নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিন, মৃত্যুদিন ইত্যাদি পালনের যৌক্তিকতা ও বিধান

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫০



ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিন, মৃত্যুদিন ইত্যাদি পালনের যৌক্তিকতা ও বিধান

ইসলামে জন্মদিন (Birthday), মৃত্যুদিন, বিবাহ বার্ষিকী, ভালোবাসা দিবস, বাবা দিবস, মাতৃ দিবস ইত্যাদি পালনের আদৌ কোন বিধান আছে বলে জানা যায় না। বস্তুত: যারা এগুলো পালন করে থাকেন, তারা এই বিষয়ে ইসলাম ধর্মের আচরণবিধি ও নির্দেশনা সঠিকভাবে অবহিত না থাকার কারণে এবং দিবস পালনে ইসলামী মূল্যবোধ এবং মর্ম যথাযথভাবে উপলব্ধি না করার ফলেই হয়তো করে থাকেন।

বার্থ-ডেসহ অন্যান্য দিবস পালন করা ইহুদি খৃষ্টানদের আদর্শ:

বার্থ-ডে বা জন্মদিন, মৃত্যুবার্ষিকী, বিবাহবার্ষিকী ইত্যাদি পালন করাকে কেউ কেউ সুন্নত বলে চালিয়ে নিতে চান। তাদের সদয় জ্ঞাতার্থে বলে রাখা প্রয়োজন যে, বার্থ-ডেসহ এই জাতীয় অন্যান্য দিবস পালন করাকে যদি সুন্নত বলতেই চান তাহলে বলুন, কিন্তু এটা জেনে রাখুন, এগুলো ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক আখেরী নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নয়, বরং ইহুদি খৃষ্টানদের সুন্নত। ইসলাম ও মুসলিমদের দিবস পালনের এসব প্রথা ও রেওয়াজের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। যেহেতু সম্পর্ক নেই, কোন যোগসূত্র নেই, কোন নির্দেশনা নেই, কোন প্রমান নেই, সুতরাং, এমন কাজকে গ্রহণ করে নেয়া মুসলমানদের জন্য কিভাবে শোভনীয় হতে পারে?

নষ্টামো ও চরিত্রহীনতার স্থান নেই ইসলামে:

ইদানিং ‘জন্মদিন’ পালনের প্রবণতা একটু বেশিই পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধনী হোক আর গরিব হোক, জন্মের দিনটা ঘটা করে পালন না করলে যেন মনে শান্তি আসে না, এ রকম একটা ভাব অনেকের মাঝে পরিলক্ষিত হচ্ছে। শুধু মানুষের কথা বলি কেন? বর্তমান বিশ্বে অতি আধুনিকতার বাহারি মোহে অন্ধ এমন কিছু বিত্তশালীও তো রয়েছেন যারা তাদের পোষা কুকুরটিরও জন্মদিন পালন করে থাকেন! এদিন তারা নানা আয়োজন করে বন্ধু-বান্ধবকে নিমন্ত্রণ করেন, আনন্দ-উল্লাস করেন, মদ্যপান করেন, নর্তকি নাচিয়ে উদযাপন করার নামে বৈধ অবৈধ কোন প্রকারের অপকর্মে লিপ্ত হতে পিছপা না হয়ে নিয়ন্ত্রণহীন উদ্যম আমোদ প্রমোদ আর ফুর্তি করে দিনটা পার করে দেন। এই জাতীয় মাতলামীপূর্ণ আনন্দের অনুষ্ঠান এবং আসরগুলোর অন্তরালের অবস্থা যে কি পরিমান ভয়ঙ্কর হতে পারে তার অতি সামান্য বর্ণনা কদাচিত জনসমক্ষে এসে থাকে ধর্ষন, সংঘবদ্ধ ধর্ষন কিংবা এই প্রকারের জঘন্যতম কিছু কিছু ঘটনা কোন কারণে ফাঁস হয়ে পড়ার কারণে, কিংবা ধর্ষিতার বিচারপ্রার্থী হওয়ার মাধ্যমে। আমরা ২০১৭ সালে বনানীর ২৭ নম্বর রোডের রেইনট্রি হোটেলে দেশের জনৈক সম্পদশালী ব্যক্তির সন্তানের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানের পীড়াদায়ক পরিনতি প্রত্যক্ষ করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে জন্মদিন পালনের সে অনুষ্ঠানে ধর্ষিত দুই শিক্ষার্থীর করা মামলার ব্যাপক আলোচিত রায়ও প্রত্যক্ষ করেছি। জন্মদিন পালনের নামে এইসব নষ্টামো ইসলামে চিন্তারও অতীত।

