নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
পবিত্র কুরআনুল কারিমের ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত
চলুন, জেনে নিই মাহে রমজানে খুব সহজে পবিত্র কুরআন খতম করার নিয়ম
ব্যতিব্যস্ততার ঘেরাটোপে আবদ্ধ আমাদের প্রত্যেকের জীবন। কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে কাজকর্মহীন বেকারদেরও নানান ব্যস্ততা। প্রিয় বেকার ভাই বেরাদরগণ ব্যস্ততায় হয়তো আরও এককাঠি সরেস। ঘর নেই যার, সবার ঘরই তার - এমন একটা কথা আছে না আমাদের দেশে! তাদের অবস্থাও হয়তো অনেকটা সেরকমই! নির্দিষ্ট কাজ নেই তো কি হয়েছে? তাই বলে ব্যস্ততাও কি থাকতে পারবে না? সেটাই। বেকার লোকদের কেউ কাউকে কাউকে এমনও দেখা যায়, যাদের নাওয়া খাওয়ার সময়ও হয়ে ওঠে না ঠিকমত! বুঝুন তাহলে সত্যিকারের ব্যস্ততা কাদের বেশি! ভাবটা এমন যে, রুদ্ধশ্বাস ছুটতে ছুটতে তাদের অবস্থা যেন- সময় নেই, অবসর নেই, ফুরসত নেই, সুযোগ নেই, বিশ্রাম নেই। লক্ষ্য নেই, উদ্দেশ্য নেই, টার্গেট নেই, করণীয় নেই, সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী নেই বলেই হয়তো তাদের এমন উদ্দেশ্যবিহীন ছুটোছুটি। কি কাজে তারা ছোটেন, তারাই ভালো জানেন। আমরা তাদের জন্য কল্যানকর কর্মসংস্থানের প্রার্থনা করি।
যা হোক, শুধু বেকার বলে কথা নয়, আমাদেরও অবস্থা দিনকে দিন জটিলতার দিকেই যাচ্ছে। কাজ না থাকলেও আমাদের ব্যস্ততা বলা চলে, মোটেই কমে না। মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি আমাদের জীবনকে আমূল পাল্টে দিয়েছে, দিচ্ছে নিয়তই। দিনকে দিন নিজেদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কাছেই যেন ধরাশায়ী হয়ে পড়ছি আমরা। কল্যানের কাজে ব্যবহারের প্রযুক্তির ক্ষতিগুলোও বড় হয়ে ধরা দিচ্ছে ক্রমান্বয়ে। স্বীকার করুন আর না করুন, অনেকেরই ইবাদত বন্দেগী পর্যন্ত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এসবের প্রভাবে - দুঃখজনক হলেও আমার পর্যবেক্ষন অন্ততঃ এটাই। দিনমান বিবিধ প্রকারের কাজ কিংবা অকাজের ব্যস্ততায় ভরে আছে আমাদের মূল্যবান সময়গুলো। আর এরই মধ্যে একটা ঘোরপাকের ভেতর দিয়ে যেন চলে যাচ্ছে আমাদের রোজকার জীবন।
