নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
সত্যি বড়ই বিচিত্র এই পৃথিবী!
ক্যালিগ্রাফি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
পায়জামা পাঞ্জাবি আর ঝলমলে নতুন শেরওয়ানি পড়ে মহাধুমধামে কেউ যাচ্ছেন বরযাত্রীর বেশে শ্বশুরবাড়ি; ঠিক তার পাশেই কারও শরীরে জড়ানো দামী সব কাপড়-চোপড়-বেশ-ভূষন খুলে নিয়ে পরিয়ে দেয়ার আয়োজন চলছে 'শেষ বিদায় স্টোর' থেকে সবেমাত্র কিনে আনা ধবধবে সাদা কাফনের কাপড়! কারণ, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি কোন কিছুই উপকারে আসবে না পরকালে। কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে-
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে। -সূরাহ আশ শুআরা, আয়াত ৮৮-৮৯
নিজেসহ পরিবার-পরিজনের মুখে তুলে দেয়ার মত খাবারের ব্যবস্থা নেই বলে তা যোগাতে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে দ্রুত পা ফেলছেন কেউ, দেখে মনে হচ্ছে যেন দৌঁড়াচ্ছেন উর্ধ্বশ্বাসে; অন্যদিকে একই রাস্তায় কেউ আবার দৌঁড়াচ্ছেন অতিরিক্ত খেয়েছেন বলে তা হজমের জন্য!
কিংবা কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের বিপুল বিশাল সমারোহ, পড়ার ঘরটাই যেন মিনি লাইব্রেরি, কিন্তু পড়তে ইচ্ছে করছে না এক ফোঁটাও. পক্ষান্তরে পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছেন কেউ, নতুন বই কিনতে পারছেন না পকেট ফাঁকা বলে!
রিযক প্রদানের মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ তাআ'লা। তিনি কাউকে কম দেন, কাউকে অধিক। কুরআনুল হাকিমে ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ
নিশ্চয়ই আল্লাহ হ’লেন রূযীদাতা এবং তিনিই মহাশক্তিশালী। -সূরাহ যারিয়াত, আয়াত ৫৮
اللَّهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা হ্রাস করেন। নিশ্চয়, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত। -সূরাহ আনকাবূত, আয়াত ৬২
লক্ষ টাকা মূল্যের অভিজাত ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে দু'মুঠো ভাত খেতে পারছেন না কেউ, কারণ ডাক্তারের নিষেধ রয়েছে অনেক কিছুতেই, রুচিও ধরে না অনেকের অনেক খাবারেই! আবার কেউ সামান্য একটি পেঁয়াজ আর এক দু'টি কাঁচামরিচ কচলে নিয়ে অতি আগ্রহে গোগ্রাসে গিলে নিচ্ছেন সামান্য পান্তা ভাত! তৃপ্তির শেষ নেই তাতেই!
কিংবা এয়ার কন্ডিশন রুমের কারুকার্যখচিত দামি খাটে মখমলের বিছানায় শুয়ে, এমনকি ঘুমের ওষুধ খেয়েও দু'চোখের পাতা এক করতে পারছেন না কেউ! অন্যদিকে কেউ আবার প্রকৃতির মাঝে নিজেকে সপে দিয়ে সামান্য ইলেকট্রিক ফ্যানও নেই রাস্তার পাশের এমন ফুটপাতে কিংবা ওভার ব্রিজেই অঘোর ঘুমে ঘুমোচ্ছেন!
অথবা, গভীর রাতের পিনপতন নিরবতা ভেঙ্গে কারো পাজেরো কিংবা দামি জিপ গাড়ি আলগোছে গিয়ে থেমে যাচ্ছে আধুনিককালের বিলাসিতায় মোড়ানো নামীদামী হোটেল, মোটেল, ক্যাসিনো কিংবা বার নামের আড়ালে নিষিদ্ধ গলির প্রবেশ মুখে, অথচ ঘরে রয়েছেন অপেক্ষারত স্ত্রী, যার দীর্ঘশ্বাস ক্রমেই আরও দীর্ঘায়িত হতে থাকে; অপরদিকে মাথার উপরে কোনরকমে ঝুলে থাকা খড়কুটোয় নির্মিত চালের ফুটোয় আকাশ দেখা যায় এমন ভাঙা কুড়ে ঘরে থেকেও স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত সুখের স্বপ্ন বুনে চলেছেন কেউ!