কেক কেটে জন্মদিন পালনের সূচনা:

কেক কেটে জন্মদিন পালনের উদ্ভবটা সম্ভবত: সর্বপ্রথম পশ্চিমা দেশগুলোতেই ঘটে। আর জন্মদিনের সূচনা হয় ফিরাউন থেকে। বাইবেলের বুক অব জেনেসিসে এসেছে, ‘তৃতীয় দিনটা ছিল ফিরাউনের জন্মদিন। ফিরাউন তার সব দাসদের জন্য ভোজের আয়োজন করলেন। সেই সময় ফিরাউন রুটিওয়ালা ও খাদ্যদ্রব্য পরিবেশককে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন।’ -আদি পুস্তক : ৪০২

সুতরাং বুঝা গেল, জন্মদিন পালনের উদ্ভব ঘটেছে ফিরাউন থেকে। ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই।

এই উম্মতের পূর্ববর্তী মহান ব্যক্তিদের কেউ জন্মদিন পালন করেননি:

জন্মদিন পালনের গুরুত্ব যদি ইসলামে থাকতো, তা হলে সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম, তাবেয়িগণ এবং তাবে তাবেইনসহ পূর্ববর্তী মহান ব্যক্তিদের থেকে এটি পালনের প্রমাণ থাকার কথা। কিন্তু আদৌ তা নেই। তারা জন্মদিন পালন করবেন তো দূরের কথা, কারও কারও জন্মসন জানা গেলেও কোন মাসের কোন তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তা অবধি জানা যায়নি।

অনর্থক কাজ এবং অপচয় এর কোনটাই ইসলামে অনুমোদিত নয় বিধায় জন্মদিন পালনেরও সুযোগ নেই:

এমনকি আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রবিউল আউয়াল মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন এটা নিয়েও রয়েছে মতভেদ। সঙ্গত কারণে জন্মদিন পালন নিঃসন্দেহে একটি অনর্থক কর্ম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইসলামে এর কোন স্থান নেই। এদিন ফেসবুকে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো, আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধব জমায়েত হয়ে উৎসব করা, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, বিশেষ দোয়া, সালাম বা উপহার পেশ করা, বয়স অনুপাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে তা ফুঁ দিয়ে নেভানো, কেক কেটে খাওয়া প্রভৃতি কাজ এসব অপচয় কোনো ধার্মিকের হতে পারে না।

হাদিসে এসেছে, আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لَتَتَّبِعُنَّ سَنَنَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حذو القذة بالقذة حَتَّى لَوْ دخلوا جُحْرَ ضَبٍّ لَدخلتتُمُوهُ قالوا: يَا رسول الله الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى. قَالَ: فَمَنْ؟»

“অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির [ইহুদি নাসারাদের] সুন্নত (তরিকাহ) অনুসরণ করবে বিঘত বিঘত এবং হাত হাত পরিমাণ (অর্থাৎ, সম্পূর্ণরূপে)। এমনকি তাঁরা যদি সাণ্ডার (গো-সাপ জাতীয় এক প্রকার হালাল জন্তুর) গর্তে প্রবেশ করে, তবে তোমরাও তাকে অনুসরণ করবে (এবং তাঁদের কেউ যদি রাস্তার উপর প্রকাশ্যে স্ত্রী-সঙ্গম করে তবে তোমরাও তা করবে!)” সাহাবাগণ বললেন, “আল্লাহ্‌র রাসূল ইয়াহুদ ও খ্রিস্টানরা?” তিনি বললেন, “তবে আবার কারা?” -সহিহ বুখারি : ২৬৬৯