মাহে রমজান সমাগত। পবিত্র রমজানে প্রতিটি নেক আমলের সাওয়াব আল্লাহ তাআ'লা বৃদ্ধি করে দেন। এই রমজানে অন্যান্য আমলের সাথে কুরআন তিলাওয়াতেও রয়েছে অপরিসীম পূণ্যলাভের সুযোগ। এ জন্য রমজান শুরু হবার আগেই আমাদের সিদ্ধান্তগুলো গুছিয়ে নেয়া দরকার। রমজানের রুটিন সাজিয়ে নিয়ে সেই অনুসারে অন্ততঃ একটা মাস যদি আমরা নিজেদেরকে পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত করতে পারি, অন্যান্য আমলের পাশাপাশি কুরআন তিলাওয়াতের সুযোগও নিশ্চয়ই আমরা পাব, আরও পরিষ্কার করে বললে, শুধু তিলাওয়াত নয়, ইচ্ছে করলে অনেকবার পবিত্র কুরআন সম্পূর্ণ খতম করার সৌভাগ্যও লাভ করতে সক্ষম হবো পবিত্র ও মহিমান্বিত এই মাসটিতে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার দয়া এবং অনুগ্রহে আমাদের তখন আফসোস করে হয়তো বলতে হবে না যে, সময়ের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারা গেল না বলেই কুরআনুল কারিম খতম করা সম্ভব হলো না এই রমজানে! চলুন তাহলে, কিভাবে পবিত্র মাহে রমজানে এক বা একাধিকবার খুব সহজেই পবিত্র কুরআন কিভাবে খতম করা যায়, সেই নিয়মটিই জেনে নিব ইনশাআল্লাহ-
আগেই বলেছি যে, আমাদের দৈনন্দিন বিবিধ প্রকারের কাজের ব্যস্ততা থাকে, রমজানেও এই ব্যস্ততা একেবারে কমে যায় না, তাই একটানা দীর্ঘ সময় বসে কুরআন তিলাওয়াত করা প্রতি দিন অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। এই কারণে, অনেকেরই ইচ্ছে থাকা সত্বেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এবং সহজ পদ্ধতি না জানার কারণে কুরআনুল কারিম খতম করার সুযোগ হয়ে ওঠে না পবিত্র এই মাসটিতে। এইক্ষেত্রে সহজতম একটি পদ্ধতি হচ্ছে, কুরআনুল কারিম নাজিলের এই মোবারক মাসে দিনরাতে মিলিয়ে অন্ততঃ ৫ বার অল্প অল্প করে নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা, এভাবে তিলাওয়াত করলে কুরআনুল কারিম খতম করা খুবই সহজ।
এই পদ্ধতিটি ফলো করার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে পরের সময়কে বেছে নেয়া যায়। অর্থাৎ, প্রতি নামাজের পূর্বে বা পরে একটি পরিমান নির্দিষ্ট করে নিলে পুরো রমজানে কুরআনুল কারিম খতম বা সম্পূর্ণ তিলাওয়াত করতে পারার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। যেমন, উদাহরণত: প্রতি নামাজের আগে বা পরে ৪ পৃষ্ঠা করে তিলাওয়াত করলে ৩০ দিনে এক খতম হয়ে যাবে। এরচেয়ে পরিমানটা আরেকটু বৃদ্ধি করে প্রতি নামাজের সময় ৮ পৃষ্ঠা করে তিলাওয়াত করলে ৩০ দিনে অনায়াসে ২ খতম করা সম্ভব। একই নিয়মে প্রতি নামাজের ওয়াক্তে ১৬ পৃষ্ঠা করে তিলাওয়াত করলে ৩০ দিনে ৪ খতম করা যেতে পারে এবং এরচেয়ে'ও বেশি অর্থাৎ, প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে পরে ২০ পৃষ্ঠা করে তিলাওয়াত করলে পবিত্র মাহে রমজানের মাত্র ৩০ টি দিনে ৫ বার পবিত্র কুরআন খতম করার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব খুব সহজেই!
