নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ন\' এবং \'ণ\' এর পার্থক্য ও প্রয়োগ; বাংলা ব্যাকরণের এই জটিল জিনিষের প্রায়োগিক ব্যবহারকে যেভাবে পানির মত সহজে আয়ত্বে নেয়া সম্ভব

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

'ন' এবং 'ণ' এর পার্থক্য ও প্রয়োগ; বাংলা ব্যাকরণের এই জটিল জিনিষের প্রায়োগিক ব্যবহারকে যেভাবে পানির মত সহজে আয়ত্বে নেয়া সম্ভব

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

ছেলেবেলায় অর্থাৎ, একাডেমিক জীবনে 'ন' এবং 'ণ' এর পার্থক্য ও প্রয়োগ পাঠের মুখোমুখি হননি, বাংলা শিক্ষিত এমন মানুষ সম্ভবতঃ তেমন একটা পাওয়া যাবে না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমাস, সন্ধি বিচ্ছেদ বা কারকের চেয়েও এই জিনিষকে ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধান নামে আরও জটিলভাবে উপস্থাপন করার ফলে আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে এগুলোকে কঠিন কিছুর পাঠ মনে হয়েছে। অতএব, সমাধান একটাই, গোজামিল দিয়ে কোনরকমে চালিয়ে যাওয়া অথবা, বুঝার চেষ্টায় না গিয়ে গতবাধা কিছু জিনিষ মুখস্ত করে শুধু ক্লাশ ডিঙ্গিয়ে পরের ক্লাশে উন্নীত হওয়ার চেষ্টায় গলদঘর্ম হওয়া। অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধানের আলোচনা এলে অনেকেরই গায়ে জ্বর ওঠার দশা সচরাচরই দেখা যেত। এই সময়ে এসেও সেই চিরচেনা চিত্র যে খুব একটা পাল্টেছে, তা বলার সময় সম্ভবতঃ এখনও আসেনি।

আচ্ছা, ভয়ের কিছু নেই, ণ-ত্ব বিধান নিয়ে জটিল জটিল শব্দ ও কথায় জ্ঞানগর্ভ দীর্ঘ আলোচনায় যাওয়ার ইচ্ছে এই লেখায় মোটেই নেই। বরং যতটা সংক্ষেপে পারা যায় চেষ্টা করা হবে, বিষয়টিকে সংক্ষেপে বোধগম্যাকারে ফুটিয়ে তুলতে। তবে 'ন' এবং 'ণ' এর পার্থক্য ও প্রয়োগের বিষয়টি ভালভাবে বুঝার সুবিধার্থে বাংলা ভাষার শব্দ প্রকরণেও মোটামুটি জ্ঞান থাকা আবশ্যক। সেই আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে না থাকলেও অতি সংক্ষেপে এখানে আমরা তৎসম এবং তদ্ভব শব্দ সম্মন্ধে একটু সাধারণ ধারণা নিতে সচেষ্ট হবো এবং এরপরেই মূল আলোচনায় প্রবেশ করবো ইনশাআল্লাহ। কারণ, এই তৎসম এবং তদ্ভব শব্দ সম্মন্ধে সাধারণ একটি ধারণা না থাকলে, আরও ক্লিয়ার করে বললে তৎসম এবং তদ্ভব শব্দ কোনগুলো তা চিহ্নিত করার যোগ্যতা না থাকলে 'ন' এবং 'ণ' এর পার্থক্য ও প্রয়োগের ব্যাপারটা বুঝতে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। সেই কারণে চলুন, প্রথমেই একে একে জেনে নেয়া যাক তৎসম এবং তদ্ভব শব্দের পরিচয়।

তৎসম শব্দ কাকে বলে?