অন্য একটি হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ

“যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।” -সুনানে আবু দাউদ, হা/৪০৩১-হাসান সহিহ, সহিহুল জামে : ৬০২৫

নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ছেড়ে অন্য কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইহুদিদের সাদৃশ্য অবলম্বন কর না, খ্রিস্টানদেরও সাদৃশ্য অবলম্বন কর না।’ -সিলসিলাহ সহিহা : ২১৯৪

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

اتَّبِعُوا مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاءَ ۗ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ

‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কারও অনুসরণ কর না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।’ -সূরা আল আরাফ : আয়াত ৩

তা ছাড়া জন্মদিনে খুশি হয়ে আনন্দ-উৎসব করা নেহায়েতই বোকামি। কেননা, জীবন থেকে একটি বছর ঝরে গেলে তার জন্য আক্ষেপ ও দুঃখ করা উচিত, খুশি নয়।

যা হোক, ইসলামে যেহেতু জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করার অস্তিত্ব নেই সেহেতু অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বনে জন্মদিবস (Birth Day) পালন করার সুযোগ মুসলিম তথা আমাদের নেই।

কোন মুসলিম ব্যক্তি জন্মদিন পালন করলে সেক্ষেত্রে করণীয়:

কোন মুসলিম ব্যক্তি অজ্ঞতাবশত: এমনটি করলে তার সামনে এ বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে এবং এ সম্পর্কে ইসলামের বিধান এমনভাবে তাকে অবহিত করতে সচেষ্ট হতে হবে যাতে তিনি সঠিকভাবে ইসলাম ধর্মে জন্মদিন, মৃত্যুদিন ইত্যাদি পালনের অসারতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হন।

এতদ্ব্যতিত কখনো যদি আপনি এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হন যে, কোন শুভাকাঙ্খী যদি আপনার জন্মদিবস মনে রেখে সেই তারিখে উপহার নিয়ে আপনার কাছে চলে আসেন অথবা আপনাকে উইশ করে বসেন তখন আপনার করণীয় কি? এই ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ তাকে তার এই কাজের জন্য তিরষ্কার না করাই উচিত। তার নীত উপহার তাকে ফেরত দেয়াও ঠিক নয়। বরং এমনটা করা হলে যদি তার এবং আপনার সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে (সম্পর্ক নষ্ট হলে দাওয়াতের পথও রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে)। সেই কারণে এমনটা অনুভূত হলে দাওয়াতের বৃহত্তর স্বার্থে আপাতত: তার উপহার গ্রহণ করাই শ্রেয়। তবে সুবিধা মত সময়ে তার কাছে ইসলামের এই বিষয়ক বিধান সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করে তাকে বুঝাতে হবে যে, ইসলামে জন্ম দিবস পালন করা বা এ উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান-আয়োজন করা, উইশ বা উপহার বিনিময় করা বৈধ নয়। তাকে এটাও বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে যে, ভবিষ্যতে আর কখনো তিনি যদি এমনটি না করেন তাহলে আপনি তার প্রতি অধিক খুশি থাকবেন। এতে করে একইসাথে দু'টি কাজ হবে, তিনি মন খারাপও করবেন না, আবার ভবিষ্যতের জন্য বিষয়টি তার জানার সুযোগও হয়ে যাবে, যাতে করে তিনি সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন।

ইসলামে প্রতিটি দিনই অপরের কল্যান কামনায়:

