নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধী বনূ কুরাইজার বিচার নিয়ে অনৈতিক আপত্তি এবং আমাদের কিছু কথা

০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

ছবিঃ অন্তর্জাল।

যুদ্ধাপরাধী বনূ কুরাইজার বিচার নিয়ে অনৈতিক আপত্তি এবং আমাদের কিছু কথা

যুদ্ধাপরাধী বনু কুরাইজার বিচার প্রসঙ্গটি কিছু লোকের কাছে হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চরিত্র এবং ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার মোক্ষম একটি অস্ত্র বটে!

তাদের প্রশ্ন, অভিযোগ এবং আপত্তি- বনু কুরাইজার সাতশ কিংবা নয়শ পুরুষকে জবাই করা হয়েছে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশে। এটা কি মহান একজন নবীর কাজ হতে পারে?

বস্তুতঃ বিষয়টিকে যেভাবে তারা উপস্থাপন করে থাকেন, তাদের এ উপস্থাপন পদ্ধতিটিই সঠিক নয়। তাদের উপস্থাপন পদ্ধতি দেখেই বুঝা যায় যে, তারা বিষয়টিকে ভিন্ন উদ্দেশ্যে খুবই অন্যায়মূলক ও গর্হিতভাবে তুলে ধরে থাকেন। তারা তাদের প্রশ্নটি তুলেই থাকেন আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে। যুদ্ধাপরাধী এবং বিশ্বাসঘাতক ও চুক্তির শর্ত ভঙ্গকারী একটি সম্প্রদায়ের বিচারকে 'হত্যাকান্ড' বলে আখ্যায়িত করা নিঃসন্দেহে স্বাভাবিক এবং সুস্থ মস্তিষ্কের বিষয় বলা যায় না।

এবার আসুন, উক্ত শ্রেণির অভিযোগকারীগণের মুখস্ত কথার বিপরীতে ইতিহাসের আলোকে বনু কুরাইজার অভিযানের বিষয়টি একটু বুঝার চেষ্টা করি-

বনু কুরাইজার পরিচয় এবং তাদের সাথে মুসলিমদের সন্ধি চুক্তিঃ

বনু কুরাইজা মদীনায় অবস্থানকারী এমন একটি গোত্র যাদের সাথে রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শান্তি চুক্তি ছিল। সেই চুক্তির শর্তানুযায়ী বনু কুরাইজা এবং মুসলিমগণ পরষ্পর কেউ কারো প্রতি আক্রমণ করবে না। চুক্তির শর্তে এ-ও ছিল যে, বর্হিশত্রু আক্রমণ করলে পরস্পর একে অপরকে বিপদের মুহূর্তে সহযোগিতা করবে। -দেখুন, সীরাতে ইবনে হিশাম- খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫০৩-৫০৪

বনু কুরাইজা সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে মুসলিমদের প্রতিপক্ষের সাথে হাত মেলায়ঃ

কিন্তু খন্দক যুদ্ধের সময় যখন কুরাইশরা দশ হাজার বাহিনী নিয়ে মদীনা ঘেরাও করে তখন মুসলিম শিবিরে সেনা সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র তিন হাজার। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আক্রমনকারী অবরোধকারী কুরাইশ সেনাদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করা ছাড়া মুসলিমদের সামনে বিকল্প কোনো পথ অবশিষ্ট ছিল না।

অসম এক সমরে অবতীর্ণ দুই পক্ষ। এ সময় মিত্রশক্তির সহযোগিতাপ্রাপ্তি মুসলিমদের জন্য ছিল একান্তই কাঙ্খিত। হামলাকারীদের হাত থেকে মদিনাবাসীর জান মাল রক্ষার প্রয়োজনেই এই সহযোগিতা মুসলিমদের কাম্য ছিল। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, মুসলিমদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ মিত্র বনু কুরাইজা সহযোগিতা করবে তো দূরে থাক, বরং সেই নিতান্ত সঙ্গীন সময়ে মুসলিমদের শত্রু মদিনার উপরে হামলে পড়া কুরাইশদের সাথে হাত মেলায়।

বনু কুরাইজার সাথে যে সন্ধি চুক্তি ছিল, তা তারা ভঙ্গ করে মক্কার মুশরিকদের সাথে মিলে যায়। সেই সাথে রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালাগাল করে।

যখন বনী নজীরের সর্দার হুআই বিন আখতাব বনু কুরাইজার সর্দার কাব বিন আসাদ কুরাজীকে তার দলে টানতে আসে, তখন প্রথমতঃ সে দৃঢ়তার সাথেই বলেছিলঃ

وَيْحكَ يَا حُيَيُّ: إنَّكَ امْرُؤٌ مَشْئُومٌ، وَإِنِّي قَدْ عَاهَدْتُ مُحَمَّدًا، فَلَسْتُ بِنَاقِضٍ مَا بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَلَمْ أَرَ مِنْهُ إلَّا وَفَاءً وَصِدْقًا

আফসোস! তোমার জন্য হে হুয়াই! নিশ্চয় তুমি এক নিকৃষ্ট ব্যক্তি। নিশ্চয় আমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে চুক্তিবদ্ধ। সুতরাং, আমার ও তার মাঝে যে চুক্তি রয়েছে তা আমি ভঙ্গ করতে পারবো না। আর আমি তাকে একজন ওয়াদা রক্ষাকারী এবং সত্যনিষ্ট ব্যক্তি হিসেবেই পেয়েছি। -দেখুন, সীরাতে ইবনে হিশাম- খন্ড ২, গাযওয়ায়ে খন্দক অধ্যায়, পৃষ্ঠা ২২০

কিন্তু নিতান্ত দুঃখজনক ব্যাপার হল, বনু কুরাইজার সর্দার কাব বিন আসাদ কুরাজী তার এ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনি। লাভ এবং লোভের বশবর্তী হয়ে শেষমেষ হুয়াইয়ের ফাঁদে পড়ে যায় সে এবং চুক্তি ভঙ্গ করে শত্রুপক্ষের সাথে মিলে যায় তার গোত্রের লোকজনসহ। এমনকি, এক পর্যায়ে নবীজীর প্রতিনিধি যখন তার সাথে সাক্ষাত করে মুসলিমদের সাথে তাদের চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয় তখন সে তাচ্ছিল্যের সাথে বলেঃ

مَنْ رَسُولُ اللَّهِ؟ لَا عَهْدَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ وَلَا عَقْدَ

আল্লাহর নবী কে? মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং আমাদের মাঝে কোন চুক্তি নেই। কোন সন্ধি নেই। -দেখুন, সীরাতে ইবনে হিশাম- খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২২২

এইভাবে শান্তি ও সন্ধিচুক্তি ভঙ্গ করে বনু কুরাইজার নেতা কাব বিন আসাদ মুসলমানদের চরম বিপদের মুহুর্তে মুসলমানদের শত্রুপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে মুসলমানদের জন্য চরম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একদিকে বহিশত্রু মক্কার মুশরিকদের বিরাট বাহিনীর ঘেরাওয়ের কবলে গোটা মদিনা। অপরদিকে ঘরের শত্রু চুক্তি ভঙ্গকারী গাদ্দার বনু কুরাইজা।

