নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকান ইহুদি তরুণীর ইসলাম গ্রহণের মর্মস্পর্শী ঘটনা

০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৯

ছবিঃ অন্তর্জাল।

আমেরিকান ইহুদি তরুণীর ইসলাম গ্রহণের মর্মস্পর্শী ঘটনা

আমেরিকার একটি ইহুদি পরিবারে মিশেলের জন্ম। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা ধর্মান্তরিত হলে তিনিও খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু খ্রিস্টধর্মে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে না পাওয়ায় ইহুদি ধর্মে ফিরতে চান।

পরিশেষে ইহুদি ধর্মও তাঁকে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবন-ইতিহাস ও পবিত্র কোরআন তাঁকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ব করে। চলুন, তাঁর ভাষায় শুনে নিই তাঁর জীবনের পরিবর্তনের মর্মস্পর্শী সেই ঘটনা—

মিশেলের জবানীতে তাঁর পরিবর্তনের ঘটনাঃ

মিশেল বলেন, ''আমি নিউ ইয়র্কের একটি ইহুদি পরিবার থেকে এসেছি। আমার মা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তবে তিনি ইহুদি ছিলেন। তিনি কাউকে ইহুদি পরিচয় দিতে স্বস্তিবোধ করতেন না।

আমার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি একজন ক্যাথলিককে বিয়ে করেন এবং খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন। তিনি আমাদেরও খ্রিস্টান হিসেবে গড়ে তোলেন। কিন্তু পাঁচ বছর বয়স থেকে আমি বলতাম, যিশুখ্রিস্টও একজন উপাস্য? আমি এই বিশ্বাসে কখনো স্বস্তিবোধ করতাম না।

আমরা সৎ বাবার দেশ ফিলিপাইনে যাই। সেখানে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। সৎ বাবা ধীরে ধীরে আমার প্রতি এবং আমার দুই ভাইয়ের প্রতি নিপীড়ক হয়ে ওঠে। কঠিন জীবনযাত্রার প্রভাবে আমার ভাষাগত দুর্বলতা থেকে যায়, আমার এক ভাই মদ্যপ হয়ে ওঠে এবং অন্যজন হীনম্মন্যতার শিকার হয়।

যখন আমি বড় হলাম এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এলাম, তখন আমি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমি কঠোর পরিশ্রমে মনোযোগী হলাম। স্রষ্টার জন্য আমার জীবনে কোনো সময় ছিল না, অতীতেও কখনো ছিল না। আমি অনুভব করতাম না যে স্রষ্টা আমাকে কোনোভাবে সাহায্য করছেন।

আমি আমার শেকড়ে ফেরার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ইহুদি ধর্ম আমার মনে কোনো আবেদন সৃষ্টি করতে পারল না। তাই চেষ্টা ছেড়ে দিলাম।

বিভিন্ন সময় মুসলিমদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। আমার মনে প্রশ্ন জাগে, তারা এমন পোশাক পরিধান করে কেন এবং তারা অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে থাকে কেন? ইসলামবিষয়ক প্রশ্নগুলো আমার মনে বারবার ফিরে আসতে থাকে, ধর্মটি সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করি।

আমি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবন ও ইতিহাস পাঠ করি। তাঁর জীবন থেকে আমি দয়া, উদারতা এবং কঠিন সময়ে ধৈর্যধারণের শিক্ষা লাভ করি। নিজের কাছে নিজের জীবনকে দিকহীন ও দিশাহারা মনে হয়। সুতরাং আমি আরো বেশি পড়তে শুরু করি। সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর মনে হলো আমি ঘরে ফিরেছি।

এত দিন আমি এখানেই আসতে চেয়েছিলাম। আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম। আলহামদুলিল্লাহ! এরপর আর কখনো ইসলামবিমুখ হইনি, একত্ববাদের বিশ্বাস থেকে কখনো সরে আসিনি। মুসলিম হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

কিন্তু ইসলাম আমাকে ধৈর্যধারণে সাহায্য করে। দুঃখ-ব্যথার সময় আমরা শুধু আল্লাহর কাছে যেতে পারি। ইসলামই চূড়ান্ত সত্য ও পূর্ণাঙ্গ জীবনধারা। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষ জাতির প্রতি প্রেরিত শেষ সত্য এবং শেষ সুযোগ। আমি আশা করি, একদিন পৃথিবীর মানুষ ইসলাম সত্যতা ও সৌন্দর্য, শান্তি ও শৃঙ্খলা সম্পর্কে জানতে পারবে।''

পরিশেষেঃ

বস্তুতঃ কুরআনুল কারিম এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবন ও ইতিহাস পাঠ করলেই ইসলামের সুমহান আদর্শ, এর অনুপম নৈতিকতাবোধ, পরিচ্ছন্নতাপূর্ণ শৃঙ্খলাবোধ, উদার মানবিকতা এবং সর্বোপরি মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিমিতিবোধের যে অপূর্ব সমন্বয় সাধনের যে দর্শন ইসলাম আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে- তা স্বাভাবিকভাবেই বুঝে নেয়া সম্ভব। আর সঠিকভাবে এবং ন্যায়ানুগ উপায়ে পক্ষপাতমুক্ত থেকে এসব বিষয়ে সামান্য চিন্তা ভাবনা করতে সক্ষম হলে ইসলাম ধর্মের সত্যতা উপলব্ধি করা যে কারও পক্ষে অতি সহজেই সম্ভব।

লেখা সূত্রঃ

স্টোরিজ অব নিউ মুসলিমস (Stories of new Muslims), Conveying Islamic Message Society, P.O. Box 834 Alexandria, Egypt গ্রন্থ অবলম্বনে। লেখাটির জন্য আরও সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে দৈনিক কালের কন্ঠ অনলাইন সংস্করণ মহানবী (সা.)-এর জীবনী পড়ে ইহুদি তরুণীর ইসলাম গ্রহণ এবং আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টি ফোর ডটকম ইহুদি তরুণীর ইসলাম গ্রহণের হৃদয়স্পর্শী ঘটনা: যা আপনাকে অবাক করে দিবেসহ আরও কিছু অনলাইন মিডিয়া থেকে। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

বইটি অনলাইনে পাওয়া যায়। ডাউনলোড লিঙ্ক-

Download book Stories of New Muslims pdf

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হেদায়েত আল্লাহ তাআলা যাকে যখন খুশি দিতে পারেন।+++

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। শুকরিয়া।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিউইর্কের লোকজন যখন ধর্মান্তরিত হয়, তারা 'হরে কৃষ্ণ' গ্রুপে যায়; আপনি যার কথা বলছেন, উহা ব্যতিক্রম হতে পার; কিছুদিন অপেক্ষা করেন, উহা 'হরে কৃষ্ণ' গ্রুপে যাবে বলে আমার ধারণা

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি ভুল ধারণায় ডুবে আছেন এখনো। এ সংক্রান্ত মিডিয়ার খবরও দেখেন না, মনে হচ্ছে। আপনার কথামত ব্যতিক্রম শুধু 'উহা' একাই নন, এমন হাজারো ব্যতিক্রম প্রতিনিয়ত আপনার চোখে পড়ার কথা। অবশ্য সেটা কেবলমাত্র তখনই সম্ভব, যখন আপনি চোখ খুলে তাকাবেন!

ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আল্লাহপাকের অসীম দয়া যার উপর হয় সে এভাবেই জীবনে চলার পথ খুজে পায়। মিশেলের জন্য সুখ-শান্তি ও মংগলময় জীবনের প্রার্থনা রইলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন। জাজাকুমুল্লাহ।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: এতই মর্মস্পর্শী যে আমার চোখে জল এসে গেলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলাম গ্রহন করা থেকে ত্যাগ করছে বেশি লোক।আফ্রিকায় প্রচুর লোক ইসলাম থেকে খৃষ্টান হয়।প্রতি বছর সকল ধর্ম থেকে নিধার্মিক হয় লক্ষ লক্ষ লোক।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! আপনার দেয়া তথ্যটা সঠিক নয়। ইউরোপ আমেরিকায় ইসলাম গ্রহণের সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যানটা একটু দেখে নিতে পারেন-

২০ বছরে আমেরিকায় ইসলামগ্রহণের হার অনেক বেড়েছে : পরিসংখ্যান

১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার পর আমেরিকায় মুসলিমদের অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখী হন। তবে এ সময় অনেক অমুসলিম প্রথম বারের ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারেন। পরবর্তীতে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনার পর তাঁদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি ধর্মীয় আদমশুমারি অনুসারে ২০০০-২০১০ সালে ইসলাম গ্রহণের হার শতকরা ৬৭ ভাগ বেড়েছে। সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে সেখানে মুসলিমদের সংখ্যা ১ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২.৬ মিলিয়নে পৌঁছে। পিউ রিসার্চের পরিসংখ্যান মতে ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের জনসংখ্যা আরো বৃদ্ধি পায়। এ সময় মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে ৩.৪৫ মিলিয়নে পৌঁছে।

মুসলিমদের জনসংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত ক্রমবিকাশমান হলেও ২০২০ সালের সরকারি পরিসংখ্যান মতে আমেরিকার মাত্র এক ভাগ মুসিলম। অপরদিকে খ্রিস্টানদের সংখ্যা শতকরা ৭০ ভাগ। আর আমেরিকানদের ২৩ ভাগ নিজেদেরকে কোনো ধর্ম-বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত মনে করেন না। বরং তারা নিজেদের নাস্তিক বা অবিশ্বাসী হিসেবে ভাবেন।

অহিও অঙ্গরাজ্যের কর্মী ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনালের প্রতিনিধি সিনথিয়া কোক্স উবালডো ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর ইসলাম গ্রহণ করেন। ২০২০ সালে নির্বাচনের সময় মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিজিটিএন-কে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে সিনথিয়া বলেন, উগ্রবাদী মুসলিম সন্ত্রাসীরা আমেরিকায় হামলার পর আমি তা নিয়ে গবেষণা শুরু করি। তখন আমি এ ধর্মের মূলনীতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। আমি উপলব্ধি করি যে, যারা ১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় অংশ নিয়েছে তাদের ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না।

ইসলাম গ্রহণের পর শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে উবালডো নানা রকম বৈষম্য ও মানহানিকর আচরণের মুখোমুখী হন। এমনকি পরিসংখ্যানেও জানা যায়, আমেরিকান মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের মাত্রা অনেক বেশি। ২০১৯ সালের পিউ রিসার্চের তথ্য অনুসারে, আমেরিকার অধিকাংশ প্রাপ্ত বয়ষ্করা মনে করেন যে মুসলিমরা অনেক বেশি বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছে। আর ৮২ ভাগ মনে করেন যে মুসলিমরা কিছুটা বৈষম্যের মুুখোমুখী হন।

নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির সহযোগী অধ্যাপক ইহসান বাগবি বলেন, এ বৈষম্য মুসলিমনদের মধ্যে সহনশীলতা তৈরি করেছে। আপনি আরো সুদৃঢ় প্রতিরোধ গড়তে পারবেন। আমি মনে করি, বিভিন্ন স্থানে মুসলিম বিরোধী পরিবেশ প্রকৃতপক্ষে মুসলিমদের আরও ধার্মিক করেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম পরিসংখ্যানের বিশ্লেষক ডে জোন্স বলেন, ‘একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য নিপীড়ন অনেক সময় কল্যাণকর। কারণ এতে করে আরো বেশি লোক তা গ্রহণ করে। এ ধরনের প্রক্রিয়া একটি আন্দোলন প্রতিরোধে খুবই কার্যকর হয়।’

সূত্র : সিজিটিএন


এই রিপোর্টটি দেখতে পারেন-

Millions in the U.S. converted to Islam after 9/11, meet one of them

ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৬

পুকু বলেছেন: এটা কোনো পোস্ট হোলো!!!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



তাড়াহুড়োর কি আছে! ধীরে ধীরেই তো পোস্ট লেখার যোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব!

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:১৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: কোরান হাদিস পড়ার পরেও ইসলাম গ্রহন করে??

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



চিন্তার বিষয় বটে!

ধন্যবাদ।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২২

বিটপি বলেছেন: আমেরিকায় সবচেয়ে বিকাশমান ধর্ম সম্ভবত হিন্দু ধর্ম। ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং মৌজ ফূর্তির প্রচুর উপকরণ থাকায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধর্মের প্রতি আগ্রহ বেশি। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভবনাম্রিত সংঘ (ইস্কন) 'যে কোন ধর্মের লোক তার ধর্ম বহাল রেখেও হিন্দু ধর্ম পালন করতে পারে' - এই ধারণা প্রচার করে হিন্দু ধর্মের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। উপরন্তু তারা তাদের আশ্রম থেকে ফ্রি খাবার প্রভাইড করে দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ এবং ল্যাটিন আমেরিকানদের মধ্যে হিন্দু ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক কালে ইয়োগা এবং অন্যন্য লাইফস্টাইল এলিমেন্টকে হিন্দু ধর্মের ব্র্যান্ডিং করে প্রচার করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী কোন শান্তি বৃদ্ধিকারক উপাদান না থাকার কারণে হিন্দু ধর্ম ত্যাগকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। মোটের উপর হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা স্থিতিশীল থাকছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। তবে, আমেরিকার সবচেয়ে বিকাশমান ধর্ম নিয়ে আপনার মতামতের সাথে এই মুহূর্তে সহমত বা দ্বিমত কোনটাই পোষন করছি না। পিউ রিসার্সের ২০১৭ ইং সালের গবেষনার উদ্ধৃতি দিয়ে উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে যে, খ্রিস্টান ও ইহুদী ধর্মের পরে ইসলাম আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। সূত্রঃ যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম

এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে সঠিক তথ্যাদি জেনে নিয়ে তারপরে হয়তো মন্তব্যে আসা আমার জন্য সঠিক হবে। যাই হোক, আপাততঃ ইউরোপ-আমেরিকায় ইসলাম ধর্মের ক্রমবর্ধমান বিকাশ সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্যসূত্র এখানে উল্লেখ করছি। দয়া করে এগুলো দেখে পুনরায় আপনার মতামত জানালে কৃতজ্ঞ হব-

১। মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমেরিকা ও ইউরোপ উদ্বিগ্ন

২। ২০ বছরে আমেরিকায় ইসলামগ্রহণের হার অনেক বেড়েছে : পরিসংখ্যান

৩। টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর : আমেরিকায় বেড়েছে ইসলাম গ্রহণের হার

৪। Millions in the U.S. converted to Islam after 9/11, meet one of them

৫। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ইউরোপে বাড়ছে ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



উইকিপিডিয়ার লিঙ্কে সরাসরি কোন কারণে হয়তো যাওয়া যায় না। যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম লিখে গুগলে সার্স দিলে সহজেই উইকি লিঙ্কটা সহজেই পাওয়া যাবে।

ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

এভো বলেছেন:


কোলকাতার অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের হিন্দু ধর্ম গ্রহনটা কি ভাবে গ্লোরিফাই করবেন ? ছবিতে স্বামী নিখিল জায়েনের সাথে নুসরাত জাহান জায়েন । এখন কি নুসরাতকে মুরতাদ ঘোষনা করে শরিয়া মোতাবেক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন ?

বিটপির নীচের বক্তব্যটা হিন্দু ধর্মকে অপমান করছে ---- ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং মৌজ ফূর্তির প্রচুর উপকরণ থাকায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধর্মের প্রতি আগ্রহ বেশি।
ধর্মীয় বাধ্যকতা বলতে কি বুঝাচ্ছেন এবং মৌজ ফূর্তির প্রচুর উপকরণ বলতে কি বুঝাচ্ছেন ?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! আপনি নুসরাত জাহানের ছবিযুক্ত করে এইভাবে কমেন্টটি না করলেও পারতেন। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে, যাকে নিয়ে এই পোস্ট, সেই মিশেলের ছবিও কিন্তু এই পোস্টে যুক্ত করা হয়নি।

আর এরকম ব্যতিক্রম দুএকটি ঘটনা দেখে এত অস্থির হবারই বা এমন কি আছে? আপনি বছর বছর খুঁজে এরকম দু'একটি ঘটনা পেলেও হয়তো পেতে পারেন। পক্ষান্তরে আপনি যদি পোস্টের আলোচনার পক্ষে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের এরকম বাস্তব ঘটনার প্রমান অনুসন্ধান করতে চান, আমি বিশ্বাস করি, আপনি শত শত বা হাজার হাজার দৃষ্টান্ত অনায়াসে পেয়ে যাবেন।

সম্মানিত ব্লগার বিটপীর মন্তব্যের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং মৌজ ফূর্তির প্রচুর উপকরণ থাকায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধর্মের প্রতি আগ্রহ বেশি। কথাটিতে আপনি কিংবা অন্য কেউ ব্যথিত হয়ে থাকলে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে, তিনি যে ধর্মের কথা বলেছেন, সেই ধর্মের অনুসারী অনেকের সাথে কাজের সুবাদে আমার প্রতি দিনের চলাফেরা থাকায় দীর্ঘ বছর যাবত খুব কাছে থেকে তাদের দেখে থাকি। তাদের অনেককে মানবিক মনে হয়েছে। তাদের কারও কারও ভেতরে থাকা গুণাবলী এবং বৈশিষ্ট্যও আমার ভালো লেগেছে। কিন্তু তাদের বাস্তব জীবনে খুব অল্প সংখ্যক লোককেই ধর্মকর্ম পালন করতে দেখেছি। তো, অপমান করার কথাটা তো এইক্ষেত্রে আসার কথা নয়, তাই না? কারণ, এই কথায় তো সত্যিকারার্থে তাদের অধিকাংশ লোকের জীবনের বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে।

শুভকামনা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি ব্যথিত হবেন বলে আপনার এই কমেন্টটি মুছে দেয়া হতে বিরত থেকেছি।

যাই হোক, ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া, ফরিদ ভাই।

জাজাকুমুল্লাহ।

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩২

এভো বলেছেন: দুঃখিত! আপনি নুসরাত জাহানের ছবিযুক্ত করে এইভাবে কমেন্টটি না করলেও পারতেন। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে, যাকে নিয়ে এই পোস্ট, সেই মিশেলের ছবিও কিন্তু এই পোস্টে যুক্ত করা হয়নি।

ছবি দেওয়াতে সমস্যা কি ? আপনাকে তো কেউ মানা করেনি মিশেলের ছবি দিতে ? এটা কি ধরনের সংকির্ণ মানুসিকতা এই যুগে ? ছবিতে সমস্যা থাকলে আপনি সমুদ্রের উপর অর্ধ চন্দ্রের ছবি দিলেন কেন ?
আমি নারীর ইসলাম গ্রহন নিয়ে পোস্ট দিলেন কিন্তু সেই নারীর কোন ছবি দেন নি বা অন্য কেহ ছবি দিলে আপত্তি--- এটা কি ধরনের মন মানুসিকতা ।
আমি তো কোন অশ্লিল ছবি পোস্ট করিনি যে আপনি আপত্তি উঠাবেন ।
আপনি নিজে বা কেন সমুদ্রের উপর আধা চাঁদের ছবি দিলেন ?
আর এরকম ব্যতিক্রম দুএকটি ঘটনা দেখে এত অস্থির হবারই বা এমন কি আছে? আপনি বছর বছর খুঁজে এরকম দু'একটি ঘটনা পেলেও হয়তো পেতে পারেন