জন্মের দিনটিতে বা বছরের বিশেষ একটি দিনে শুভেচ্ছা জানানোর নীতিতে ইসলাম বিশ্বাস করে না। সত্যিাকারার্থে এই ধরণের নীতি থাকার সুযোগ আদৌ ইসলামের মূলনীতির সাথেও যায় না। কারণ, ইসলাম এমন এক শ্বাশত আদর্শের নাম যেখানে প্রতিটি দিনই ভরে থাকে অপরের কল্যান এবং শুভকামনায়। কারণ, হাদিসে এসেছে, অপরের কল্যান কামনাই দ্বীন। অতএব, এখানে বিশেষ বিশেষ দিনে অনুষ্ঠান করে শুভকামনা জানানোর প্রয়োজন তাই মোটেই পড়ে না। আর সর্বোপরি, প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম, তাবেয়িগণ এবং তাবে তাবেইনসহ পূর্ববর্তী আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন, মুহাদ্দিসীন ও মুফাসসিরীনে ইজাম প্রমুখ মহান ব্যক্তিদের থেকে এটি পালনের কোন প্রমাণ কিংবা নির্দেশনা যেহেতু কোনভাবেই প্রমানিত নেই, সুতরাং এই কর্মকান্ড থেকে সযত্নে বিরত থেকে নিজেদের ধর্মীয় স্বকীয়তা বজায় রাখা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকের একান্ত দায়িত্ব হওয়া উচিত।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমিন।

উৎসর্গ: ব্লগার রাজীব নুর ভাইকে পোস্টটি উৎসর্গ করছি। মূলত: অন্য এক পোস্টে তার একটি প্রশ্নের প্রেক্ষিতে দেয়া উত্তরটিই এখানে সংশোধিত আকারে পোস্ট আকারে উপস্থাপন করা হলো। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি বা আপনার পরিবারের কারো জন্মদিনে আপনি বা আপনার পরিবারের অন্য সদস্যরা কি করেন জানতে ইচ্ছে করছে।

যতদূর জানি নবীজী তার জন্মবার সোম বারে রোজা রাখতেন। আমাদের মাঝে কে কে রাখে কে জানে!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি বা আপনার পরিবারের কারো জন্মদিনে আপনি বা আপনার পরিবারের অন্য সদস্যরা কি করেন জানতে ইচ্ছে করছে।

-অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিকভাবেই দিনটা পার হয়ে যায়। সত্যি কথা হচ্ছে, জন্ম তারিখটাকে হিসাব কষে গুণে গুণে মনে রাখার মত কোন বিষয়ই মনে করি না।

যতদূর জানি নবীজী তার জন্মবার সোম বারে রোজা রাখতেন। আমাদের মাঝে কে কে রাখে কে জানে!!

-জ্বি, তিনি রোজা রাখতেন তবে শুধু সোমবারে নয়, সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার- এ দু’দিন রোজা রাখা তাঁর অভ্যাস ছিল। এটি একটি সুন্নাত আমল। কিন্তু প্রশ্ন হল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেন সপ্তাহের এ দু’দিন রোযা রাখতে পছন্দ করতেন? এর কারণ জানা যায় বিভিন্ন হাদিস হতে।

যেমন, আবূ কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সোমবারে রোযা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর উত্তরে বলেছিলেন,

ذَلِكَ يَوْم وُلِدَتْ فِيْهِ وَيَوْم بِعْثَتٍ فِيْهِ أَوْ أُنْزِلَ عَلَى فِيْهِ

এ দিনে আমার জন্ম হয়েছে এবং এ দিনে আমাকে নবুওয়াত দেয়া হয়েছে বা আমার উপর কুরআন নাযিল শুরু হয়েছে। -মুসলিম : ১১৬২

অন্য আরেক হাদীসে আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الإِثْنَيْنِ وَالْخَمِيْسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِيْ وَأَنَا صَائِمٌ

(প্রত্যেক সপ্তাহে) সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়ে থাকে। কাজেই আমি রোযাদার অবস্থায় আমার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে পেশ করা হোক এমনটি আমি পছন্দ করছি। -তিরমিযী : ৭৪৭

মা আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেছেন,

أَنَّ النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَتَحَرَّى صِيَامَ الإِثْنَيْنِ وَالْخَمِيْسِ

নাবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম পালনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতেন। -নাসাঈ : ২৩৬০; তিরমিযী : ৭৪৫

কিন্তু এখনকার লোকদের তো নিজেদের জন্মদিনে রোজা রেখে আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে দেখা যায় না। বরং জন্মদিন পালনের নামে নানাবিধ আমোদ ফুর্তিতে মেতে উঠতে দেখা যায় তাদেরকে, যার অনুমোদন ইসলামে আদৌ নেই।

মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: জানার জন্য জিজ্ঞাসা: কেউ যদি অন্য ধর্মের অনুকরনে জন্মদিন উদযাপন (কেক কাটা,নাচ-গান) না করে এমনটা করে যে সে এই দিনে পৃথিবীতে এসেছে এই শোকরিয়ায় সে ঐ দিন রোজা রাখে অতপর রাতে পরিবারের সদস্যদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করে-এটা কি করা যাবে?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রশ্নটি করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। উত্তরটা একটু পরে দিব ইনশাআল্লাহ।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৪

নগরবালক বলেছেন: ধর্ম আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃস্টি করে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। ধর্ম যেহেতু একাধিক বা অনেক, তাই পার্থক্যও থাকা খুবই স্বাভাবিক। তাই ধর্মীয় পার্থক্যগুলোকে বিভাজন হিসেবে না দেখে ভিন্নতার সৌন্দর্য্য, বৈচিত্র্য এবং স্বকীয়তা হিসেবে দেখাই বোধ হয় অধিক যৌক্তিক।

শুভকামনা জানবেন।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়লাম।

আমি আমার কন্যার জন্মদিন করবো। খুব ধূমধাম করেই করবো। পাপ হলে হোক।
আরেহ ভাই, একটা বিশেষ দিনে পরিবারের সবাই মিলে কেক কাটবো, আনন্দ করবো। এটা মন্দ কিছু না।
১৪০০ বছর আগে নবিজি যা করেছেন সেটা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। মানাও সম্ভব না।

বাস্তব জীবনে কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ ধর্ম মানে না। মানে না কারন ধর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। স্কুল শুরু হয় জাতীয় সংগীত দিয়ে। খেলা শুরু হয় জাতীয় সংগীত দিয়ে। মানুষ বুঝে গেছে ধর্ম তাকে কিছু দিবে না। বরং তার আনন্দ কেড়ে নিবে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আচ্ছা, আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। তবে, ধর্ম এবং ধার্মিকদের প্রতি আন্তপ্রাণ যেহেতু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ, সে কারণে কথায় কথায় ধর্মবিরোধ উস্কে দেয়া হয় এমন কিছুকে সযত্নে এড়িয়ে চলাই ভালো মনে করি। আর এ কথায় সম্ভবত: আপনিও সহমত হবেন যে, বিভেদ সৃষ্টি করাকে কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য মনে করা যায় না এবং জ্ঞানী লোকের কাজও তা হতে পারে না।

বাস্তব জীবনে আপনি যদি ধর্ম মেনে চলতেন, আপনার সম্পর্কও স্বাভাবিকভাবেই ধার্মিকদের সাথেই হওয়াটা বিশ্বাসযোগ্য ছিল। আমার ধারণা, আপনি যাদের সাথে চলাফেরা করেন, তাদের অধিকাংশকে দিয়েই হয়তো আপনি এ দেশের ধার্মিক সংখ্যা বিচার করতে চান, এটাও সম্ভবত: ভুল একটি থিউরি। কিছু দিন পারলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, একেবারে পাঁচ ওয়াক্তই মসজিদে জামাআতের সাথে আদায় করে দেখেন। আমি শিউর, আপনার 'বাস্তব জীবনে কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ ধর্ম মানে না। মানে না কারন ধর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। স্কুল শুরু হয় জাতীয় সংগীত দিয়ে। খেলা শুরু হয় জাতীয় সংগীত দিয়ে। মানুষ বুঝে গেছে ধর্ম তাকে কিছু দিবে না। বরং তার আনন্দ কেড়ে নিবে।' ধারণা পাল্টে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর যদি না পাল্টায়, তাহলে আমাকে জানান। আমি আপনাকে ভরপুর যা খেতে চান, তাই খাওয়াতে রাজী থাকবো।

ভালো থাকার প্রার্থনা।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবের যেই এলাকায় ইসলাম গড়ে উঠেছে, তখনকার সময়ে উহা ছিলো ভয়ানক দরিদ্র, শিক্ষাদীক্ষাহীন এলাকা; তাদের গোত্রীয় সংস্কৃতি ও সমাজিক জীবন ছিলো রূঢ়; তারা কি করেছে, কি জানতো, উহা এখন পরিস্কার এবং অনুকরণীয় নয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি কোথায় আছেন এখন? চাঁদে, না মঙ্গলে?