কেউবা বিলাসবহুল গাড়িতে বসে দুশ্চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকেন, হায়! সন্তানগুলো যে মানুষ হলো না! এতো সম্পত্তি প্রতিপত্তি ধরে রাখতে পারবে তো! বিপরীতে গনগনে রোদে ঘর্মাক্ত কলেবরে পায়ে হেঁটে পথ চলছেন কেউ, মনে তৃপ্তির ঢেকুর এই ভেবে যে, যাক কষ্ট সৃষ্ট যত যা কিছুই হোক, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে শুকরিয়া আল্লাহর রহমতে সন্তানগুলো অন্ততঃ মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই ওদের জীবন এখন গড়ে নিতে পারবে।
বস্তুতঃ অর্থ বিত্ত আর বিলাসপূর্ণ জীবন সুখ শান্তির নির্ণয়ক নয়, প্রকৃত শান্তি এবং স্বস্তি আল্লাহ তাআ'লার স্মরণে বিগলিত অন্তরই লাভ করে থাকে। যে আল্লাহর ওপর ঈমান আনে এবং তাঁর প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখে, হতাশা ও অশান্তি তাদের গ্রাস করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তাদের সুখময় জীবন দান করেন। কুরআনুল হাকিমে ইরশাদ হয়েছে-
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
যে ব্যক্তি মুমিন থাকা অবস্থায় সৎকর্ম করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী, আমি অবশ্যই তাকে উত্তম জীবন যাপন করাব এবং তাদেরকে তাদের উত্কৃষ্টকর্ম অনুযায়ী তাদের প্রতিদান অবশ্যই প্রদান করব। -সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭
الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রাখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়। -সূরাহ আর রা'দ, আয়াত : ২৮
وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ
যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। -সুরা : তালাক, আয়াত : ৩
মহান আল্লাহ যার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, তার জীবনে কোনো অপূর্ণতা থাকে না, থাকতে পারে না।
সর্বোপরি হাদিসের আলোকে সুখময় ও সুন্দর জীবন উপভোগ করার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হচ্ছে, নিজের থেকে নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া। এতে মানুষ আল্লাহর নিয়ামতগুলো উপলব্ধি করতে পারে। আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের চেয়ে নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি দৃষ্টি দাও। তবে তোমাদের চেয়ে উঁচুস্তরের লোকদের দিকে লক্ষ্য করো না। কেননা আল্লাহর নিয়ামতকে তুচ্ছ না ভাবার এটাই উত্তম পন্থা। -মুসলিম, হাদিস : ৭৩২০
কেউ অপেক্ষার প্রহর গুণে গুণে অবশেষে স্বস্তির প্রত্যাশায় নিজের ভেতরে শান্তনা খুঁজছেন, আর কয়েকটা দিনই তো মাত্র! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি!! অন্যদিকে প্রায় ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম, টলটলায়মান একটা সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য অবিরাম যুদ্ধ করে চলেছেন কেউ! আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারীর প্রতি কঠিন ধমকি এসেছে কুরআন এবং হাদিসে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَهَلۡ عَسَيۡتُمۡ إِن تَوَلَّيۡتُمۡ أَن تُفۡسِدُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَتُقَطِّعُوٓاْ أَرۡحَامَكُمۡ ٢٢ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَعَنَهُمُ ٱللَّهُ فَأَصَمَّهُمۡ وَأَعۡمَىٰٓ أَبۡصَٰرَهُمۡ ٢٣﴾ [محمد: ٢٢، ٢٣]
ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ তা‘আলা এদেরকেই করেন অভিশপ্ত, বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন। -সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২২-২৩