তবে একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন, এই আমলটা চালিয়ে যেতে হবে নিয়মিত। এমন যদি হয় যে, কয়েক দিন তিলাওয়াত করার পরে অলসতাবশতঃ দু'এক ওয়াক্ত নামাজের আগে পরের তিলাওয়াত ছেড়ে দিলাম, তাহলে তো উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে না। হ্যাঁ, বিশেষ কোনো ওজরের কারণে কোনো এক নামাজের সময় তিলাওয়াত করতে না পারলে তাও আদায় করে নিতে হবে সেই দিনেরই অন্য কোনো সময়ে। কোন অবস্থাতেই যেন দীর্ঘ হতে না পারে তিলাওয়াত ছুটে যাওয়া অংশের পরিমান।
কুরআনুল কারিম না বুঝে পড়লে প্রতি হরফে কমপক্ষে ১০ টি সাওয়াব লাভ হয়। পড়তে না জানলেও কুরআনুল কারিমের সাথে মুমিন বান্দার হৃদয়ের গহীনের নিবিড় সম্পর্ক। অনেক মানুষকে দেখেছি, যারা পবিত্র এই কালামুল্লাহ তিলাওয়াত করতে জানেন না, তিলাওয়াত শিখতে পারেননি, কিন্তু এই মহাগ্রন্থ চোখে মুখে লাগিয়ে পরম ভক্তি শ্রদ্ধা আর সম্মানে চুমু খেয়ে মাথায় তুলে রাখেন, বুকে আগলে রেখে প্রশান্তি অনুভব করেন, পাঠ করতে না পারলেও এই মহাগ্রন্থ খুলে আল্লাহ তাআ'লার পবিত্র কালামের পাতা ও লেখার দিকে মহব্বতের সাথে তাকিয়ে থেকে হৃদয়ে তৃপ্তি, পরিতৃপ্তি ও শীতলতা লাভে ধন্য হন। মহান রব্বে কারিমের প্রতি নিঃশর্ত আত্মসমর্পনের মাধ্যমে তাঁর পবিত্র বানীর প্রতি হৃদয়ে উথলে ওঠা অকৃত্রিম ভক্তি, অনিঃশেষ বিনয় আর অপরিমেয় মুহাব্বতেরই হয়তো এ এক অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ। এতে যদি মহান আল্লাহ তাআ'লা যদি সন্তুষ্ট হন, এমন করে তাঁর অনর্বচণীয় কালামকে, তাঁর মধুময় বাণীকে ভালোবেসে যদি তাকে সন্তুষ্ট ও রাজি খুশি করা যায়, এরচেয়ে বড় কাজ আর কীইবা হতে পারে? এর মত উত্তম কাজ আর কিছু আছে কি?
তবে আমরা যারা পবিত্র কুরআনুল কারিম পড়তে পারি না- আমাদের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, কুরআনের সহিহ তিলাওয়াত অতি দ্রুত অবশ্যই শিখে নেয়া। কুরআন নাযিলের মাস পবিত্র এই মাহে রমজানকে সহিহ ও সুন্দরভাবে পবিত্র কুরআন শিখে নেয়ার কাজে ব্যয় করা অনেক দিক হতেই সুবিধাজনক। এই মাসে প্রতিটি নেক আমলের সাওয়াব বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। কুরআনুল কারিম শেখার ক্ষেত্রেও এই মাসটি অধিকতর সাওয়াবলাভের কারণ হবে নিশ্চয়ই। প্রিয় পাঠক, এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা না হলে আমাদের মূল সমস্যা থেকেই যাবে, অর্থাৎ, তিলাওয়াত সহিহ না হলে নামাজ থেকে শুরু করে যাবতীয় ইবাদতে অপূর্ণতা থেকে যাওয়া ভয় থেকেই যায়, যা ইবাদতের পরিপূর্ণ সাওয়াব লাভের অন্তরায়।
পবিত্র কুরআন অর্থ বুঝে পাঠ করলে আরো বেশি সাওয়াব লাভ হয়। রমজান উপলক্ষে প্রতিটি নেক আমলের সাওয়াব ৭০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। নিষ্ঠা, হৃদ্যতা, তাকওয়া এবং গভীর মুহাব্বতের কারণে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা এই সাওয়াবের পরিমান ৭০০ থেকে অগণিত গুণ কিংবা বেহিসাব বৃদ্ধি করে থাকেন।