আপনি নিজেই কি অস্থির হন নি -- দুই একটা ঘটনা দেখে । একবারে পোস্ট দিয়ে ফেললেন অস্থির হয়ে ।
এখন ইহুদী মুরতাদ মিশেলকে কি হত্যা করা উচিৎ ?
মুরতাদ নুসরাতের শাস্তির দাবি কি করবেন এখন ?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ছবি দেওয়াতে সমস্যা কি ? আপনাকে তো কেউ মানা করেনি মিশেলের ছবি দিতে ? এটা কি ধরনের সংকির্ণ মানুসিকতা এই যুগে ? ছবিতে সমস্যা থাকলে আপনি সমুদ্রের উপর অর্ধ চন্দ্রের ছবি দিলেন কেন ?
আমি নারীর ইসলাম গ্রহন নিয়ে পোস্ট দিলেন কিন্তু সেই নারীর কোন ছবি দেন নি বা অন্য কেহ ছবি দিলে আপত্তি--- এটা কি ধরনের মন মানুসিকতা ।
আমি তো কোন অশ্লিল ছবি পোস্ট করিনি যে আপনি আপত্তি উঠাবেন ।
আপনি নিজে বা কেন সমুদ্রের উপর আধা চাঁদের ছবি দিলেন ?


-অনর্থক বিতর্কে না যাওয়াই ভালো। আমার বিশ্বাস এবং ভাবনার সাথে আপনার বিশ্বাস এবং ভাবনার মিল না থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু অন্যজনের বিশ্বাস এবং ভাবনা চিন্তাকে সংকীর্ণ আখ্যায়িত করাটা আরেকটা অজ্ঞানতার পরিচয়।

আর সমুদ্রের ছবি এবং মানুষের ছবির ব্যবধান ইসলামী শরিয়া অবশ্যই নির্ধারণ করে দিয়েছে। আর ছবি ব্যবহারেও ইসলাম ধর্মে সুস্পষ্ট বিধি ও নির্দেশনা রয়েছে। আপনার হয়তো সেগুলো সঠিকভাবে না জানা থাকার কারণেই এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যা হোক, সংক্ষেপে মূল কথাটা হচ্ছে, একান্ত প্রয়োজন ব্যতিরেকে ছবি তোলা ও ব্যবহার করাকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করেছে। পাসপোর্ট করা, ভিসা আবেদন করা, জমি ক্রয় বিক্রয়, পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন বা ফর্ম ফিল আপ করা, ব্যাংকে একাউন্ট খোলাসহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোতে ছবি ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত রয়েছে - মানুষের প্রয়োজন এবং নিরাপত্তা বিবেচনায় এসব বিষয়ে ছবি তোলা এবং তা ব্যবহারের বিষয়টি ইসলাম ধর্মেও অনুমোদিত। একইরকম বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর সময়ে সংবাদ ইত্যাদিতে ছবি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়ায় এসব ক্ষেত্রেও প্রয়োজন বিবেচনায় ছবি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে থাকেন কোন কোন ইসলামিক স্কলার। কিন্তু মনে রাখার বিষয় হচ্ছে, প্রাণীর সৌখিন ছবি তোলা এবং তার ব্যবহারকে ইসলাম অনুমোদন দেয় না।

ছবি বিষয়ে হাদিসে অনেক কথা আলোচিত হয়েছে। বলা বাহুল্য, একান্ত প্রয়োজন ব্যতিত ছবি তোলার প্রতি নিরুৎসাহিতকরণের বিষয়টিই হাদিসের সেসব নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সঙ্গত কারণে, হাদিসে বর্ণিত ছবি সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রতি লক্ষ্য রেখে নিতান্ত প্রয়োজন দেখা না দিলে প্রাণীর ছবি পারতপক্ষে আমি ব্যবহার করি না। আশা করি, ব্যাপারটা আপনি বুঝতে পেরেছেন।

আপনি নিজেই কি অস্থির হন নি -- দুই একটা ঘটনা দেখে । একবারে পোস্ট দিয়ে ফেললেন অস্থির হয়ে ।
এখন ইহুদী মুরতাদ মিশেলকে কি হত্যা করা উচিৎ ?
মুরতাদ নুসরাতের শাস্তির দাবি কি করবেন এখন ?


-আমি পোস্ট দিয়েছি বুঝেশুনেই। আর এরকম ঘটনা দুয়েকটা কেন? ঐ যে আগের প্রতিমন্তব্যে বললাম না, আপনি যদি পোস্টের আলোচনার পক্ষে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের এরকম বাস্তব ঘটনার প্রমান অনুসন্ধান করতে চান, আমি বিশ্বাস করি, আপনি শত শত বা হাজার হাজার দৃষ্টান্ত অনায়াসে পেয়ে যাবেন।

একটু কষ্ট করে গুগল করে দেখতে পারেন। আশা করি, নিরাশ হবেন না। আর এ-ও আশা করি যে, আপনি চাইলে এই বিষয়ে তথ্য দিয়ে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।

যাই হোক, আপনার পুনরাগমন এবং মন্তব্যে অভিনন্দন। শুভকামনা।

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

এভো বলেছেন: আর এরকম ব্যতিক্রম দুএকটি ঘটনা দেখে এত অস্থির হবারই বা এমন কি আছে?

250 Muslims convert to Hinduism in Haryana village
May 10, 2020

New Delhi : 250 members of 40 Muslim families converted to Hinduism on 8 May in Bidhmira village in India’s northern state of Haryana. They also performed the last rites of an 80-year woman as per Hindu rituals following their conversion. Earlier, around 35 members of six Muslim families had converted to Hinduism in Danoda Kalan Village of Jind City, Haryana.

Satbir Ahlawat who is one of the persons who have converted to Hinduism said that after the death of his mother Phooli Devi, Muslim families of the village decided to convert to Hinduism and perform the deceased’s last rite as per Hindu customs as they lead their lives as per Hindu customs. However, before conversion, they used to perform last rites as per Muslim customs.

“In official documents, we are Doms who are Scheduled Caste [SC] Hindus. Barring cremation, we have been following the socio-religious activities of the Hindus,” he said.

Meanwhile, Muslim Welfare Organization state president Harfool Khan Bhatti said he knew about the Danoda Kalan village incident [wherein 35 persons converted to Hinduism] but did not have much information about Bithmara village. “The coversion of Danoda Kalan village happened to avail the benefit of the scheduled caste [SC] category as they belong to the Doom caste” he said.