তৎসম শব্দটির অর্থ: "তার সমান"। প্রশ্ন আসতে পারে যে, 'তার সমান' মানে কী? এখানে 'তার' কথাটা দিয়ে কী বুঝানো হল? এর উত্তর হচ্ছে, আধুনিক বাংলা, মারাঠি, ওড়িয়া, হিন্দি, গুজরাটি ও সিংহলীর মতো ইন্দো-আর্য ভাষায় এবং মালায়ালম, কন্নড, তেলুগু ও তামিলের মতো দ্রাবিড় ভাষাসমূহে সংস্কৃত ভাষা থেকে ঋণকৃত শব্দসমূহকে বোঝায়। এসব সাধারণত প্রচলিত শব্দের চেয়ে উচ্চতর এবং অধিকতর চলনসই স্বরভঙ্গির অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে অনেকগুলিই (আধুনিক ইন্দো-আর্য ভাষায়) পুরানো ইন্দো-আর্য (তদ্ভব) থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। তৎসমের শব্দভাণ্ডারকে ইংরেজিতে গ্রিক বা লাতিন উৎস থেকে ধারকৃত শব্দের ব্যবহারের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

কিছু তৎসম শব্দঃ

পন্থা, শুষ্ক, পুরস্কার, আদেশ, অনুরোধ, অনুবাদ, উদ্ধার, উন্নত, বেদান্ত, উপনিষদ, পুরাণ, ইতিহাস, কর্ণ, চক্ষু, ভারতবর্ষ, রাষ্ট্র, মস্তক, হস্ত, উদর, জঠর, রাম, রাবণ, পুত্র, মাতা, পিতা, জননী, পক্ষী, নীড়, নীর, দীর্ঘ, বাতায়ন, ভূমিকা, উচ্চ, নিম্ন, আদেশ, বর্জন, সূর্য, চন্দ্র, জল, গৃহ, মৃত্তিকা, অলক, মর্ত্য, স্বর্গ, লোভ, সাধু, ঋষি, প্রত্যাঘাত, কর্ষণ, বর্ষণ, বৃষ্টি, কণা, বাণী, বণিক, লৌহ, বীণা, রুদ্র, চণ্ডাল, কৃষক, দিবা, সৌর্য, বীর্য, কৃতিত্ব, আদিত্য, নারায়ণ, দেব, দেবী, দর্শন, বয়ন, গমন, রাত্রি, মুষ্ঠি, কপাল, ত্বক, জিহ্বা, নাসিকা, আকর, সমুদ্র, নদী, মেঘ, লোক, রাজ্য, রাজধানী, এক, দশ, উদ্যান, রাজা, রাণী, রাজপুত্র, বৃক্ষ, পশু, লতা, নর, নারী, বেদ।

তদ্ভব শব্দ কাকে বলে?

যেসব শব্দের মূল পাওয়া গিয়েছে সংস্কৃততে এবং সংস্কৃত থেকে প্রাকৃততে এবং প্রাকৃত থেকে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে তদ্ভব শব্দ বলে। তদ্ভব শব্দের অপর নাম খাঁটি বাংলা শব্দ।

তদ্ভব শব্দের কয়েকটি উদাহরণ-

সংস্কৃত -----< প্রাকৃত >----- তদ্ভব

মৎস--------------- মচ্ছ------------ মাছ
হস্ত --------------- হত্থ ----------- হাত
চন্দ্র -----------------চন্দ----------- চাঁদ
কর্মকার-------------কম্ম‌আর-------কামার
দুগ্ধ------------------দুদ্ধ-----------দুধ
চর্মকার--------------চম্ম‌আর-------চামার

'ন' এবং 'ণ' -এর উচ্চারণ ও পরিচয়ঃ

আমরা 'ন'-কে 'দন্ত‍্য ন' এবং 'ণ'-কে 'মূর্ধন্য ণ' বলে ডাকি। ডাকবো না তো কী করবো? এগুলোর নামই তো এমন। জ্বি, প্রশ্ন সেই নামকরণ নিয়েই। এই অক্ষরগুলোর এমন নাম কেন হলো? তারপরেও কথা রয়ে যায়, 'দন্ত‍্য' এবং 'মূর্ধন্য' শুধু কি এই দু'টি অক্ষরের নামের ক্ষেত্রেই? তাও তো নয়। 'দন্ত্য স' এবং 'মূর্ধন্য ষ'ও তো রয়েছে। কথা হচ্ছে, বাকি অক্ষরগুলোর নামের সাথে এইজাতীয় বিশেষণ না থাকলেও এগুলোতে কেন আমরা তা ব্যবহার করতে গেলাম?

এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, এর কারণ একটাই, পার্থক্য করার জন্য। আমরা 'ত'-কে তো আর 'দন্ত্য ত' বলি না, আর 'ট'-কেও 'মূর্ধন্য ট' নামে অভিহিত করি না। কারণ বাংলার ধ্বনিবিজ্ঞান অনুযায়ী দু'টোর উচ্চারণ দিয়েই পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবু বাংলায় 'ন' এবং 'ণ'-তে উচ্চারণগত তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

ধ্বনিতত্ত্বে 'ণ'-এর পোশাকি নাম মূর্ধন্য নাসিক্যধ্বনি (Retroflex Nasal); আর 'ন'-এর দন্তমূলীয় নাসিক্যধ্বনি (Alveolar Nasal)।

লক্ষনীয় যে, বাংলা ভাষায় বর্ণমালার ক্রমধারায় মূর্ধন্য-ণ -এর অবস্থান ‘ট, ঠ, ড, ঢ’ -এই চারটি বর্ণের পরে। এই বর্ণ চারটি উচ্চারণ করতে গিয়ে নিশ্চয়ই একটি সাদৃশ্য বা সাযুজ্য প্রত্যক্ষ করা যায়। এই চারটি বর্ণের প্রতিটির উচ্চারণেই জিহবার অগ্রভাগটা উল্টে গিয়ে উপরের (মূর্ধা) অংশে ঠিক যেন একটি টোকা দেয়। আবার, দন্ত্য-ন-এর আগে আসে ‘ত, থ, দ, ধ’। এদের উচ্চারণও একইরকম। এক্ষেত্রে জিহবা দাঁতের গোড়ালির দিকের পেছনের অংশটা ছুঁয়ে যায়। অর্থাৎ ‘ণ’ আর ‘ন’ এর উচ্চারণেও তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে মিল থাকা উচিত।

শুধু ‘ট, ঠ, ড, ঢ’-এর সাথে যুক্ত হয়ে থাকা (ণ্ট, ণ্ঠ, ণ্ড, ণ্ঢ) ছাড়া বাংলায় মূর্ধন্য-ণ -এর উচ্চারণ লুপ্ত হয়ে সবই দন্ত্য-ন হয়ে গেছে, বরং বলা ভালো, দন্তমূলীয়-ন হয়ে গেছে। কারণ ‘ন’ একা থাকলে যেটা উচ্চারণ করি, সেটা দাঁত না ছুঁয়ে দাঁতের শুধু গোড়াটা ছোঁয়। কিন্তু ‘ত, থ, দ, ধ’-এর সাথে যুক্ত থাকলে তখন বিষয়টা হয়ে যায় আলাদা। ‘অন্ত’ আর ‘অন্য’ উচ্চারণ করলেই পার্থক্যটা বুঝা সম্ভব।

'ন' এবং 'ণ' -এর পার্থক্য ও প্রয়োগঃ

তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ণ ধ্বনির সঠিক ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে। অর্থাৎ যে নিয়মে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ -তে পরিণত হয়, তাকে ণ-ত্ব বিধান বলে। বাংলা ভাষায় শুধুমাত্র তৎসম শব্দে ণ-ত্ব বিধান কার্যকরী।

তদ্ভব, খাঁটি বাংলা শব্দ বা দেশি এবং বিদেশি শব্দে ণত্ব বিধান সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়। সংক্ষেপে বলা যায়, যে নিয়মে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’-তে পরিণত হয়, তাকে ণ-ত্ব বিধান বলে।

++ ছোটবেলায় পণ্ডিত মশাইয়ের শেখানো দুই লাইনের সেই কাব্যকথা কিন্তু ণ-ত্ব বিধানের মজার একটি নিয়ম মনে রাখার জন্য বেশ সহায়ক। কয়েকবার পড়ুন এবং এখনই মুখস্ত ও ঠোটস্থ করে নিতে পারেন নিচের লাইন দু'টি। পণ্ডিত মশাই শিখিয়েছিলেন-

"ঋ-কার, র-কার, ষ-কারের পরে, যদি ন-কার থাকে,
ঘ্যাচ্ করে তার কেটে দাও মাথা, কোন্ বাপ্ তারে রাখে"।