বনী কুরাইজার অবরোধঃ

এ গাদ্দারীর কারণেই খন্দক যুদ্ধ শেষে বনী কুরাইজাকে শায়েস্তা করতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহিনী নিয়ে বনু কুরাইজা অভিমুখে যাত্রা করেন। বনু কুরাইজার অধিবাসীরা তাদের দুর্গ বন্ধ করে বসে থাকে। ২৫ দিন পর্যন্ত তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। অবশেষে তাদের বন্দি করা হয়। বনু কুরাইজার দীর্ঘকালীন এ অভিযানে একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলাকে হত্যা করা হয়নি। তার নাম ছিল বুনানা এবং হাকাম কুরাজির স্ত্রী ছিল। উক্ত মহিলা ছাদের উপর থেকে যাঁতার একটি অংশ সাহাবী খাল্লাদ বিন সুআইদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর উপরে ফেলে দেন এবং এতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। -দেখুন, উয়ুনুল আছার- খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৭, সীরাতুল মুস্তাফা ২য় খন্ড, আল্লামাহ ইদরীস কান্ধলভী, পৃষ্ঠা ২৮৩

বনু কুরাইজার বিচার ও শাস্তিপ্রদানকৃত অপরাধীদের সংখ্যাঃ

অনেক মায়াকান্নার ধ্বজাধারীদের চুক্তি ভঙ্গকারী চরম গাদ্দারির পরেও যুদ্ধাপরাধী এই বনু কুরাইজাকে শাস্তি প্রদানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাউমাউ করে পরিবেশ ঘোলাটে করতে চান। তারা প্রকৃত সংখ্যাকে আড়াল করে ফুলিয়ে ফাপিয়ে এবং বাড়িয়ে হাজার বা কিছু কম বেশি লোককে হত্যার কথা বলে মানুষের দয়ার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চান। আসলে বনু কুরাইজার যেসব অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছিল তাদের এই সংখ্যাটা হাজার খানেক বা তার কাছাকাছি ছিল না; বরং, তিরমিজী, নাসায়ী ও ইবনে হিব্বানের বর্ণনা অনুপাতে তাদের সংখ্যা চারশত জনের মত ছিল। -দেখুন, তিরমিজী, নাসায়ী ও ইবনে হিব্বানের এই বিষয়ক বর্ণনা, সীরাতুল মুস্তাফা ২য় খন্ড, আল্লামাহ ইদরীস কান্ধলভী, পৃষ্ঠা ২৮৩

হযরত সা'দ রা. এর সিদ্ধান্ত অনুসারে বনূ কুরাইজার একদলকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করা হয় এবং আরেক দলকে বন্দী করা হয় কিন্তু সেই দিন ঠিক কতজন ইয়াহুদীকে হত্যা করা হয়, সেই ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিস্তর মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক তাদের সংখ্যা ছয় শত হতে নয় শত পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন যা ইউরোপীয় লেখকগণকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর চরিত্রে কালিমা লেপনে রসদ যুগিয়েছে। নিম্নোক্ত বিশ্লেষনের মাধ্যমে নিহতদের প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য সংখ্যা পাওয়া যাবে-

কুরাইজা গোত্রে অভিযানকালে তাদের পুরুষ লোকদিগকের সংখ্যা কত ছিল তা ইমাম তিরমিযী, নাসাঈ প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থে বিশ্বস্ত সূত্রে হযরত যাবির রা. কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে, 'তাদের (পুরুষদের) সংখ্যা ছিল চার শত'। অতঃপর তাদেরকে হত্যার ফায়সালা দেয়ার পরে সাদ রা. ইনতিকাল করেন। এই চার শত পুরুষের মধ্যে যারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন বা যুদ্ধে লিপ্ত হতে সমর্থ ছিলেন কেবল তাদেরকে সা'দ রা. হত্যার আদেশ দেন। বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত সা'দ রা. এর এতদসংক্রান্ত উক্তিই উহার প্রকৃষ্ট প্রমান বহন করে। তিনি বলেছিলেন যে, 'আমি যুদ্ধে নিযুক্ত বা যুদ্ধ করতে সক্ষম পুরুষদিগকে হত্যার আদেশ করছি'। সা'দ রা. এর এই উক্তিতে প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্তবয়ষ্ক সকল পুরুষ যোদ্ধাকে হত্যা করবার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল, যা স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের মধ্যে কেবল প্রাপ্তবয়ষ্কদেরকে হত্যার নির্দেশ প্রদান করেন। -দেখুন, যাদুল মাআদ, ৩য় খন্ড পৃষ্ঠা ১৩২, আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৪০৪, তিরমিজি, পৃষ্ঠা ১৫৪৮, নাসাঈ ৬ষ্ঠ খন্ড, ইবনে মাজা, পৃষ্ঠা ৪৫৪১

অপ্রাপ্তবয়ষ্কদেরকে বন্দী করে রাখা হয়। -সূত্র, প্রাগুক্ত

অতঃপর তাদেরকে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুক্ত করে দেন। এদের মধ্যে আতিয়া আল কুরাজির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ও তার কয়েকজন সঙ্গী প্রাণে রক্ষা পেয়ে মুসলমান হন। -সূত্র, আর রাহীকুল মাখতূম, পৃষ্ঠা ২৯১

প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকির কুরাইজার ঘটনা প্রসঙ্গে একখানা হাদীস বর্ণনা করেছেন। নিম্নে তা উল্লেক করা হল। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের তিন শত পুরুষ হত্যা করেন এবং অবশিষ্ট লোকদিগকে বললেন যে, তোমরা সিরিয়া প্রদেশে চলে যাও। অবশ্য আমি তোমাদের গতিবিধির সন্ধান রাখবো। অতঃপর তিনি তাদেরকে সিরিয়ায় পাঠিয়ে দিলেন। -সূত্র, মোহাম্মাদ আকরম খাঁ, মোস্তফা চরিত, পৃষ্ঠা ৪৭১-৪৭২, কানযুল উম্মাল, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৮২

আসলে বনূ কুরাইজার নিহত যুদ্ধাপরাধীদের সংখ্যাকে বাড়িয়ে যারা এসব ডাহা মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে থাকেন তাদেরকে প্রায়ই নিজেদেরকে মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে দাবী করতে দেখা যায়। আসলে এটাই এখন চিন্তার বিষয় যে, মুক্ত চিন্তার সত্যিকারের মানেটা কি? মুক্ত চিন্তা মানে কি, একতরফা চিন্তা? একতরফা বিচার ফায়সালা? নিজের মনগড়া চিন্তাভাবনাকেই কি মুক্ত চিন্তা বলতে হবে?

তাদেরকে বিনীতভাবে একটা প্রশ্ন করি-

যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আমাদের দেশের উপরে আক্রমণ করেছিল তখন আমাদের দেশের নাগরিকদের মধ্যে রাজাকার, আল বদরসহ যেসব লোক পাকিস্তানীদের পক্ষে কাজ করে আমাদের দেশের মানুষদের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল সেসব গাদ্দার রাজাকারদের ক্ষেত্রে মুক্তচিন্তার অধিকারী এসব ভাইদের মতামত কী? তারা কি বলবেন যে, সেসব রাজাকারদের ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল? কিংবা, বঙ্গভবন অথবা রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় অভ্যর্থনার মাধ্যমে তাদেরকে ফুলের মালা পড়িয়ে পুরষ্কৃত করা সঠিক ছিল? না কি, তাদের কঠোর বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের পক্ষে তারা তাদের মত প্রদান করবেন?

বস্তুতঃ আমরা তো দেখেছি, মুক্ত চিন্তার অধিকারী দাবিদারগণই গাদ্দার যুদ্ধাপরাধী এসব রাজাকারদের হত্যা করার জন্য সবচে’ বেশি সোচ্চার। হওয়া উচিতও তো ছিল সেটাই। তাহলে বনু কুরাইজার যুদ্ধাপরাধী গাদ্দারদের ক্ষেত্রে তাদের এই দ্বি-চারিতা কেন? তাদের একই মুখে বিশ্বাসঘাতক চুক্তি ভঙ্গকারী বনু কুরাইজার জন্য এ কেমন হাস্যকর দরদ? এ কেমন মায়াকান্না? এটা কি দ্বিমুখী নীতি নয়? এটাকে দ্বি-চারিতা ছাড়া আর কিইবা বলা যায়?

অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার পূর্বে প্রতিটি কথা যাচাই করে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজঃ

কিছু লোককে তো দেখা যায়, অন্যের বলা কথাই তারা তোতাপাখির মত আউড়ে বেড়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাদের প্রতি অনুরোধ, বাছবিচার না করে অন্যের বলা কথার সত্যতা যাচাই না করে শুধু শুধু না আউড়ে, নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে ঘটনাগুলো দয়া করে একটু আধটু যাচাই করুন। নিজের বিবেকের কাছে অন্ততঃ নিজেকে সৎ বলে প্রমান করুন। তাহলে দেখবেনঃ বনু কুরাইজার ঘটনার উপরে কোন সুস্থ বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তির প্রশ্ন থাকতে পারে না।

বনূ কুরাইজার বিচার হয়েছিল তাওরাতের বিধান অনুসারেঃ

যুদ্ধাপরাধী বনূ কুরাইজার বিচারের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি ফায়সালা রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে দেননি বরং এই দায়িত্বটি দেয়া হয়েছিল তাদেরই গোত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তি হযরত সা'দ ইবনে মু'আয রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর উপরে। বস্তুতঃ বনূ কুরাইজার ব্যাপারে হযরত সা'দ ইবনে মু'আয রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর ফায়সালা তাওরাতের বিধান অনুযায়ী হয়েছিল, যার প্রতি তাদের ঈমান ছিল। তাওরাতের সফর ইস্তিসনা, বিংশতম অধ্যায়ের দশম আয়াতে আছেঃ

''যখন তুমি যুদ্ধের জন্য কোন শহরের নিকটবর্তী হও, প্রথমে তাদেরকে সন্ধির প্রস্তাব দাও; তারা যদি সন্ধির প্রস্তাবে সম্মত হয় এবং তোমাদের জন্য ফটক খুলে দেয়, তা হলে ঐ জনপদে যত নাগরিক পাওয়া যাবে, সবাই তোমাদেরকে খাজনা দেবে এবং তোমাদের সেবা করবে। আর যদি তারা তোমাদের সাথে সন্ধি না করে বরং যুদ্ধ করে, তবে তাদেরকে তোমরা অবরোধ কর, আর যখন আল্লাহ তা'আলা তা তোমাদের করতলে দেন, তবে সেখানকার সমস্ত পুরুষকে মৃত্যুদন্ড প্রদান কর কিন্তু স্ত্রীলোকদেরকে, বালকদেরকে এবং জীবজন্তুসহ যা কিছু ঐ শহরে আছে, সব কিছু তোমাদের জন্য নিয়ে যাও। তোমাদের প্রভূই সেগুলো ভোগের জন্য তোমাদের দিয়েছেন, (সুতরাং) ভোগ কর।'' -দেখুন, সীরাতুল মুস্তাফা ২য় খন্ড, আল্লামাহ ইদরীস কান্ধলভী, পৃষ্ঠা ২৮৩

একটি ভুল ধারণার অপনোদনঃ

ইসলাম বিরোধী শিবির বরাবরই বনূ কুরাইজাকে শাস্তি সম্মন্ধে নিষ্ঠুরতা ও অত্যাচারের জোর আপত্তি তুলে থাকেন। তারা শুধু ঘটনার খোলস তথা বাহিরের দিকটাই দেখে থাকেন। উহার অভ্যন্তরে তলিয়ে দেখার প্রয়োজনবোধ করেন না। শাস্তির রূপটিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, উহার কারণ পর্যালোচনা করেন না। যদি তারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন হতে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বনূ কুরাইজার আচরণ গভীরভাবে পর্যালোচনা করতেন তাহলে কোনোভাবেই নিষ্ঠুরতার অপবাদ উত্থাপন করতেন না। নিচে প্রকৃত ব্যাপারটির সার সংক্ষেপ তুলে ধরা হচ্ছে, যার দ্বারা বুঝা যাবে, কেন তাদের বিরুদ্ধে সা'দ রা. উপরোক্ত রায় প্রদান করেছিলেন-

এক. মদীনায় পৌঁছে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনূ কুরাইজার সঙ্গে সদয় আচরণ করেন এবং মৈত্রী চুক্তি স্থাপন করেন।

দুই. তিনি তাদের সঙ্গে যে চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন তাতে তাদেরকে পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং জানমাল রক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছিল।

তিন. বনূ কুরাইজা বনূ নাযির অপেক্ষা কম মর্যাদাসম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত ছিল। বনূ নাযিরের কারও দ্বারা বনূ কুরাইজার কেউ নিহত হলে তার রক্তপণ ছিল অর্ধেক। অপরদিকে বনূ কুরাইজার দ্বারা বনূ নাযিরের কেউ নিহত হলে কুরাইজার ইয়াহূদিদেরকে পূর্ণ রক্তপণ পরিশোধ করতে হতো। মানবতার মুক্তির দিশারী রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনূ কুরাইজাকে এই সামাজিক বৈষম্যের শৃঙ্খল হতে মুক্ত করেন। তিনি তাদের মর্যাদা বনূ নাযিরের সমান করে দেন। -সূত্র, আবূ দাউদ, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা, ২৭৭

চার. রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনূ নাযিরকে মদিনা হতে বহিষ্কার করার পর বনূ কুরাইজার সাথে চুক্তি নবায়ন করেন। পুনঃচুক্তির মাধ্যমে তিনি তাদেরকে স্বীয় বাসস্থানে অবস্থানের সুযোগ দেন।

পাঁচ. তাদের সঙ্গে এত ভালো আচরণ করার পরও মুসলমানগণ যখন তাদের জীবনের সর্বাপেক্ষা কঠিন মুহূর্ত অতিক্রম করছিলেন, ইসলাম বিরোধী বহিঃশত্রুর সম্মিলিত বাহিনীর আক্রমন হতে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে একাধারে কয়েক দিন ক্ষুধার্ত অবস্থায় দীর্ঘ পরিখা খননের মাধ্যমে রণপ্রস্তুতিতে যখন একেবারে ক্লান্ত ও অবসন্নপ্রায়, ঠিক এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতি ও নাযুক অবস্থায় তারা মদিনার ভিতরে থেকেই রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে কৃত চুক্তি ভঙ্গ করে এবং মুসলমানদেরকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য ইয়াহূদী-কুরাইশ সামরিক শক্তির পক্ষাবলম্বন করে।

ছয়. মুসলিম নারী ও শিশুগণকে হেফাজতের জন্য তাঁবুতে প্রেরণ করা হলে তারা তাদের উপরে আক্রমন করতে উদ্যত হয়। -দেখুন, সীরাতুন নবী, ১ম খন্ড পৃষ্ঠা ২৫৪

সাত. জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়াও এই অকৃতজ্ঞ গোষ্ঠী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য পনের শত তরবারি, দুই হাজার বর্শা-বল্লম, তিন শত বর্ম ও পনের শত ঢাল সংগ্রহ করে রেখেছিল যা তাদের দুর্গ বিজিত হওয়ার পরে মুসলিম বাহিনীর হস্তগত হয়। -দেখুন, তাবাকাত ইবনে সা'দ, পৃষ্ঠা ৭৫

