নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ওয়ায়েস করনীর দাঁত ভাঙার গল্প; একটি ভিত্তিহীন ঘটনা
-রওজায়ে আতহার, মসজিদে নববী, মদিনাতুল মুনাওয়ারাহ, অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত
প্রখ্যাত রাসূল প্রেমিক ওয়ায়েস করনীর দাঁত ভাঙার গল্পটি লোকমুখে খুবই প্রসিদ্ধ। এটি এতটাই প্রসিদ্ধ যে, এর সত্যাসত্য নিয়ে কথা বলাও বিপজ্জনক। কারণ, মানুষের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা এমন গভীরভাবে আসন গেড়েছে যে, এটি যে মিথ্যা বা বানোয়াট ঘটনা হতে পারে, এই কথা অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেন না। ঘটনাটি নিমণরূপ- ওহুদ যুদ্ধে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানদান মোবারক শহীদ হল তখন ওয়ায়েস করনী বিষয়টি জানতে পারলেন এবং যারপরনাই ব্যাথিত হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা ছিল। এ ঘটনা শুনে তিনি স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি ভাবলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত মোবারক যখন শহীদ হয়েছে তো আমার এ দাঁতের কী অর্থ! তিনি নিজের একটি দাঁত ভেঙে ফেললেন। পরক্ষণে চিন্তা করলেন, আমি যে দাঁত ভেঙেছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হয়ত এ দাঁত ভাঙেনি অন্য দাঁত। তাই ভেবে তিনি নিজের আরেকটি দাঁত ভেঙে ফেললেন। এভাবে তিনি নিজের সবগুলো দাঁত ভেঙে ফেললেন।
নবীজীর প্রতি উম্মতের ভালবাসা প্রকাশের চূড়ান্ত নযীর হিসেবে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এ ঘটনা বলে থাকেন। কিন্তু এ ঘটনার কোনোই ভিত্তি নেই। মোল্লা আলী কারী রাহ. বলেন, এ ঘটনা প্রমাণিত নয়। -দ্র. আলমা‘দিনুল আদানী, আলবুরহানুল জালি ফী তাহকীকি ইনতিসাবিস সুফিয়্যাতি ইলা আলী, পৃ. ১৬৪-১৬৫
ওয়ায়েস করনী (উয়াইস আলকারানী) একজন বড় মাপের তাবেয়ী ও বুযুর্গ ছিলেন। ইয়ামানের অধিবাসী ছিলেন। তিনি ৩৭ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগের হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ তার হয়নি। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা ছিল। তার বৃদ্ধা মা ছিলেন। মায়ের সাথে তিনি সদাচরণ করতেন। মায়ের সেবাযত্ন করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চিনতেন। হাদীস শরীফে এসেছে, ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইয়ামান থেকে উয়াইস নামে এক ব্যক্তি তোমাদের কাছে আসবে। ইয়ামানে মা ছাড়া তার আর কেউ নেই। তার শ্বেত রোগ ছিল। সে আল্লাহর কাছে দুআ করলে আল্লাহ তার রোগ ভাল করে দেন, কিন্তু তার শরীরের একটি স্থানে এক দিনার অথবা এক দিরহাম পরিমাণ স্থান সাদাই থেকে যায়। তোমাদের কেউ যদি তার সাক্ষাৎ পায় সে যেন তাকে নিজের জন্য ইস্তেগফার করতে বলে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৪২