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

নতুন বলেছেন: মানুষই ঠিক করবে কোনটা তারা পালন করবে আর কোনটা বর্জন করবে।

মানুষ ধর্মের নামে অনেক কিছুই নিষেধ করে। কিন্তু আদো ধর্ম সেটা নিষেধ করেনা।

এই কারনেই কিন্তু মানুষ আস্তে আস্তে ধর্মের অনেক কিছুই এখন পালন করেনা। তার সংখ্যাটা দিন দিন বাড়বে।

ধর্মের দোহাই দিয়ে জীবনকে জটিল এবং পানশে করার উপদেশ দিলে বর্তমান আর ভবিষ্যতের মানুষ তা মানবে না।

২১ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মানুষই ঠিক করবে কোনটা তারা পালন করবে আর কোনটা বর্জন করবে।

-গরুকেই যদি সিদ্ধান্ত নিতে দেন যে, সে কি খাবে আর কি খাবে না, তাহলে অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম না। সে ঘাস ফেলে দিয়ে ধানের কঁচি ডগাগুলোকেই সাবার করতে লেগে যাবে।

মানুষকে যদি বিবেকের উপরে ছেড়ে দেন, অবস্থাও ভয়াবহ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। বিবেকের ব্যবহার ক'জন করে? বেশিরভাগই তো 'উলটপালট করে দে মা, লুটেপুটে খাই' টাইপের। আর মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা তো আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং, মানুষের সীমিত জ্ঞানের দ্বারা উদ্ভাবিত মনগড়া পথে নয়, স্রষ্টা প্রদত্ত সুশৃঙ্খল বিধান মেনে চলার ভেতরেই শান্তি, মুক্তি ও কল্যান।

মানুষ ধর্মের নামে অনেক কিছুই নিষেধ করে। কিন্তু আদো ধর্ম সেটা নিষেধ করেনা।

-ধর্ম যে কাজে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি সেই কাজকে যারা নিষিদ্ধ সাব্যস্ত করে তারা অপরাধে লিপ্ত।

এই কারনেই কিন্তু মানুষ আস্তে আস্তে ধর্মের অনেক কিছুই এখন পালন করেনা। তার সংখ্যাটা দিন দিন বাড়বে।

-জ্ঞানী ব্যক্তিরা সেই কারণে ধর্ম ছেড়ে দেন না, বরং ধর্মের ভুল ব্যাখ্যাকারীদের পরিত্যাগ করেন। আপনার এই কথাটা কেমন জানি বাচ্চাসুলভ খেলো খেলো মনে হলো।

ধর্মের দোহাই দিয়ে জীবনকে জটিল এবং পানশে করার উপদেশ দিলে বর্তমান আর ভবিষ্যতের মানুষ তা মানবে না।

-ইসলাম ধর্মের প্রকৃত দর্শন- ভোগ এবং উপভোগের একমাত্র উদ্দেশ্যে পার্থিব জীবন নয়। পরকালই হচ্ছে আসল ঠিকানা। এখানকার সংক্ষিপ্ত জীবন সেই অনন্তকালীন জীবনের প্রস্তুতির স্থান মাত্র। এখানে যে উত্তম কাজ সম্পাদন করবে, পরকালে সে তার বিনিময় লাভ করবে। সর্বক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবন যাপন করাতে কোন দোষ নেই। জীবন পরিচালনায় ইসলামের দর্শন সত্যিই চমকপ্রদ। ইসলাম জীবনের সকল কাজে, সকল ক্ষেত্রে এবং সর্বাবস্থায় একটি পরিমিতিবোধ নির্ধারণ করে দিয়েছে। পক্ষান্তরে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন, অপব্যয় এবং অপচয় ইত্যাদিকে নিরুৎসাহিত করেছে।

