নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজা, অটোফেজি এবং মানব শরীরের প্রাকৃতিক সুস্থতা - প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ রিপোস্ট

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

ছবিঃ অন্তর্জাল।

রোজা, অটোফেজি এবং মানব শরীরের প্রাকৃতিক সুস্থতাঃ

প্রাককথনঃ

২০১৬ ইং সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন জাপানের অটোফেজি গবেষক ইয়োশিনোরি ওহশোমি। অটোফেজি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা জিনটিকে শনাক্ত করেছিলেন টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গুণী এ অধ্যাপক। বস্তুতঃ গবেষক বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমি মুসলিম ধর্মাবলম্বীগণের রোজার শারিরীক বহুবিধ উপকারিতা এবং রোজা রাখার যৌক্তিকতা প্রমানের জন্য অটোফেজি গবেষনা করেছেন - বিষয়টি এমন, এই দাবি আমরা কখনোই করছি না; কিন্তু তিনি অটোফেজির যে প্রক্রিয়া ও ফলাফল বর্ণনা করেছেন তা রোজার সাথে যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার কারণেই বিষয়টি আলোচনায় আনার প্রচেষ্টা। তবে তিনি তার অটোফেজি গবেষনায় রোজা থেকে কোনপ্রকার প্রেরণা লাভ করেননি - এ কথা আমরা হলফ করে বলতেও পারছি না।

অটোফেজি কি?

জীবদেহ কেমন করে ত্রুটিপূর্ণ কোষ ধ্বংস করে নিজের সুরক্ষা করে এবং কোষ কীভাবে নিজের আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে সুস্থ থাকে, সেই রহস্য বের করার কারণে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন এ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের ভাষায় এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোফেজি।

অটোফেজি শব্দটি গ্রীক। এর প্রথম অংশ 'অটো' অর্থ 'স্বয়ং', এবং দ্বিতীয় অংশটি 'ফেজি', যার অর্থ 'খাওয়া'। সুতরাং, অটোফেজি বলতে 'নিজেকে খাওয়া' বোঝায়। এই ধারণাটি ৬০ এর দশকে উদ্ভাবিত হয়েছিল, যখন গবেষকরা দেখতে পান শরীরের কোষগুলো নিজেরা নিজেদের বিনাশ করতে পারে, নিজেকে চারপাশ থেকে ঝিল্লিতে আটকে ফেলার মাধ্যমে। এভাবে কোষগুলো বস্তার মতো ফুসকুড়িতে পরিণত হয়, যেটি পরবর্তীতে নবায়নের জন্য কোষের ভেতরে লাইসোসোম নামে একটি রিসাইকল সেন্টারে স্থানান্তরিত হয়। এর আগে এই বিষয়ে তেমন কিছু জানা ছিলো না। ১৯৯০ এর শুরুর দিকে ইয়োশিনোরি ওহসুমির অনেকগুলো পরীক্ষায়, অটোফেজি জন্য প্রয়োজনীয় জিনগুলি সনাক্ত করতে ইস্ট (Yeast) ব্যবহার করেন। তারপরে তিনি ইস্টে অটোফেজি অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়াগুলি ব্যাখ্যা করেন এবং দেখিয়েছিন যে আমাদের কোষগুলিতেও অনুরূপ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।

কীভাবে কোষ তার জমানো মালামাল রিসাইকল করে তা বোঝার ক্ষেত্রে ওহশোমির এই আবিষ্কার নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। অনেক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যেমন উপবাসের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া কিংবা সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি বোঝার ক্ষেত্রে অটোফেজি দারুণ রাস্তা দেখিয়েছে। অটোফ্যাজি জিনের মিউটেশন যে কোনো রোগের কারণ হতে পারে এবং অটোফেজির এই প্রক্রিয়াটি ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্নায়বিক রোগের সাথে যুক্ত থাকতে পারে।

রোজা পালনে অটোমেটিক হয়ে যায় অটোফেজির অনুশীলনঃ

প্রত্যেক রোজাদার রোজা রাখেন মহান আল্লাহ তাআ'লার নির্দেশ পালন করার জন্য। তাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে। কোনো রোজাদারই অটোফেজি করার জন্য রোজা রাখেন না। হয়তো বলা অত্যুক্তি হবে না যে, অটোফেজি জিনিষটা যে কি, এখনও শতকরা পাঁচ বা দশভাগ মানুষ হয়তো জানেনও না। অন্ততঃ আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের চিত্র যে এরকমই, তাতে বোধ করি কেউ সন্দেহ করবেন না। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন? মজার বিষয় হচ্ছে, রোজা পালনের দ্বারা অটোমেটিক্যালি হয়ে যায় অটোফেজির সঠিক অনুশীলন। রোজাদার জেনে থাকুন অথবা না-ই জানুন, রোজা পালনের মাধ্যমে অটোফেজির সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন তার পুরোপুরিভাবেই হয়ে যায়। আর অটোফেজি শরীরকে ভাঙে না বরং গড়ে তোলে। আর অটোফেজির এই পদ্ধতিকে চালু করতে প্রয়োজন কিছুটা দীর্ঘ তবে সবিরাম উপবাস। যা রোজা রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি করতে পারেন। তবে, আমাদের মনে রাখতে হবে, রোজা যেমন সুস্থ ব্যক্তির উপরে ফরজ বা বাধ্যতামূলক, অটোফেজির প্রয়োগও করা হয়ে থাকে কেবলমাত্র সুস্থ ব্যক্তির উপরে এবং এসব কিছুর পেছনে একটিই উদ্দেশ্য, আর তা হচ্ছে, সুস্থ ব্যক্তির সুস্থতাকে কিভাবে ধরে রাখা যায়। তো, নোবেলজয়ী অটোফেজি গবেষক ইয়োশিনোরি ওহশোমিসহ অন্যান্য যারা অটোফেজি নিয়ে কাজ করছেন, গবেষনা করে করে এতটা পথ মানবজাতির জন্য খোলাসা করেছেন তাদের প্রতি অভিনন্দন জানাতেই হয়। সঙ্গত কারণে বিগত দেড় হাজার বছর পূর্বে যখন আধুনিক পরীক্ষণ যন্ত্র, পরীক্ষাগার কিংবা চিকিৎসা বিজ্ঞান বলতে তেমন কিছুই ছিল না পৃথিবীবাসীর সামনে, সেই সময়ে প্রতি বছরে একটি মাস বা ত্রিশটি দিন উপবাস থাকার যে বিধান ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে বিশ্ববাসী লাভ করেছে, তা কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত কিংবা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে তুলনীয়, সেই দায়িত্ব সম্মানিত পাঠকবৃন্দের উপরেই রেখে দিলাম।