আট. খন্দক যুদ্ধের মূল উস্কানীদাতা হুয়াই ইবনে আখতাব, যাকে বিদ্রোহের অপরাধে মদিনা হতে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং যে গোটা আরবকে উস্কানী দিয়ে আহযাব (খন্দক) যুদ্ধের আয়োজন করিয়েছিল, বনূ কুরাইজা এমন রাষ্ট্রদ্রোহী শত্রু নিজেদের সঙ্গে রেখে গাদ্দারী ও হঠকারিতার চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে।

এমতাবস্থায় তাদের সঙ্গে উপরোক্ত আচরণ ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তারা নিজেদের কুকর্মের ফলে সর্বাপেক্ষা জঘন্য যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে গণ্য হয়েছিল, যাদের প্রাপ্য কেবল মৃত্যুদন্ডই। -সূত্র, আর রাহিকুল মাখতূম, পৃষ্ঠা ২৯০

আরবে চুক্তির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। মৈত্রী চুক্তিকে প্রকৃত ভ্রাতৃত্বের সমতুল্য মনে করা হতো। মৈত্রী বন্ধনের ফলে রক্তের সম্পর্কের ন্যায় অনেক সময় গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হতো। বনূ কুরাইজার মিত্র আওসের অবস্থা ছিল ঠিক অনুরূপ। তারা মনে-প্রাণে চাচ্ছিল, বনূ কুরাইজা যেন কোনরূপ শাস্তির সম্মুখীন না হয়। তাদের সঙ্গে যেন ক্ষমাসুন্দর আচরণ করা হয়। তাদের ব্যাপারে আওস গোত্রপতি সাদ ইবনে মুয়াজ রা. এর পেরেশানীও কম ছিল না। চুক্তির ব্যাপারে তিনিই ছিলেন প্রকৃত যিম্মাদার। তাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্টতা ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন তাদের বড় হিতাকাঙ্খী। কিন্তু এই হতভাগ্য জাতির অপরাধ এতই মারাত্মক ছিল যে, এত কিছুর পরেও তাঁর (সা'দ রা.) পক্ষে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। -সূত্র, সীরাতুন নবী, পৃষ্ঠা ২৫৫

অপরাধ অনুপাতে সা'দ রা. এর ফায়সালা ছিল পুরোপুরি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। এই ঘটনার উপর আলোকপাত করতে গিয়ে R.V.C Bodley তার The Messenger The Life of Muhammad নামক বিখ্যাত গ্রন্থে লিখেছেনঃ

''মুহাম্মাদ আরবে একা ছিলেন। এই ভূখন্ড আকার-আয়তনের দিক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ এবং এর লোকসংখ্যা ছিল পঞ্চাশ লাখ। তাদের নিকট এমন কোন সৈন্যবাহিনী ছিল না যারা জনসাধারণকে আদেশ পালনে ও আনুগত্য প্রদর্শনে বাধ্য করতে পারে, কেবল একটা ক্ষুদ্র সেনাদল ছাড়া, যার সংখ্যা ছিল মাত্র তিন হাজার। এই বাহিনীও আবার পরিপূর্ণরূপে অস্ত্রসজ্জিত ছিল না। এমতাবস্থায় যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনরূপ শৈথিল্য কিংবা গাফলতিকে প্রশ্রয় দিতেন এবং বনূ কুরাইজাকে তাদের বিশ্বাসভঙ্গের কোনরূপ শাস্তিদান ব্যতিরেকে ছেড়ে দিতেন তাহলে আরব উপদ্বীপে ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হতো। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ইয়াহূদীদের হত্যার ব্যাপার খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু ইয়াহূদীদের ধর্মীয় ইতিহাসে উহা কোন নতুন ব্যাপার ছিল না। আবার মুসলমানদের দিক হতে ঐ কাজের পেছনে পূর্ণ বৈধতা ও অনুমোদন বর্তমান ছিল''। -সূত্র, The Messenger The Life of Muhammad, London 1946, P. 202-3, নবীয়ে রহমত, পৃষ্ঠা ২৭৭

স্যার স্ট্যানলি লেনপুল বলেন, ''মনে রাখতে হবে যে, তাদের অপরাধ ছিল দেশের সঙ্গে গাদ্দারী এবং তাও আবার অবরোধের মত সঙ্কটময় অবস্থায়'' Selection from the Quran, P,IXV। -সূত্র, সীরাত বিশ্বকোষ ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১০৩-৫ ইফাবা অনূদিত

পরিশেষে আমাদের প্রার্থনা শুধুই হেদায়েতের পথপ্রাপ্তিঃ

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হেদায়াত দান করুন। খুলে দিন আমাদের বিবেকের বন্ধ দুয়ার। অটল, অবিচল এবং অনড় রাখুন হেদায়াতের চিরচেনা সহজ, সরল ও সত্য পথের উপরে। আমীন।

এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন-

০১। সীরাতুল মুস্তাফা ২য় খন্ড, আল্লামাহ ইদরীস কান্ধলভী, পৃষ্ঠা ২৮৩
০২। সীরাতে ইবনে হিশাম ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩৮, ইফাবা অনূদিত, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ২৩৭, ২৩৮ ও ২৪৫
০৩। উয়ুনুল আছার- খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৭,
০৪। আর রাহীকুল মাখতূম, পৃষ্ঠা ৩১৮-৩২৪
০৫। তানকিহুল ফুহুম, পৃষ্ঠা ১২
০৬। সহীহ বুখারী, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ৫৯১
০৭। সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড পৃষ্ঠা ৫৩৬
০৮। সহীহ মুসলিম, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ২৯৪
০৯। জামে তিরমিজি, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ২২৫
১০। ইসলামের ইতিহাস ১ম খন্ড, মাওলানা আকবর শাহ খান নজিবাবাদী প্রণীত, ইফাবা অনূদিত, পৃষ্ঠা ১৭৩-১৭৮
১১। সীরাত বিশ্বকোষ ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৫-১০৯ ইফাবা অনূদিত
১২। বনূ কুরাইজা যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ জানার জন্য দেখুন, ইবনে হিশাম, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ২৩৩-২৭৩, সহীহ বুখারী, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ৫৯০-৫৯১, যাদুল মায়াদ ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ৭২-৭৪, মুখতাছারুছ ছিয়ার, শাইখ আবদুল্লাহ প্রণীত, পৃষ্ঠা ২৮৭-২৯০

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

হাবিব বলেছেন: বনূ কুরাইজার ঘটনার সময়ে কি কোরআন আসেনি? তবে কেন তাওরাতের বিধান অনুসারে বিচার করা হলো।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। এখানে আসলে অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় নেয়ার মত রয়েছে। প্রথমতঃ বনু কুরাইজা গোত্রের বিশ্বাস ও শর্ত চুক্তিভঙ্গ, অবাধ্যচারিতা এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামগ্রিক ষড়যন্ত্রের এই ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পরে ৫ম হিজরিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তখনও ইসলাম ধর্মের সকল বিধি-বিধান পরিপূর্ণরূপলাভ করেনি। দ্বিতীয়তঃ বনু কুরাইজার লোকেরা তাদের বংশের নেতা (সা'দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু) -এর ফায়সালা মেনে নেয়ার প্রতি হয়তো এ কারণেও আগ্রহী হয়েছিলেন যে, তিনি তাদের নিজেদের ধর্মের গ্রন্থ (তাওরাত) অনুযায়ী বিচার করবেন। বস্তুতঃ তিনি করেছেনও তাই।

আর সা'দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু কর্তৃক এই ফায়সালা ঘোষনা দেয়ার পরে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, 'নিঃসন্দেহে তুমি আল্লাহর নির্দেশমত ফায়সালা্ করেছ।' -সীরাতুল মুস্তাফা, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৮১

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি খুব চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন। আমি অনেক কিছু বলতে সক্ষম হইনি। আপনি বলে দিয়েছেন। গোয়েবলসের মত মিথ্যা কথা বারবার বলা হতে থাকলে তা এক সময় মানুষের কাছে সত্য বলে মনে হয়। ইসলাম ও ইসলামের রসুলকে (সা) নিয়ে এভাবে অনেক মিথ্যা কথা প্রচার হতে হতে তা এখন অনেকের কাছে সত্যি মনে হয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আসলে ব্যাখ্যা আপনি যতই দেন, যুক্তির আলোকে যতই বুঝাতে চেষ্টা করেন, বস্তুতঃ যাদের 'সালিশ মানি কিন্তু তালগাছ আমার' অবস্থা তারা ঠিকই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে যাবেন। তাদের জন্য সত্যি করুনা হয়!