সেটাই, শুধু মাথাটা কেটে দেয়াই কাজ। ব্যস, প্রয়োগ হয়ে যাবে ণ-ত্ব বিধান -এর। অর্থাৎ ঋ -কার, র -কার অর্থাৎ র - ফলা বা রেফ্, এবং ষ থাকলে, সেসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ণ হবে, ন নয়। চলুন, উদাহরণ দেখে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করি। যেমন- ঋণ, ঘৃণা, তৃণ, রণ, ব্রণ, কর্ণ, ঘ্রাণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ভীষণ, ভাষণ, বিভীষণ, ভূষণ, উষ্ণ, পাষাণ ইত্যাদি।

'ন' এবং 'ণ' -এর আরও কিছু প্রয়োগক্ষেত্রঃ

++ ট-বর্গীয় (ট, ঠ, ড, ড়, ণ) ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সবসময় মূর্ধন্য ‘ণ’ যুক্ত হয়। যেমন– ঘণ্টা, লুণ্ঠন, কাণ্ড, ইত্যাদি।

++ উপসর্গ (প্র, পরা, পরি, নির) -এর পর মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন– প্রমাণ, নির্ণয়, পরিমাণ, প্রচণ্ড, পরাণ।

++ ঋ, র, য -এর পরে স্বরধ্বনি, ক-বর্গীয়, প-বর্গীয় (প,ফ, ব, ভ, ম,) এবং (য য় ব হ ং) ধ্বনি থাকলে তার পরবর্তী ন মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমন– কৃপণ, অর্পণ, দর্পন, পূর্বাহ্ণ, অপরাহ্ণ।

++ কিছু সন্ধি সাধিত শব্দে (উত্তর, পর, পার, চন্দ্রা, নার)- ইত্যাদির পরে ‘অয়ন’ /আয়ন’ শব্দ হলে দন্ত্য- ন মূর্ধন্য- ণ তে রুপান্তর হয়। যেমন উত্তর+আয়ন = উত্তরায়ণ, পর+আয়ন = পরায়ণ, চন্দ্রা+আয়ন = চন্দ্রায়ণ, নার+আয়ন = নারায়ণ ইত্যাদি।

++ সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান হয় না। এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন’ হয়। যেমন – ত্রিনয়ন (তিন নয়ন), সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক।

++ ত-বর্গীয় (ত, থ, দ, ধ, ন) বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ন কখনাে ণ হয় না, ন হয়। যেমন গ্রন্থ, ক্রন্দন, বন্ধন, রন্ধন।

লেখাটি প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা উইকিপিডিয়া, কোরাসহ অন্যান্য উৎসের প্রতি।

সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

চলবে....।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পোস্ট টি সামহোয়ারইন ব্লগের সম্পদ হিসেবে রয়ে যাবে। এটি পড়তে গিয়ে মনে পরে গেলে স্কুল এ আমাদের পন্ডিত স্যার বাবু সূর্য কান্ত চক্রবর্তীর কথা। তিনি কত সুন্দর করে পড়াতেন বি-পূর্বক আ-পূর্বক ক্রি-ধাতুর সহিত অন প্রত্যয় যোগে বৈয়াকরণ শব্দটি সৃষ্টি হইয়াছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ক্ষুদ্রকালে সরি, ছোটবেলায় শেখা এমন অনেক বিষয়ই আমাদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে। সেই সময়গুলোও ছিল অন্যরকম আনন্দ উচ্ছলতায় ভরপুর। পরিবর্তিত এই আধুনিকতার ছদ্মাবরণে সেই সময়ের অনেক কিছুই আর ফিরে পাওয়ার নয়। শুধু স্মৃতি হাতড়ে যেটুকু তৃপ্তির অনুভূতিতে সিক্ত হওয়া।

প্রথম মন্তব্যে আপনার নিখাদ আন্তরিকতা মেশানো অভিব্যক্তি প্রেরণা হয়ে থেকে যাবে। অনিঃশেষ কৃত্জ্ঞতা এবং শুভকামনা।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



এসব না'জেনেই অনেকই কবিতা লিখছেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। এখন তো খুব কম লোককেই ব্যাকরণ অনুসরণ করতে দেখা যায়। তবে করা উচিত। জানার এবং শেখার চেষ্টা না থাকাটা কোনভাবেই উচিত নয়।