শরীরে প্রাকৃতিক নিরাময়ের কৌশল খুঁজি যা রয়েছে রোজায়ঃ

আমরা সুস্থ থাকতে চাই। বেশি থেকে বেশি দিন সুস্থাবস্থায় বেঁচে থাকতে চাই। আর যারা নিতান্ত হতাশাবাদী বলে মনে করেন নিজেদেরকে, বেশি দিন বাঁচতে চান না, পৃথিবীর রঙ রস কোনো কিছুই যাদের ভালো লাগে না, তারাও চান যে, যত দিন বেঁচে থাকেন যেন সুস্থ থাকতে পারেন। আমরা শরীরে প্রাকৃতিক নিরাময়ের কৌশল খুঁজি যা রয়েছে রোজায়। জগতের অনেক জ্ঞানী, গুণী এবং বিখ্যাত ব্যক্তিই শরীরে প্রাকৃতিক নিরাময়ের ক্ষেত্রে একটিমাত্র অভিন্ন সমাধান দিয়েছেন। কী সেই সমাধান? উত্তর শুনলে হয়তো অনেকেই চোখ কপালে তুলবেন। সমাধানটি হচ্ছে ইন্টারমিটেন্ট ফ্যাস্টিং বা সবিরাম উপবাস। একাধারে দীর্ঘ সময় অনাহারী থাকা। খাদ্য পানীয় ইত্যাদি সকল কিছু থেকে বিরত থাকা। দূরে থাকা।

শরীরের মধ্যেই বসবাস করে প্রাকৃতিক ডাক্তারঃ

গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিসকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। উপবাস নিয়ে চমৎকার একটি কথা বলেছেন তিনি। তার ভাষায়, 'আমাদের প্রত্যেকের শরীরের মধ্যেই বসবাস করে একজন ডাক্তার। আমাদের উচিত সেই ডাক্তারকে কাজ করতে দেয়া। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।'

তিনি আরও বলেছেন, 'খাবারই হওয়া উচিত আমাদের ওষুধ, ওষুধই হওয়া উচিত আমাদের খাবার। কিন্তু আমরা যখন অসুস্থ হই তখন যদি আমরা খাবার গ্রহণ করি তখন তা কিন্তু প্রকারান্তরে সেই অসুস্থতাকেই খাবার জোগান দেয়া হয়। শরীরের ডাক্তারকে কাজ করতে দেয়ার জন্য প্রয়োজন উপবাস, উপবাস করলেই শরীরের সেই ডাক্তার কাজ করতে পারে।'

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ, বহু বিদ্যাবিশারদ, গ্রন্থকার, রাজনীতিক, বিজ্ঞানী এবং কূটনীতিক বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে। তিনি বলেছেন, 'সবচেয়ে ভালো ওষুধ হচ্ছে উপবাস এবং বিশ্রাম।'

শরীরকে নিরোগ রাখার প্রাকৃতিক সমাধান সবিরাম উপবাস, যা রয়েছে রোজায়ঃ

সবিরাম উপবাস বা ইন্টারমিটেন্ট ফ্যাস্টিং প্রসঙ্গে আলোকপাত করার আগে আরও একটা বিষয়ে জেনে নেয়া ভালো, সেটি হচ্ছে ফ্যাস্টিং এবং স্টারভেশন কিন্তু এক নয়। স্টারভেশন মানে অপরিকল্পিত অনাহার যাতে অপুষ্টির ঝুঁঁকি থাকে। সবিরাম উপবাস বা ইন্টারমিটেন্ট ফ্যাস্টিং একটি পরিকল্পিত উপবাস, এর একটা নির্দিষ্ট ডিজাইন থাকে, নিয়ম থাকে তা সে যেমনই হোক। রোজা তেমন এক ধরনের উপবাস যা ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে মুসলমানরা পালন করে থাকেন। বলা বাহুল্য, শরীরকে নিরোগ রাখার প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে, সবিরাম উপবাস। মানুষের শরীরটা এমনভাবে তৈরি যে, প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য শরীর খাবার সঞ্চিত রাখতে পারে। কেউ যদি টানা ১০-১২ ঘণ্টা উপোস থাকেন তখন লিভারে সঞ্চিত খাবার গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে খাবারের চাহিদা পূরণ করে শক্তির জোগান দেয়। এছাড়া উপবাসে শরীরের বাড়তি চর্বি ব্যবহৃত হয়, কমে যায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মাত্রা, হ্রাস পায় হৃদরোগের ঝুঁঁকি, সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ, একইসাথে কমে যায় ওজনও। তাছাড়া মানসিক প্রশান্তি তো রয়েছেই। এগুলোর প্রায় সবই আমাদের জানা আছে। আর রোজা রাখার মাধ্যমে পূর্ণমাত্রায় লাভ করা যায় এর প্রতিটি উপকার।

অটোফেজি যেভাবে কাজ করেঃ

অটোফেজি বা দীর্ঘ উপবাসের বিষয়টি আলোচনায় আসায় আমরা জানতে পারি, আরেকটি ব্যাপার ঘটে থাকে আমাদের শরীরের মধ্যে। সেটি হচ্ছে, প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষ মরে যায়, মৃত এই কোষগুলো কোষের অভ্যন্তরে লাইসোজোম নামের একটি বিশেষ কোষাঙ্গে জমা হতে থাকে। একইভাবে শরীরের মধ্যে মৃত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসও জমা থাকে লাইসোজোমে। বলা যেতে পারে লাইসোজোম হচ্ছে কোষের রিসাইকেল গার্বেজ বিন। কিন্তু শরীর যখন কোন চাপের মুখে পড়ে তখন রিসাইকেল গার্বেজ বিনে সঞ্চিত মৃতকোষগুলো থেকে শরীর শক্তি এবং নতুন কোষ তৈরি করে। যার ফলে শরীরের বর্জ্য ব্যবহৃত হয়ে শরীরকে করে দূষণমুক্ত। শরীরের এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোফেজি, যার অর্থ হলো সেল্ফ ইটিং বা আত্মভক্ষণ। অটোফেজি হচ্ছে শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে দূষণমুক্ত করার পদ্ধতি। কোনো কারণে এই অটোফেজি প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে তা টাইপ-টু ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। কারণ হয়ে উঠতে পারে অন্যান্য রোগ ও উপসর্গের।

রোজা রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই হয়ে যায় অটোফেজিঃ

এছাড়াও অটোফেজি প্রক্রিয়ায় শরীরে তৈরি হয় নাইট্রিক অক্সাইড। এই নাইট্রিক অক্সাইড দেহকোষকে পুনরুজ্জীবিত করে বাড়িয়ে দেয় কোষের আয়ু যা এন্টি এজিং বা বার্ধক্যরোধক হিসেবে কাজ করে। কোষ পুনরুজ্জীবনের ইতিবাচক প্রভাব পুরো শরীরের ওপরই পড়ে যা অন্য অঙ্গের উপকারে আসে। তার মানে হচ্ছে, অটোফেজি শরীরকে ভাঙে না বরং গড়ে তোলে। আর অটোফেজির এই পদ্ধতিকে চালু করতে প্রয়োজন কিছুটা দীর্ঘ তবে সবিরাম উপবাস। যা রোজা রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি করতে পারেন। তবে এসবকিছুই সুস্থ ব্যক্তির সুস্থতাকে ধরে রাখার জন্য। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য অটোফেজি কিংবা রোজা কোনোটাই স্বাস্থ্যগত সুফল প্রদানের কারণ হওয়ার কথা নয়। এমনকি কিছু কিছু অসুস্থতায় সবিরাম উপবাস এবং অনাহার দুটোই বরং ক্ষতিকর। অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগের ক্ষেত্রে সবিরাম উপবাস উপকারে আসে। তবে যাদের রোগ নিয়ন্ত্রণে নেই তাদের উচিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক পদক্ষেপ নেয়া।

