তো হয়ে ওঠে না।

আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন পোস্টে চোখ বুলিয়ে যাওয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.