নিয়মের মধ্যে থেকে জীবন পরিচালনা করতে যারা পছন্দ করেন, স্বাভাবিকভাবেই তাদের ইসলাম ধর্মের মৌল দর্শন পছন্দনীয় হবে। পাশ্চাত্যের বহু অমুসলিম মনীষীও এই সত্যের সরল স্বীকারোক্তি করেছেন।

তবে যারা বিশ্বাস করে থাকেন যে, খাও দাও ফুর্তি করো, 'Eat, drink and be marry' -এর নামই জীবন, তাদের বিষয়টা একটু ভিন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক। তাদের কাছে ইসলামের সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং পরিশীলিত ও মার্জিত জীবনাচার পালন করা মারাত্মক কষ্টের কারণ হয়ে উঠতেই পারে। :)

শুভকামনা।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

জ্যাকেল বলেছেন: আপনারা একটা ঘোরের মইধ্যে আছেন নকীব সাহেব। ইসলামকে জনগণের জইন্য এত কঠিন করে ফেলা উচিত না। মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারবে না এইভাবে পদে পদে হস্তক্ষেপ করিতে থাকিলে। ইসলামের সুঁচকে বর্শি বানিয়ে ব্যক্তিগত/পারিবারিক বিষয় আশয় হিসেবে কনসিডার করা মোটেও ভাল কাজ নয়। ইহুদী খ্রিস্টানের মইধ্যে ধর্মীয়ভাবে জন্মদিন পালন করা হইলে ইসলামে এইটা এলাউড হবে না, এটা মানি। কিন্তু কোথায় ফেরাউনের যুগ আর কোথায় আমাদের ২০২২ সাল। কিসের সাথে কি মেলাচ্ছেন?
আপনি বরজোর নিরুৎসাহিত করতে পারেন কিন্তু হারাম বলে ইসলামের এক্সটেনশান করতে পারেন না, এইটা বিদআত। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজের জন্মদিন পালন করি না, করতে দেই না। তবে আমার ভাতিজা, ভাগ্নের জন্মদিন পালন করতে দাওয়াত দিলে তাতে অংশ নেই, পারিবারিক মেলবন্ধন হিসাবে এটা ভাল একটা অপরচুনিটি। এখানে এত সংকীর্ণতা ভাল নয়।

২১ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আসলে কাউকে বাধ্য করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় যে, সে তার জন্ম দিন পালন করতে পারবে না। জোরজবরদস্তি করা ইসলামের মূলনীতির অংশও নয়। সঠিক কথাগুলো সবার সামনে তুলে ধরার দায়িত্বটুকুই আমরা বড় জোর পালন করতে পারি। এরপরে যার ইচ্ছে জন্মদিন, মৃত্যুদিন ইত্যাদি পালন করবেন, আর যার ইসলাম ধর্মের বিধান মানতে ইচ্ছে হবে তিনি পালন করবেন না। ব্যাস, এতটুকুই। এখানে সংকীর্ণতার কিছু নেই। ইসলামী সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিকালচার কি এমনই যে, তাতে আনন্দ ফুর্তি করার যথেষ্ট উপাদান ও সুযোগ রাখা হয়নি? তাহলে যে আনন্দ উৎসবে ইসলামের কোন অনুমোদন নেই, সেসবের ব্যাপারে নমনীয়তা কেন দেখাতে হবে? আপনিই তো বললেন যে, আপনি নিজের জন্মদিন পালন করেন না এবং তা অন্যদেরও পালন করতে দেন না। তাহলে আবার একইসাথে দুই ধরণের কথা কেন? এতে তো কনফিউশন তৈরি হবে। যেটা আপনার ভালো লাগে না, আপনার বিবেক যে কাজটিতে সায় দেয় না। সেটা বর্জন করাই কি উচিত নয়?