রোজার শারীরিক আরও কিছু উপকারিতাঃ

পবিত্র মাহে রমজান। মোবারক মাস। বরকতময় মাস। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই মাস। এই মাসে খাওয়া-দাওয়া এবং পানি পান করার সময়সূচী পুরোপুরিভাবে বদলে যায়। এর ফলে শরীরের উপর একটা পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্য করা যায়। খাদ্যাভ্যাসের হঠাৎ এই পরিবর্তনের কারণে রোজার সময় শরীরে বিভিন্নরকম ছোটখাট সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন - গ্যাস্ট্রিক, পানিশূন্যতা, শারীরিক অস্বস্তি ইত্যাদি, যা একটু সচেতনভাবে চললেই এড়িয়ে যাওয়া কিংবা নিরাময় করা সম্ভব। এর বিপরীতে দীর্ঘ একটি মাসের এই ফরজ রোজাগুলো পালন করে শরীরে লাভ করা সম্ভব অনেক অনেক উপকারিতা। সেসব উপকারিতার সামান্য কয়েকটি তুলে ধরছি সম্মানিত পাঠকের খেদমতে-

রোজা ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ

শরীরে যাদের বাড়তি ওজন, তারা এই সময়ে বিশেষভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন। যেহেতু রমজানুল মোবারকের পুরো মাসজুড়ে রোজাদার ব্যক্তিগণ খাদ্যাভ্যাসে নির্দিষ্ট নিয়ম এবং রুটিন মেনে চলেন, সকাল-সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন, যেমন- স্যুপ, রুটি, খেজুর এবং অন্যান্য ফল ফ্রুট, যা দ্রুত ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। এসময়ে সাধারণতঃ চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে দেখা যায়। এর পরিবর্তে তাজা ফল, তাজা শাকসবজি এবং পানি গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ওজন হ্রাসপ্রাপ্ত হয়।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে রোজাঃ

রমজানে রোজা রাখার অন্যতম সুবিধা হলো এটি আপনার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। রোজা আপনার গ্লুকোজকে ভেঙে দেয়, যাতে শরীর শক্তি পেতে পারে যা ইনসুলিনের উৎপাদন হ্রাস করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে রোজাঃ

রোজা এথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। দেহ খাদ্য এবং পানি থেকে বঞ্চিত হওয়ার পরেও শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রোজার সময় বিপাকের হারও হ্রাস পায়। অ্যাড্রিনালিন এবং ননঅ্যাড্রিনালিন হরমোনগুলির ক্ষরণও হ্রাস পায়; এটি বিপাকের হারকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পেশীশক্তি সংরক্ষণ করেঃ

আপনার পেশীগুলিতে সঞ্চিত ফ্যাট ব্যবহৃত হবে। আপনি যখনই কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেন, তখন গ্লাইকোজেন (ফ্যাট সেল) যুক্ত হয়, যা ওজন বাড়িয়ে তোলে। তবে রমজানের রোজার সময় ফ্যাট কোষগুলি শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করেঃ

রোজার সময় মানুষ সাধারণত সেহরি ও ইফতারে মাঝে স্বাস্থ্যকর খাবার খায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, টক্সিন নির্মূল করতে এবং চর্বি হ্রাস করতে সহায়তা করে। রোজা ভাঙার জন্য যখন খেজুর এবং ফল খাওয়া হয় তখন এগুলি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলির সঞ্চয় বাড়ায়। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই সমস্ত ফলের মধ্যে উপস্থিত, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

প্রদাহ দূর করেঃ

রমজানে রোজা রাখার আরেকটি শারীরিক সুবিধা হলো এটি প্রদাহজনিত রোগ এবং অ্যালার্জির সারাতে সহায়তা করে। প্রদাহজনিত রোগের কয়েকটি উদাহরণ হলো- আর্থারাইটিস এবং ত্বকের রোগ যেমন সোরিয়াসিস। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, রোজার ফলে আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো প্রদাহজনক পেটের রোগ নিরাময়ের উন্নতি হতে পারে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করেঃ

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, রোজা কিছু নির্দিষ্ট প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের জন্য উপকারী। এই প্রোটিনগুলো মস্তিষ্কের স্টেমসেলগুলো সক্রিয় করতে সহায়তা করে, যাতে তারা ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এই কারণেই আপনি যখন রোজা রাখেন তখন আপনার মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে যায়।

আত্মনিয়ন্ত্রনের মানসিকতা তৈরি করেঃ

নিজেকে নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয় পবিত্র মাহে রমজান। রমজানের সময় রোজার এটি অন্যতম বিশেষ একটি শিক্ষা- আপনার শরীরের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্বেও খাদ্য, পানীয় এবং কামনা বাসনা ইত্যাদি পূরণ না করে কীভাবে মনের এসব চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন তা শেখার জন্য প্রস্তুত করে। এই প্রক্রিয়াতে, মস্তিষ্ক সেই অবস্থার সাথে মানিয়ে নেয় এবং কীভাবে আরও ধৈর্যশীল হতে হয় তা রমজান আমাদের শেখায়।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা পবিত্র মাহে রমজানের রহমত, বরকত এবং মাগফিরাতকে আমাদের জন্য অবধারিত করে দিন। তিনি আমাদের প্রত্যেককে সঠিক নিয়মে রোজা পালনের মাধ্যমে তাঁর পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন।

তথ্যসূত্রসমূহঃ

০১. বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমি ও অটোফেজি

০২. Ongsara S, Boonpol S, Prompalad N, Jeenduang N. The Effect of Ramadan Fasting on Biochemical Parameters in Healthy Thai Subjects. J Clin Diagn Res. 2017;11(9):BC14–8. doi: 10.7860/JCDR/2017/27294.10634. [PMC free article] [PubMed] [CrossRef] [Google Scholar]

০৩. Suzuki K, Ohsumi Y. Molecular machinery of autophagosome formation in yeast, Saccharomyces cerevisiae. FEBS Lett. 2007;581(11):2156–61. doi: 10.1016/j.febslet.2007.01.096. [PubMed] [CrossRef] [Google Scholar]

০৪. de Cabo R, Mattson MP. Effects of Intermittent Fasting on Health, Aging, and Disease. N Engl J Med. 2019;381(26):2541–51. doi: 10.1056/NEJMra1905136. [PubMed] [CrossRef] [Google Scholar]

০৫. Mattison JA, Colman RJ, Beasley TM, Allison DB, Kemnitz JW, Roth GS, et al. Caloric restriction improves health and survival of rhesus monkeys. Nat Commun. 2017;8:14063. doi: 10.1038/ncomms14063. [PMC free article] [PubMed] [CrossRef] [Google Scholar]

০৬. Click This Link

০৭. Azizi F. Islamic fasting and health. Ann Nutr Metab. 2010;56(4):273–82. doi: 10.1159/000295848. [PubMed] [CrossRef] [Google Scholar]