Although Doom caste falls under the SC category, Muslims and Christians of this caste can’t claim the reservation benefit.
Bhatti also cited an example of Mohammad Siddiqui case. Siddiqui was elected as an MLA from the reserved seat of Ludhiana. When the matter reached to the Supreme Court, the MLA claimed that he is a Mazhabi Sikh.
Please Click For The Link
এখন ২৫০ জন মুরতাদের শাস্তি কি ভাই ?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



মুরতাদদের শাস্তির বিধান নিয়ে এই পোস্ট দেয়া হয়নি। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে অযথা বিতর্ক কাম্য নয়। আপনার একান্ত প্রয়োজন হলে, ওদের শাস্তি আপনি নিজেই নির্ধারণ করে নিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০২

বিটপি বলেছেন: নুসরাত জাহানকে মুরতাদ বলা যেত, যদি সে আদৌ মুসলিম থাকত। তাকে কেউ কখনও মুসলিম বলে স্বীকার করেনি। মূলত বিনোদন জগতের তারকাদের কোন ধর্মই নেই। কাস্টিং এবং রাজনীতির প্রয়োজনে এরা বিভিন্ন ধর্মীয় লেবাস ধারণ করে থাকে। নুসরাত জাহানের ব্যাপারে যা জানলাম - সে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেনি, কেবল হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে করেছে। গ্রহন করলেও কিছু যেয়ে আসেনা। যে মুসলিমই না - তার অন্য ধর্ম গ্রহণে কি এসে যায়?

ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং মৌজ ফূর্তির প্রচুর উপকরণ থাকায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধর্মের প্রতি আগ্রহ বেশি। - এই উক্তির কারণে যদি হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ করা হয়, তবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু আমি অনুরোধ করব এই উক্তির পেছনে কি আছে, দেখার জন্য। আমাদের দেশে দেখেছি দূর্গাপূজার মত একটি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে পূজা মন্ডপে উচ্চস্বরে ডীজে মিউজিক হিন্দি গান বাজিয়ে নাচানাচি করা হয়। দেখে বোঝা কষ্ট - এটা কি পূজার মঞ্চ না গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। প্রায় সব ধরণের হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানকেই এরা মৌজ ফূর্তির জায়গা বানিয়ে ফেলেছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বলে যে একটা ব্যাপার থাকে - হিন্দু ধর্মে তা প্রায় অনুপস্থিত। ফূর্তিবাজ ভোগবাদী তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার জন্য এটি চরমভাবে আকর্ষনীয় ধর্ম বলা চলে। এরকম ফুর্তির উপকরণ প্রধান আর কোন ধর্মে নেই।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



যথার্থ বলেছেন।

ধন্যবাদ।

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: ঘটনাটি মর্মস্পর্শী কেনো হবে আনন্দদায়ক হওয়ার কথা নয় কি মুসলিমদের জন্য ?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। যা বলেছেন, ঘটনাটি আনন্দদায়ক ঠিক, কিন্তু মর্মস্পর্শীও তো বটে।

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

এভো বলেছেন: মানুষের প্রয়োজন এবং নিরাপত্তা বিবেচনায় এসব বিষয়ে ছবি তোলা এবং তা ব্যবহারের বিষয়টি ইসলাম ধর্মেও অনুমোদিত

ভাই অপকথা বলেন না -- ইসলাম ধর্মে যে কোন পরিস্থিতিতে ছবি হামার -- এমন কোন হাদিস নেই , আপনার কথার পক্ষে ।
আপনি অন্য জনকে কিসের ভিত্তিতে বলছেন -- কেন ছবি পোস্ট করেছি । এটা তো ব্লগের নীতির পরিপন্থি । যদি অশালিন ছবি দেওয়া হোত তাহোলে কথা ছিল ।
মুরতাদ হত্যার বিধানের কারনে , মুসলমানরা ভয়ে ধর্ম ত্যাগ করে না , যদি এই বিধান না থাকতো তাহোলে লক্ষ লক্ষ মুসলমান ধর্ম ত্যাগ কোরতো ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই অপকথা বলেন না -- ইসলাম ধর্মে যে কোন পরিস্থিতিতে ছবি হামার -- এমন কোন হাদিস নেই , আপনার কথার পক্ষে ।
আপনি অন্য জনকে কিসের ভিত্তিতে বলছেন -- কেন ছবি পোস্ট করেছি । এটা তো ব্লগের নীতির পরিপন্থি । যদি অশালিন ছবি দেওয়া হোত তাহোলে কথা ছিল ।
মুরতাদ হত্যার বিধানের কারনে , মুসলমানরা ভয়ে ধর্ম ত্যাগ করে না , যদি এই বিধান না থাকতো তাহোলে লক্ষ লক্ষ মুসলমান ধর্ম ত্যাগ কোরতো ।


-আপনার সাথে ছবি নিয়ে কথা বলা বৃথা। ক্ষমা করবেন। আপনি যা বলেন কিংবা বুঝে থাকেন, ধরে নেন সেগুলোই সঠিক।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

এভো বলেছেন: আপনার ব্লগে অনেক পোস্টে মানুষের ছবি আছে, মানুষের অংগের ছবি আছে । কাবা শরিফের ভিতর মানুষের জামাতের সারি ছবিও আছে . মাত্র ৪ টার লিংক দিলাম ।
Link ----- 1
Link------ 2
Link----------3
Link----------- 4

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার পুরনো পোস্টগুলো তাহলে ঘুরে এসেছেন আরেকবার। বেশ কষ্টসাধ্য কাজ ছিল এটা। এর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এবার আপনার উল্লিখিত পোস্ট চারটিতে ছবি ব্যবহারের বিষয়ে একটু কথা বলি, চলুন-

১ নং ইয়েমেনে আর একটিও লাশ নয় পোস্টটি দেয়াই হয়েছে, আর কোন মানুষকে যেন সেখানে লাশ হতে না হয়। সেখানে আহত কিংবা নিহতদের ছবি থাকার প্রয়োজন ছিল বিধায়ই তা দেয়া হয়েছে, সৌখিনতা বশতঃ নয়।

২ নাম্বারে এসে তো দুইনম্বরি ধরা পড়ে গেল, এভো! এখানেও তো ১ নম্বর পোস্টের লিঙ্কটাই দিয়ে দিলেন! ইয়েমেনে আর একটিও লাশ নয়

আমার ছবিযুক্ত পোস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর জন্যই কি এমনটি করলেন?