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

সাসুম বলেছেন: রাজাকার এর বিচার এর সাথে মিলালেন মনে হয়?
তা রাজাকার এর বউ বাচ্চাদের সেক্স স্লেভ করা হয়েছিল বলে জানা ছিল না।

এখানে এই বিচারে নবী মোহাম্মদ কে যতটা দোষারোপ করা হয় ততটা আসলে উনার প্রাপ্য নয়।

এখানে উনার সমালোচনা করা হয়- এক্টা অন্যায় বিচার উনার সামনে দিয়ে হচ্ছে( জেনোসাইড) এটা উনার মত ন্যায় বিচারক মেনে নিতে পারেন না। মূলত এই জন্য।

আইনে অনেক কিছুই থাকে সেই সাথে থাকে আইনের ফাক ফোকর।

আমি আপনার সামনে এরকম অন্যায় করলে কারো কিছু আসে যায়না কারন আমার আপনাকে ন্যায় বিচার এর প্রতিক হিসেবে কোটি মানুষ পুজা করেনা। উনাকে মানে, সম্মান করে এবং মানে।

সো, উনার সমালোচনা এই যায়গাতে। জ্ঞানী ব্যাক্তিদের কাজ যেমন এক্সট্রা অর্ডিনারী তেমনি তাদের অন্যায় বিচার দেখে দেখে জেনোসাইড এ সায় দেয়া ও সমালোচনা র দাবি রাখে। হোক সেটা তাদের সায় দেয়া বিচারক এর রায়।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

কুরাইশ এবং তাদের মিত্রদের সম্মিলিত বিশাল বাহিনীর আক্রমনে মদিনা যখন অবরুদ্ধ, খাদ্য পানীয় এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় রসদ স্বল্পতায় মুসলমানগণ যখন কূল কিনারাহীন অকল্পনীয় দুর্দশায় নিপতিত, মুসলমানরা যখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ- মুসলমানদের সেই চরম সঙ্কটময় অবস্থায় এবং ঘোর বিপদের দিনে বনূ কুরাইজা গোত্র তাদের আসল চরিত্র প্রদর্শন করে। তারা মুসলমানদের সাথে কৃত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে কুরাইশ বাহিনীর পক্ষাবম্বনের পথ বেছে নেয়। বিশ্বাসঘাতকতা এবং মারাত্মক যুদ্ধাপরাধের এমন নিকৃষ্ট নজির বলা চলে, ইতিহাসে বিরল।

এই ধরণের বিশ্বাসঘাতক এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে যারা জেনোসাইড বলতে চান তাদের বিচার বুদ্ধি মানবীয় চিন্তা, চেতনা এবং প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম নীতির উর্ধ্বে। সুস্থ বিবেকসম্পন্ন প্রত্যেকেই এই গাদ্দার গোষ্ঠীর বিচারকে বিনাবাক্যব্যয়ে মেনে নিয়েছেন, যথার্থ বলেছেন এবং অকপটে সমর্থন দিয়েছেন।

ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ হাবিব ভাই- বনু কুরাইজা চেয়েছিল তাদের বিচার তাওরাত অনুযায়ী হউক এবং তাদের পছন্দের লোক দ্বারা। আমাদের রসুল (সা) তা মেনে নিয়েছিলেন।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: যতোটুকু বুঝি অন্যায় করলে একজন দুইজন বা এক সাথে দশজন করে কিন্তু ৮০০/১০০০ এক সাথে অন্যায় করে না।

বিচার এবং তার শাস্তি একজন দুইজন বা এক সাথে দশজন কে দেয়া যায় এক সাথে ৮০০/১০০০ কে দেয়াটা জেনসাইড বলে মনে করি।

আপনারা যার যার প্রেক্ষাপট থেকে ঘটনার বিবৃতি দিচ্ছেন আসল ঘটনা কি হয়েছিলো নিরেপেক্ষ ভাবে বিবরন চাচ্ছি।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই।

পোস্টটি আপডেট করার পরে সম্ভবতঃ আপনার আর দেখার সুযোগ হয়নি। সম্ভব হলে কাইন্ডলি একটু দেখে নিলে কৃতজ্ঞ হব।

অনেক অনেক শুভকামনা।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

এভো বলেছেন: এখনে ইসলামিক ডকুমেন্ট থেকে উদৃতি দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বনু কুরাইজার ঘটনা নিয়ে, সবাইকে আহবান কোরছি ভিডিও টি শুনুন এবং নিজেরাই সিদ্ধানত নিন , আসল সত্যটা কোনটি --

Click here for the link

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলামিক লোকদের ঘটনা জানতে হলে উদ্ধৃতি তো ইসলামিক ডকুমেন্ট থেকেই দিতে হবে। আসল সত্য অন্য কোথাও খুঁজতে যাওয়া বোকামি নয় কি?

অনেক ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দক যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে অস্ত্র রেখে গোসল করেছেন। এমনি মুহূর্তে তাঁর কাছে জিবরীল (আঃ) এসে বললেন, আপনি অস্ত্র রেখে দিয়েছেন। আল্লাহর কসম! আমরা তা খুলিনি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে চলুন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যেতে হবে? তিনি বনূ কুরাইযাহর প্রতি ইশারা করে বললেন, ঐ দিকে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং ৪১১৭ )

“আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের সুদৃঢ় দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি ও শঙ্কা নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা (তাদের) একদলকে হত্যা করেছ এবং একদলকে বন্দী করেছ।” (সুরা আল আহজাব, আয়াত ২৬)

এই আয়াতের তফসিফের অংশ বিশেষ তুলে দিলাম;

ঐতিহাসিক বর্ণনায় এসেছে, মদীনায় ইহুদিদের তিনটি গোত্র বাস করত যাদের প্রত্যেকটির সঙ্গেই মুসলমানদের সন্ধি চুক্তি ছিল। এদের মধ্যে দু’টি গোত্র দ্বিতীয় ও চতুর্থ হিজরিতে চুক্তি ভঙ্গ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই গোত্রকে মদীনা থেকে বের করে দেয়া হয়। তবে বনি কুরাইযা নামের তৃতীয় গোত্র তখনও মদীনায় বাস করছিল। পঞ্চম হিজরিতে আহযাবের যুদ্ধের সময় এই ইহুদি গোত্রটি মক্কার কাফেরদের সঙ্গে গোপনে মিত্র চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে মক্কার কাফেররা পরাজিত হলে ভয়ে ইহুদিরা ভয়ে নিজেদের দুর্গে আশ্রয় নেয়। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে এই নির্দেশ পান যে, সন্ধির চুক্তি ভঙ্গকারী এই ইহুদি গোত্রকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে। এ কারণে মুসলমানরা বানি কুরাইযা গোত্রের দুর্গ অবরোধ করেন এবং কিছুদিনের মধ্যে এক সংঘর্ষে ওই দুর্গ দখল করতে সক্ষম হন।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই, শুকরিয়া।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, সত্য কিন্তু শেষ পর্যন্ত উদ্ভাসিত হয়েই যায়। পরিচয় লুকিয়েও লাভ হয় না। একটা সময়ে এসে ব্যক্তির কাজের মাধ্যমেই তা প্রকাশিত হয়ে পরে। কে যে ইসলামের পক্ষের আর কে বিপক্ষের, স্লোগান দিয়ে গলা ফাটিয়ে সেটা প্রচার করে খুব একটা লাভ হয় না, বরং কাজকর্ম, কথাবার্তা এবং আচরণ ইত্যাদি বিশ্লেষন করলেই প্রত্যেকের সত্যিকারের পরিচয় পাওয়া যায়।