০৮. Chandalia HB, Bhargav A, Kataria V. Dietary pattern during Ramadan fasting and its effect on the metabolic control of diabetes. Practical Diabetes International. 1987;4(6):287–90. doi: 10.1002/pdi.1960040610. [CrossRef] [Google Scholar]

০৯. Click This Link

১০. https://www.ajkertangail.com/religion/13688

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৭

সাসুম বলেছেন: নকিব ভাই আপনার পোস্ট সব সময় সযতনে এড়িয়ে যাই কারন আপনার পোস্ট আমার জন্য না বরং আপনার সহমত ভাইদের জন্য যারা যাই লিখেন তাই মেনে নেন।


আজকে একটা কমেন্ট করার লোভ সাম্লাতে পারলাম না, আশা করি কিছু মনে করবেন না ।

এই যে অনেক গুলো দাবি করলেন, রোজা প্রদাহ সারাতে কাজ করে, ডায়বেটিস কন্ট্রোল করে, রোজা মস্তিষ্ক উন্নত করে সহ অনেক গুলা চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক দাবি- এগুলার সাথে ভেলিড মেডিকেল রেফারেন্স এড করে দিবেন।

এম্নিতে ধরুন- আপনি ধর্ম রিলেটেড যাই বলেন তাতে সমস্যা নাই, কারন সেটা হয় কোরআন বা হাদিস কিংবা কোথাও লিখা আছে কিংবা আপনি ধরে নিয়েছেন। সেটা নিয়েও আমি কিছু বলতে চাইনা। আপনি করেন সমস্যা নেই।

বাট যখন লজিকাল কোন আর্গুমেন্ট বা দাবি করবেন- তখন সাথে একটু রিলেটেড যুক্তি বা লজিক বা প্রমানাদি এড করে দিলে আমরা যারা সন্দেহবাদী তারা একটু মিলিয়ে দেখতাম।

ধরুন- আপনার এই পোস্টে অনেকে বাহবা দিয়ে যাবেন, ধর্মপ্রাণ মোমিন মোসলমান জানতে ও চাইবেনা কি করে রোজা এলার্জি প্রদাহ দূর করে কারন আপনি বলছেন তাই সত্য ।

বাট একজন সন্দেহবাদী হিসেবে আমার মনে প্রশ্ন জাগে।
তাই এই ধরনের পোস্টের সাথে যথাযথ মেডিকেল জার্নাল, রেফারেন্স এবং গবেষণা এড করে দিলে পোস্ট আরো একটু স্ট্রং হয়, আমরাও জানতে পারি নতুন নতুন কিছু

আশা করি মনে কস্ট নিবেন না আমার মন্তব্য তে ।


এবং

ধর্ম্প্রাণ ব্লগার ভাইরা, যারা গাইলাতে আসবেন আমার মন্তব্যের কারনেঃ ইফতারের পর গাইলাইয়েন, এখন গাইলালে রোজা হালকা হয়ে যাবে।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় গোঁড়ামি ছাড়তে গেলে চিন্তা করার শক্তি থাকতে হয়। মানুষ উচ্চ শিক্ষিত হলেই যে চিন্তা করার শক্তি থাকে তা কিন্তু নয়। ছোটবেলা থেকে যা দেখে, যা শুনে মানুষ বড় হয়, তার বাইরে কিছু ভাবার ক্ষমতা খুব কম মানুষের থাকে। এটা সত্য যে উচ্চ শিক্ষিত হলে অনেক জানার এবং পড়ার সুযোগ হয় কিন্তু তাতে করে সবার মনের বদ্ধ জানালা খোলে না।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪০

সাজিদ! বলেছেন: ব্লগার সাসুম ভাই, এই ব্লগে মেডিকেল রেফারেন্স সহ পরামর্শের পোস্ট দিলে খুব একটা সাড়া পাওয়া যায় না যতোটা আদা খেয়ে এসিডিটির সমস্যা সমাধানে পাওয়া যায়৷ আমি তিনটা পোস্ট অনেক খেটে লিখেছিলাম, ড্রাফটসে নিয়েছি। কি দরকার ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো, মানুষকে ভালো কথা বললেও মানুষ অন্য চোখে দেখে বাংলাদেশে। মাইন্ডসেট চেঞ্জ হতে অনেও দেরি।
এরপর আসি এই পোস্টটার বিষয়ে। উনি নতুন কিছু লিখেন নি। এবং যাই লিখেছেন প্রত্যেকটাতেই অনেক রেফারেন্স আছে। অটোফেজি শুরু হতে নূন্যতম ৩৬ ঘন্টা লাগে ওয়াটার ফাস্টে। ড্রাই ফাস্টে শরীর একটিভ থাকলে ১২ ঘন্টার আগেই অটোফেজি শুরু হতে পারে। তবে এর জন্য ত্রিশ দিনই ক্লিন ইটিং এর চর্চা করতে হবে। এখন ফাস্ট ব্রেকিং এর সময় বড় বাপের পোলায় খায় আর চিকেন ফ্রাই খেয়ে তো আর অটোফেজি আশা করতে পারেন না! আমি প্রফেশনাল লেভেল থেকে বলছি, পোস্টদাতা ফাস্টিং নিয়ে যা বলেছেন কোনটাই পুরানো কথা নয়, মেডিকেল সায়েন্সের বাইরের কথা নয়, এবং পুরানো নয়। প্রতিটা ধর্মেই কোন না কোন ভাবে ফাস্টিং আছেই। রেফারেন্স দিবো না, ফাস্টিং নিয়ে আগেও ব্লু জোন পোস্টে আপনাকে অনেক রেফারেন্স দিয়েছি৷ রেফারেন্স কেউ পড়েও দেখে না৷ অনেকে বুঝেও না। অপাত্রে দান করে লাভ হয় কি?

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

সাজিদ! বলেছেন: রাজীব নূর, দশ বিশটা উপন্যাস / গল্প / কবিতার বই পড়া আর বিজ্ঞান চর্চা এক জিনিস নয়। এইখানে গোঁড়ামি কই পেলেন? ফাস্টিং কোনদিনই অবৈজ্ঞানিক কিছু নয়। লেখক এখানে রেফারেন্স টানেন নাই কিন্তু উনি মনগড়া কিছু বলেন নাই। কিছু হলেই বিচার বুদ্ধি চিন্তা না করে ছাগলের মতো লাফাতে হবে?