৩ নং ইসলামে যৌতুকের স্থান নেই... পোস্টে নববিবাহিতার কাবিননামায় সিগনেচার করাকালীন একটি দৃশ্য ছিল পোস্টে। এটি দিয়ে বিবাহের কাবিননামায় স্বাক্ষর করার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটাতে সমস্যা কোথায় হয়েছে? এটা কি মুখাবয়বসহ প্রাণির পূর্ণাঙ্গ ছবি? আপনি পূর্বেকার মন্তব্যে মুরতাদ নিয়ে খোচাখুচি করেছেন। সেটাতে টিকতে না পেরে আবার এসেছেন, আরেক ত্যানা প্যাচাতে। আপনি না বুঝেই আবোল তাবোল বকছেন, এভো! দয়া করে সময় কাজে লাগান। অপরের দোষ ধরার আগে নিজের দিকেও মাঝেমধ্যে একটু আধটু তাকানোর চেষ্টা করেন।

৪ নং এর সত্যিকারের মগের মুল্লুকের গল্প, না পড়িলে পুরাই মিসসস!!!!!!!!!!!!!! (রিপোস্ট) -এ আদ্যোপান্ত খুঁজেও কোন ছবি পেলাম না! দুঃখিত! আপনি যে এইভাবে ভুয়া কথাও বলতে পারেন, তা জানা ছিল না! মজার বিষয় বটে!

আপনার জন্য কল্যান কামনা করছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

বিটপি বলেছেন: @এভো, আপনার বেয়াক্কলের মত মন্তব্য দেখলে আসলেই মাথা গরম হয়ে যায়।

খুন হয়ে যাবার ভয়ে যদি লক্ষ লক্ষ মুসলিম ইসলাম ত্যাগ না করে থাকে, তাহলে আমেরিকা-কানাডা-ইউরোপের মুসলমানেরা কেন ইসলাম ত্যাগ করে ভোগবাদী মূলধারায় মিশে যাচ্ছেনা? কে তাদেরকে মুরতাদ হবার দায়ে হত্যা করতে যাবে? ভারতে মুসলিম হয়ে বাঁচা তো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কেন সেখানে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলাম ধর্মকে আঁকড়ে ধরে আছে?

আপনার নিজের দেশে ইসলাম ত্যাগ করার জন্য এ পর্যন্ত কয়জন মুরতাদকে হত্যা করা হয়েছে? হিসাব দিন তো! পূর্বসুরীদের মত এটাকে আবার ওপেন সিক্রেট বলে উড়িয়ে দেবেন না আশা করি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

শুভকামনা জানবেন।

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৭

এভো বলেছেন:
৪ নং এর সত্যিকারের মগের মুল্লুকের গল্প, না পড়িলে পুরাই মিসসস!!!!!!!!!!!!!! (রিপোস্ট) -এ আদ্যোপান্ত খুঁজেও কোন ছবি পেলাম না!

আপনি মানুষের হাতের ছবি দেন নি , প্রাণীর যে কোন অংগ প্রতংগের ছবি হারাম এবং হতের উপর বক পাখীর ছবি ।

১ নং ইয়েমেনে আর একটিও লাশ নয় পোস্টটি দেয়াই হয়েছে, আর কোন মানুষকে যেন সেখানে লাশ হতে না হয়। সেখানে আহত কিংবা নিহতদের ছবি থাকার প্রয়োজন ছিল বিধায়ই তা দেয়া হয়েছে, সৌখিনতা বশতঃ নয়।


আপনি কোন অবস্থায় ছবি দেখাতে পারে না । আপনি ইসলামের মৌলিক বিধান লংঘন করেছেন ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি মানুষের হাতের ছবি দেন নি , প্রাণীর যে কোন অংগ প্রতংগের ছবি হারাম এবং হতের উপর বক পাখীর ছবি ।

-জ্বি, খুব ভালো কথা বলেছেন। ধন্যবাদ । আপনার জ্ঞানের প্রশংসা করতে হয়!

আপনি কোন অবস্থায় ছবি দেখাতে পারে না । আপনি ইসলামের মৌলিক বিধান লংঘন করেছেন ।

-কখন, কোথায় এবং কোন প্রেক্ষিতে ছবি ব্যবহার করা যাবে, আর কোথায় যাবে না, সেই ফতোয়া শেষ পর্যন্ত আপনার থেকেই তাহলে নিতে হবে! :) :) :)

ধন্যবাদ।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৬

এভো বলেছেন: বিটপি বলেছে --- খুন হয়ে যাবার ভয়ে যদি লক্ষ লক্ষ মুসলিম ইসলাম ত্যাগ না করে থাকে, তাহলে আমেরিকা-কানাডা-ইউরোপের মুসলমানেরা কেন ইসলাম ত্যাগ করে ভোগবাদী মূলধারায় মিশে যাচ্ছেনা?

কারন মুরতাদের হিসাবে জীবনের যে কোন পর্যায় খুন হয়ে যেতে পারে তাই , ব্যাংগ করার জন্য কার্টুনিস্ঠদের হত্যা করা হচ্ছে । প্রতি নিয়ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলমান মৌলবাদিরা জংগি হামলা করছে , তাই কেহ ধর্ম ত্যাগ করে না ।
যদি মুরতাদকে খুন না ও করা হয়, তাহোলে তারা শরিয়তের দৃষ্ঠিতে মৃর্তু দন্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং তার মানে মুসলমানরা শরিয়তের বিধান পালন করছে না । মুসলমানরা বিধান পালন করছে না বলে কি ইসলামে মুরতাদ হত্যার বিধান বাতিল হয়ে গেছে ?
ইসলামে মুরতাদ হত্যার বিধান এখনো বহাল , কেউ পালন না করলে সেটা মানুষ গুলোর দোষ । মমিনদের উচিৎ শরিয়া মোতাবেক জীবন যাপন করা ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সাথে তর্ক বৃথা।

ধন্যবাদ।

২০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৩২

বিটপি বলেছেন: @এভো, আবারো বেয়াক্কেলের মত একটা কথা বললেন। কে কবে এসে খুন করে ফেলবে, সেই ভয়ে কেউ ইসলাম ত্যাগ করার সাহস পাচ্ছেনা - সবাই লোকদেখানো নামাজ রোজা করে যাচ্ছে।

আপনি একটা উদাহরণ দেখান তো বিশ্বের কোথাও ইসলাম ত্যাগ করার জন্য কাউকে খুন করার ইসলামী বিধান কার্যকর করেছে কোন এক আল্লাহ্‌র সৈনিক (!)

শরিয়তের দৃষ্টিতে যা অপরাধ, তার শাস্তি কার্যকর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের - ব্যক্তির নয়। এ ধরণের কাজ ব্যক্তি করলে সে কেবল আইনের চোখে নয়, শরীয়তের চোখেও অপরাধী।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

২১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫

এভো বলেছেন: বিটপি বলেছে--- শরিয়তের দৃষ্টিতে যা অপরাধ, তার শাস্তি কার্যকর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের - ব্যক্তির নয়। এ ধরণের কাজ ব্যক্তি করলে সে কেবল আইনের চোখে নয়, শরীয়তের চোখেও অপরাধী।

তাই নাকি !!!!!!! দেখুন তো নীচে কি বলা হয়েছে !!!