আমাদের মহান ইমাম আবু হানিফা নোমান ইবনে সাবিত রহ. রমজানের দিনে ১ রাতে ১ খতম হিসাবে একমাসে মোট ৬০ খতম করতেন। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে তাইমিয়া রহ. জেলখানায় ৮০ তম খতমের সময় কোরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় সেখানেই শাহাদত বরণ করেন।
যাদের চোখে পর্দা লেগে আছে, তাদের চোখ তাদের সাথে প্রতারণা করেছে, তাদের চোখ হয়তো দুনিয়ার রঙ তামাশা আর চাকচিক্য দেখে দেখে ক্লান্ত। তারা মহান প্রতিপালকের নিদর্শন দেখার সুযোগ হয়তো পান না, তারা হয়তোবা নিরন্তরই ব্যস্ত। তাদের হাপিয়ে ওঠার শেষ নেই। তারা প্রভাতে হাপাতে হাপাতে নিদ্রা ত্যাগ করেন, দিবসেও তারা হাপান, দিনমান তারা হাপাতে থাকেন। সূর্যাস্তের গোঁধূলিবেলায়ও তারা হাপাতে থাকেন। তাদের সামনে রাত আসে, তারা ক্লান্ত শ্রান্ত, হাপাতে থাকেন তখনও। তারা এতটাই ব্যস্ত, এতটাই হাপাতে থাকেন যে, অনেক কিছুই দেখার পরেও সত্যিকারের দেখার সুযোগ তাদের হয় না, কিংবা দেখেও তারা দেখেন না, অথবা, দেখতেই পান না। তাদের সামনে সূর্য মাটিতে নেমে আসলেও তারা এটাকে 'সামান্য প্রাকৃতিক অঘটন' বলেই হয়তো প্রচারণা শুরু করবেন। তাদের কাছে 'প্রকৃতি' আর 'প্রাকৃতিক', এই জাতীয় শব্দাবলীই বিশ্ব জাহানের সব ঘটন অঘটনের কারণ ও নিয়ন্ত্রক। তারা ইসলাম ধর্মের কোন কিছু দেখলেই হয়তো বিচলিত হয়ে পড়েন। রোগগ্রস্ত মানুষের মত দুশ্চিন্তার রেখা তাদের কপালের ভাঁজকে দীর্ঘায়িত করে দেয়। তাদের কেউ কেউ মুখ বাঁকা করে অবলীলায় হয়তো বলেও বসেন, 'এই যুগের মানুষের কুরআন পড়ার সময় কই!', কিংবা, 'এখন কেউ ইসলাম ধর্ম মানে না'!
কিন্তু বস্তুতঃ মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাআ'লার অকল্পনীয় কুদরতেরই কারিশমা এই আলো ঝলমলে জগতজাহান, বিচিত্র, মনোরম ও নৈপূণ্যে ভরা রহস্যঘেরা সুবিশাল সৃষ্টিনিচয়। তারা না দেখলেও মহান আল্লাহ তাআ'লার অশেষ শুকরিয়া, তিনি দয়া করে তাঁর প্রিয় কিছু বান্দাদের এখনও এমন তাওফিক দিয়ে থাকেন, যারা উপরোক্ত মহান ইমাম ও সালফে সালেহীনগণের অনুসরণ করে তাদের মত করে একনিষ্ঠ ইবাদতেই নিজেদের মশগুল রাখার চেষ্টা করে থাকেন।
প্রিয় মুসলিম ভাই! প্রিয় দ্বীনি বোন! আসুন, আমরাও পাকাপাকিভাবে নিয়্যাত করি যে, এক বার বা দু'বার নয়, বরং, উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অবলম্বন করে হাফেজ এবং আলেমগণের মতো পবিত্র কুরআনুল কারিমের অনেকগুলো খতম এই রমজানে করে নিব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের তাওফিক দান করুন।
৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ্মাদ্রাসার ছেলেরা অসংখ্য বার কোরআন খতম দেয়। তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাঁরা মানুষের দয়ায় লালিত পালিত হয়।
৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না আপনাকে কে বলেছে? আপনি হয়তো দেখতে পান না, অথবা, দেখেও দেখেন না। এই যে রমজান আসছে, চোখ খুলে তাকালে নিশ্চয়ই দেখতে পাবেন, মাদরাসার হাজার হাজার হাফেজ ছাত্র সারা দেশে পবিত্র মাহে রমজানে তারাবিহ নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব পালন করবেন। তারা মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা, হৃদ্যতা আর আন্তরিকতা লাভ করে থাকে, তার সাথে তুলনা করার আর কিছু এমন আছে কি? মূলতঃ কুরআনের প্রতি সাধারণ মানুষের অনিঃশেষ শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসা আর অপরিসীম মুহাব্বতের কারণেই হাফেজে কুরআন ছাত্রদেরকেও তারা বুকে তুলে নেন। আদর করেন। স্নেহ মায়া মুহাব্বতে সিক্ত করেন।
মানুষের দয়া আর সহযোগিতা ছাড়া আপনার পক্ষেও কি চলা সম্ভব? কোন না কোন ভাবে আপনাকেও মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়েই চলতে হয়। মাদরাসার এসব ছাত্ররা যা খেয়ে পড়ে থাকেন, তা আপনার মত ঢাকাতে যাদের বাড়ি গাড়ি আছে, তাদের অনেকের কপালেও হয়তো সচরাচর জোটে না। প্রমান চাইলে আপনি নিজেই খোঁজ খবর নিয়ে দেখে আসতে পারেন।
দুনিয়ায় যারা মানুষের এমন অকুন্ঠ ভালোবাসা লাভ করেন, পরকালেও তাদের ভালো থাকারই কথা। অবশ্য, ভাগ্য ভালো হওয়ার মাপকাঠি যাদের কাছে ওয়েস্টার্ন অপসংস্কৃতিতে আপাদমস্তক নিমজ্জিত হতে পারা আর বৈধ অবৈধ নির্বিশেষ অগাধ বিত্ত বৈভবে ডুবে থাকা, তাদের কথা ভিন্ন!
রমজানের বাজারঘাট সেরে ফেলেছেন?
ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
বিটপি বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল রমজানে মানুষের আর কোন কাজ নেই - কেবল কোরআন খতম দিতে থাকবে একের পর এক। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অফিস সামলে ঢাকা শহরের বিশ্ববিখ্যাত যানজট সামলে ইফতারের আগে আগে বাসায় পৌঁছে নাকে মুখে দুটা গুঁজে দৌড় লাগাই মসজিদে। বাসায় এসে ঘন্টাখানিক রেস্ট নিয়ে আবার যেতে হয় তারাবিতে। রাত সাড়ে দশটায় বাসায় এসে ভাত খেয়ে এগারোটায় ঘুমিয়ে আবার আড়াইটার সময় উঠতে হয় তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য। এক খতম কোরআন পড়তেই শেষ পাঁচ ছয়দিনে তাড়াহুড়ো লেগে যায় - দুই তিন খতম দেবার সময় আপনাদের কিভাবে হয়?
৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার কথা ঠিক, তবে সবাই তো আপনার মত ব্যস্ত জীবন পার করেন না। যাদের সময় কিছুটা ফ্রি থাকে, তারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আরে, কত লোক তো এমনও থাকেন, যাদের তেমন কাজের চাপই থাকে না, সময়গুলো এমনিতেই পেরিয়ে যায়, তাদের জন্য এই প্রাকটিস উপকারী হতে পারে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে বা পরে দশ/ বিশ মিনিট সময় বের করে নেয়া ইচ্ছে করলে অনেকের পক্ষেই সম্ভব। এটা যদি সম্ভব হয় তাহলে একাধিকবার কুরআন খতম দেয়ার বিষয়টা সহজ হয়ে যায়। যদিও কর্মজীবীদের জন্য এই প্রসেসটা কিছুটা কঠিন বৈকি!
শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনার পোস্টের জন্য সামুতে ইসলাম বেঁচে আছে,হাজিরা দেয়।
৩১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৫:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পবিত্র রমজান মাসে কোরান শরীফ খতম দেয়ার সহজ পন্থা নিয়ে মুল্যবান একটি উপকারী পোষ্ট ।
বিভিন্ন উৎস হতে জানা যায় যে সম্পুর্ণ কোরানে অন্তভুক্ত ২১৪টি সুরায় ( বিরাম চিহ্নের ব্যবহার ভেদে) সর্বমোট
৭৭৪৪৯ শব্দ Click This Link
মতান্তরে ৭৭৯৩৪ শব্দ আছে ( Click This Link ) ।
সঠিক নিয়মে মার্জিত ভাবে কোরান তেলাওয়াত করলে মিনিটে ৫০ হতে ৬০ টির মত শব্দ তেলাওয়াত/পাঠ করা যায় ।
সে হিসাবে পবিত্র রমজান মাসে ( ৩০ দিনে ) দৈনিক ৪৫ হতে ৫০ মিনিট কোরান তেলাওয়াত করলে কোরান
শরীফ খতম করা সম্ভবপর হবে । দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের পরে মাত্র ১০ মিনিট করে কোরান তেলাওয়াত
করেও খতম করা যেতে পারে । কর্ম ব্যস্ততার জন্য দিবাভাগে সময় দিতে না পারলে রাতে একটু বেশী সময়
তেলাওয়াত করা যেতে পারে ।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে সরকারী মাদরাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা এর
প্রিনসিপাল প্রফেসর ড.এ কে এম ইয়াকুব হোসাইনকে আহবায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সম্পাদনা
পরিষদের মাধ্যমে তৈরীকৃত কোরানের আরবী , বাংলা ও ইংরেজী আনুবাদ এবং বাংলা ও ইংরেজীতে
আরবী উচ্চারণের প্রতিবর্ণনায়নসহ Al-Quran : Digital শীর্ষক একটি Website চলমান আছে ।
এই লিংক http://www.quran.gov.bd/ ফলো করে যে কেও কম্পিউটারে কিংবা স্মার্ট ফোবাইল ফোনে
কোরান তেলাওয়াত করে নিতে পারেন তাঁর সুবিধামত যে কোন সময়ে। সাথে ধৈর্য সহকারে বাংলা অনুবাদ
হতে অর্থ বুজে পাঠ করলে সময় একটু বেশী লাগলেও ছাওয়াব ও উপকারীতা অনেক বেশী পাওয়া যাবে।
সেই ওয়েবসাইট হতে নেয়া একটি আয়াত (সুরা বাকারা, আয়াত ১৫৩ ) নমুনা হিসাবে নীচে তুলে দেয়া হল।
পাঠকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ শুধু প্রতিবর্ণায়ন দেখে কুরান শরীফ তেলাওয়াত করবেন না ।
বরং প্রথমে একজন ওস্তাদের নিকট আরবী বর্ণমালা মাখরাজ ও সিফাতসহ ভালভাবে আয়ত্ত করে নিবেন ।
তাছাড়া ধর্ম মন্ত্রনালয় প্রনীত ওয়েবসাইটে থাকা প্রতীবর্ণায়নের ভুমিকায় যে সকল নির্দেশনা বা প্রতীক
ব্যবহার দেয়া হয়েছে তা প্রথমে ভালভাবে আয়ত্ত করে নিবেন । অন্যথায় তিলাওযাতে ভুল হবে
এবং ছাওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হবে ।
সাধারণ পাঠক যারা আরবিতে কোরান শরীফ তেলাওয়াত করতে জানেন না তাঁদের অনেকেই কোরান শরীফ
তেলাওয়াত করতে খুবই আগ্রহী । তাঁরা তেলাওয়াতের সুবিধার্থে কোরান শরীফের বাংলা প্রতিবর্ণায়ন প্রত্যাশা
করেন । পাঠকদের এই চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে অনেক প্রকাশক বাংলা প্রতিবর্ণায়নের কোরান শরীফ প্রকাশ
করেছে -যেগুলি প্রতিবর্ণায়নের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে করা হয় নাই বলে ধর্ম মন্ত্রনালয় গঠিত সম্পাদক
মন্ডলী তাঁদের সম্পাদকীয় ভুমিকায় উল্লেখ করেছেন । তাঁদের মতে সে গুলিতে প্রচুর পরিমানে ভুল রয়েছে ।
এ ভুল থেকে বাঁচানোর লক্ষ্য তারা একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে বিজ্ঞানসন্মত সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে
তাঁদের প্রতিবর্ণায়নের কাজটি সম্পাদনা করেছেন।
এই লিংক http://www.quran.gov.bd/common/doc/Nitimala-Final.pdf
ফলো করে প্রতিবর্ণায়নের নীতিমালার বিস্তারিত বিবরণ দেখা যেতে পারে ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।