ধন্যবাদ, গাজী ভাই।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,




অতি প্রাঞ্জল বর্ণনায় সহজবোধ্য হয়েছে পোস্টটি এবং তা পানির মতোই স্বচ্ছ। কঠিন বিষয়ও যদি আপনার মতো এমন জলবৎ তরলং করে উপস্থাপিত হয় তবে তা পড়েও মজা। কঠিনকে আর কঠিন মনে হয়না।

আসছে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই,

আপনার প্রশংসাধন্য হয়ে পোস্টটির জন্য আনন্দিত। এই যে আমরা লিখছি সামুতে, সামু তো বাংলা অনলাইন ব্লগের পথিকৃৎ এবং আজ অবদি সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম। বাংলা ব্লগ যাদের লেখা এবং প্রেরণায় সমৃদ্ধ, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আপনি তাদের অন্যতম। আপনার জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা। আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে সুস্বাস্থ্যে দীর্ঘজীবি করুন।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩

নতুন বলেছেন: এই জন্যেই গায়ক গেয়েছিলেন

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



নতুন ভাই,

কী গেয়েছিলেন তা শুনিনি। কোন একসময় হয়তো শুনে নিব। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পরিপূর্ণ ব্যাকরণ কেউ জানে?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



হয়তো কেউ কেউ জানেন। তবে সেই লোকদের সংখ্যা যে খুবই সীমিত তা বলারই অপেক্ষা রাখে না।

কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যাকরণ মেনে চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। +

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



;প্রিয় জুল ভার্ন ভাই,

মন্তব্যে প্রেরণা রেখে যাওয়ায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ব্যাকরণ নিয়ে ভালোই লিখেছেন এবং ছবিটা ব্যাকরণ বিষয়ক হলে আরো ভালো হতো

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ঠিকই বলেছেন ছবিটা ব্যাকরণ বিষয়ক দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু তেমন পছন্দসই কিছু পাইনি তখন। লেখা আপনার কাছে পছন্দনীয় হওয়ায় আনন্দিত।

কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





'ন' এবং 'ণ' এর পার্থক্য ও প্রয়োগ সংক্রান্ত বাংলা ব্যাকরণের জটিল বিষযটিএ
সহজ সরল প্রাঞ্জল কথামালায় পানির মত সহজে আয়ত্ব করে নেয়ার কৌশল
সমৃদ্ধ মুল্য এই লেখাটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । অনেক উপকারী একটি পোষ্ট ।

তবে আমার বিবেচনায় তৎসম শব্দগুলি শতাধিক বছর ধরে সাবলিল গতিতে
যথা নিয়মে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হতে হতে এখন তারা খাটি বাংলা ভাষায়
পরিগনিত হয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে , যেমন বাংলাদেশ সহ পৃশিবীর প্রায়
সকল দেশেই একটি নিদৃষ্ট মেয়াদকাল পর্যন্ত নিয়ম মেনে বসবাস করলে
সে দেশের নাগরীকত্ব পেয়ে যায়, তেমনি ভাবে তংসম শব্দ গুলিকে খাটি
বাংলা হিসাবে গন্য করে বাংলা ভাষার লিখন নিয়মমালা হতে ণ বর্ণটি
উঠিয়ে দিয়ে লিখন পদ্ধতিকে আরো সহজ করা যায় ।
তবে তার পুর্বে বাংলা ভাষায় প্রচলিত সকল তংসম শব্দ সমুহকে চিহ্নিত
ও তালিকাভুক্ত করে সেগুলি যে সমস্ত ভাষা হতে এসেছে তাদের প্রতি
জাতির পক্ষ থেকে চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পুর্বক একটি স্বারক পত্র বাংলা
একাডেমির নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে রাখা যেতে পারে ।
এবংবিদ প্রকারে বাংলা ভাষার লিখন পদ্ধতি সহজীকরণ করা যেতে পারে ।
তবে এরকম ক্ষেত্রে শব্দটির অর্থ প্রকাশে বেশ কিছু সমস্য হবে
যেমন বিনা তথা ব্যতিরেকে
বীণা তথা একটি বাদ্যযন্ত্রের নাম ।
তবে বাক্যে শব্দের প্রয়োগ দেখে এর অর্থ বুজতে কারো তেমন অসুবিধা
হবে বলে মনে হয়না ।
যাহোক , বিষয়টি নিয়ে ভাষা ও বাংলা ব্যকরণবিদদের গবেষনার সুযোগ রয়েছে
বলে মনে করি । বাংলার বানান রীতি সংস্কারের ক্ষেত্রে রক্ষনশীলতা পরিহার
করা না গেলে এর পরিনতি সংস্কৃত ভাষার মত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এড়ানো
যাবেনা । উল্লেখ্য এককালে অতি সমৃদ্ধ সংস্কৃত তার নিজস্ব লিখন পদ্ধতিতে
নতুন কিছু গ্রহণ ও বর্জন না করায় এখন সেটির ব্যবহার ও প্রয়োগ কমতে কমতে
শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে দেব দেবীর পুঝা আর বিয়ের মন্ত্র পাঠের মধ্যে
সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে ।