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

সাসুম বলেছেন: সাজিদ! বলেছেন:ব্লু জোন পোস্টে আপনাকে অনেক রেফারেন্স দিয়েছি৷ আমি কিন্তু আপনার ব্লু জোন পোস্টে অনেক কথা বলেছিলাম , এটা যে একটা সায়েন্টিফিকালি প্রুভেন জিনিষ না বরং অনেকটা মিথিকাল সেটা নিয়ে।

সত্য যে একদম ই না, সেটা না, বাট অনেকটা বাড়িয়ে বলা হয়েছিল। আমার মনে আছে, আপ্নার সাথে অনেক বার্গেনিং করেছিলাম। যাই হোক- পোস্ট সরানোর দরকার ছিলনা।

আমাদের সমস্যা হচ্ছে- চেরি পিকিং করা

রোজা কে রাখবে না রাখবে এটার সাথে সায়েন্সের কোন রকমের কোন যোগাযোগ নাই । সায়েন্সের কিছু না থাক্লেও রোজা ফরজ মোসলমান এর জন্য। শরীরের শত ক্ষতি হলেও রোজা ফরজ, কোন উপকার প্রমাণিত না হলেও রোজা ফরজ, ইসলাম মানে সমর্পণ। এখানে কোন লজিক বা যুক্তি খোঁজার দরকার নাই। রোজা ফরজ করছে, ব্যাস ফরজ। আর কোন কথা নেই।

এখন সায়ন্সের এখান থেকে একটু, ওখান থেকে একটু চেরি পিকিং করা ইনফরমেশান দেখলে একটু দৃষ্টিকটু লাগে বটে। সেজন্য বললাম রিলেটেড রেফারেন্স এড করার জন্য এতে করে পোস্টের অথেন্টিকেশান বাড়ে।



আর কেউ ব্লগে রেফারেন্স পড়ুক না পড়ুক- এটা লেখকের গুরু দায়িত্ব সত্যতা প্রমান করার, যদি একজন ও না পড়ে তাও লেখকের এথিকাল ও মোরাল যায়গা থেকে রেফারেন্স এড করতেই হবে।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২১

সাজিদ! বলেছেন: সাসুম, আমি এখন আপনার মন্তব্যের স্ক্রিনশটগুলো দিলে আপনি লজ্জা পাবেন। আপনি সেখানে তর্ক করার মতো কোন বিষয় না পেয়ে ব্লুজোনের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস আছে কিনা নেই এইটা নিয়ে শেষে তর্কে মেতেছিলেন। সে যাই হোক, আমি শুধু প্রোমোট করতে চেয়েছিলাম যেকোন ধরনের সুস্থ অভ্যাস মানুষকে কিভাবে লংজেভিটিতে হেল্প করতে পারে তা নিয়ে, এই বিষয়ে কারও দ্বিমতের প্রশ্নই নাই এবং আমার টোফি পোস্টে আপনি কিছুটা একমতও হয়েছিলেন আপনার বডি কমপোজিশনটা আপনার বয়স অনুযায়ী যেমন থাকা দরকার তেমনটা নয় এটা নিয়ে। যাই হোক, আমি বিরক্ত হয়েই সব লেখা ড্রাফটসে নিয়েছি। অন্য উদ্দেশ্য নেই। এদিকে এই পোস্টের লেখক সাহেবও রেফারেন্স যোগ করে দিলেন। এখন নিশ্চয়ই আপনার বলার কিছু নেই।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নকিব ভাই, আমি শুধু প্রথম ২ প্যারা পড়েছি, কোনো কমেন্ট পড়ি নি। শুধু ছোট্ট এ কমেন্টটা রেখে যাই, আমার অনেক আগের স্টাডি থেকে যতখানি মনে পড়ে, ১৯৬০-৬২ সালের অন্য একটা গবেষণা থেকে মানব কোষে সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থগুলো কীভাবে ডিসপোজ্‌ড অফ হয়, সেটা গবেষণার ফলস্বরূপ অটোফেজি/অটোফেগি উঠে আসে। আমার কোনোদিনই মনে হয় নি, গবেষকরা এ ব্যাপারে রোজার প্রক্রিয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

আমার ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

শুভেচ্ছা।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

সাসুম বলেছেন: সাজিদ! বলেছেন: সাসুম, আমি এখন আপনার মন্তব্যের স্ক্রিনশটগুলো দিলে আপনি লজ্জা পাবেন। আপনি সেখানে তর্ক করার মতো কোন বিষয় না পেয়ে ব্লুজোনের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস আছে কিনা নেই এইটা নিয়ে শেষে তর্কে মেতেছিলেন।

এই যে আপনি ব্লু জোন কে বাই ডিফল্ট সত্যি ধরে নিচ্ছেন- এটাই আমার আপত্তি ছিল। আর ধর্ম বিশ্বাস ছিল কি নেই সেটা নিয়ে আমি তর্ক করেছিলাম- এটাই সত্য ছিল কারন আপ্নি স্টাব্লিশড করার ট্রাই করেছিলেন তারা ধার্মিক তাই তারা হেলদি বা এই জাতীয়। আর টোফি পোস্ট আমার কাছে সত্যি মনে হয়েছিল এবং এটা নিয়ে একবার কোন এক নিউজ সাইটে পড়েছিলাম সো সেটার সাথে একমত হয়েছিলাম, এর মানে এই না- আপনার সকল কিছুর সাথেই একমত হতে হবে। যেটা ভাল লিখা ও সত্য বলে প্রতীয়মান হয় কিংবা নিজের যেটা পর্যবেক্ষন করতে পারি- সেটার সাথে একমত না হবার তো কারন নেই।

যাই হোক- নকিব ভাইর স্টাটাসে আমরা আলোচনা বড় করে তো লাভ নাই। সেটা আমরা পরের আপনার কোন পোস্টে না হয় করব। এভাবে অন্যের পোস্টে ঝগড়া করা বেশ বিচ্ছিরি লাগে আমার কাছে

আমি নকিব ভাইর কাছে প্রশ্ন ছিল রেফারেন্স এড করা নিয়ে, যেটা করলে যেকোন পোস্টের অথেন্টিকেশান বৃদ্ধি পায়। উনি এড করেছেন, আমি প্রতিটা জার্নাল সময় করে পড়ার ট্রাই করব ।

উনাকে ধন্যবাদ রেফারেন্স এড করার জন্য।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

সাজিদ! বলেছেন: সাসুম, আমি আবারও বলি এখনও বলি, ব্লুজোনের লোকেরা আহামরি কিছু করে নাই। খুবই সিম্পল কিছু রুলস ফলো করেছে যার ফলে তারা উপকৃত হয়েছে। এখানে যেকোন দেশের যে কোন এমন রুলস ফলো করলে/ স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে উপকৃত হবে। কিন্তু স্যাম্পল হিসেবে ব্লুজোনকে ধরে ওই গবেষণার বুঝিয়েছেন। আমি বলেছি যেকোন বিশ্বাসই সুস্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার ভূমিকা পালন করে, এখানে ধর্মীয় বিশ্বাস একটা ফ্যাকটর মাত্র। দুনিয়ার সবকিছু অবিশ্বাস করার অধিকার আপনার আছে। আমি কি আপনার কাছে জোর করে কিছু চাপিয়ে দিয়েছি নাকি। চিল। এইখানে আর আলোচনা না করি।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

সোবুজ বলেছেন: ধর্ম হলো যান এবং মানো।ভালো মন্ধ দেখবেন আল্লাহ,বিজ্ঞান না।তিনি ভালো জানে ন।যা আমরা জানি না।বহু বার বলা আছে এই কথা।তার পরও আমরা ধর্মের ভিতর বিজ্ঞান কে ঢুকাই।বিজ্ঞানের ভিতর ধর্মকে ঢুকাই।

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অটোফজি করলে সেটা অটোফজির ফজিলত! রোজা রাখলে রোজার ফজিলত। আল্লাহ তার কোরানে যতগুলো ফাজিলতের কথা বলেছেন রোযার উপর একটাও অটোফেজির ফজিলতের সাথে যাবেনা। আপনি অযথা অটোফেজির সাথে এটা মিলাচ্ছেন কেনো? অটোফেজি পদ্ধতির সাথে রোজা পালনের পদ্ধতির আকাশ পাতাল তফাৎ। রোজায় আমাদের স্বাস্থ্যের এতবড় উপকার হলে সেটা আল্লাহ কোরআনে একবার হলেও ডাইরেক্ট উল্লেখ করে দিতেন, অটোফেজি খুঁজতে হতো না। আল্লাহ যা বলেননি তা বলে আল্লাহকে বিব্রত করার কি দরকার?