শারিয়ার অন্য একটি ভয়ানক আইন হল, মুরতাদকে যে কেউ রাস্তাঘাটে খুন করতে পারে, তাতে খুনীর মৃত্যুদণ্ড হবে না (বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন ১ম খণ্ড, ধারা ৭২)।- অর্থাৎ কোন ধর্মান্ধ মোলা- মুফতি কাউকে মুরতাদ ঘোষণা করলে তাকে খুন করতে অন্য ধর্মান্ধকে উৎসাহিত করা হয়। মুসলিম-বিশ্বে এমন ঘটনা ঘটেছে এবং খুনীর শাস্তি হয়নি। মুরতাদের বিয়ে, সাক্ষ্য ও উত্তরাধিকারও বাতিল হয়ে যায়

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



এভো,

আপনি যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যাচার করছেন তার প্রমান হিসেবে মুরতাদকে হত্যা করার বিধান সম্বলিত গাজী শামছুর রহমান প্রণীত বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন ১ম খণ্ড, ধারা ৭২ এর পূর্ণাঙ্গ পাঠ এখানে উদ্ধৃত করছি-

ধারা-৭২ মুরতাদকে হত্যা করিলে

কোন ব্যক্তি মুরতাদকে হত্যা করিলে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড হইবে না, তবে সে তাযীরের আওতায় দণ্ডযোগ্য হইবে।

ব্যাখ্যা

কোন মুসলিম ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিলে তাহাকে ‘মুরতাদ’ (ধর্মত্যাগী) বলে।

বিশ্লেষণ

যে কোন ধরনের অপরাধীর উপর শাস্তি কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারের। কোন ব্যক্তিকে বিচারের সম্মুখীন না করিয়া শাস্তি দেওয়া বৈধ নহে। মুরতাদ যদিও ইসলাম ত্যাগ করিয়া মৃত্যুদণ্ডের অপরাধী হইয়াছে এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তা হারাইয়া ফেলিয়াছে, তবুও বিনা বিচারে তাহাকে হত্যা করা যাইবে না। অতএব যে ব্যক্তি মুরতাদকে হত্যা করিল সে সরকারের কর্তৃত্বের অবমাননা করিল। এইজন্য সে তাযীরের আওতায় দণ্ডযোগ্য হইবে। এই বিষয়ে ফকীহগণ একমত।


এভো,

মুরতাদকে যে কেউ রাস্তাঘাটে খুন করতে পারে, এ কথা আপনি কোথায় পেলেন???

আপনি তো ইসলামের অপরাধ আইন ও বিধি-বিধানের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছেন। কোন সুস্থ মানুষ এই ধরণের নীতিবিরুদ্ধ অপকর্মে লিপ্ত হতে পারেন, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। কারণ, আইনের উক্ত ব্যাখ্যায় স্পষ্টভাবেই বলা আছে যে, মুরতাদ যদিও ইসলাম ত্যাগ করিয়া মৃত্যুদণ্ডের অপরাধী হইয়াছে এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তা হারাইয়া ফেলিয়াছে, তবুও বিনা বিচারে তাহাকে হত্যা করা যাইবে না।

দয়া করে এসব অপকর্ম পরিহার করুন। ইসলাম ধর্মে যাদের এলার্জি কেবল তাদের পক্ষেই এই ধরনের খন্ডিত, বানোয়াট এবং মনগড়া উদ্দেশ্যমূলক অপব্যাখ্যা উপস্থাপন করা সম্ভব।

গাজী শামছুর রহমান প্রণীত বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন এর ধারাগুলো দেখে আসতে পারেন আরেকবার-

০১. অপরাধ (ধারা ১-১৫)

০২. শাস্তি (ধারা ১৬-৩২)

০৩. মানবজীবনের বিরুদ্ধে অপরাধ (ধারা ৩৩-৮১)

ধন্যবাদ।

২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

এভো বলেছেন: বিধিবদ্ধ ইসলামী আইণ----- প্রকাশক , বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেসন।

৪ জন মিলে ঐ খন্ড গুলো কম্পাইল করা হয়েছে --- তাদের দুই জনের নাম জানি --- একজন হোল জামাতে ইসলামের শাহ আব্দুল হান্নান এবং অপর জন জনাব গাজী শামসুর রহমান ।

আমি ইসলামিক ফাউন্ডেসনেরটা রেফারেন্স দিয়েছি ।

এবার তাযীর আইণ কাকে বলে দেখেন ---- তাজির (অপরাধ যাদের কুরআন ও হাদীসগুলিতে নির্দিষ্ট করা হয়নি, এবং এটি শাসক বা কাদি, অর্থাৎ বিচারকের বিবেচনার ভিত্তিতে ছেড়ে যায়।
----- কি বুঝলেন --- এটা কি শরিয়া আইণ না তাগুদী আইণ ---- শরিয়া আইণে কোন শাস্তি নেই কিন্তু মানুষের বানানো আইণে শাস্তি আছে ।
আপনি যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যাচার করছেন তার প্রমান হিসেবে মুরতাদকে হত্যা করার বিধান সম্বলিত গাজী শামছুর রহমান প্রণীত বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন ১ম খণ্ড, ধারা ৭২ এর পূর্ণাঙ্গ পাঠ এখানে উদ্ধৃত করছি-


এবার বলুন তো কে প্রতারক , তাযীর আইণ মোটে ও শরিয়া আইণ নহে ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আহা! আর বলবেন না ভ্রাতা, অনেক ধন্যবাদ। আর ব্যাখ্যা করতে হবে না, এত কষ্ট করে। আমরা আপনার একান্ত নির্দোষ সমালোচনা(!)র বিষয়টি মোটামুটি, না স্যরি! আদ্যোপান্ত বুঝতে পেরেছি! :) :) :)

ধারণা করি, সামহোয়্যার ইন এর বোদ্ধা ব্লগারগণ এবং পাঠকমহলও আপনার এই বিষয়টি ইতোমধ্যেই উপলব্ধিতে নিতে সক্ষম হয়েছেন। মুরতাদকে রাস্তাঘাটে যে কেউ হত্যা করতে পারবে মর্মে যা কিছু আপনি লিখেছেন, আপনার সব কথা অক্ষরে অক্ষরে সহিহ। সমস্যা করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। যত সমস্যার মূল যে এই ইসলামিক ফাউন্ডেশনই, এটা এতক্ষনে পরিষ্কার হলো! :P :P :P

ঐ যে কথায় আছে না, এতক্ষনে অরিন্দম বিষাদে কহিলা!

আপনার প্রতি শুভকামনা জানাচ্ছি।

২৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

এভো বলেছেন: ঐ যে কথায় আছে না, এতক্ষনে অরিন্দম বিষাদে কহিলা!