তাই বাংলা ভাষার বিশেষ করে এর টাইপিং লিখার গতি বৃদ্ধি করণের প্রয়াসে
এই ভাষায় ব্যবহৃত সমউচ্চারণমুলক বর্ণ সংখা কমিয়ে একে আরো সহজ সরল
করা যায় কিনা সেটা সকলের ভেবে দেখা এখন যুগের দাবী বলে গণ্য করা যায় ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



তবে আমার বিবেচনায় তৎসম শব্দগুলি শতাধিক বছর ধরে সাবলিল গতিতে
যথা নিয়মে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হতে হতে এখন তারা খাটি বাংলা ভাষায়
পরিগনিত হয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে , যেমন বাংলাদেশ সহ পৃশিবীর প্রায়
সকল দেশেই একটি নিদৃষ্ট মেয়াদকাল পর্যন্ত নিয়ম মেনে বসবাস করলে
সে দেশের নাগরীকত্ব পেয়ে যায়, তেমনি ভাবে তংসম শব্দ গুলিকে খাটি
বাংলা হিসাবে গন্য করে বাংলা ভাষার লিখন নিয়মমালা হতে ণ বর্ণটি
উঠিয়ে দিয়ে লিখন পদ্ধতিকে আরো সহজ করা যায় ।
তবে তার পুর্বে বাংলা ভাষায় প্রচলিত সকল তংসম শব্দ সমুহকে চিহ্নিত
ও তালিকাভুক্ত করে সেগুলি যে সমস্ত ভাষা হতে এসেছে তাদের প্রতি
জাতির পক্ষ থেকে চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পুর্বক একটি স্বারক পত্র বাংলা
একাডেমির নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে রাখা যেতে পারে ।


-বাংলা ভাষায় প্রচলিত সকল তংসম শব্দ সমুহকে চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত করে সেগুলি যে সমস্ত ভাষা হতে এসেছে তাদের প্রতি
জাতির পক্ষ থেকে চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পুর্বক একটি স্বারক পত্র বাংলা একাডেমির নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে রাখার আপনার প্রস্তাবটি সত্যি চমৎকার। এটা করা গেলে খুবই ভালো হতো।

এবংবিদ প্রকারে বাংলা ভাষার লিখন পদ্ধতি সহজীকরণ করা যেতে পারে ।

-সকল ক্ষেত্রে হয়তো সম্ভব নয়। তবু যথাসম্ভব করা গেলে বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী সকলেই উপকৃত হবেন।

বাংলা ভাষার বিশেষ করে এর টাইপিং লিখার গতি বৃদ্ধি করণের প্রয়াসে
এই ভাষায় ব্যবহৃত সমউচ্চারণমুলক বর্ণ সংখা কমিয়ে একে আরো সহজ সরল
করা যায় কিনা সেটা সকলের ভেবে দেখা এখন যুগের দাবী বলে গণ্য করা যায় ।


-অবশ্যই যৌক্তিক দাবি। সময়ের প্রয়োজনে এটা হয়তো হবেও কোন এক দিন। আমরা দেখে যেতে পারবো কি না, সেটাই কথা।

চিন্তার খোড়াক যোগানো দীর্ঘ মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় আলী ভাই। আপনার মন্তব্য মানেই নতুন কিছু শিখতে পারা, আরও কিছু জানতে পারা। কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা। আপনার সুস্থতা এবং নেক হায়াত কামনা করছি।