ওয়ায়েস করনীর সাথে সাহাবীদের সাক্ষাতের ঘটনাও হাদীস শরীফে এসেছে। কিন্তু কোথাও এমন কিচ্ছার কথা নেই। সহীহ মুসলিমে এসেছে, ওমর রা.-এর সাথে ওয়ায়েস করনীর সাক্ষাত হলে তাকে সনাক্ত করার জন্য তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলে দেয়া সব আলামত জিজ্ঞাসা করেন। এ বর্ণনায় আছে ওমর রা. নবীজীর কথা অনুযায়ী তাকে নিজের জন্য ইস্তিগফার করতে বলেন, তিনি ওমর রা.-এর জন্য ইস্তিগফার করেন। পরবর্তী বছর হজ্বের মৌসুমে ওয়ায়েস করনী যে এলাকায় বসবাস করছিলেন সেখান থেকে এক ব্যক্তি এলে ওমর রা. তার (ওয়ায়েস করনীর) খোঁজ খবর নেন। -দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৪২
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিষয়টা ক্লিয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নকিব ভাই।
আরেকটা ঘটনার কথা শুনেছি, সম্ভবত হযরত মুসা (আঃ ) ও খিজির (রহঃ )-এর মধ্যকার ঘটনা। মাংস খাওয়ার ঘটনা, কলজে বের করে তার মাংস দেয়া। আপনি শুনেছেন নাকি? শুনে থাকলে আমার এ সাংকেতিক কথা থেকেই বুঝবেন। না শুনে থাকলে আর বলার দরকার নেই।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের অনেক কিছুই প্রমানিত না।প্রমান চাইতে গেলে বিপদ আছে।আল্লাহ যেমন ভয় দেখায়,আল্লার বন্দারা শুধু ভয়ে দেখায় না,ভয় কে কার্যে পরিণত করে।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: কেয়ামত আসছে?
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
রানার ব্লগ বলেছেন: এই ঘটনা কে আপনি কোন ভাবেই মিথ্যা বলে প্রচার করতে পারবেন না। সাধারন জনগন সহজে হজম করতে পারবে না। আপনি ধর্মদ্রহী বা নাস্তিক নামে দোষি সাবস্ত হবেন।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন:
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক! শুভকামনা।
৮| ২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লগ ইন থেকেও নীজের পোষ্টে থাকা
মন্তব্যের উত্তর না দেয়ার পিছনে কি
বিশেষ কোন কারণ আছে?
২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
মাঝে মাঝে লগড ইন থাকি ঠিকই কিন্তু পিসির সামনে থাকার সুযোগ তেমন একটা হয়ে ওঠে না। আর বিগত কয়েক মাসে ব্লগে মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য কিংবা পোস্ট যা-ই বলেন, আমার খুব কমই লেখা হয়েছে।
আসলে এই কম লেখার পেছনে নিশ্চিতভাবেই কোন না কোন কারণ রয়েছে। সবিস্তারে সব কিছু পাবলিকলি বলতে চাই না। ব্যস্ততা তো থাকবেই। জীবন অবশিষ্ট যতক্ষণ, ব্যস্ততা থেকে যাবে ততক্ষণই। তবু শুধু এটুকু বলি যে, দ্যুতি ঝড়া সেই সময়গুলো হারিয়ে গেছে। চোখের আড়াল হয়েছে ব্লগের সেই পুরনো জমজমাট দিনগুলোর অম্লান স্মৃতির অবিস্মৃত স্মারক মাহেন্দ্রক্ষণগুলোর অজস্র জোছনা বিন্দুরাও। ভাটার টানে নিস্তেজ স্রোতে ভেসে যাওয়া হৃদ্যতার ছোঁয়াগুলোও কেন যেন অবিমৃশ্য অচঞ্চল। কেমন জানি এক নিঃসীম শুণ্যতা চারদিকে। অন্ধকারের অভেদ্য এক প্রলেপ, মনে হচ্ছে গাঢ় থেকে প্রগাঢ় হয়ে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে।
তবু অন্ধকারের দেয়াল ভেদ করেই জাগতে হবে আমাদের। জেগে উঠতে হবে আলোকের পথের পথিকদের।
দেখি, ফুরসত বের করে আবার যদি ফিরে আসতে পারি।
খোঁজ জানার এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত। আপনার হৃদ্যতায় বরাবরই কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীতে বিকট আওয়াজ হওয়ার যে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে তার একটা বিস্তারিত আলোচনা করবেন কী?