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهۡدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقۡطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱللَّعۡنَةُ وَلَهُمۡ سُوٓءُ ٱلدَّارِ ٢٥﴾ [الرعد: ٢٥]
যারা আল্লাহ তা‘আলাকে দেওয়া দৃঢ় অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের জন্য রয়েছে লা’নত ও অভিসম্পাত এবং তাদের জন্যই রয়েছে মন্দ আবাস। -সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ২৫
জুবায়ের ইবন মুত্বইম থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ قَاطِعٌ»
আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৯৮৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৫৬; তিরমিযী, হাদীস নং ১৯০৯; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৬৯৬; আব্দুর রায্যাক, হাদীস নং ২০২৩৮; বায়হাকী, হাদীস নং ১২৯৯৭
আবু মূসা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«ثَلاثَةٌ لاَ يَدْخُلُوْنَ الْـجَنَّةَ: مُدْمِنُ الْـخَمْرِ وَقَاطِعُ الرَّحِمِ وَمُصَدِّقٌ بِالسِّحْرِ»
তিন ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না। অভ্যস্ত মদ্যপায়ী, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী ও যাদুতে বিশ্বাসী। -আহমদ, হাদীস নং ১৯৫৮৭; হাকিম, হাদীস নং ৭২৩৪; ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৫৩৪৬
সদ্য প্রসূত কোলের সন্তানকে লোকচক্ষু এড়িয়ে অতি সন্তর্পনে ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনায় ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাচ্ছেন কেউ; পক্ষান্তরে একটিমাত্র সন্তানের মুখ দেখার জন্য, একটিমাত্র সন্তানকে বুকে আগলে ধরে তাপিত হৃদয় শীতল করতে সারাটা জীবন হাহাকার করে বেড়াচ্ছেন কেউ! সন্তান ছেলে বা মেয়ে যা-ই হোক, দান করার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ তাআ'লা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
لِّلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ ۚ يَهَبُ لِمَن يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَاءُ الذُّكُورَ
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا ۖ وَيَجْعَلُ مَن يَشَاءُ عَقِيمًا ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ
অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। -সূরাহ শূরা, আয়াত ৪৯-৫০
সত্যি বড়ই বিচিত্র এই পৃথিবী! তারচেয়েও বৈচিত্র্যে ভরপুর এখানকার মানুষের জীবন! কতজন ব্যস্ত কত কাজে! কেউ বৈধ কাজে! কেউবা ছুটে চলেছেন অবৈধ পথে! উন্নতির শিখরে আরোহনের স্বপ্ন বুকে নিয়ে! একেকজন একেক পথের পথিক! একেকজন ছুটে চলেছেন একেক দিকে! স্থির নন কেউই। থেমে নেই কারোরই পথচলা। কেউ নিজের পায়ে হাটতে পারছেন কাউকে অন্য কারও সাহায্যে স্ট্রেচারে করে চলতে হচ্ছে হাসপাতালের গলিপথ! তবে ক'দিনের কোলাহলময় এই ছোটাছুটি শেষে পরিসমা্প্তিটা সবারই প্রায় একই নিয়মে! একই পথে! একই পদ্ধতিতে! সাড়ে তিন হাত বসত ঘরের শেষ ঠিকানাটা সবারই বিছানাবিহীন! চন্দ্র-সূর্য্য-বিদ্যুতালোকের উপস্থিতিহীন ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন সেই ঘরটিতে সঙ্গী সাথী বন্ধু বান্ধব বলতে যাওয়ার সুযোগ নেই কারোরই। ফালিফালি করে কাটা অতি সামান্য বাঁশের ছাউনিযুক্ত একাকিত্বে ঘেরা সেই ঘরের বাকিটা সবই শুধু মাটির! মাটির মানুষ! মাটির টানে মাটিকেই শেষ বেলা আপন করে নেয়া!।মাটির বিছানায় শুয়ে মাটিতে মিশে যাওয়াই যেন আমাদের শেষ পরিণতি! অনন্ত পথের দীর্ঘ দীঘল একাকি পথযাত্রায় পাথেয় কিছু যোগার করেছি কি, প্রিয় বন্ধু?