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় সঠিক টা মনে আসে না। দ্বিধায় পড়ে যাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দ্বিধায় পড়া খুব স্বাভাবিক। আমরাও কিছুটা পড়ি বৈকি। আপনি তো চমৎকার লিখে থাকেন। ধন্যবাদ।

১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ইংরেজী নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনার জন্যও।

১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার পোস্টের বদৌলতে ঝালাই করে নিলাম। কাজের পোস্ট। এসব পোস্টে শতভাগ শুদ্ধতা দরকার।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ কবি ভাই। শুভকামনা জানবেন।

১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

জানা বলেছেন:
খুব গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটির জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ এবং কৃত্ঞ্গতা জানবেন ´নতুন নকিব´ ভাই। সময় দিয়ে, যত্ন করে এবং সহজ করে গুছিয়ে লেখাটা পড়তে যেমন ভাল লাগলো, তেমনি আমাদের অহরহ ভুল করা বাংলা বানানে "ন" এবং "ণ" এর সঠিক ব্যবহারের নিয়ম-নীতিটা নতুন করে ঝালাই করে নেবার সুযোগ হলো। অন্তত আমাদের মধ্যে তাদের জন্যে, যারা আমরা শুদ্ধ বাংলা লিখতে চাই, শিখতে চাই এবং পরবর্তি প্রজন্মের জন্যেও ভাষা শুদ্ধ করে বলা এবং লেখার আগ্রহ ও চর্চাটা বাঁচিয়ে রাখতে চাই।

আমাদের ভাষায়, আচার-ব্যবহারে এবং যাবতীয় কাজকর্মে যে কোনভাবেই হোক শুদ্ধতা, সহনশীলতা, পারষ্পরিক সম্মানবোধ এবং সৌন্দর্য মিশে থাকুক, স্থায়ী হোক। সবার মঙ্গল হোক।





০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্টটিসহ সামনের দিনগুলোতে প্রকাশিতব্য এই বিষয়ক আরও কিছু পোস্ট আপনাকে উৎসর্গ করতে পারলে বেশি ভালো লাগতো। চিন্তাটা মাথায় ছিলও। কিন্তু কিছু বিষয় চিন্তা করে তা করা থেকে বিরত থেকেছি। যা হোক, আসল উদ্দেশ্যটা পূরণ হলেই আমাদের চেষ্টাটা স্বার্থক। মানুষ যদি এসব লেখা থেকে সামান্য উপকৃত হতে পারেন, কিছুটা হলেও বানান সচেতন হতে আগ্রহী হন, তবেই আমাদের সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে সফল মনে করে আনন্দিত হতে পারি।

মূলতঃ আপনার একান্ত উৎসাহ এবং আন্তরিক অনুপ্রেরণা থেকেই এই পোস্ট। সত্যি কথা, আপনি না বললে এই পোস্ট লেখার ভাবনাটা হয়তো এইসময়ে চিন্তায় আসতো না। হয়তো এসব নিয়ে লেখাই হয়ে উঠতো না। সে জন্য আপনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা।

আমাদের ভাষায়, আচার-ব্যবহারে এবং যাবতীয় কাজকর্মে যে কোনভাবেই হোক শুদ্ধতা, সহনশীলতা, পারষ্পরিক সম্মানবোধ এবং সৌন্দর্য মিশে থাকুক, স্থায়ী হোক। সবার মঙ্গল হোক।

-আপনার শেষের চমৎকার এবং অসাধারণ বাক্য দু'টিই হোক আমাদের সামনের দিনগুলোর পথচলার পাথেয়। শুদ্ধাচারে অভ্যস্ত হয়ে বিশুদ্ধতায় গড়ে তুলি নিজেদের। আমরা নিজেদের আরও পরিশীলিত করি, আরও সহনশীল হই অন্যদের প্রতি, শ্রদ্ধাশীল হই ভিন্নমতের প্রতি। আচার-আচরণে নম্রতা ভদ্রতা প্রকাশের পাশাপাশি পরমত সহিষ্ণুতার মত উন্নত মানবিক গুণাবলী অর্জন ব্যতিরেকে কোনো মানুষের পক্ষেই সত্যিকারের মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.