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


নবীর কাছে কোন জিব্রাইল আসেনি কোনদিন; নবী বেদুইনদের ঐক্যবদ্ধ করে আরব সাম্রজ্যের পত্তন করেছেন; ইহুদীদের হত্যা করে মদীনার দখলের মাধ্যমে আরব সাম্রাজ্যের শুরু হয়।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় চাঁদগাজী ভাই,

আপনার এই জাতীয় দায়িত্বজ্ঞানবিবর্জিত অবান্তর মন্তব্য দেখে সত্যি চিন্তিত হই। উত্তর দিতে গিয়েও অনেকবার ভাবি। ভাবি এ কারণে যে, আপনার এই ধরণের অপরিনামদর্শী মন্তব্য যেভাবে আমাকেসহ বিশ্বাসী মানুষদের অন্তরকে আহত করে থাকে; এসব মন্তব্যের যথার্থ প্রত্যুত্তর করলে সেটাও হয়তো আপনিসহ কারও কারও জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে। এতে বাড়তে পারে বিতর্কও। সৃষ্টি হতে পারে অনাকাঙ্খিত বিভেদেরও। এমনকি, যা হয়ে উঠতে পারে ব্লগের স্বাভাবিক শৃঙ্খলাপূর্ণ শান্তিময় পরিবেশ বিনষ্টেরও কারণ।

এসব নানান দিক চিন্তা করে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে, সম্মানিত এবং বিজ্ঞ ব্লগারবৃন্দ এবং শ্রদ্ধেয় মডারেটর মহোদয়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ রাখছি, তারা যদি এই মন্তব্যটির বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন তাহলে বিশেষ কৃতজ্ঞ হব।
আপাততঃ এই মন্তব্যটির উত্তর দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখাই শ্রেয় মনে করছি।

ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৪

বিটপি বলেছেন: চাঁদগাজীর কথা যদি ধরি, তাহলে ধরে নেই, মুহাম্মদ কোন নবী ছিলনা, ছিল প্রবল উচ্চাকাঙ্ক্ষার অধিকারী একজন গোত্রপতি। আর ইহুদীদের হত্যা করার মাধ্যমেই যদি আরব সাম্রাজ্যের শুরু হয়ে থাকে, তবে তা উচ্চাকাংখী একজন সম্রাটের জন্য খুব জরুরী কাজ ছিল এবং তিনি তাই করেছিলেন। এখানে অন্যায়টা কি হয়েছে?

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



যথার্থ।

ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:১০

কামাল১৮ বলেছেন: মোহাম্মদ কেন কোন নবীই আল্লাহর প্রেরিত নবী ছিল না।যেখানে আল্লারই কোন প্রমান নাই।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
ধন্যবাদ। আপনার কাছে দোআ চাই।

শুভকামনা।

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৪৩

সাসুম বলেছেন: যাক অনেক অনেক সত্য কথা ও হাদিস উঠে আসছে।

১. সাদ এর এই রায় তাওরাত অনুযায়ী হলেও, এবং সাদ এর রায় সকল পুরুষ কে হত্যা করার হলেও নবী কারীম ( সঃ) দয়ার বশবর্তী হয়ে কয়েকশ পুরুষ বাচ্চা কে সেখান থেকে রেহাই দেন। মানে শুধু প্রাপ্ত বয়স্ক দের জবাই করার নির্দেশ দেন। আমাদের দয়ার শরীর নবী কারীম ছাড়া আর কে পারত এমন দয়া দেখাতে??

যাই হোক- এই কাজ থেকে স্পষ্ট, সাদ এর রায় নবী মেনে নেন নি পার্শিয়ালি, এবং তিনি সেটা পরিবর্তন করেছিলেন এবং পরিবর্তন করার অধিকার ও রাখতেন এবং কারো সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা ও ছিল না কিছু বলার ও ছিল না। গুড ইন্সাইট

২. সাদ এর রায় এর পর মহানবী বলেছিলেন- এই রায় আল্লাহ এবং উনার মনের ইচ্ছার মতই হয়েছে এবং উনাকে ও যদি রায় দিতে বলা হত- তাহলে উনিও সেইম রায় দিতেন।

অর্থাৎ, উনাকে বিচারক বানালেও উনি জেনোসাইড করতেন পুরুষ দের আর নারী দের গনিমত এর মাল বানানোর রায় দিতেন। এখানে সাদ সাহেব কে একা দোষারোপ করার ও কারন নাই।

কারন, এই জেনোসাইড আল্লাহ আর নবীর ও ইচ্ছা ছিল


৩. যারা এই পাক্কা জেনোসাইড কে একাত্তরে পাকি বাহিনীর আর রাজাকার দের বিচার এর সাথে তুলনা করছেন- ৯৫ হাজার পাকি বাহিনীর মধ্যে বিচার করা হয়েছিল ৩০০ জন নেতার, আর লক্ষ লক্ষ রাজাকার এর মধ্যে বিচার করা হয়েছিল হাতে গোনা লিডার দের। গোয়াজম, চন্দ্রপূরি আর কসাই কাদের দের।

তবে যারা বনু কুরাইজার জেনোসাইড এর সাথে ৭১ এর রাজাকার দের বিচার মিলান- তাদের কাছে একটাই জিজ্ঞাসাঃ কবে কোথায় সকল পুরুষ কে জবাই করা হয়েছিল ৭১ এর বিচারে?

কিংবা সেই ৯৫ হাজার বন্ধীর কিংবা বাংলাদেশ রাজাকার দের বউ গুলা কই? এই লক্ষ লক্ষ নারী দের কে কারা ভোগ করেছিল গনিমতের মাল হিসেবে? কিংবা তাদের বাচ্চা দের কে কাদের কাছে দাস দাসী হিসেবে বিক্রি করেছিল??

মানে আপ্নারা চাইলেই মনের মত করে এনালজি নিয়ে আসবেন আর মানুষ তাও মেনে নিবে??