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৯

গরল বলেছেন: অটোফেজি শুরু হয় starvation থেকে, fasting থেকে না। যতক্ষন পর্যন্ত কোষে পর্যাপ্ত কার্ভাইড্রেট ও ফ্যাট বিদ্যমান ততক্ষন পর্যন্ত প্রোটিন ভাঙা শুরু হয় না। আর অটোফেজির জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয়, শরীরে পানি না থাকলে কোন ফিজিওলজিক্যাল ক্রিয়া সম্ভব না। বিজ্ঞানে যেমন Speed আর Velocity এর সঙ্গা আলাদা ঠিক সেরকম Fasting আর Starvation এর সঙ্গাও আলাদা। বিজ্ঞান না বুঝে অতি গুড় বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।



আর রোজা কোন ফাস্টিং না, শুধুমাত্র দিনের খাওয়া রাতে খাওয়া হয়। ২৪ ঘন্টা কোন কিছু আহার না করলে সেটাকে ফাস্টিং বলে। রোজাতে দিনে অন্তত দুই বার খাওয়া হয়। অতএব রোজা কোন ফাস্টিং না। আর অটোফেজিতে অন্তত ৪৮-৯৬ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হবে। মানে হচ্ছে starvation প্রক্রিয়া।

How Long Do You Need to Fast for Autophagy?

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৬

সাজিদ! বলেছেন: গড়ল ভাই, মানবশরীরে কোষের ভেতরে পানি আছে। এইটা বেসিক কথা, এইটাকে ইন্ট্রাসেলুলার ফ্লুইড বলে, এইটা ৪০% মোট ওজনের, এছাড়াও ইন্টারস্টিশিয়াল ফ্লুইড আছে, রক্ত ও প্লাজমা ছাড়া। লম্বা সময় পানি না খেলে আপনার ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হবে, কারন ইউরিনেশন/ সোয়েটিং/ ডেফিকেশনে শরীর থেকে পানি ও লবন বের হয়ে যায়। এইটার সাথে অটোফেজির সম্পর্ক নাই।
আমিও লিখেছি কমেন্টে, ৩৬ ঘন্টা লাগে ওয়াটার ফাস্টে অটোফ্যাজি স্টার্ট হতে। এখন আপনি এক্সারসাইজ বা কোন ফিজিক্যাল একটিভিটি করলে এর আগেও অটোফ্যাজিতে ঢুকতে পারবেন। যারা লম্বা সময়ে ফাস্টে অভ্যস্ত তাদের শরীর অটোফ্যাজিতে সহজেই যেতে পারে, ড্রাই ফাস্টেই। ড্রাই ফাস্ট করেও অটোফ্যাজির বেনেফিট পাওয়া যায় এইটা খুবই ইন্ডিভিজুয়ালাইজড, এই বিষয়টা নিয়ে বড় আকারে গবেষনা হয় নাই।

গুগলে সার্চ দিয়ে যে স্ক্রিনশট তুললেন, সেখানে প্রথমেই লেখা আছে ডিপেন্ডস অন ইন্ডিভিজুয়ালাইজড মেটাবলিজম। এখন যার মেটাবলিজম বাজে ( রামাদানে ফাস্টিংকে ফিস্টিং এর উৎসবে পরিনত করেন) তার তো কোন বেনিফিট হবে না এসব থেকে। সারা বছর ইচ্ছা মতো খাবার খেলাম আর রামাদানে না খেয়ে থাকলেই অটোফ্যাজি হবে এইটা লজিক্যাল না। তবে অটোফেজি হওয়ার আগে বডি কিটোসিসে যায়, মানে গ্লুকোজের পরিবর্তে বডি কিটোনকে ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করে, এটাতে বডি অল্টারনেটিভ ফুয়েল ব্যবহারের পদ্ধতিটা আরেকবার ঝালাই করে নেয় যা ভালো শরীরের জন্য, অটোফেজি হওয়ার আগে যখন সব কার্ব ও প্রোটিন মেটাবলিজম হয়ে গ্লুকোজে পরিনত হয়ে ওই গ্লুকোজ শরীরে ব্যবহার হয়ে যায়, তখন বডি ফ্যাট ভেঙ্গে কিটোন বানায়, এই ফ্যাট ভাঙ্গাটা খারাপ কিছু না বরং ভালো। ফ্যাট ভাঙ্গা ও কিটোন তৈরী হওয়া এইগুলো ড্রাই ফাস্টিং এর ১২ ঘন্টার মধ্যেই হতে পারে ( মডারেট একটিভ মানুষের), এইটাও তো কম উপকারি নয়। রোজা কোন ফাস্টিং না এইটার ডেফিনিশন ও কি গুগল থেকে পাইসেন? আপনার একটা কথার সাথে একমত, আমরা ই দানীং যেভাবে খাবারের উৎসব করি রামাদানে, তা রামাদানের মূল অংশ থেকে তো সরে যায়ই একই সাথে শরীরেরও ক্ষতি করে।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৭

সাজিদ! বলেছেন: অটোফেজির সাথে স্টারভেশনের সম্পর্ক নাই। আপনি আরেকটু ঘাঁটাঘাঁটি করেন। @গড়ল ভাই

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৮

গরল বলেছেন: @সাজিদ ভাই, এই লিংটা দেখুন যেটা US Govt. এর National Institute of Health Science (nih.gov) এর অধিনে National Center for Biotechnology Information একটা পাব্লিকেশন যেখানে কোথাও ফাস্টিং এর কথা বলা নাই, starvation এর কথাই বলেছে। এর চেয়ে authentic উৎস আমি আপনাকে দিতে পারব না।

Autophagy: cellular and molecular mechanisms

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নকিব ভাই, আপনার প্রায় সকল পোস্ট কপিপেষ্ট পোস্ট, বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সন থেকে কাট পেস্ট করে একটি পোস্ট তৈরী করছেন। এটা দুঃখজনক। সকল লেখায় প্রয়োজনীয় তথ্যকৃতজ্ঞতা সংযুক্ত করুন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কা_ভা ভাই,

জ্বি, আমার কিছু লেখায় কপি পেস্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি সাধারণতঃ ইসলাম ধর্মের এমনসব বিষয়ে লেখালেখি করে থাকি, যে বিষয়গুলো নতুন বা নবায়ন হয় না। যেমন, ধরুন, একটি হাদিস বা কুরআনের কোনো একটি আয়াতের অর্থ বা ব্যাখ্যা বর্তমানে যেরকম আছে, পরবর্তীতে তা পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সুতরাং, এমনসব অপরিবর্তনীয় বিষয় কপিপেস্ট করার প্রয়োজন হলে তা করে থাকি। এছাড়া মাসআলা মাসায়েলগত বিষয়গুলোও প্রায় একইরকম।

আমি লেখার সাথে তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করে দেয়ার চেষ্টা করি। ভুলবশতঃ এটা কোথাও কোথাও হয়তো করা হয়নি। যুক্ত করে দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

যা হোক, আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দারুণ পোস্টটি ভালো লাগলো।

১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সাজিদ আপনি আমাকে ছাগল বলতে পারেন না। এখন আমি যদি আপনাকে কুৎসিত কিছু বলি, আমার কি অন্যায় হবে?