শুভকামনা জানবেন।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬

জ্যাকেল বলেছেন: সঠিক কথাগুলো সবার সামনে তুলে ধরার দায়িত্বটুকুই আমরা বড় জোর পালন করতে পারি। এরপরে যার ইচ্ছে জন্মদিন, মৃত্যুদিন ইত্যাদি পালন করবেন, আর যার ইসলাম ধর্মের বিধান মানতে ইচ্ছে হবে তিনি পালন করবেন না। ব্যাস, এতটুকুই। এখানে সংকীর্ণতার কিছু নেই। ইসলামী সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিকালচার কি এমনই যে, তাতে আনন্দ ফুর্তি করার যথেষ্ট উপাদান ও সুযোগ রাখা হয়নি? তাহলে যে আনন্দ উৎসবে ইসলামের কোন অনুমোদন নেই, সেসবের ব্যাপারে নমনীয়তা কেন দেখাতে হবে? আপনিই তো বললেন যে, আপনি নিজের জন্মদিন পালন করেন না এবং তা অন্যদেরও পালন করতে দেন না। তাহলে আবার একইসাথে দুই ধরণের কথা কেন?

আপনি সঠিক মনে করতে পারেন কিন্তু বাস্তবে তা সঠিক নাও হইতে পারে। ইউনিভার্সাল সঠিক বলে চালিয়ে দিলে তো সমস্যা ভাইসাহেব। আপনি দ্বায়িত্ব মনে করে প্রচারণা করবেন কিন্তু এমন হইতে পারে আপনি উল্টা বিদাত করতেছেন। যেমন মিলাদ পড়া একটা ধর্মীয় কাজ গণ্য করা হইতেছে আসলে এইটা ইসলামের শুরুতে কোথাও ছিল না, এখন বাংলাদেশ ভারতে এইটা চালু আছে অথচ মদিনাতে নাই। জন্মদিনের ব্যাপারে আমি কি বলেছি সেইটা আপনি মাথায় নিতে পারেন নাই। বোল্ড করে এইবার দিয়েছি যাতে আপনার বুঝতে সুবিধ হয়।


ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজের জন্মদিন পালন করি না, করতে দেই না। তবে আমার ভাতিজা, ভাগ্নের জন্মদিন পালন করতে দাওয়াত দিলে তাতে অংশ নেই, পারিবারিক মেলবন্ধন হিসাবে এটা ভাল একটা অপরচুনিটি। এখানে এত সংকীর্ণতা ভাল নয়।

এইখানে আমি শুধু নিজের জন্মদিন পালন করতে দেই না। অন্যের জন্মদিনে দাওয়াত দিলে তাতে অংশ নিই, সেই কথাও লিখা আছে। এর মানে ব্যাপারটা মর্জির ওপর ছেড়ে দেওয়া।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৬

নতুন বলেছেন: এই কারনেই কিন্তু মানুষ আস্তে আস্তে ধর্মের অনেক কিছুই এখন পালন করেনা। তার সংখ্যাটা দিন দিন বাড়বে।

-জ্ঞানী ব্যক্তিরা সেই কারণে ধর্ম ছেড়ে দেন না, বরং ধর্মের ভুল ব্যাখ্যাকারীদের পরিত্যাগ করেন। আপনার এই কথাটা কেমন জানি বাচ্চাসুলভ খেলো খেলো মনে হলো।


ধর্ম যদি মানুষকে শুধুই পরকালের জীবনমুখি করে রাখে তবে মানুষ মৃত্যু ভয়ে জীবন জাপন করতে পারবেনা। তারা তাদের জীবনটা পার করবে ভয়ে, হতাশায়।

ধর্ম মানুষকে নিয়ন্ত্রন করতে চায় কিন্তু এখন মানুষ আগের মতন মৃত্যু ভয়ে তত ভীতু না। তাই মানুষ নামে ধর্ম পালন করে কিন্তু কাজে গুনাহের ভয়ে ধর্মের নিয়ম পালন করেনা।

আরেকটা জিনিস হলো, ধর্মের আনন্দ করতে নিষেধ করলে ( গান,নাচ,মুভি, এমনকি জন্মদিন) মানুষ আস্তে আস্তে ধর্মকেই কম পালন করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.