ঠিক বলেছেন ---- আপনার দেওয়া রেফারেন্সে বলা হচ্ছে তাযীর আইণ ----- মানি মানুষের বানানো আইণে শাস্তি আছে , সেটা কি শরিয়া আইণ ?
শাতিমে রসুল কে হত্যা করা শরিয়া আইণ সম্মত কিন্তু মানুষে বানানো তাযীর আইণে অপরাধ । দেখেন কি ভাবে মমিনরা শাতিমে রসুলদের হত্যা করছে এবং সরকার আবারা তাযীর আইণে হত্যাকারিদের বিচার করছে ।

তাহোলে ভুল কি বোললাম ---- শরিয়া আইণ কি যে কাউকে যখন তখন মুরতাদ হত্যার পারমিশন দেয় নি । মানুষে বানানো তাযীর আইণের উদাহরন দিয়ে প্রমাণ করতে এসে যে প্রতারনার আশ্রয় নিলেন

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:


ঠিক বলেছেন ---- আপনার দেওয়া রেফারেন্সে বলা হচ্ছে তাযীর আইণ ----- মানি মানুষের বানানো আইণে শাস্তি আছে , সেটা কি শরিয়া আইণ ?
শাতিমে রসুল কে হত্যা করা শরিয়া আইণ সম্মত কিন্তু মানুষে বানানো তাযীর আইণে অপরাধ । দেখেন কি ভাবে মমিনরা শাতিমে রসুলদের হত্যা করছে এবং সরকার আবারা তাযীর আইণে হত্যাকারিদের বিচার করছে ।


-আর বলবেন না, দাদা! আলবত, যা বুঝার সবাই বুঝে গেছেন! ব্যখ্যা বলেন, আর অপব্যাখ্যা বলেন, কাহাতক আর করা যায়! বহুত চেষ্টা করেছেন। আপনার কোশেশ দর্শনে বিমুগ্ধ! বিগলিত! বিমোহিত!

একথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন- শরিয়া আইন কেবলমাত্র উহাই, আপনি যাহা যাহা বলবেন। ইহা ছাড়া বাকিগুলোকে শরিয়া আইনের মধ্যেই ধর্তব্য হবে না।

তাহোলে ভুল কি বোললাম ---- শরিয়া আইণ কি যে কাউকে যখন তখন মুরতাদ হত্যার পারমিশন দেয় নি । মানুষে বানানো তাযীর আইণের উদাহরন দিয়ে প্রমাণ করতে এসে যে প্রতারনার আশ্রয় নিলেন

-আর ইহা কি যে বলেন, আপনি ভুল বলতে পারেন! ইহা অসম্ভব! আপনার বানানো ফতোয়া(!) প্রত্যেক মুসলিম দেশেরই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করে নেয়া উচিত! রাস্তাঘাটে আপনার বানোয়াট ফতোয়া মোতাবেক খুনোখুনি শুরু হলেও ইহা কিছুমাত্র দোষের নয়! সেটাই তো বিষয়, সেটাই তো বলতে চাচ্ছেন, তাই না!

দাদা,

ত্যানায় পেচিয়ে লাভ নেই, প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ইসলামী শরিয়া আইণ যে কাউকে যখন তখন মুরতাদ হত্যার পারমিশন আদৌ কখনোই দেয়নি। এটা বরং, আপনিই দিচ্ছেন। সম্ভবতঃ এসব কথার পরিণাম উপলব্ধি করে, সকল দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েই দিচ্ছেন!

এভাবেই আবারও আপনার কষ্টলব্ধ নতুন কোনো গবেষনা(!) সামনে নিয়ে আসবেন!!!! সো, নতুন কোনো গবেষনায় আবারও মনযোগী হয়ে উঠবেন, আশা করতেই পারি!!!!!

ধন্যবাদ।

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

এভো বলেছেন: যাক আপনি আমাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য তাযীর আইণের ( মানুষের বানানো ) আইণের আশ্রয় নিয়েছেন ।
আপনার অবস্থা এমন -- কেউ যদি বলে ইসলামে চার বিবাহ হালাল --- তখন আপনে বোলবেন -- না না তাযীর আইণের একটা বেশি নহে ।
কেহ যদি বলে ইসলামে চুরির শাস্তি হাত কেটে ফেলা --- তখন আপনি বোলবেন - কে বলেছে কে বলেছে তাযীর আইণে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির কথা বলা আছে ।
কেহ যদি বলে ইসলামে ধর্ষন প্রমাণের জন্য ৪ জন মুসলমান পুরুষের সাক্ষী লাগে -- তখন আপনি বলবেন না না তাযীর আইণে এই সব শর্তের কথা নেই ।
তাহোলে আপনার কাছে শরিয়া আইণ থেকে তাযীর আইণ এবং তাগুদী আইণ বেশি গুরিত্ব পূর্ণ ।
বাহ বাহ !!

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখ করার কিছু নেই! শেষ পর্যন্ত আপনি জিতেছেন, ধরে নেন! তাতেও যদি একটু শান্তিবোধ করেন, তাতে আমরাও খুশিই থাকবো!!!

ধন্যবাদ।

২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নতুন ভাই, দুঃখিত এভোর শেষ দিকের মন্তব্য গুলোর যেভাবে প্রতিউত্তর করেছেন সেটাতে উনার যুক্তি গুলোকেই বেশি শক্তিশালী করে দিয়েছে।
যাইহোক হয়তো আপনি উত্তর দিতে চাননি তাই এভাবে বলেছেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
আপনার অনুধাবন যথার্থ। ধন্যবাদ।

তার কথায় যুক্তির চেয়ে বিভ্রান্তির উপাদান বরাবরই অধিক মনে হয়েছে আমার কাছে। যা হোক, তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে থাকার চেষ্টা করেছি। তিনি ভালো থাকুন এবং কুশলে থাকুন, এই কামনা রাখি।

কথা হচ্ছে, কোন মন্তব্যটা অন্যকে হেয় করা কিংবা পরাস্ত করার মানসিকতা নিয়ে করা, আর কোনটা নিজের সরল মতামত প্রকাশের উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে - একটি মন্তব্য পড়লেই এই বিষয়টা সহজে অনুধাবন করা সম্ভব। এভোর কৃত মন্তব্যগুলোর উত্তর দিতে অনাগ্রহবোধের কারণও নিশ্চয়ই আপনার বুঝার বাকি নেই, আশা করছি। মোট কথা, আলোচনা ও মতামত প্রকাশের নামে অনর্থক, অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে অহেতুক প্যাচাপেচি করে সময়ক্ষেপন নিতান্তই অপছন্দনীয়।

শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.