২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪৮

সাজিদ! বলেছেন: গড়ল ভাই, আপনার ১৩ নম্বর আর ১৬ নম্বরের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি। অটোফ্যাজি হতে বাইরে থেকে শরীরে পানি দিতে হয় না। শরীরের ৪০% ই পানি। বেসিক হিউম্যান সেল নিয়ে যারা জানেন তারা তো এইটা জানেনই। অটোফ্যাজির সময় শরীর নিজের কোষের পানিই ব্যবহার করে বাইরে থেকে পানি দিতে হয় না। দেখুন abstract এ লিখা আছে, " Autophagy is a self-degradative process that is important for balancing sources of energy at critical times in development and in response to nutrient stress"। নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস মানে আপনার শরীরে ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি, এইটা আপনি যদি আপনার চাহিদা থেকে কয়েকদিন ক্যালরি কম ইনিটেক করেন তাহলেই হতে পারে, সেটা স্বেচ্ছায় লম্বা সময় না খেয়েই হোক ( ফাস্টিং) বা স্টারভেশনে হোক। বেসিকটা হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলক ফাস্টিং এর শেষে গ্রাজুয়াল রিফিডিং করা হয়, স্টারভেশনে হয় না এবং স্টারভেশন কোন থেরাপিউটিক পারপাসে ব্যবহার করা হয় না। সিম্পল নিউট্রয়েন্ট স্ট্রেস দিয়েই লজিক্যালি ব্যাখ্যা করা যায়।

সিগ্ন্যালিং পাথওয়েতেই লিখা আছে, " However, autophagy is strongly induced by starvation and is a key component of the adaptive response of cells and organisms to nutrient deprivation that promotes survival until nutrients become available again."

নিউট্রিয়েন্ট ডেপ্রাইভেশনের ফলে যে সেলুলার স্টারভেশন সেটা থেকে অটোফেজির সূচনা হয় এবং নিউট্রিয়েন্ট পাওয়ার আগ পরযন্ত যা একটা সারভাইভাল মেকানিজম।

এইখানে সেলুলার লেভেলে গবেষনার ফাইন্ডিং আর পাথওয়ে লিখেছে তাই তারা ব্রড টার্ম নিউট্রিয়েন্ট ডিপ্রাইভেশন ব্যবহার করবে স্বাভাবিক। আমি স্ক্রিনশট দিচ্ছি, ফাস্টিং/ টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং আর অটোফেজি নিয়ে অনেক পেপার পাবেন পাবমেডে। কেউবা ক্লিনিকাল প্র‍্যাকটিসের প্রেক্ষাপট থেকে ক্যালরি রেস্ট্রিকশন / নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস ব্যাখ্যা করেছেন কেউবা ফিজিওলজির প্রেক্ষাপট থেকে ব্যাখ্যা করেছে।
গড়ল ভাই, আপনার ১৩ নম্বর আর ১৬ নম্বরের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি। অটোফ্যাজি হতে বাইরে থেকে শরীরে পানি দিতে হয় না। শরীরের ৪০% ই পানি। বেসিক হিউম্যান সেল নিয়ে যারা জানেন তারা তো এইটা জানেনই। অটোফ্যাজির সময় শরীর নিজের কোষের পানিই ব্যবহার করে বাইরে থেকে পানি দিতে হয় না। দেখুন abstract এ লিখা আছে, " Autophagy is a self-degradative process that is important for balancing sources of energy at critical times in development and in response to nutrient stress"। নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস মানে আপনার শরীরে ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি, এইটা আপনি যদি আপনার চাহিদা থেকে কয়েকদিন ক্যালরি কম ইনিটেক করেন তাহলেই হতে পারে, সেটা স্বেচ্ছায় লম্বা সময় না খেয়েই হোক ( ফাস্টিং) বা স্টারভেশনে হোক। বেসিকটা হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলক ফাস্টিং এর শেষে গ্রাজুয়াল রিফিডিং করা হয়, স্টারভেশনে হয় না এবং স্টারভেশন কোন থেরাপিউটিক পারপাসে ব্যবহার করা হয় না। সিম্পল নিউট্রয়েন্ট স্ট্রেস দিয়েই লজিক্যালি ব্যাখ্যা করা যায়।

সিগ্ন্যালিং পাথওয়েতেই লিখা আছে, " However, autophagy is strongly induced by starvation and is a key component of the adaptive response of cells and organisms to nutrient deprivation that promotes survival until nutrients become available again."

নিউট্রিয়েন্ট ডেপ্রাইভেশনের ফলে যে সেলুলার স্টারভেশন সেটা থেকে অটোফেজির সূচনা হয় এবং নিউট্রিয়েন্ট পাওয়ার আগ পরযন্ত যা একটা সারভাইভাল মেকানিজম।

এইখানে সেলুলার লেভেলে গবেষনার ফাইন্ডিং আর পাথওয়ে লিখেছে তাই তারা ব্রড টার্ম নিউট্রিয়েন্ট ডিপ্রাইভেশন ব্যবহার করবে স্বাভাবিক। আমি স্ক্রিনশট দিচ্ছি, ফাস্টিং/ টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং আর অটোফেজি নিয়ে অনেক পেপার পাবেন পাবমেডে। কেউবা ক্লিনিকাল প্র‍্যাকটিসের প্রেক্ষাপট থেকে ক্যালরি রেস্ট্রিকশন / নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস ব্যাখ্যা করেছেন কেউবা ফিজিওলজির প্রেক্ষাপট থেকে ব্যাখ্যা করেছে।


সময় করে পড়ে দেখুন। একটা পেপারে ফাস্টিং শব্দটার উল্লেখ নাই কিন্তু দশটা পেপারে আছে, আবার দশটা পেপারে নাও থাকতে পারে, এইভাবে যাচাই করা যায় না, কারা পেপার লিখছে, তাদের প্রেক্ষাপট কি সেটা দেখতে হবে, সবাই সঠিক শুধু শব্দের ব্যবহার ভিন্ন।

এইটা পড়েন। চমৎকার । Early Time-Restricted Feeding Improves 24-Hour Glucose Levels and Affects Markers of the Circadian Clock, Aging, and Autophagy in humans. যদিও অনেক টেকনিক্যাল বিষয় বুঝতে কষ্ট হবে।

২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫৩

সাজিদ! বলেছেন: গড়ল ভাই, আপনার ১৩ নম্বর আর ১৬ নম্বরের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি। অটোফ্যাজি হতে বাইরে থেকে শরীরে পানি দিতে হয় না। শরীরের ৪০% ই পানি। বেসিক হিউম্যান সেল নিয়ে যারা জানেন তারা তো এইটা জানেনই যে,
অটোফ্যাজির সময় শরীর নিজের কোষের পানিই ব্যবহার করে বাইরে থেকে পানি দিতে হয় না। দেখুন ওই পাবলিকেশনের abstract এ লিখা আছে, " Autophagy is a self-degradative process that is important for balancing sources of energy at critical times in development and in response to nutrient stress"। নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস মানে আপনার শরীরে ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি, এইটা আপনি যদি আপনার চাহিদা থেকে কয়েকদিন ক্যালরি কম ইনিটেক করেন তাহলেই হতে পারে, সেটা স্বেচ্ছায় লম্বা সময় না খেয়েই হোক ( ফাস্টিং) বা স্টারভেশনে হোক। বেসিকটা হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলক ফাস্টিং এর শেষে গ্রাজুয়াল রিফিডিং করা হয়, স্টারভেশনে হয় না এবং স্টারভেশন কোন থেরাপিউটিক পারপাসে ব্যবহার করা হয় না। সিম্পল নিউট্রয়েন্ট স্ট্রেস দিয়েই লজিক্যালি ব্যাখ্যা করা যায়।

সিগ্ন্যালিং পাথওয়েতেই লিখা আছে, " However, autophagy is strongly induced by starvation and is a key component of the adaptive response of cells and organisms to nutrient deprivation that promotes survival until nutrients become available again."

নিউট্রিয়েন্ট ডেপ্রাইভেশনের ফলে যে সেলুলার স্টারভেশন সেটা থেকে অটোফেজির সূচনা হয় এবং নিউট্রিয়েন্ট পাওয়ার আগ পরযন্ত যা একটা সারভাইভাল মেকানিজম।

এইখানে সেলুলার লেভেলে গবেষনার ফাইন্ডিং আর পাথওয়ে লিখেছে তাই তারা ব্রড টার্ম নিউট্রিয়েন্ট ডিপ্রাইভেশন ব্যবহার করবে স্বাভাবিক। আমি স্ক্রিনশট দিচ্ছি, ফাস্টিং/ টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং আর অটোফেজি নিয়ে অনেক পেপার পাবেন পাবমেডে। কেউবা ক্লিনিকাল প্র‍্যাকটিসের প্রেক্ষাপট থেকে ক্যালরি রেস্ট্রিকশন / নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস ব্যাখ্যা করেছেন কেউবা ফিজিওলজির প্রেক্ষাপট থেকে ব্যাখ্যা করেছে

সময় করে পড়ে দেখুন। একটা পেপারে ফাস্টিং শব্দটার উল্লেখ নাই কিন্তু দশটা পেপারে আছে, আবার দশটা পেপারে নাও থাকতে পারে, এইভাবে যাচাই করা যায় না, কারা পেপার লিখছে, তাদের প্রেক্ষাপট কি সেটা দেখতে হবে, সবাই সঠিক শুধু শব্দের ব্যবহার ভিন্ন।

এইটা পড়েন। চমৎকার । Early Time-Restricted Feeding Improves 24-Hour Glucose Levels and Affects Markers of the Circadian Clock, Aging, and Autophagy in humans. যদিও অনেক টেকনিক্যাল বিষয় বুঝতে কষ্ট হবে।



২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৫

সাজিদ! বলেছেন: আমার ১৫ নম্বর কমেন্টে আমি বলেছি, অটোফেজির সাথে স্টারভেশনের সম্পর্ক নাই। যদিও সেলুলার স্টারভেশনেও নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস হয় এবং যেকোন নিউট্রিয়েন্ট স্ট্রেস হলে অটোফেজি হয় ডিফেন্স মেকানিজম হিসেবে। কিন্তু সেই ধরনের অটোফেজি তো আর কারও কাম্য নয়, আমরা এখানে যে অটোফেজির কথা বলছি তা স্বেচ্ছায় ক্যালরি রেস্ট্রিকশন ও গ্রাজুয়াল রিফিডিং হিসেবে ধরে নিতে হবে। এই ক্যালরি রেস্ট্রিকশনই আর নিদিষ্ট সময় না খেয়ে থাকাই ফাস্টিং। যে ওয়েবসাইটে কথা বলে ভেবেছেন রোযা/ ফাস্টিং সব জব্দ করা গেল, সেখানেই ফাস্টিং আর অটোফেজি নিয়ে আরও দশটা পেপার পাবেন।

এত পেপার আর রেফারেন্সের মাঝেও আমরা যেন নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা না করি, যা আমরা বাংলাদেশীরা নিজের করে থাকি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৫

সাজিদ! বলেছেন: শেষ একটা মন্তব্য করবো, রাজিব নূর ভাই আমি দুঃখিত ওই শব্দটি ব্যবহার করার জন্য। এই পোস্টে বা যেকোন পোস্টে কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পোস্টটা আমার খুব ভালো লাগলো। এক মাস রোজা রাখা যে শরীর এবং মনের জন্য অত্যন্ত উপকারী এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। অটোফেজির কথা আগে শুনেছিলাম, আপনার পোস্ট পড়ে আরও বিষদ ভাবে জানলাম।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

২৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সাজিদ! বলেছেন: শেষ একটা মন্তব্য করবো, রাজিব নূর ভাই আমি দুঃখিত ওই শব্দটি ব্যবহার করার জন্য। এই পোস্টে বা যেকোন পোস্টে কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

সবার কল্যাণ হোক।
শুভ নববর্ষ।

২৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

দোয়েল২ বলেছেন: ইছলাম প্রস্তর যুগের ধর্ম্য। ইহাতে কল্যানকর কিছু আছে শুনিলেই অনেকের ব্লাড পেসার বেরে যায়।
যেইহেতু রমজানে এরকম আলোচনা বেশী হয়, গোটা রমজান জুরেই এনাদের ব্লাড পেসার বেশী থাকে।
যদি এমন কোন আমল থাকে যা করলে এনাদের কষ্ট লাঘব হয় তবে তাহা জানানর অনুরোধ থাকিল।
এনারা না, আমল আমিই করিব। করে এনাদের জন্য দোয়া করিব।
বি.দ্র. কোন রেফারেনস দিবার দরকার নাই। সকালে বেড টি পান করার সাথে সাথে গবেষণা জার্ণাল পরিবার অভ্যাস আমার নাই।
তাাহা ছারা আমার বিদ্যার দৌড় ও গবেষণা পত্রিকা পরার মত নয়।

২৭| ১৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

থজদহৃব বলেছেন: Nice blog sir! If you need some information about Perkuliahan Karyawan,Cari Kampus, Tryout Online & Kuliah Online You can visit https://edunitas.com & https://edunovasi.com

২৮| ১৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

থজদহৃব বলেছেন: Nice blog sir! If you need some information about Perkuliahan Karyawan,Cari Kampus, Tryout Online & Kuliah Online You can visit https://edunitas.com & https://edunovasi.com

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.