আচ্ছা মেনে নিলাম- যেহেতু আমরা বাংলাদেশ থাকি। কল্লার দাম অনেক বেশি। ভাল থাকুন সবাই। এটা আমার লাস্ট কমেন্ট এই টপিকে ।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

প্রথমেই আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি এই পোস্টের আলোচনায় আসায়। সত্যি কথা, আপনার বিশ্লেষন চমৎকার লেগেছে। বিশেষ করে আপনি প্রতিটি পয়েন্ট অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ধরে ধরে কথা বলেছেন। আপনার মত প্রতিপক্ষ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের। আমি নিজের প্রকাশ করার ক্ষমতার স্বল্পতা, জ্ঞানের দুর্বলতা এবং জানার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নিয়ে আপনার পয়েন্টগুলোর উপরে সামান্য মতামত দেয়ার ইচ্ছে রাখছি।

১. সাদ এর এই রায় তাওরাত অনুযায়ী হলেও, এবং সাদ এর রায় সকল পুরুষ কে হত্যা করার হলেও নবী কারীম ( সঃ) দয়ার বশবর্তী হয়ে কয়েকশ পুরুষ বাচ্চা কে সেখান থেকে রেহাই দেন। মানে শুধু প্রাপ্ত বয়স্ক দের জবাই করার নির্দেশ দেন। আমাদের দয়ার শরীর নবী কারীম ছাড়া আর কে পারত এমন দয়া দেখাতে??

যাই হোক- এই কাজ থেকে স্পষ্ট, সাদ এর রায় নবী মেনে নেন নি পার্শিয়ালি, এবং তিনি সেটা পরিবর্তন করেছিলেন এবং পরিবর্তন করার অধিকার ও রাখতেন এবং কারো সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা ও ছিল না কিছু বলার ও ছিল না। গুড ইন্সাইট


-তৎকালীন যুগের অবস্থা, বনূ কুরাইজার বিচারকালীন সময়ের প্রেক্ষাপট এবং বাস্তবতা উপলব্ধিতে নিয়েই বিষয়গুলো আমাদের ভাবতে হবে। বর্তমান সময়ের আধুনিকতার মাপকাঠি দিয়ে সেসময়কার অবস্থা বিচার করা হলে তা অনেকক্ষেত্রেই হয়তো সঠিক হবে না অথবা, সমাধানে পৌঁছাও যাবে না।

এখানে প্রথমতঃ, সীরাত বিশ্বকোষ এ প্রাপ্ত তথ্য ও ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দয়ায় অনেক দন্ডপ্রাপ্ত বন্দীদশা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হন এবং তাদেরকে সিরিয়ায় দেশান্তর করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সা'দ রা. এর বিচারের দন্ড থেকে রেহাই দিয়ে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি কোন অন্যায় করেছেন?

দ্বিতীয়তঃ সাদ রা. এর রায় নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেনে নেননি বিষয়টি এমন ছিল না, তিনি বরং রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গুরুতর অপরাধী যারা যুদ্ধের উস্কানি, ষড়যন্ত্র ইত্যাদিতে অংশ নিয়েছে তাদেরকে শাস্তির যোগ্য হিসেবে দন্ড প্রদানের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম বয়সী এবং নিরপরাধদের শুধুমাত্র বন্দীত্বের শাস্তি প্রদান করে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি লাঘব করেছেন। এতে রায় অমান্য করা হয়েছে কি?

আর রায় অমান্যই তো করা হয়নি, তো সেক্ষেত্রে কারো সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা থাকা কিংবা কিছু বলার আর কি থাকতে পারে? এই প্রশ্নই তো আর আসে না।

২. সাদ এর রায় এর পর মহানবী বলেছিলেন- এই রায় আল্লাহ এবং উনার মনের ইচ্ছার মতই হয়েছে এবং উনাকে ও যদি রায় দিতে বলা হত- তাহলে উনিও সেইম রায় দিতেন।

অর্থাৎ, উনাকে বিচারক বানালেও উনি জেনোসাইড করতেন পুরুষ দের আর নারী দের গনিমত এর মাল বানানোর রায় দিতেন। এখানে সাদ সাহেব কে একা দোষারোপ করার ও কারন নাই।

কারন, এই জেনোসাইড আল্লাহ আর নবীর ও ইচ্ছা ছিল।


-কুরাইশ এবং তাদের মিত্রদের সম্মিলিত বিশাল বাহিনীর আক্রমনে মদিনা যখন অবরুদ্ধ, খাদ্য পানীয় এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় রসদ স্বল্পতায় মুসলমানগণ যখন কূল কিনারাহীন অকল্পনীয় দুর্দশায় নিপতিত, মুসলমানরা যখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ- মুসলমানদের সেই চরম সঙ্কটময় অবস্থায় এবং ঘোর বিপদের দিনে বনূ কুরাইজা গোত্র তাদের আসল চরিত্র প্রদর্শন করে। তারা মুসলমানদের সাথে কৃত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে কুরাইশ বাহিনীর পক্ষাবম্বনের পথ বেছে নেয়। বিশ্বাসঘাতকতা এবং মারাত্মক যুদ্ধাপরাধের এমন নিকৃষ্ট নজির বলা চলে, ইতিহাসে বিরল।

এই ধরণের বিশ্বাসঘাতক এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে যারা জেনোসাইড বলতে চান তাদের বিচার বুদ্ধি মানবীয় চিন্তা, চেতনা এবং প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম নীতির উর্ধ্বে। সুস্থ বিবেকসম্পন্ন প্রত্যেকেই এই গাদ্দার গোষ্ঠীর বিচারকে বিনাবাক্যব্যয়ে মেনে নিয়েছেন, যথার্থ বলেছেন এবং অকপটে সমর্থন দিয়েছেন। জেনোসাইডের ব্যাখ্যা আপনার কাছে যে রকম আমার কাছে হয়তো একটু ভিন্ন। এটাকে অন্ততঃ জেনোসাইড বলার কোনো সুযোগ দেখি না।

আর আপনার সর্বশেষ পয়েন্ট নিয়ে কি বলবো, আপনি নিজেই দয়া করে চিন্তা করুন। তুলনাটা কেন করা উচিত, নিজেকে জিজ্ঞেস করলেই আশা উত্তর পেয়ে যাবেন।

সবশেষে আবারও বলছি, আপনার সাথে কথা বলতে পেরে আনন্দিতবোধ করছি। আপনি লোক হিসেবে চমৎকার। যুক্তিগুলোও সূঁচালো। বিঁধে যায়। দোআ করবেন আমরাও যেন আপনার মত সূক্ষ্মদর্শী হতে পারি এবং উত্তম গুণাবলী অর্জন করতে পারি।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:১০

এভো বলেছেন: ব্লগার কাছের মানুষের মন্তব্য থেকে উদ্ধৃতি করা হোল --
ইবনে হীশাম এ স্পষ্ট আছে যখন সাদ ঘোষণা করল 'আমার ফয়সালা এই যে বনু কুরাইযার সব পুরুষকে হত্যা করা হোক, সমস্ত ধন সম্পদ বণ্টন করে দেয়া হোক এবং স্তী ও সন্তানদের বন্দী করা হোক' তখন নবী বললেন 'তোমার ফয়সালা সাত আসমানের ওপর আল্লাহর যে ফয়সালা এসেছে তারই অনুরূপ'। এই বাক্য থেকে প্রমাণিত হয় নবীও এই ফয়সালায় একমত এবং বিচার কার্য তার উপর থাকলে তিনিও একই সিদ্ধান্ত নিতেন। সাদ এর ফয়সালা যদি সাত আসমানের এর অনুরুপ হয় তাহলে নবী এই সিদ্ধান্ত নিলে সেটাও সাত আসমানের ওপর আল্লাহর যে ফয়সালা অনুরুপ বৈ ব্যাতিক্রম হত না!