লেখাটির মূল বিষয় ও থিম নির্ধারণে সহায়তা নেয়া হয়েছে জনৈক বন্ধুর ফেইসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে। সে কারণে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
বিলম্বিত প্রত্যুত্তরের জন্য দুঃখিত।
অনেকগুলো রেফারেন্সহ সুন্দর এবং শিক্ষনীয় প্রথম মন্তব্যটিতে আন্তরিক অভিনন্দন আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় নেয়ামুল কোরআন(যদিও নেয়ামুল কোরআন কোনো কোরআন নয়), মকসুদুল মমিন বই থেকে কপি পেস্ট করে পোস্ট দেয়- যা খুবই বিরক্তিকর। বরং উদ্ধৃতি সমুহের সাথে নিজের মতামত, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করলে পাঠকপ্রিয়তা পায়- যেমনটি আপনি করেছেন। গুড পোস্ট। +
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি হিসেবে আপনার নিকট থেকে সবসময়ই কিছু না কিছু পেয়ে থাকি। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪২
নতুন বলেছেন: কেউবা বিলাসবহুল গাড়িতে বসে দুশ্চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকেন, হায়! সন্তানগুলো যে মানুষ হলো না! এতো সম্পত্তি প্রতিপত্তি ধরে রাখতে পারবে তো! বিপরীতে গনগনে রোদে ঘর্মাক্ত কলেবরে পায়ে হেঁটে পথ চলছেন কেউ, মনে তৃপ্তির ঢেকুর এই ভেবে যে, যাক কষ্ট সৃষ্ট যত যা কিছুই হোক, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে শুকরিয়া আল্লাহর রহমতে সন্তানগুলো অন্ততঃ মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই ওদের জীবন এখন গড়ে নিতে পারবে।
এটাই আসল কথা।
সুখ জিনিসটা টাকা পয়সায় কেনা যায়না, গাছে ধরে না, কেউই আপনাকে দান করতে পারেনা।
এটা পুরাই মানুষের মনের ভেতর। মানুষ যদি মনে করে সে সুখী তবে সে সুখী, যদি তার মনে আত্বতৃপ্তি না থাকে তবে সে অসুখী।
দুনিয়াতে ৭৬% বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী, তাদের মাঝেও সুখী মানুষ আছে, তারা তাদের কল্পিত সৃস্টিকতা/ইশ্বরে বিশ্বাস করে আত্বতৃপ্তি পেয়ে থাকে। এবং সুখি হয়। কিছু মানুষ আছে যারা সৃস্টিকতায় বিশ্বাস করেনা কিন্তু সাধারন জিবন জাপন করে এবং সুখি থাকে।
সুখী হবার সাথে ধর্ম বা সৃস্টিকতার কোন ভুমিকা আছে বলে মনে হয় না।
যারা দূর্বল মনের মানুষ তারা একটা উছিলা মনে করে সান্তনা খুজে, ভরশা পায়, যেমন বাচ্চারা অন্ধকারে মায়ের হাত ধরে রাখে ভরশা পায়।
যারা যৌক্তিক ভাবে এবং সৃস্টিকতায় বিশ্বাস করেনা তারাও সুখী জীবন যাপন করে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সুখ আসলে সেটাই যা আপনি বললেন যে, টাকায় কেনা যায় না।
অনেক ধন্যবাদ নতুন ভাই।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
rocky104 বলেছেন: Get Latest New Camera Lens price in bangladesh
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি কি বিক্রেতা?