ইসলামিক ডকুমেন্ট থেকে দেখা যায় ( সবাইকে ৬ নং কমেটের লিংকটা অপেন করে কিছুক্ষণ শুনতে অনুরোধ করছি ), কুরাইশরা বনু কুরাইজার কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিল এবং সেটা বনু কুরাইজা প্রত্যাখান করে । বনু কুরাইজারা চুক্তি ভংগ করেছে এর কথা কেহ জানতো না এবং স্বং প্রোফেট ও জানতো না কিন্তু জানতো জিবরায়েল ফেরেশতা ---

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দক যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে অস্ত্র রেখে গোসল করেছেন। এমনি মুহূর্তে তাঁর কাছে জিবরীল (আঃ) এসে বললেন, আপনি অস্ত্র রেখে দিয়েছেন। আল্লাহর কসম! আমরা তা খুলিনি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে চলুন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যেতে হবে? তিনি বনূ কুরাইযাহর প্রতি ইশারা করে বললেন, ঐ দিকে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং ৪১১৭ )

বিচারের রায়ের পর জিবরায়েল ফেরেশতা জানিয়ে গেছে -- এই বিচার আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ি হয়েছে। তারমানে যদি প্রোফেট বিচার করতেন, তাহোলে একই বিচারের রায় হোত । বনু কুরাইজার চুক্তি ভংগের উইটনেস একমাত্র -- জিবরাইল ফেরেশতা !
তারপর এই কর্মকে জাস্টিফাই করার জন্য জিবরাইল ফেরেশতার মাধ্যমে নাজিল হয় --নীচে আয়াতটি
“আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের সুদৃঢ় দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি ও শঙ্কা নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা (তাদের) একদলকে হত্যা করেছ এবং একদলকে বন্দী করেছ।” (সুরা আল আহজাব, আয়াত ২৬)

কোন মানুষ চুক্তি ভংগের কথা জানতো না , এমন কি স্বং প্রোফেট ও জানতো না --- একমাত্র জিবরাইল (আ: ) জানতো --- সুতরাং বনু কুরাইজা চুক্তি ভংগকারী এবং জিবরাইলের মাধ্যমে জানা গেছে ঐ বিচার আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ি হয়েছে , অর্থাৎ স্বং প্রোফেট যদি বিচারক হোত তাহোলে একই রায় হোত । রায় যে এমন হবে সেটা আবু লুবাবাও জানতো !!

ইসলামিক সব ডকুমেন্ট বলছে বনু কুরাইজা চুক্তি ভংগ করে নি , শুধু মাত্র হযরত জিবরাই আ: দেখেছে চুক্তি ভংগ হতে । সুতরাং যেহেতু জিবরাইল বলেছে চুক্তি ভংগ হয়েছে , সুতরাং বনু কুরাইজা চুক্তি ভংগকারী ।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

ব্লগার বিটপীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরেকটি পোস্টে তার করা একটি মন্তব্য আপনার এই মন্তব্যের জবাব হিসেবে কপি পেস্ট করলাম-

এভো, আপনি শেয়াল পণ্ডিতের মত এক কুমিরের বাচ্চা বারবার দেখাচ্ছেন এবং আবু লুবাবের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটা গণহত্যা করে নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য বনু কুরাইজার হত্যাকান্ড চালান। তো রাসূলুল্লাহর (স) যদি সেরকম উদ্দেশ্যই থাকত, তবে বনু কুরাইজাকে তাদের বিচারক বেছে নেবার স্বাধীনতা দিলেন কেন? আর একই ধরণের নৃশংসতা বনু কাইনুকার ক্ষেত্রে দেখাননি কেন, যদিও তাদের অপরাধ কোন অংশে কম ছিলনা!

মানবতার নবী বলেই কি আপনি দাবী করছেন যে বনু কুরাইজার মনোনীত বিচারকের রায় রাসুলুল্লাহ (স) অগ্রাহ্য করে ক্ষমার সিদ্ধান্ত তাদের উপর চাপিয়ে দেবেন? তারা তো তাঁকে নবী/বিচারক হিসেবে স্বীকারই করেনি। তবে তাদের ক্ষেত্রে এত মহানুভবতা তিনি সেধে সেধে দেখাতে যাবেন কেন?

আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন মানুষ যদি বুখারি শরীফের সহি হাদিসে সন্দেহ করে আর কোরআনের আয়াতের গুরুত্ব না দেয় তাকে কিভাবে বুঝাবেন।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



তাদেরকে বুঝাতে অক্ষমতা প্রকাশ করা ছাড়া উপায় নেই। তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে অহেতুক আলোচনায় ইতি টানাই বেটার মনে করি।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

এভো বলেছেন: মানবতার নবী বলেই কি আপনি দাবী করছেন যে বনু কুরাইজার মনোনীত বিচারকের রায় রাসুলুল্লাহ (স) অগ্রাহ্য করে ক্ষমার সিদ্ধান্ত তাদের উপর চাপিয়ে দেবেন? তারা তো তাঁকে নবী/বিচারক হিসেবে স্বীকারই করেনি। তবে তাদের ক্ষেত্রে এত মহানুভবতা তিনি সেধে সেধে দেখাতে যাবেন কেন

বিচারের রায়ের পর জিবরাইল আঃ মাধ্যমে তিনি জেনেছেন, এই রায় আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী হয়েছে, যদি জিবরাইল বলতো আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী হয় নি, তাহোলে তিনি রহিত করতেন।
কুমীরের বাচ্চাটা বার বার আপনারা দেখাচ্ছেন,

ইসলামিক দলিল সাক্ষী দিচ্ছে তারা চুক্তি ভংগ করে নি,,, বলুন এটা ঠিক না ভুল?
কোন মানুষ জানত না যে চুক্তি ভংগ হয়েছে, একমাত্র জিবরাইল আঃ ছাড়া,, কথাটা ঠিক না ভুল?
আপনি কিসের ভিত্তিতে ওদের যুদ্ধ অপরাধী দাবি করলেন, যেখানে কোন যুদ্ধ হয় নি এবং বনু কুরাইজা কোন চুক্তি ভংগ করে নি।

আপনার শুধু দাবি করছেন চুক্তি ভংগ করেছে কিন্তু কোন দলিল দেখাতে পারেন নি একমাত্র জিবরাইল আঃ এর কথা ছাড়া। আপনাদের দলিল গুলো বলছে ভংগ হয় নি। আপনার বলছেন ইসলামিক দলিল গুলো নাকি কুমিরের বাচ্চা এবং এই বাচ্চা নাকি আমি বারবার দেখাচ্ছি! বারবার ইসলামিক দলিল দেখাবো না, নাকি অইসলামিক দলিল দেখাবো?
এখন ঠেলায় পড়লে ইসলামিক দলিল গুলোকে কুমিরের বাচ্চা মনে হবে,
তাহোলে আপনার পক্ষের দলিল গুলো কিসের বাচ্চা?

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

কষ্ট করে আবারও মন্তব্য রেখে যাওয়ায় আপনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। তবে এ পর্যায়ে আপনাকে একটি অনুরোধ করতে চাই, দয়া করে আপনি ধরে নিন যে, চলমান প্রসঙ্গে আপনি এ যাবত যা যা দাবি করেছেন বা বলেছেন এবং ভবিষ্যতে যা যা দাবি করবেন অথবা বলবেন, সেসব কিছুই সঠিক এবং একমাত্র গ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে এর বাইরে আপনার মতের বিপরীতে এই প্রসঙ্গে যে বা যারা যত কিছু বলেছেন অথবা দলিল প্রমানসহ যা কিছু উপস্থাপন করেছেন- সেসবই অগ্রহণযোগ্য এবং বাতিল, তবু যদি আপনি একই কথার পুনরুক্তি করা থেকে বিরত থাকেন, তাহলে আপনার প্রতি আরও বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ পাব।

দৃঢ়ভাবে আশা করছি, আপনি সেই সুযোগ আমাদেরকে অবশ্যই দিবেন।

অন্তহীন শুভকামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.