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৬
Toimoor বলেছেন: Very nice article!Very nice article!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
লেখাটি ভালো লাগায় এবং তা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৯
কামাল৮০ বলেছেন: এ সব যখন কাজে আসবে না পরকালে।তা হলে ইহ কালে কি করতে হবে এই সম্পদ ও ছেলে মেয়ে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে। তাহলে ইহকালে তো বটেই, পরকালেও কাজে আসবে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মাটির ঘর
মাটি হয়না পর
তাই মরে গিয়ে
মাটিতে মিশে রব
জীবন ভর।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক।
শুভকামনা জানবেন।
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " এই সুন্দর ফুল , সুন্দর ফল
মিঠা নদীর পানি, খোদা তোমার মেহেরবাণী"
- সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এই দুনিয়া আসলেই বড় সুন্দর এবং সত্যি বড়ই বৈচিত্রময়।
আর তার থেকেও বড় বৈচিত্রময় মানুষের মন।
কেউ অল্প পেয়ে-খেয়ে খুশী কেই বেশী বেশী পেয়ে-খেয়েও অখুশী। কেউ দান করে খুশী কেউ ছিনিয়ে নিয়ে খুশী। মানুষ সত্যিই বড় বৈচিত্রময়।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, এই বৈচিত্র্য নিয়ে ভাবলে সত্যিই অবাক হতে হয়।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: বেশিরভাগ মানুষের ধর্ম বিশ্বাস এখন শূণ্যের কাছাকাছি। ঈমান এতই দূর্বল যে ভাল মন্দের পার্থক্যও এরা এখন চিনতে পারে না।
ধর্মীয় আলোচনা দেখে গা জ্বলে, লেখা পড়লে বিরক্ত লাগে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
কথা ঠিক আছে। তবে এর বিপরীত চিত্রটাও আলহামদুলিল্লাহ, আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে। সর্বোপরি কথা হচ্ছে, মানুষকে ধর্মমুখী করতে আমাদের চেষ্টা প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। আমাদের উত্তম চরিত্র প্রদর্শন করে মানুষকে দ্বীনের দিকে ডাকতে হবে।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা। আপনার বক্তব্যের সমর্থনে কোরআনের বাণীও সংযুক্ত করেছেন।
ধন, সম্পদ, সুখ, সমৃদ্ধি আল্লাহ অনেক মানুষকে পরীক্ষা হিসাবে দিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই সেটা বুঝতে পারে না। রিজিকের মালিক আল্লাহ। কেউ চাইলেই রিজিক পেতে পারে না যদি আল্লাহ না দেন।
সূরা আল-ইমরান আয়াত ২৬-২৭ আরবী।
২৬) قُلِ ٱللَّهُمَّ مَٰلِكَ ٱلْمُلْكِ تُؤْتِى ٱلْمُلْكَ مَن تَشَآءُ وَتَنزِعُ ٱلْمُلْكَ مِمَّن تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَآءُ بِيَدِكَ ٱلْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
২৭) تُولِجُ ٱلَّيْلَ فِى ٱلنَّهَارِ وَتُولِجُ ٱلنَّهَارَ فِى ٱلَّيْلِ وَتُخْرِجُ ٱلْحَىَّ مِنَ ٱلْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ ٱلْمَيِّتَ مِنَ ٱلْحَىِّ وَتَرْزُقُ مَن تَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
সূরা আল-ইমরান আয়াত ২৬-২৭ বাংলা উচ্চারণ।
২৬) কুল্লিলা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানঝি‘উল মুলকা মিম্মান তাশাউ ওয়াতু‘ইঝঝুমান তাশাউ ওয়া তুযিল্লুমান তাশাউ বিইয়াদিকাল খাইরু; ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
২৭) তূলিজুল লাল্লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়াতূলিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়াতুখরিজুল হাইইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়াতুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়াতারঝুকুমান তাশাউ বিগাইরি হিছা-ব।
সূরা আল-ইমরান আয়াত ২৬-২৭ বাংলা অনুবাদ।
২৬) বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।
২৭) তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর।